#ময়না পাখির কথাগুলো।
#পর্বঃ- ০২
– শহিদুল ইসলাম বললেন, হ্যাঁ চলে গেছে। সজীব এর নাকি জরুরি কাজ আছে তাই চলে গেল তুমি মন খারাপ করিওনা।
– কি যেন জরুরি কথা বলার জন্য তোমার কাছে এসেছে মনে হয়, কি কথা বাবা?
– শহিদুল ইসলাম এক মুহূর্ত ভাবলেন তিনি মিথ্যা বলবেন নাকি সত্যি বলবেন? কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের উপস্থিত বুদ্ধি অনেক ভালো কিন্তু সে গুণাবলি তার নেই। তবুও তিনি সামান্য সত্যি আর সামান্য মিথ্যা মিশ্রিত করে বললেন, আমার মনে হয় সজীবের সঙ্গে তার মা-বাবার হালকা ঝামেলা হয়েছে।
– কিরকম ঝামেলা বাবা?
– সজীব বললো যে তোমার মায়ের বিষয়টা নিয়ে তার মা-বাবার সমস্যা আছে তাই তারা হয়তো তোমাকে তাদের ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চায় না। তবে সজীব তাদের ভালো করে বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে, আশা করি সফল হবে।
– মুহূর্তের মধ্যে মিলির মুখটা কালো হয়ে গেল, সে এখন কি প্রশ্ন করবে সেটা সাজাতে কিছুক্ষণ সময় নিল। তারপর বললো, সমস্যা নেই বাবা, যদি ওর পরিবার মেনে না নেয় তাহলে জোর করার কিছু নেই। তারা যদি আমার সেই ছোটবেলার অপ্রিয় অতীত নিয়ে ঝামেলা করতে চায় তবে সেখানে জোর করে সংসার করতে চাই না।
– শহিদুল ইসলাম নিজের মেয়ের দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর বলেন, কথাটা তুমি ভেবে তারপর বলছো? নাকি কোনরকম ভাবনা ছাড়া?
– আমি ভেবে বলছি বাবা, হ্যাঁ এটা সত্যি যে আমি সজীবকে ভালবাসি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি তাদের পরিবারের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কোন কাজ করতে জোর করবো।
শহিদুল ইসলাম লক্ষ্য করে দেখলেন যে মিলির চোখের পাতা ভিজে উঠেছে। চোখের পানি মনে হয় টলমল করছে কিন্তু মিলি সেটা আটকানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে। এর কিছুক্ষণ আগে মিলি তার মায়ের জন্য কান্না করেছে কিন্তু তখন লজ্জা করে নাই। তবে এখন যদি সজীব এর জন্য কান্না করে তাহলে সে লজ্জা পাবে বলে হয়তো চোখের পানি ফেরাতে চায়।
– শহিদুল ইসলাম বললেন, একটা কথা বলতে চাই মিলি, বলবো?
– হ্যাঁ বাবা বলো।
– তুমি বরং তোমার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চলে যাও, আমার মনে হচ্ছে তাহলে হয়তো তোমার এ মানসিক চাপ কিছুটা কমবে। পুরাতন কষ্ট মুছে যাবার জন্য নতুন মন খারাপ ভুলে থাকার চেষ্টা করতে পারবে। চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে তারপর গিয়ে ওর সাথে দেখা করে আসো।
– কিন্তু বাবা তুমি একা একা থাকবে?
– সমস্যা নেই, চিরদিনের জন্য তো আর যাচ্ছ না তাই না? গিয়ে আবার তো ফিরে আসবে।
– হ্যাঁ বাবা তবুও সে দুচারদিন কীভাবে রবে?
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
– তোমার তো বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে প্রায় তাই দু দিন পরে এমনিতেই আমাকে একা করে চলে যেতে হবে। তোমার বিয়ে হয়ে গেলে তো বাকিটা জীবন এভাবেই একা একা কাটাতে হবে।
কথাটা হয় এক বাক্যে শেষ হয়ে গেছে কিন্তু এর গভীরতা অনেক হয়ে গেছে। বাবা মেয়ে দুজনেই এর অর্থ জানে, দুজনের মনের মধ্যে একটা টুপ করে শব্দের কষ্ট হলো।
– মিলি বললো, আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না বাবা। আমি তাহলে আর বিয়ে করতে চাই না, যেহেতু সজীব এর মা-বাবা ঝামেলা মনে করে আর আমারও তো তোমাকে ছাড়তে ইচ্ছে করে না বাবা।
– শহিদুল ইসলাম একটু হাসলেন। তারপর সেই হাসি মিশ্রিত মুখে বললেন, সেটা হয়না মিলি আমি আর কতদিন থাকবো? সুন্দর একটা সংসার হবে তোমার, অনেকদিন পরে আমার নাতনিদের নিয়ে বেড়াতে আসবে। কত আনন্দ হবে। আচ্ছা খুব ঠান্ডা লেগেছে মনে হয় তুমি বরং আমার একটা চাদর এনে দাও মা।
—-
রাত দশটার দিকে মিলি সজীব এর নাম্বারে কল দিল, এতক্ষণ অপেক্ষা করছিল যে সজীব নিজে হয়তো কল দেবে। কিন্তু যখন কল দিল না তখন মিলি নিজেই দিয়েছে।
– হ্যালো মিলি?
