#বেনিফিট_অফ_লাভ -১
Tahrim Muntahana
“জলদি আমার বোনের পাশে গিয়ে বসুন, একদম জ্যা’ন্ত ক’বর দিবো। ম’গের মু’ল্লুক? বিয়ে ঠিক করবেন, বিয়ে করতে আসবেন, আর নাটক সিনেমার মতো কবুল বলার আগ মুহূর্তে বিয়ে ভে’ঙে দিবেন। কনে পক্ষ হা হুতাশ করে গ’লায় দ’ড়ি দিবে?
মেয়েলি গমগমে কন্ঠস্বর পৌঁছে গেল বিয়ে বাড়ির কোণায় কোণায়। উপস্থিত সকলে বেশ আমোদেই আছে মনে হলো। কিছুক্ষণ আগের সময় টাই তারা বিয়ে হবে না তে ছিল, এখন নুতন এক স্বর এসে মজার পাল্লাটা ভারী করে গেল। পাত্র পক্ষ খানিক থতমত খেয়ে গেছে। এতক্ষণ কথা বলার কেউ ছিল না, কথা শুনিয়ে বেশ আরামই পাচ্ছিল। হুট করে কোনো এক মেয়ে এসে এভাবে হুমকি দিবে তাদের ধারণার অতিত ছিল। বর বেশে ছেলেটি নির্বাক তাকিয়ে আছে নতুন কনের দিকে। মেয়েটাকে কি সুন্দর দেখাচ্ছিল, হুট করেই ওই চাঁদ মুখে বিষাদেরা এসে জেঁকে ধরলো। তবুও যেন অদ্ভুত এক আলোড়নে ভেসে যাচ্ছে সে।বুকের মৃদু কাঁপুনি নিয়ে সে ঘুরে বেড়াচ্ছে কল্পনার রাজ্যে। মেয়েটি তার বউ হবে, মেয়েটির হৃদয়ের একছত্র অধিকার সে পাবে, যখন তখন ছুঁয়ে দিতে পারবে, প্রাণ খুলে কথা বলতে পারবে; এমনই শ খানেক কল্পনা সে ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে। কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করা ছেলেটি এখনও টের পায় নি কল্পনার মেয়েটিকে তার কাছ থেকে দূরে সরানোর পাঁয়তারা করছে কিছুজন। যখন বুঝতে পারলো পরিস্থিতি হাতের বাহিরে চলে গেছে। কনে পক্ষের কেউ দন্ডায়মান তার মায়ের সাথে ত’র্ক যু’দ্ধ চালিয়ে যেতে। এখন আর চুপচাপ দেখা ছাড়া তার কোনো কাজ নেই। গমগমে কন্ঠের আওয়াজ তোলা মেয়েটির নাম সিলভিয়া!
পদবী লস্কর হলেও ব্যবহার করে না সিলভিয়া। সিমা শিকদারের পছন্দের ফুল সিলভিয়া রেড। মেয়ে যখন জন্মালো হাত পা এতটা লাল ছিল তিনি অন্য নাম আর খুঁজে পান নি। ফুলের নামেই নামকরণ করলেন। স্কুলে ভর্তির সময় মজা করে সিলভিয়া রেড নামটা টুকে দেওয়ায় সিলভিয়া আর লস্কর হতে পারে নি; রেড ই থেকে গেছে। আজ বিবাহবাড়িতে সিলভিয়া রেড অগ্নি’মূর্তি ধারণ করেছে।
বেশভূষা সবার থেকে আলাদা। বিয়ে বাড়িতে কেউ শার্ট প্যান্ট পরে জানা ছিল না। এত এত জমকালো ভাব, রঙ বেরঙের লাইটিং, বাহারি সাজের আলোড়নের মধ্যে সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট পরনের মেয়েটিকে অদ্ভুত লাগছে বৈ কি!
অচেনা এক মেয়ের মুখে এমন হুমকি শুনে রিতীমতো উন্মা’দ হয়ে যাচ্ছেন বেনিফিট খাজা। নামটা অদ্ভুত হাস্যকর হলেও এর পেছনে বিরাট এক রহস্য রয়েছে। মহিলার দাদি ছিলেন তৎকালীন ইংরেজির শিক্ষিকা। ভাগ্যক্রমে কিছু বিদেশী দের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়। তার মধ্যে একজন ছিলেন বেনিফিট, মহিলা যৌবনে বেনিফিট নামক ইংরেজ পুরুষের প্রেমে পড়েছিলেন। দুজনের প্রেমও বেশ চলছিল, কিন্তু ভিলেন হিসেবে উপস্থিত হয় তৎকালীন সমাজ, পরিবার। ভালোবাসা টা টিকতে পারে নি। খাজা বংশের বউ হয়ে আসার পর, নিজের সন্তানের নাম প্রাক্তনের প্রেমিক কে স্মরণ করে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার স্বামী রাজী হোন নি। মনের আক্ষেপ তার রয়েই গিয়েছিল। সেই আক্ষেপ জুড়ালেন শেষ বয়সে। ছেলের বউ কে কোনো রকম রাজী করিয়ে নাতনির নাম রাখলেন ‘বেনিফিট’। গোত্র ধরে নামটা হয়ে উঠলো বেনিফিট খাজা! কেউ কেউ আবার খাজা বেনিফিট ও ডাকে। মহিলা এই নিয়ে রাগ করেন কিনা বুঝা যায় না, বড়ই নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করেন। আজ তিনি অতিরিক্ত রেগেছেন। বাম হাতে শাড়ির কুচি ধরে, ডান হাতে গোল চশমা টা নাকের উপর তুলে এগিয়ে যান। সিলভিয়া’র মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গর্জে বলে উঠেন,
“হেই গার্ল তোমার সাহস তো কম না? এই বেনিফিট খাজা’র সামনে দাঁড়িয়ে ইউ বিগ গলায় কথা বলছো? হুমকি দিচ্ছো মি কে?”
সিলভিয়া একটু নয় অনেকটাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। এ আবার কেমন নাম, কেমন কথা। ইংরেজি বাংলার অদ্ভুত মিশেলে সিলভিয়ার হাসি না পেলেও আশেপাশের মেয়ে গুলো খিলখিল করে হেসে দিল। যা দেখে বেনিফিট খাজা’র রাগটাও তরতর করে বেড়ে গেল। তিনি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেন না যেন। ছেলের হাত ধরে বললেন,
“চল বাবু, এই বিয়ে হবে না। চিটার দের উইথ আস কোনো সম্পর্ক রাখবো না।”
সিলভিয়া কয়েকটা মানুষ ডিঙিয়ে ছোট বোনের দিকে তাকালো। মেয়ে টা বিয়ে করতে চায় নি, তার বিয়ে হলেই করবে বলেছিল। কিন্তু সিলভিয়া বিয়ে বন্ধনে খুবই উদাসীন। যতবারই সিমা শিকদার বিয়ে শব্দ টা তার সম্মুখে তুলেছে তিনদিন পর্যন্ত সিমা শিকদার সিলভিয়ার মুখ থেকে আম্মু ডাক শুনতে পায় নি। তাই সিমা শিকদার দেরী করতে চায় নি। স্বামী রঞ্জন লস্কর পরলোকগমন করেছেন চার বছর হবে। স্বামীর পৃথিবী ছাড়ার পর সিমা শিকদারের অভিভাবক হয়ে দাঁড়ায় তার ভাইরা। কোনো রকম কার্পণ্য তারা করেননি। বোন-ভাগ্নি কে যত ভাবে আগলে রাখা যায় তারা রেখেছেন। সিমা শিকদারের বড় ভাই থাকেন বিদেশ।
দু বছরের মধ্যে দেশে ফিরতে পারবেন না, তাই তিনিও মত দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন সিমা শিকদারের মনে হচ্ছে ভুল করেছেন। আরেকটু খোঁজ নেওয়া উচিত ছিল। মূলত সিলভিয়া কেও তিনি এ ব্যাপারে জড়াতে দেন নি। খুঁতখুঁতে স্বভাবের মেয়েটা বিয়ে হতে দিবে না ভেবেই এমন কাজ করেছেন। আজ সিলভিয়া’র তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তার মনে অনুতাপের আগুন ছড়িয়ে দিচ্ছে। সাহস হচ্ছে না মুখ ফুটে কিছু বলার। তবুও মাথা নত করে এগিয়ে গিয়ে বললেন,
“ছেলের মায়ের দাবী তাদের বিয়ের আগেই একটা বাইক, একটা ল্যাপটপ দিতে হবে। আমরা ছেলের বাবার সাথে কথা বলেছি, বিয়ের পর দিলেও চলবে। কিন্তু মহিলা যে এমন ঝামেলা করবে জানতাম না তো!”
সিলভিয়া’র রাগ যেন দ্বিগুন বেড়ে গেল। যৌতুক চেয়েছে, যৌতুক দিতে রাজী হয়েছে; ব্যাপার দুটোর দোষী দু পক্ষই। তাই সিলভিয়া কোনো এক পক্ষ কে দোষী করতে পারলো না। বরং কিছুটা চেঁচিয়ে বেনিফিট খাজাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
“আপনার বাবু তো একা যেতে পারবে না মিসেস, বিয়ে করে বউ নিয়ে তারপর যাবে।”
পরক্ষণেই গলায় খানিক আহ্লাদী সুর টেনে বললো,
“বাবু আসো। তোমাকে আমি চকলেট, লজেন্স, ঠান্ডা ঠান্ডা পাইপ, জুশ সব দিবো। তুমি বসবে একটা করে খাবে আর কবুল বলবে, কেমন?”
অপমানে মাথা নিচু করে ঠোঁট কামড়ে ধরলো শামউল। এমন অপমান সে কখনোই হয়নি, না কথা ছিল। বেনিফিট খাজা তেড়ে আসতে নিবে, হাত টেনে ধরলো। নিম্ন কন্ঠে বললো,
“অনেক ছোট করেছো মম। এবার একটু চুপ যাও। বিয়ে টা হয়ে যাক? তারপর নাহয় কথা হবে?”
এতক্ষণের অপমান টা সহ্য হলেও ছেলের বিপক্ষের সাথে তাল মেলানো টা একদম সহ্য হলো না। এক ঝটকায় ছেলের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিলেন বেনিফিট খাজা। রোষপূর্ণ গলায় বললেন,
“তুই কর বিয়ে, এই মাদারকে ফরগট যাবি, ভালো করে বললাম।”
শামউল খুব অসহায় হয়ে পড়লো। কি করবে সে? ঠিক তখনই সিলভিয়া দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
“আপনারা ঠিক তথ্য নিয়ে বিয়ে ঠিক করেছিলেন? একজন পুলিশ অফিসারের বাড়িতে এসে যৌতুক চাওয়ার পরিণতি ঠিক কি হতে পারে জানেন?”
বরপক্ষের নিকট বাক্যটা যেন বিস্ফোরণ। সবচেয়ে বেশী অবাক হয়েছেন বেনিফিট খাজা! অথৈ সাগরে পড়ে গিয়েছেন তিনি। কি বলবেন না বলবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। সিলভিয়া পকেটে থেকে আইডি কার্ড বের করে বেনিফিট খাজার সম্মুখে ধরে বললো,
“এসপি সিলভিয়া রেড, ক্যান্টনমেন্ট ঢাকা!”
বেনিফিট খাজা গাম্ভীর্য ধরে রাখলেও খানিক ভয় পাচ্ছেন। হার মানতেও নারাজ, আবার শক্ত ভাবে কিছু বলার সাহস ও পাচ্ছেন না। সিলভিয়া শক্ত মুখশ্রীতে নিজের মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। সিমা বেগম বারংবার শুকনো ঢোক গিলছেন। কত বড় অন্যায় সে করেছেন মেয়ের চাহনি দেখেই টের পাচ্ছেন।
মায়ের নিশ্চুপতা দেখে আর আড়ালে থাকতে পারলো না শিতাব। এসব ঝামেলায় জড়ানো তার অভ্যেস নেই। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, তাদের হক বাড়িতে কেউ ই বেনিফিট খাজা’র উপরে কথা বলতে পারে না। শিতাব সাহস করে এগিয়ে গিয়ে মায়ের কাঁধে হাত রাখলো। নিম্ন স্বরে বললো,
“মম, কি করছো এসব? তোমার সম্মান কতটা নিচু তে চলে যাচ্ছে বুঝতে পারছো? মানুষ ভাবছে হক পরিবারের বউ বেনিফিট খাজা জনসম্মুখে অন্যায় করছে। যৌতুক চাওয়া অবশ্যই অন্যায় আম্মু, এ ব্যাপারে আমাদের কিছু জানাও নি কেন? আচ্ছা বাদ দিলাম সেসব, তোমাকে দেখাতে হবে তুমি খুব ভালো। নাহলে তাদের মনে যে খারাপ ধারণা তৈরি হয়েছে আর বদলাবে না। আমাদের দোকান থেকেও কিছু কিনবে না! বুঝতে পারছো?”
হক পরিবারের ছোট ছেলে হক কথায় বলেছে। ব্যাপারটা পাবলিক হয়ে যাবে ভাবেন নি তিনি। বেনিফিট খাজার মুখশ্রী নরম হয়ে এলো। মনে মনে কিছু ভাবলেন, কিন্তু তার রাগ বাড়লো বৈ কমলো না। তৎক্ষণাৎ বেনিফিট খাজা’র তৃতীয় সন্তান সাম্মাক বলে উঠলো,
“মম তাই বলে তুমি ওদের কাছে হেরে যাবে? এ হয় না মম, বেনিফিট খাজা সবসময় সবার উপরে থেকেছে। তোমার সম্মান কোথায় যাবে মম। এ মুখ আমি কিভাবে দেখাবো বন্ধুদের কাছে? এর থেকে মরে যাওয়া ভালো!”
ছোট বোনের নাটকে বিরক্তি তে ‘চ’ শব্দ করলো শিতাব। এই মেয়েটাই হলো যত নষ্টের গোড়া। মাথায় গাট্টা মেরে বলে উঠলো,
“মম এই বলদের কথা শুনো না। ও তোমার সম্মানের কথা ভেবে অসম্মান করছে। তুমি ভাবো মম, ওই মেয়ে তোমাকে হাতকড়া পড়িয়ে টানতে টানতে থানায় নিয়ে যাচ্ছে, তারপর রিমান্ডে নিয়ে কারে’ন্টের শ’ক দিচ্ছে। মম তুমি সহ্য করতে পারবে না!”
আড়চোখে শিতাব সিলভিয়ার দিকে তাকালো। মেয়েটি অদ্ভুত চোখে তাদের কথা শুনছে। হয়তো পাগল ও ভাবছে। তবে শিতাব সেসবে পাত্তা দিল না। অন্যদিকে বেনিফিট খাজা সত্যি সত্যি কল্পনা করে ফেললেন। পুলিশ ইউনিফর্ম পরিহিত এসপি সিলভিয়া রেড তাকে হাত কড়া পড়ালো। বড় বড় পা ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে গাড়ির দিকে। কিন্তু তিনি শাড়ি পরহিত থাকায় ঠিক এগোতে পারছেন না। একসময় কুচি বেজে ঠাস করে পড়ে গেলেন মাটিতে। তবুও সিলভিয়া থেমে নেই। তাকে একহাতেই সোজা করে দাঁড় করিয়ে দিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিল। থানায় নিয়ে সোজা চলে গেল রিমান্ড কক্ষে। চেয়ারে বসিয়ে কারেন্টের শক দিতেই মৃগী রোগীর মতো কাঁপতে থাকলেন তিনি। আর কিছু ভাবতে পারলেন না বেনিফিট খাজা। শরীরে কাঁপুনি ধরে গেছে। কানে হাত চেপে মৃদু চিৎকার দিতেই শিতাব আড়ালে ঠোঁট বেঁকিয়ে হাসলো। কাজে দিয়েছে। মায়ের হাত ধরে ডেকে উঠলো,
“মম কি হলো? মম?”
তিনি ছেলের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন। ভয়ে বারংবার ঢোক গিলছেন। ভাবনার জন্য সময় তিনি একেবারেই নিলেন না। আবার সোজাসুজি বলে নিজে পুরোটা হেরেও গেলেন না। চাপা ক্ষোভ মিশিয়ে সিলভিয়া’র উদ্দেশ্যে বললেন,
“হেই গার্ল, এটাকে যৌতুক বলে না। বিয়েতে কম বেশী দেনা পাওনার হিসেব হয়। ইউ যে কাজ টা করলা, এই বেনিফিট খাজা কোনোদিন ফরগট নো।”
সিলভিয়া ভ্রু কুঁচকে বোনের দিকে যেতে যেতে বললো,
“মিসেস গাঁজা আই মিন খাজা আমি আপনাকে কখনোই ভুলতে দিবো না। ইউ আর এ ক্রিমিনাল। সো ইউ আমাকে না ভুললেই খুশি হবো।”
হক পরিবারের সদস্য রা পর্যায়ক্রমে অবাক হয়ে যাচ্ছে। তাদের ধারণার অতিত ছিল কেউ বেনিফিট খাজার মুখে মুখে এভাবে তর্ক করতে পারবে। বাড়ি গিয়ে তাদের উপর ঝড় বয়ে যাবে বলার বাকি থাকে না। তবে বেশ মজায় লাগছে। বেনিফিট খাজা বুকের উপর একশো মণ পাথর চাপা দিয়ে বিয়ের অনুমতি দিলেন। তার মন টা বার বার ভেঙে খানখান হয়ে যাচ্ছে বাইক, ল্যাপটপের কথা স্মরণ হতেই। তাদের থেকে নিম্ন পরিবার তিনি এই জন্যই দেখেছিলেন। কম থাক ভালো ঘর দেখে না মত করবে না। এ তো দেখি পুরোটাই লস প্রজেক্ট হয়ে গেল। মনে মনে বিশাল এক জেদ চেপে গেল বেনিফিট খাজার। দরকার পড়লে ছেলে কে আবার বিয়ে করাবেন, না হয় বড় ছেলের লস প্রজেক্টের ভার ছোট ছেলের কাঁধে দিয়ে দিবেন। তবুও তিনি লসের গতিতে চলতে পারেন না। পরিকল্পনা করে নিজের মনেই নিজেকে বাহবা দিলেন বেনিফিট খাজা। নাকের উপর চশমা টা খানিক উপরে তুলে ভাব নিয়ে বিড় বিড় করে বলে উঠলেন,
“এই বেনিফিট খাজা বেনিফিট ছাড়া কিচ্ছু করে না!”
চলবে…?