#মেঘের_আড়ালে_রোদ
#পর্ব_9
লেখিকা #Sabihatul_Sabha
আহনাফ কে বাসায় ফিরে আসতে দেখে আমেনা বেগম জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে..? শরীর খারাপ কিনা.!?
আহনাফ চুপচাপ নিজের রুমে চলে গেলো। গাড়িটা আহনাফের অনেক প্রিয় গাড়ি ছিলো। চোখের সামনে নিজের গাড়ির এই অবস্থা দেখে থমকে গিয়ে ছিলো। এই গাড়িতে তো তখন ও থাকার কথা!!
আহনাফ চলে যেতেই হন্তদন্ত হয়ে আজাদ চৌধুরী বাড়িতে এসে আহনাফ কে খুজতে লাগলেন।
আমেনা বেগমঃ আহনাফ তো এইমাত্র বাড়িতে আসলো। শরীর মনে হয় ভালো নেই আমি কফি করে নিয়ে আসছি ওর জন্য এখন রুমে গেছে। কি হয়েছে.? ওকে খুঁজছ কেনো..? অফিস থেকে চলে আসলে যে.?
আজাদ চৌধুরী বুকে হাত দিয়ে সোফায় বসলেন।একটুর জন্য পুরো পৃথিবী থমকে গিয়ে ছিলো।
আমেনা বেগম পানি এনে দিলেন।
আমেনা বেগমঃ তোমার কি শরীর ভালো নেই.?
আজাদ চৌধুরীঃ আমি ঠিক আছি।
আমেনা বেগম গ্লাস নিয়ে উঠে যেতেই আজাদ চৌধুরীর মোবাইলে মেসেজ আসলো ” কি বন্ধু ভয় পেয়েছো..?? ইসসস তোমার ভয়ার্ত মুখটা দেখে আমার পৈশাচিক আনন্দ লাগছে! বলতে হবে তোর ছেলের ভাগ্য ভালো না হয় গাড়ির সাথে নিজেও পরপারে চলে যেতো।তবে টেনশন নেই নেক্সট টাইম শুধু গাড়ি নয় গাড়ির সাথে তোর ছেলেকেও পাঠিয়ে দিবো। এক এক করে সবাইকে পাঠাবো”
আজাদ চৌধুরী বার কয়েক কল দেওয়ার চেষ্টা করলেন। নাম্বার বন্ধ। ক্লান্ত শরীরটা সোফায় ছেড়ে চোখ বুঁজে রাখলেন কি করবেন এখন..? ছেলেদের কিভাবে বন্ধু নামের শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করবে!..? বোনটার মতো কি ছেলেদের ও হারাতে হবে!!..?? সিদ্ধান্ত নিলেন মিরাজ চৌধুরী কে আজ সবটা জানাবেন আর পুলিশের সাহায্যে রায়হানকে খুঁজে বের করবে।
_____________
আহনাফ রুমে এসে চুপ করে বসে ছিলো। সে কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারছে না। মেঘলার আগমন, বিয়ে, বাবা ছেলের মধ্যে আস্তে আস্তে ঝামেলা তৈরি করা, আর আজকের এক্সিডেন্ট সবটাই সাজানো কারো প্লেন।খুব সুন্দর করে নিজের প্লেন অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে।
ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে মেঘলার রুমের কাছে গেলো। রুমে তালা দেখে ভীষণ অবাক হলো। রুম কেনো তালা দেওয়া.? বাড়িতে এতো মানুষ থাকতে চোর তো আসবে না!
নিচে গিয়ে নিরুপমা কে জিজ্ঞেস করতেই বললো। এই রুম শ্রাবণ তালা দিয়ে গেছে জেনো মেঘলা রুমে কখনো প্রবেশ করতে না পারে।
আহনাফ পেছন ফিরতেই দেখলো মেঘলা বাহির থেকে এসেছে। কারো দিকে না তাকিয়ে গেস্ট রুমে চলে যাচ্ছে ।
আহনাফ আজাদ চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে কিছু বললো না। আজাদ চৌধুরী চোখ বন্ধ করে বসে আছেন।
আহনাফ কফি খেয়ে মেঘলার দরজার সামনে টুকা দিলো।
মেঘলা দরজা খুলে আহনাফ কে দেখে কিছু সময় তাকিয়ে রইলো।
~ কি চাই.?
আহনাফঃ আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো।
মেঘলাঃ বলেন।
আহনাফঃ একটু ছাঁদে আসুন।
ছাঁদে দাঁড়িয়ে আছে আহনাফ আর মেঘলা।
আহনাফঃ আমি আপনার বিষয় জানতে চাচ্ছি না। আমি শুধু জানতে চাই।আপনাকে এখানে কে পাঠিয়েছে.? কেনো পাঠিয়েছে.?
মেঘলাঃ এতে আমার লাভ কি.?
আহনাফ হাসলো। সে জানে এমনিতে কিছু বলতে চাইবে না মেয়ে।
আহনাফঃ এর পরিবর্তে আপনি যা চাইবেন দেওয়া হবে।
মেঘলার মুখেও হাসি ফুটে উঠলো। তারপর সে বলে উঠলো,
মেঘলাঃ আমি প্রতিদিনের মতো সেদিনও নিজের কাজে বেরিয়ে ছিলাম। তখন একটা ছেলে এসে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো” যদি এক ঘন্টার জন্য কাজ করি অনেক টাকা দিবে। ‘আমি রেগে গিয়ে ছিলাম কাজের কথা জিজ্ঞেস ছেলেটাকে মে’রে হসপিটালনা করেই ভর্তি করিয়ে দেই। দুইদিন পর কয়েকজন ছেলে অজ্ঞান করে একটা আস্তানায় নিয়ে আসলো। যখন আমার জ্ঞান ফিরে নিজেকে চেয়ারে বাঁধা দেখলাম৷ একটা কালো কোট পড়া লোক সামনে আসলো কিন্তু মাক্স দিয়ে মুখ ডাকা ছিলো। আর উনার পাশে রনি মাস্তান দাঁড়িয়ে ছিলো। রনিকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি।
সেখানে লোকটার সাথে বেশি কথা হয়নি। লোকটা ৫০হাজার টাকা আমার সামনে রেখে বললো দুই ঘন্টা প্রেগন্যান্ট হওয়ার অভিনয় করলে এই টাকা আমার। যেহেতু শুধু অভিনয় ছিলো তাই আমিও রাজি হয়ে যাই।
আহনাফঃ এইটুকু কাজের জন্য এতো টাকা!..? সন্দেহ হয়নি.?
মেঘলাঃ হয়েছে!
আহনাফঃ তাহলে জিজ্ঞেস করেননি কেনো.?
মেঘলাঃ আমি নিষেধ করে দিলে অন্য মেয়ে আসতো। একজন না একজন তো সেজে আসতো। আমারও টাকার প্রয়োজন ছিলো কিন্তু সাংবাদিকের জন্য ফেঁসে গেলাম বিয়ের ফাঁদে।
আহনাফঃ রনি কোথায় থাকে.??
মেঘলাঃ কলেজের সামনে পাওয়া যাবে।
আহনাফঃ চলুন আমার সাথে..।
মেঘলাঃ কোথায়.?
আহনাফঃ রনির কাছে।
মেঘলাঃ আমি পারবো না।
আহনাফ অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলো৷ সে এই রহস্যের সমাধান করতে চায়! কে আসলে, কোথায় থেকে গেইম খেলছে..? ওর পরিবারের সাথে কার এতো শত্রুতামী.?
আহনাফঃ আজ আমার গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়েছে..।
মেঘলা অবাক হলো। কিছু সময় চুপ থেকে বললো,’ কিভাবে..? ‘
আহনাফ সবটা বলতেই মেঘলা চুপ করে রইলো। মেঘলা খুব চালাক মেয়ে। তার বুঝতে বাকি নেই এই কাজ নিশ্চয়ই ওই লোকের। আর এক্সিডেন্ট নিশ্চয়ই রনি করিয়েছে!।
মেঘলা রাজি হলো রনির কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
__________
মেঘলা কলেজের সামনে গাড়ি থেকে নামলো৷ ওর সাথে আহনাফ ও বের হলো৷
মেঘলা আশেপাশে রনিকে খুঁজলো কিন্তু কোথাও না দেখে কিছুটা অবাক হলো। কলেজ ছুটি হওয়ার আগ পর্যন্ত রনি কলেজের আশেপাশে ঘুরঘুর করে।
মেঘলা কলেজের পাশে চায়ের দোকানে বসলো।
~ চাচা কেমন আছেন.?
~ আরেএএ মেঘলা মা না.? কতোদিন পর আইলা দোকানে! কই থাকো দেখা যায় না। তোমার চাচি বলছিলো তোমারে দেখারলাই একদিন যদি যাইতা।
~ চাচা সময় করে একদিন যাবো। চাচির কেমন অবস্থা.?
~ এখন আগের থাইকা ভালা।
~ কোনো সমস্যা হলে বস্তুিতে চলে আসবেন।
~ আল্লায় তোমার মঙ্গল করুক মা। আজ তুমি না থাকলে…
~ প্লিজ চাচা এমনে বইলেন না। উনি আমার মায়ের মতো।নিজের তো মা নাই। মা দেখতে কেমন তাও জানিনা আমার মা অসুস্থ হইলে কি আমি চিকিৎসা করতাম না.? মনে করেন আমি আমার মা কে দিছি।
আহনাফ গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। মেঘলার দিকে তাকিয়ে বিরক্ত হলো। সেই কখন দোকানে গিয়েছে আশার নাম নেই।
কিছুক্ষন পর মেঘলা ফিরে এসে জানালো রনি চলে গেছে।
আহনাফঃ কোথায় গেছে.? কোথায় গেলে পাওয়া যাবে.?
মেঘলাঃ ঠিক জানা নেই। কলেজের কোন মেয়ে নাকি ওরেএ সবার সামনে জুতা খুলে মে’রছে। রেগে কই গেছে জানিনা। কলিজা আছে মেয়েটার বলতে হবে।
আহনাফঃ নিশ্চয়ই বাজে কিছু করেছে তাই মেয়েটা মেরেছে।
মেঘলাঃ এখন আমি যাই।
আহনাফঃ কোথায়.?
মেঘলা কিছু না বলেই চলে গেলো।
আহনাফ গাড়িতে উঠতে গিয়ে দেখলো কলেজ ছুটি হয়েছে। আহনাফ গাড়িতে উঠার আগেই ছোঁয়া এসে হাজির হলো ওর সামনে।
কলেজের মেয়েরা আহনাফের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে যাচ্ছে। এটা একদম সহ্য হলো না ছোঁয়ার। শাঁকচুন্নি গুলো কি জীবনেও ছেলে দেখেনি! চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে।
মহুয়াও এসে দাঁড়ালো।
ছোঁয়াঃ ভাইয়া তুমি এখান.?
আহনাফঃ একটা কাজে এসে ছিলাম।
ছোঁয়াঃ খুব ভালো হলো। তোমার সাথে মহুয়াকে নিয়ে যাও।
আহনাফঃ তুই কোথায় যাবি.?
ছোঁয়াঃ সামনে আমার একটু কাজ আছে।
আহনাফ গাড়িতে বসে পড়লো। মহুয়া পেছনে বসতে নিলে আহনাফ রেগে বলে উঠলো, ‘ আমাকে কি ড্রাইভার মনে হয়.!?? ‘মহুয়া ফুস করে একটা নিশ্বাস ফেললো তারপর সামনে বসলো।
গাড়ি চলছে কারো মুখে কোনো কথা নেই৷ নিরবতা ভাঙে আহনাফ বলে উঠলো, ‘ আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায়.?’
মহুয়াঃ হৃদয় পুড় গ্রামে।
আহনাফ হাসলো। তারপর আবার প্রশ্ন করলো,’ আপনারা ভাই বোন..?’
মহুয়াঃ আমি একজন। আমার বাবা-মা নেই,আমি মামা-মামীর কাছে বড় হয়েছি, আমি ছোটো থাকতেই নাকি মা-বাবা এক্সিডেন্টে মা-রা যায় ।
হুট করে গাড়ি থেমে যাওয়াই মহুয়ার হুস ফিরে।
মহুয়াঃ কি হয়েছে.?
আহনাফঃ একটু আগে কি বললেন.?
মহুয়াঃ কি.?
আহনাফঃ আপনার আব্বু আম্মু এক্সিডেন্টে মা-রা গেছে.?
মহুয়ার গলা শুকিয়ে আসলো। আমতাআমতা করে বলে উঠলো, ‘ আমার খেয়াল ছিলো না। আমি হয়তো ভুল বলেছি।আব্বু আম্মু গ্রামে’
আহনাফঃ গ্রামটাও কি তাহলে খেয়াল ছিলো না? এটাও তো ভুল বলেছেন!ভাই-বোন ও ভুল বলেছেন.
মহুয়া কিছু না বলে চুপ করে আছে।এখনি তো ধরা খেয়ে গিয়ে ছিলো। কিন্তু সে সত্যি থেকে কেনো লুকাতে চাচ্ছে..? কেনো নিজের সব পরিচয় লুকিয়ে মিথ্যা বলে বেড়াচ্ছে.? সত্যি বেশি দিন চাপা থাকে না!
আহনাফ আর কিছু না বলে গাড়ি স্টার্ট দিলো। সে খুব জলদি সব রহস্যের সমাধান বের করবে। কে এই মহুয়া.? কি পরিচয়.?
___________
রনি একটা ছেলের গায়ে গরম লোহা চেপে ধরে আছে।
~ সামান্য একটা মেয়ের ছবি রাখতে পারছ না তোদের মতো জা*নো*য়া*র বিশ্বাস ঘাতক আমার দরকার নাই। এখন আমি কি জবাব দিমু বসকে!..? আজ যদি তোদের কারনে আমি পৃথিবী ছাড়তে হয় তাহলে তোদের সাথে নিয়েই ছাড়মু শ** বাচ্চারদল।
~ ভাই!! ভাই এবারের মতো ছাইড়াদেন। আমি কথা দিচ্ছি মাইয়া ডারে আমি নিজে আপনার সামনে নিয়া আসমু।
রনি রাগে আরও শক্ত করে লোহা চেপে ধরলো। মোবাইলে মেয়ের ছবি ছিলো আর সেই মোবাইল পানিতে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন বসকে কি জবাব দিবে রনি.? একতো একটা মেয়ের হাতে সবার সামনে জুতাপিটুনি খেয়ে এসেছে মাথা গরম তার উপর এমন একটা খবর শুনে মাথা আরও খারাপ হয়ে গেছে।
কে সেই বে**.? একটা মাইয়া হয়ে তিনটা পুরুষ কে খু*ন করছে। সাথে ১৫টা মাইয়া নিয়া পলায় গেছে। যেমনেই হোক ওই মাইয়ারেএ বসের সামনে নিতে হইবো। পতিতা পল্লীতে থাইকাও বে** গিরি কমে নাই!
রনিঃ ওই গাড়ি বার কর ফুলবানুর পল্লীতে যামু ওখানে তো মাইয়ার ছবি থাকবো। যেভাবেই হোক ওই মাইয়ারে খুঁজে বের করতে হইবো।
___________
মহুয়াকে নামিয়ে দিয়ে আহনাফ গাড়ি ঘুরিয়ে কাউকে কল দিলো।
কিছু কথা বলেই বলে উঠলো, ‘ আজ রাতেই এই ছেলেকে পুরান বাড়িতে দেখতে চাই। ‘
~ কাজ হয়ে যাবে।
মহুয়া ফ্রেশ হয়ে বেলকনিতে বসে আছে।
আহনাফ গেইটের ভেতর এসেই চোখ গেলো বেলকনির দিকে। বাগান থেকে মহুয়ার বেলকনি দেখা যায়।
মহুয়া গোসল করে চুল গুলো ছেড়ে বই নিয়ে বসে আছে। একটু পর পর বই পড়ছে আর হাসছে।এই প্রথম আহনাফ মহুয়াকে হাসতে দেখে তাকিয়ে রইলো। সারা দিনের ক্লান্তি এক নিমিষেই ভুলে গেলো। কারো হাসিতেও জাদু থাকে!..?
মহুয়ার মনে হলো কেউ ওর দিকে তাকিয়ে আছে। বই থেকে চোখ সরিয়ে এদিক ওদিকে তাকালো। কেউ তো নেই হয়তো মনের ভুল।
মহুয়া তাকানোর আগেই আহনাফ সরে গিয়ে ছিলো।
________
সন্ধ্যার দিকে আহনাফ তারাহুরো করে রুম থেকে বের হতে গিয়ে মহুয়ার সাথে ধাক্কা খেলো।
মহুয়া কপাল ঢলতে ঢলতে আহনাফের দিকে রেগে তাকালো৷
আহনাফঃ এভাবে তাকাবেন না দোষ আপনার!.
মহুয়াঃ একদম নিজের দোষ অন্যের ঘারে চাপিয়ে দিবেন না। আমি তো যাচ্ছিলাম আপনি দেখে বের হবেন না।গরুর মতো ছুটেছেন।
আহনাফঃ আমি গরু!.?
মহুয়া কিছু না বলে চুপ করে রইলো। আহনাফ রাগী দৃষ্টিতে মহুয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,’ বেয়াদব মহিলা ‘ বলেই চলে গেলো।
মহুয়া সাপের মতো ফুঁসে উঠলো৷ কতো বড় সাহস বার বার বিনা দোষে ওকে বেয়াদব মহিলা বলছে! কিন্তু এখন আর ঝগড়া করতে ইচ্ছে হলো না।
মহুয়া রান্না ঘরে উঁকি দিয়ে দেখলো আমেনা বেগম রান্না করছেন।
মহুয়া গিয়ে উনার পাশে দাঁড়াতেই আমেনা বেগম খুশি হলেন।
~ কিছু লাগবে.?
মহুয়াঃ না আন্টি। হেল্প করতে আসলাম।
~ সব কিছু করা শেষ আর হেল্প করতে হবে না। আন্টির সাথে গল্প করো।
মহুয়া টুকটাক এটা সেটা জিজ্ঞেস করলো। আমেনা বেগম উনার শাশুড়ী থেকে শুরু করে এই বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষের বিষয় সব বলতে শুরু করলেন মহুয়াও মন দিয়ে তা শুনছে আর হাসছে।
_______
আহনাফ বাড়িটার ভেতরে ঢুকে লাইট জ্বেলে দিলো৷
রনির হাত পা বাঁধা অবস্থায় ঝুঁকে আছে।
আহনাফ রনির সামনে গিয়ে তাকাতেই অবাক হলো। এটা তো সেই দিনের অসভ্য ছেলেটা!
আহনাফ ওর সামনে হাতে চাকু নিয়ে বসলো৷ রনির মুখে পানির ছিটা মারতে আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকালো।
সামনে আহনাফ কে দেখে ভয় পেলো। আজও সেই দিনের মাইরের কথা মনে আছে! কিন্তু আজ তো সে কিছু করেনি! নাকি কলেজের মেয়েটার জন্য তুলে এনেছে.? হাজারটা প্রশ্ন আর ভয় নিয়ে আহনাফের দিকে তাকিয়ে আছে।
আহনাফ শান্ত ভাবে পুরো রুমটার দিকে তাকালো।
রনির চেয়ারটা ঠিক করতে একজনকে ইশারা দিলো।
চেয়ার ঠিক করতেই রনির পকেট থেকে মোবাইলটা নিচে পড়ে গেলো।
আহনাফ বিরক্ত হলো। ওর পায়ের কাছ থেকে মোবাইলটা তুলে রনির পকেটে রাখতে গিয়েও থেমে গেলো৷ মোবাইলটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে স্কিনে পরিচিত একটা মেয়ের ছবি দেখে কৌতুহলী চোখে আরও ভালো করে তাকালো। রনির দিকে তাকিয়ে চোখ মুখ শক্ত করে ফেললো। যদিও স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না মেয়েটাকে কারন মেয়েটার মুখে অনেক কাঁটা দাগ,ঠোঁটে রক্ত জমাট বেঁধে আছে, চুল এলোমেলো, শরীরে জরজেট পাতলা শাড়ি।
চলবে…….
ভুলত্রুটি মার্জনীয়