মেঘের আড়ালে রোদ পর্ব-০১

0
792

#মেঘের_আড়ালে_রোদ
#সূচনা_পর্ব
লেখিকা #Sabihatul_Sabha

স্বামীর পাশে লাল টুকটুকে লেহেঙ্গা পড়ে ঘোমটা দেওয়া এক মেয়ে দেখেই জ্ঞান হারায় আফরোজা বেগম। সাথে সাথে উনার দুই ছেলের বউ উনাকে আগলে ধরেন।
আনোয়ার চৌধুরী গম্ভীর মুখে তাকিয়ে আছে তার প্রানপ্রিয় প্রিয়তমা অর্ধাঙ্গিনী আফরোজা বেগমের দিকে।

এই বাড়ির বড় কর্তা আনোয়ার চৌধুরী। যার দুই ছেলে এক মেয়ে।
আনোয়ার চৌধুরীর সামনে কেউ উঁচু গলায় কথা বলতে পারে না। উনি যা বলবে তাই মেনে চলতে হবে৷

আফরোজ বেগমকে উনার বড় ছেলে রুমে নিয়ে গেলো। ছোটো ছেলে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। তিতি খুব ভালো করেই জানেন তার বাবা কখনো ভুল কিছু করবে না৷ যেখানে দুইদিন পর নাতি-নাতনীদের বিয়ে দিবে সেখানে নিজে বিয়ে করে বউনিয়ে আসবেন এটা অসম্ভব।

আনোয়ার চৌধুরী গম্ভীর মুখে ছেলের বউদের বলে উঠলো, ‘ রাস্তা ছাড়ো, শাশুড়ীর কাছে যাও’

আমেনা বেগম হালিমা বেগমের দিকে তাকিয়ে ইশারায় দূরে সরে যেতে বলে নিজে শাশুড়ীর রুমে ছুটলেন।

_______

ড্রয়িংরুম জুড়ে পিনপিন নিরবতা।
আনোয়ার চৌধুরী কে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে তার দুই ছেলে, মেয়ে। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে ছেলের বউ।

আনোয়ার চৌধুরী নিরবতা ভাঙে বলে উঠলো, ‘ আমার পাশে যেই মেয়েটা বসে আছে তার নাম মহুয়া। আমি কাল গ্রামে গিয়ে ছিলাম কিছু কাজে তখন আমার বন্ধু আজমিরের সাথে দেখা। জোর করে গ্রামের বখাটে দলের লিডার ওকে বিয়ে করতে চায় আমি পুলিশ নিয়ে ওদের ধরিয়ে দেই। এখন থেকে ও এখানেই থাকবে।’ আশা করি তোমার আর কোনো প্রশ্ন নেই।

আমেনা বেগম কে ইশারা করে বললো, ‘ ওকে নিয়ে যাও। দুইতলার ডান পাশের রুমটা আজ থেকে ওর।’

কথাগুলো সবার বিশ্বাস হলেও আনোয়ার চৌধুরী মেয়ে নিরুপমা আর হালিমা বেগমের বিশ্বাস হয় না। ডাল মে কুচ তো কালা। ছেলেটাকে পুলিশে ধরিয়ে দিলে এখানে মেয়েটাকে এই ভাবে নিয়ে আশার মানে কি..? অন্তত কাপড় চেঞ্জ করে আনতো! বেস কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খেলো তাদের মাথায়।

আনোয়ার চৌধুরী দুই ছেলে, আজাদ চৌধুরী আর মিরাজ চৌধুরী। এক ছেলে বিজনেসম্যান, নিজের কোম্পানি সামলাচ্ছে আরেক ছেলে পুলিশ।

আমেনা বেগম একটু হেঁসে মহুয়ার সামনে গিয়ে বললো’ চলো আমার সাথে ‘

হালিমা চৌধুরীর ভীষণ বিরক্ত লাগলো। যাকে তাকে বাড়িতে জায়গা দেওয়াটা তিনি একদম পছন্দ করেন না। আর এই মেয়ের তো মুখও দেখা যাচ্ছে না, মুখ কাপড় দিয়ে ডেকে রাখা অবশ্য গ্রামের মেয়েরা আর কেমন-ই বা হবে!।

আনোয়ার চৌধুরী গম্ভীর মুখে নিজের রুমের দিকে চলে গেলেন এখনো প্রানপ্রিয় প্রিয়তমার কাছে যাওয়া হয়নি। নিশ্চয়ই আরও অসুস্থ হয়ে গেছে আফরোজ বেগম। স্বামীকে ভীষণ ভালোবাসেন সাথে কোনো নারী দেখে হজম করতে পারেননি।

আমেনা বেগম মহুয়া কে ফ্রেশ হয়ে নিতে বললো। ফিরে আসতে নিলেই মিষ্টি একটা কন্ঠ ভেসে আসলো।
আমেনা বেগমের কাছে মনে হলো উনি ভুল শুনলেন এতো সুন্দর কারো কন্ঠ হতে পারে!!..??
মহুয়া দ্বিতীয় বার আবার ডেকে উঠলো” আন্টি ”
আমেনা বেগম পেছন ফিরতেই, মেয়েটা মাথা নিচু করে বলে উঠলো, ‘ আন্টি একটা ড্রেস হবে.? আমার সাথে তো কোনো কাপড় নিয়ে আসিনি।’
আমেনা বেগম কিছু একটা ভেবে বললেন , ‘ তুমি শাড়ি পড়তে পারো..? আমাদের বাসায় একটাই মেয়ে ছোঁয়া এখন ও বাসায় নেই, বাসায় আসলে ওর কাছ থেকে নিয়ে নিবো।’

মহুয়া মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।

আমেনা বেগম রুম থেকে বেরিয়ে যেতেই মহুয়া দরজা ভেতর দিয়ে লাগিয়ে দিলো। আয়নার সামনে গিয়ে মুখ থেকে কাপড় সরালো সারা মুখে মারের দাগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে । ফর্সা মুখে দাগ গুলো জেনো আরও ভেসে উঠেছে। দুইহাতে মুখ চেপে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো মহুয়া, কি থেকে জীবন কি হয়ে গেলো!! জীবনে ঘটে গেলো কিছু অবিশ্বাস্য ঘটনা!! এই জীবনের শেষ কোথায়..? সামনে ওর সাথে কি হবে জানা নেই! নিজের পরিবারের কাছে কোন মুখে ফিরে যাবে!.?? এর থেকে তো মৃত্যু অধিক ভালো ছিলো!!..

___________

ভরা কলেজের মাঠে রাফির গালে স-জোরে থা*প্প*ড় মেরে বসলো ছোঁয়া।
স্তব্ধ হয়ে সবাই তাকিয়ে থাকে ওদের দিকে। একটা মেয়ে থাপ্পড় মারলো কলেজের ফেমাস বয় রাফি কে!!..?এটা জেনো কারো বিশ্বাস হচ্ছে না!..

ছোঁয়া হাত বাড়িয়ে একটা চিরকুট দেখিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে,’ এইগুলো কি..? তোর সাহস হয় কিভাবে আমাকে এইসব লেখার..? একবার নয়, দুইবার নয় এই নিয়ে দশবার তোকে রিজেক্ট করেছি তাও তোর লজ্জা হয় না..? আর একবার যদি আমার আশেপাশে তোর কোনো চেলাফেলা কিংবা তোকে দেখি এর থেকেও খারাপ কিছু হবে!!..
রাফি নির্বাক হয়ে তাকিয়ে আছে ছোঁয়ার দিকে। রাগে মুখ লাল হয়ে আছে ছোঁয়ার।

হাতের ব্যাগটা শক্ত করে চেপে ধরে কলেজ থেকে বেরিয়ে গেলো।
রাফি সেই আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে তাকিয়ে রইলো ছোঁয়ার যাওয়ার দিকে।

মেয়েটা কি কখনো তার ভালোবাসা বুঝবে না..? সেই ক্লাস সেভেন থেকে ভালোবাসে কিন্তু ছোঁয়া ওকে একটা ভালো বন্ধু ছাড়া আর কিছুই কখনো ভাবেনি আর আজ তো সেই বন্ধুত্ব ও ভেঙে গেলো।

_________

মহুয়া গোসল করে চুলগুলো ছেড়ে দিলো জেনো ঘারের দাগ গুলো দেখা না যায়। আয়নার সামনে গিয়ে মুখের দাগ গুলোর দিকে কিছু সময় তাকিয়ে রইলো। যতোই দাগ লুকাতে চায় না কেনো উপরের দাগ গুলো মুছে গেলেও অন্তরের দাগ কিভাবে মুছবে..? গায়ে লেগে যাওয়া কলঙ্ক কিভাবে লুকাবে..? কয়দিন লুকিয়ে রাখবে..?এই সমাজে যে ওর মাথা উঁচু করে চলার স্বাধীনতা নেই!!।

এইগুলো ভাবতে ভাবতে ডুকরে কেঁদে উঠলো মহুয়া। সে বাঁচতে চায় নিজের পরিবারের সামনে একবার যাওয়ার জন্য, বাবার পায়ে পড়ে ক্ষমা চাওয়ার জন্য। সে বাঁচতে চায় সেই নরপিশাচটার সামনে একবার যাওয়ার জন্য, কঠিন থেকে কঠিন মৃত্যু দেওয়া জন্য তাকে বাঁচতে হবে।

বাহির থেকে কয়েকবার দরজা আঘাত করতেই দরজা খুলে দিলো।

আমেনা বেগম এসেছে। মহুয়ার দিকে তাকিয়ে থমকে গেলেন তিনি। মুগ্ধ চোখে চেয়ে বলে উঠলেন মাশাল্লাহ।

মহুয়া লজ্জায় এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। অপরিচিত জায়গা, মানুষ। কেমন হবে..? যদি তারাও ওর সাথে একি কাজ করে ভাবতেই গলা শুকিয়ে আসে মহুয়ার, চোখ জলজল করে উঠে এখনি বুঝি বৃষ্টি ঝড়বে চোখ দিয়ে।

আমেনা বেগম মহুয়ার চুলের দিকে তাকালো, ‘ হাঁটু অব্দি ভিজা চুলগুলো থেকে টপটপ পানি পড়ছে। মুখে কাঁটা দাগ, কিসের দাগ এইগুলো..? মনে তো হয় কেউ ভীষণ মেরেছে!!..কি ভীষণ মিষ্টি চেহারা জেনো আল্লাহ নিজ হাতে তৈরি করেছেন।

আমেনা বেগমঃ চলো আমার সাথে আব্বা তোমার জন্য বসে আছে।

মহুয়া আমেনা বেগমের পিছু পিছু নিচে যেতেই সবার দৃষ্টি গেলো মহুয়ার দিকে।

এই প্রথম আনোয়ার চৌধুরীও মহুয়ার মুখ দেখলেন।
হালিমা চৌধুরী শান্ত দৃষ্টিতে তাকালো, মনে মনে বলে উঠলো, ‘ মেয়েটা দেখতে মাশাল্লাহ তবে মুখে এতো কিসের দাগ..? মনে হচ্ছে প্রচুর মেরেছে কেউ!..গ্রামের মেয়েও এতো সুন্দর হয়!..? চুল,চোখ,ফেইস, সৌন্দর্য সব মিলিয়ে অপুর্ব সৌন্দর্যের অধিকারী।

নিরুপমা বিরক্ত দৃষ্টিতে তাকালো তিনি একদম পছন্দ করেন না কোনো মেয়েকে আর যদি হয় উনার মেয়ের থেকে বেশি সুন্দর তাহলে তো বিষের কাঁটা মনে করেন। আর এই মেয়েকে দেখলে তো মনে হয় এক টুকরো চাঁদ সামনে দাঁড়িয়ে। নিজের মেয়ের থেকেও সুন্দর ভাবতেই বিষিয়ে গেলো মন।

আনোয়ার চৌধুরীঃ বসো..
মহুয়ার পেটেও ভীষণ খিদে আজ দুইদিন ওরা কেউ এক ফোঁটা পানিও দেয়নি পালিয়ে আশার সময় এক টং দোকান থেকে পানি খেয়ে ছিলো।

চুপসে যাওয়া মুখটা দেখেই আনোয়ার চৌধুরী বুঝলেন মহুয়ার খিদে লেগেছে। মেয়েটার কথায় যেমন মায়া মুখেও ভীষণ মায়া।আনোয়ার চৌধুরী মহুয়ার মাঝে আফরোজা বেগম কে খুঁজে পেলেন৷ ঠিক এতোটাই সৌন্দর্যের অধিকারী ছিলেন আফরোজা বেগম। জেনো ভুল করে চলে আশা চাঁদের পরী।

ছোঁয়া রেগে বাসায় এসে ব্যাগ সোফায় রেখে সবার দিকে তাকালো। নিরুপমা মেয়ের মুখ দেখে খাওয়া ছেড়ে উঠে আসলেন। আমেনা বেগম ছোঁয়ার পাশে বসে জিজ্ঞেস করলো,’ কি হয়েছে..? ‘
ছোঁয়াঃ কিছু না মামুনি এক গ্লাস পানি দাও।

আমেনা বেগম পানি দেওয়ার আগেই নিরুপমা পানি নিয়ে আসলো মেয়ের জন্য।
ছোঁয়া আনোয়ার চৌধুরী কে দেখেই গিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলো, ‘ নানাভাই তোমার তো আরও দু’দিন পড়ে আশার কথা ছিলো..?
আনোয়ার চৌধুরীঃ কেনো সুইটহার্ট তুমি খুশি হওনি আমি চলে আশায়!!
ছোঁয়াঃ ভীষণ খুশি হয়েছি।

নিরুপমাঃ বাবা আপনার আরও দু’দিন পড়ে আশার কথা ছিলো..??
আনোয়ার চৌধুরী মেয়ের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর মুখে বলে উঠলো, ‘ কাজ জলদি শেষ হয়ে গেছে। ‘

ছোঁয়া বাড়ির একমাত্র মেয়ে অবশ্য এই বাড়ির মেয়ে নয় ছোঁয়া। নিরুপমা চৌধুরীর মেয়ে ছোঁয়া চৌধুরী। নিরুপমার স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর থেকে বাপের বাড়িতেই থাকে নিরুপমা।

এই বাড়ির বড় ছেলে আজাদ চৌধুরীর দুই ছেলে। বড় ছেলে শ্রাবণ চৌধুরী উনার সাথে বিজনেস সামলাচ্ছে আর ছোটো ছেলে আহনাফ চৌধুরী ইউরোপে আছে এক সপ্তাহ পর দেশে ফিরবে ডাক্তার হয়ে।

ছোটো ছেলে মিরাজ চৌধুরীর এক ছেলে নির্জন চৌধুরী যার কাজ হলো বাবার টাকা উড়ানো। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া আর মেয়ে পটানো।

দুই ভাইয়ের কোনো মেয়ে নেই সেই জন্য ছোঁয়া সবার ভীষণ আদরের। তবে এই বাড়ির একজন ছোঁয়াকে তার শত্রু মনে করে সে আর কেউ নয় নির্জন চৌধুরী।

______

ছোঁয়ার চোখ যায় মহুয়ার দিকে।
ছোঁয়াঃ এই মেয়ে কে..?
আমেনা বেগমঃ মহুয়া আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় হয়।

ছোঁয়া একবার মহুয়ার দিকে তাকিয়ে নিজের রুমে চলে যায়। নিরুপমা মেয়ের পিছু পিছু চলে গেলেন।

আমেনা বেগম আর হালিমা বেগম মিলে সব গুছিয়ে রান্না ঘরে চলে গেলেন।

এতোটা সময়ে একবারও মহুয়া কারো দিকে তাকায়নি। নিচের দিকে তাকিয়ে নিজের খাবার শেষ করে বসে আছে।

আনোয়ার চৌধুরীঃ মহুয়া আজ থেকে এটা তোমার নতুন বাড়ি। একদম স্বাধীন ভাবে চলবে কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলবে! আর এখন চলো তোমাকে আফরোজার সাথে দেখা করিয়ে আনি। ভীষণ রাগী তবে মনটা ভীষণ নরম।

________

সন্ধ্যায় নিজের রুমে বসে ছিলো মহুয়া তখনি ছোঁয়া ওর দরজায় টুকা মারলো।

মহুয়া দরজার দিকে তাকাতেই ছোঁয়া বিরক্ত মুখে বলে উঠলো, ‘ নানাভাই বললো আজ থেকে তুমি আমি এক রুমেই থাকবো। আমি আমার জিনিসপত্র নিয়ে আসছি!’

___

সময় থেমে থাকে না মহুয়া এসেছে আজ পাঁচ দিন। শুধু মাত্র খাবারের সময় হলে মাথা নিচু করে নিচে গিয়েছে আবার শেষ হলে নিজের রুমে। প্রয়োজনের বাহিরে কোনো কথাও বলে না। এখনো এই বাড়ির কোনো পুরুষের সাথে ওর দেখা হয়নি আর না কোনো ছেলের সাথে। ছোঁয়ার সাথে একটু আধটু কথা বলে।

আজ নিচে যেতেই আনোয়ার চৌধুরী ছোঁয়াকে বলে উঠলো, ‘ মহুয়া কে নিয়ে শপিং মলে যাও, তোমার আর ওর যা যা প্রয়োজন নিয়ে আসবে।

ছোঁয়া খুশিতে মহুয়ার হাত ধরে বলে উঠলো, ‘ ঠিক আছে সুইটহার্ট.। ‘

আনোয়ার চৌধুরীঃ তোমাদের সাথে আরও একজনকে বলেছি যেতে।
ছোঁয়াঃ যদি সেটা তোমার বজ্জাত নাতি নির্জন হয় তাহলে কখনো এই বেয়াদব কে সাথে নিয়ে যাবো না!!..

আনোয়ার চৌধুরীঃ তোমাদের সাথে আমি শ্রাবণ কে বলেছি যেতে সে কিছু সময়ের মধ্যে চলে আসবে জলদি রেডি হয়ে নাও।

ছোঁয়া মহুয়ার হাত ধরে রুমে নিয়ে আসলো৷ একি রকম দুইটা ড্রেস বের করে মহুয়ার সামনে রাখলো৷
মহুয়া কিছু বলার আগেই ছোঁয়া বলে উঠলো, ‘ একটা ফ্রেন্ডের জন্য নিয়ে ছিলাম আজ তুমি পড়ে নাও।’এক রকম দুইজন পড়ে যাবো।

শ্রাবণ বাড়িতে সোফায় বসে আনোয়ার চৌধুরীর সাথে কথা বলছে। সবার কথা ফেলতে পারলেও আনোয়ার চৌধুরীর কথা সে ফেলতে পারে না। নিজের ইম্পর্ট্যান্ট কাজ ফেলে দাদা ভাইয়ের ডাকে ছুটে এসেছে। বার বার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে।
আনোয়ার চৌধুরী শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে আদেশের সুরে বলে উঠলো, ‘ ওদের দিকে খেয়াল রাখবে, চোখে চোখে রাখবে।’
শ্রাবণঃ সব সময় ছোঁয়া একাই মার্কেটে যায় ওর সাথে অন্য কেউ থাকতেও বডিগার্ড হিসেবে আমাকে কেনো লাগবে দাদাভাই..?

আনোয়ার চৌধুরী কিছু না বলে চুপ করে রইলেন, শ্রাবণ বুঝলো প্রশ্ন করে লাভ নেই এখন কিছু বলবে না আনোয়ার চৌধুরী। কিন্তু এমন কে সে যার জন্য আমাকে বডিগার্ড হতে হচ্ছে!। ভীষণ রাগ হলো সেই মেয়ের উপর যার জন্য তাকে ইম্পর্ট্যান্ট কাজ ফেলে আসতে হয়েছে!বডিগার্ড হতে হচ্ছে ! আজ কতোগুলো টাকার পজেক্ট লস হলো।

” আমরা রেডি শ্রাবণ ভাইয়া”

শ্রাবণ বিরক্ত হয়ে সামনে তাকালো। স্তব্ধ হয়ে গেলো।অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো ছোঁয়ার পেছনে দাঁড়ানো মেয়েটার দিকে।

চলবে…..

ভুলত্রুটি মার্জনীয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে