Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"ভালোবাসার ভিন্ন রংভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব-৪৬(বর্ধিতাংশ)

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব-৪৬(বর্ধিতাংশ)

#ভালোবাসার_ভিন্ন_রং
#সাইয়্যারা_খান
#পর্বঃ৪৬(বর্ধিতাংশ)

অবশেষে দীর্ঘ নয় মাস তিন সপ্তাহ প্রতিক্ষায় অবসান ঘটিয়ে নিজের স্বরে চেঁচিয়ে উঠলো ছোট্ট একটি প্রাণ। সে জানান দিচ্ছে পৃথিবীতে তার অবস্থান। ছোট্ট ছোট্ট হাত পা ছড়িয়ে কেঁদে যাচ্ছে সে। সবার প্রথম যার হাতে তাকে তুলে দেওয়া হলো সে হলো তার বাবা। অদ্ভুত ভাবে বাবা’র সানিধ্য পেয়েই চুপ করে গেলো সে। আদো আদো চোখ খুলে বাবা’কে দেখতে ব্যাস্ত সে। রাদ ঝুঁকলো। চুমু খেল ছেলের কপালে। মুখে আওড়ালো,

— মাশাআল্লাহ।

পাশেই জাইফা অর্ধ জ্ঞান হয়ে শুয়ে আছে। কিছুক্ষণ বিশ্রাম দরকার ওর। ড.মিহা হেসে রাদের পিঠ চাপড়ে বললো,

— ইউ হেব ডান ইট রাদ। আলহামদুলিল্লাহ।

রাদ একপলক মিহা’কে দেখে নিলো। নার্স এসে রাদের ছোট্ট ছেলেকে কোলে তুলে নিলো পরিষ্কার করার জন্য। রাদ এবার জাইফা’র কাপলে উষ্ণ স্পর্শ দিলো। নরমাল ডেলিভারি হয়েছে জাইফার। পুরোটা সময় রাদ ছিলো পাশে। স্ত্রী’র হাত ধরে সাহস জুগিয়েছে প্রতিনিয়ত। ক জন পুরুষ পারে এমন? রাদ পেরেছে। প্রিয়তমা’র পাশে থেকেছে। তীব্র যন্ত্রণায় যখন জাইফা ছটফট করছিলো তখন রাদ ই ছিলো যার কথায় সাহস পেয়েছিলো মেয়েটা। প্রথম মা-বাবা হয়েছে দুজন। খুশিতে রাদের চোখে পানি জমলো। কেবিন থেকে রাদ বের হতেই দেখলো নিজের সব আপনজনদের। শুধু নেই আদরের ছোট্ট বোনটি। আদ্রিয়ান দাঁড়িয়ে আছে। রাদ খুশি মনে এগিয়ে এসে জানালো তার ছেলে হয়েছে এবং মা আর সন্তান দুজনই সুস্থ। সকলেই খুশি হলো।

“আমাকে দেখাও। কই? এই ফোন ধরেন ঠিক করে।”

হঠাৎ এমন আওয়াজে রাদের বুঝতে বাকি রইলো না তার পাগল বোন ভিডিও কলে আছে। রাদ হেসে এগিয়ে আদ্রিয়ান থেকে ফোন নিয়ে বললো,

— এখনো কেউ দেখে নি। আমি দেখেছি শুধু আর ডক্টর’রা।

— কখন দেখাবে?

রোদের বলতে বলতেই নার্স বাচ্চা নিয়ে হাজির। রাদ সবার আগেই রোদকে দেখালো। রোদ যে কতটা উচ্ছাসি তা হয়তো সকলেই আন্দাজ করতে পারলো। একে একে সবাই দেখলো। রাত হওয়াতে বাকিরা বাসায় ফিরে গেলো। থেকে গেলো দিশা,রাদের মা আর জাইফার মা। রাদ ছেলে আর বউকে নিয়েই ব্যাস্ত রইলো।

______________

বাসার সবাই যে যার রুমে। আদ্রিয়ান এখনও আসে নি। কিভাবে আসবে? রোদের প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর থেকে আদ্রিয়ান বাসায় বেশি সময় দেয়। অফিসের কাজ বাসা থেকেই করে। যতটুকু না গেলেই না ততটুকু অফিসে গিয়ে করে আসে। মিটিং গুলো ভার্চুয়াল ভাবেই করে তবে সব তো আর বাসা থেকে সম্ভব না। এই কোম্পানির ষাট পার্সেন্ট আদ্রিয়ানের করা। বাকি চল্লিশ পার্সেন্ট ওর বাবা’র। যার মালিক ওরা তিন ভাই বোন। আদ্রিয়ান সেখান থেকে নিবে না আগেই জানিয়েছে কিন্তু সমস্যা হলো আরিয়ান আপাতত ব্যাবসায় হাত দিতে চাচ্ছে না। সময় হচ্ছে না আর জারবা ছোট। না চাইতেও দায়িত্ব ঘুরে ফিরে আদ্রিয়ানের উপরই। ওর বাবা’র বয়স হয়েছে ইদানীং। উনি ও সব একহাতে সামলাতে পারেন না। তাই আদ্রিয়ানের অফিসে যেতেই হচ্ছে। নাহলে এই অবস্থায় নিশ্চিত ও বউ ছেড়ে নড়তো না।
.
রোদের হঠাৎ করেই পেটে ব্যাথা অনুভব হলো। মাত্রা বাড়তেই রোদের ঘাম ছুটে গেলো। আদ্রিয়ান থাকলে এখন একটু সুবিধা হতো। রোদের এখন এমন হয়েছে যে এক মুহূর্ত ও আদ্রিয়ান ছাড়া থাকা দায়। কাকে ই বা ডাকবে? ডেকেই বা কি হবে? দিন নেই রাত নেই এই ব্যাথা হয়েই থাকে। বাচ্চা দুটো যত বড় হচ্ছে ততই রোদের ভোগান্তি বেড়ে চলছে। মা হওয়া মোটেও সহজ কিছু না। রোদ তা হাড়ে হাড়ে টের পায় এখন। মাঝে মধ্যে হাসি পায় ওর। কোন এক সময় ও কাঁদতো কেন মা হতে পারবে না এটা ভেবে। ভুগেছিলো ডিপ্রেশনে। অথচ এখন ভুগে মাতৃকালীন যন্ত্রণায়। অদ্ভুত।
হঠাৎ কান্নার শব্দ পেলো রোদ। বুঝতে দেড়ী হলো না কার কন্ঠ এটা। পেটে ব্যাথা ও করছে। না পেরে উঠে দাঁড়িয়ে গেল রোদ। দেয়াল ধরে ধরে সামনে হাটা দিলো। ইদানীং একা নিচে নামে না ও। আদ্রিয়ান ধরে ধরে নামায়। প্রয়োজন ছাড়া অবশ্য নামায় ও না। রোদ উঁকি দিয়ে দেখলো মিশি ফ্লোরে বসে কাঁদছে। আশেপাশে ও কেউ নেই। রোদ হাঁক ছেড়ে ডাকলো,

— মিশি।

মিশি শুনলো না। একমনে বসে কাঁদছে ও। উপায়ন্তর না পেয়ে সিড়ির রেলিং আঁকড়ে রোদ নামতে লাগলো। পেট যথেষ্ট উঁচু হওয়াতে নিচের দিকে ভালো দেখতে পায় না। মনে হয় এই বুঝি পরে গেলাম। এদিকে পেট ও ব্যাথা করছে। মাথা ঘুরাচ্ছে। ঘেমে উঠেছে রোদ। অনেক কষ্টে নিচে নামলো। একবার শাশুড়ী’কে ডাকও দিলো। সাড়া এলো না। হেঁটে হেঁটে বেশ সময় লাগিয়ে মিশির কাছে গেলো রোদ৷ এখন ঝুঁকা তো সম্ভব না। চেয়ার ধরে হাঁপাচ্ছে রোদ। এতদূর হেটে বেশ ক্লান্ত হয়েছে ও। তবুও আদর লাগিয়ে ডাকলো,

— মিষ্টু মা আমার উঠে আসো বাচ্চা। মা ঝুঁকতে পারছি না সোনা।

মিশি উঠছে না। ওর কথা পরে গিয়েছি এখন তো মায়ে’র কোলে তুলে নেয়ার কথা। তাহলে কেন মা নিচ্ছে না। রোদ একবার চেষ্টা ও করলো কিন্তু সম্ভব হলো না। আবারও বললো,

— মাম্মার কিশমিশ উঠে এসো মা। এই দেখো তেমার ভাই-বোন’রা ডাকছে তোমায়।

মিশি তাকালো একবার। কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে। রোদ হাত বাড়াতেই তা ধরে উঠলো মিশি। উঠেই হাত বাড়িয়ে দিলো মায়ে’র দিকে। মানে কোলে নাও। ব্যাথা পেয়েছে মিশি। এখন কোলে উঠা ফরজ কাজ ওর। রোদের নিজেকে অনেক অসহায় মনে হচ্ছে। কিভাবে কোলে তুলবে ও? তাই বললো,

— মা মাম্মার হাত ধর। চলো সোফায় বসে মাম্মা কোলে নিব।

মিশি যাবে না। ও এখনই উঠবে। রোদ এক হাত পেটে দিয়ে আরেকহাতে চেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে আছে। এদিকে মিশি মায়ে’র কোমড় জড়িয়ে ধরে কেঁদে যাচ্ছে। রোদ এবার রীতিমতো ভালো করেই হাঁপাচ্ছে। ওর মাথা ঘুরিয়ে যাচ্ছে। মিশি’কে ধরবে নাকি নিজেকে তাই বুঝতে পারলো না। আদ্রিয়ান ঠিক তখনই বাসায় ডুকলো। দরজা পর্যন্ত এসে মিশি’র কান্নার শব্দ শুনে বাকিটুকু আর হেটে না এসে কিছুটা দৌড়েই এলো। ডুকেই এমন দৃশ্য দেখে আদ্রিয়ান চমকে গেলো। কয় ঘন্টা ই বা বাইরে ছিলো ও? তাতেই এই অবস্থা? রোদ চেয়ার ধরে হাঁপাচ্ছে আর মিশি ওর কোমড় জড়িয়ে কাঁদছে। ছুটে এলো আদ্রিয়ান। মিশিকে কোলে তুলে নিয়ে রোদের দিকেও হাত বাড়িয়ে দিলো। মিশি বাবা’কে পেয়েই অভিযোগ করলো মা কোলে তুলে নি তাকে। সে ব্যাথা পেয়েছে। রোদ মাথা এলিয়ে দিলো আদ্রিয়ানের কাঁধে। আদ্রিয়ান পরলো বেকায়দায়। জোরে ডাক দিলো ওর মা’কে। হয়তো তিনি বাসায় নেই তাই আদ্রিয়ানের ডাকে জারবা আর মিশান বেরিয়ে এলো। রোদ ততক্ষণে শরীর ছেড়ে দিয়েছে। মিশিকে মিশান কোলে তুলে নিয়ে। রোদকে পাজা কোলে তুলে নিয়ে আদ্রিয়ান রুমে হাটা দিলো। মুখে পানি ছিটিয়ে বার কয়েক ডাকলো। ক্লান্ত রোদ চোখ খুলে আবারও বুজে নিলো। আদ্রিয়ানের হাতটা নিজের বুকে চেপে নিলো। এই আদ্রিয়ান এখন যে কতটা অস্থির হয়ে আছে তা রোদ ছাড়া কে ই বা জানে?

_______________

রাতুল বাসায় ডুকলো বেশ রাতে। ডুকতেই ভ্রু কুচকে এলো ওর। খাবার টেবিলে দিশা নেই। রোজ তো থাকে। আজ কোথায়? তবুও ততটা না ভেবে রুমে ডুকলো। এখানেও না দেখে এবার রাতুল হাতের ব্যাগটা সোফায় ছুড়ে জোরে ডাক দিলো,

— দিশা! দিশা!

জবাব এলো না৷ রাতুল বিরক্ত হলো। শার্ট খুলতেও ভীষণ আলসেমি লাগছে ওর। ও আসলে তো দিশাই বোতাম খুলে দিতো। কোমড়ে হাত গুজে ওয়াসরুম,ব্যালকনিতে চেক করলো। না নেই। কিছুটা জড়তা নিয়েই মায়ে’র রুমের দিকে গেলো। মায়ে’র সাথে ভালোভাবে কথা হয় না অনেক সময় ধরে। তাই কিছুটা সঙ্কোচ নিয়েই নক করে বললো,

— আম্মু দিশা কি এখানে?

— না তো। কেনো?

— কোথাও নেই তো।

কথাটা বলেই রাতুল সারা বাড়ী খুঁজলো। না পেয়ে কল করলো। দিশা ধরলো না। অস্থির হলো রাতুল।দিশা কোথায়? ওদের তো কোন ঝগড়া ও হয় নি। তাহলে? তিশা’কে কল দিতেই ও ধরলো৷ দিশা’র কথা জিজ্ঞেস করতেই তিশা জানালো দিশা হসপিটালে আছে জাইফার কাছে। রাতুল আচ্ছা বলে ফোন রাখলেও রেগে উঠলো এটা ভেবে কেন একবার বলে গেলো না। রাতুল কে কি একবার বলা যেতো না?

#চলবে……

( রিচেক করা হয় নি। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