#ভালোবাসার_রং (❣️You are my Lifeline ❣️)
#Part_20
#Ishita_Rahman_Sanjida_(Simran)
আনহা বাড়িতে এসে চিন্তায় পড়ে যায় আকিব কোথায় যেতে পারে,,,,,কোথায় তখন তামিম বলে আকিবের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে,,,,আনহা রিসাদ লতা আর সামান্তার সাথে যোগাযোগ করে,,,,, কিন্তু ওরা কেউ জানে না আকিব কোথায় আছে,,,,, শুধু এখন নয়ন এর কাছে যাওয়া বাকি,,,, কিন্তু নয়নের হদিস নেই বাড়িতে তালা দেওয়া,,,,,
আনহা এতে খুবই চিন্তিত,,,,,এখন ওর কি করা উচিত ভেবে পাচ্ছে না,,,,,,,
।
।
।
।
।
।
।
আনহা আর মারিয়া রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে এমন সময় আনহার চোখ পড়লো রাস্তার পাশে টংয়ের দোকানে দুটো লোক দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে লোক দুটোকে দেখে চেনা চেনা লাগছে
কিন্তু মনে পড়ছে না,,, কিছুক্ষণ ভাবার পর আনহার মনে পড়লো এরা তো সেই লোক যারা আকিবের বিরুদ্ধে সাক্ষি দিয়েছিল,,,,,,
আনহা তখনই মারিয়াকে সব বলল,,, মারিয়া ওই লোক দুটির কাছে গেল,,,, আর আনহা রাস্তার অপর দিকে লুকিয়ে পড়ল,,,,,
মারিয়া: এই যে শুনুন,,,,,আপনারা নাকি টাকার বিনিময়ে কাজ করেন,,,, আমার কিছু কাজ করে দিতে হবে,,,,
__ কে বলেছে,,,,এসব মিথ্যা কথা,,,,
মারিয়া: ওকে তাহলে আমি চলে যাচ্ছি কিন্তু আমার কাজ করে দিলে মোটা অঙ্কের টাকা পেতেন,,,, ভালো সুযোগটা যখন হাতছাড়া করতে চাইছেন তাহলে আমার কি করার আছে,,,,,,
মারিয়া চলে যেতে নিলে লোকটা ডাকল,,,,
__ শুনুন,,,, কি করতে হবে আমাদের,,,,
মারিয়া: আপাতত ফোন নাম্বার টা দিন,,, পরে সব বলব,,,,,
মারিয়া ওদের ফোন নাম্বার নিয়ে আনহার কাছে ফিরে আসে,,,,,,
মারিয়া: আনহা কাজ হয়ে গেছে,,,,,
আনহা: এখন আমি সিওর যে এদের রাকিব ভাড়া করেই এনেছে,,,,,
মারিয়া: এখন কি করবি,,,,,
আনহা: ভাইয়ার হেল্প লাগবে,,,,,,চল
মারিয়া আর আনহা তামিম কে সব খুলে বলল,,,,
তামিম: তোদের আর কিছু করতে হবে না এখন যা করার আমিই করব,,,,তার আগে নাম্বারটা দে,,,,,,
তামিম নাম্বার নিয়ে চলে যায়,,,,আনহা আর মারিয়া অপেক্ষা করতে থাকে,,,,, রাতে তামিম আনহাকে কল করে,,,, একটা ঠিকানায় যেতে
আনহা আর মারিয়া সেখানে চলে যায়,,,,,
তামিম আর ওর বন্ধুরা ওই লোকদুটোকে চেয়ারের বেঁধে রেখেছে,,,,, দেখে মনে হচ্ছে অনেক মেরেছে ওদের,,,,,,
আনহা: ভাইয়া ওরা কিছু বলেছে,,,,,
তামিম: হুম
আনহা: কি বলেছে,,,,
তামিম: ওরা রাকিবের ভাড়া করা,,,,,ওরাই আকিবের নামে মিথ্যা কথা বলেছে,,,,,
আনহা: কিন্তু রাকিব কেন এটা করেছে সেটা বলেছে,,,,,
তামিম: হুম,,,,রাকিবের বউ বাচ্চা আছে,,,,,
যাদের দেখাশোনা করার জন্য এই ছাগোল দুটোকে পুষছে,,,,,
আনহা: এবার বুঝতে পারছি সেদিন এজন্য রাকিব পালিয়ে গিয়েছিল,,,,, কিন্তু এখন রাকিবের ফিরে আসার কারণ কি,,,,,
মারিয়া: গাধি একটা,,,,, মাথায় কি তোর ঘিলু নাই,,,,,কেউ কি তার বাবার সম্পত্তির ভাগ ছাড়ে,,,,,দেখ রাকিব চলে যাওয়াতে আকিব সব সম্পত্তি পাবে,,,,,সেটা রাকিব মানতে না পেরে এখন এসব নতুন নাটক সাজিয়েছে,,,,
তামিম: এক্সাটলি,,,,, আমার মনে হয় রাকিবের বউ এসব কিছুই জানে না,,,,তাই আমাদের এখন উচিত রাকিবের বউকে সব জানানো,,,,,,
মারিয়া: রাইট ভাইয়া,,,,তো চলুন যাওয়া যাক
তামিম লোক দুটোর থেকে বাড়ির ঠিকানা নিয়ে নিল,,,,,তারপর ওর বন্ধুদের ওখানে রেখে মারিয়া আর আনহাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল,,,,রাকিবের বউয়ের ফ্ল্যাটের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে সবাই তামিম বেল বাজাতেই একটা মেয়ে দরজা খুলল কোলে একটা বাচ্চা সম্ভবত এক বছর হবে,,,,,,
__ কাকে চাই,,,,কারা আপনারা,,,,
আনহা: আমরা আপনার সাথে দেখা করতে এসেছি,,,,
__ হুম,,,,বলুন কি বলবেন,,,,,
আনহা: কিছু মনে করবেন না আমরা কি ভিতরে এসে কথা বলতে পারি,,,,,
__ ওকে নো প্রবলেম,,,, ভিতরে আসুন,,,,
সবাই ভিতরে ঢুকল,,,,
আনহা: আপনার নামটা জানতে পারি,,,,,
__ আমার নাম নদী,,,,,
আনহা: আমি আনহা,,,, আপনি আমাকে চিনবেন না কিন্তু আমি আপনাকে চিনি,,,
নদী: কিভাবে,,,,
আনহা: সেসব কথা বলার সময় এখন না,,,
বড় কথা হলো আপনার হাজবেন্ড রাকিব তার একটু পরেই বিয়ে,,,,,
নদী: কি বলছেন আপনি,,,,রাকিব বিয়ে করছে,,,, কিন্তু,,,,
আনহা: হুম,,,,এখন আপনি ভাবুন কি করবেন,,,,,নিজের অধিকার ছিনিয়ে নিবেন নাকি নিজের সবকিছু হারাবেন,,,,
নদী: কিন্তু রাকিব তো এর আগে বিয়ে করবে না বলে পালিয়ে এসেছিল,,,,, তবে এখন কেন বিয়ে করছে,,,
আনহা: হুম,,,, কিন্তু এখন সে বুঝেছে যে আপনার সাথে থাকলে ওনি বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন,,,,,,তাই তিনি এখন বাবার কথামতো বিয়ে করছেন নিজের স্বার্থে ছাড়া ওনি কিছুই বুঝেন না,,,,,এখন আপনি গিয়ে যদি বিয়েটা না আটকান তাহলে আপনার বাচ্চা তার বাবার পরিচয় ছাড়া থাকবে লোকে বলবে এটা আপনার অবৈধ সন্তান,,,,
নদী: না এটা হতে পারে না,,,, আমি এখনই রাকিবকে ফোন করছি,,,,
আনহা: পাবেন না,,,,ওনি ফোনটা সুইচ অফ করে রেখেছে,,,, আমি একটা মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়ের সংসার ভাঙতে চাই না বলে আপনাকে সবটা বলতে এলাম,,,,,
নদী: না,,,, আমার সন্তান নিজের বাবার পরিচয়ে বাঁচবে,,, আমি এই বিয়ে হতে দিব না
প্লিজ আমাকে নিয়ে চলুন,,,,,,
আনহা তামিম আর মারিয়া কে চলে যেতে বলল আর নদী আর বাচ্চা কে নিয়ে রাকিবের কাছে গেল,,,,,,
।
।
।
।
।
।
।
সবাই টেবিলে বসে আছে ডিনারের জন্য,,,,
এমন সময় নদী হনহনিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে
রাকিবকে ডাকতে থাকে,,,,,রাকিব নদীকে দেখে হকচকিয়ে গেল,,,,, দৌড়ে নদীর কাছে আসে,,,,,
নদী: রাকিব তুমি নাকি বিয়ে করছো,,,,, কেন
আমাকে ছেড়ে তুমি কিভাবে,,,,
রাকিব: নদী এসব কি বলতেছ,,,, (আস্তে করে বলল)
নদী: আমি কিছু জানতে চাই না,,,, তুমি কিভাবে এটা করতে পার,,,, একবারও আমাদের সন্তানের কথা ভাবলে না,,,,,
নদী এতক্ষণ আশেপাশে ভালো করে না দেখেই এসব বলছিল,,,, হঠাৎ করে ওর খেয়াল হলো বিয়ে বাড়ি তো এরকম হতে পারে না,,,,, মানুষ জন নেই কোন সাজানো গোছানো নেই,,,,এসব দেখেই ও চুপ করে যায়,,,,
রাকিব কিছু বলতে যাবে তার আগেই ওর বাবা বলল,,,,,
বাবা: রাকিব,,,কে ও আর এসব কি বলছে,,,
রাকিব: বাবা,,,, আমি ওকে চিনি না বোধ হয়
ওনি ভুল বাড়িতে এসেছে,,,,,
আনহা: আমি ঠিক বাড়িতে এসেছি তো,,,,
দরজায় দাঁড়িয়ে আনহা বলল,,,,সবাই আনহার দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,আনহার কোলে একটা বাচ্চা,,,,আনহা ভিতরে আসে,,,,
আনহা: কি হলো বলুন,,,,, আমি ঠিক বাড়িতে এসেছি তো,,,,,,
বাবা: আনহা তুমি,,,,,
রিমি: আনহা,,,,আকিবের খোজ পেয়েছ,,,,,
আনহা: না,,,, তবে আকিবকে খুঁজতে গিয়ে আরেক জনের মুখোশ খুলতে পেরেছি,,,,, এখন শুধু সবার জানার পালা,,,,,,
মা: মানে,,,,,,
রাকিব: কিছু না,,,, মা,,,,আনহা হয়তো আমাকে মিথ্যা বলে ফাসাতে চাইছে তোমরা ওকে বের করে দাও,,,,,
আনহা: আরে দাঁড়ান,,,,সত্যটা সবাই জানুক
আর আপনি এতো ঘামছেন কেন,,,,
রাকিব কোন কথা বলছে না,,,,কাপতেছে,,,,
বাবা: কি সত্যি বলবে তুমি,,,,,
আনহা: এই মেয়েটা আর বাচ্চা টা হলো আপনার বড় ছেলের বউ আর বাচ্চা,,,,, এজন্য আপনার ছেলে বিয়ের দিন পালিয়ে গিয়েছিল,,,,তাই না মিস্টার রাকিব,,,,,
সবাই অবাক আনহার কথায়,,,,,আনহা তখন সব খুলে বলল,,,,নদী ও সব বলল,,,, একথা শুনে রাকিবের গালে ঠাস করে এক থাপ্পর মেরে দিল ওর বাবা,,,,,
বাবা: ছিঃ,,,,, তোকে আমার নিজের ছেলে ভাবতে ঘৃণা হচ্ছে,,,,এই জন্য তুই আকিববের নামে মিথ্যা কথা বললি,,,, ছিঃ,,,,নিজের ছোট ভাইকে কষ্ট দিতে তুই একবার ও ভাবলি না
তুই আজই আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যা,,,,,
আনহা: না বাবা,,,, একবার ভাবী আর ওনার বাচ্চার কথা ভাবুন,,,,,ওদের কি হবে,,,এই বাচ্চাটা যদি বড় হয় কোন পরিচয়ে বড় হবে
ওর তো অধিকার আছে বাবার কাছে থাকার
আপনি একাজ করবেন না,,,,,,
বাবা: কিন্তু ওর মতো ছেলেকে এবাড়িতে রাখব কিভাবে,,,,যে কিনা নিজের ভাইয়ের সাথে,,,,,,
আনহা: তারপরও,,,,, আপনাকে এটা করতে হবে,,,,,আর ভাবী (নদীর দিকে তাকিয়ে) আই এম সরি,,,, আপনাকে মিথ্যা বলেছি না হলে সবকিছু আমি প্রমাণ করতে পারতাম না,,,,
নদী: তুমি ঠিকই করেছ,,,, না হলে আমি রাকিবের আসল চেহারাটা দেখতে পারতাম না,,,,, ছিঃ রাকিব তুমি এতটা খারাপ হলে কি করে,,,,,
আনহা রাকিবের সামনে যায়,,,,,,
আনহা: বলেছিলাম না আমাদের আবার দেখা হবে আপনার মুখোশ টেনে খুলব,,,,,,
আমি আমার কথা রেখেছি,,,,,
আকিবের মা এসে আনহার হাত ধরে কেঁদে দিল,,,,,
মা: আনহা,,,, আমার আকিবকে খুঁজে এনে দাও,,,ছেলেটা কোথায় আছে কি করছে কে জানে,,,,
আনহা: আমি ওকে অনেক খুঁজেছি কিন্তু কোথাও পায়নি,,,,
রিমি:আকিবের বন্ধুদের জিজ্ঞেস করছিলে,,,,,
আনহা: হুম,,,,, কিন্তু ওরাও জানে না যে আকিব কোথায়,,,,,আমি এখন আসি আকিবকে খুঁজে বের করতে হবে,,,,,,,
আনহা চলে আসে,,,,রিমি আর ওর মা আনহাকে যেতে বারণ করে ছিল কিন্তু আনহা শোনে নি,,,,,কারণ এখানে থাকলে আকিবকে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব,,,,,তাই ও চলে আসে,,,,
।
।
।
।
।
।
।
অনেকদিন পার হয়ে গেছে,,,,,এতদিনে আনহা আকিবকে পাগলের মতো খুঁজেছে,,,,
কিন্তু কোথাও খুঁজে পায়নি,,,,,আকিব যেসব জায়গায় যেতে পছন্দ করত রোজ সেখানে গিয়ে খুঁজেছে কিন্তু আকিবকে খুঁজে পায়নি
প্রতিদিন ই হতাশ হয়ে ফিরে এসেছে আকিবের প্রতি ওর অবহেলা গুলো প্রতিনিয়ত আনহাকে কুঁড়ে খাচ্ছে,,,, আর পারছে না,,,আনহা,,,,,,
একদিন সকাল বেলা,,,,,,,,,,,,,
কে যেন কলিং বেল বাজাচ্ছে,,,,আনহার মা রান্নাঘরে ছিল বলে আনহাই,,,,দরজা খুলল,,,
আনহা: আপনি,,,,,
নয়ন: হুম,,,, ভিতরে আসতে পারি,,,,,
আনহা: আসুন,,,,,
আনহা নয়নকে বসতে দিল,,,,,
নয়ন: আসলে আমাকে আকিব পাঠিয়েছে,,,,
আকিবের কথা শুনে আনহার চোখদুটো খুশিতে চকচক করে উঠলো,,,,,
আনহা: আকিব,,,,,কোথায় ও আকিবকে কত খুঁজেছি কিন্তু পায়নি চলুন আমাকে আকিবের কাছে নিয়ে চলুন,,,,,প্লিজ,,,, আমি আকিবের কাছে ক্ষমা চাইব,,,, জানি আমি ক্ষমার অযোগ্য তাও আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে,,,,,
আনহা কথাগুলো জোরে বলায় ওর মা বাবা আর তামিম এসে সবটা শুনলো,,,,
নয়ন: আসলে আমি তোমাকে আকিবের কাছে নিয়ে যেতে পারব না,,,,
আনহা: কেন,,,,,
নয়ন: আকিব বারণ করেছে,,,,,
আনহা: কিন্তু কেন,,,,,
নয়ন ব্যাগে থেকে একটা কাগজ বের করে আনহাকে দিল,,,আনহা কাগজ হাতে নিয়ে পড়তে লাগলো,,,,ওটা ডিভোর্স পেপার যাতে আকিবের সাইন করা,,,,,
আনহা: আ,,,,কিব,,,ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দিয়েছে,,,,
বাড়ির সবাই অবাক হয়ে যায়,,,,,
নয়ন: হুম,,,,আকিব চায় ডিভোর্সটা হোক,,,,
আনহা: আমি আকিবের সাথে কথা বলতে চাই,,,, ওকে ফোন করুন,,,,,
নয়ন: কিন্তু,,,,,
আনহা: কোন কিন্তু নয়,,,,আপনি ফোন করুন আমার কথা বলবেন না,,,,,
নয়ন আকিবকে ফোন করে আকিব ফোন রিসিভ করে,,,
নয়ন: হ্যালো আকিব,,,,,
নয়ন আর কিছু বলার আগেই আনহা ফোনটা নিয়ে নেয়,,,,,,
আনহা: আকিব,,,,,তুমি কোথায়,,, আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই,,,,আকিব প্লিজ আমাকে ক্ষমা চাওয়ার একটা সুযোগ দাও,,,,সত্যি আমি ভুল করেছি,,,,আকিব তুমি এরকম করো না,,,, আমার সাথে একটি বার দেখা কর,,,, আমি থাকতে পারব না তোমাকে ছাড়া,,,,,
একদমে আনহা কথাগুলো বলছিল আর আকিব শুনছিল,,,,,,
আকিব: দেখ আনহা,,,, তোমার সাথে আমি দেখা করতে পারব না,,,, আর তোমার ক্ষমা চাওয়ার কোন দরকার নেই,,,,কারণ আমি তোমার উপর রাগ করে নেই,,,
আনহা: তাহলে এই পেপার,,,,,
আকিব: সাইন করে দাও,,,,,,
আনহা: কি,,,,,
আকিব: হুম,,,, আমি তো সাইন করে দিয়েছি এবার তুমি দাও,,,,
আনহা: আকিব,,,,প্লিজ এমন করো না আমি থাকতে পারবো না তোমাকে ছাড়া,,,,
আকিব: এতো দিন যেভাবে ছিলে বাকি দিনগুলো সেভাবেই থেকো,,,আর হ্যা আমি আমার লাইফের সাথে তোমার লাইফ জড়াতে চাই না,,,,কারণ এতে তোমার লাইফটা নষ্ট হয়ে যাবে,,,, এখন না আছে আমার বাড়ি না আছে টাকা-পয়সা আমার কাছে থাকলে তুমি সুখী হবে না,,,,, সো সাইনটা করে দাও,,,,,
আনহা: তুমি ভালো থাকতে পারবে তো,,,,,,,
আকিব: ভালো থাকার চেষ্টা আমাকে করতেই হবে,,,,
আকিব ফোন কেটে দেয়,,,,,আনহা সোফার উপর বসে পড়ল,,,,,ডিভোর্স পেপারের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,,,চোখ দিয়ে পানি পড়তেছে,,,,আর কিছু বলতে পারছে না বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে ও,,,,,আনহা কিছুক্ষণ ওভাবেই বসে রইল
নয়ন: তো আনহা সাইনটা করে দাও আমি চলে যাই,,,,,,
নয়নের কথায় মুহূর্তেই আনহা অগ্নিরূপ ধারণ করে,,,,, এমনিতেই আকিবের কথায় খারাপ লাগছে ও আবার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছে,,,,আনহা নয়নের সামনে গিয়ে দাঁড়াল
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,