গল্প: যোগ্যতা
লেখক: অতিথি পাখি
পর্ব: ০২
সকালে,,,,,,,,
আমি দেখি নীলা আমার পাশে শুয়ে কান্না করছে। তার শরীরে শুধু একটি ওড়না প্যাচানো। তখন আমি রাতের কথা মনে করে এবং আমার সব মনে পড়ে যায়।
কালকে নীলার থাপ্পড় দেওয়ায় আমি অনেক কষ্ট পাই সেই কষ্টে মদ খেয়ে ফেলি। যদিও আমি এই গুলো কখনো খাই না কিন্তু কালকে কষ্টে পড়ে করে ফেলেছি। আর সেই নেশার ঘোরে আমি নীলার সাথে,,,,,,,,,,,, ছি ছি ছি
আমি: নীলা আমি কাল রাতের জন্য,,,,,,,,
নীলা: আপনি কেন করলেন আমার এত বড় সর্বনাশ ??কি ক্ষতি করে ছিলাম আমি আপনার?? যে আপনি আমার সতীত্ব নষ্ট করলেন।??
আমি: নীলা,,
নীলা: কেন আপনি আমাকে ধর্ষণ করলেন আমাকে । আমার সতীত্বটা নষ্ট করলেন??কেন আমাকে অপবিত্র করলেন?? ।।
আমি: নীলা তুমি অপবিত্র নও। আমি তোমার স্বামী আমি তোমাকে স্পর্শ করলে তুমি কিভাবে অপবিত্র হও ?? আমার অধিকার আছে তোমাকে স্পর্শ করার।
নীলা:ওহ আমি তো ভুলেই গেছিলাম আপনি আমার স্বামী । আপনার তো লাইসেন্স আছে আমাকে ধর্ষণ করার।।
আমি: এগুলো তুমি কি বলছ। তোমার স্বামী আমি তোমাকে ভালোবাসি।
নীলা: আমি আপনার কোন কথা শুনতে চাই না আপনি আমার চোখের সামনে থেকে চলে যান।।
আমি আর কোন কথা বাড়ালাম না ফ্রেশ হয়ে বাহিরে চলে গেলাম যাওয়ার সময় মা খাবার জন্য অনেক ডেকেছিল আমি সেই দিকে নজর না দিয়ে বাইরে চলে যাই ।
আমি মনে মনে ভাবতে থাকি আমি আসলে মেয়েটার সাথে অনেক খারাপ করেছি সে তো আমাকে তার স্বামী মানেনা কেন যে কালকে নেশাটা করতে গেলাম না হলে এমন কিছুই হতো না।
আমি রাতে বাসায় আসি এসে দেখি নীলা ঘুমিয়ে পড়েছে।
এই ঘটনার বেশ কিছুদিন হয়ে গেল নীলার সাথে আমার তেমন প্রয়োজন ছাড়া কথা হয় না। আমি নীলার কাছে কয়দিনে অনেক ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু সে আমার সাথে কথাই বলে না। আমি কাজের জন্য বেশি সময় বাইরে থাকি।
কিছু দিন পর,,,,,,,,,
আজ এক সপ্তাহ পর বাসায় আসলাম,,,,,
দুপুরের সবাই একসাথে খেতে বসেছে। নিলাম আছে আমাদের সাথে। হঠাৎ করে সে খাবার ছেড়ে উঠে গেল এবং বমি করতে শুরু করল।
মা : জানিনা কি হয়েছে মেয়েটার কিছুদিন যাবত বমি করছে। আবার বলে মাথা ঘোরে ।
বাবা: তুই এক কাজ কর আজকে মেয়েটাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যা ।
আমি: আচ্ছা বাবা।
এর মাঝে নীলা রুমে চলে যায়। খাওয়ার শেষে আমি রুমে আসি।
আমি: নীলা কি হয়েছে তোমার??
নীলা: ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আমি: কি হলো কোন কথা বল না কেন??
নীলা: কি কথা বলতে হবে আপনার সাথে।।
আমি: বিকেলে তৈরি থেকো তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো ।
নীলা: তার কোন প্রয়োজন নেই।।
আমি: আমি যা বলেছি তাই হবে।
এ কথা বলে আমি সেখান থেকে চলে আসলাম। আমি জানি নীলা আমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছে না।
বিকেলে আমি নীলাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই ডাক্তার বেশ কিছু টেস্ট করেছে এখন আমরা অপেক্ষায় আছি।।
ডাক্তারের সামনে,,,,,,,,,,
ডাক্তার: আমি আপনাদের রিপোর্ট দেখলাম। তো যাই হোক আপনাদের জন্য একটি খুশির খবর আছে।
আমি: কি বলুন ডাক্তার??
ডাক্তার : আপনার স্ত্রী প্রেগন্যান্ট ।।
আমি: সত্যিই ডাক্তার???
ডাক্তার : হ্যাঁ অবশ্যই ।
ডাক্তারকে ধন্যবাদ দিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে আসলাম। আমি যে কতো খুশি তা আজ কাউকে বলে বোঝাতে পারবো না। হয়তো এই বাচ্চার টাই ওসিলায় আমি নীলাকে আমার করে পাবো। এতদিন যত রাগ অভিমান ছিল সব মিটে যাবে। আমি বাবা হব এ আনন্দ,,,,,,,,
আমি গাড়ি চালাচ্ছি নীলা আমার পাশে বসে আছে। আমরা বাড়ির দিকে যাচ্ছি।
এমন সময় নীলা যা বলল তা শুনে আমি নিজেকে স্থির রাখতে পারছি না ,,,,,,,
নীলা: আমি,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,