ভালোবাসার_রং পর্ব-০৫

0
2707

#ভালোবাসার_রং (❣️You are my Lifeline ❣️)

#Part_5

#Ishita_Rahman_Sanjida_(Simran)

দুজনে আস্তে আস্তে যেতে লাগল,,,,

আনহা: আকিব এই এতো বড় ভবন ওই উকিলের একার,,,
আকিব: আরে না,,,,এটা এখানকার সব উকিলদের অফিস,,,,, এই ভবনের একেকটা কক্ষ একেকজন উকিলের,,,, যার যেমন ইচ্ছে সে তেমন উকিলের কাছে যায়,,,, এখন কথা না বাড়িয়ে ভিতরে চল,,,,

ওরা ভিতরে যাওয়ার আগেই একটা লোক পিছনে থেকে আকিবকে ডাকলো,,,,,

__ আকিব,,,,,,

আকিব আর আনহা দুজনেই পিছনে তাকায়
আনহা লোকটাকে চেনে না,,, কিন্তু আকিব চেনে,,,, লোকটাকে দেখে আকিব ভয়ে চুপসে যায়,,,, আমতা আমতা করতে থাকলো,,,,, আকিব ঘামতে শুরু করে,,,আনহা আকিবের ভয়ের কারণটা বুঝতে পারলো না,,,, লোকটা ওদের কাছে এলো,,,,

__ আকিব,,,, তুমি,,,,,তা এখানে কেন এসেছ কোন সমস্যা,,,,, তুমি তো আকিবের ওয়াইফ তাই না,,, (আনহার দিকে তাকিয়ে)
আনহা: জ্বী,,,
__ তা এখানে কেন এসেছ???

আনহা কিছু না ভেবেই বলতে গেলো

আনহা: আমরা এখানে ডি,,,,,
সাথে সাথে আকিব ওকে থামিয়ে দিল,,,,
আকিব: আংকেল,,,, আমি আর আ আনহা এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম,,,,, ভাবলাম আপনার সাথে দেখা করে যাই,,,,, আসলে বিয়ের দিন আপনাকে ঠিকমতো সময় দিতে পারিনি,,, তাই ভাবলাম একবার আপনার সাথে দেখা করে যাই,,,,
__ না না,,,এসব কি বলছো,,,, আসলে ওইদিন যা ঘটে গেল,,,, এজন্য আমি তোমার সাথে দেখা করিনি,,, সত্যি রাকিব এটা একদম ভালো কাজ করনি,,,,,,

আনহা চুপ করে আছে,,,, ওদের দুজনের কথা গুলো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গিলছে,,,, এছাড়া ওর কোন কাজ নেই,,,,আনহার কাছে আকিব আর ওই লোকটার কথা গুলো কেমন পেঁচিয়ে যাচ্ছে,,,,ও কিছুই বুঝতে পারছে না,,,,

হঠাৎ করে কোথা থেকে যেন একটা মেয়ে এসে অচেনা লোকটাকে আব্বু বলে জড়িয়ে ধরল,,,,,মেয়েটাকে দেখে আকিব ও আনহা ভূত দেখার মতো চেয়ে আছে,,,,, মেয়েটা এতোক্ষণ ওদের দেখেনি,,,,যখন ওদের দেখল তখনই বলে উঠল,,,,

__ আকিব তুমি এখানে,,,,(মেয়েটা,,,,)
আকিব: রি রিধি তুমি,,,, (শুকনো ঢোক গিলে)

ওদিকে আনহা তো ভয়ে জ্ঞান হারানোর দশা এসেছিল ডিভোর্স কর্ণফার্ম করতে আর হয়ে গেল কি,,,, আজকে মনে হয় হাটে হাঁড়ি ভেঙে যাবে,,,,,???
রিধি: আরে ভাবি তুমিও আছো,,,, কি ব্যাপার আকিব,,, তুমি তোমার ভাবিকে নিয়ে এখানে এসেছো কেন???

