ভালোবাসবে তুমিও পর্ব-১১

0
1671

#ভালোবাসবে_তুমিও❤
#পর্ব__১১
#অদ্রিতা_জান্নাত

কোনো রকমে রেডি হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরলাম ৷ কিছুক্ষন পর গাড়ি এসে থামলো একটা রেস্টুরেন্টের সামনে ৷ গাড়ি থেকে নেমে আশপাশটা হালকা চোখ বুলিয়ে ভিতরে চলে গেলাম ৷ ভিতরে যেতেই সামনের একটা টেবিল তুহিনকে দেখতে পেলাম ৷ ওনার কাছে গিয়ে চেয়ার টেনে ওনার সামনে বসে বললাম,,,,,,,,

“কখন এসেছেন? আমার আসতে একটু দেরি গেল ৷”

“সমস্যা নেই কি খাবে বলো?”

“আগে আপনি বলুন কোনো খোঁজ পেয়েছেন?”

“আস্তে ধীরে কথা বলি ৷ কি খাবে সেটা বলো? তারপর মেইন কথায় আসছি ৷”

“উম আচ্ছা অামার জন্য একটা কোল্ড কফি হলেই হবে আপনি কি নিবেন সেটা আপনিই বলে দিয়েন ৷”

“জাস্ট কফি?”

আমি মাথা নাড়ালে উনি ওয়েটারকে ডেকে দুটো কোল্ড কফি ওর্ডার করলেন ৷ কিছুক্ষন পর একটা ছেলে এসে কফির গ্লাস আমাদের সামনে দিয়ে চলে গেল ৷ আমি স্ট্র দিয়ে কফি খেতে খেতে বলে উঠলাম,,,,,,,,,

“এবার বলুন ৷”

উনি গ্লাসে স্ট্রটা নাড়াতে নাড়াতে বলতে লাগলেন,,,,,,,,,,

“এই মায়াকে আমার অনেক সন্দেহ হচ্ছে ৷”

“যেমন?”

“একটা কথা কি ভেবে দেখেছো? অরূপ কেন খালি তোমার চরিত্র নিয়ে কথা বলে? আমার মনে হচ্ছে ওকে তোমার ব্যাপারে কেউ ভুল বুঝিয়েছে ৷”

“অরূপ কি বাচ্চা যে ওনাকে যে যেটা বোঝাবে উনি সেটাই বুঝে যাবেন ৷”

“হয়তো কোনো প্রমান দেখিয়েছে ৷”

“আপনি কি শিউর?”

“একদম শিউর না আমি ৷ তবে অনেকটাই শিউর ৷ কাল সারা রাত এই বিষয়গুলো নিয়ে ভেবেছি আমি ৷ দেখো কেউ কাউকে এমনি এমনি ভুল বুঝে না ৷ তার পিছনে কোনো বড়সর কারণ তো অবশ্যই থাকবে তাই না? আর অরূপও ঠিক তাই ৷ কেউ ওকে এমনভাবে বুঝিয়েছে যে ও মিথ্যাটাকেই সত্যি ভেবে নিয়েছে ৷ হয়তো ওর জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও এরকম করতো ৷”

তুহিনের বলা কথা গুলো পুরোটাই ঠিক আর যুক্তিসংগত ৷ কিন্তু অরূপের উচিত ছিল কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা যাচাই করার ৷ তুহিন আবার বলে উঠলো,,,,,,,,

“সবকিছু জানতে হলে আমাদের মায়াকে ফলো করতে হবে ৷”

“আপু না মানে মায়াকে?”

“হ্যাঁ সব কিছুর মধ্যে ও নিজেই জড়িত মনে হচ্ছে আমার ৷ তাই সবকিছুর জন্য আমাদের মূল টার্গেট হিসেবে মায়াকে ধরে নিতে হবে ৷ ও কি করে না করে সবটা জানলে তুমি তোমার সব প্রশ্নের উত্তর ঠিক পাবে৷”

“আপনার যেটা ভালো মনে হয় আপনি সেটাই করুন ৷ মায়া কোথায় কি করছে না করছে সবটা আমাকে জানাবেন ৷”

“আচ্ছা ৷”

“অরূপকেও নজরে রাখতে হবে আমার ৷ ওনাকেও সুবিধার লাগছে না আমার কাছে ৷”

“আচ্ছা অরূপের বিষয়টা তুমি দেখো ৷”

“হুম আচ্ছা ৷ চলুন উঠি ৷”

বলেই আমি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম ৷ উনি আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে উঠে গেলেন ৷ একটা ওয়েটারকে ডেকে টাকা দিতে গেলেই উনি বলে উঠলেন,,,,,,,,,

“আমি দিচ্ছি তোমার দেয়া লাগবে না ৷”

“আপনি দেয়া আর আমি দেয়া একি কথা ৷ পরেরবার নাহয় আপনি দিয়ে দিয়েন ৷”

তুহিন হালকা হাসলেন ৷ আমি বিল পে করে দিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে তুহিনের সাথে বের হতেই অরূপের সামনে পরলাম ৷ উনি আমার দিকে একবার তাকিয়ে তুহিনের দিকে তাকালেন ৷ সাথে সাথে ওনার চোয়াল শক্ত হয়ে এলো ৷ আমি ওনাকে দেখিয়ে তুহিনের হাত জড়িয়ে ধরে অরূপকে বললাম,,,,,,,,,

“আপনি কি করছেন এখানে? নতুন গার্লফ্রেন্ডের জন্য এসেছেন বুঝি?”

অরূপের হাত শক্ত হয়ে এলো ৷ কপালের রগও ফুলে গেল রাগে ৷ আমি একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললাম,,,,,,,,

“যা ইচ্ছা করুন ৷ আমাকে ডিস্টার্ব না করলেই হলো ৷ অসহ্যকর!”

বলেই তুহিনের হাত ধরে টেনে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে এলাম ৷ এবার দেখুক কেমন লাগে ৷ খুব শখ না আমার চরিত্র নিয়ে খোঁটা দিতে ৷ এখন প্রতিনিয়ত আমি আপনার চরিত্র নিয়ে খোঁটা দিব ৷ অামাকে অন্যের সঙ্গে দেখলে রাগ হয় নাকি জেলাস? সে যাইহোক দুই নৌকায় ভর দিয়ে দুই নৌকা পাওয়ার আশাটা ছেড়ে দিন ৷ একবার ধরা দিয়েছি দেখে বারবার কখনোই দিব না ৷ এই শ্রেয়া কি জিনিস তা আপনি এখন থেকে হাড়ে হাড়ে টের পাবেন ৷

এদিকে শ্রেয়া চলে যাবার পর অরূপ নিজের পা দিয়ে দেয়ালের উপর লাত্থি দিলো বার কয়েক ৷ প্রচুর রাগ লাগচ্ছে ওর ৷ আর কিছু না ভেবে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে অন্যদিকে চলে গেল ৷

তুহিনের হাত ছেড়ে দিয়ে আমি বললাম,,,,,,,,

“সরি আসলে তখন…”

“সমস্যা নেই বুঝেছি আমি ৷ তো তুমি কোথায় যাবে?”

“কলেজ যাবো ৷ অনেকদিন হলো যাওয়া হয় না ৷ বাড়ি থেকে কলেজে যাবো বলেই বের হয়েছি ৷”

“আচ্ছা তাহলে তোমাকে পৌঁছে দি আমি ৷”

“না থাক আপনার কষ্ট করতে হবে না আর ৷ এমনিতেই অনেক সাহায্য করছেন আমাকে ৷ কিন্তু আমি আপনার জন্য কিছুই করতে পারছি না ৷ গাড়ি নিয়ে এসেছি আমি ৷ চলে যেতে পারবো ৷”

“এভাবে বলছো কেন শ্রেয়া? আমার একটুও কষ্ট হবে না ৷ আর সাহায্যের কথা বলছো? তোমাকে আজ আমি সাহায্য করছি নিজ ইচ্ছায় ৷ তুমিও না হয় একদিন আমার এই সাহায্য গুলো পূরন করে দিও ৷”

“কিন্তু কীভাবে?”

“সেটা সময় আসলে আমি নিজ থেকেই চেয়ে নিবো ৷ এখন চলো নাহলে দেরি হয়ে যাবে ৷”

আমি আর কিছু না বলে তুহিনের সাথে কলেজে চলে গেলাম ৷ তুহিন আমাকে কলেজে ড্রপ করে দিয়ে চলে গেলেন ৷ অনেকদিন পর এলাম এই কলেজে ৷ আগের বার তো মায়া আপুর সাথে এসেছিলাম ৷ সে যাইহোক এতোদিন পর এলাম পুরো কলেজ ঘুরে দেখবো আগে ৷

________________

রুমের মধ্যে বিছানায় বসে মোবাইল এদিক থেকে ওদিক ঘোরাচ্ছে মায়া ৷ গতকাল শ্রেয়ার বলা কথাগুলো নিয়ে ভাবছে ও ৷ ‘শ্রেয়া যেটা বলবে সেটা করেই ছাড়বে ৷ তাহলে তো আমার আরো বিপদ বেড়ে যাবে ৷ কি করে আটকাবো ওকে? কি করেই বা তখন সবাইকে বোঝাবো? কিছু একটা তো করতেই হবে এভাবে চুপ করে থাকলে হবে না কিছু ৷’

এসব ভেবেই একজনকে ফোন করলো মায়া ৷ ওপাশে রিসিভ হলে কিছুটা গম্ভীর গলায় মায়া বললো,,,,,,,,

“সব ঠিক আছে তো?”

ওপাশের ব্যাক্তির কথা শুনে মায়া আবার বলে উঠলো,,,,,,,

“সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেই ভালো ৷ সাবধানে সব কাজ করবে ৷ এই একমাস আমি ছিলাম না ৷ কি করেছো না করেছো জানা নেই আমার ৷ কিন্তু এখন জানতে হবে ৷ রাতে বের হতে পারি কি না দেখি ৷ আর আরেকটা বিষয়ের খবর দিতে হবে আমাকে ৷”

ওপাশ থেকে আবার কেউ কিছু বললে মায়া বললো,,,,,

“এই একমাস আমাকে আটকে রাখার পিছনে কে ছিল? সেটা জানতে চাই আমি ৷ সব তথ্য ক্লিয়ারলি দিবে আমায় ৷”

ওপাশ থেকে কিছু কথা শুনে ও নিজে আর কিছু না বলে ফোন রেখে দিল ৷ কিছু একটা গভীরভাবে ভাবতে লাগলো ও ৷ খুব গভীর ভাবে চিন্তা করছে আসলে ওকে সরানোর পিছনে ছিলটা কে? আর তাও ওর বিয়েরদিন ৷ বিয়েটা হওয়ার পর হলেও হতো ৷ কিন্তু না সেই -ই বিয়ের দিনই হতে হলো ৷ আবার এখন এটাও শুনেছে যে অরূপ আর শ্রেয়ার বিয়ে হয়ে গেছে ৷ সবটা মিলিয়ে ও নিজেই পাগল হয়ে যাচ্ছে ৷ কোনটা রেখে কোনটা কি করবে কিচ্ছু বুঝতে পারছে না ৷

___________________________

ক্লাস শেষে কলেজ থেকে বের হতেই অরূপের সামনে পরলাম ৷ বুঝতে পারছি না কেন এই ছেলেটা আমার পিছু পিছু ঘুরছে ৷ আমাকে এতো কিছু বলার পরও শান্তি হয়নি ওনার? আরো কি কিছু বলার বাকি আছে? যেটা বলার জন্য আমার পিছে পরে আছেন ৷ আমি সরে অন্যদিক দিয়ে যেতে নিলে উনি আবারও পথ আটকে দাঁড়ালেন ৷ এবার রাগ হচ্ছে আমার ৷ জোরে চেঁচিয়ে বললাম,,,,,,,,,,

“সমস্যাটা কি আপনার? কেন বারবার আমার পিছে পিছে আসছেন? কেন ডিস্টার্ব করছেন আমাকে?”

উনি কিছু বললেন না ৷ আমার চেঁচানোতে আশে পাশের অনেকেই চলে এলেন ৷ পাশ থেকে রিয়া আমার ফ্রেন্ড একটা গুঁতা মেরে বললো,,,,,,,,

“কি করলি? দেখ রাস্তার সবাই চলে এসেছে তোর চেঁচানোতে ৷ এখন জিজুকে তারা ধরে পিটাবে ৷”

চোখ রাঙিয়ে ওর দিকে তাকাতেই ও চুপ হয়ে গেল ৷ দাঁতে দাঁত চেপে বললাম,,,,,,,,

“আরেকবার যদি তোর মুখে ওই জিজু শব্দটা শুনি তাহলে তোর গালে পর পর কয়েকটা থাপ্পর বসিয়ে দিব৷”

তারপর সামনে অরূপের দিকে তাকিয়ে বললাম,,,,,,,,

“সমস্যা কি আপনার? কেন বিরক্ত করছেন আমাকে?”

“বিরক্ত করছি আমি তোমাকে?”

আমি কিছু বলবো তার আগেই পাশের থেকে একটা লোক আমার কাছে এসে বলে উঠলো,,,,,,,,,

“কি হয়েছে এখানে? ছেলেটা কি বিরক্ত করছে আপনাকে?”

“হ্যাঁ!”

অরূপ অবাক হয়ে তাকালেন আমার দিকে হয়তো এই উত্তরটা আশা করেন নি তিনি ৷ পাশ থেকে আরেকটা মহিলা বলে উঠলো,,,,,,,,

“এসব ছেলেদের কাজই এটা ৷ কলেজের সামনে এসে মেয়েদের টিজ করে খালি ৷ একে তো গণধোলাই দেয়া দরকার ৷ নাহলে এদের সাহস আরো বেড়ে যাবে ৷”

ওই মহিলাটির কথায় আরো কয়েকজন তাল মিলালেন ৷ অরূপ চিৎকার করে বলে উঠলো,,,,,,,,

“আমি আমার বউকে টিজ করেছি তাতে আপনাদের সমস্যা কি?”

আমিসহ সবাই অবাক হয়ে তাকালাম অরূপের দিকে ৷ অরূপ কি বললেন? অামাকে তার বউ বললেন? কিন্তু পরক্ষনেই ওনার সব অপমানের প্রত্যেকটা শব্দ মাথায় বাজতে লাগলো ৷ অরূপ আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলে একটা লোক অরূপকে আটকে দিয়ে বলে উঠলো,,,,,,,,,,,,

“প্রমান কোথায় যে মেয়েটা আপনার স্ত্রী?”

অরূপ নিজের ফোন বের করে কিছু একটা দেখাতেই সবাই চলে গেল আস্তে করে ৷ অরূপ আমাকে নিয়ে যেতে নিলে আমি হাত টান মেরে ছাড়িয়ে নিলাম ৷ তারপর বললাম,,,,,,,,,,

“অপমান করতে নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে? তো করুন না ৷ দেখি কত অপমান করতে পারেন আপনি ৷ কেউ কিছু বললে সেটা যাচাই করে দেখে নিতে হয় সেটা কতটা সত্যি ৷ কিন্তু আপনি তো তা করেন নি ৷ মিথ্যা প্রুভ দেখে আমার জীবনটা বিষিয়ে দিয়েছেন ৷ নড়ক বানিয়ে দিয়েছেন আমার জীবনটা আপনি ৷ তো কেন আবার সেই আমাকে নিয়ে টানাটানি করছেন? কেন আমাকে আপনার বউ বলে পরিচয় দিচ্ছেন? নামে মাত্র বউ আমি আপনার ৷ আর কয়েকদিন পর সেই নামও মুছে যাবে ৷ তখন ভালো থাকিয়েন আপনার সো কল্ড জিএফয়ের সাথে ৷ দয়া করে অামাকে অার ভাঙ্গবেন না ৷ অনেক কষ্টে সামলে নিয়েছি নিজেকে ৷ কিন্তু আর পারবো না ৷ তখন মরা ছাড়া আর কোনো উপায়ও থাকবে না আমার কাছে ৷”

বলেই চোখ মুছে অরূপকে কিছু বলতে না দিয়ে চলে গেল শ্রেয়া ৷ শ্রেয়ার মুখে ওর মরার কথা শুনে অরূপের বুকটা ধুক করে উঠলো ৷ সত্যি কি ও অনেক বড় ভুল করে ফেলেছে? সত্যি মিথ্যা না ভেবে শ্রেয়াকে দিনের পর দিন কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে? কিন্তু শ্রেয়ার কষ্ট দেখে ওর কেন কষ্ট হচ্ছে? সেটা ধরতে পারছে না অরূপ ৷ শ্রেয়াকে আজ ও ওর মায়ের জন্য ফিরিয়ে নিতে এসেছিল ৷ গতকালকে শ্রেয়ার কথা গুলো শুনে অরূপের মা অসুস্থ হয়ে পরেছিল ৷ শ্রেয়া থাকলে হয়তো সেই অসুস্থতা নিমিষেই কেটে যেতো ৷ কিন্তু অরূপ সেটা পারে নি ৷ তাই গাড়িতে উঠে বসে সোজা বাড়ির দিকে চলে গেল ৷





সারা রাস্তা চোখের পানি ফেলতে ফেলতে অবশেষে বাড়ি পৌঁছালাম ৷ বাড়িতে ঢুকতেই আব্বুর কথা শুনে অবাক হয়ে তাকালাম আমি তার দিকে ৷ কান্নাটা যেন আরো বের হয়ে আসতে চাইছে ৷ তবুও কাঁপাকাঁপা গলায় বললাম,,,,,,,,,

“কককি বববললে?”

আব্বু গম্ভীর সুরে আবার বললো,,,,,,,,,,

“অরূপের সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেলে তুমি কানাডা চলে যাবে ৷ তোমার যাওয়ার জন্য সব ব্যবস্থা করে দিব আমি ৷ বাকি স্টাডিটা সেখানেই কমপ্লিট করবে তুমি ৷ আমি কিন্তু না শুনতে চাই না ৷ তোমার ভালোর জন্যই এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি আমি ৷ আশাকরি নিজের ভালোটা বুঝবে ৷”

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে