বেড়াজাল পর্ব-৩৪

0
531

গল্পঃ #বেড়াজাল
লেখিকা: #চন্দ্রাবতী
পর্ব – #৩৪

চন্দ্রা ভয়ে ভয়ে গিয়ে সিনথিয়ার বাড়ির বড়ো দরজাটা খুললো। ওমনি ফট ফট করে কিছু একটার আওয়াজ এলো, অনেকগুলো মেয়েলী কণ্ঠস্বরে চেঁচিয়ে উঠলো ” হ্যাপি বার্থডে ” শুনতে পেয়ে চন্দ্রা চোখ পিট পিট করে খুলে কানে চেপে থাকা দুই হাত নীচে নামলো। সামনে কতগুলো তাকে দেখে অবাক হওয়া মেয়েকে দেখে মনে কোথাও একটা স্বস্তি ফেললো। হটাৎই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলো সে।

সামনের মেয়েগুলি একেওপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো। তারা যে সিনথিয়া ভেবে ওই বেলুন ফাটিয়েছে এটা ভালোই বোঝা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে থেকে একজন চন্দ্রাকে জিজ্ঞেস করলো “আচ্ছা আপনি কে..? সিনথিয়ার কোনো রিলেটিভ..? কিন্তু আমরা যতদূর জানি ওর আগে পরে মা ছাড়া কেউ নেই।”

চন্দ্রা অস্বস্তি সরিয়ে হালকা হেসে বললো ” আমি ওর দূর সম্পর্কের এক আপু। বাইরে দাঁড়িয়ে কেনো আসো সবাই ভিতরে এসো। সিনথিয়া উপরেই আছে।”

সবাই হাসি মুখে চন্দ্রার সাথে পরিচিত হয়ে ঘরের ভিতর ঢুকলো। সিনথিয়ার রুমে গেলো সবাই ধীরে ধীরে। সিনথিয়াকে এইভাবে শুয়ে থাকতে দেখে চার জন বান্ধবীকেই বেশ সিরিয়াস দেখালো। ওর চারপাশে বসে ওর শরীরের অবস্থা কখন কি হয়েছে সব জানতে চাইলো। মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।

চন্দ্রা পুরোটা সময় দাঁড়িয়ে দেখলো। এমন বুঝি বন্ধুও হয়…? কই তার তো কোনোদিন ছিলো না এমন বন্ধু। সে সরল ছিলো বলে সবাই তাকে শুধু সাহায্যের সময় ব্যাবহার করতো, তারপর যেনো কেউ চিনতেই পারতোনা তাকে। সেখান থেকেই বন্ধুত্বের প্রতি যে তার এক আকাশ পরিমাণ দুরত্ব জন্মালো তারপর থেকে সে বন্ধু বানানই ছেড়ে দিল। সেও সবার সাথে দরকারেই কথা বলতো। তবে এখন সিয়া তার ভীষণ ভালো বন্ধু। এইসব কথা ভেবেই চন্দ্রা মুচকি হাসলো। তারপর হটাৎ মনে পড়লো তার এসব ভাবলে চলবে না এখন কীকরে এখন থেকে কাগজ গুলো নিয়ে বেরনো যায় সেটা ভাবতে হবে তাকে।

এই মধ্যেই সিনথিয়া বলে উঠলো ” আপু তুমি একটু কিচেন থেকে ওদের জন্য স্নাক্সের ট্রে গুলো এনে দেবে। আমি সব সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছি।”
সিনথিয়ার দুজন বন্ধুও গেলো জোর করে চন্দ্রার সাথে। অন্যসময় চন্দ্রা সঙ্গ পেলে খুশি হলেও এখন হতে পড়লো না। মাথায় তার অন্য চিন্তা ঘুরছে।
.
.
.
সুইটি বেগম সিনথিয়ার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলেও ঘরে এলেন কিছু কাগজ নিতে।
সিড়ি দিয়ে উঠতে যাবেন এমন সময় তিনি দেখলেন সিরাজ শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে কানে থাকা ব্লুটুথে কাকে কি বলতে বলতে নেমে আসছে।
সিরাজ সুইটি বেগমকে না দেখার ভান করে পাশ কাটাতে গেলে সুইটি বেগম ধীর কিন্তু কঠিন গলায় বললেন “দাঁড়াও।”
সিরাজ একটা ভ্রু উঁচু করে সুইটি বেগমের দিকে ঘুরে বললো “কিছু বলবে মম..? তাড়াতাড়ি বলো অফিসে সমস্যা হয়েছে ভাইয়া ডাকছে আর্জেন্ট।”

সুইটি বেগম এবার শিরদাঁড়া সোজা করে করে এক পা এক পা করে এগিয়ে এসে সিজারের মুখোমুখি দাঁড়ালেন। তার চালচলনে সে আধিপত্যের ছোঁয়া আছে তা দেখলেই যে কেউ ধরে নেবে। তিনি এবার সিরাজের চোখে চোখ রেখে বললেন ” ব্যাবসায় তো আমার কথা মতো কাজ করলে না। করলে আজ সব সাম্রাজ্য তোমার হতো।”

সিরাজ বিরক্ত হলো তাও মুখ নীচু করে বললো ” তুমিও জানো মম ভাইয়া কতটা করে বা করেছে আমার আর সিয়ার জন্য তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার সাহস আমার নেই। আর যাই হোক গায়ে যাদের রক্ত বইছে তাদের মতো হয়ে আর পাপ বাড়াতে চাই না।”

সুইটি বেগম সশব্দে গর্জে উঠলেন ” সিরাজ ” বলে।
সিরাজ একহাত ঘাড়ের পেছনে বুলিয়ে চোখ মুখ কুঁচকে বললো। “চেঁচিয় না মম। সত্যি কথা তো তাই গায়ে একটু লাগলো। ”

সুইটি বেগম রাগে হতভম্ব হয়ে রইলেন। তার ছেলে এতোটা অধঃপতনে গেছে..? অদেও কি অধঃপতনে গেছে নাকি শুধু তার কথার অমান্য করায় তার এমন লাগছে। চোখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত করলেন তিনি। তারপর ভালো ভাবে বললেন ” যা করার করে নাও একদিন। কিছুদিন পর আমার বন্ধুর এক মেয়ের সাথে তোমার বিয়ে ঠিক করেছি। সে তোমার সাথে মিলে ব্যাবসা আরো উঁচুতে তুলে দেবে, তুমি শুধু চুপচাপ বিয়েটা সেরে নেবে। আর আর ওই যে মেয়েটা কি নাম একটা..? হ্যাঁ ইন্দ্রা…! ওই মেয়েটাকে যত তাড়াতাড়ি পারো জীবন থেকে সরাও। আমি তো ভেবেই অবাক তুমি কবে থেকে এতদিন ধরে একই গার্লফ্রেন্ডের সাথে আছো..? তারপর মেয়েটার আগে কেচ্ছা আছে। তারপরও…”

” ব্যা-স-স ”

আর বলতে পারলেন না তিনি সিরাজের ধমকে চুপ করে গেলেন।
সিরাজ রক্তলাল চোখ করে বললো ” ব্যাস মম আর একটাও কথা শুনতে চাইনা আমি ওর ব্যাপারে। ও আমার, তাই তাকে জড়িয়ে কথা গুলো আমায় শত কাঁটা ফোঁটা সমান বেদনা দেয়। ওকে নিয়ে আমার সামনে সমালোচনা করার অধিকার আমি কাউকে দিইনি কাউকে মানে কাউকেই না। সো আমার লাইফে ইন্টারফেয়ার করার কথা মাথাতেও এনো না। ” বলেই কিছুটা এগিয়ে গিয়ে আবার পিছনে ফিরে এলো সে আবার সেই রুদ্রতাপ কঠিন মুখমণ্ডল নিয়েই বললো ” আফটার আ ফিউ ডেইস আই উইল মেক হার লিগ্যালি মাইন। আর তুমি এর মধ্যে নাক না গলালেই খুশি হব।” বলেই আগের মত তথাকথিত অ্যাটিটিউড নিয়ে বেরিয়ে গেলো দরজা দিয়ে।

সুইটি বেগম সেই দিকে তাকিয়ে রাগে থর থর করতে করতে বিড়বিড় করলেন ” এর ফল তুমি পাবে সিরাজ। ওদের তো সবকটাকে জেলের হাওয়া খাওয়াবই। তুমি কথার অবাধ্য হলে তোমার কপালেও শনি নাচবে এবার। খুব ভাইয়া ভক্ত হয়েছ না..?” বলেই কাউকে ফোন দিলেন। ফোন রিসিভ হতেই বললেন ” কিছু খবর পেলি..?”
ওপাশ থেকে কি বললো শোনা গেলো না। সুইটি বেগম আবার বললেন “কথা মত কাজ শুরু কর। আর হ্যাঁ খুব সাবধানে।” বলেই ফোন রেখে নিজের রুমের দিকে এগোলেন।
.
.
.
এইদিকে সিনথিয়ার বন্ধুরও বেশ ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছে চন্দ্রা। কিছু মিনিটের জন্য হলেও সে চিন্তামুক্ত হয়ে হাসি মজা করছিলো কিচেনে দাঁড়িয়ে। হটাৎ এক মহিলা সার্ভেন্ট এসে বললো চন্দ্রার সাথে নাকি কেউ দেখা করতে এসেছে। চন্দ্রা অবাক হলো এখানে কে দেখা করতে আসবে..? সার্ভেন্ট তাড়া লাগলো। চন্দ্রা তাই সব রেখে তাড়াহুড়ো করে দেখতে গেলো কে এসেছে। চলতে চলতে বুঝতে পারলো সে সিনথিয়ার বাড়ির একদম পিছনের দিকে এসে পড়েছে। কিন্তু কাউকে তো দেখতে পাচ্ছে না এখানে তাহলে..? ফেরার জন্য পিছনে ঘুরতেই একজোড়া হাত পিছন থেকে এসে তার নাকে রুমাল চেপে ধরলো। চন্দ্রা ছটপট করার আগেই নিস্তেজ হয়ে পড়লো।
.
.
সিনথিয়া চন্দ্রাকে না দেখতে পেয়ে তার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলো তার কথা। তার বন্ধু বললো ” সার্ভেন্ট বলেছে নাকি তার আর্জেন্ট কল এসেছে তাই যেতে হয়েছে তাকে ঘরে আর বলল তোকে জানো বলে দি।”
সিনথিয়া কিছু বললো না। সে তো আজ কোনো সার্ভেন্টকে আসতে বলেনি । হয়তো মা ধমকাধমকি দিয়ে অনিয়েছে। সিনথিয়া দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়লো তার মা তাকে নিয়ে একটু বেশীই পসেসিভ।

____________________________________

অপূর্ব আজ আর অফিস থেকে এসে অফিস যায়নি। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর এসে বিছনায় একটু শুয়েছিল। হটাৎ করেই মাথাটা তার ভীষণ যন্ত্রণা করছে। সে বুঝতে পারলো না তার মাথায় এতো যন্ত্রণা কেনো হচ্ছে। সিয়াকেও আসতে দেখছে না। লাঞ্চের পর থেকে সে একবারও রুমে আসেনি। তাই ফোন দিয়েকে রুমে আসার মেসেজ দিয়ে চোখের উপর হাত দিয়ে শুয়ে রইলো সে।

সিয়া মেসেজ পেতেই ফোন হাতে তুলে দেখলো, তারপর আবার একই ভাবে ফোন রেখে সায়মা বেগমের হাতের সেলাইয়ের কাজ দেখতে লাগলো।
সায়মা বেগম হাসতে হাসতে অনেক গল্প করলেন। সিয়া যেনো সব কথা শুনেও শুনছেনা কোথায় যেনো হারিয়ে যাচ্ছে। অপূর্বের ফুল রেখে চলে যাওয়া প্রথমে স্বাভাবিক ঠেকলেও পরে সেটা মোটেই স্বাভাবিক লাগেনি সিয়ার। অপূর্ব এমন কোনোদিন করে না সে কিছু যখন আনে সিয়া নিতে না চাইলেও জোর করে তার হাতে ধরিয়ে দেয়।

সায়মা বেগম সিয়াকে এমন অন্যমনস্ক দেখে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন “অপূর্বের কথা ভাবছো..?”
সিয়া হটাৎ করে এমন প্রশ্ন শুনে থতমত খেয়ে বললো ” কই না তো। ও তো ঘরেই আছে।”
সায়মা বেগম হালকা হেসে বললেন ” কখনও কখনও আমরা একই বিছানায় পাশাপাশি শুলেও মানুষটির সাথে আমাদের মনের দূরত্ব আকাশ সমান হয়, আবার কখনও কখনও মানুষটি আকাশ সমান দূরে থাকলেও তার সাথে আমাদের মনের কিঞ্চিৎ পরিমাণ দূরত্ব থাকে না। সবটাই নির্ভর করে সম্পর্কের সমীকরনের উপর”

সিয়া অবাক হয়ে শুনলো। সায়মা বেগম আবার বললেন “আমার ছেলেটা বড্ড নরম মনের আম্মু, কিন্তু সে ভিতরে গুমরে গুমরে মরলেও তোর কাছে কোনোদিন নিজের ভালোবাসার দাবী রাখবে না যতদিন না তুমি চাও। তবে আমি তো তার আম্মু হই আমি দেখেছি জানো সেই রাত গুলো, যেখানে ছিলো তোমায় পাওয়ার আকুলতা, না পাওয়ার ব্যার্থতা। জানো তোমার রিলেশনের কথা সে যেদিন প্রথম জানতে পারলো সেইদিন ছোটবেলার পর থেকে সেই প্রথমবার আমার কাছে এসে আমায় জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদেছিলো। শুধু একটাই কথা বার বার বলছিলো যে “আমি হেরে গেছি আম্মু পারিনি তাকে আমার করে নিতে।”
তোমার মনে আছে সিয়া তোমার বাসর রাতের দিন অপূর্বের তোমার রুমে যেতে দেরি হয়েছিল, কেনো জানো..? সেদিনও ও রুমে যাওযার আগে সেই আগের দিনটার মতো কেঁদে আমার হাত ধরে বলেছিল “আমি জিতেছি আম্মু। সে এখন আমার, সম্পূর্ণ আমার।”
বিশ্বাস করবে না সেইদিন আমার থেকে খুশি বোধহয় আর কেউ ছিল না।
ছোটোথেকেই আমি ওর সবথেকে বড়ো বেস্টফ্রেন্ড হওয়ার তোমার কথা আমি অনেক বছর আগে থেকেই জানতাম। জানো ওকে বিদেশে পড়াতে পাঠানোর আমাদের কোনো প্ল্যান ছিলো না। কিন্তু দিন দিন ছেলেটাকে চোখের সামনে বিষণ্ণতায় ডুবে যেতে দেখে পাঠাতে বাধ্য হলাম। হলোও তাই ওখানে গিয়ে ও বেশ হাসিখুশি ছিলো, আমরা ভেবেছিলাম হয়তো তোমায় ভুলে গেছে। কিন্তু এখন মনে হয় ও একটা পলকের জন্যও তোমায় ভুলতে পারেনি সেখানে গিয়েও। এইসব কথা তোমার বড়ো ভাইয়া সিয়ামও জানে সে বলতে চেয়েছিলো তোমায় অপূর্বের কথা কিন্তু অপূর্ব বলতে দেয়নি। সে চায়নি তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষটার থেকে আলাদা হয়ে তার মতো কষ্ট পাও।
দেখো আম্মু এসব আমার আর অপূর্বের পার্সোনাল কথা। তবে আমার মনে হলো তোমায় জানানো দরকার, তাই জানালাম।”

সিয়া স্থির হয়ে বসে রইলো। নড়চড় করার ক্ষমতা নেই তার মধ্যে এখন। তাকে এতটাও কেউ এইভাবে ভালোবাসতে পারে তার ধারণার বাইরে ছিলো। তাকে পাওয়ার জন্য যে মানুষটা রাতে কান্না করছে সে কিনা সেই মানুষটাকে দিনের পর দিন নিজের থেকে দূরে সরিয়ে কষ্ট দিচ্ছে..? তাও আবার কার জন্য যে ওকে শুধু ব্যাবহার করেছে প্রতিটা পদক্ষেপে।

সিয়া কোনরকমে বসা থেকে উঠে সায়মা বেগমকে উদ্দেশ্য করে বলল ” ধন্যবাদ আম্মু সত্যিই এগুলো জানা আমার জন্যে খুব দরকার ছিল। আমি একটু আসছি।” বলেই দৌড়ে নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালো।

রুমে এসে সিয়া দেখলো অপূর্ব বিছানায় শুয়ে আছে। সিয়া করুন চোখে তাকালো মানুষটার দিকে। ওই চোখে ঠিক কি আছে সিয়া নিজেও জানেনা। শুধু তার মনে হচ্ছে সামনের মানুষটি তার একান্ত আপন।
সিয়া এবার খেয়াল করলো অপূর্ব মাঝে মাঝে হাত মুষ্টি বদ্ধ করে মাথায় মারছে আবার কখনো চুল টানছে জোরে। সিয়া বুঝতে পারলো অপূর্বের মাথার যন্ত্রণা হচ্ছে। সে আসতে আসতে গিয়ে তার পাশে বসে মাথা থেকে তার হাতটা সরিয়ে নিজে মাথা ম্যাসাজ করে দিতে লাগলো।
অপূর্বের মুখে আলতো হাসি ফুটলো। সেই দেখে সিয়া জড়তা কাটিয়ে অপূর্বের কপালে নিজের ঠোঁট দুটো চেপে ধরলো সেকেন্ড চারের জন্য।

অপূর্ব চোখ খুলে বিস্ফোরিত হয়ে তাকালো সিয়ার দিকে। সিয়া তা দেখে হেসে ফেললো।

আচ্ছা ওই বাচ্চা প্রেমিক প্রেমিকা গুলো কি ঠিক বলে যে প্রেমিকার চুমু খেলেই তার সব অসুখ ঠিক হয়ে যায়..? তাহলে অপূর্ব নিজেকে সেই খাতায় ফেললো বলে এবার।

# চলবে..?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে