ভালোবাসবে তুমিও পর্ব-১৩

0
1650

#ভালোবাসবে_তুমিও❤
#পর্ব__১৩
#অদ্রিতা_জান্নাত

পিছন থেকে অরূপের মা মায়াকে এভাবে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নিজে সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন ৷ মায়াকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতেই ওর হুশ ফিরলো ৷ একটা ঢোক গিলে ওই ব্যক্তিটির দিকে আবার তাকালো ও ৷ অরূপের মা বলতে লাগলো,,,,,,,,,,

“দাঁড়িয়ে আছিস কেন? ভিতরে আয় না!”

বলেই তাকে ভিতরে এনে সোফায় বসালো ৷ অরূপের মা তার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,

“আকাশ তুই একা এলি কেন? আপুকে আর ভাইকে নিয়ে আসতে পারতি ৷”

আকাশ বলে উঠলো,,,,,,,,

“দুদিন আগেই তো গেলো ৷ আজ মম আর আসতে চায় নি তাই ৷ আর আব্বুর তো কাজ আছে তাই আসতে পারে নি ৷ আমিই এলাম তোমাদের সাথে দেখা করতে৷”

“এই রাতের বেলাও ভাইয়ের কি কাজ রে?”

“আরে বড়মা তুমি তো জানোই আব্বুর কাজের জন্য সকাল অর রাতের দরকার হয় না ৷ যখন ইচ্ছা তখন করে ৷ শোনো না এক গ্লাস পানি দাও তো ৷”

“এবাবা ভুলে গেছি একদম ৷ বস আমি এক্ষুনি আনছি৷”

বলেই মায়ার দিকে একবার তাকিয়ে চলে যান তিনি ৷ আকাশ পকেট থেকে ফোন বের করে টিপতে লাগলো ৷ মায়া যে ওর দিকে তাকিয়ে আছে সেটা দেখেও না দেখার ভান করে রয়েছে ৷ মায়া ওর সামনে গিয়ে চাপা স্বরে বলে উঠলো,,,,,,,

“তুমি এখানে কি করছো?”

আকাশ একবার ওর দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিল ৷ ও কিছু বললো না দেখে মায়ার আবার বলে উঠলো,,,,,,,

“আমি তোমাকে কিছু বলছি ৷ তুমি এখানে কেন এসেছো? কি চাও তুমি?”

আকাশ এবারেও কিছু বললো না ৷ মায়া রেগে কিছু বলতে যাবে তার আগেই অরূপের মা হাতে ট্রে নিয়ে ওর পাশে এসে বসলো ৷ আকাশ সেখান থেকে পানির গ্লাসটা নিয়ে বলতে লাগলো,,,,,,,,,

“খাবারের দরকার নেই ৷ খেয়ে নিয়েছি রাস্তায় আমি ৷ এখন আর খাবো না ৷ তোমরা খেয়েছো?”

তিনি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন,,,,,,,,,

“হুম ৷ তুই খেয়ে নে না ৷”

“নট পসিবল ৷ সত্যি পেট পুরো ভরা আমার ৷”

“আচ্ছা যা তাহলে রেস্ট নে রুমে গিয়ে ৷”

আকাশ মাথা নাড়িয়ে মায়ার দিকে একপলক তাকিয়ে উপরে চলে গেল ৷ বিদেশ যাওয়ার আগে ও এ বাড়ি প্রায়ই আসতো ৷ তাই ওর আলাদা রুমও আছে এখানে ৷ আশেপাশে তাকিয়ে রুমে ভিতরে ঢুকে দরজা লাগাতে গেলেই মায়া ওকে ঠেলে ভিতরে ঢুকে গেল ৷ আকাশ চোখ মুখ কুচকে তাকালো ওর দিকে ৷ মায়া আশেপাশে তাকাতে তাকাতে বলে উঠলো,,,,,,,,,

“আমার প্রশ্নের উত্তর দাও ৷”

“বের হও এখান থেকে ৷”

মায়া খানিকটা অবাক হয়ে তাকালো ৷ আকাশ তাচ্ছিল্য স্বরে বলতে লাগলো,,,,,,,

“কি? অবাক হচ্ছো?”

“না এটা বলো তুমি এখানে কেন এসেছো? কি সম্পর্ক এই বাড়ির সাথে তোমার?”

“এখন আমি যদি বলি তুমি কেন থাকছো এখানে? কি সম্পর্ক এখানকার সবার সাথে তোমার?”

“এটা আমার প্রশ্নের উত্তর না ৷”

“আমি বাধ্য নই তোমাকে উত্তর দেয়ার ৷”

“আকাশ আমাকে একটু শান্তি দিবে প্লিজ? কেন এরকম করছো তুমি?”

“কারনটা কি আবার নতুন করে বলতে হবে? আমাকে অশান্তিতে রেখে তুমি শান্তিতে থাকবে সেটা কি করে হয় সুইটহার্ট ৷”

মায়া আকাশের দিকে কিছুটা চমকে তাকালো ৷ তারপর কাঁপাকাঁপা গলায় বলতে লাগলো,,,,,,,,,,

“আকাশ ততুমি আমাকে কিডন্যাপ করেছিলে না?”

মায়ার এক হাত ধরে নিজের কাছে টেনে এনে খানিকটা হেসে আকাশ বলতে লাগলো,,,,,,,,,,

“এতোটা বোকা তুমি সেটাতো জানতাম না আমি ৷ সবজায়গায় আমাকে খোঁজার জন্য লোক লাগিয়েছো? কিন্তু খোঁজ পেয়েছো? না পাও নি ৷ আমি নিজে থেকেই ধরা দিয়েছি তোমায় ৷ তাই পেলে এতোক্ষনে ৷”

“ছাড়ো আমাকে ৷ তুমি এইটা কি করলে? কেন এরকম করলে বলো? কেন আমার বিয়ের দিনই এরকম একটা কাজ করলে ৷”

আকাশ মায়াকে আরো চেপে ধরে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,

“মাঝপথে আমাকে ছেড়ে দিয়ে তুমি সুখে থাকবে ভেবেছো? কিন্তু আমি এতোটাও ভালো নই ৷ ভালোবেসেছি দেখে এই নয় যে যা ইচ্ছা তাই করবে ৷”

আকাশ মায়াকে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করে দিয়ে আবার বলতে লাগলো,,,,,,,

“তোমার মতো মেয়ে না আসলেই ভালোবাসার যোগ্য নয় ৷ টাকা দেখে হিসাব করো? ভালোবাসাটা টাকায় হয় না দুটো পবিত্র মনের হয় ৷ অরূপের লাইফ থেকে তো তোমার মতো জঘন্য মেয়েকে সরাবোই আমি ৷ তার সঙ্গে আমার লাইফ থেকেও ৷”

বলেই ঠাসস করে ওর মুখের উপর দরজা লাগিয়ে দিলো আকাশ ৷ মায়া রেগে সেখান থেকে চলে গেল ৷

____________________________

সকাল ১০ টা ১০ বাজে ৷
একটা ক্লাবের পিছন দিক দিয়ে তুহিন দাঁড়িয়ে আছে ওর সঙ্গে আছে কালকের সেই মাতাল ছেলেটা যার নাম রকি ৷ কিছুক্ষন পর সেখানে মায়া এসে হাজির হলো ৷ ওকে এই জায়গায় ডেকে আনা হয়েছে ৷ তুহিন রকিকে সব বুঝিয়ে দিলে ছেলেটা মায়ার কাছে চলে গেল ৷ আর এদিকে তুহিন এসব কিছু ভিডিও করতে লাগলো ৷ রকি মায়ার কাছে আসলে মায়া বলতে লাগলো,,,,,,,,,,

“কি বলবে তাড়াতাড়ি বলো যেতে হবে আমাকে আবার৷”

ছেলেটা একটা ঢোক গিলে বলতে লাগলো,,,,,,,,,

“ইইয়ে মমানে ম্যাম আপনার সঙ্গে আমার দরকারি কিছু কথা আছে ৷”

মায়া ভ্রু কুচকে বললো,,,,,, “কি?”

“আব আসলে আমি কিছু জানতে চাই ৷”

মায়া জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো রকির দিকে ৷ ছেলেটা আবার বলতে লাগলো,,,,,,,,,

“না মানে জানা দরকার ৷ আসলে আপনি ওই ভিডিও দিয়ে কি করেছেন সেটাই জানতে চাচ্ছি আমি ৷”

“সে সব কথা তোমাকে কেন বলবো?”

সন্দেহ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে মায়া কথাগুলাে বললো ৷ মায়ার কথা শুনে রকি কিছুক্ষন চুপ থেকে কিছু একটা ভেবেই বলে উঠলো,,,,,,,,,,

“নাহলে কেউ জানতে আসলে বলবো কীভাবে?”

মায়া চমকে উঠে বললো,,,,,,,,,, “মানে?”

“আসলে যদি কেউ এই ভিডিও গুলোর খোঁজ নিতে আসে তাহলে আমি কীভাবে কি বলবো?”

“মানে? কেউ এসেছিল?”

রকি হালকা ভাবার ভান করে বলতে লাগলো,,,,,,,,,

“হ্যাঁ হ্যাঁ এসেছিল তো ৷”

“কে এসেছিল? কি বলেছো তুমি তাকে?”

“শ্রেয়া নামের একটা মেয়ে এসে জিজ্ঞেস করেছিল যে মায়া নামের কেউ অরূপকে কোনো কিছুর মাধ্যমে ভুল বুঝিয়েছে কিনা আমি না বলে দিয়েছি ৷”

“তুমি না বলেছো আর ও মেনে নিয়েছে?”

“হ্যাঁ নিয়েছে তো ৷ এখন যদি আপনি আমাকে না বলেন যে আপনি এই ভিডিও গুলো দিয়ে কাকে কীভাবে ভুল বুঝিয়েছেন তাহলে তো অামি জানতেই পারবো না যে আপনি কীভাবে ভুল বুঝিয়েছেন তাকে ৷ কেউ জিজ্ঞেস করলে সত্যিটা না জানলে তো আমি কিছুই বলতে পারবো না ৷ এই ধরুন যাকে আপনি ভুল বুঝিয়েছেন সে যদি এসে বলে সব সত্যি কিনা? আমি তো আর জানিনা আপনি তাকে কি বুঝিয়েছেন ৷ যদি বলি যে ওসব মিথ্যা ৷ তাহলে তো সে সব জেনে যাবে না? তাই জানতে চেয়েছি আমি ৷”

মায়া কিছুক্ষন চুপ করে ভাবতে লাগলো যে ও কিছু বলবে কিনা? বলা কি ঠিক হবে ওর? রকি অাবার বলে উঠলো,,,,,,,,,,,,,

“কি হলো ম্যাম বলুন না ৷ আচ্ছা থাক বলে দিব আমি যে সব মিথ্যা এটাই হয়তো ঠিক হবে ৷”

মায়া গর্জে উঠে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,

“না ৷ আমি বলবো আজ সব তোমায় ৷ কিন্তু তুমি কাউকে বলতে পারবে না বুঝেছো?”

ছেলেটা মাথা নাড়ালে মায়া একটা দম নিয়ে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,,,

“আমি যখন কলেজে ফার্স্ট ভর্তি হই তখন অরূপকে প্রথম দেখে ভালো লেগে যায় আমার ৷ বিভিন্ন কিছুর হেল্প চাইতে ওর কাছে যেতাম আমি ৷ আমাদের কলেজের একটা নিয়ম ছিল যে সব কাজে জুনিয়ররা সিনিয়র দের কাছে হেল্প চাইতে পারবে ৷ সিনিয়ররাও তাদের যথাসাধ্য হেল্প করবে ৷ অরূপ আমার সিনিয়র ছিল তাই সবসময় ওর কাছেই সাহায্য চাইতাম আমি ৷ একসময় আমাদের মধ্যের সম্পর্কটা অনেকটা মজবুত হয় ৷ বন্ধুত্ব করি আমরা ৷ কিন্তু আমার অরূপ অনেক ভালো লাগতো ৷ এতোই ভালো লাগতো যে সারাদিন ওর কথাই মাথায় আসতো ৷ আমি যখন ২য় বর্ষে পরি তখন শ্রেয়া ১ম বর্ষের জন্য এডমিশান নেয় এই কলেজে ৷ তখন থেকেই অরূপ আর শ্রেয়া দুজন দুজনার মধ্যে কথা বলতে থাকে ৷ হাসি, মজা আর আড্ডার মাধ্যমে অরূপ আর শ্রেয়া নিজেদের মধ্যে ফ্রি হয়ে যায় ৷ অরূপকে দেখে প্রায়ই মনে হতো ও হয়তো শ্রেয়াকে পচ্ছন্দ করে ৷ কিন্তু আমার অরূপকে ভালো লেগে গিয়েছিল ৷ ভালোও বেসেছিলাম ওকে ৷ কিন্তু যখন জানলাম অরূপ শ্রেয়াকে ভালোবাসে ওকে আমার সামনে প্রোপোজ করবে তখন রাগ হয়েছিল খুব ৷ অরূপের সাথে তো আমার পরিচয় শ্রেয়ার পরিচয় হবার আগেই ৷ তাহলে ও কেন আমাকে রেখে অন্য কাউকে ভালোবাসবে ৷ এই বিষয়টা মোটেও ভালো লাগে নি আমার কাছে ৷”

কথাগুলো একনাগাড়ে বলে থামলো মায়া ৷ রকি উত্তেজিত হয়ে জানতে চাইলো,,,,,,,,, “তারপর?”

মায়া আবার বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,

“তারপর আমি তোমাদের দিয়ে বেশ কয়েকটা ফেইক ভিডিও আর ছবি গুলা রেডি করাই ৷ আমি একটা নতুন সিমের নাম্বার দিয়ে নিজের পরিচয় না দিয়ে অরূপকে কল করে শ্রেয়ার সম্পর্কে অনেক বাজে বাজে কথা বলি ৷ প্রথমে অরূপ আমার একটা কথাও বিশ্বাস করলো না ৷ বেশ কয়েকটা নাম্বার দিয়ে এভাবে বলেও কাজ হয়নি ৷ ও উল্টা আমার নাম্বার ব্লক করে দিয়েছিল ৷ তাই কোনো উপায় না পেয়ে আবার নতুন নাম্বার দিয়ে ভিডিও আর ছবি গুলা দেখাই ওকে ৷ ভিডিও গুলা ফেইক হলেও কিন্তু সেগুলা রিয়েল মনে হয়েছিল ৷ কখনোই কেউ ধরতে পারবে না যে ওগুলা আসলে ফেইক ৷ অরূপ বিশ্বাস করে নিয়েছিল সেগুলা কিন্তু তবুও ওর মন মানছিল না ৷ তাই আমি এবার ওকে নিজের চোখে দেখাই আমি ৷”

“কীভাবে?” (রকি)

“একদিন শ্রেয়ার সাথে রাস্তায় তুহিনের দেখা হয় ৷ সেটাই কাজে লাগাই আমি ৷ মাঝরাস্তায় হঠাৎ শ্রেয়ার পা মচকে যায় ৷ আর ও নিচে বসে পরে ৷ তুহিন ওকে ধরে ধরে ওঠায় আর ওকে ধরে ধরে নিয়ে যেতে থাকে ৷ আর এটা অরূপ দেখে ফেলে ৷ ও ভেবেছে হয়তো শ্রেয়াই তুহিনকে ইচ্ছা করে ধরতে বলেছে ৷ মানে অনেকটা দূর থেকে অরূপ এটাই বুঝে ৷ সেদিনের পর থেকেই ও শ্রেয়ার সাথে কথা বলে না ৷ পরেরদিন আচমকা অরূপ আমাকে প্রোপোজ করে ৷ সেটা এমনি এমনি না শ্রেয়াকে দেখানোর জন্য ৷ শ্রেয়াকে দেখিয়েই অরূপ বিয়েতে রাজি হয় আমার সাথে ৷ আর দিনের পর দিন ওকে নানাভাবে কথা শুনাতে থাকতো ৷”

“এসব করে আপনার লাভ কি ম্যাম?”

“লাভ ছাড়া কিছুই করি নি আমি ৷ হ্যাঁ অরূপকে আমি সত্যি ভালোবাসি ৷ তাই ওর থেকে শ্রেয়াকে আলাদা করি ৷ তবুও ওদের বিয়েটা হয়ে গেল শেষমেষ ৷ এখন ডিভোর্সটা তাড়াতাড়ি হলেই হয় ৷ এই শ্রেয়াকে আমার বিশ্বাস নেই ৷ কিন্তু কয়েকদিন ধরে অরূপও যেন কেমন করছে ৷ আচ্ছা তুমি তোমার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়েছো? এখন এসব কিন্তু কাউকে বলবে না একদম৷”

“ওকে ম্যাম কাউকে বলবো না আমি ৷”

“হুম আমি যাই তাহলে দেরি হয়ে গেলে সবাই সন্দেহ করবে আবার ৷”

রকি মাথা নাড়াতেই মায়া চলে গেল ৷ পিছন থেকে তুহিন রকির সামনে এসে ওর হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বললো,,,,,,,,,,,,

“চলে যাও এই শহর ছেড়ে ৷ মায়া যেন তোমায় আর কখনো খুঁজে না পায় ৷ আর এসব খারাপ কাজ না করে খেটে খাও ৷”

“ধন্যবাদ স্যার আমি এখন থেকে আর এসব করবো না ৷ আপনার কথার মান রাখবো আমি ৷”

বলেই ছেলেটা চলে গেল ৷ তুহিন হালকা হেসে শ্রেয়ার নাম্বারে কল দিল ৷ কিন্তু ফোন বন্ধ ৷ হঠাৎ ফোন বন্ধ কেন ওর? শ্রেয়ার ফোন তো কখনো বন্ধ থাকে না ৷ মাঝেমাঝে বিরক্ত বা রাগে শ্রেয়া ইচ্ছা করে ফোন বন্ধ করে দেয় ৷ কিন্তু এখন বন্ধ কেন? আর কিছু না ভেবে তুহিন গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরলো শ্রেয়ার বাড়ির উদ্দেশ্যে ৷

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে