মনের গহীনে সে পর্ব-১৬

0
774

#মনের_গহীনে_সে 🖤
#পর্ব- ১৬
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
‘আমি আপনাকে ডিভোর্স দিতে চাই আরহাম সাহেব। তিন মাস তো হয়েই গেলো আশা করি এখন আপনি আমাকে আটকাবেন না। ‘
হসপিটালে বেডে শুয়ে থাকা মেহেভীনের মুখে ‘ ডিভোর্স ‘ নামক তিক্ত শব্দ শুনে আরহাম কিছুক্ষনের জন্যে স্তব্ধ হয়ে গেলো। তার মনে পরে গেলো সকালে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা। মেহেভীনের দিকে গু/লি ছুড়তেই, আরহাম দ্রুত এসে মেহেভীনকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে পাশে সরিয়ে আনে, ফলে গু/লি গাছ ভেদ করে ঠেকে যায়। মায়রা এবং অন্যান্য পুলিশেরা সেই দুর্বিত্তদের পিছে ধাওয়া করলেও, তারা দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। মায়রাও পাছে গিয়ে দূর থেকে সেই দুর্ভিত্তদের গাড়ির উদ্দেশ্য
গু/লি ছুড়ে। মেহেভীনের গু/লি মারা/মারি কিছুই সহ্য হচ্ছিলো না। সে ফের অজ্ঞান হয়ে আরহামের বুকেই লুটিয়ে পরে। আরহাম মেহেভীন অজ্ঞান হয়েছে শুনে হাক ছেড়ে অন্য অফিসারকে গাড়ি বের করতে বলে। মেহেভীনের পাজকোলে তুলে নিয়ে, আরহাম গাড়ি নিয়ে রওনা হয় হসপিটালের উদ্দেশ্যে এবং বারংবার অস্হির হয়ে বিড়বিড়িয় আওড়াতে থাকে,

‘ তোমার কিচ্ছু হবেনা প্রেয়সী। তোমার আরহাম সাহেব থাকতে তোমার কিচ্ছু হবেনা। ‘

পথে যেতে যেতে আরহাম আরিয়ানকে দ্রুত হসপিটালে চলে আসতে বলে। দুর্বিত্তদের ধরতে না পেরে, মায়রাও অন্য গাড়ি নিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্য রওনা দেয়।

_____________

আরিয়ান দ্রুত পায়ে হেঁটে হসপিটালে প্রবেশ করে। আরিয়ানের সাথে অন্তুও হসপিটালে আসে। নিজের প্রানের প্রিয় বেস্ট ফ্রেন্ডের এমন অবস্হা সম্পর্কে অবগত হয়ে নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারেনি সে, অসুস্হ শরীর নিয়েই ছুটে চলে এসেছে, যদিও আরিয়ান বেশ কয়েকবার মানা করেছিলো, কিন্তু সে নাখোচ করে দেয় আরিয়ানের আদেশ। আরিয়ানের সাথে অন্তুকে দেখে কিছুটা ভ্রু কুচকে তাঁকায় মায়রা। আরিয়ান দেখতে পায় কেমন চোখমুখ শক্ত করে নিজের চুল খামচে ধরে মেহেভীনের কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আরহাম। চুল তার উষ্কখুষ্ক। মুখস্রীতে অজস্র অসহায়ত্বের ছাপ ধরা দিচ্ছে। মেহেভীনের এই অবস্হার জন্যে নিজেকেই বারংবার দায়ী করছে সে। সে এতোটাই ব্যর্থ প্রেমিক, যে নিজের ভালোবাসার মানুষকে বার বার বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আরিয়ান আরহামের কাধে হাত রেখে দ্রুত কেবিনের দিকে চলে গেলো গটগট পায়ে। সময় পেরিয়ে গেলো বেশ দুঘন্টার মতো। কিছুক্ষনের মধ্যে আরিয়ান বেডিয়ে এলো। আরহামকে ব্যস্ত হতে দেখে চোখের ইশারায় ‘সব আছে’ ইঙ্গিত দিয়ে শান্ত করলো
আরিয়ান। অন্তু সর্বপ্রথম ছুটে এসে প্রশ্ন ঠাওড়ায়,

‘আমার মেহু? সে কেমন আছে আরিয়ান ভাইয়া?
আমি তো চিন্তায় চিন্তায় একেবারে অসুস্হ হয়ে যাচ্ছি। ‘

