বেনিফিট অফ লাভ পর্ব-০৩

0
671

#বেনিফিট_অফ_লাভ -৩
Tahrim Muntahana

শুনশান নিরবতা।‌ প্রকৃতির ভাব আজ ভালো না, না লস্কর বাড়ির ভাব ভালো‌। নতুন জামাই নিয়ে কোনো আহ্লাদ নেই, নেই কোনো আয়োজন। তা নিয়ে অবশ্য শাম‌উলের কিছু যায় আসে না। তার যে আজ বাসর রাত, মন তাকে সে কথা ভুলতেই দিচ্ছে না। একটু পর পর রোমাঞ্চিত হচ্ছে, আবার দু হাতে মুখ ঢেকে লজ্জা লজ্জা ভাব করছে। কিছুক্ষণ পর পর বিছানায় দাঁড়িয়ে থাকছে, আবার বসছে, আবার পাইচারি করছে, তো নিজেকে আয়নায় দেখছে‌। কত দিনের শখ তার। বাসর করবে, ব‌উ কে রোমান্টিক কথা বলবে। আজ পূরণ হবে বলেই প্যান্ট পাল্টে তার লুঙ্গি পড়ে লুঙ্গি ডান্স দিতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু বরাবরের মতো ভাগ্য তার সহায় হচ্ছে না। ব‌উ তাকে ঘরে বসিয়ে রেখে সেই যে লাপাত্তা হয়েছে, হারিকেন দিয়েও খুঁজে পাচ্ছে না। তার আর অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই‌।

ডেজি ঘরে এলো প্রায় বারোটার দিকে। পরনে কামিজ, সালোয়ার, গলায় ছোট উড়না। ডেজি কে দেখা মাত্রই এতক্ষণের সব আশা ধুলিসাৎ হতে সময় লাগলো না শাম‌উলের। আহা কত‌ই না স্বপ্ন ছিল।‌ ব‌উ বাসর ঘরে ঘোমটা দিয়ে বসে থাকবে, সে ঘোমটা উঠিয়েই চুমু খাবে, ব‌উ লজ্জায় বুকে মুখ লুকাবে। সে আনন্দের জোয়ারে ভেসে যাবে। এখন তো মনে হচ্ছে সব উল্টো হচ্ছে। যেখানে ডেজির বসে থাকার কথা, সেখানে সে বসে আছে সাথে লজ্জা‌ও পাচ্ছে। প্রচন্ড রাগ হলো শাম‌উলের। উঠে দাঁড়িয়ে কোমরে হাত রাখলো। রাগী দৃষ্টি তে তাকিয়ে র‌ইলো ডেজির দিকে। ডেজি সেদিকে পাত্তায় দিল না। এগিয়ে এসে খাটের এক পাশে শুয়ে পড়লো‌। একপলক শাম‌উল কে দেখে পরক্ষণেই চোখ নামিয়ে নিল। বিরক্তি কন্ঠে বললো,

-“সঙ সেজে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? যাত্রাপালা সেই কখন শেষ!”

শাম‌উলের মুখ এতটা হা হলো, সে কথায় বলতে ভুলে গেল।‌ কি বলছে তার ব‌উ? সে সঙ সেজে দাঁড়িয়ে আছে? আশায় বুক পেতে থাকা বুকটা তার হাহাকারে ভরে গেল, হৃদপিন্ড ছলাৎ ছলাৎ করে আর্তনাদ করে উঠলো। শাম‌উলের জবাব না পেয়ে ডেজির নিভিয়ে রাখা রাগ বাড়ে। টু শব্দ না করে ঘরের লাইট বন্ধ করে দিতেই শাম‌উল লাফিয়ে উঠে ডেজির পাশে বসে যায়। অন্ধকারে ভীষণ ভয় তার। ঢোক গিলে ভয় দূর করতে, তখন‌ই তার মনে পড়ে যায় গানের লিরিক্স। বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে হেসে সুর করে গেয়ে উঠে,

-“তুমি দিয়ো না গো বাসর ঘরের বাতি নিভাইয়া, আমি অন্ধকারে বন্ধ ঘরে যাবো মরিয়া!”

জানালা দিয়ে আসা এক টুকরো আলোয় ডেজি শাম‌উলের মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকে। এই ছেলেটার উপর সে রেগেছিল, অথচ ছেলেটা এ পর্যন্ত বুঝতেই পারেনি। সে জানতো শাম‌উল অন্ধকারে ভয় পায়, বেনিফিট খাজা তাকে বারংবার সাবধান করে গেছেন। ইচ্ছে করেই এমন টা করেছিল সে, এখন তার তো রাগ হ‌ওয়া উচিত। কিন্তু হাতড়ে হাতড়েও নিজের মধ্যে রাগ খুঁজে পেল না। বরং তার এতবড় দামড়া ছেলের এমন কান্ড কারখানায় হাসি পাচ্ছে। কোনো ভাবেই হাসি টা চেপে রাখতে পারলো না ডেজি। ফিক করে হেসে দিলো। সেও চায়না প্রথম রাত টা বরাবরের মতো কাটুক। সব মেয়ের‌ই বাসনা থাকে এই রাত নিয়ে। সেও ব্যতিক্রম নয়। গলা ঝেড়ে সেও তাল মিলিয়ে বললো,

-“ভয় কেন পাও দামড়া ছেলে আঁধার দেখিয়া, আমি রূপের জাদু আনবো তোমায় নিতে ভাসাইয়া!”

শাম‌উলের মনে হলো সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাবে, সে মারা যাচ্ছে। ব‌উয়ের কন্ঠে এমন সুরের গান শুনে তার খুশিতে মরে যেতে ইচ্ছে করছে। অন্ধকারের ভয় তার কখন কেটে গেল, কিন্তু আজকের রাতটা তার শখের রাত হতে পারলো না। অতি খুশিতে উত্তেজিত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল ডেজির পায়ের উপর। আহম্মক হয়ে নিশ্চুপ র‌ইলো ডেজি। ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না কি থেকে কি হলো‌। অজ্ঞান ই বা হলো কেন!

…..

ছাদে বসে সিগারেট টানছিল শিতাব। সে ও তার ছোট বোন সাম্মাক বড় ভাইয়ের সাথেই রয়ে গেছে। বেনিফিট খাজা বড় ছেলের অসুবিধা হবে বিধায় দুজন কে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর থেকে রেগেমেগে আগুন সে। কথা ছিল আজ বিয়ে বাড়ি থেকে বাড়ি ফিরেই সে বেরিয়ে পড়বে বন্ধুদের সাথে। ছোট খাটো এক পার্টির আয়োজন করেছে। একেরপর এক ফোন আসছে সে ধরতেও পারছে না। কি জবাব দিবে? রাগ নিবারণের জন্য‌ই ঠোঁট পুড়াচ্ছিল। ছাদের মেঝেতে ছ’টা সিগারেটের পোড়া অংশ পড়ে আছে। তবুও সে থামছে না। ভালো লাগছে খেতে। এমন সময় দরজা খোলার শব্দ শুনতে পায় শিতাব। ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকায়। সম্ভবত ডেজির মামাতো বোন হবে, শুনেছিল ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার পড়ছে। মেয়েটা কানে ইয়ারফোন গুঁজে কারো সাথে কথা বলতে বলতে ছাদের এক কোণায় চলে যায়। বেশী দূরত্ব না হলেও শিতাব কে এখনো দেখেনি। শিতাব হাসে, সময় কাটানোর লোক পেয়ে গেছে। ধীর গতিতে এগিয়ে যেতেই চমকে উঠে প্রিয়া। বুকে থু থু দিয়ে এক পা পিছিয়ে যায়। পরক্ষণেই শিতাব দেখে কে মুচকি হেসে উল্লাসিত কন্ঠে বলে,

-“আরে আপনি?”

-“বেয়ান একা একা ছাদে দাঁড়িয়ে আছে, বেয়াই কি ঘরে বসে থাকতে পারে?”

বন্ধুদের সাথে কথা বলছিল প্রিয়া। এখনো তারা কলে থাকায় শুনতে পায়। প্রিয়া শুকনো ঢোক গিলে বলে,

-“আপনি আগেই ছিলেন ছাদে?”

-“ছিলাম তো, তবে মনে হলো এত সুন্দর একটা মেয়ে একা দাঁড়িয়ে আছে পাহারা দেওয়ার জন্য হলেও আমার আসা দরকার। চলে এলাম‌।”

প্রিয়া ফিক করে হেসে ফেললো। ভেংচি কেটে বললো,

-“ফ্লার্ট করছেন?”

-“আশ্চর্য! এখনকার মেয়েরা এই একটা শব্দ যেখানে সেখানে ব্যবহার করে শব্দ টাকে নষ্ট করে ফেলছে। সুন্দর কে সুন্দর বলবো না? অবশ্যই বলবো, আপনি সুন্দর তাই আমার চোখ সার্থক হয়েছে! চাঁদনী রাতে এরকম সুন্দর পরীর সাথে গল্প করাটাও ভাগ্যের ব্যাপার।”

প্রিয়া আপ্লুত, ব্লাশিং করছে‌। কেউ যে তাকে এভাবে সুন্দর বলবে সে ভেবেছিল? ঠোঁটে মুচকি হাসির রেশ। হাতে থাকা ফোনের দিকে তাকিয়ে প্রিয়া বাঁকা হাসে। বলেছিল সে নাকি ছেলে পটাতে পারবে না, আজ দেখিয়ে দিবে। হেসে বললো,

-“আচ্ছা, তাই? তো গার্লফ্রেন্ড নেই আপনার?”

-“এইযে মেয়েদের আরেকটা সমস্যা। কোনো ছেলে কথা বলতে আসলেই প্রশ্ন করবে, আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে? কেন? এখানে গার্লফ্রেন্ড নামক প্যারার কথা আসবে কেন? গার্লফ্রেন্ড থাকলে কি আমি আপনার সাথে কথা বলতে পারবো না? কোন আইনে নিষিদ্ধ?”

-“গার্লফ্রেন্ড প্যারা?”

-“অবশ্যই প্যারা? সারাদিন ঘ্যানঘ্যান। কাজ নাই টুংটাং করতেই থাকা লাগবে। যাইহোক সেসবে না যাই।”

-“আচ্ছা আপনার কাছে সুন্দর মানে কি?”

-“আমার কাছে সুন্দর সব। চোখে রঙিন চশমা, যেদিক তাকাবো সেদিক‌ই চমৎকার! যেমন এই যে আপনি চমৎকার একজন সুন্দরী নারী!”

প্রিয়া একদম গদগদ হয়ে গেছে। কেউ এভাবে বলে? ফট করে বলে উঠে,

-“আমার‌ও বয়ফ্রেন্ড নেই। যদিও ইচ্ছে ছিল, কিন্তু আপনার মতো ভালো ছেলে পাই না!”

শিতাবের চোখ ছোট হয়ে এলো। বিরক্তি তে ‘চ’ শব্দ করে রেলিং থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ালো। ঘন মাথা নিয়ে হাঁটা ধরলো ছাদের অপাশ। প্রিয়া হতভম্ব হয়ে গেল‌। গলায় অবাকতা মিশিয়ে বললো,

-“চলে যাচ্ছেন যে!”

শিতাব দাঁড়ালো না, পিছুও ফিরলো না। সিগারেটে এক টান দিয়ে ধোঁয়া ছেড়ে বললো,

-“আপনি যেদিকে যাচ্ছেন, আসলে ওইদিকে যাওয়ার মতো পা অথবা ইচ্ছে কোনো টাই আমার নেই। আপনি এবার আসতে পারেন।”

চরম অপমান বোধ হয় প্রিয়ার। প্রিয়ার বন্ধুরা এক যুগে হেসে উঠতেই লজ্জায় মরি মরি অবস্থা হয় তার। এই জন্য‌ই বলে অতিরিক্ত ভাবিস না প্রিয়া। দেখে, জেনে, বুঝে তারপর এগো। নিজের উপর‌ই প্রচন্ড রাগ হয় প্রিয়ার। রাগে হন হন করে নিচে চলে যায়। শিতাব বুঝতে পারে, নিজ মনেই বিড়বিড় করে বলে উঠে,

-“মেয়েমানুষ আসলেই অতিরিক্ত বুঝে। এদের সুন্দর বললেই মনে হয় প্রেম করতে উঁত পেতে আছি। আরে ভাই, সুন্দর কে সুন্দর বলবো না? তাই বলে দু মিনিটের কথায় প্রেম হয়ে যাবে? আবালমার্কা!”

আবার মনের সুখে সিগারেট টানতে থাকে শিতাব। সময় কয়েকমিনিট পেরিয়ে যায়। গমগমে এক কন্ঠ ভেসে আসে,

-“সিগারেট খাওয়া ক্ষতিকর!”

কন্ঠটা পরিচিত। শিতাবের ঠোঁটের ভাঁজে হাসি খেলা করে। পিছু ফিরে সিলভিয়া কে দেখে রেলিংয়ে ঠেস দিয়ে দাঁড়ায়। পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে আরেকটা সিগারেট ধরায়। আর অবশিষ্ট নেই। বলে,

-“মনে শান্তি লাগে!”

-“ক্যান্সার হ‌ওয়ার সম্ভবনা!”

শিতাব প্যাকেট এগিয়ে দেয় সিলভিয়ার দিকে। অদ্ভুত ভঙ্গিমায় হেসে বলে,

-“উপরে লিখা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। অথচ সরকার ঠিক‌ই ক্ষতিকর তৈরির লাইসেন্স দেয়। আবার দেখ আমি জানি প্রেম স্বাস্থ্য বা মন যেটাই বলো দুটোর জন্য‌ই ক্ষতিকর, তবুও মন ঠিক‌ই প্রেম বাড়ানোর লাইসেন্স দেয়!”

-“আগের মতোই আছিস? বাঁদরামি যায় নি?”

-“যাওয়ার কথা?”

-“অবশ্যই, আমি তোর থেকে গুনে গুনে দু বছরের বড়। সেই কোন ভার্সিটি লাইফের ভালোলাগা, পিছু ঘুরা এখন মনে থাকার কথা না!”

-“পাক্কা এক বছর তোমার পিছু ঘুরেছি সিলভিয়া রেড। তুমি তখন ফাইনাল ইয়ার, আর আমি দ্বিতীয়; কোনো এক রক্তিম ভোরে তোমাকে দেখেছিলাম! সেই থেকে তোমার পিছু লেগেই আছি অথচ তোমাকে বুঝাতে পারছি না এটা আমার ভালোলাগা নয়, মোহ নয়, ভালোবাসা।‌”

-“থাপ’ড়িয়ে দাঁত সবগুলো ফেলে দিবো বেয়া’দব ছেলে। সিনিয়র আমি তোর। সম্মান দিয়ে কথা বলবি। নাম ধরে ডাকছিস কোনো সাহসে‌? একদম ইভটি’জিংয়ের মাম’লায় ঢুকিয়ে দিবো।”

রেগে গেছে সিলভিয়া। ছেলেটা দু’বছর থেমেছিল মধ্যে। সেও অনার্স শেষ করে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো চাকরির। দুটো বছর পার হয়ে গেছে, এখন আবার এই ছেলে এসে জুটেছে। শেষের কথা শুনে শিতাব মাথা চুলকে বিড়বিড় করে বলে,

-“হয়েছে এক পুলিশ, আগে হুমকি দিতো প্রিন্সিপালের, এখন দেয় কারঘারের।”

সিলভিয়া শুনতে পায় না। নিজ থেকে আবার বলে,

-“তোর ওই দামড়া ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাব তুই এই বাড়িতে পাঠিয়েছিস না?”

-“ছিহ, একজন পুলিশ অফিসারের মুখে কিসব ভাষা!”

-“পুলিশের মুখের গালি শুনলে এখনি আত্মহত্যা করবি, ফাউল কথা না বলে যা বলছি উত্তর দে।”

-“হ্যাঁ দিয়েছি তো? ভেবেছিলাম এক কাজে দুই কাজ করে নিবো। তা তুমি সব বানচাল করে দিলে। মমের মাথায় নিশ্চয়‌ই যৌতুকের কথাটা দাদী ঢুকিয়েছে। আর সে নিয়েই তোমার সাথে ঝামেলা। এখন আমি মম কে কি করে বলি, তোমার ছেলে এই সিলভিয়া রেড কে তিনবছর ধরে ভালোবাসে। আমাকে তাজ্যপূত্র করে আমার মস্তিষ্ক নিয়ে ফুটবল খেলবে। বেনিফিট খাজার মাথায় এসবের প্ল্যান ই বেশী থাকে!”

সিলভিয়ার হাসি পেলেও হাসলো না। ঠাস করে চড় বসালো শিতাবের গালে। শিতাব হতভম্ব হয়ে বললো,

-“এ নিয়ে তোমার হাতের একশত ঊনচল্লিশ নম্বর চড় আমার গালে পড়লো। একবার বিয়েটা করে নিই, চড় গুলো কে কি করে চুমুতে পরিণত করতে হয় এই শিতাব যাবী ভালো করে জানে!”

কথাটার সমাপ্তি ঘটতেই আরেকটা চড় বসালো সিলভিয়া। রেগে বললো,

-“একশত চল্লিশ! স্বপ্ন দেখা বন্ধ কর। সরকারি রিভলবারের সরকারি গুলি একদম ব্যক্তিগত হৃদপিন্ডে ঢুকিয়ে দিবো।”

সিলভিয়া রেগে বড় বড় পা ফেলে হাঁটা ধরে। শব্দ করে হেসে উঠে শিতাব। গলা উঁচিয়ে বলে,

-“তাহলে তো তুমিই ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে, হৃদপিন্ডে যে তুমি থাকো আমার সিলসিলা রানী!”

নামের বিকৃতি শুনে রক্তিম চোখে তাকায় সিলভিয়া। শুকনো ঢোক গিলে শিতাব মুখ চেপে ধরে হাত দিয়ে। পরক্ষণেই তাড়াহুড়ো করে বলে উঠে,

-“না না আমার সিলভিয়া রেড!”

চলবে…?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে