#রঙিলা_বউ
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_৫
–ফজরের আজান হচ্ছে।উঠে নামাজ পড়বো ভাবছি।তখনি কিছু একটা অনুভব করলাম!
চোখ মেলে তাকিয়ে যা দেখলাম,তাতে তো মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না!মায়া আমাকে জড়িয়ে ধরে সোফার মধ্যে শুয়ে আছে!এটা দেখে চোখ সরাসরি কপালে উঠে যায়!যে মেয়ে আমাকে অসৎ আচরণের জন্য কথা শুনিয়েছে।সেই মেয়েই নিজ থেকে জড়িয়ে ধরছে আমাকে।ওকে ছাড়িয়ে নিয়ে উঠে পড়লাম।নড়াচড়া করায় হয়তো তার ঘুমটাও ভেঙ্গে গেছে।সেও উঠে পরে।
–আসলে সরি,রাতের বেলায় খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম কিছু একটা দেখে।পরে এসে আপনার পাশে শুয়ে পড়ি।তারপর হয়তো আপনাকে জড়িয়ে ধরেছি।
–মায়ার কথায় কান না দিয়ে ওজু করতে চলে গেলাম।ও কেনো আমায় জড়িয়ে ধরেছে,সেটা ওর ব্যাপার।তাতে আমার কি!আমি তো জড়িয়ে ধরিনি।ওজু করে এসে নামাজ পড়ে নিলাম।নামাজ শেষ করে উঠতে যাবো,তখনি দেখি মায়া আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে!দেখেও না দেখার ভান করে গিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলাম।
–মানুষটা হটাৎ এতটা পরিবর্তন হয়ে গেলো কি করে?নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করলাম।হয়তো গতকালের কথায় খুব লেগেছে উনার।আমি জানি যে,গতকাল উনার কোনো দোষ ছিলো না।আলিশা উনাকে জড়িয়ে ধরেছে।কিন্তু কেনো জানি সেটা আমি মানতে পারিনি।তাই উনার উপরে রাগ ঝেড়েছি।গতকাল কোনো দোষ না করলেও সেদিন তো করেছে।যাক একদম বেশ করেছি আমি।
খারাপ মানুষের সাথে এসব করাই উচিৎ।
উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
অন্যদিকে আকাশ নিচে গিয়ে বসে আছে।
–কিরে তুই এত সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গেলি যে?
–নামাজের জন্য উঠেছিলাম।তাই আর ঘুমাইনি।
আর কাল থেকে রোজ সকালেই উঠবো।
–আকাশ আমায় মাফ করে দিস।তোর এমনধারা পরিবর্তন সত্যি আমাকে খুব ভাবাচ্ছে।যে ছেলে ঘুম থেকে উঠছি আটটা নয়টা করে,সেই ছেলে ফজরের নামাজের জন্য উঠে পরছিস।যেই ছেলে টাইম মত ঘরে ফিরতি,সেই ছেলে এখন রাত করে ঘরে ফিরছিস।জানিনা কি কারনে এমন করছিস,তবে কিছুটা ফিল করতে পারছি আমি।
–মা,বাদ দাও এখন এসব কথা।নাস্তা রেডি করো তুমি।আমি খেয়ে স্কুলে যাবো।
–ওকেহ,কিছুটা সময় ওয়েট কর।আমি রেডি করছি।
–নিচে বসে বসে মোবাইল ঘাটাঘাটি করছিলাম।মায়া রুমে ছেড়ে এদিকেই আসছে।আমি আমার মতন মোবাইল ঘাটছি।সে আমাকে ক্রস করে রান্না ঘরে চলে গেলো।
–আন্টি আমি আপনাকে সাহায্য করি?
–হা করো,তবে আন্টি ডাকার অভ্যেস বলদে ফেলো।বিয়ের পর হাসবেন্ডের মা কে মা ডাকতে হয়।আন্টি না..
–আচ্ছা আম্মু কি করতে হবে আমাকে বলেন?
–তোমার কিছুই করতে হবে না।আমার সাথে দাঁড়িয়ে থাকো।তাতেই আমার সাহায্য হয়ে যাবে।
–আচ্ছা,চুপচাপ দাঁড়িয়ে শাশুড়ীর রান্না দেখছিলাম।কি ভাবে রান্না করছে,তা দেখে দেখে শিখছি।
–আচ্ছা বউমা,তোমায় একটা কথা বলি?
–হা আম্মু বলেন…
–তোমাকে আকাশের সাথে বিয়ে দিয়ে কি খুব অন্যায় করে ফেলেছি আমি?যে তোমরা একে অপরকে মানতে পারছো না!
–আম্মু,সেসব কিছুই না।উনি আমার শিক্ষক।উনাকে কি ভাবে আমি স্বামীর মর্যাদা দিব?
আর তাছাড়া উনি অসভ্য।তাই উনাকে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না!
–বউমা,একটু বেশি বলে ফেললে না তুমি?
কাকে অসভ্য বলছো তুমি?যে কিনা কোনোদিন ও কোনো মেয়ের সাথে রিলেশনশিপে জড়াননি।যে কিনা কোনো মেয়ের সরলতায় আঘাত করেনি।তাকেই অসভ্য বলছো তুমি?তাও আবার তার মায়েরি সামনে?
–সেটা উনি করেছেন কি করে নাই,সেটা উনি আর উনার আল্লাহ ভালো জানবেন।
–আকাশ আর ওর আল্লাহ যদি ভালো জানে,তাহলে তুমি ওকে অপবাদ দিয়ে নিজেকে ছোট প্রমাণ করছো কেনো?
–চুপ করে আছি উনার কথা শুনে।
কি ভাবে বলবো আমি যে,আপনার ছেলে আমার শরীরে জোর খাটিয়েছে।
–বউমা,তোমার চুপ করে থাকা আমাকে ভিন্ন কিছু ইঙ্গিত করছে।সেদিকে আমি আঙ্গুল তুলবো না।তবে একটা কথা মনে রেখো।আজ যাকে অপবাদ দিলে,সেই মানুষটার জন্য এক সময় কেন্দে কেটে মরবে তুমি।তখন তোমার হাজারো ভালোবাসা সেই মানুষটার মন গলাতে পারবে না।তখন তুমি শুধু অবহেলা আর অবহেলা দেখতে পাবে।এটা তুমি ডায়েরিতে লিখে রাখো।মুরুব্বীদের কথা কখনো মিথ্যা হয় না।তোমাদের সময়টা আমরা পাড় করে এসেছি তো।সেই এক্সিপেরিয়েন্স থেকেই বলছি।
–হা সেটা কোনো সময় এই হবে না।
আপনার অসভ্য ছেলেকে,কোনোদিন এই আমি ভালোবাসবো না।(মনে মনে বললাম)
–যাও নাস্তা রেডি হয়েছে।সেটা গিয়ে আকাশকে দিয়ে আসো।
–শাশুড়ীর কথা মতন নাস্তা নিয়ে গিয়ে উনাকে দিয়ে আসলাম।অবাক করা বিষয়,তিনি আমার দিকে ঘুরেও তাকালেন না।
–নাস্তা খেয়ে স্কুলে চলে এসেছি।
মায়ার দেওয়া সেদিনের অপবাদের কথা মনে পড়লে,এখনো ভেতরটা কেঁপে উঠে!
চিন্তা করো না মায়া।একটা সময় এই মিথ্যে অপবাদের জন্য তোমাকে কষ্ট পেতে হবে।
ক্লাস শুরু হয়ে গেলো।ক্লাসে মন দিলাম।স্টুডেন্টদেরকে ক্লাস করাচ্ছি।একটু পর
টিফিন ব্রেক দিলো।স্টুডেন্টদেরকে টিফিন ছুটি দিয়ে ক্লাস থেকে বের হয়ে আসলাম।বের হতেই দেখি স্কুলের গেইটে ইশিতা দাঁড়িয়ে আছে।ইশিতা আমার ক্লাসমেট।খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিলো আমাদের মাঝে।তবে সে আমাকে ভালোবাসে।কিন্তু আমি বসি না।সে আমাকে দেখেই ছুটে আসলো।
–আকাশ কি খবর তোমার?
–এই তো ভালো।তোমার?
–আমার আর কি,যেমন রেখেছো তুমি!
–ইশিতার কথা শুনে বুঝতে বাকি রইলো না আমার।যে সে আমায় কি বুঝাতে চেয়েছে।তাও তাকে কিছু বললাম না।আচ্ছা চলো কেন্টিনের দিকে যাই।অনেকদিন পর এসেছো।চলো একসাথে বসে কফি খাবো।
–আচ্ছা চলো…
–ইশিতার আর আমি কেন্টিনের দিকে গেলাম।সেখানে গিয়ে দেখি তিশান আর মায়া বসে বসে গল্প করছে।আমি দেখেও না দেখার ভান করে থাকলাম।ইশিতার সাথে কথা বলছি।কিন্তু তারা হয়তো ইশিতা আর আমাকে দেখেছে।দেখলে দেখুক,আমাদের কি!আমরা আমাদের মতন কথা বলছি।
–তিশান দেখছো আকাশ স্যারকে?
গতকাল তো খুব বলেছিলে,যে আকাশ স্যার এমন,আকায় স্যার অমন।কিন্তু আজ দেখে নাও উনার চরিত্র কেমন!স্ত্রীকে রেখে অন্য মেয়ের সাথে লুতুপুতু করছে।দেখেছো কেমন হেসে হেসে কথা বলছে?
–মায়া,তোমার কথা শুনে খুব হাসি পাচ্ছে!
–আমার কথা শুনে,হাসি পাচ্ছে মানে কি?
–হাসি পাবে না তো কি করবে।তুমি কি উনাকে স্বামী হিসেবে মানতে পেরেছো,যে উনি তোমার সাথে লুতুপুতু করবে?
–নাহ,উনার মতন লোককে,কখনোই আমি স্বামী হিসেবে মানবো না।
–তাহলে কোন কথার ভিত্তিতে এসব বলছো?
নিজেই যখন স্বামী হিসেবে মানো না।তাহলে তোমার এত লাগছে কেনো?তুমি যদি স্বামী হিসেবে মানতে,তাহলে তো উনি আর অন্য মেয়ের সাথে বসে আড্ডা দিতো না।
–স্বামী হিসেবে মানি আর না মানি,কিন্তু উনি অন্য মেয়ের সাথে বসে বসে হাসাহাসি করছে কেনো?উনার তো বউ আছে ঘরে।
–সেই প্রশ্নটা যদি আমি তোমাকে করি?
তোমারো তো স্বামী আছে।তাহলে তুমি আমার সাথে বসে গল্প করছো কেনো?
–তিশান কি বলতে চাইছো তুমি?
–কিছু ই না।আমি তোমাকে এটাই বুঝাতে চাইছি যে,ঘরের বউ এই যখন স্বামীকে স্বামী হিসেবে মানে না,তাহলে অন্য মেয়ের সাথে সঙ্গ দেওয়াই।স্বাভাবিক।
–না উনি অন্য মেয়ের সাথে সঙ্গ দিতে পারবে না।
তুমি একটু বসো।আমি শুনে আসি,উনারা কি কথা বলছেন।
মায়া গিয়ে কেন্টিনের পাশে একটা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শোনার চেষ্টা করছে,যে ওদের মধ্যে কি কথা হচ্ছে।
–তো বলো,ইশিতা আজ হটাৎ তুমি এখানে?
–আকাশ তুমি কেমন যেনো হয়ে গেছো।
আগের মত ফোন দাও না।আগের মতন কথা বলো না।কি হয়েছে তোমার?তুমি কি বুঝো না কিছু?
–ইশিতা,দেখো আমি বুঝিনা যে এমনটা না।সবটাই আমি বুঝি।কিন্তু তুমি ভালো করেই জানো,যে আমার বিয়ে হয়ে গেছে।তারপরেও তোমার সাথে যোগাযোগ রাখবো কেনো আমি?
–আকাশ প্লিজ এভাবে বলো না।আমার খুব কষ্ট হয়।তুমি প্লিজ ঐ মেয়েকে ছেড়ে দাও।আর আমাকে বিয়ে করে নাও।বলে কান্না করে দেয়।
–ইশিতা,প্লিজ কান্না করো না।
–না,তুমি বলো,যে তুমি ঐ মেয়েকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে বিয়ে করবে?
–সেটা বলতে পারবো না।তবে ছয়মাস পর মায়াকে আমি ডিভোর্স দিয়ে দিব।তারপর তোমাকে নিয়ে ভেবে দেখবো।
–ভেবে দেখলে হবে না।আমাকেই বিয়ে করতে হবে তোমার।
–আচ্ছা ঠিক আছে।
–আকাশের মুখে হা শুনে ইশিতা খুশিতে আকাশকে জড়িয়ে ধরে।
অন্যদিকে মায়া তো রেগে মেগে আগুন!
ইশিতার কথা শুনে মায়ার খুব গা জ্বলছে।
সে গিয়ে ইশিতাকে টান দিয়ে আকাশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়।আর আকাশের কোলের মধ্যে উঠে বসে পড়ে।
–মায়ার কান্ড দেখে তো পুরাই “থ”!
–এই মেয়ে,তোমার কত বড় সাহস হা?
যে তুমি আমার স্যারকে বিয়ে করতে চাও।
–এই মেয়ে তুমি কে?
–আমি স্যারের বউ।আর উনি আমার স্যার।
–তুমি ওর কোল থেকে নামো।আর বউ টউ বলা বাদ দাও।সে তোমাকে ছয়মাস পর ডিভোর্স দিয়ে দিবে,তারপর আমাকে বিয়ে করবে।সো কোল থেকে নামো তুমি..
–এই শাঁখচুন্নি,তোর সাহস তো কম না।তুই আমাকে আমার স্যারের কোল থেকে নামতে বলিস?
–ভালোই ভালোই বলছি,তুমি ওর কোল থেকে নামো।না হয় টেনে হেঁচড়ে নামাবো।
–নামা দেখি তুই আমাকে!তোর কত ক্ষমতা আমিও দেখবো।
ইশিতা রেগে গিয়ে মায়াকে আকাশের কোল থেকে টান দিয়ে নামিয়ে ফেলে।
মায়াও সেই খেপে যায়।সে তো ইশিতার চুল ছিঁড়বে মতন অবস্থা!
–দ্বারা শাঁখচুন্নি,তোর অবস্থা আমি বারোটা বাজিয়ে ফেলবো।বলে ইশিতাকে মারতে যায়।তখনি আকাশ মায়ার হাত ধরে ফেলে।
–এই মায়া,তোমার সমস্যাটা কি বুঝলাম না!
কোন সাহসে অধিকার খাটাচ্ছো তুমি আমার উপরে?আমি কে তোমার?
–আমি আপনার উপরে অধিকার খাটাবো।কারন আপনি আমার স্যার।
–থাপড়ে গাল লাল করে দিব।ভদ্রতা শেখার চেষ্টা করো।আর আমার কোনো কাজে ইন্টারফেয়ার করতে যেনো না দেখি।এই ইশিতা চলো।এখানে সব পাগল ছাগলের কারখানা।
আকাশ মায়াকে রেখে ইশিতাকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
মায়া সেখানেই বসে কান্না করে দেয়।তার ভিতরে যেনো খুব লাগছে।তার স্যারের উপরে অন্যকেউ অধিকার খাটাচ্ছে।এটা যেনো তার সহ্যই হচ্ছে না।
তার কেনো এমন হচ্ছে,সেটা সে নিজেও জানে না।শুধু এটুকু জানে,যে স্যারটা শুধু তার একার।
স্যারের ভাগ সে আর কাউকে দিবে না।মায়া উঠে সোজা ক্লাস রুমে চলে যায়।গিয়ে ব্যাগ নিয়ে সোজা বাসায় চলে যায়।
–ইশিতা সরি।আসলে মেয়েটার মাথায় সমস্যা আছে।
–বাদ দাও।আমি কিছু মনে করিনি।আর তাড়াতাড়ি ওকে ডিভোর্স দেওয়ার ব্যবস্থা করো।
–হা করছি।
আচ্ছা আজ তুমি যাও।তোমার সাথে ফোনে কথা বলবো।এখন আমার ক্লাস করাতে হবে।
–আচ্ছা ঠিক আছে।ফোন দিও কিন্তু..
–আচ্ছা..
তারপর ইশিতা চলে যায়।আর আমি ক্লাস করাতে চলে গেলাম।গিয়ে ক্লাস করাচ্ছিলাম।তখনি বাসা থেকে ফোন আসে।ফোনটা পকেট থেকে বের করে দেখলাম আম্মু ফোন দিয়েছে।
রিসিভ করে,হা আম্মু বলো?
–তুই তাড়াতাড়ি বাসায় আয়।মায়া ঘরের সমস্ত কিছু ভেঙ্গে চুরে লন্ড ভন্ড করে ফেলেছে।আর চেঁচিয়ে কি সব বলছে।সে ওর স্যারের ভাগ কাউকে দিবে না।ওকে আটকাতে গিয়েছিলাম।
সে বলছে,তুই যতক্ষণ না বাসায় আসবি,ততক্ষণ সে এভাবে ভাংচুর করবে।
–কিহহহ,আচ্ছা দাঁড়াও,আমি আসছি।তাড়াতাড়ি করে বাসায় চলে গেলাম।গিয়ে দেখি পুরো ঘরের অবস্থা বারোটা।আর আমার সবচাইতে পছন্দের ফটো ফ্রেমটা ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে আছে!এটা দেখে নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারলাম না।
আম্মু মায়া কোথায়?
–ওকে ঐ রুমটাতে বন্দী করে রেখেছি।
–ওকেহ,মজা দেখাচ্ছি আমি।রুমটাতে গিয়ে মায়ার চুলের মুঠি ধরে,ঠাসসসস করে কয়েকটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলাম।সে আমার দিকে অসহায় চোখে তাকিয়ে আছে!ওর অসহায়ত্ব দেখে আরো রাগ উঠে গেলো।পাশেই বিছানার ঝাড়ু ছিলো।সেটা দিয়ে ইচ্ছা তরফে মারতে শুরু করলাম।জানোয়ার তোর কত্ত বড় সাহস!তুই আমার ফটো ফ্রেম ভাঙ্গিস?
–ভেঙ্গেছি বেশ করেছি।আরো ভাংবো।আপনাকে ঐ মেয়ে জড়িয়ে ধরলো কেনো?
–সেটা দিয়ে তোর কাজ কি?
তুই কে হোস আমার?যে তোকে কৈফিয়ত দিতে হবে আমার?
–ওহ হা,আমি আপনার কে হই যে,আপনি আমাকে কৈফিয়ত দিবেন।
–হা সেটাই।তোকে কোনো কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন নেই আমার।আর সে আমার ভবিষ্যৎ বউ।ওকে বিয়ে করে ঘর সংসার করবো আমি।
সো আমাদের কোনোকিছু নিয়ে আর মাথা ঘামাতে আসবি না।
–ওকেহ স্যার,ভুল হয়ে গেছে আমার।আজকের পর কোনোদিন আর আপনাদের বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাবো না। মাফ করে দিবেন আমাকে।বলে রুম থেকে কান্না করতে করতে বের হয় যায়।
–মায়ার এমন ধারা আচরণ দেখে “থ হয়ে জায়গার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি”!
চলবে…?
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।