আরিয়ান আলতো হাসলো। সত্যি অন্তু মেয়েটা যথেষ্ট ভালো। বেশ ভালোবাসে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডকে।আরিয়ান তাকে আশ্বাস দিয়ে জানালো,
‘ ডোন্ট বি প্যানিকড! এভ্রিথিং ইজ অকে নাও। আসলে এইসব মারা/মারির থেকে মেহুর ছোটবেলা থেকেই একটা ফোভিয়া কাজ করে, তাই সে বারংবার অজ্ঞান হয়ে পরছে। আর তুমি
এতো টেনশন নিও না। রিলাক্স হও। নাহলে তুমি আরো অসুস্হ হয়ে পরবে। ‘

আরিয়ানের কথা শুনে কিছুটা নিশ্চিন্ত হলো অন্তু। আরিয়ান অত:পর আরহামের কাছে কাধে হাত রেখে বললো, ‘ ভাইয়া তুই ভেতরে যাবি? ভেতরে গিয়ে দেখবি মেহুকে? চাইলে এখন গিয়ে দেখা করতে পারিস। ‘

আরহাম যেন এতোক্ষন যাবত এই অনুমতির অপেক্ষাতেই ছিলো। আরহাম দ্রত পায়ে দরজা ঠেলে কেবিনে প্রবেশ করে। ঘুমন্ত অবস্হায় তার মায়াবী প্রেয়সীকে দেখে বুকে হাত রাখলো সে। ফ্যাকাশে৷ ঘুমন্ত মুখস্রীতে হুট করে জানালার কাচ থেকে ভেদ করে আসা, এক ফালি সূর্যের রশ্নি দিয়ে আলোকিত করে গেলো। কি অপূর্ব সেই সৌন্দর্য! আরহাম এক মুহুর্তের জন্যে তার প্রেয়সীর সেই সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে, ললাটে ভালোবাসার গভীর স্পর্শ একেঁ দিলো। পরক্ষনেই মেহেভীনের হাত আকড়ে ধরে ভেজা গলায় বললো,

‘ সব আমার দোষ! আমার জন্যেই তোমার এই দশা!
আমি তোমার যোগ্য নই মেহু। আমার ভালোবাসা তোমাকে শুধু পু/ড়িয়ে ছাডখাড় করবে, কিন্তু আমি তো আমার ভালোবাসা দিয়ে, তোমাকে সুখের সাগরে ভাসাতে চেয়েছিলাম, তবে আজ কেন সব উল্টে গেলো বলতে পারো প্রেয়সী? ‘

আরহামের কথা বাইরে থেকে শুনছিলো মায়রা এবং আরিয়ান। মায়রা অবশেষে না পেরে, ভিতরে প্রবেশ করে বললো, ‘ নিজেকে দোষ দিও না আরহাম। আমরা সবাই জানি, তুমি কতটা ভালোবাসো মেহেভীনকে। আর আজকে যা হয়েছে তাতে তোমার সত্যিই হাত নেই। সত্যিই তো, কে বা নিজের ভালোবাসার মানুষের অসম্মান বসে বসে দেখবে?তুমি নিজের জায়গায় একদম ঠিক আছো। ‘

আরিয়ানও মায়রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সায় দিয়ে বললো, ‘ একদম ঠিক ভাই। আমরা জানি তুই মেহুকে কতটা ভালোবাসিস। মেহুকে তোর শত্রুদের নজরে পরতে দিবি না বলে, গোপনে নিজেদের সিক্রেট মিশন চালিয়ে যাবি বলে, মায়রার সাথে মিথ্যে বিয়ের নাটকও করলি। এতোটা কে ভালোবাসবে বল? ‘

আরহাম নিরত্তর। অন্তু কেবিনের বাইরেই দাঁড়িয়ে সব শুনছিলো। সে ও প্রবেশ করে কেবিনে। আরহামের নেত্রকোণা বেয়ে এক ফোটা জল গিয়ে মেহেভীনের হাতের পিঠে পরলো। তৎক্ষনাৎ আলতো ভাবে নিজের আখিজোড়া মেলে তাঁকালো মেহেভীন। মেহেভীনকে চোখ খুলতে দেখে, আরহাম মেহেভীনের গালে হাত রেখে কিছুটা উচ্চাস্বিত হয়ে প্রশ্ন করে,

‘ তুমি ঠিক আছো মেহেভীন? এখন কেমন লাগছে?’

মেহেভীন কি মনে করে যেন আরহামের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিলো। অত:পর গম্ভীর স্বরে জবাব দিলো,

‘ আমি ঠিক আছি। আমাকে নিয়ে না ভাবলেও চলবে আপনার। ‘

আরহাম কিছু বলতে নিলেই, তখন ‘ ডিভোর্স ‘ নামক ভয়ংকর প্রস্তাব ছুড়ে দেয় মেহেভীন।, আরহাম তখন চেয়েও পক্ষান্তরে কোনরুপ উত্তর দিতে পারেনি। মেহেভীনের হুট করে ‘ডিভোর্স’ নামক কঠিক তিক্ত প্রস্তাবের কোন সঠিক কারণ খুঁজে পাচ্ছে না আরিয়ান কিংবা মায়রা।আরিয়ান এবং মায়রা কিছু বলতে নিলে, হাত দিয়ে থামিয়ে দেয় আরহাম। কিছুটা শান্ত থেকেই সে শুধায়,

‘ ঠিক আছে তবে, তুমি আপাতত রেস্ট নাও মেহেভীন। ‘

‘ আমি বাড়ি যেতে চাই আরহাম সাহেব। ‘

মেহেভীনের কথায় আরিয়ান তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বাকিসব ফর্মালিটি পূরণ করে। অত:পর অন্তুকে বিদায় জানিয়ে, মেহেভীনকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে সকলে।

_____________

অপরদিকে অন্ধকাদ রুমে দাঁড়িয়ে আছে দামী কাতান শাড়ি পরিহিত একজন অর্ধবয়স্ক মহিলা। চোখে তার মোটা ফ্রেমের চশমা। সেই অচেনা মহিলা, আরহাম এবং মেহেভীনের বাবার ছবির মাঝখানে মেহেভীনের ছবি রেখে দিয়ে, কিছুক্ষন যাবত পর্যবেক্ষন করলো। কিছুক্ষন পর একজন ছেলে এসে বললো,

‘ আপাতত আমরা শুধু সংদেহ করছিলাম, কিন্তু আমাদের গোপন চরের থেকে সলিড খবর পেয়েছি, আরহাম এবং মায়রার বিয়ে সম্পূর্ন বানায়োট। ‘

মহিলাটি ক্ষীন্ন হেসে জবাব দিলেন, ‘ আই নো ভেইরি ওয়েল! এতো কিছু করেও কি লাভ হলো আরহাম? তোমার দূর্বলতা আমরা জেনে গিয়েছি। আকবর হোসেন অর্থাৎ মেহেভীনের বাবা এবং আরহামের থেকে একসাথে প্রতিশোধ নেওয়ার সবথেকে বড় হাতিয়ার হচ্ছে মেহেভীন। তাকে আমি যেকোন মূল্যে নি:শেষ করেই ছাড়বো। আপনজন দূরে গেলে কতটা যন্ত্রনা হয়, সেই উপলব্ধি আমি তাদের প্রতিটা ক্ষনে ক্ষনে করাবো। গেট রেডি ফর দেট। ‘

বলেই মহিলাটি বাঁকা হাসলো।

_________________

মেহেভীনকে নিয়ে সকলে তালুকদার বাড়িতে আসতেই সোফায় চিন্তিত অবস্হায় শিরিন বেগমকে দেখতে পাওয়া যায়। তার সাথে অভ্রের মা এবং অভ্র ও উপস্হিত ছিলো। আরহামের সাথে মেহেভীনকে দেখেই, অভ্র তেড়ে গিয়ে আরহামের দিকে প্রশ্ন নিক্ষেপ করে বলো, ‘ খুব তো সিক্রেট ক্রাইম অফিসার হয়েছিস, এখন মেহেভীনকে সামান্য সিকিউরিটি দিতে পারছিস না? না না, আর একটা মুহুর্তও নয়। এইবার এই সম্পর্কে আমি আর আমার মেহুকে থাকতে দিতে পারেনি। তোর কাছে মেহু একদমই সেফ নয়। মেহু আমি সব পেপারস রেডি করে ফেলছি। ‘

বলেই অভ্র ডিভোর্স পেপার বের করে মেহেভীনের সামনে তুলে ধরে। শিরিন বেগম হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে বললেন, ‘ ডিভোর্স পেপার হঠাৎ কিসের ডিভোর্স পেপার? মেহু তুই কি সত্যি সেই পেপারে সাইন দিবি?’

অভ্রের মা কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বললেন,’ আহা আপা, তুমি এতো উত্তেজিত হচ্ছো কেন? এইটাই তো কথা ছিলো, তাছাড়া আরহাম মায়রার সাথে সুখে সংসার করছে, মেহেভীনেরও তো নতুন করে সংসার করার অধিকার আছে তাই নয়? ‘

সকলকে অবাক করে দিয়ে আরহাম শান্ত সুরে বলে,

‘ মেহেভীন, তুমি চাইলে সাইন করে দিতে পারো। আমাকে কোথায় সাইন করে দিতে হবে বলো, আমি করে দিচ্ছি। আমিও তোমাকে এই সম্পর্কে বন্দী করে রাখতে চাইনা। ‘

আরহামের কথায় যেনো মুহুর্তেই পরিবেশ টা থমথমে হয়ে গেলো। সকলের চোখমুখে বিষন্নতার ছাপ। অভ্র এবং অভ্রের মা বাদে। তারা বেশ খুশি। অভ্রের থেকে পেপার নিয়ে সেইগুলো তে কোনকিছু না ভেবে বুকে পাথর চেপে তাতে সাইন করে, মেহেভীনের হাতে তুলে দিলো আরহাম। মেহেভীন হাতে পেপার টা নিয়ে, আরহামের উদ্দেশ্য বললো, ‘ এখন থেকে আপনি বরং মুক্ত হয়ে গেলেন আরহাম সাহেব। অনেক সহ্য করেছেন আমাকে। এইবার বরং মায়রা আপুর সাথে সুখের সংসার করতে পারবেন। ‘

আরহাম বহু কষ্টে নিজেকে সামলিয়ে, ক্ষীন্ন হেসে বললো,

‘ বন্দীনিকে মুক্ত করে দিলে বোধহয় তার থেকে সুখী কেউ হয়না, তবে আমার বুক কেন আজ ছাড়খাড মেহেভীন? কেন বিরহের রেশ তোমার মুখস্রীতে?’আজ তো আমরা দুজনেই মুক্ত। তাই নয়?’

আরহামের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলো না মেহেভীন। সে নিজেকে শক্ত রাখছে যথাসম্ভব তবুও আরহাম কেন তার মনের অবস্হা বুঝে যাচ্ছে? আরহাম মেহেভীনের সামনাসামনা দাঁড়িয়ে ঝুঁকে গিয়ে বললো,

‘ নতুন জীবনের জন্যে শুভকামনা। তুমি অনেক সুখ ডিসার্ভ করো, যা আমার সাথে থাকলে কখনোই পাবেনা প্রেয়সী। তোমার কষ্ট দেখার চেয়ে, আমাদের বিচ্ছেদই শ্রেয়। ‘

শেষের কথাগুলো বিড়বিড়িয়েই বললো আরহাম। মেহেভীন কী আদোও তা শুনতে পেলো। আরহাম দ্রুত উপরের দিকে চলে গেলো, সে কিছুতেই তার নেত্রকোণের অশ্রু তার প্রেয়সীকে দেখাতে চাইনা। সে চায় তার প্রেয়সী সুখে থাকুক, অন্তত বেঁচে থাকুক।
ছেলের বিরহে শিরিন বেগম ধপ করে সোফায় বসে পরলেন। তিনি জানেন তার ছেলে মেহেভীনকে ছোটবেলা থেকে কতটা ভালোবাসে। সে ভাবছে আজ যা কিছু হচ্ছে সবকিছু তার জন্যে। আরহামের জন্যেই মেহেভীনের জীবন বার বার হুমকির মুখে চলে যাচ্ছে। আরহামের মা জানেন নিজে ম/রে গিয় হলেও সবটুকু দিয়ে নিজের ভালোবাসার মানুষকে আগলে রাখবে আরহাম। তাইতো নিজের কথা চিন্তা না করে, মেহেভীনের জীবনের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে নিজের ভালোবাসাকে বিসর্জন দিয়ে দিলো।

মেহেভীন ও অভ্রের সাথে বেড়িয়ে গেলো। আরিয়ান এবং মায়রা স্তব্ধ হয়ে গেলো, মুহুর্তের মধ্যে কি হয়ে গেলো কিছুই তারা বুঝতে পারলো না। এমনকি আটকানোর সুযোগ টুকু অব্দি পেলো না।

___________

অপরদিকে গাড়িতে বসে আছে অভ্র এবং মেহেভীন। অভ্রের মা অন্য গাড়িতে আছেন। অভ্র ঠিক করেছে নিজে মেহেভীনকে তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবে। নিরবতা ভেঙ্গে মেহেভীন বললো,

‘ আমি আজই ডিভোর্স পেপারে সাইন করে, তা সাবমিট করে দিবো।৷ আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কালকের মধ্যে বিয়ের ব্যাব্স্হা করুন। আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না। ‘

মেহেভীনের এমন কথা শুনে অভ্র রাজ্য জয় করা হাসি দিলো, যদিও তার কাছে মেহেভীনের হুট করে এমন কার্যকলাপ রহস্যময় লাগছে তবুও তাতে তেমন গুরুত্ব দিলোনা। অভ্র গাড়ি চালাতে লাগলো মেহেভীন তা দেখে তাচ্ছিল্যের এক হাসি দিলো।

চলবে কী?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে