ভাবিনি ফিরে আসবে
পর্ব-০৬
রোকসানা আক্তার
আমি উনার সাথে কুশল বিনিময় না করাতে উনি অনেকটা ক্রুদ্ধ হয়ে যান এবং নিজেকে সংযত রেখে বলেন,
-আমার হাত ডেইলি ১০-১২ বার হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ধুঁই।হাত যদি ময়লা মনে হয়,তাহলে বলো আবারো বেসিনে গিয়ে আরেকটা ধোঁয়া দিয়ে আসি।
উনি কথাটা অবশ্য আমায় ইনসাল্ট করে বলেন।আমি ইতস্ততাবোধ নিয়ে বলি,
-আসলে সেরকম না।আ-আমার একটা অভ্যেস আমি মেয়েদের সাথে হাত মেলাতে পারি না।।
-বাব্বা,ভীষণ লাজুকতো তুমি!?ক’দিন পার্টিতে এসে মজামাস্তি করে যেও,এসব লাজুক-রক্তিমতা সব কেটে যাবে,বুঝলে???
আমি জানতাম এধরনের মহিলাদের সাথে কথা বললে বেকার সময় নষ্ট।তাই বাসায় চলে যাওয়ার তাগাদা দিই।
-আ-আপু,আসলে আমি চলে যাবো আমার এসাইনমেন্টটা শেষ করা এখনো বাকি।
-আরে ইয়ার,এই বয়সে জাস্ট রিলাক্স এন্ড ফান অলটাইম।ক্ষেত পোলাপান এধরনের থিংকিং নিয়ে থাকে,পড়ার আরো অনেক সময় পাবে।প্লিজজ ইয়ার আজ অন্তত একটু সময় দাও?আমি তোমার ক্যাম্পাসের বড় বোন সো রিকুয়েষ্ট রাখতেই পারো।আর জানোইতো সবাই আমার কথার বাহিরে একপা ও নড়চড় করে না, তুমি সেখানে আমার অফার রিজেক্ট করবে??!
তখন যেন উনার চোখদুটো হিংস্র প্রাণীর মতো লাল হয়ে যায়,এমন কথা বলেছেন।আমি অনেকটা ভয় পেয়ে যাই।আর মনে মনে হৃদয়কে বকতে থাকি।ও কেন আমায় এখানে নিয়ে আসে। এরই মধ্যে রাফাজ আমার জন্যে ড্রিংক নিয়ে আসে।
-আরে দোস্ত খা খা।একবার খেলে কোনো সমস্যা নেই।
আমরাও একটুআধটু খাই জাস্ট বিশেষ কোনো পার্টিতে।।
উনি শতানী হাসি দিয়ে ইশারা করেন ড্রিংকটা হাতে নিতে এবং ভার্সিটির অনেক ছেলে-মেয়ে দৌড়ে আমার কাছে এসে সবার জড়োসড়ো রিকুয়েষ্ট আজ অন্তত ওদের সাথে ড্রিংকটা করতে।।।
-পরে??(শিমলা অনেকটা অবাক হয়ে প্রশ্ন করে)
-পরে আর কি,বাধ্য হলাম।১ গ্লাস খাওয়ার পর আমার চোখগুলো ঝাপসা হয়ে আসে।মাথাটা ঘুরোয় এবং চারপাশটা যেন আমার মাথার উপর ঘুরতে থাকে,মুহূর্তে আমি ফ্লোরে পড়ে যাই।তারপর জানি না আর কি হয়েছে।।।
সকাল হলে নিজেকে একটা বিছানার উপর আবিষ্কার করি।তাও নগ্ন অবস্থায়।আমি শরীরের উপর থেকে কম্বলটা সরাতে গেলেই নিজে নিজেকে দেখে হতবাক!!!রাতে আমার সাথে কি ঘটেছিল।মাথাটা আমার ঝিম হয়ে আসে।কিছুই বুঝতে পারছি না।
আমার প্যান্ট,গেন্জি কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না,অস্থির হয়ে যাই আমি।
হুট করে আমার রুমে একজন মহিলাকে প্রবেশ করতে দেখি।উনি মাএ স্নানটা সেরে এসেছেন।চুল তোয়ালে দিয়ে মুছতে মুছতে বলেন,
-সোনা,এত্ত অস্থির হবার কিছু নেই।এখানে নেই,শুধু আমি ছাড়া।।
আমি মহিলার দিকে তাকিয়ে বুক ফেটে কান্না আসে আমার।আর কাঁদো কাঁদো মুখে বলি,
-আপু, আপনি আমার সাথে এটা কি করলেন!?আমি আপনার জুনিয়র!ছিঃআপনি আমার সাথে এমনটি করতে পারলেন?! আমার ভাবতেও ঘৃণা হয়য়!!
-নো,নো বেইবি এত্ত সিরিয়াস হচ্ছ কেন?আমিতো আর একা মজা পাইনি,তুমিই বেশি কিছু করলে!!
-ইউ বাস্টার্ড !! আমি এখনই গিয়ে আপনার নামে পুরুষ হয়রানির মামলা করবো!!
উনি আমার কথা শুনে কেলকেলিয়ে হেসে উঠেন।।আর বলেন,
-এসব তোমার বৃথা চেষ্টা!!তুমি চাইলেও এখন কিছু করতে পারবে না!কারণ,রাতে আমাদের সহবাসের সবটা ভিডিও সেইভ হয়ে গেছে!!এখন সেটা আমার কাছেই।অনেক কষ্টে সোনা,তোমায় বাহানা দিয়ে এখানে এনেছি।আমার অনেক দিনের স্বাদ ছিল তোমায় ভালোবাসতে, আর তা কাল পূরণ করলে।।
-আপনি কি মানুষ?নাকি পশু?আপনার মাঝে তো নারীত্বের কোনো অভিলাষ নেই।বেশ্যা একটা আপনি!!
-আমার কথা ভেবে তোমার কোনো লাভ নেই।এখন নিজের কথা ভাবো।এসব যদি কাল পুরো ক্যাম্পাস এবং তোমার গফ সোহানার হাতে দিই,তাহলে সে ব্রেকাপতো করবেই এবং তোমায় ভার্সিটি থেকে বিতাড়িত করা হবে!!
আমি অনেকটা হতভম্ব হয়ে যাই।।আমার মাথায় কিছুই কাজ করছে না এ মুহূর্তে কি করবো,কি বলবো!!পাগল পাগল অবস্থা হয়ে যায়।নাহ পারি ঔ মহিলাকে তক্ষুণি খুন করে ফেলি।আমি বুঝতে পারি একটা হোটেলে আমার অবস্থান তখন,তাই খুনের ব্যাপারটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলি।নাহলে,খুনী বলে সবাই আমাকে অপরাধী ভাবতো।।।চোখমুখ বুঁজে চুপসে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকি।উনি গলাটা হালকা ঝেড়ে আবার বলেন,
-এখন তোমার দুর্বলতার প্রধান কারণ সামান্য একটা ভিডিও।আর এই সামান্য ভিডিওটাই তোমার জীবন।কারণ,তোমার মান-সম্মান,ইজ্জত সবকিছুর প্রশ্ন এই ভিডিওটি।।।
-এখন বলুন,ভিডিওটি দিয়ে আপনার কি এমন লাভ?
-আমার কোনো লাভ নেই।।তবে,একটা আবদার!!
-আবদার?!
-হু,যদি রাজি থাকো তাহলে নিশ্চিন্তে থাকতে পারো। ভিডিওটি আমার কাছে নিরাপদে থাকবে অন্যকেউ হরণ করবে না।এতটুকু বিশ্বাস আমার উপর রাখতে পারো।
-আচ্ছা কি আবদার চাই,আপনার??
-ইদানীং ক্যাম্পাসে সবার মুখেমুখে শুনতেছি ভার্সিটির মধ্যে ক্রাশ নাম্বার ওয়ান সোহানা,তার সাথে তোমার গভীর প্রেম চলছে??
আমি কিছু না বলে চুপ করে থাকি।।
-তাকে তোমার ছাড়তে হবে!
আমি মাথাটা উনার দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে বলি,
-তাকে ছাড়বো মানে!?
-সোজা বাংলা বুঝ না তুমি?মানে ব্রেকাপ!!
-কি এমন কারণ যে আমি সোহানার সাথে ব্রেকাপ করবো!?
-কারণ কিছুই না।ব্রেকাপ মানে অনলি ব্রেকাপ!!কথা বাড়ানোর চেষ্টা করলে খারাপ হবে কিন্তু!!
-কি করবেন আপনি/??
-কি করবো???!!!
এ বলে উনি উচ্চ আওয়াজে হেঁসে উঠেন এবং আবার মুখটা বাঁকা করে বলেন,
-তোমার ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত সোহানার হাতে দেখতে চাও??সোহানা ঠাস ঠাস করে দু’গাল লাল করে ক্যাম্পাসে সবার সামনে তোমায় কুলাঙ্গার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে?তোমার চরিএ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে??প্রতিটি টিভি,নিউজ,ম্যাগাজিনে তোমায় নিয়ে সমালোচনা করতে?
তুমি নাকি ভদ্র ফ্যামিলির ছেলে!?মা-বাবাকে সমাজের সামনে অভদ্রতায় পরিচয় দিতে???
-উনার কথাগুলো আমার কানদুটোকে আগুনের মতো লাল করে দেয় যেন আগুন জ্বলতে জ্বলতে ধোঁয়া বের হচ্ছে!!
-প্লিজজ,আমি আর নিতে পারছি না।বন্ধ করুন আপনার কথা। আমি রাজি আছি সোহানাকে ছেড়ে দিব,তবে সময় লাগবে।।
-সময়??কতদিন সময় নিবে?
-আসলে দিনের কথা বলতে পারিনা, মাসও লাগতে পারে।।।
-ওকে।তবে,আমি তোমার পেছনে সিসি ক্যামেরার মতো আছি।এটা ভুলে যেও না যে আমি নির্দেশ দিয়েই উধাও!!
তারপর থেকে আমার লাইফটা দিনকে দিন পরিবর্তন হতে থাকে।কারো সাথে ওতোটা মিশি না,দূরে দূরে থাকি।আমার সিজিপিএ খারাপ আসতে থাকে।বাসায় টিচাররা কল দিয়ে নালিশ করেন,আর বাসার প্যারা,সোহানার প্যারা,ক্লাসমেটদের প্যারা,ওই বদ মহিলার প্যারায় আমার লাইফটা পেন্ডেমিক এ পরিণত হতে থাকে।।।সোহানা আমার মাঝে এসব দিক লক্ষ্য করতে পেরে অনেকটা সন্দেহাবসর হয়ে যায়।এসব কিছুর কারণ আস্ক করতে চাইলেও বলতাম না।মনে শুধু একটাই ভাবনা ছিল কবে ওর সাথে সব বিচ্ছেদ করবো!!!.।
একদিন ক্যাম্পাসে ঢুকতেই ওই মহিলার ডাক পড়ে।উনার পালিত একটা কুকুর আমায় এসে বলে,
-আপনাকে আপামণি ডাকছেন?
মুহূর্তেই যেন আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ!!কেঁপে কেঁপে বলি,
-আচ্ছা আপনি যান।আমি আসতেছি।।।
মস্ত একটা বটগাছের নিচে বসে পা হেলিয়ে হেলিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ছেন!!আর চারপাশ দাড়িয়ে কয়েকটা গিরগিটি চামচামি করছে।আমি উনার সামনে গিয়ে সালাম করি,
-আসসালামু-আলাইকুম,আপু?
উনি আকাশের দিকে তাকিয়ে একমগ্নে সিগারেটে আরেকটা টান মারেন এবং আমার মুখ বরাবর ধোঁয়া টা ছাড়েন!সিগারেটের ধোঁয়া আমার নাকে-মুখে ঢুকে পড়ে,ভীষণ কাশতে থাকি আমি।তা দেখে পাশের সবাই খিলখিল করে হেসে দেয়।।আমি আমার লাইফে কখনো স্মক করিনি,তাই স্মকের ধোঁয়াটা সহ্য করাটাও আমার পক্ষে কষ্টকর।
উনি আমার দিকে সরু দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছেন।আর আমার চোখগুলো মাটির দিকে স্থবির।আমার তখন মন চেয়েছিল মাটির সাথে মিশে যাই!!উনি হালকা কেশে বলেন,
-এখানে দাড়িয়ে থাকবে নাকি পয়সালা শেষ করে বিদেয় হবে!!?
-জ-জ-জ্বী?
-এই ছেলে তুমি কি কথার অর্থ বুঝো না?এভাবে নিচের দিকে চেয়ে আছো কেন?হিজরা?
সবাই আরো বেশি হাসির জোয়ারে ভেসে যায়, হিজরা শব্দটা শুনে।চোখবুঁজে সহ্য করে নিই।তারপর বলি,
-ম-মানে??
-এত থতমত খেয়ে কথা বলো কেন!?আমিতো বাঘ না যে ভয় পাবে আমায়!মাথা সোঁজা করো???
আমি বাধ্য হয়ে উনার চোখ বরাবর চোখ রাখি।
-এইতো ভদ্র ছেলে!!!এবার কাজের কথায় আসি!সোহানার সাথে এখনো নাকি ইটিস-পিটিস চলতেছে!!?
-ন-না মানে?
-আবার?তোতলাও!!ডিরেক্ট এন্সার দিবে!এখনো ও কি ব্রেকাপ করনি!?
-নাহ!.
-তোমাকে আমি ১০ দিন সময় দিলাম!জাস্ট অনলি টেন ডেস!মনে থাকবে??
-জ্বী!
-ওকে এবার আসতে পারো।।
আমি তেড়ে অপোজিট দিকে ফিরে চলে আসি।আস্তে আস্তে বুঁকের হৃদস্পন্দন টা চলতে থাকে।স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ভার্সিটির দেয়ালের ওপাশে গিয়ে ঢুকরে ঢুকরে কাঁদি।ডিসিশন নিই এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবো!!সুইসাইডই আমার একমাএ সঠিক সল্যুশন।এরকম হীনমন্যতা লাইফ রেখে কোনো লাভ নেই।আমি একজন পুরুষ হয়ে নারীর নির্যাতন সহ্য করছি কিভাবে!!আমাদের মতো মার্জিত ছেলেরা কখনো সমাজে সঠিক মূল্যায়ন পায় না,পায় তো ওরা যার বখাটে!!যারা ৮/১০ টা মেয়ের সাথে নাইট ডেট করে,যারা মদ,জুয়া,স্মকে মর্ত থাকে,যারা খালি খালি বাপের পকেটের টাকা নষ্ট করে। ওদেরই সমাজের মানুষ সাদরে গ্রহণ করে।
এসব ভাবছি আর চোখের পানি নিমিষে ফেলছি।পেছন থেকে সোহানা আমার কাঁধে হাত রেখে বলে,
-ভার্সিটিতো এখন আসলে???
আমি তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে, সোহানার দিকে কটু দৃষ্টি দিয়ে বলি,
-দূর হও আমার থেকে।কখনোই আমার ধারেকাছে ঘেঁষার ট্রাই করবে না।ব্রেকাপ চাই তোমার থেকে!!
সোহানা হয়তো আমার থেকে এমনটি আশা করেনি।মুখে একটা ঘৃণার ভাব এনে বলে,
-তোমাকে আমি আমার লাইফ থেকেও অনেক বেশি ভালেবেসেছি।আজ সে মানুষটি আমাকে যে এভাবে কষ্ট দিবে,সত্যি তা আমার ধারণার বাহিরে ছিল।ওকে ভালো থাকবে,আর কখনোই তোমার সামনে আসবে না।বরঞ্চ আমি আরো বেশি খুশি যে ছেলেটা গফের ঠিকমতো খোঁজ-খবর,কেয়ার কিছুই নিতে না ওদের সাথে রিলেশন রাখার কোনো মানেই হয় না!!
আমাদের কথার মাঝে রাফাজ এসে বলে,
-ও শিপ্রা আপুকে ভালোবাসে,তাই তোমাকে ছেড়ে দিচ্ছে সোহানা!!ভুলে যাও এদেরকে। যারা নিউ কাউকে পেয়ে পুরাতন কাউকে ভুলে যায়।।।
সোহানা নিজের মনকে সায় দিতে না পেরে আবারও বলে,
-আর কখনোই আমার লাইফে ফিরে আসবে না।তুমি আর কখনোই আমাকে পাবে না!!!মিথ্যে ভালোবাসার চাদরে মুঁড়িয়ে ছিলে আমায়,বিশ্বাস করে হাতটি ধরেছি।আজ সে হাতকে ঘৃণা করি এবং সে হাতের মানুষটিকেও!!
এ বলে কান্না করতে করতে সোহানা দৌড়ে চলে যায়।।।
-তারপর শাওন,কি ঘটেছিল??
-তারপর আর-কি সবকিছুর এখানেই সমাপ্তি!!আর এই শিপ্রা ডাইনীর সেমিস্টারও কম্প্লিট এন্ড ভার্সিটিতে আর উনাকে কখনো দেখিনি।।।
-আচ্ছা শোন,আমি একটা বিষয়ে এখনো ক্লিয়ার না।সোহানার সাথে তোর সম্পর্ক ছিল ক’মাস?
-এই ১ বছর!!
-ওহ আচ্ছা!!
-তো সুসাইড থেকে কিভাবে নিজেকে দূরে রেখেছিস?
-মায়ের কারণে।মায়ের মুখের দিকে তাকালে পৃথিবীর সবকিছুই তুচ্ছ মনে হয়।মা আমার পৃথিবী!!মাকে ছেড়ে অন্যকারো জন্য পৃথিবীকে ত্যাগ করবো?যেখানে আমার মা আছে, সেখানেই আমি।।
-বুঝলাম।তবে,তুই আমার সাথে আগে যা-ই শেয়ার করেছিলি,তবে ভয়ংকর এই ভিডিও-এর কথা বলিস নি।আমিতো ভাবলাম,ভার্সিটি একটু-আধটু ঝামেলা হয়ই!এসবতো কিছুই না!!কিন্তু তোর সাথে যা ঘটলো সত্যি কি বলবো,ভাষা আমার নেই!!!আর সর্বোপরি দাড়ায়,উনি হয়তো দুটা কারণে তোর ভাইকে বিয়ে করে নিয়েছে।
নাম্বার ওয়ান-সম্পওি
নাম্বার টু-তোর থেকে অন্যকিছু!!
আর উনি এতই চালাক যে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার উপায় খুঁজছে!!আমি তা কখনোই হতে দিব না,শাওন!?তোকে এমুহূর্তে বিয়ে করা উচিত!!আর হুম,বিয়েটা করে নিলে উনি তোর সাথে খারাপ কিছু করতে পারবে না।
-আমি কাকে বিয়ে করবো?কি বলছিস,এসব তুই?সোহানাতো অন্যের হয়ে যাচ্ছে!
-সোহানা ছাড়া অন্যকোনো মেয়ে নেই?? যে মেয়ে তোর সবকিছু মানিয়ে নিতে পারবে,তোকে বুঝবে!বাট সোহানা তোকে বুঝে নিরে!
-বুঝেছে।হয়তো ওকে আমি বুঝাতে পারিনি!আর এখন বিয়ে করলে কি এমন সমাধান?
-তোর যে এখন অবস্থা!এই মুহুর্তে কোনো মেয়ে তোর পাশে থাকা উচিত।তুই যেহেতু এখন আনম্যারিড,সেহেতু নিমিষেই বদনাম রটাতে পারবে তোর।আর তুই একা এই বদের সাথে পারবি না।একজন সঙ্গী গাছের শেকড়ের মতো তোকে আঁকড়ে অন্যের থেকে নিজের স্বামীকে রক্ষা করার উপায় খুঁজবে।সমস্যা কখনো একা সমাধান করা যায় না,যার জন্যে অন্যকারো সাহায্য নিতে হয়!!বাংলো রক্ষা করতে চাচ্ছিস না?তাহলে একটা বিয়ে করে কারণ দাড় করা।তোর বাচ্চা-কাচ্চা হবে,ওদের ভাগ আছে এই বাংলোতে।তাই একপাক্ষিক না হয়ে,দ্বিপাক্ষিক ব্যাপারটা দেখবে সবাই!!বুঝছিস তুই??
-মাথায় কিছু আসছে না।।আর ওই ভিডিও!!? ওটার কাছেইতো আমি ব্যর্থ!!ওটির কারণেই প্রতিবাদের মুখ আমার বন্ধ!
-ওইটা আমার উপর ছেড়ে দে!!আমি ওটা উদ্ধার করবো!!!
এরইমধ্যে আমার ফোনকল বেঁজে ওঠে!!!জিনুক কল দিয়েছে যে সোহানার বেস্ট ফ্রেন্ড!!
-কে কল দিয়েছে রে?
-জিনুক!..
-রিসিভ কর।নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে কল দেওয়ার ।
-হু,আচ্ছা দেখি।
চলবে…..
ওখানের পর্বটায় ওদের রিলেশনশীপের সময়টা ১ বছর দিয়ে দিয়েছি।২ বছর হবে না।এখান দিয়ে মিস্টেক হয়েচে।