#গল্পঃভালোবাসায়_তুমি_আমি
#পর্ব২২
#লেখিকাঃ রাদিয়াহ রাফা রুহি
সকালের মিষ্টি রোদ জানালার কাচ ভেদ করে আছড়ে পরছে নীলার মুখে।নীলা নড়ে চড়ে উঠলো। হঠাৎ সে তার পেটে ভাড়ী কিছু অনুভব করলো। সে এদিকে পাশ ফিরে তাকালো। তাকাতেই সে চমকে গেলো।কারণ তার পাশেই শুভ্র শুয়ে আছে। আর তার একটা হাত তার পেটের উপর দেওয়া।
নীলার অদ্ভুত একটা শিহরণ হতে লাগলো।সে শুভ্রর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।নীলা আরো কিছু টা এগিয়ে গেলো খুবই সাবধানে।
সে শুভ্র একেবারে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলো।মনে হয় সারাদিন এইভাবেই দেখতে থাকি।এই মানুষ টাকে তার না দেখতে পেলে ভালো লাগে না!!
আচ্ছা মানুষ টাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি।। কেন তার সৌন্দর্য্য সব সময় আমাকে কাছে টানে। কেন ছটফট করতে থাকে এই চোখ দুটো উনাকে দেখার জন্য। এই তুহিনা আসার পর থেকে সে এটা ফীল করতে পেরেছে।
আসলে শুভ্র যে ভাবেই থাকুক না কেন ওকে সেভাবেই সুন্দর দেখতে লাগে। একটা এর্যোগেন্সের ছাপ রয়েছে। নীলার অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে। নীলার হঠাৎ শুভ্রর লাল গোলাপি শুকনো ঠোঁটের দিকে চোখ আটকে গেলো।সে না চাইতেই শুভ্রর ঠোঁটে হাত নিজের কোমল হাত দিয়ে আলতো করে ছুঁয়ে দিলো। তার এই মুহুর্তে আর একটা কাজ করতে মন চাইছে। মনে হচ্ছে এই ঠোঁটে জোরে একটা বাইট বসিয়ে দেই। খুবই লোভনীয় লাগছে শুভ্রর ঠোঁট জোড়া যা নীলাকে আকৃষ্ট করছে।নিজের অবাধ্য মনকে শান্ত করতে পারছে না সে। তাই সে আস্তে আস্তে নিজের মুখটা শুভ্রর দিকে অগ্রসর করতে থাকলো আর আলতো করে শুভ্রর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ছঁইয়ে দিলো।
আর সঙ্গে সঙ্গে শুভ্র হালকা নড়ে উঠলো। নীলা ঝট করেই উল্টো দিকে পাশ ফিরলো।আর নিজের মুখ চেপে ধরলো। এইরে টের পেলো নাকি।নিজের মাথায় নিজেই একটা গাট্টা দিলো।কি সব করে বসিস তুই নীলা। যদি জেগে যেতো তাহলে কি লজ্জাজনক একটা অবস্থায় পরতে হতো তাকে।ইশ ভাবতেই কেমন লাগছে।আর থাকা যাবে না আবার কখন কি করে বসি নিজেই বুঝতে পারবো না।
নীলা শুভ্রর হাত টা আস্তে আস্তে নিজের পেট থেকে সরিয়ে দিলো। আর উঠে পরলো বিছানা থেকে।
তারপর একটা ড্রেস হাতে নিয়ে চলে গেলো বাথরুমে।
নীলা যেতেই শুভ্র চোখ খুলে তাকালো।আর কিছুক্ষন আগের কথা ভাবলো।নীলা যে তাকে এইভাবে কিস করবে সে ভাবে নি।হ্যাঁ শুভ্র জেগে গেছিলো যখন নীলা ওর ওঠো হাত বুলাচ্ছিলো।আর সে ইচ্ছে করেই চোখ বন্ধ করে ছিলো।সে দেখতে চেয়েছিলো নীলা ঠিক কি করে। তাহলে কি আমি যা ভাবছি সেটাই।নীলাও আমাকে — কিছু একটা ভেবে মুচকি হাসি দিয়ে চোখ টা বন্ধ করে ফীল করতে লাগলো কিছুক্ষন আগের মুহুর্ত টাকে।
নীলা বিশ মিনিট পর বাথরুম থেকে বের হয়ে এলো।সে একটা কালো রঙের চুরিদার পরে বের হলো। গীল্ডেন ওড়না আর গোল্ডেন চুরিঙ্গা আর কালো রঙের জামার উপর গোল্ডেন সুতার কাজ।খুবই নিঁখুত ভাবে কাজ টা করা হয়েছে।কালো রঙের ওপর গোল্ডেন কাজ আরও সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলো। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলো। সে কখনো সাজ গোজ করে নি।সব সময় খালি লিপস্টিকবিহীন ঠোঁটেই থেকেছে। আজ কে তার খুব করে মন চাচ্ছে নিজেকে একটু সাজাতে।বাট সে লিপস্টিক কোথায় পাবে।
কিচ্ছু করার নেই তার। কারণ সে এখন কোনো ভাবেই নিজের ইচ্ছে টা পুরন করতে পারবে না।
সে নিজের মনে চুল গুলো আচড়ে নিচ্ছে।
এদিকে শুভ্র তার প্রিয়সীকে দেখতে ব্যাস্ত। সে চোখ খুলে নীলাকে দেখে যাচ্ছে। ওর ফর্সা স্কিনে গোল্ড কালার যেনো নীলার স্কিনের সাথে একদম আরো বেশি সুন্দর ভাবে মিশে গেছে।
নীলা চুল গুলো আচড়ে পিছন দিকে ফিরে তাকালো। আর দেখলো শভ্র তার দিকে তাকিয়ে আছে। আচ্ছা শুভ্র যে কালকে বললো সত্যিই কি আমি খুব ব্লাস করছিলাম। এটা ভেবেই সে লজ্জায় মিইয়ে গেলো।
শুভ্র আস্তে আস্তে বিছানা থেকে ধীর পায়ে হেটে এগিয়ে যাচ্ছে নীলার দিকে তাকিয়ে থেকেই।
সে যেনো নিজের হিতাহিত জ্ঞান শুন্য হয়ে গেছে এই মুহুর্তে। সে হাড়িয়ে যাচ্ছে নীলার মাঝে। সেই নীল চোখে। ওর চোখ গুলো যেনো কোনো টলমল জলের স্বচ্ছ সরোবরের মতো। যাতে মাঝে মাঝে কাঁপন ধরছিল। তার মোমের মতো ফর্সা মুখ — তার কাপতে থাকা চোখের লম্বা লম্বা আই লেস গুলো নীলার সুন্দর মুখশ্রী কে আরও নিখুঁত করে তুলেছিল। তার লিপস্টিক বিহীন ঠোঁট দুটো ছিলো ঠিক কমলার লেবুর কোয়ার মতো!! ওগুলো দেখে যে কারোর মনে কামনা আর উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।ওবং হৃদয়ে ডিস্টার্বিং তৈরি হতে পারে।যেমন টা শুভ্রর এখন হচ্ছে।
নীলা দেখলো শভ্র তার দিকে এক পা এক পা করে এগিয়ে একদম কাছে চলে এসেছে। নীলা শুভ্রর সেই নেশাতুর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলো শুভ্রর চোখ যেন আজ অন্য কিছু বলছে।
নীলা পিছিয়ে যাচ্ছে আর শুভ্র সে নিজের মতো এগিয়ে যাচ্ছে। দুজনের কেউই কথা বলছে না।
নীলা এক সময় পিছনে থাকা আয়নার সাথে লেগে বসতেই ড্রেসিনের উপর রাখা জিনিস ফ্লরে পরে যায়। সেদিকে দুজনের কোনো খেয়াল নেই।তারা দুজনেই এখন কেউ কারোর মধ্যে নেই।
নীলা অস্ফুটস্বরে বললো—-কক্ক—কি করছেন শুভ্র।
শুভ্র নীলার কোনো কথায় না শুনে ওর একটা হাত চেপে ধরলো। নীলার হাতের আঙুলের ভাজে ভাজে নিজের আঙুলগুলো দিয়ে আরেকটা হাত আয়নার উপরে ভর রেখেছে।আস্তে আস্তে নিজের মুখটা অগ্রগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নীলার দিকে।
এদিকে নীলার তো নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।ঘনঘন নিশ্বাস নিচ্ছে। শুভ্রর এইভাবে হুটহাট কাছে আসা। তার শরীরের শিরা উপশিরায় কম্পন সৃষ্টি করছে।সে শিহরিত হয়ে কেপে কেপে উঠছে। নীলা চোখ বন্ধ করে নিজের হাত দিয়ে চেপে ধরেছে।
শুভ্র আর নীলার মাঝ খানে এক ইঞ্চি পরিমাণ গ্যাপও ছিলো না। একে অপরের নিশ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ সেখানে নেই।
হঠাৎ শুভ্র নিজের মুখ টা নীলার কানের কাছে নিয়ে গিয়ে নেশাত্বক কন্ঠে বললো তোমাকে লিপস্টিক বিহীন ঠোঁটেই বেশি সুন্দরী দেখায়।সো লিপস্টিক এর প্রয়োজন হবে না।আর যদি তুমি লিপস্টিক দাও তাহলে তোমার অই ঠোঁট জোড়ায় প্রচন্ড ভাবে কামড়ে দিবো।
নীলা চোখ খুলে দেখে শুভ্র ওর দিকে মুখ টা আলতো বাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছেন। আর উনার কথায় এতটা মাদকতা কেন। এই কন্ঠই যথেষ্ট একটা মেয়ের উনার প্রেমে পরার জন্য।
শুভ্র নীলার হাত ছেড়ে দিয়ে ওখান থেকে চলে আসলো। আর বাথরুমে চলে গেলো
এমন ভাব করলেন যেনো কিছুই হয়নি।
শুভ্র চলে যেতেই নীলা যেনো হাপ ছেড়ে বাঁচলো।সে বুকে হাত দিয়ে বড় বড় নিশ্বাস ফেলতে থাকে। আচ্ছা উনি কি করে বুঝলেন আমি লিপস্টিক দিতে চাইছিলাম।সে ভাবতে ভাবতে বিছানায় বসে পরলো।
কিছুক্ষন আগে যা হলো সেটা কি ছিলো। শুভ্রর মাঝে মধ্যে এহেন কান্ড কেন করে নীলা এখনো বুঝতে পারলো না। আচ্ছা উনি আমাকে ভালোবাসে নাকি না।আমি যে স্পষ্ট উনার চোখে আমার জন্য ভালোবাসা দেখতে পেলাম আজ আবারও। তাহলে কাল রাতে কি আমি ভুল শুনলাম। উনাকে ভুল বুঝছি না তো আমি।অন্য কিছু আছে নিশ্চয়ই। আমি পুরো বিষয় না জেনে কিছুতেই শুভ্রকে ভুল বুঝবো না।আমাকে জানতে হবে আসলে ব্যাপার টা ঠিক কি।
নীলা আর বসে না থেকে নিচে নেমে আসে।এসে দেখে শাশুড়ী মা ফিহা কে খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন। বাট ফিহা খাচ্ছে না।
আরে এঞ্জেল মা খাচ্ছো না কেন।দুস্টুমি করে না মা খেয়ে নাও।
মা আমি তোমার কাছে খাবো।কখন থেকে বলছি তোমাকে যেনো ডাকে।আমি ডাকতে যাচ্ছিলাম আমাকেও যেতে দিচ্ছিলো না।
মা আপনি আমাকে ডাকতেন। আমি খাইয়ে দিতাম ওকে।
না মা আমি ভাবলাম তুমি ঘুম থেকে উঠনি।তাই ডাকিনি। শুধু ঘুম টা ভেঙে যেতো তোমার।তাছাড়া মা তুমি না থাকলে তো আমাকেই ওকে খাইয়ে দিতে হয়।
মা আমার অভ্যাস আছে সকালে ঘুম থেকে উঠার। আমি তো আমার বাড়ি তে খুব সকালে উঠে সব কাজ করে তবেই কলেজ যেতাম।
তাই বলে এখানেও ডাকতাম নাকি। আমি অমন দজ্জাল শাশুড়ী নয়। যে সকাল সকাল নিজের ছেলের বউ কে ডেকে তুলে বাড়ির সকল কাজ করাবো। আমি তো তোমাকে আমার হিয়ার থেকে আলাদা চোখে দেখি না।
নীলার চোখে পানি চলে এসেছে। এই ভাবে তার জন্য এই প্রথম কাউকে ভাবতে দেখলো।সে মাথা নিচু করে নিলো।
ফিহা বললো ও মা মা তুমি কি কাদছো।
আরে নীলা মা তুমি কাদছো কেন।
আসলে ছোট বেলা থেকে লাথি গুড়ি খেয়ে বড় হয়েছি তো এইভাবে আমাকে নিয়ে কেউ ভাবেনি আর কেউ ভালোবাসেনি।মায়ের আদর কি আমি জানতাম না।আজ মনে হচ্ছে আমি সবচেয়ে সুখী মানুষের মধ্যে একজন।এটা আমার যে আমার সুখের কান্না।
আচ্ছা ডোন্ট ওয়ারি মা। তাই বলে তুমি কাদবে। আমি কিন্তু এবার খুব বকবো।
আচ্ছা মা কাদবো না। এঞ্জেল সোনা এদিকে আসো আম্মু আমি তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছি।
মোল্লিকা ফিহাকে নীলার দিকে পাঠিয়ে দিলো।
নীলা ফিহাকে কাছে নিয়ে খাওয়াতে খাওয়াতে বললো।আচ্ছা এঞ্জেল আমি যখন ছিলাম না তখন তুমি কার কাছে খেতে বলো তো।
।
কেনো দাদুনের কাছে।তখন তো তুমি ছিলে না তাই তো দাদুন আমাকে খাইয়ে দিতো।
তাহলে আমি তো বাড়িতে সব সময় থাকি না। আমার তো কাজ থাকে।তাহলে আমি যখন না থাকবো তখন তুমি আর কিন্তু না খাওয়ার বায়না করবে না।দাদুনের কাছে খেয়ে নিবে।
আর আমি যখন থাকবো তখন না হয় তোমাকে তোমার মা খাইয়ে দিবে ঠিক আছে।
কিন্তু আমার তো তোমার থেকে খেতেই ভালো লাগে।
আমি তো বললাম আমিই তোমাকে খাইয়ে দিবো।আমি না থাকলে লক্ষ্যি মেয়ের মতো দাদুনের কাছে খেয়ে নিবে। আর এঞ্জেল আমার কথা না শুনলে মাম্মাম তোমার সাথে আড়ি করে দিবে ।
ঠিক আছে মা আমি দাদুনের সব কথা শুনবো। তাও তুমি আড়ি করো না।
ঠিক তো। এইতো আমার এঞ্জেল গুড গার্ল।
এই বলে নীলা ফিহাকে জড়িয়ে ধরলো। ফিহাও আবেসে নীলাকে ধরে নিলো।
মোল্লিকা সবটা দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখলো। কান্নায় ভড়ে উঠলো তার চোখ। তিনি আড়ালে নিজের চোখ মুছে নিলেন। তিনি তো এরকম একটা মেয়ে চাইছিলেন। যাতে তার নাতনী কে ভালোবাসবে নিজের মেয়ের মতো।মোল্লিকা নীলার মধ্যে সেই মাতৃত্ব টা দেখতে পেয়েছিলো প্রথম দিন দেখেই। মোল্লিকা দুরে দাঁড়িয়েই ওদের মা মেয়েকে প্রান ভরে দেখে যাচ্ছেন।
নীলা ফিহাকে খাইয়ে দিয়ে কলেজ যাওয়ার জন্য রওনা দিয়ে দিলো। ড্রাইভার কে বললেন। ড্রাইভার নীলাকে কলেজ দিয়ে গেলেন।নীলা চাইছিলো না শুভ্রর মুখোমুখি হতে। তার কেমন যেন অদ্ভুত ভাবে লজ্জা লাগছিলো ওর সামনে পরতে। তখন কার ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা ভেবে সে আনমনে হেটে কলেজের ভেতর চলে গেলো।
———————————————————–
জীনিয়া একটা রেস্টুরেন্টে বসে আছে। ফাহিমের সাথে সে দেখা করতে এসেছে।আজ ওকে সবটা জানিয়ে দিবে যে ফাহিমকে সে বিয়ে করবে না।
জীনিয়ার ভাবনার মধ্যে ফাহিম সেখানে চলে আসলো।
হঠাৎ এতো সকালে ডেকে পাঠালে যে।কোনো প্রব্লেম।
জীনিয়া ফাহিমের দিকে তাকালো। আর বললো না। দেখো ফাহিম আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না।
হোয়াট? তুমি জানো তুমি কি বলছো।তুমি কি মজা করছো আমার সাথে। তোমার সাথে আমার বিয়ে এটা প্রায় সবাই জেনে গেছে।আর এখন তুমি বলছো যে বিয়ে করবে না।
আমরা একটু ঠান্ডা মাথায় কথা বলি।আমি শুভ্র চৌধুরীকে প্রথম দেখেই ভালোবেসে ফেলেছি।আর আমি ওকেই বিয়ে করতে চাই।আর আমি এটাও জানি তোমার আমার প্রতি আর ভালো লাগা নেই। তুমি যে নীলাকে পছন্দ করো সেটাও আমি জানি। ওর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছো সেই দিনই আমি বুঝেছি। আমি শুভ্র কে পেলে তুমি নীলাকে পেয়ে যাবে।
ফাহিম মাথা নিচু করে নেই।আসলেই সে নীলার প্রেমে পড়ে গেছিলো সেই দিন দেখেই।
তো এখন তুমি কি করতে চাইছো।শুভ্র চৌধুরী কি তোমাকে বিয়ে করবে নীলাকে ছেড়ে দিয়ে।এতোটা সহজ হবে না বুঝেছো। শুভ্র চৌধুরী অনেক পাওয়ারফুল আমরা পেরে উঠবো না।
আমি দেখে নিবো।সব টা প্লেন টা আমি তোমাকে জানিয়ে দিব।আর হ্যাঁ আজকের পর তোমার সাথে আমার আলাদা কোনো সম্পর্ক থাকবে না।
আর এটা বলতেই তোমাকে ডাকা।
ঠিক আছে যা তুমি চাও। তবে মনে রেখো আমি নীলাকে পেতে চাই। সেটা যেভাবেই হক না কেন।
তুমি তোমার লক্ষ্য ঠিক রাখবে আর আমি আমার। বাই।
ফাহিম ও মাথা নাড়লো।
এই বলে দুজন দুজনের গাড়ি করে চলে গেলো।
চলবে——