__ রিধি মামনি তোমার কোথাও একটা ভুল হচ্ছে,,,,,আনহা আকিবের ভাবি নয়,,,

রিধি: কি বলছো আব্বু,,,,এতো আকিবের ভাবি,,,কদিন আগেই তো রাকিব ভাইয়ার সাথে ভাবির বিয়ে হলো,,,, ট্যুরে যাওয়ার কারণে আমি আসতে পারিনি,,,,,সেটা তো আকিবকে বলেছিলাম,,,,,

__ আসলে রিধি মামনি,,,, তুমি তো ট্যুরে ছিলে আর ওখানকার নেটওয়ার্ক ও ভালো ছিল না বলে তোমাকে কিছুই জানাতে পারিনি,,,, আসলে বিয়ের দিন রাকিব পালিয়ে গিয়েছিল আর বাড়ির সম্মান বাঁচাতে আকিবের সাথেই আনহার বিয়ে হয়,,,,,,
আনহা নিজের চোখ বন্ধ করে ফেলল,,,, ওনার শেষ কথাগুলো শুনে,,,,, রিধি ওর বাবার কথা শুনে থম মেরে দাঁড়িয়ে আছে,, একবার আকিবের মুখের দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার আনহার,,,, চোখে পানি জমে এসেছে রিধির,,,, চোখের পানি ওর বাবা দেখার আগেই রিধি ওখান থেকে দৌড়ে চলে আসে,,,,আকিব ওকে আটকাতে চেয়েও পারলো না,,,,,কারণ রিধির বাবা সামনে দাঁড়িয়ে আছে,,,,,,

__ কি হলো রিধি ওভাবে চলে গেল কেন,,,,

আকিব আর আনহা কিছু না বলে ওখান থেকে বেরিয়ে আসে,,,,, বাইকে করে দুজনে বাড়িতে আসছে,,,,আকিবের মুখটা পুরো লাল হয়ে গেছে,,,, চোখের পানি পড়তে চেয়েও পড়ছে না,,,, আকিব হঠাৎ বাইক থামিয়ে দিল
হঠাৎ ব্রেক করায় আনহা কিছু টা ঝুকে পড়ে আকিবের উপর,,,,আনহা বাইক থেকে নেমে দাঁড়ায়,,,,
আনহা: কি হলো আকিব থামলে কেন,,,??
আকিব: জানি না,,, কি হয়েছে,,,
আকিব ভালো করে তাকিয়ে দেখল বাইকের তেল শেষ হয়ে গেছে,,,,,
আকিব: ওহ শেট,,, (বাইকে লাথি মেরে,,,) এখনই তেল শেষ হতে হলো,,,, কথায় আছে না বিপদ যখন আসে তখন চারিদিক দিয়েই আসে,,,,,
আনহা: আচ্ছা আকিব আমি কিন্তু কিছু বুঝতে পারছি না,,,, ওইলোকটা কে,,,, আর রিধি,,,,
আকিব: ওই লোকটা হলো এই শহরের নামকরা উকিল,,,, আমার বাবার বেস্ট ফ্রেন্ড আর রিধির বাবা,,,,
আনহা: ওহহহ এবার বুঝলাম,,,, কিন্তু তুমি জানতে না উনি ওখানে থাকবেন,,,,ইশশ সব শেষ হয়ে গেল,,,,রিধি তো সবকিছু জেনে গেল এখন কি হবে,,,,,
আকিব: কি আর হবে,,,,ওর বাবা উকিল তো,,
এখন আমার নামে কেস করবে,,,, কেন যে মরতে ওখানে গিয়েছিলাম,,,, কেন আমার একবারের জন্যও আংকেলের কথা মনে আসেনি,,,,,
আনহা: কপাল,,, বুঝেছো,,,,
আকিব: হুম,,, আমার কপালে তো এখন ঘন্টা বাজছে,,,,রিধি একটু পরে মরহুমের খাতায় আমার নাম লিখবে,,,, আল্লাহ মরার আগে তোমার নাম নিয়ে যেন মরতে পারি,,,,,

আনহা: কিসব আজেবাজে বকছো আকিব,,,
এখন ভাবো কিভাবে রিধিকে বোঝানো যায়

আকিব: ও কিছুতেই বুঝবে না,,,, ঘাড়ত্যাড়া প্রকৃতির মেয়ে ও,,,,
আনহা: আমি ওকে বোঝাব,,,,
আকিব: তুমি বোঝাবে রিধিকে,,,,, কিভাবে
আনহা: ওভাবেই,,,, আমি বললে রিধি বুঝবে
আর রিধি যেহেতু একজন উকিলের মেয়ে ওই পারবে আমাদের ডিভোর্স করাতে,,,, বুঝলে

আকিব: ওয়াও কথাটা তো খারাপ না,,, আচ্ছা এতো বুদ্ধি তোমার মাথায় আসে কিভাবে বলবে একটু,,,,
আনহা: সেটা তোমার না জানলেও চলবে,,, নিজের ঘটে তো কোন বুদ্ধি নেই,,,,, খালি তো পারো উল্টাপাল্টা কাজ করতে,,,, এখন যাও যেখান থেকে পারো তেল নিয়ে আসো বাড়িতে যেতে হবে,,, সন্ধ্যা হয়ে আসতেছে,,,,,

রাস্তার একটু পাশেই তেলের দোকান ছিলো,,,,
আকিব বাইকে তেল ভরে আবার রওনা দিলো বাড়ির দিকে,,,,,
রাতের বেলা আকিবকে জোর করেও কেউ খাওয়াতে পারলো না,,,কারণ ওর মাথায় চিন্তা ঘুরঘুর করছে,,,,সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে শুধু আকিব আর আনহা বাদে,,,,আকিব রুমে পায়চারি করছে,,, আর আনহা বসে বসে দেখছে,,,,
আনহা: এভাবে পায়চারি না করে রিধিকে কল করে সব বলো,,,
আকিব: হাজার বার কল করেছি,,, আমার ফোন ও তুলছে না,,,,
আনহা: আমার ফোন দিয়ে কল দাও,,,,
আনহা ওর ফোন এগিয়ে দিল,,,, আকিব রিধিকে কল করে,,,,
রিধি: হ্যালো,,, (ভেজা ভেজা কন্ঠে)
আকিব: রিধি,,, আমি আকিব,,, প্লিজ ফোনটা কেটে দিও না,,,, তোমার সাথে আমার কথা আছে,,,,
রিধি: কি কথা বলবে তুমি হা,,,, কি বলার আছে তোমার,,,,, আমার জীবনটা তো ছারখার করে দিয়েছো আর কি বলবে এখন,,
একবার ও আমার কথা ভাবলে না তুমি আকিব,,,যে আমার কি হবে তোমাকে ছাড়া আমি থাকবো কিভাবে,,,, যাই হোক বিয়ে যখন করেই ফেলেছো এখন আর কি করার আমাকে আর কখনো ফোন করবে না তুমি,,,,

আকিব: তুমি আমাকে ভুল বুঝছো,,, রিধি,,,

আনহা আকিবের হাত থেকে ফোন নিয়ে ও কথা বলল,,,
আনহা: হ্যালো রিধি,,,, প্লিজ তুমি আকিবকে ভুল বুঝো না,,, আমার কথাটা যদি তুমি একবার শোনো তাহলে তোমার কাছে সবটা ক্লিয়ার হয়ে যাবে,,,,
রিধি: কি কথা,,,বলো,,,
আনহা: এভাবে বলা যাবে না,,, কালকে আমাদের সাথে দেখা করো তখনই সব বলবো তবে শুধু এটুকুই বলতে পারি,,, আমি সোহান নামের একটা ছেলেকে ভালোবাসি আর আকিবকে ডিভোর্স দিতে চাই,,,,,

রিধি: কি,,,,বলছো এসব তুমি,,,
আনহা: হুম ঠিকই বলছি,,এখন রাখি কালকে সবটা বলবো ওকে,,,,
আনহা ফোন রেখে দিল,,,,
আনহা: নাও আকিব তোমার প্রবলেম সলভ

আকিব খুশিতে আনহাকে জড়িয়ে ধরে,,,,
আকিব: থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ,,,,,
আহনা তো পুরাই হ্যাঙ্গ হয়ে যায়,,, আকিব আনহাকে ছেড়ে দিল,,,,
আকিব: সরি,,,, খুশির ঠেলায় কিছু দিশা পাচ্ছিলাম না,,,
আনহা: হয়েছে,,,, এখন তোমার জন্য খাবার আনছি চুপ করে খেয়ে নিবে ওকে,,,,
আকিব: এতোক্ষণ কষ্টের ঠেলায় খিদে পায়নি আর এখন খুশির ঠেলায় খিদে উড়ে গেছে,,,

আনহা: না খেলে আমি কিন্তু কালকে রিধির সাথে দেখা করবো না,,,
আকিব: না না,,, আমি খাবো,,,
আনহা: গুড বয়,,,,
আনহা খাবার এনে আকিবকে খাইয়ে দিল আকিব ও গুড বয়ের মতো খেয়ে নিল,,,, তারপর ওরা ঘুমিয়ে পড়লো,,,,

পরের দিন সকালে আনহার চিৎকারে আকিব এর ঘুম ভেঙ্গে যায়,,,,
আকিব: কি হয়েছে সকাল বেলা এতো চেঁচামেচি করতেছো কেন,,,,
আনহা: আরে আকিব,,,সোহান মেসেজ করেছে,,,,
আকিব: ওয়াট,,,,, সত্যি,,,
আনহা: হুম,,,, আমি তো ওর ফোন সুইচ অফ দেখে অনেকগুলো মেসেজ করে দিয়েছি তাই এখন ও রিপ্লাই দিয়েছে,,,,
আকিব: বেশ তো সোহানকেও আজকে আমাদের সাথে দেখা করতে বলো,,,,,
আনহা: আচ্ছা ঠিক আছে,,,, আনহা গান গাইতে গাইতে চলে গেল,,,,মন যে করে উড়ু উড়ু,,,,,???
আকিব আনহার কান্ড দেখে হেসে দিল,,,








বিকেল বেলা আনহা আকিব রিধি আর সোহান একটা রেস্টুরেন্টে দেখা করলো,,,,,
সোহানকে দেখে আনহা ওর দিকে প্রশ্নের তীর ছুড়ে মারে,,,,
আনহা: আচ্ছা সোহান এতদিন তুমি কোথায় ছিলে,,,, আর তোমার ফোন সুইচ অফ করে রেখেছিলে কেন,,,,

সোহান: আসলে আনহা তোমার বিয়েটা আমি মেনে নিতে পারেনি,,,,তাই এতো দিন ঘরবন্দি করে রেখেছিলাম নিজেকে তাই ফোনটাও বন্ধ ছিল,,,,
আনহা: ওহহ আচ্ছা,,,,,
রিধি: আচ্ছা আমাকে এখানে কেন ডেকেছো আকিব,,,, তাড়াতাড়ি বলো আমার কাজ আছে,,,, আমাকে যেতে হবে,,,
আকিব কিছু বলতে গেলে আনহা ওকে থামিয়ে দিল,,,
আনহা: আজকে আমি বলবো আকিব তুমি থামো,,,,,, আসলে রিধি,, আর সোহানকেও বলছি,,,, তোমরা তো জানো আমাদের বিয়েটা ঠিক কিভাবে হয়েছে,,,, কিন্তু আমরা কেউ এই বিয়েটা মানি না,,,,তাই কালকে ডিভোর্সের ব্যাপারে উকিলের সাথে দেখা করতে যাই,,, কিন্তু ওখানে রিধির বাবার সাথে দেখা হয়ে সব নষ্ট হয়ে যায়,,,, কিন্তু বিশ্বাস কর আমি শুধু সোহানকেই ভালোবাসি,,,, আর আকিব ও তোমাকে ভালোবাসে,,,,রিধি,,, প্লিজ তুমি আকিবকে ভুল বুঝো না,,,,
রিধি: বুঝলাম,,,, কিন্তু তোমরা ডিভোর্স একটু তাড়াতাড়ি দাও,,, আমি আর এসব মেনে নিতে পারছি না
আনহা: এ ব্যাপারে তোমাকে আমাদের হেল্প করতে হবে,,,,
রিধি: কিভাবে,,,
আনহা: তোমার বাবা তো উকিল,,, তাই তুমি এসব সম্পর্কে ভালো জানো,,, যেভাবেই হোক তুমি ডিভোর্স পেপার রেডি করো,,, কিন্তু তোমার বাবা যেন না জানে তাহলে উনি সব কিছু আকিবের বাবাকে বলে দিবে,,,,
রিধি: ওহ এই ব্যাপার,,, এটা করতে আমার জাস্ট দুদিন সময় লাগবে,,,,

আনহা: থ্যাঙ্কস রিধি,,,, একবার ডিভোর্স হয়ে গেলে আমি আর সোহান বিয়ে করব তুমি আর আকিব বিয়ে করবে,,,
সোহান: কিন্তু আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না আনহা,,,
আনহা: কেন,,,,,
সোহান: দেখো আনহা তুমি আমাকে ভুল বুঝো না,,, আমার ভালো কোন চাকরি নেই,,,, ছোট একটা জব পেয়েছি সেটা দিয়ে,,, বাবা মাকে নিয়ে কোনরকম চলে যায়,,,, তাই বলছি আর দু এক মাস পর বিয়ে টা করলে কেমন হয়,,, ততদিনে আমি একটা ভালো জব খুঁজে নেব,,,,
আনহার মুখটা গোমড়া করে ফেলল,,,
আকিব: ডোন্ট ওয়ারি,,, (আনহার দিকে তাকিয়ে) আমি সোহানকে ভালো চাকরি পেতে হেল্প করব,,,, কিন্তু তাতেও একমাসের মতো টাইম লাগবে,,,,
সোহান: নো প্রবলেম,,,, (খুশি হয়ে) তাহলে একমাস পর না হয় ডিভোর্স আর বিয়ে একসাথে হবে,,, কি বলো সবাই,,,
সবাই সম্মতি দিলো,,, রিধি মন থেকে নারাজ থাকলেও মুখে সম্মতি দিয়ে দিলো,,,,

আকিব: আচ্ছা আমারা তাহলে আসি,,, হুম,,,
সরি রিধি,,, তোমার বাড়ি তো উল্টো দিকে তাই তোমাকে একাই যেতে হবে,,,, দেরি হলে বাবা আবার বকবে,,,,

সোহান: আরে আমি তো ওখান দিয়েই যাবো আমি বরং ওনাকে বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে আসি কেমন,,,,
আকিব: ওকে,,, এন্ড থ্যাঙ্কস,,,
রিধি সোহানের বাইকে করে চলে গেল আর আকিব আনহা বাড়িতে চলে আসে,,,,

বাড়িতে এসে আনহা ভাবছে,,,,আরও একমাস আকিবের সাথে একই রুমে থাকতে হবে,,,, কিভাবে যে থাকবে,,,যাক গে একমাস ই তো দেখতে দেখতে পার হয়ে যাবে,,

চলবে,,,,,,,,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে