মেঘ হবো তোমার আকাশের পর্ব-০২ এবং শেষ পর্ব

0
147

#মেঘ_হবো_তোমার_আকাশের
#নূপুর_ইসলাম
#শেষ_পর্ব

রাইমা হতম্ভব হয়ে একবার বাবা, একবার মায়ের দিকে তাকালো। তাকিয়ে বললো, — কি বললে?

—- আজকে সন্ধ্যায় তোকে দেখতে আসবে?
— কেন, কি হয়েছে আমার? ক্যান্সার ট্যান্সার নাকি? লাস্ট স্টেজ! সময় কম?

সাবিহা এসে মেয়ের মাথায় থাপ্পড় মারলো। মেরে বললো, এই ঢংয়ের জন্যই তাড়াতাড়ি বিদায় করবো।

রাইমা মুখ ফোলালো! ফুলিয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে বললো, — একটা মাএ মেয়ে। এই পিঁপড়ার দানার খাবার খাই। অনন্ত অনার্সটা তো কমপ্লিট করতে দেবে। তা না! এখনই তাড়াচ্ছো? এতো বোঝা আমি?
রাইমার বাবা মুখ খোলার সময়ই পেলো না। তার আগেই সাবিহা তেজের সাথে বললো, — তো কি করবো? সায়মার মতো নাক কাটার জন্য বসে বসে ওম দেবো। যতো পড়ার ইচ্ছা, বিয়ের পরে পড়বে। এমনিতেও আইনস্টাইনের নাতি না তুমি।

—- সায়মার জন্য এখন গুষ্টির সব মেয়ে শাস্তি পাবে। রুনুর জন্যও নাকি খালামণি ছেলে দেখছে।

—- তো কি করবে? সবগুলো তো তলায় তলায় রসুনের বোটা। কোন কোন আকাম করে রেখেছো কে জানে।

রাইমা ঢোক গিললো! গিলো আস্তে করে কেঁটে পড়লো। আকামের কথা উঠার দরকার নেই। তার চেয়ে ভালো ভালোয় ভালোয় বিয়ে করে ফেলা যাক। এ আর এমন কি? এমনিতেও প্রেম ট্রেম তাকে দিয়ে হচ্ছে না। বিয়ে করে অনন্ত এই ডাকাতের বংশ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। যা’ই করতে যাও দা, বটি নিয়ে দৌড়ে আসে। হুহ্!

সন্ধ্যায় রাইমা সুন্দর করে শাড়ি পড়লো। সবুজ আর কালো মিশেলের শাড়ি। এই শাড়িটা তার বাবা দিয়েছিলো।তার জন্মদিনে। অবশ্য বলতে গেলে দেয় নি। সে’ই নিয়েছে। তার জন্মদিনে রাত বারোটায় সোজা গিয়ে বাবাকে ঘুম থেকে টেনে বলেছে, — হুমায়ূন আহমেদ কি বলেছে জানো?

তার বাবা হতম্ভব! ঘুমও কাটেনি! হতম্ভব ভাবেই বললো, — হুমায়ূন আহমেদ কে?

রাইমা আকাশ থেকে পড়ার মতো করে বলেছে, — তুমি এ কথা বলতে পারলে বাবা? আমাদের হুমায়ূন আহমেদ। আমাদের গর্ব, আমাদের স্বর্ণ, আমাদের….
—- হয়েছে থাম! কাহিনী কি সেটা বল।
—- সে বলেছে মেয়েরা প্রথম শাড়ি পায় তাদের বাবার কাছ থেকে। আর সেটা মেয়েদের কাছে হয় হিরের মতো দামি। তো আমার
হিরে কই?

—- এই কথা আবার কবে বললো? তাছাড়া তোর সব কাপড়, চোপড় আমি ছাড়া দেয়’ই বা কে?

—- সেটা তো তোমার জেনে লাভ নেই বাবা। তাছাড়া কাপড়, চোপড় আর হিরে মার্কা শাড়ি কি এক হলো? এটা হবে স্পেশাল। আমি তোমার নাতি পুতিদের কি বলবো। কোন শাড়ি নিয়ে চোখের দুফোটা পানি ফেলবো?

বাবা হাল ছেড়েছে! বলেছে ” মাফ কর! দিয়ে দেবো তোর স্পেশাল শাড়ি। এবং দিয়েছেও। সকালে ঘুম থেকে উঠেই এই শাড়ি সে মাথার কাছে পেয়েছে। ইশ! দেখতে হবে না কার বাবা। শাড়িটাও এনেছে হিরের মতোই। তার ফর্সা, চিকন, শরীরে একেবারে ঝলঝল করছে।

এই ঝলমল করা শরীর, মন, মুখ নিয়েই সে মেহমানের সামনে গেলো। গিয়েই ফুটো বেলুনের মতো চুপসে গেলো। ফাইয়ায ভাই বসে আছে। অবশ্য গুষ্টির অনেকেই আজ তাদের বাসায়। তবুও সে ভাবেনি ফাইয়ায ভাই থাকবে। এরকম একটা বিষয়ে এর কি কাজ। তাদের বিশাল গুষ্টিতে কতো কাজিন কেই তো দেখতে আসছে যাচ্ছে। কই, সেখানেতো এর খবর থাকে না। রাইমার টায় আসতে হবে কেন? চাচাতো চাচার চাচাতো ভাই চায়ের দোকানে গিয়েই চা খা না। আমার খুশিতে কেন বেগরা বাজাচ্ছেন?

সে মনের দুঃখ মনে রেখে ভোঁতা মুখে বসলো। শুধু বসলো তা না। তার ভেতরে বাহিরে সব কাঁপাকাঁপিও শুরু হয়ে গেলো। একে দেখলেই সে সহজ হতে পারে না। কেন, কেন, কেন? সে মনে মনে দোয়া করতে লাগলো। আল্লাহ ফাইয়ায ভাই যেন চলে যায়। তার ফোন বেজে উঠুক, তার ব্যবসায় আগুন লাগুক, তার বন্ধু – বান্ধুব কেওর হাত পা ভাঙুক। আল্লাহ রহম করো, এই শেষ বার করো। সব ঠিক থাকলে এই গুষ্টি থেকে বিদায়। প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ।

তার দোয়া কবুল হওয়ার কেন লক্ষণ দেখা গেলো না। বরং ফাইয়ায় আরো আরাম করে বসলো। আর তার এই আরামে রাইমার বারোটা বেজে গেলো। মেহমানরা যা বললো কোন কিছুরই ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারলো না। এমনকি তার নিজের ভার্সিটির নামও। শুধু যে বলাবলিতে গন্ডগল করলো তা না। চা দিতে গিয়ে ছেলের মায়ের উপরে ফেললো। সেই চা মুছতে গিয়ে তড়িঘড়িতে টিস্যু নিতে গিয়ে শাড়িতে পা পেচিয়ে উষ্টা খেলো। খেয়ে দেয়ে নিজেকে সামলাতে গিয়ে ফুলদানিও ভাঙলো।

ভাঙা ফুলদানি তোলার আর তার সাহস হলো না। সে চোখ মুখ খিঁচে শক্ত হয়ে বসে রইলো। তার মাথা ঘুরছে। কেন? তার সাথেই কেন। মনে মনে তার হায় হুতাসের রেল গাড়ি শুরু হয়ে গেলো। তা না হলে, সে ঠিক দেখতো তার চাচাতো চাচার চাচাতো ভাইয়ের ঠোঁটের কোণে হাসি, চোখে মুখে মুগ্ধতার ছড়াছড়ি।

রাইমা রুমে এসে হাঁফ ছাড়লো। মাথায় থেকে ঘোমটা ফেলে পা ছড়িয়ে বসলো। নিচু হয়ে বসে থাকতে থাকতে তার ঘাড়ের বারোটা বেজে গেছে। ধুর! এই এ্যারেঞ্জ ম্যানেজ কে করে? ইশ! তার একটা বয়ফ্রেন্ড থাকলে সে ঠিক ভেগে যেতো। সায়মার বাচ্চা সায়মা! নিজে তো গেছো পেয়ারের মানুষের সাথে আর আমাদের ফাঁসিয়ে গেছো কুদ্দুরআলিদের কাছে। তোর জীবনেও সুখ হবে না দেখিস।

তখনি সাবিহা আসলো! মেয়ের উদ্যেশ্য বললো,
— কাপড় খুলিশনি এখনো?
—- কেন! আমি পড়ে আছি তোমার সমস্যা কি?
—- আমার আবার কি হবে? ফাইয়াযের নাকি কি একটু কাজ আছে। তোকেও নাকি লাগবে ।

রাইমা লাফ দিয়ে উঠলো! তোতলিয়ে বললো,
— আমার সাথে তার কি কাজ?

—- কি জানি? শুধু বললো দু- মিনিট নাকি লাগবে। একটু নিচে যেতে বললো।

—- আমি পারবো না মা! যাও তো।

—- নিজেদের কাজে তো তাকে ইচ্ছে মতো খাটাও।আর তার কাজের বেলা যাও তো।

রাইমা কাতর গলায় বললো, — মা! কিছুক্ষণ আগে ছেলে পক্ষ এসে তোমার মেয়েকে দেখে গেছে। নাইটি নাইন পার্সেন পছন্দ। এখন বাসায় গিয়ে শুধু একটু বুঝবে। আর এমন সময় এই রাতের বেলায় একটা ছেলের সাথে যাওয়া ভালো দেখায়। বলো, ভালো দেখায়?

—- থাপড়ে দাঁত ফেলে দেবো রে রাইমা। ছেলে কি হ্যাঁ! বড় ভাই তোর। আর ওই নাইনটি নাইন পার্সেনও না হান্ড্রেড পার্সেন্ট হতো যতি একটা কাজও ঠিকঠাক করতি। এখন যা! ফাইয়ায দাঁড়িয়ে আছে। আর তাড়াতাড়ি আসবি। মেহমানদের মিষ্টি সবার বাসায় দিতে হবে।

রাইমা অবাক হয়ে বললো, — আমার বিয়ের মিষ্টি আমাকেই বিলাতে হবে নাকি?

—- যাবি তুই।

রাইমা ভোঁতা মুখে বেড়িয়ে আসলো। মরেও শান্তি নেই তার। এবার অবশ্য ঘোমটা টানলো না। আঁচল পেছন থেকে পেঁচিয়ে সামনে আনলো। শক্ত করে ধরলো। খুলে গেলে আবার আরেক ঝামেলা।

সে ধরেই ধীরে ধীরে বেড়িয়ে আসলো। তার আবার কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। সে তো এটাই বুঝতে পারছে না তার সাথে ফাইয়ায ভাইয়ের কি কাজ?

সে বাইরে এসে অবাক হলো! ফাইয়ায ভাই সাদা রঙের শার্ট পরে সাদা রঙের একটা গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিছুক্ষণ আগেও না তার গায়ে অন্য টির্শাট ছিলো।

সে ঢোক গিললো! সাদা তার প্রিয় রং। ফোনে একবার বলেছিলো। আর গাড়ি আসলো কোথা থেকে? তাও আবার সাদা। ফাইয়ায ভাইরা কি গাড়ি কিনেছে নাকি? কিনলে কিনতেও পারে। টাকা পয়সা তো কম কামাচ্ছে না। তাই বলে একই এলাকায়, দু- বাড়ি পরে বাড়ি। সেখান থেকে এখানে গাড়িতে আসতে হবে?

কি জানি ভাই, সে আর ভাবলো না! যা খুশি করুক, তার কি? নিজের জ্বলায় বাঁচে না। পরের চিন্তায় ঘুম হারাম করে লাভ আছে। এমনি তার হলুয়া টাইট হওয়ার অবস্থা। ধুর! বিয়েটাও মনে হয় সে শান্তিতে করতে পারবে না।

সে বহুত কষ্টে টেনে টুনে ফাইয়াযের সামনে দাঁড়ালো। ঢোক গিলে আস্তে করে বললো, — ডেকেছেন ভাইয়া?

ফাইয়ায সোজা হয়ে দাঁড়ালো! তার নিজেরও একটু অস্বস্তি হচ্ছে। হওয়ারই কথা! সে কাজ ছাড়া নিজের গুষ্টির কোন মেয়ের সাথে কোন কথা বলেছে কিনা মনে পড়ে না। অবশ্য বলতে গেলে এটাও এক ধরণের কাজ। তবে নিজের একান্ত ব্যক্তিগত কাজ।

সায়মার কাছ থেকে সব শুনেছে সে! সেই দিন যখন ফোন ধরলো! তখনি সে ধরে ফেলেছিলো। তবে শিউর হওয়ার প্রয়োজন ছিলো। কেননা! গত এক বছর সে এই কন্ঠটা খুঁজেছে। যে কোন নাম্বার থেকে ফোন আসলেই সে তড়িঘড়ি করে ফোন ধরেছে। কন্ঠটার হাসি, কথার শব্দ ছন্দের মতো কানে বেজেছে। কতো রাত যে চিন্তায় নির্ঘুম কেটেছে। একবার মনে হয়েছে, কেও দুষ্টুমি করেছে, আবার মনে হয়েছে কোন বিপদ হয়নি তো। এভাবে হঠাৎ করে হাড়িয়ে যাওয়ার মানে কি? সে যদি কথা বলতে না চাইতো, সে নিশ্চয়ই জোর করে ফোন দিতো না। যতোদিন ফোনে কথা বলেছে ততোদিন কোন সমস্যা ছিলো না। হয়তো হতোও না। যদি হঠাৎ হাড়িয়ে না যেতো।

এই মেয়ে কি জানে হঠাৎ হাড়িয়ে যেয়ে কি করেছে? তার চিন্তা, চেতনা, ধ্যান, জ্ঞান সব কিছুতে জেকে বসেছে। আর যখন জানলো কে! তার দুনিয়া আরো এলোমেলো হলো। এই এলোমেলো হওয়া থেকে নিজেকে সরানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করলো। পারলো কই! যখনি শুনলো তাকে দেখতে আসবে। পাগলের মতো ছুটে আসলো। এই মেয়ে কি বুঝতে পারছে কি করেছে সে? পুরো গুষ্টি দা, বটি তো ভালোই বোমা মেরে গুষ্টি থেকেই বের করেই দেয় কিনা কে জানে?

রাইমার কান্না পেয়ে গেলো ! তার মন বলছে গরমিল রে ভাই গরমিল। তা না হলে তার সাথে কি কাজ। হতে পারে ভাই। একই এলাকায় বড় হয়েছি। কই এতোদিনতো কোন দরকার পরেনি। তাও আবার দুধ সাদা হয়ে।

সে কেঁদেই দিলো। ছোট মোট জান তার আর কতো সইবে। এক বছর ধরে হাতিপাতি করে মরছে। আর কতো? সে কেঁদে বললো, — স্যরি ভাইয়া! সত্যিই স্যরি। আমি একদম জানতাম না ওটা আপনার নাম্বার। সব সায়মাদের দোষ। প্লিজ! কাওকে বলবেন না। যা শাস্তি দেওয়ার দেন। নিজেই দেন। এখনি দেন। বড়দের এর মধ্যে টানাটানি করার দরকার কি? আর পাক্কা প্রমিজ করছি! জীবনে আর এমন কোন কাজ করবো না।

ফাইয়ায হাসলো! তার হাসি অবশ্য রাইমা দেখলো না। সে হেসে মুগ্ধভরা চোখে তাকিয়ে রইলো! সোডিয়াম আলোর নিচে সবুজ শাড়ি পড়া এক রমনী। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। তার মনে হলো তার জীবনে এরচেয়ে সুন্দর দৃশ্য সে আর দেখেনি।

সে বুকে অনেক সাহস নিয়ে দু- কদম এগুলো। সে জানে, এই এগুনের মূল্য তাকে অনেক কষ্টে শোধ করতে হবে। তবে যে মায়ায় সে পড়েছে। এই মায়া ছাড়লে মনে হয় না, বাকি জীবন আর ভালো থাকতে পারবে।

সে এগিয়ে শান্ত ভাবে বললো — তোকে দশ মিনিট সময় দেওয়া হলো। এই দশ মিনিট শুধু আমার কথা ভাববি। ভেবে যদি কিছু পাস তাহলে গাড়িতে আসবি, না হলে সোজা ঘরে চলে যাবি। আর এই ভাবার মধ্যে এই কথা টাও মাথায় রাখিস। একবার যদি গাড়িতে আসিস। আমি যেখানে নিয়ে যাবো সেখানেই যেতে হবে। ফেরার কোন চান্স নেই।

বলেই ফাইয়ায গাড়িতে গিয়ে বসলো। বসে চোখ বন্ধ করে সিটে মাথা রাখলো। মনে মনে বললো,— চলে আয় রাইমা! ভালো মনের ভালো মানুষদের প্রেমে ফেলতে নেই । তারা একবারই প্রেমে পড়ে। আর সেটা হয় ভয়ংকর। আর এই ভয়ংকর প্রেমের আগুনে আমি শেষ হয়ে যাবো।

রাইমা হা হয়ে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে রইলো। হতম্বভে সে কান্না টান্না সব ভুলে গেছে। ফাইয়ায ভাই বলতে চাইছে কি? এদিকে মোবাইল টাও আনেনি। আনলে দুটো কাজ হতো! গ্রুপে সবার সাথে পরামর্শ টা করা যেতে। আর সময় টাও দেখা যেতো! ধুর! দশ মিনিট কি হয়ে গেলো নাকি? সে আর ভাবলো না, তড়িঘড়ি করে গাড়িতে গিয়ে বসলো।

ফাইয়ায দীর্ঘশ্বাস ফেললো! চোখ না খুলেই বললো, — গাধী।
রাইমার আবার কান্না পেলো! ঠোঁটে ঠোঁট চেপে কান্না থামালো! থামিয়ে কোন রকম বললো, — আরো দশ মিনিট দেন। এবার সত্যিই ভাববো।

ফাইয়ায চোখ খুললো! সোজা হয়ে বসে বললো, — জীবনে ভেবে কিছু করেছিস?

রাইসা সাথে সাথেই উপর নিচ মাথা নাড়ালো! নাড়িয়ে বললো, —- হ্যাঁ করেছিতো! ঐ যে আপনাকে হাজার টাকা ফ্লাক্সিলোড করলাম।

ফাইয়ায হেসে ফেললো! হেসে গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে বললো, — গুড! ভেরি গুড! গাড়িতে যখন এসেই পড়েছিস, তোর আর কোন ভাবাভাবির দরকার’ই নেই। আজ থেকে সেই ডিপার্টমেন্ট আমার। তোর কাজ হলো ফোনে যেমন সব কথায় খিলখিল করে হাসতি, আজকে থেকে আমার বুকে মাথা রেখে হাসবি।

#সমাপ্ত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে