মডেল মিফতা পর্ব : ২
গল্পবিলাসী – Nishe
মিফতা খাটে বসে আছে। এই মুহুর্তে নিরবের কথাগুলোর কঠোর জবার তার কাছে আছে। সে চাইলেই এখন নিরবকে কথাগুলো শুনিয়ে দিতে পারতো। কিন্তু না, সবকিছুরই একটা সময় থাকে মা বলেছিলো।
-” ভাবি আসবো? ”
-” ফাহিমা! আসো। ”
-” চলো চা খাবে।আচ্ছা ভাবি! তুমি কিসে পড়ো? ”
-“অনার্স ফার্স্ট ইয়ার। ”
-“ওয়াও!!! তারমানে আমার থেকে মাত্র ওয়ান ইয়ার সিনিয়র? ওয়ান ইয়ার কোনো ব্যাপার হলো? আজ থেকে আমরা ফ্রেন্ড কেমন? ” বলেই হাতটা হেন্ডশ্যাকের জন্য বাড়িয়ে দিলো মিফতা হেসে হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে
-“ওকে! আজ থেকে আমরা ফ্রেন্ডস ”
-“জানো ভাবি! আমাদের বাসায় তেমন কোনো গেস্ট আসেনা। কজ সবাই আউট অফ কান্ট্রি। বড় ভাইয়া ভাবিকে নিয়ে প্যারিসে, বড় আপু ফেমিলি সহ আমেরিকা। আর ছোট ভাইয়া! সেতো থাকা আর না থাকাই সমান। আর থাকলেও মেজাজ পাঁচশো ভোল্টেজ থাকে। তার সামনে যেতেই শরীরে কম্পন সৃষ্টি হয় “বলেই হাসতে লাগলো। কথা বলতে বলতে ডায়নিং এ চলে এলো দুজন। বাবা মা বসে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আমরা আসতেই খাওয়া শুরু করলেন কিন্তু নিরবকে দেখা যায়নি। সবাই মিলে নাস্তা করছিলাম
-“বৌমা! আমাদের ফেমিলিতে বিয়ের রাতেই বৌয়ের কাবিনের টাকা দিয়ে দেয়া হয়। গতকাল হঠাৎ করেই সব হলো তাছাড়া নিরবটাও কেমন রেগে আছে দেখে আমিও আর এই ব্যাপারে কথা বাড়াইনি। সকালে রেবেকা বললো ওর অফিসে নাকি আর্জেন্ট মিটিং পরে গেছে তাই ঢাকা চলে গেছে শেষ হলেও চলে আসবে। ”
-“ঠিকাছে বাবা।কোনো সমস্যা নেই”
-“তোমার কাবিন আমি দশলাখ টাকা করেছি যদিও তোমার বাবা বারন করেছে কিন্তু আমি শুনিনি। ”
“দশলাখ কথাটা শুনে মিফতা অবাক হয়ে যায়।তার বান্ধবি মিরার বিয়েতে ছেলেপক্ষ কাবিন করেছিলো মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকা এই নিয়েই তো কতো কথা হয়েছিলো।
-“এই নাও এখানে পুরো টাকা। তুমি চাইলে ব্যাংকে রাখতে পারো বা তোমার যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারো সেটা পুরোটাই তোমার উপর ডিপেন্ডেড। ”
সবাই চুপচাপ কথা শুনছে মিফতা একবার শ্বাশুড়ি আর ফাহিমার দিকে তাকালো সবাই মনযোগ সহকারে চা খেয়ে যাচ্ছে।
-“বাবা! বলছিলাম যে টাকাগুলো আপনার কাছেই থাক আমার যখন দরকার হবে তখন নাহয় আমি চেয়ে নিবো। ”
-” এমা! কেনো? তোমার টাকা তোমার কাছে থাকাই ভালো ” পাশ থেকে শ্বাশুড়ি মা বলে উঠলেন।
-“মা! আমিতো অন্য কোথাও রাখছিনা, আমি আমার বাবার কাছেই রাখছি। ” মিফতার কথা শুনে সবাই তাকিয়ে আছে ওর দিকে। মিফতা আবার বলতে শুরু করলো
-“মা বলতো মুক্তা যেমন ঝিনুকের ভিতর সবচেয়ে বেশি নিরাপদ, একটা মেয়ে তার বাবার কাছে ঠিক ততোটাই নিরাপদ। আমিতো আমার আরেক বাবার কাছেই আছি। ”
-” দেখলে রিবু! কিরকম মেয়ে নিয়ে এলাম তোমার জন্য? ”
-“হুম। খাটি সোনা। আল্লাহর কাছে শোকরিয়া। আল্লাহ যেনো তোমাকে সবসময় সুখে রাখে ”
-“আপনারা পাশে থাকলে আমি সবসময় সুখী ” নাস্তা টেবিলে মিফতাকে নিয়ে আরো অনেক কথা হয় কোথায় থেকে কোন গ্রুপ থেকে পাশ করেছে এইসব নিয়ে।
“ভাবি! তোমার এতো ভালো রেজাল্ট নিয়েও ন্যাশনালে কেনো? ভালো ভার্সিটিতে টিকতে পারতে। ”
-“আগে দেয়নি তাতে কি এবার দিবে তোর সাথে তাছাড়া বৌমাতো গত বছর পাশ করেছে এবার তো এপ্লাই করাই যাবে। ”
শ্বশুরের কথা শুনে মিফতা অবাক হলো। ভার্সিটিতে পড়াবে ওকে? ভাবতেই কেমন জানি লাগছে।
-“হ্যা ভালোই হলো ভাবিও সাইন্স থেকে আমিও সাইন্স। এক ভার্সিটিতে টিকে গেলে ব্যাস আমাদের আর পায় কে! কি বলো ভাবি? ”
মিফতা বিনিময়ে একটু হাসলো।
-“আচ্ছা আমি তাহলে উঠছি। আমার আবার এক্সাম আছে। একটু পড়তে হবে এগারোটায় এক্সাম। ”
-“রিবু! আমিও আসি কেমন? ” বলে বাবাও বেড়িয়ে গেলেন। মা আমাকে পুরো বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখালেন। অনেক গল্প জুড়ে দিলেন।
-“মা! বলছিলাম যে, রান্না কি আপনিই করেন? ”
-” নাহ শেফালি করে। আমার প্রেশার একটু বেশি। এখন ঠিক আছিতো তো কিছুক্ষন পরেই অবস্থা বেহাল। তাই কেউ আমাকে চুলোর কাছে যেতে দেয়না। ”
-” আজ তাহলে আমি করি? ”
-” না! আজকেই কেনো? সারা জীবন ইতো করতে হবে, এখন নিজেকে আগে গুছিয়ে নাও সবকিছু চিনে নাও তখন নাহয় করো? ”
আমিও মাথা নেড়ে হ্যা জানালাম। বিকালে ফাহিমা আসতেই আমার রুমে এসে আড্ডা জমিয়ে দিলো। ফাহিমা খুব মিশুক স্বভাবের। দেখতেও খুব মিষ্টি। এভাবেই কেটে গেলো পুরো তিনদিন। তারমধ্য নিরব একবারও আসেনি আর খোজঁ করা তো দূরের কথা। মিফতাও সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ করেনি। বিকেলবেলা হঠাৎ করে বাবা এলেন।বাবাকে দেখেই একপ্রকার ছুটে যায় মিফতা সাথে ইফতিও এসেছে।
-” কিরে কেমন আছিস মা? ”
-“আমি ভালো আছি বাবা তোমরা কেমন আছো? মোহনা আর মা কেমন আছে? ”
-” আছে ভালোই। ইফতি কালকাই আসলো তোরে দেখার লাইগা কেমন করছিলো এরলাইজ্ঞা নিয়া আইলাম।” -” ভালো করেছো চলো ভিতরে চলো।
-” ভিতরে আসতেই সবাই নিচে নেমে এলো। সবার খোঁজখবর নিচ্ছে বাবার সাথে। আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি দুজনেই গল্প করতে লাগলো।
-“আপু! এতোবড় বাড়ি!!!! তুমি কি এখানেই থাকো? ”
-“হ্যা আমি এখানেই থাকি। আচ্ছা চল আমার রুমে চল। ” বলে ইফতিকে সবটা বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখালাম। ” এইযে মহারানী! ভাইকে নিয়ে ঘুরলেই হবে? খাওয়াতে হবেনা? ”
-“আসছি। ইফতি চল। ” সবাই ডায়নিং এ বসে নাস্তা করছে কিছু টুকটাক কথাবার্তা চলছে।
-” ভাইজান! মাইয়াডারে নিয়া যদি জামাই বাবা একটা দিন থাইকা আইতো ভালো হইতো না? ”
মিফতা শ্বশুরের জবাব শুনার জন্য অপেক্ষা করছে।
-“আসলে বেয়াই সাব! আমার ছেলেটার চাকরি হলো দুইমাস এখনো হয়নি তাই একটু ব্যস্ত আছে। ”
-” বাবা! এইটা কোনো কথা হলো? ভাইয়া ব্যস্ত তো কি হয়েছে আমি আছিতো। কালই ভাবিকে নিয়ে ভাবিদের বাড়িতে যাবো।ভাবির মনটাও ফ্রেশ হবে। ”
-” হ্যা তাই বরং ভালো হবে। ফাহিমা আর বৌমা দিয়ে দুদিন বেড়িয়ে আসবে। ”
-” তাইলে এই কথাই রইলো ভাইজান আজ তবে আমি উঠি। ”
-“আরে উঠি মানে? ”
-” আজকে থাকতে হবে “পাশ থেকে শ্বাশুড়ি মা বলে উঠলেন
-“না আপা আল্লাহ বাঁচাইলে পরে আবার আসবোনে। ”
-” ফাহিমা ড্রাইভারকে বল তাদের পৌঁছে দিয়ে আসতে। ”
-“না না তার দরকার নাই ভাইজান ” কিন্তু শ্বশুর মশাই এক কথার মানুষ তাই শেষ পর্যন্ত গাড়িতেই যেতে হলো তাদের। পরদিন ফাহিমাকে নিয়ে চলে এলাম আমাদের বাড়িতে। ফাহিমা যে ঠিক কতোটা খুশি হয়েছে। আমার প্রতিটা ফেমিলি মেম্বারদের সাথে মিশে গেছে। এইভাবেই বিবাহিতো দিনগুলি কাটিয়ে দিচ্ছিলাম।বাবা আমার পরিবারটাকে নিজের দায়িত্বে নিয়ে নিয়েছিলেন। মোহনা আর ইফতির লেখাপড়ার জন্য যাবতীয় খরচ বহন করেন। দেখতে দেখতে কেটে গেলো পুর দুইটা বছর। বিয়ের পর আর নিরবের সাথে দেখা হয়নি। শুনেছি দুইবার নাকি এসেছিলো কিন্তু আমিই ছিলাম না।
এমনকি আমার একটা খোজঁ ও নেয়নি।মাঝেমধ্যে মায়ের সাথে কথা বলতে শুনতাম। মা কিছু বললেই চেঁচিয়ে কিছু কথা বলে কল কেটে দিতো তাই বাবা নিষেধ করে দিলেন আর কল যেনো রিসিভ না করে। মা এই নিয়ে খুব কাদঁতো। প্রায় কেঁদে কেঁদে বলতো আমার ছেলেটা মানুষ করতে পারলাম না মিফতা । এই দুই বছরে নিজেকে অনেক সামলে নিয়েছি। শুনেছি সবার ভাগ্যে সব থাকেনা। হয়তো আমারও নেই স্বামীর সাথে সংসার করা। ফাহিমার সাথেই একরুমে থাকা হলো এই দুইটা বছর। কিভাবে কেটে গেলো এতোগুলো দিন ভেবেই পাইনা। পরিবারের প্রতিটা মানুষ কেমন যেনো আপন হয়ে গেছে চাইলেও ছাড়তে পারবেনা মিফতা। অনেক ভেবেছে চলে যাবে কিন্তু পরোক্ষনেই আবার মন সায় দিলোনা। বাবা, মা, ফাহিমা ওদের জন্য মন কেমন করে উঠে। প্রতিটা রাত ঘুমিয়ে পরলেও কেমন জানি একটা কষ্ট হয়। মনেহয় কি যেনো হারিয়ে গেছে মন থেকে। প্রায় সময় নিরবের ছবিতে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে কাটিয়েছি। মাঝেমধ্যে খুব কথা বলতে ইচ্ছে হতো কিন্তু নিজেকে সামলে নিয়েছি। মনকে শান্তনা দিয়েছি এই ভেবে ” সেতো তোকে চায়না তাহকে কিভাবে তার হয়ে থাকবি? “মাঝেমধ্যে মোভিতে যখন হিরুর বুকে হিরুইন মাথা রেখে ঘুমায় এই সিন গুলো দেখতো তখন খুব ইচ্ছে হতো ” ইস আমিও যদি এইভাবে থাকতে পারতাম ” এইসব ভেবে ভেবেই কাটিয়ে দিলাম দুইটা বছর।
মোহনা এখন ইন্টার পরিক্ষার্থী। আমি আর ফাহিমা দুজনেই সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন এন্ড ডিজাইনিং নিয়ে পড়ছি।
কেটে গেছে দুইটা বছর। এই দুইটা বছরে নিজেকে একটা গাধাই মনে হয়েছে। গাধার মতো খেটে কাজ করেছে। কোনো দিকে নজর নেয়নি। গতকালই সব কাজ শেষ হলো। এখন অফিসটা তার নিজের ভাবতেই কেমন জানি একটা ভালোলাগা বয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তার মধ্যেও আজকে মিফতা মেয়েটার কথা বারবার মনে পরছে। অবশ্য বিকেলবেলা থেকেই। ওই কাপলটার কথাগুলো শোনার পর থেকেই খুব বেশি দেখতে ইচ্ছে করছে।
গতকাল অফিসের ঝামেলা শেষ তাই দুইদিন অফিস ছুটি দিয়ে দিলাম এমপ্লয়ীদেরও একটু রেস্টের দরকার। বিকেলবেলা মুডটা রিফ্রেশ করতে ঘুরাঘুরির উদ্দ্যেশে বেড়িয়ে এলাম।কিছুক্ষন পর রেষ্টুরেন্টের কর্নারসাইট একটা টেবিলে বসে কফি খাচ্ছিলাম । প্রায় অনেকগুলো কাপল আছে মাঝেমধ্যে একাও কয়েকজন কে দেখা যাচ্ছে তবে খুব একটা বেশি না। নিরবের ঠিক সামনের টেবিলটাতে একটা কাপল বসেছে। ওদের বিহেভিয়ার দেখেই বুঝা যাচ্ছে ওরা মেরিড। ছেলেটা মেয়েটার অভিমান ভাঙানোর অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু মেয়েটা কেঁদেই যাচ্ছে। সেদিকে একমনে তাকিয়ে আছে নিরব।
নিরবকে অবাক করে দিয়ে ছেলেটা হঠাৎ করেই মেয়েটার পায়ের কাছে হাটু গেড়ে বসে পরে কান ধরে। তারপর বলে উঠে
-“আম সো সরি বেবি আর জীবনেও এমন হবেনা প্লিজ এবারের মতো ক্ষমা করে দাও। আই প্রমিজ নাহ ( মেয়েটার মাথায় হাত রেখে) এইযে তোমার প্রমিজ আর কখনো হবেনা ” নিরব শুধু তাকিয়ে ছিলো। একটা সময় মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতেই ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে
-” তুমি জানো আমি কতোটা ভয় পেয়েছিলাম কতো কিছু মনে হচ্ছিলো এই বুঝি তুমি হারিয়ে গেছো আর আসবানা আরো কতো কি ”
-” আম সো সরি বেবি আর কখনো হবেনা “বলতে বলতে মেয়েটার চোখের পানি মুছে কপালে একটা চুমু খেয়ে পাশে টেনে বসিয়ে দিলো। ছেলেটার কাধেঁ মাথা রেখে বসে আছে মেয়েটা। -” দেখলে নেহা আজ থেকে মাত্র একমাস আগেও দুজন দুজনকে মেনে নিতে পারছিলাম না আর আজ? মাত্র দুইদিন কোনো যোগাযোগ করিনি বলে কেমন একটা সিচুয়েশন হয়ে গেছে?
আমার কি মনেহয় জানো? এইটা আল্লাহর দেয়া পবিত্র বন্ধন বিয়ে দ্বারাই সম্ভব। “এইভাবেই অনেক কথা বলছিলো। হঠাৎ করে কেনো জানি মিফতার কথা মনে হলো। কেমন যেনো একটা ফিল হচ্ছে। হঠাৎ করেই খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। এই দুই বছরে কোনো খোজঁ করেনি নিরব। একটা বারের জন্যও কথা বলেনি বাড়িতে দুইবার গিয়েও দেখতে পায়নি। প্রথমবার বাবার বাড়িতে ছিলো আর পরের বার সিলেটে। এইসব ভাবতে ভাবতেই প্রায় রাত দুইটা বেজে গেলো কিছুতেই ঘুম আসছে না। লেপটপটা অন করলাম। অনেকদিন বন্ধুমহলে আড্ডা দেয়া হয়না। ওদের সাথে কথা বললে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে ভেবেই লেপটপটা নিয়ে বসলাম। মেসেঞ্জারে পরে আছে হাজারো মেসেজ সিন করার ইচ্ছেটাই উড়ে গেছে। ফেইসবুক একাউন্ট টা লগইন করে নিউজফিডে ঘুরাঘুরি করছিলাম।হঠাৎ করেই একটা ছবিতে চোখ আটকে যায় ছবিটা আজকেই পোষ্ট করা হয়েছে দুই ঘন্টা আগে। ছবিটা ছিলো কোনো গ্রাম দিকের পরিবেশে। একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে একটু সাইড করে মুচকি হেসে পেছনে তাকিয়ে আছে আর পেছন থেকে ফাহিমা একটু সাইড করে দাঁড়িয়ে হাসি দিয়ে আছে থেকে। খুব সুন্দর একটা ছবি। ক্যাপশনটা ছিলো “হ্যাপি বার্থডে মাই মিফতু বেবি।”আজকে মিফতার জন্মদিন? ফাহিমার আইডি থেকে মিফতাহুল ইরা নামক একটা আইডিতে পোষ্ট করেছে। এক মনে তাকিয়ে আছি মেয়েটার দিকে। আরো কিছুক্ষন ফেইকবুকে ঘুরাঘুরি করে বেড়িয়ে পরলো নিরব।
“আরে আইতাছি আইতাছি বেইলটাই নষ্ট কইরা ফেলতাছে। ”
বলতে বলতে শেফালি গিয়ে দরজা খুলে
“আরে ছোট ভাইজান!!! এতোদিন পরে বাড়িত আইতে মন চাইছে আফনের? খালাম্মা খালি কাইন্দা শেষ ”
শেফালির কথায় হালকা হাসলো নিরব সত্যিই তো এতোদিনেই কেনো ইচ্ছে হলো তারপরেও বলতে লাগলো
– “হ্যা এলাম। অনেক ব্যস্ত ছিলাম তো তাই। তা কেমন আছো তুমি? ”
-” আমি ভালই আছি ”
-” কাউকে দেখছিনা যে বাসায় কেউ নাই? ”
” “আইচ্ছা ভাইজান আফনে হাত মুখ ধুইয়া নেন আমি আফনারে কফি দিতাছি। চুলায় রান্না করতাছি পুইড়া যাইবো ” বলেই নিরবকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে গেলো।
আমিও রুমে চলে এলাম। বাসায় কাউকে ডেখছিন নিশ্চয়ই কেউ বাসায় নাই। ফ্রেশ হয়ে এসে বারান্দায় বসে ভাবছি মিফতা কি এই বাসায় থাকেনা? তার রুমে তো কোনো মেয়ে থাকে বলে মনে হয়না। কারন কোথাও মেয়েলোকের কোনো জিনিস নাই কাবার্ডেও কোনো জামা কাপড় দেখা গেলোনা।
তাহলে কি মিফতা বাবার বাড়িতে চলে গেছে? নাকি হোস্টেলে?
থাকবেই বা কি ভেবে? একটা মেয়ে সবকিছু ছেড়ে চলে আসে স্বামী নামক মানুষটার কাছে। সেখানেতো সে নিজেই তাকে এক্সেপ্ট করেনি এমনি খবর রাখেনি থাকবেই বা কি আশায়?হঠাৎ শেফালিরর কন্ঠ ভেসে এলো
-” বৌমনি আফনের মোবাইল বাজতাছে ”
চলবে
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ??? https://www.facebook.com/nishe.ratri.9809
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.