#গল্পঃভালোবাসায়_তুমি_আমি
#পর্বঃ(১২)
#লেখিকাঃ রাদিয়াহ রাফা রুহি
আজকে সারাদিনে এক বার ও নীলার মনে হয়নি যে আলাদা একটা বাড়িতে এসেছে। এক দিনেই যেনো। মনে হচ্ছে এটা আমার নিজের সংসার।আমার শাশুড়ী মা! বোনের মতো ননদ সবাই তাকে এক দিনেই কতটা আপন করে নিয়েছে।এঞ্জেল তো নীলাকে ছাড়তেই চাইছিল না। শাশুড়ী মা জোর করে নিজের কাছে রেখে দিলেন ঘুমিয়ে পরেছে এখন সে।
নীলার সব কিছুই বলেছে সে যে বাড়ির অবৈধ সন্তান সেটাও বলেছে তার সাথে কি কি হতো । সব কিছুই জানার পর তাকে তার শাশুড়ী অনেক স্নেহ করেছেন। অনেক শান্তনা দিয়েছেন।
শুধু একটা কথায় বলতে পারেনি সেটা হলো নীলা ফিহার সত্যি কারের মা নয়।কেন যেনো এই কথাটা বলতে পারেনি ফিহার মুখের দিকে তাকিয়ে।এই টুকু বাচ্চা তো আর এতো কিছু বুঝে না। তবে সময় হলে নীলা নিজে থেকেই সবটা বলবে।
নীলা স্বপ্নেও ভাবে নি যে এতো টা সুখ পাবে সে। ছোট বেলা থেকেই লাথি গুরি খেয়েই বড় হয়েছে। আর এক দিনেই জীবন টা এতো টা বদলে গেলো। এতো টা সুখ ভালোবাসা সয়বে তো আমার কপালে।
শুভ্র এখন ও অফিস থেকে আসে নি সকালে ব্রেক ফার্স্ট করে চলে গেছেন উনি।এখন হইতো চলে আসবে।আমি ঘরে বসে উনার আসার জন্য অপেক্ষা করছি।একটু আগেই হিয়ার সাথে গল্প করেই রুমে এসে বসে আছি। আমার ব্যাগটা উনি সকালে অফিস যাওয়ার আগে দিয়েছিলেন। সামনে এক্সাম তাই বই নিয়ে পড়তে বসেছি।এই ক’দিন একটুও পড়া হইনি।
কিছুক্ষণ পর শুভ্র অফিস থেকে ফিরে নিজের রুমে ঢুকলো। এসেই তার চোখ পরলো নীলার দিকে। মেয়েটা মনোযোগ দিয়ে পড়ছে। শুভ্র আর কিছু বললো না। কোনো কথা না বলে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।
নীলা সবটাই লক্ষ্য করেছে কিন্তু কিছুই বললো না। যেনো সে দেখেই নি শুভ্র এসেছে। বইয়েই মুখ গুজে আছে।কি জানি কেন জানি উনার সাথে কথা বলতেই বা তাকাতেই সংকোচ লাগছে।
শুনেছি স্বামীরা অফিস থেকে আসলে সব মেয়েরাই তাদের যত্ন করে। আর আমি মুখ গুজে আছি কোনো খেয়াল নেই।ধুর বাবা আমি কেন এতো কিছু ভাবছি।এতো সব ভাবনা আসছে কেন মাথায়।
উনি ফ্রেশ হয়ে নিজের চুল গুলো তোয়ালে দিয়ে মুঝতে বের হলেন। না চাইতেও উনার দিকে আমার চোখ চলে গেলো।
নীলার ইনফেচুয়েট চোখ গুলো শুভ্রর অসাধারণ সুন্দর মুখে তাকিয়ে অবাক হয়ে রইলো। ও আর অন্য দিকে তাকাতেই পারছিলো না।
হোয়াট এ হ্যান্ডসাম ম্যান!শুভ্রর গভীর চোখ দুটোই একটা সহযাত এরোগেন্সের ছাপ আছে!তার মুখ যেনো বরফের মতো ঠান্ডা! আর তার স্ট্রিট নাক তার পরিষ্কার মুখের উপর খাড়া হয়ে আছে।
তার সাদা ধবধবে স্কিন!!! নীলার যার নিজের দারুন সুন্দর ফর্সা স্কিন ছিল। তার মনেও একটু হিংসা জাগিয়ে তুললো। অনেক সুন্দর এই ছেলের গায়ের রং। এই ছেলেকে দেখে যে কোনো মেয়ে একেবারে কুপোকাত হয়ে যাবে।
নীলা এর আগে কোনো দিন এইভাবে কোনো ছেলেকে দেখে নি।
হঠাৎ শুভ্রর মাথা মুঝতে মুঝতে নীলার দিকে চোখ পরলো। নীলার অর দিকেই তাকিয়ে আছে। শুভ্র বুঝতে পারলো। তাই শুভ্র নীলার সামনে গিয়ে হাত থেকে বইটা টান দিয়ে নিয়ে নিলো।
কি হচ্ছে এসব হ্যাঁ — কি দেখছো এইভাবে।
শুভ্রর এহেন কাজে নীলার ধ্যান ভেঙে গেল। খানিকটা চমকে গেলো সে।পরক্ষনেই সে নিজেকে সামলে নিয়ে বললো হিহি আমি তো আপনাকে দেখছিলাম না।আমি তো অই ফুল দানিটা দেখছিলাম।
আমি কখন বললাম যে তুমি আমাকে দেখছিলে।
নীলা এবারে জিহ্বাই কামর দিয়ে এইরে সেরেছে কি বলে ফেললাম।সকাল থেকে এসব কি হচ্ছে আমার সাথে।
না আপনি বলেন নি তো কি হয়েছে আপনার কথায় তো এটাই প্রকাশ পাচ্ছে।
যাক গে বাদ দিন আমাকে আমার বইটা দিন। আমি পড়বো।
না না মেডাম এখন তো বইটা পাবে না।আগে বলুন সত্যিটা কি।তারপর দিবো।
হুহ্ দেখছিলাম আপনাকে তো কি হয়েছে আমি তো আমার বরকেই—– এতোটুকু বলেই ভেবাচেকা খেয়ে গেলো এইরে —– নিজের মাথায় নিজেই একটা গাট্টা দিলাম আবার কি বলে ফেললাম রে।
কি বললে—কি বলছিলে কথাটা পুরোটা শেষ করো,,,
কয় কিছু বলি নি তো —আপনি এতো কথা কেন বলছেন দিন না বইটা প্লিজ।
শুভ্র এই বারে বই টা দিয়ে দিলো। এই নিন ধরুন।
নীলা খপ করে বইটা নিয়ে নিলো।তার তারাতাড়ি করে অন্য দিকে ঘুরে বইটা রেখে দিলো।
শুভ্রও আর কিছু না ভেবে নিজের লেপটপ টা নিয়ে সোফায় বসে পরলো। তারপর শুভ্র কিছু একটা ভেবে নীলা কে বললো এক কাপ কফি দিতে পারবে।
নীলা বললো ঠিক আছে আপনি বসুন আমি আনছি।
শুভ্র আবার তার কাজে মনোযোগ দিলো।
কিছুক্ষন পর এক কাপ কফি এনে দিলো নীলা। এই নিন আপনার কফি একটা মিস্টি হাসি দিয়ে এগিয়ে দেই শুভ্রর সামনে।
শুভ্র বিনিময়ে একটা হাসি দিয়ে কাপ টা নিলো।
কফি তে চুমুক দিতেই বুঝলো এটা তো তার বাড়ির কোনো সার্ভন্ট বানায়নি।
কফিটা কি তুমিই বানিয়েছো?
হুম আমিই বানিয়েছি? কেন ভালো হয়নি না মুখটা বেকিয়ে বললো নীলা।
শুভ্র কিছুই বললো না। চুপচাপ খেয়ে নিল।
নীলা এবাবা এটা কেমন ছেলে। ভালো মন্দ কিছুই বললো না।
এর মধ্যে দুজনের আর কথা হয়নি নীলা নিজের মতো পড়ছিলো।
আর শুভ্র লেপটপ নিয়ে কাজ করছিল।
শুভ্র মাঝে মাঝে আড় চোখে নীলাকে দেখেছে।
রাত প্রায় ১টা সময় নীলা বই টা রেখে দেই। শুভ্র লেপটপ টা রেখে শোয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আজকেও কি সোফায় ঘুমাতে হবে রে শুভ্র ভাবছে।
তখনই নীলা এসে বললো আপনি বিছানায় ঘুমান আমি সোফায় শুয়ে পরছি। তাছাড়া আমরা তো এক বিছানায় ঘুমাতেই পারি। বিছানাটা তো যথেষ্ট বড় তাই না।
শুভ্র মনে মনে ভাবছে হ্যাঁ তোমার সাথে ঘুমায় এক বিছানায় তাহলে আমি কি জানি কি করে ফেলব নিজেও বুঝতে পারবো না।
কোনো প্রয়োজন নেই তুমি বিছানায় ঘুমাও আমি সোফায় শুয়ে পরছি।শুভ্র নীলার দিকে তাকিয়ে থেকে বললো।
শুভ্র নিজেকে একজন জেন্টলম্যান মনে করে তাই নীলার প্রস্তাব টা অস্বীকার করা টা এখন তার কাছে উচিত বলে মনে করলো।
নীলা যেকোনো যায়গা তেই ঘুমিয়ে পরতে পারবে কিন্তু শুভ্রর মতো একজন যে এরকম একটা বিরাট প্রাসাদে থাকতে অভ্যস্ত সে ইনকনভিনিয়েন্সর সাথে সহজে এডজাস্ট করতে পারবে না।
না ঠিক আছে আমি শুয়ে পরছি সোফায় তাহলে আপনার শোয়ার দরকার নেই।
সত্যিই বলছি আমি আমার বাড়িতেও অভ্যস্ত ছিলাম। আমি তো আমার বাবার অবৈধ ছিলাম। ছোট বেলা থেকেই অই বাড়িতে কাজের মেয়ের মতোই বড় হয়েছি।
তারপর নীলা একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললো যাক গে বাদ দিন এসব কথা।
আর তাছাড়া সোফায় শোয়া টা আপনার হাইটের জন্য খুবই আনকমফর্টেবল হবে। নীলা বললো।
সে শুভ্রর পাশে দাঁড়িয়ে পরল এবং শুভ্রর কনুই ধরে টানতে যাচ্ছিলো।
কিন্তু নীলা ওকে টাচ করার আগেই শুভ্র ওকে কনুইয়ের ধাক্কায় সরিয়ে দিলো।
নীলা সোজা গিয়ে মেঝেতে পরলো—এবং সে মুখ তুলে শুভ্রর দিকে তাকিয়ে দেখলো তার সমস্ত শুভ চিন্তায় পানি ঢেলে দিয়েছে।
নীলা তাকে বিছানায় শুতে দিতে চেয়েছিলাম।এছাড়া তো আলাদা কোনো পার্পোস ছিল না। আর উনি এইভাবে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন।
এদিকে শুভ্র ভাবছে এটা কি করে ফেললাম আমি। নীলা যখন অর ব্যাপারে বলছিলো। যে ও ছোট বেলা থেকেই কতটা কষ্টে বড় হয়েছে তখনি অর রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে যায় আর যার রাগ টা সে নীলার উপর দেখিয়ে ফেলেছে ——–
চলবে—–
#গল্পঃভালোবাসায়_তুমি_আমি
#পর্বঃ১৩
#লেখিকাঃ রাদিয়াহ রাফা রুহি
শুভ্র কিছুতেই নীলাকে এইভাবে আঘাত করতে চাইনি। কারন শুভ্র খুব ভালো করেই জানে যে নীলার সৎ মা কিভাবে টর্চার করেছে।আর নীলা যখন অই সব কথা বলছিল তখন ওর নীলার সৎ মায়ের কথা মনে হতেই রাগে ফেটে যাচ্ছিলো।আর তখনি নীলা আমাকে টাচ করতেই সেই রাগ আমি নীলার উপর দেখিয়ে ফেলেছি। শুভ্র চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে অন্য দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে।
নীলা রেগে উঠে শুভ্রর উপর রাগ দেখাতে যাবে তখনি ওর চোখ গেলো একটা ইঁদুরের উপর। চোখ গুলো বড় বড় করে হঠাৎ নীলা শুভ্রর পিঠের উপর ঝাপিয়ে পরলো।
আর চিৎকার করে বলতে লাগলো ওমাগো ইঁদুর! ইঁদুর! ইঁদুর আমার প্রচন্ড ভয় লাগে
আচমকা এরকম হওয়ায় শুভ্র বেশ হতভম্ব হয়ে যায়। শুভ্র নীলাকে যতই নিজের থেকে দুরে করতে চাইছিলো ততই নীলার ওর কাছে চলে আসছিল।
শুভ্র একটু টেন্সড হয়ে পরলো। শুভ্র তো ভেবেছিল যে নীলা উঠে এসে ওর সাথে রাগ ঝারবে। কিন্তু এটা কি হলো।
নীলার সফট সুগন্ধি শরীর যখন শুভ্রর সাথে একেবারে চেপকে লেগে ছিলো তখন শুভ্র ভেতর ভেতর শিহরণ ফীল করতে লাগলো।
শুভ্র নিজেকে সামলে নিয়ে একটু ঝাকুনি দিয়ে রেগে বললো…… এখানে ইঁদুর কোথায় পেলে ছাড় আমায়! ছাড়ো বলছি—
শুভ্র নিজের হাত দুটো পিছনে নিয়ে ঠেলতে লাগলো! কিন্তু অর পিঠে নীলার দুটো নরম গোলকের চাপ যেনো শুভ্রর শরীরে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছিলো।
নীলা যদিও প্রায় পাঁচ ফিট ছয় ইঞ্চি লম্বা তবুও ছয় ফিট দুই ইঞ্চির শুভ্রর কাছে খুবই ছোট খাটো।
একজন পুরুষের তুলনায় নীলার শরীরও অন্য রকম ছিলো। সেটা সিল্কের মতো সফট! আর বেতের মতো ফ্লেক্সিবেল ছিলো– নীলা একটা হিলহিলে সাপের মতো শুভ্রর গলা জড়িয়ে ধরে ছিল।
শুভ্র রিয়েলাইজ করছিলো নীলা অনেকটা লম্বা হলেও সে অনেক টা ছিপছিপে ছিলো নীলার ফর্সা আংগুল গুলো শুভ্রর দুই বাহু জোড়িয়ে ছিল। হাত গুলো ঠান্ডা হলেও খুবই নরম আর কম্ফোর্টেবল ছিলো। শুভ্র একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পরছিলো। কোনো রকম নিজেকে সামলে নিলো।
শুভ্র নিজের চোয়াল শক্ত করে বললো তুমি কি আমাকে ছাড়বে নাকি ফেলে দিবো ছাড়ো বলছি।
নীলার আরো জোরে চেপে ধরে বললো — না না আমি ছাড়বো। এখানে ইঁদুর আছে আমি ইঁদুর ভীষণ ভয় পাই।
নীলা শুভ্রকে কিছুতেই ছাড়ছে না অকে চেপে ধরেই থাকলো।আর কিছুতেই ছাড়তে চাইলো না।
এরকম টা চলতে থাকলে শুভ্র আরোও নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে।আর সে এখনি নীলার সাথে এমন কিছুই করতে চাই না।
হঠাৎ নীলা ফীল করলো যে শুভ্র পিছনে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ওর কোমর ধরার জন্য।
শুভ্র পিছনে হাত বাড়িয়ে দিয়ে নীলাকে ওর পিঠ থেকে নামিয়ে ঠেলে ফেলে দিতে গেলো
সেই মুহূর্তেই নীলা শুভ্রকে চেপে ধরলো আর তারা দুজনেই মেঝেতে পড়ে গেলো।
শুভ্র যখন নিজেকে সামলে নিয়েছে! তখনই ওর চোখ গেল নীলার নরম গোলাপি ঠোঁটের দিকে! তার সাদা মুক্তোর মতো দাতের সারিও দেখতে পেলো সে। যে এখন চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে আছে।
শুভ্র এবার আরো নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেললো তার গলা শুকিয়ে গেলো—
শুভ্র নিজেকে চোখ বন্ধ করে সংবরন করার চেষ্টা করছে।।
শুভ্র নীলাকে নিজের উপর থেকে ঠেলে সরিয়ে দিলো।
নীলার পার্টিকুলারলি নিজের সবচেয়ে সফটেস্ট যায়গায় চাপা চাপা ব্যাথা অনুভব করলো। নীলা অন্যদিকে ঘুরে যায় কারণ অর বুকে ব্যাথা টা এতই বেশি ছিল যে নীলা কান্না করে দিলো।
শুভ্র যাস্ট নিজেকে রিলেক্স করছিলো তখনি উঠে বসেই দেখতে পেলো নীলা অন্যদিকে ঘুরে আছে মেঝেতে বসেই।
শুভ্র নীলার সামনে গিয়ে দেখে নীলা তার বুকে হাত দিয়ে আছে আর অর মোমের মতো গাল বেয়ে অশ্রু ঝরছিল
আশ্চর্য ভাবে শুভ্রর বুকের ভেতর কুকিয়ে উঠলো। যখন নীলার থরথর করে কাপতে থাকা কাধটা তার চোখে পরলো। কিছুটা ফ্রাস্ট্রেটেড হয়েই সে তার বিচার বুদ্ধি ফিরে পেলো। এবং নিজেকে ধিক্কার দিতে শুরু করলো। সে খুবই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে।
যে কিনা শুধু মাত্র একটা ১৭-১৮ বছর বয়সের মেয়ে। বাধ্য হয়ে ভালোবাসাহীন একটা বিয়েকে ফর্সফুলি নীলাকে এই বিয়েটা এক্সেপ্ট করতে হয়েছে। আর তাকে কিনা শুভ্র দুঃখ দিয়েছে। কিভাবে পারলো সে এটা।
নীলার চোখের পানি শুভ্রকে একেবারেই গলীয়ে দিয়েছিলো। এই সময় একটা মেয়েকে কিভাবে শান্তনা দিতে হয় সত্যিই শুভ্রর জানা নেই। সে শুধু নীলার পাশে থাকতে পারতো।
তারপর শুভ্র লম্বা একটা নিশ্বাস ছেড়ে বললো—- আই এম এক্সট্রেমলি স্যরি আমি আসলে বুঝতে পারিনি। সত্যিই খুব দুঃখীতো। প্লিজ তুমি কেদো না। আসলে অনেস্টলি আমার সত্যিই খুব খারাপ লাগছে।
নীলা অবাক চোখে তার ছলছল চোখে শুভ্রর দিকে তাকালো। নীলা কি বলবে। সে শুধুই তাকিয়ে আছে শুভ্রর অনুনয় ভরা মুখটার দিকে। শুভ্র যে এতে খুবই অনুতপ্ত নীলা সেটা বুঝতে পারছে।
তাই নীলা বললো ইটস ওকে। এখন আপনি যান গিয়ে ঘুমিয়ে পরুন।
আমি শুয়ে পরছি। নীলা গিয়ে আর কোনো কথা না বাড়িয়ে শুয়ে পড়লো বিছানায়।
শুভ্র নিজের হাত মুস্টি বদ্ধ করে সোফায় চলে গেলো।
নীলা চুপ করে লাইট অফ করে দিয়ে শুয়ে রইলো।
শুভ্রও গুটিশুটি হয়ে সোফায় শুয়ে পরলো। শুভ্রর কিছুতেই ঘুম আসছিলো না।সে সোফায় শোয়া টা এডযাস্ট করার চেষ্টা করছিল। শুভ্রও খেয়াল করল নীলা বিছানার উপর এপাশ ওপাশ করছে।
নীলার কিছুতেই ঘুম আসছে না। এসে এপাশ ওপাশ করছে। তারপর সে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে বুঝতে পারে নি।
শুভ্র আর নীলার দিকে তাকালো না। সে উঠে বারান্দায় যেতে নেই তখনই ওর পায়ের সাথে কিছু একটা বেজে যায়। শুভ্র লাইট জ্বালাতে যাবে তারপর নীলার কথা ভেবে আর জ্বালালো না। নিজের ফোনটা নিয়ে ফ্লাস অন করেই দেখতে পেলো একটা খেলনা সো পিছ যেটা ছিলো ইদুরের।
শুভ্রর কাছে এতক্ষনে পুরো ব্যাপার টা ক্লিয়ার হলো। বাট এটা এখানে রাখলো কে।
শুভ্র আর কিছু ভাবলো না। তার মানে নীলার ভয়টা স্বাভাবিক ছিলো না। শুভ্রর এখন নিজের আরো বেশি গিল্ট ফীল হচ্ছে। সে সো পিছ টা ছুরে ফেলে দিলো। তারপর বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। অনেক্ষন সে দাঁড়িয়ে থেকে রুমে এসে শুয়ে পড়লো।
সকালে নীলা ঘুম থেকে উঠেই দেখতে পেলো শুভ্র রুমে নেই। সে ভাবলো হইতো ফ্রেশ হতে গিয়েছে। কিন্তু না বাথরুমে কেউ নেই। নীলা ভাবলো নিচে হবে হইতো। নীলাকে আজ কলেজ যেতেই হবে। আর একটু তারা তারাতারি গিয়ে প্রাপ্তির সাথে কথা বলতে হবে।
তাই সে তারাতাড়ি রেডি হয়ে নিচে নেমে আসলো। ফিহা হইত এখনো ঘুম থেকে উঠেই নি। আর হিয়া বা শাশুড়ী মা ওরাও হইতো উঠে নি।
একজন সার্ভেন্টকে এসে নীলা জিজ্ঞেস করলো আপনার স্যার কে দেখেছেন।
হ্যাঁ মেম স্যার তো এখনি বের হয়ে গেলো। আর মেডাম স্যার কে দেখে তো মনে হলো উনি সারারাত ঘুমান নি। একটা কথা বলবো মেডাম।
জি বলুন— নীলা বললো। নীলা মহিলা দিকে তাকিয়ে রইলো। নীলা দেখতে পেলো যে মহিলা টি একটা কিছু বলতে চাইছে বাট পারছে না।
নীলা বললো আপনি নিস্বংকচে বলুন।
তারপর মহিলাটি বললো যে মেডাম স্যারকে অনেক রোমান্টিক। উনাকে দেখে মনে হলো উনি সারারাত ঘুমাননি।
নীলা জোর পুর্বক হেসে বললো আমার লেট হয়ে গেছে আমি আসছি আর মা কে বলবেন।
আচ্ছা মেডাম বলে মাথা নাড়লো আর মুখ টিপে হাসছিল মহিলা সার্ভেন্ট টি।
নীলা তারাতারি বেরিয়েই দেখলো শুভ্রকে দুই সাড়িতে দুইদল দেহরক্ষী কে সাথে নিয়ে ——
চলবে—