#মন মহুয়া
রাইটার – Farhana Rahaman আয়াত
পার্ট -১৭ & শেষ পর্ব
সন্ধ্যায় বিয়ের অনুষ্ঠান।মিনার সবার জন্য গাড়ি ঠিক করে নিজে মহুয়া আর তানিয়াকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। কিছুদূর যাওয়ার পর মিনার মহুয়াকে বলে মিলনকে বিয়ের ব্যাপারে কিছু না বলতে। মহুয়া বলে,যার বিয়ে সে না জানলে কি করে বিয়ে হবে?মিনার বলে সব হবে কিন্তু ওকে সারপ্রাইজ দিবে তাই না বলার জন্য বলছে। মহুয়া বলে ঠিক আছে।মিনার তানিয়ার উদ্দেশ্য বলে,কি শ্যালিকা তোমার মনে আছে তো যা যা বলেছিলাম?তানিয়া হেসে বলে সব মনে আছে।
মহুয়া বলে ওকে কি বলেছেন?তানিয়া বলে তোকে যা বলেছে তাই আমাকে বলেছে।মহুয়া বলে, ওহ।
মিনার যাওয়ার সময় বাড়িতে না গিয়ে পার্লারে যায়।
মিমি আগে থেকেই সেখানে ওদের অপেক্ষা করছিলো।মহুয়া বলে পার্লারে কেনো বাসায় না গিয়ে।মিনার বলে বাসায় যাবে কিন্তু তানিয়াকে কনে সাজাতে হবে তাই।মিনার মিমির থেকে দুটো প্যাকেট নিয়ে চেক করে একটা তানিয়াকে দিলো আরেকটা মহুয়াকে দিলো। মহুয়া খুলে দেখে মেরুন রঙের বেনারসি শাড়ি আর গয়নার বক্স। মহুয়া প্যাকেট টা তাড়াতাড়ি তানিয়ার হাতে দিয়ে দিলো দিতে দিতে বলে এটা তো বউয়ের শাড়ি। আমি কি করবো।মিনার বলে এটা তোমার। তানিয়ার টা তানিয়াকে দেওয়া হয়েছে।মহুয়া আবার বলে কিন্তু আমি কেনো বেনারসি পড়বো?বিয়ে তো তানিয়ার।তানিয়া বলে হ্যাঁ বিয়ে আমার কিন্তু তোকেও আমার মতোই সাজতে হবে।আমার অনেকদিনের ইচ্ছে ছিলো।আর এখন তো আমরা জা হয়ে গেলাম।
মহুয়া মিনারের দিকে তাকায়। মিনার রাগী চোখে চেয়ে আছে।মহুয়া বলে ঠিক আছে এই শাড়িটা আমি পরবো কিন্তু আমি পার্লারে কিছুতেই সাজবো না।এতো মেকাপ তো একদম নয়। তানিয়া বলে সে দেখা যাবে চল তো।তানিয়া, মহুয়া আর মিমি পার্লারের ভিতরে গেলো।
মিনার বাইরে অপেক্ষা করতে থাকে।সময় অনেক হয়েছে।মিনারের রাগ হচ্ছে কিন্তু ওদের একসাথে না নিয়ে যাবেনা বাসায়। তাই অপেক্ষা করছে। বেশ কিছুক্ষন পর ওরা বেরিয়ে আসে।তানিয়াকে লাল বেনারসি তে আর ভারী সাজে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।তানিয়া এসে গাড়িতে বসে পড়ে। মিনার শুধু মহুয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
বেনারসি, হালকা সাজ,চুলগুলো খোপা করা। দেখেই বুঝা যাচ্ছে নিজে নিজেই সেজেছে। কিন্তু এই সাজেও অপূর্ব দেখতে লাগছে।
মহুয়ার ডাকে মিনার এর হুশ ফিরে যেনো।মহুয়া জিজ্ঞেস করে তানিয়াকে নিয়ে গেলে তো মিলন বুঝতে পারবে।সারপ্রাইজ কি করে দিবে তাহলে।মিনার বলে সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে।এতোসব ভাবতে হবেনা।বাড়ির গেইটের সামনে গাড়ি থামে।মহুয়া বেরিয়ে ঘর দেখেই অবাক।পুরো বাড়ি রঙিন বাতি আর ফুল দিয়ে সাজানো।মিনার মহুয়াকে বলে তানিয়াকে নিয়ে মিমির রুমে যেতে।মহুয়া সেটাই করেছে।
কিন্তু মিমির রুমে গিয়ে দেখে আগে থেকেই একটা মেয়ে কনে সেজে বসে আছে।মেয়েটাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে ও বিদেশিনী।।মহুয়া আর তানিয়া অবাক হয়ে একজন আরেকজনকে দেখছে।তানিয়া ভাবছে মিলনের না তো।কিন্তু তা কি করে সম্ভব। মিনার ভাই তো সব নিজে ঠিক করেছে।মহুয়া মেয়েটার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে কে সে।কিন্তু মেয়েটা বাংলা বুঝেনা।তাই চুপ করে আছে।মহুয়া আবার ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করে কে সে।মেয়েটা বলে ও সাইরা।আর কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই মিনার এসে মহুয়ার জিজ্ঞাসাবাদ থামায়।বলে ও এখানকার গেস্ট। তাই ওকে যেন ডিস্টার্ব না করে।কে বা কেনো এসেছে পরে সব বুঝতে পারবে।মহুয়া আর কিছু জিজ্ঞেস করলোনা।
মিনার মিলন আসার জন্য অপেক্ষা করছে।তানিয়াকে না দেখার জন্য আগেই ওকে কাজের বাহানায় বাইরে পাঠিয়েছিলো মিনার।মিলন ফিরে আসলে মিনার ওর হাতে একটা পাঞ্জাবি দিয়ে রেড়ি হয়ে নিতে বলে।মিলন হেসে বলে বিয়ে তোমার পাঞ্জাবি আমাকে পরাচ্ছো কি ব্যাপার?
মিনারও হেসে বলে, ভাইয়ের বিয়েতে পাঞ্জাবি পরতে অসুবিধা কি?আর যদি বলি আজ তোর ও বিয়ে!
মিলনের হাসি থেমে যায়। অবাক হয়ে বলে,
-কিসব বলছো ভাইয়া।আমার বিয়ে কেনো হবে আজ।আজ তো তোমার বিয়ে।
-নাহ আজ আমাদের দুজনেরই বিয়ে।আব্বু আম্মু তোর জন্যও পাত্রী রেডি করে রেখেছে।
– এটা কি করে সম্ভব। আমাকে একবার জিজ্ঞেস ও করলোনা।
– কেনো তুই কি কাউকে পছন্দ করিস?
মিলন চুপ করে আছে। কি বলবে কি করবে বুঝতেই পারছেনা।তানিয়া জানলে ওকে কাঁচা গিলে খাবে।আর তানিয়াকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে কি করে করবে।
মিলন বলে,আমি এই বিয়ে করতে পারবো না ভাইয়া।
– কারণ কি?
– আমি এখন বিয়ের জন্য প্রস্তুত না।
– সে আমিও ছিলাম না।এখন দেখ এক পায়ে খাড়া!
এতসব বলিস না। সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে এখন আর উপায় নেই।রেডি হয়ে নে।
মিলন কে রেডি করে মিনার বাইরে নিয়ে আসে।মহুয়া তানিয়ার মাথায় লম্বা করে ঘুমটা টেনে দিয়ে বাইরে নিয়ে আসে।বাড়ির বড়রা সবাই উপস্তিত।মিলন উঠতে গেলেই মিনার বসিয়ে দিচ্ছে।তানিয়া তো ঘুমটার আড়ালে এসব দেখে হাসছে।মিনার মিলনকে কাবিননামায় স্বাক্ষর করতে খাতাটা এগিয়ে দিলো।কাবিননামাতে কি লেখা আছে তা মিলন দেখছেও না।সবাই বলে স্বাক্ষর করতে কিন্তু মিলন করছেইনা।আর না পেরে মিলন মহুয়ার কাছে ছুটে যায়।বলে ভাবী আপনি তো জানেন সবটা আপনি ভাইয়াকে বুঝান। মহুয়া মিনারের দিকে তাকায়। মিনার হাসছে।মহুয়া বলে ভাই আপনি যদি চুপ থাকন আমার কি করার আছে।আপনার মনের কথা আপনি বলুন।মিলন আর না পেরে বলেই দিলো আমি এই বিয়ে করতে পারবো না আব্বু আমি কাউকে পছন্দ করি।ওর আব্বু বলে সেটা আগে বলা উচিৎ ছিলো।এখন সম্ভব না।মিলন বলে আমার পক্ষে সম্ভব না।মিনার হেসে বলে, ভেবে দেখ পরে আফসোস করবি।মিলন বলে নাহ আমি করবো না।মিলন চলে যেতে গেলে তানিয়া বলে তাহলে আমি কি সে ব্যাংকার পাত্রকেই বিয়ে করে নিব দুলাভাই?
মিনার হেসে বলে সেটাই করতে হবে মনে হচ্ছে।মিলন তাকিয়ে দেখে তানিয়া কোমরে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছে।মিলন কিছুই বুঝতে পারছেনা। সবাই ওকে দেখে হাসছে।মহুয়া গিয়ে মিলনকে বলে কি ভাবছেন কই যাবেন এবার?
মিলন বলে আমাকে মুরগী বানানোর কি দরকার ছিলো ভাবী?
মহুয়া বলে আমরা তাও মুরগী বানালাম এবার সই না করলে রোস্ট হবেন।মিলন হেসে দিলো।কানের কাছে গিয়ে বলে আমি রোস্ট হলে আপনিও পোলাও হবেন আজ!
মহুয়া চোখ পাকিয়ে মিলনের দিকে তাকায়।কিছুই বুঝতে পারছেনা মহুয়া।
মিলন আর তানিয়ার বিয়ে টা সম্পন্ন হয়ে গেছে।এবার মিনার গিয়ে সোফায় বসে।বলে এবার কনে কে নিয়ে এসো তানিয়া।তানিয়া মহুয়ার হাত ধরে নিয়ে মিনারের পাশে বসে।মিনার রেজেস্ট্রি বইয়ে সাইন করে মহুয়ার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলে অসম্পূর্ণ কাজটা সম্পুর্ন করে ফেলি আজ।মহুয়া অবাক হয়ে মিনারের দিকে তাকায়। মহুয়ার মনে পরে আজ ওর ১৮ পূর্ণ হয়েছে।মিনার মহুয়ার হাতের উপর নিজের হাতটা রাখে। মহুয়া সাইনটা করে দিলো। মিনার বলে বলেছিলাম না শুধু আমার?মহুয়ার চোখ ছলছল করছে। মিনার মিলনকে ইশারা করলো কিছু একটা। মহুয়া আর তানিয়াকে আবারও মিমির রুমে পাঠিয়ে দিলো।মিনার বলে আমি না বলা পর্যন্ত যেনো কেও বাইরে না আসে।
একটু পর ফাহাদ,ওর মা আর কিছু আত্মীয় স্বজন ও আসে।ফাহাদের মা ফাহাদকে নিয়ে বসে আর এদিক সেদিক দেখতে থাকে। মিনার কে খুঁজতে থাকে কিন্তু মিনার নেই।ফাহাদ নতুন পাঞ্জাবী পরে বরের মতো বসে আছে আর মনে মনে মহা খুশি এই ভেবে ওর স্বপ্ন পূরন হচ্ছে ভেবে।একটু পর ঘোমটা টানা বউয়ের বেশে একজন এসে ফাহাদের পাশে বসে। ফাহাদ বারবার দেখার চেস্টা করছে কিন্তু পারছে না দেখতে।ফাহাদকে সাইন করতে দিলে ফাহাদ নামগুলো না পড়ে সাইন করে দিলো।এবার কনেও সাইন করে দিলো।সবাই বলে আলহামদুলিল্লাহ। ফাহাদের মা তো মহা খুশি।সব কাজ শেষ হওয়ার পর মিনার আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে ফাহাদকে হেসে কনগ্রেচুলেশন বলে।ফাহাদ মিনারকে দেখে খানিকটা অবাক হয়।কারন ফাহাদ জানে মিনার কাজের জন্য বাইরে চলে গেছে।
মিনার বলে, ফাইনালি বিয়ে করে নিলি।ভাবী আসসালামুয়ালাইকুম।
ফাহাদ বুঝতে পারছেনা মহুয়ার সাথে বিয়ে হওয়ার কথা জেনেও মিনার এতো খুশি কেনো।কারণ কি?ফাহাদ হুট করে বউয়ের ঘোমটা টেনে তুলে নিলো। যা দেখলো তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।
চিৎকার করে বলে,সাইরা তুমি?
মিনার হেসে বলে,সেকি নিজের বউকে দেখে এতো অবাক হচ্ছিস কেনো?ফাহাদ রাগে গিজগিজ করতে করতে মিনারের কলার চেপে ধরে। মিনারকে বলে,এসব তুই করেছিস তাইনা?কেনো করলি এমন?আমি তো মহুয়াকে ভালোবাসি তুই জানিস।
মিনার ফাহাদের হাত সরিয়ে বলে,তুই যদি মহুয়াকে ভালোবাসিস তাহলে সাইরার সাথে সম্পর্ক করেছিস কেনো।সাইরার জীবন নিয়ে খেলেছিস কেনো?
ফাহাদ রেগে বলে ও আমার জাস্ট ফ্রেণ্ড।
মিনার বলে, তাই বুঝি?জাস্ট ফ্রেন্ড এর সাথে বুঝি লিভ ইন রিলেশনশিপ রাখা যায়?
এসব মিথ্যা,তুই নিজে মহুয়াকে পাওয়ার জন্য এসব করছিস ফাহাদ বলে জোর গলায়।
মিনার বলে আমি না তুই মহুয়াকে পাওয়ার আশায় ভালোবাসার নাটক করছিস।আমার নাটক এর প্রয়োজন নেই। কারণ মহুয়া আমার ছিলো এখনো আমারই আছে আর আমারই থাকবে।
মিনারের বাবা মিনারকে থামতে বলে।কি হচ্ছে এসব ওনারও অজানা।
মিনার ওর বাবাকে বলে,সাইরা ফাহাদের গার্লফ্রেন্ড। বিদেশে একসাথেই থাকতো।ওদের রিলেশন অনেকদিনের।সাইরা যখন প্রেগন্যান্ট সেটা ফাহাদ জানতে পারে তখন সে এখানে চলে আসে।আর আসার পর মহুয়াকে ভালোলাগে আর যা যা করেছে সব বললো মিনার।
মহুয়া আর তানিয়া এতক্ষন আড়াল থেকে সবটা দেখছিলো। ওরা এবার বেরিয়ে আসে।ফাহাদ মহুয়ার কাছে গিয়ে বলে মহুয়া আমি সত্যি তোমাকে খুব ভালোবাসি। মহুয়া পিছিয়ে যায়। মিনার বলে, ভূলেও ভাবিস না। অহ তোকে তো বলায় হয়নি।মিনার মহুয়ার হাত ধরে বলে meet my beloved wife Mrs.Mohuya Minar Ahmed..ফাহাদ একদৃষ্টিতে মহুয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।মিনার বলে,কিরে আমাকে শুভেচ্ছা জানাবি না?
ফাহাদ মিনারের দিকে হাত তুলতে মহুয়া ওর হাত ধরে নেয়।
মহুয়া বলে,যা যা করেছেন সবটাই ভূল ছিলো আর এখন যা যা করছেন সেগুলোও সবটাই ভূল।আমাকে আপনার ভালো লাগতেই পারে।কিন্তু তাই বলে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে তো আমাকে জোর করতে পারেন না।সাইরা আপনার বউ তারথেকেও বড় কথা আপনার সন্তান এর মা হতে চলেছে।ওর সাথে অন্যায় করবেন না।ফিরে যান আর ভালো থাকুন।মোহ বেশিদিন থাকেনা।প্লিজ আমাকেও ভালো থাকতে দিন।
ফাহাদ মহুয়ার কথাগুলো শুনে বোবার মত দাড়িয়ে আছে। মহুয়া মিনারের হাতটা নিজের হাতের মধ্য নিলো।ফাহাদ সবটা দেখে চুপচাপ চলে গেলো। ওর মা সাইরাকে নিয়ে চলে যায়।বাসার সবাই চুপচাপ বসে আছে,এমন কিছু মিনার করবে কেউ বুঝতেও পারেনি।
মিনার সবার অবস্থা দেখে বলে এটা বিয়ে বাড়ি। তিন তিনটি বিয়ে হলো আর তোমরা এমন মুখ করে আছো যেনো মরা বাড়ি।মিনারের মা ও বলে ঠিক তো আমার দুই মেয়ে ঘরে এসেছে এসব চিন্তা বাদ দাও সবাই।
মহুয়া গিয়ে তানিয়াকে মিলনের ঘরে দিয়ে আসে।কিন্তু নিজে করে ঘরে যাবে সেটাই ভাবছে। আগেরবারের থেকেও বেশি টেনশন হচ্ছে।বাইরে পায়চারি করতে করতে ফোনে মিনারের মেসেজ আসে।
“তুমি নিজে আসবে নাকি আমি আসবো নিতে?”
মহুয়া দুই মিনিট ভেবে আস্তে আস্তে রুমে গেলো। ঘরটা অন্ধকার। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় মোমবাতি দিয়ে সাজানো আর পুরো ঘরে ফুলের ঘ্রানে মৌ মৌ করছে।হঠাৎ মহুয়া শুনতে পায় মিনারের গলা।মিনার মহুয়ার দিকে এগিয়ে আসছে আর গাইছে Happy birthday to you..Happy birthday to you..Happy birthday to dear mohuya.. Happy birthday to you…
মিনার আলোটা জ্বালায়। মিনারের হাতে একটা ছোট চকলেট কেক।মিনার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলে এখনো ১০ মিনিট বাকি আছে। সরি এত দেরীতে উইশ করার জন্য।বার্থডে গিফট দিতে গিয়ে আসল কাজটাই করতে দেরী হয়ে গেছে। মিনার একহাতে কান ধরে সরি বলে।মহুয়া মিনারের হাতটা ধরে নামিয়ে বলে আমার জীবনের বেস্ট বার্থডে এটা।আমি আমার সব পেয়ে গেছি। এর আগে বাবা আর তানিয়া ছাড়া আমাকে কেউ এতটা স্পেশাল ফিল করাতো না।আমি আজ সত্যি পূর্ণ।থ্যাংক ইউ সো মাচ।
মিনার হেসে বলে এসব শুকনো থ্যাংকস দিলে চলবে না।আমার রিটার্ন গিফট চাই।মিনারের হাসি দেখে মহুয়া মুখ শুকনো করে বলে কি গিফট?মিনার ভয় দেখানোর জন্য বলে যেটা তুমি ভাবছো সেটাই চাই।মহুয়া লজ্জায় লাল হয়ে গেছে পুরো।মিনার মহুয়ার গালে হাত দিয়ে বলে,মজা করছিলাম।আমি তোমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করবো না আর কস্টও দিব না মহুয়া।আই লাভ ইউ।মহুয়া মিনারকে জড়িয়ে ধরে বলে আই লাভ ইউ।আমি জানি আপনি আমাকে কখনোই কস্ট দিবেন না।এই সম্পর্কের পূর্ণতার জন্য আমি রাজি।
সেই রাতে দুজনের সম্পর্কের পূর্ণতা পায়।নতুন করে শুরু হয় পথচলা।মহুয়ার জীবনের সব অপূর্ণতা দূর হয়ে যায়।মহুয়ার এখন ভরা সংসার।সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে আনন্দে কাটছে দিন।
সমাপ্ত