– আমাদের বাসায় এসে আমার সাথে দেখা না করেই চলে গেলে। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত অর্ধেক শেষ হয়ে গেল তবুও আমাকে স্মরণ করলে না। তাহলে কি বাবা আমাকে সম্পুর্ন সত্যি কথা বলে নাই?
– কি বলেছে তোমার বাবা?
– বাবা বলছেন যে আমার মায়ের বিষয় নিয়ে নাকি তোমার পরিবার কিছু মানতে চায় না। কিন্তু তুমি নাকি সবকিছু সামলে নিতে চেষ্টা করছো, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে তুমিও মনে হয় বিয়ে করে নিতে চাওনা আমাকে।
– ব্যাপার টা সেরকম নয় মিলি, আমি একটু বিজি তাই তোমাকে কল দিতে পারি নাই। ফ্রী হয়ে ঠিকই কল দিয়ে কথা বলতাম তোমার সাথে।
– কেন বারবার ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে পার হয়ে যেতে চাও? ভালবাসার কাছে কিন্তু ব্যস্ততার কোন অজুহাত চলে না। সত্যি সত্যি ভালবাসলে কিন্তু শত ব্যস্ততার মধ্যে সময় বের করতে হয়।
– সম্পর্কের এতদিন পরে তুমি আমাকে ভালবাসা শিক্ষা দিচ্ছ মিলি?
– শিক্ষা নয় সজীব, তোমার যা ভালো লাগে তাই করো সমস্যা নেই। আমি খুব তাড়াতাড়ি মনে হয় মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবো।
– তোমার মায়ের সন্ধান পাওয়া গেছে নাকি?
– হ্যাঁ পাওয়া গেছে।
– কিন্তু কেন যাবে তুমি?
– কেন যাব না শুনি?
– যাওয়া উচিৎ নয় তাই।
– সেটা আমার বিবেচনা সজীব।
– এসব কারণে কিন্তু আমাদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে মিলি।
– যেখানে তোমার মনের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে আগেই সেখানে নতুন করে কি হবে? তুমি তো আর এই সম্পর্ক চাওনা সজীব, আর এই বিয়ের জন্য তোমার আগ্রহ ছিল কম।
– তোমার সঙ্গে কথা বললে খুব মেজাজ খারাপ হয়ে যায় ইদানীং।
– ঠিক আছে আর কখনো কল দিয়ে বিরক্ত করব না সজীব, ভালো থেকো সবসময়।
খুব মন বিষন্ন ভগ্নহৃদয় নিয়ে কল কেটে দিয়ে মিলি কিছুক্ষণ গুমরে কাঁদল। তারপর অন্ধকারের মধ্যে চোখের পানি মুছে মনে মনে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবার জন্য ঠিক করলো। তার বাবা যেহেতু নিজেই পরামর্শ দিয়েছে তখন ঠিকই তার যেতে সমস্যা নেই।
রাত অনেক গভীর হয়ে গেছে নাহলে মায়ের সঙ্গে কল দিয়ে কথা বলতাে মিলি। আর ঠিকানা জানা খুব জরুরি কারণ তাকে তো ঠিকানা অনুযায়ী যেতে হবে। আগামীকাল কল দিয়ে জেনে নিতে হবে মা কোথায় থাকে?
——
সকাল সকাল মোবাইলের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেছে মোঃ সাইফুল ইসলামের। তার জীবনের যতগুলো বিরক্তিকর বস্তু আছে তার মধ্যে একটা হচ্ছে এই মোবাইলের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া। প্রতিদিন ঠিক যখন তার ঘুম ভেঙ্গে যায় তখনই সে প্রাণপণে শপথ করে যে আগামীকাল রাতে মোবাইল বন্ধ করে ঘুমাবে। কিন্তু সে সেটা পারে না কারণ রাতের বেলা তার মনে থাকে না। মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ দিন সে মোবাইল বন্ধ করে ঘুমিয়ে যায়।
কল করেছে গ্রামের বাড়ি থেকে সাইফুলের দাদা মোঃ মোতাহার হোসেন তালুকদার। গ্রামের বাড়ি যাবার জন্য বারবার বলে যাচ্ছেন কিন্তু সাইফুল কেমন যেন সময় করে উঠতে পারে না। কিংবা সে গ্রামের জন্য বেশি টান অনুভব করে না তাই হয়ত যাওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এবার মোতাহার হোসেন তালুকদার খুব শক্ত করে ধরেছেন তাই যেভাবেই হোক যেতে হবে সাইফুল কে।
সাইফুল নিজেও ঠিক করেছে এবার তাহলে গ্রাম থেকে ঘুরে আসা যাক। ক্লাস এইটে পড়ার সময় সে মা-বাবার সঙ্গে ঢাকা এসেছে, এরপর একটানা ৬ বছর পরে একবার গেছিল। তারপর আর কোন দিন যাওয়া হয়ে উঠে নাই, তবে তার মা-বাবা যায় মাঝে মাঝে।
– ঘুম ঘুম চোখে সাইফুল বললো, এত্তো সকাল বেলা কেউ কল দেয় বুড়ো?
– সে কিরে? এখন আটটা বাজে আর তুই বলো যে এতো সকাল বেলা তাই না?
– কেন কল দিছো তাই বলো তাড়াতাড়ি।
– গ্রামের বাড়ি আসবি কবে?
– এ সপ্তাহের মধ্যে আসবো।
– সত্যি সত্যি?
– হ্যাঁ সত্যি বলছি, আমি চাকরি পরিবর্তন করবো আর নতুন চাকরিতে যোগ দিতে ১০/১২ দিন লেট হবে তাই যাবো গ্রামের বাড়িতে।
– বাহহ খুব ভালো কথা, আমার তো নাচতে ইচ্ছে করছে দাদাভাই, লে পাগলু ডান্স ডান্স ডান্স।
– বেশি নাচানাচি করিও না বুড়ো, পরে গিয়ে যদি হাড়গোড় ভেঙ্গে যায় তাহলে কিন্তু সমস্যা। তোমার বউ কিন্তু বুড়ী হয়ে গেছে তাই সেবাযত্ন করার তো কেউ নাই।
– কে বলেছে কেউ নাই? আমার ছোটবউ আছে, সে সেবা করবে।
– মানে কি?
– তোর একমাত্র ফুপুর মেয়ে ফারিয়া, তোর হচ্ছে ফুপাতো বোন, সে এসেছে তিনদিন হলো।
– ওর চেহারা আমার মনে নেই, সেই পিচ্চি ছিল তখন দেখেছিলাম মনে হয়।
– এখন আর পিচ্চি নেই।
– আচ্ছা তুমি রাখো আমি ঘুমাবো।
– তাহলে কবে রওনা দিবি?
– কাল নাহলে পরশু।
– আচ্ছা ঠিক আছে অপেক্ষায় রইলাম, তোর জন্য পুকুর ভর্তি মাছ আছে রে দাদাভাই। আর এখন তো শীতের দিন তাই গ্রামের মজাই আলাদা তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়।
.
.
একদিন পরেই সাইফুল গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিল একা একা। ছোটবোন মাহি তার সাথে যেতে চেয়েছিল কিন্তু সাইফুল তাকে নেবে না। মাহি তো অনেক জেদ করে বসে আছে কিন্তু সাইফুল তার সিদ্ধান্তে অটল। তাই সাইফুলের রওনা দেবার সময় দরজা বন্ধ করে বসে ছিল মাহি।
বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার মধ্যে তার দাদাবাড়ি। বাসা সরাসরি মোড়েলগঞ্জ বাস স্টেশন সোলমবাড়িয়া পর্যন্ত যায়। সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে সকাল নয়টা বাজে সাইফুল বাসে উঠে বসলো। বাস ছাড়লো ৯ঃ১৫ মিনিটে।
মাওয়া ফেরিঘাটে এসে সাইফুল অবাক হবার শেষ সীমানায় পৌঁছে গেল। অসংখ্য গাড়ি দাড়িয়ে আছে নদী পার হবার জন্য কিন্তু ফেরি চলাচল বন্ধ কারণ সকাল এগারোটা বাজে এখন নদীর কুয়াশা কমেনি। কুয়াশার জন্য ফেরির চালক তার নির্দিষ্ট ম্যাপ অনুযায়ী চালাতে পারে না কারণ এই পদ্মা নদীর চারিদিকে চর জেগে আছে। তাই এই নদীতে একটু ভুল হলেই ফেরি চরে আটকে যাবে।
বাস থেকে নেমে সাইফুল একটু হাঁটাহাঁটি করতে লাগলো কারণ ফেরি চলাচল বন্ধ। হাঁটতে হাঁটতে সে নদীর তীরে গেল এবং সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির দিকে তাকিয়ে রইলো। গাড়িগুলো সবার আগে ফেরিতে উঠতে পারবে, ইসস তার গাড়িটা যদি এখানে থাকতো তাহলে কত ভালো হতো। জিজ্ঞেস করে জানলো যে এরা চট্টগ্রাম থেকে এসেছে গতকাল রাত দশটার দিকে। তখন থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ কিন্তু এখনো চালু হচ্ছে না।
বেলা সাড়ে বারোটার দিকে কুয়াশা ভেদ করে ফেরি চলাচল আরম্ভ হলো। নদী পার হয়ে ওপাড়ে উঠতে সাইফুলদের প্রায় বিকেল সাড়ে পাঁচটা বেজে গেছে। অথচ এমন সময় তার প্রায় গ্রামের কাছাকাছি থাকার কথা ছিল।
সে যখন মোড়েলগঞ্জ নামলো তখন সাড়ে নয়টা বেজে গেছে, গ্রামের বাস স্টেশন তার মধ্যে তো আবার শীতকাল। শীতকালে মফস্বল শহর কিংবা গ্রামের বাড়িতে এশার নামাজের আগেই সবকিছু নিস্তব্ধতা বিদীর্ণ করে দেয়। স্টেশনে তেমন কোন দোকান খোলা নেই আর গাড়ি তো নেই বললেই চলে। সাইফুলের দাদা তালুকদার নিজে গাড়ি পাঠিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারে নাই।
বহুকষ্টে একটা মোটরসাইকেল পাওয়া গেল তাতে করে রওনা দিল সে। ঢাকা শহরে পাঠাও এপসের মাধ্যমে যেমন যাত্রী সেবা চলছে ঠিক তেমনি করে মোটরসাইকেলে করে এই মোড়েলগঞ্জে যাত্রী সেবা চলছে।
মিনিট পনের পরে হঠাৎ গাড়ি থেমে গেল, তারপর ড্রাইভার জানালো যে তিনি আর যেতে পারবেন না তাই হেঁটে যেতে হবে। সাইফুল তখন অবাক হয়ে গেছে কারণ সে এতরাতে কীভাবে যাবে? কিন্তু সেই ড্রাইভার লোকটা হঠাৎ কেমন করে যেন এক অদ্ভুত উল্টাপাল্টা আচরণ শুরু করেছে।
ড্রাইভার বললো, ” ভাই আরেকটু সামনে গিয়ে একটা শ্মশান আছে তাই সেদিকে যাবো না। এই এলাকায় এত রাতে স্থানীয় মানুষজন চলাচল করে কম। আমি গেলাম ভাই। ”
লোকটা মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেল আর সাইফুল কিছুক্ষণ বোকার মতো দাঁড়িয়ে রইল। এরপর পকেট থেকে মোবাইল বের করলো, তার উদ্দেশ্য হচ্ছে গান চালিয়ে দিয়ে হাঁটতে থাকা। তবে তার আগে দাদার সঙ্গে কথা বলে জেনে নিতে হবে।
হঠাৎ করে কিছু একটা শব্দ হতে সাইফুল তার সামনে মোবাইলের বাতি ধরলো। বাতির সামনে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং সে ভয়ে খুব জড়োসড়ো হয়ে গেছে।
– মেয়েটা বললো, প্লিজ হেল্প মি।
– সাইফুল বললো, কে আপনি?
– আমার নাম মিলি, আমি ঢাকা থেকে এসেছি আর আমার মায়ের কাছে যাবো। কিন্তু এই পর্যন্ত গাড়ি এসে আমাকে জোর করে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে। তারপর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সাদা সাদা কিছু একটা দেখে অন্ধকারে দৌড় দিলাম। দৌড় দিতে গিয়ে হাতের মোবাইল পরে গেছে সেটাও খুঁজে পাচ্ছি না।
– সাইফুল কিছু একটা বলতে যাবে তার আগেই মিলি আবার বললো, ওমা আপনার পিছনে আবার সেই সাদা সাদা তিনটা কি?
চলবে….
লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)