ভালোবাসার লুকোচুরি পর্ব-০৯

0
1147

#ভালোবাসার_লুকোচুরি
#লেখনী_আলো_ইসলাম

” ৯”

-” পরের দিন বিকেলে। শেখ বাড়ির সবাই ড্রয়িং রুমে উপস্থিত। সাথে রোহানও আছে। রুহি নিজের ঘরে বসে ফোন খাটছে। ব্যবসার বিভিন্ন দিকে নিয়ে কথা হচ্ছে রোহান আর তার বাবার সাথে৷ মাঝে মাঝে রুহির বাবাও সঙ্গ দিচ্ছেন তাদের। আমিনা বেগম সবার জন্য চা নিয়ে আসে। রাজিয়া বেগম ওদের সাথেই বসে আছে। এর মধ্যে প্রবেশ করেন দুজন ব্যক্তি। সবার দৃষ্টি এবার তাদের দিকে। রোহান ওদের দেখে চোয়াল শক্ত করে হাত মুঠো করে ফেলে।

– আসিফ রোহানের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দেয় তাতে রোহানের রাগের মাত্রাটা আরো বেড়ে যায় যেনো। আসিফ তার বাবাকে সাথে নিয়ে এসেছে রোহানের বাড়ি। আসিফের বাবাকে দেখা মাত্র রোহানের বাবা হাসি মুখে বলে আরে মিস্টার খান যে আমার বাড়িতে। কি সৌভাগ্য আমাদের বলে উঠে দাঁড়ায়।
– রায়হান শেখের কথায় আসিফের বাবা হেসে বলে এইভাবে বলবেন না। আপনাদের এখানে আসতে পেরে বরং আমি ধন্য।

— ভাইজান বসুন না৷ আমিনা বেগম বলে তাদের উদ্দেশ্যে। আসিফ আর তার বাবা গিয়ে একটা সোফায় বসে। রোহান এখন স্বাভাবিক ভাবে বসে আছে ওদের সামনে ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসিও কিন্তু মনে তার অন্য ভাবনা। আসিফ তার বাবাকে নিয়ে এখানে কেনো? কি করতে চাইছে আসিফ। রাজিয়া বেগম আর আমিনা বেগম চলে যায় ওদের জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করতে।

– তা হঠাৎ কি মনে করে মিস্টার খান? রুহির বাবার কথায় মিস্টার খান হেসে বলে আতিথেয়তা করতে এসেছি আপনাদের সাথে যদি অনুমতি দেন তবে। আসিফের বাবার কথা কারোরই বোধগম্য হয়না। কিন্তু রোহান ঠিকই বুঝতে পারে উনি ঠিক কি বুঝিয়েছেন। দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করছে সব রোহান।

– আপনার কথা ঠিক বুঝলাম না মিস্টার খান? রোহানের বাবার কথায় আসিফের বাবা মুখের হাসিটা আরো চওড়া করে বলে মানে আপনাদের বাড়ির মেয়ে রুহিকে আমার বাড়ির পুত্রবধূ করে নিয়ে যেতে চাই যথাযথ সম্মান দিয়ে যদি আপনাদের কোনো আপত্তি না থাকে। বাবার কথায় আসিফ লজ্জা রাঙা ভাব এনে মাথা নিচু করে মুচকি হাসে। রোহান নিরব দর্শক হয়ে এদের তামাশা দেখছে।

– আমার মেয়ের সাথে আপনার ছেলের বিয়ের প্রস্তাব? রুহির বাবার কথায় আসিফের বাবা হ্যাঁ বলে।
– কিন্তু আমরা তো এখন রুহি মাকে বিয়ে দিতে চাইনা মিস্টার খান রোহানের বাবা বলে।
— আমি সব জানি মিস্টার শেখ তবুও এসেছি আপনাদের কাছে আবদার নিয়ে। তাছাড়া রুহিমা আর আসিফ একে অপরকে চেনে এমনকি তাদের মধ্যে সম্পর্কও আছে। আসিফের বাবার কথায় সবাই অবাক হয়ে যায়।

– কি বলছেন এই সব৷ রুহির সাথে আসিফের রিলেশন মানে? রুহির বাবার কথার পরবর্তীতে আসিফ হাসি মুখে বলে জ্বি আংকেল রুহি আর আমি দুজন দুজনকে চিনি৷ আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক। আপনি যদি রুহিকে ডেকে দিতেন একটু তাহলে ও বলতো সব।
– দেখুন আপনারা রুহির পড়াশোনার জন্য হয়ত এখন বিয়ে দিতে চাননা কিন্তু আমরা রুহি মাকে বিয়ের পড়েও পড়াশোনা করাবো। রুহি যেমন আপনাদের মেয়ে তেমন ওতো আমারও মেয়ে। নিজের বাড়ির মতো সব করবে রুহিমা সেখানে। রোহান আসিফের বাবার কথা শুনে আপন মনে হেসে উঠে কিন্তু এখনো চুপচাপ আছে।

— তাছাড়া আমাদের সম্পর্কে তো সবই জানেন আপনারা। আমার একটা মাত্র ছেলে। যা কিছু আছে সবই ওর জন্য। রুহি’মা খুব সুখি হবে আশা করতে পারেন।

– আসিফের বাবার কথা শুনে রায়হান শেখ বলে আসলে তেমন কোনো ব্যাপার না। রুহিমা কি রাজি হবে বিয়ে করতে৷ তাছাড়া আমরাও চাইনা রুহির এখন বিয়ে দিতে।
– আংকেল প্লিজ আপনি একবার রুহিকে ডেকে দিবেন। রুহি অমত করবে না আমার বিশ্বাস। আসিফের কথায় রোহানের প্রতিটি শিরা উপশিরা রাগে ফুলে উঠে তারপরও শান্ত ভাবে বসে আছে রোহান। রুহির থেকে কিছু না শোনা পর্যন্ত রোহান কিছু বলবে না ওদের।

– আমিনা বেগম রুহিকে ডেকে পাঠায়। নিচ থেকে ডাক পড়ায় রুহি মাথায় ওড়নাটা জড়িয়ে বেরিয়ে আসে। ড্রয়িং রুমে আসিফকে দেখে মুখে হাসি আসে রুহির৷ রুহিকে দেখেও আসিফ ভুবন ভোলানো হাসি দেয় একটা। রোহান নিচের দিকে স্থির ভাবে তাকিয়ে আছে।

– আরে আসিফ তুমি এখানে। রুহির কথায় সবাই বুঝতে পারে রুহি সত্যি আসিফকে চিনে। তাই রুহির বাবা বলে তুমি কি আসিফকে চেনো রুহি?

– বাবার কথায় রুহি এবার চুপসে গিয়ে বলে হ্যাঁ মানে ওই.. কিছু বলার আগেই আসিফের বাবা হেসে বলে থাক মা তোমাকে আর কিছু বলতে হবে না। যা বলার আমি বলছি৷ এবার রায়হান শেখের দিকে তাকিয়ে বলে বলেছিলাম না মিস্টার শেখ রুহিমা আসিফকে আগে থেকে চেনে। ওদের মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে। আসিফের বাবার কথায় রুহি এবার ভ্রু কুচকায়।

– তো এবার বলুন আপনাদের কি মত? রুহির সাথে আমার ছেলের বিয়ে দিতে আর কোনো আপত্তি আছে আপনাদের?
– বিয়ে মানে কার বিয়ে কিসের বিয়ে? রুহি অবাক হয়ে উত্তেজিত কন্ঠে বলে। রুহির কথায় রোহান ঠোঁট কামড়ে হাসি দেয় একটা। রোহান জানতো এমন কিছুই হবে।

– রুহির কথায় আসিফ মুখের হাসি গাঢ় করে বলে কেনো রুহি আমার আর তোমার বিয়ে মানে আমাদের বিয়ে। আসিফের কথায় রুহির অবাকের শেষ চুড়ায় পৌছায় যেনো।
– এই সব কি বলছো আসিফ। আমাদের বিয়ে মানে কি৷ আমি কখনো তোমাকে বিয়ের কথা বলেছি কি? নাকি কখনো তেমন কিছু বুঝিয়েছি। রুহির কথায় আসিফ মুখের হাসিটা রেখেই বলে আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো কিন্তু লজ্জায় সেটা বলতে পারোনি৷ তাই আমি তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য বাবাকে সাথে নিয়ে একবারে আমাদের বিয়ের কথা বলতে এসেছি।

– আসিফের কথায় রুহির এবার রাগ হয় ভীষণ। দেখো আসিফ তোমার হয়ত কোথাও ভুল হচ্ছে। আমি তোমাকে শুধু ফ্রেন্ড ভেবেছি এর বেশি কিছু না। তোমার মনের ভুল সব৷ আমি তোমাকে কখনো ভালোবাসিনি। রুহির কথায় আসিফের মুখের হাসি চলে যায়। অবাক হয়ে রুহির দিকে তাকায় আসিফের বাবার মুখটাও মলিন হয়ে আসে।

– এই সব কি বলছো রুহি৷ তুমি কি রোহানের ভয়ে এমন কথা বলছো৷ যদি তাই হয় তাহলে বলব আজ অন্তত ভয় পেয়েও না। রোহান কিছু করবে না তোমাকে আমি বলছি। এখানে সবাই তোমার জন্য আছে। তুমি সত্যি টা বলো রুহি অস্থির হয়ে বলে আসিফ। আসিফের এমন অবস্থা দেখে রোহানের মনে শান্তি বয়ে যায়।

– এখনই এই অবস্থা তোর। এখনো তো আসল ধামাকা পড়ে আছে আসিফ তোর জন্য সেটা জানার পর তোর কেমন অবস্থা হবে সেটা ভাবছি মনে মনে বলে রোহান।

— আমাকে কি তোমার ছোট বাচ্চা মনে হয় আসিফ। যে আমাকে কেউ ভয় দেখিয়ে কিছু বলতে বলবে আর আমি তার শেখানো বুলি ছুড়তে থাকবো। আমি নিজে থেকে তোমাকে বিয়ে করতে চাইনা। কারণ আমি তোমাকে ফ্রেন্ডের বাইরে তেমন ভাবে কখনো দেখেনি। তাহলে এখানে বিয়ের প্রশ্ন আসছে কেনো। আর রইলো রোহান ভাইয়ার কথা। হ্যাঁ আমি তাকে ভয় করি তাই বলে অসম্মান না। আর ভাইয়া কখনো অন্যায় করেনা আর না কাউকে সে শিক্ষা দেয়। তুমি ভুল বুঝেছো ভাইয়াকে।

– তোমার জবাব পেয়ে গেছো নিশ্চয় আসিফ খান। এবার মুখ খুলে রোহান। আসিফ অসহায় চোখে রোহানের দিকে তাকায়। তাই দেখে রোহান শব্দ করে হেসে উঠে। এতে প্রায় সবাই অবাক হয়। কি হচ্ছে এখানে কিছুই বুঝতে পারছে না। আসিফের বাবা মাথা নিচু করে বসে আছে। অনেক আশা নিয়ে এসেছিলেন রুহিকে তার ছেলের বউ করে নিয়ে যাবেন বলে কিন্তু সব আশা নিরাশায় পরিণত হলো।

— তোমার কাজ শেষ এবার আমার পালা। বলেছিলাম রুহি তোমাকে যদি ভালোবাসে তোমার সাথে থাকতে চাই তাহলে আমি নিজে ওকে তোমার হাতে তুলে দেবো। তুমি তো দিব্যি ফেইল করে গেলে আসিফ। অবশ্য আমি আগেই জানতাম তোমার নাম্বার (০) হয়ে বসে আছে। শুধু শুধু বৃথা চেষ্টা করলে এই যাবত। আসিফের এখন আর কিছু বলার নেই সত্যি। না জেনে রুহির সাথে কথা না বলে এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি তার উপলব্ধি করে। সত্যি রোহানের কাছে আবারও হেরে গেলো সে।

– এই সব কি বলছো রোহান। কি হচ্ছে এখানে কিছুই বুঝতে পারছি না। তোমরা কি নিয়ে কথা বলছো একটু বলবে রায়হান শেখ বলেন ব্যস্ত হয়ে। বাবার কথায় রোহান মুখের হাসি আরো গভীরে নিয়ে বলে সব বুঝে যাবে বাবা একটু অপেক্ষা করো বলে রোহান তার কোর্টের পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে সবার সামনে রাখে। সবাই এতে ভ্রু কুচকে কোতুহলী চোখে তাকিয়ে আছে।

– এটা কিসের কাগজ রোহান। রুহির বাবার কথায় রোহান নুয়ে যাওয়া কন্ঠে বলে আমাকে মাফ করো দিও ছোটবাবা৷ আমি তোমাদের অনুমতি না নিয়ে একটা বড় কাজ করে ফেলেছি। আমাকে প্লিজ ক্ষমা করে দিও। রোহানের কথায় রুহির বাবা সন্ধিহান চোখে বলে কি বলছো এই সব রোহান। কি করেছো তুমি?

– রোহান হেয়ালি না করে সোজা জবাব দাও রুক্ষ কন্ঠে আমিনা বেগম বলেন।
– এটা আমার আর রুহির বিয়ের রেজিষ্ট্রি পেপার। আজ থেকে প্রায় এক বছর আগে আমার আর রুহির বিয়ে হয় সবার আড়ালে। রোহানের কথায় সবাই দারুণ অবাক। রুহি তো অবাকের শেষ চুড়ায় পৌছায়। রোহানের বলা কথাটা যেনো এখনো কানে বাজছে রুহির৷ কি বলল এটা রোহান।

– রাজিয়া বেগম আমিনা বেগম রায়হান শেখ রুহির বাবা অবাক হয়ে তাকিয়ে রোহানের দিকে। আসিফ তো পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে বসে আছে। কি হচ্ছে তার বোধগম্য নেই আর।

— বাবা তোমার মনে আছে তুমি রুহির জন্য একটা বাংলো কিনেছো গতবছর। তার জন্য তুমি রুহির কিছু সিগনেচার নিয়েছিলে। ওই সব পেপার তো আমি রেডি করিয়েছিলাম উকিল আংকেলকে দিয়ে। তার সাথে আমাদের বিয়ের পেপারটাও ছিলো।

– রোহানের কথায় রুহির চোখ ছলছল করে উঠে। একদিকে যেমন ভালো লাগা আছে আরেক দিকে তেমন রাগ অভিমান। তার অনুমতির বাইরে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রোহানের নেই।

– এই সব কি বলছো রোহান আর কেনো বলছো। আমার সত্যি বোধগম্য হচ্ছে না এই সবের মানে কি?

– সরি বাবা আমার এই ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না। আমি ছোট থেকে রুহিকে ভালোবাসি। তাই ওকে সব সময় আগলে আগলে রেখেছি। কখনো বোনের চোখে দেখিনি আমি রুহিকে৷ কিন্তু রুহি দিন দিন অনেক দুষ্টু স্বভাবের হয়ে যাচ্ছিলো। আমার ভয় হতো ওকে হারিয়ে ফেলার। তাই আমি বাধ্য হয়ে এমন একটা কাজ করি। আমি চেয়েছিলাম রুহির পড়াশোনা শেষ হলে তবেই সবাইকে সবটা জানিয়ে দেবো। কিন্তু তার আগে এমন পরিস্থিতি হলো আমাকে বাধ্য হয়ে এখনই প্রকাশ করতে হলো। যাতে এরপর আর কোনো ঝামেলা নিয়ে না বেড়াতে হয় আমাদের। রোহান এবার তার মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে তুমি বলেছিলে না রুহির সাথে এমন ব্যবহার করার কোনো অধিকার নেই আমার। আমি তোমাকে বলেছিলাম রুহির উপর সব রকম অধিকার আমার আছে সময় হলে ঠিকই বুঝতে পারবে।। আজ সেই সময় সবাইকে সবটা জানিয়ে দেওয়ার।

– মিস্টার খান আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখীত। আমরা আপনার আবদারটা রাখতে পারলাম। আজ এমন একটা পরিস্থিতির সামনে এসে পড়তে হবে আমাদের ভাবিনি।
– আপনারা কেনো মাফ চাচ্ছেন মিস্টার শেখ। ভুল তো আমাদের।। আমরা না জেনে না বুঝে চলে এসেছি এত বড় একটা আবদার নিয়ে। এতে আপনাদের বা রুহি মার কোনো দোষ নেই। আমার ছেলের বুঝতে ভুল।। রুহির সাথে তার কথা বলে নেওয়া উচিত ছিলো। আসিফ নিরবে সব অভিযোগ শুনে যাচ্ছে তার বাবার৷ সত্যি তো সব দোষ তার। তার জন্য তার বাবা অপমান হলো এখানে এসে।

– আমরা আজ আসি মিস্টার শেখ বলে উঠে দাঁড়ায় আসিফ আর আসিফের বাবা। রায়হান শেখও দাঁড়িয়ে বলে কিছু মনে করবেন। আবার আসবেন একটা সম্পর্ক না হলে কি আমাদের পারিবারিক বন্ধুত্ব থাকবে সর্বদা বলে আসিফের বাবার সাথে হাত মিলিয়ে বিদায় দেয় তাদের। আসিফ যাওয়ার আগে অসহায় চোখে রুহির দিকে তাকায় একবার। আসিফের ভীষণ খারাপ লাগছে৷ যতই রোহানের সাথে শত্রুতা থেকে হোক সত্যি তো এটাই যে রুহিকে মন থেকে ভালোবেসে ফেলেছিলো আসিফ।

–” সবাই একটু চুপ থাকার পর রায়হান শেখ রুহির বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলে রোহান যখন এমন একটা কাজ করে ফেলেছে তখন অস্বীকার করা যায় না এদের সম্পর্কটা। তাই তোর যদি কোনো আপত্তি না থাকে তাহলে আমরা এবার ওদের বিয়েটা ধুমধাম করে দিতে চাই সবাইকে জানিয়ে।
– আমার তো রুহিকে সব সময় নিজের কাছে রাখার ইচ্ছে ছিলো। শুধু মুখ ফুটে কখনো বলতে পারিনি তোমাদের৷ যদি তোমরা অন্য ভাবে নাও সেটা ভেবে। আমি রুহিমা কে সব সময় নিজের মেয়ের মতো করে দেখে এসেছি। এখন আমার ছেলের বউ করে নিয়ে রাখতে চাই আমার কাছে রুহিকে এতে কি তোদের আপত্তি আছে ছোট রুহির মাকে উদ্দেশ্য করে বলে আমিনা বেগম।

– রোহান অনেক ভালো ছেলে আপা। আমার মেয়ে অনেক ভাগ্য করে রোহানের মতো একটা স্বামী পেয়েছে আর আমরা এতে আপত্তি করবো ভাবলে কি করে। তাছাড়া একমাত্র মেয়ে আমার। আমরা চাই রুহি সব সময় আমাদের চোখের সামনে থাকুক।আমাদের কোনো আপত্তি নেই আর না আছে কোনো অভিযোগ।

– কিন্তু আমার আছে মা বলে উঠে রুহি। রুহির কথায় চমকে উঠে রোহান অবাক হয়ে তাকায় সবাই রুহির দিকে। আর রোহান করুণ চোখে রুহির দিকে তাকিয়ে আছে৷

— চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে