বেড়াজাল পর্ব-৩০

0
567

গল্পঃ #বেড়াজাল
লেখিকা: #চন্দ্রাবতী
পর্ব – #৩০
চোখ খুলে সিয়া নিজেকে একটা ফুলসজ্জিত ঘরে পেলো। নিজের আশপাশ চোখ ঘুরিয়ে দেখলো একটা বড়ো রুম। চারিদিক ফুল দিয়ে সাজানো। ঘরটা বেশ সুন্দর। সিয়ার চোখ গেলো ঘরের একপাশের দেওয়ালে সেখানে অপূর্বের বিভিন্ন রকম অ্যাওয়ার্ড রাখা। তার উপরে সেগুলো পাওয়ার বিভিন্ন ছবি। তার পাশে জায়গাটা ফাঁকা কিছুটা।

সিয়া উঠে সেদিকে গেলো। এরই মধ্যে দরজায় আওয়াজ হতেই সিয়া পিছন ফিরে দেখলো তার শাশুড়ি সায়মা বেগম হাসি মুখে খাওয়ারের প্লেট আর একহাতে একটা ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে।
তিনি ঘরে প্রবেশ করে ব্যাগটা বিছানায় রাখলেন। সিয়াকে দেখে বললেন “উঠেছো..?এসো খাবারটা খেয়ে নেবে, ওই বাড়িতে নিশ্চই ঠিক মতো খেতে পারোনি..?”
সিয়া ইতস্তত করে বললো ” না আন্টি ইটস ওকে।”
সায়মা বেগম বললেন ” তা বললে শুনছি না আমি। শুনেছি অপূর্বের কাছে তুমি কিছুই খাওনি সেই দুপুর থেকে। আচ্ছা আগে যাও ফ্রেশ হয়ে এই কাপড়টা পড়ে এসো। হাঁসফাঁস লাগছে নিশ্চই এই কাপড়ে..?”

সিয়া হালকা হেসে ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটা শাড়ি পরে এসে বিছানায় একধারে বসলো। সিয়া বিছানায় বসতেই সায়মা বেগম আসতে করে বললেন ” আমি খাইয়ে দি..?” সিয়া অবাক হলেও শুধু ঘাড় নাড়লো।
সায়মা বেগম হেসে ভাত মাখতে মাখতে বললেন “তুমিও সবার মত আমায় আম্মু ডেকো কেমন..?আর কোনোকিছুতে কোনোরকম অসুবিধা হলে সঙ্গে সঙ্গে আমায় জানাবে বুঝলে। নিজের মায়ের মতোই আপন ভেবো এই মা কেও।”

সিয়া মুখে খাবার টা নিয়ে আবার কেঁদে দিলো। তার মা আবার আপন..? মায়ের ভালবাসা কি সে কোনোদিন বোঝেই নি। এই প্রথম তাকে সিয়াম ছাড়া কেউ এতো যত্ন করে খাইয়ে দিচ্ছে।

সায়মা বেগম অস্থির হয়ে পড়লেন সিয়ার কান্না দেখে জিজ্ঞেস করলেন ” আরে আরে কাঁদছো কেনো..? ওই বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছে বুঝি..? খাওয়ার সময় চোখের জল ফেলতে নেই বুঝলে এতে সংসারের অমঙ্গল হয়।”

সিয়া তাড়াতাড়ি চোখের জল মুছে নিলো। সায়মা বেগম আবার ভাত মাখতে মাখতে বললেন “আমার ছেলেটাকে একটু আগলে রেখো দেখবে সে তোমায় মাথায় তুলে রাখবে। আর যদি বকা দেয় তুমি এসে আমায় বলে দেবে আমি রোদে একপা তুলে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখবো।” শেষের কথাটা সায়মা বেগম বেশ সিরিয়াস ভঙ্গিতে বললেন।
সিয়া সেটা শুনে ফিক করে হেসে দিল। শায়মা বেগমও হাসলেন। সিয়াকে খাইয়ে তিনি বিশ্রাম করতে বলে চলে গেলেন।
তিনি যাওযার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই অপূর্ব ঘরে ঢুকলো। তার এখন যেনো বুক টা ঢিপ ঢিপ করছে। কই এতো দিন এমনকি বিয়ের সময়ও তো করেনি তাহলে এখন কেনো..? সিয়া এখন একান্ত তার তাই..?এই মেয়েটাকে পারলে সে নিজের চোখের পলকে বসিয়ে রাখে। সামান্যতম কষ্টও যেনো অপূর্বের সহ্য হয় না। আজ বিদায়ের পর গাড়িতে যখন সিয়াকে তোলা হলো সে কাঁদতে কাঁদতে তার বুকেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। ওই প্রথম অপূর্ণ নিজে ডক্টর হয়েও চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। মন অশান্ত হয়ে গিয়েছিল। বার বার সিয়াকে ওঠানোর চেষ্টা করছিল। ওইসময়ে তার উপর দিয়ে কি গেছে সেটার সিকি ভাগও যদি সামনের মেয়েটা টের পেত তাহলে তাকে ছাড়া দ্বিতীয় কারোর কথা ভাবত না।
অপূর্বকে দেখে সিয়া একবার চোখ তুলে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো। সেই চোখে নেই কোনো ভয়, লজ্জা যেমনটা আর পাঁচটা সদ্য বিবাহিতা বউদের থাকে।

অপূর্ব জানে সিয়ার সময় প্রয়োজন। কটা দিনে এতো গুলো বছরের স্মৃতি ভুলিয়ে দেওয়া মুখের কথা নয়। সে সময় দিতে রাজি কিন্তু সবশেষে মানুষটা যেনো তার কাছেই ফিরে আসে।

অপূর্ব গিয়ে বসলো সিয়ার এক পাশে। পকেটের ভিতর একটা বক্সের ভিতর থেকে আংটি বের করে সিয়ার হাত টা ধরতে গেলো। সিয়া ঝট করে হাতটা সরিয়ে নিলো।
অপূর্ব বেশ কষ্ট পেলেও নিজেকে সামলে একটু হেসে সিয়ার হাতটা পুনরায় টেনে ধরে আংটিটা পরিয়ে দিল।

সিয়া আংটিটা নিয়ে নাড়াচাড়া করল। অপূর্ব সেদিকে দেখে ধীরে ধীরে সিয়ার দিকে এগোলো। সিয়া চোখ তুলে অপূর্বকে এতো সামনে দেখে ভয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে নিলো। তার বাঁধা দেওয়া সাজে না। অপূর্ব তার স্বামী তারও কিছু ইচ্ছে অনিচ্ছে আছে। আর বিয়েটা তো সে সিয়ার প্রস্তাবেই করেছে।

হটাৎ মাথায় সুড়সুড়ি লাগতে সিয়া চোখ খুললো। দেখলো অপূর্ব তার মাথা থেকে ফুলের পাপড়ি গুলো ঝেড়ে দিচ্ছে। সিয়া হাঁপ ছাড়লো। অপূর্ব আসতে আসতে বিছানার সব ফুল জড়ো করে একধারে করে হাসি মুখে সিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো “আর অসুবিধা হবে না এবার আরামে শুয়ে পরো।”

সিয়া ইতস্তত করে শুয়ে পড়লো বিছানায়। কিছুক্ষণ পর ডিম লাইট জেলে অপূর্বও শুয়ে পড়লো।
কিছুক্ষণ পর সিয়া নিজের হাতের উপর আরেকটা হাতের স্পর্শ পেলো। সে কেঁপে উঠলো, হাতটা হালকা মোচড়ামুচড়ি করলো। অপূর্ব সিয়াকে টেনে হালকা নিজের দিকে নিয়ে এলো। সিয়ার ধুকপুকানি যেনো অপূর্ব বাইরে থেকে শুনতে পাচ্ছে। অপূর্ব এবার হেসে বললো “টেক ইয়োর টাইম সিয়া। আমি কোনকিছুতেই তোমায় জোর করবো না। কিন্তু শুধু এই হাত টুকু ধরে রাখার অনুমতি দাও।”
সিয়া কিছু বললনা তবে হাতটা আর নাড়ালো না। অপূর্ব সম্মতি পেয়ে আনমনে হেসে চোখ বুঝলো।

এখন তার বিশ্বাস হচ্ছে তার বউ সিয়া, তার সাথে একঘরে এক বিছানায় আছে। এবার আর সে কথাও যেতে পারবে না, অপূর্ব যেতে দেবে না।

_________________________________

পাখির কিচিরমিচিরে ঘুম ভাঙলো চন্দ্রার। হালকা নড়চড় করে উঠতেই দেখলো নড়তে পারছে না। সিয়াম এখনও তাকে জাপটে ধরে আছে।
চন্দ্রা হালকা হেসে সিয়ামের থেকে নিজেকে ছাড়াতে গেলে সিয়াম বিরক্ত হয়ে আরো জড়িয়ে নিলো তাকে। চন্দ্রা পড়লো এবার মহা ঝামেলায় এই লোকটার থেকে ছাড়া পাওয়া এখন ভীষণ মুশকিল। প্রত্যেক সকালে মানুষটা এইরকম করে। সে এখন কি বলবে এটাও চন্দ্রার মুখস্থ হয়ে গেছে। একটু নড়াচড়া করলেই বলবে আজ আর তোমায় কাজে যেতে হবে না আমিও অফিস থেকে ছুটি নিয়ে নি চলো। তারপর চন্দ্রা একবার উঠিয়ে দিতেই অফিস যাওযার জন্যে তাড়াহুড়ো করবে।

চন্দ্রা এবার ঘড়ির দিকে তাকালো। আজ তাকে সিনথিয়ার সাথে আবার দেখা করতে হবে। বিয়ের চক্করে সে দুইদিন দেখা করবে করবে করেও করা হয়নি। আজ যে করেই হোক তাকে সময় মতো পৌঁছতেই হবে। চন্দ্রা এবার সিয়ামকে হালকা ধাক্কা মারে বললো “এই যে শুনছেন..? কটা বাজে দেখুন। নয় নিজে উঠুন নয় আমায় ছাড়ুন।” বলেই চন্দ্রা ওঠার জন্য নড়াচড়া করতে লাগলো। এইরকম বলিষ্ঠ একজন মানুষকে সরানো নেহাতই তার পক্ষে বেশ কষ্টকর তারপর শরীরে তার ব্যাথা করছে।
সিয়াম ছারলো না ঘুমের ঘরেই চন্দ্রার ঘাড়ে নাক ঘষতে ঘষতে বললো “আজ আর তোমায় কাজে যেতে হবে না বুঝলে আমিও অফিস থেকে ছুটি নিয়ে নি চলো।” চন্দ্রা শ্বাস ছাড়লো সে এই কথাটারই অপেক্ষা করছিল।

চন্দ্রা এবার জোড়াজুড়ি করতে সিয়াম বিরক্ত হয়ে বললো “সবার চিন্তা মাথায় নিয়ে মাথা গরম করে ফেলো। এর একফোঁটাও যদি আমার ভালোলাগার চিন্তা করতে এইরকম জোড়াজুড়ি করতে না।”
চন্দ্রা হাঁপ ছাড়লো সিয়াম এরম ইমোশনাল অনেক কিছুই রোজ বলে। কিন্তু তার সমস্যাটা হচ্ছে সে সব জেনেও এই কথার পিঠে কোনো কথা খুঁজে পায় না। অগত্যা চুপচাপ কিছুক্ষণ থাকতেই হয় তার কাছে।
চন্দ্রা এবার সিয়ামের চুলগুলো তার আঙুল দিয়ে আঁচড়াতে আঁচড়াতে বললো “আজ না সিয়াম, আজ সত্যিই অনেক কাজ। সিনথিয়ার কাছে সময় মতো পৌঁছোতে হবে। সামনেই ওর জন্মদিন আসছে। সেই দিনটাকেই কাজে লাগাতে হবে আমায়।”
সিয়াম এবার পুরোপুরি চোখ খুললো। চন্দ্রার কানের পাশে চুমু খেয়ে বললো “যাই করো সাবধানে। তোমার ক্ষতি করে আমি এই সম্পত্তির কানাকড়িও চাই না। তাতে সম্পত্তি হাত ছাড়া হবে হোক। তোমায় ফাইলটা আনার কথা বলা কারন সেখানে মনির আরো কুকীর্তির প্রমাণ আছে। ”

চন্দ্রা এবার বললো “আপনি চিন্তা করবেন না আমি নিজেকে সামলাতে পারি। আর বিষয় টা সম্পত্তি পাওয়ার নয়। সেটা আমার শশুর শাশুড়ীর রক্ত জল করা পরিশ্রমের ফল। আমি সেটা কিছুতেই ভুল মানুষদের হাতে তুলে দিতে পারি না। এই বাড়ির বউ হিসেবে আমারও কিছু দায়িত্ত্ব আছে।”

সিয়াম অপলক তাকিয়ে রইলো। মেয়েটা মাঝে মাঝে বাচ্চামি করে বসে কিছু কিছু যায়গায়। আবার কিছু যায়গায় বড়দের থেকেও বুদ্ধিমানের কাজ করে ফেলে।
সিয়াম কিছু বললো না চন্দ্রার মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট ডোবালো।
.
.
ব্রেকফাস্ট টেবিলটা আজ ভোরে আছে। মেহমানরা সবাই সকালের নাস্তা করেই বেড়িয়ে যাবে। তারপর বাড়িটা আবার শূন্যতায় ডুবে যাবে। এখন তো সিয়াও থাকবেনা। চন্দ্রার এসব ভাবনার মাঝেই সিরাজ এসে বসলো টেবিলে। চন্দ্রা মুখ ফিরিয়ে সেরভেন্টের হতে খাবার ধরিয়ে দিল। সিরাজ দেখেও কিছু বললো না। সবাই টেবিল ছাড়তে সিয়াম সিরাজকে জিজ্ঞেস করলো “সিরাজ কাল কি তুই আমার চেক বুক থেকে টাকা নিয়েছিস..?”
সিরাজ এবার একটু থেমে বললো “হ্যাঁ ভাইয়া একটু দরকার ছিলো কাল। তুমি আমার স্যালারি থেকে কেটে নিও। আমি এখন রোজ অফিস যাব।”
কথা গুলো চন্দ্রার কর্নগচোর হতেই তার রাগে ঘৃণায় গা রি রি করে উঠলো।
সিয়াম হেসে বললো “তার দরকার নেই। তুই শুধু মন দিয়ে কাজ কর।”
সিরাজ শুধু ঘাড় নাড়ালো।

সিয়াম বেরোনোর সময় চন্দ্রাকে অন্যমনস্ক দেখে হাতের উপর হাত রাখলো। চন্দ্রা চমকে সে দিকে তাকালে সিয়াম বললো “রিলাক্স আমি।”
চন্দ্রা হাসি মুখ করে বললো “বেরোবেন না সময় তো হয়ে এলো।”
তারপর হাতের মাঝে কিছু অনুভব করে তুলে দেখলো একটা ওষুধের পাতা। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে সিয়ামের দিকে তাকালে সে চন্দ্রার এক হাত টেনে হাতের পিঠে চুমু খেয়ে বললো “পেইনকিলার খাবার শেষে খেয়ে নিও।”
চন্দ্রা হাসলো মানুষটাকি একটু বেশি খেয়াল তাখে তার..?

__________________________________

চন্দ্রা দাঁড়িয়ে আছে রোডের পাশে। আজ রোদটা একটু বেশিই তেজ দিচ্ছে।এখন বেলা গড়িয়ে দুপুরে থেকে কিছুক্ষণ পরই বিকেল হবে, কিন্তু তাপ কমার নামই নেই।

সে বারবার তার সালোয়ার কামিজের ওরনা দিয়ে ঘাম মুছছে। সে খবর পেয়েছে সিনথিয়া এই সময় কলেজ থেকে বাড়ি ফেরে এই রাস্তায়। চন্দ্রার এদিকে কোনো কাজ ছিলো না সে শুধু সিনথিয়ার জন্যই এসেছে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই সে দেখলো সিনথিয়া গাড়ি নিয়ে এদিকেই আসছে। আজ তার সাথে ড্রাইভার নেই। চন্দ্রা তাকে দেখে গাড়ি খোঁজার ভান করলো।
কয়েক সেকেন্ড পরই সিনথিয়া গাড়ির কাঁচ নামিয়ে চন্দ্রাকে ডাকলো ” হেই আপু..?তুমি এখানে..?”

চন্দ্রা হালকা হেসে বললো “আসলে কাজে এসেছিলাম কিন্তু দেখো না কোনো গাড়ি পাচ্ছি না বাড়ি যাওযার।” বলেই এদিক ওদিক তাকালো।

সিনথিয়া এবার খুশি হয়ে বললো “আরে আপু তুমি আমার গাড়িতে উঠে এসো আমি পৌঁছে দিচ্ছি।”

চন্দ্রা বললো “না না তোমার অসুবিধা হবে সিনথিয়া।”

সিনথিয়া এবার গাড়ির ডোর লক খুলতে খুলতে বললো “সাহায্য করতে আবার কিসের অসুবিধা। আগের দিন তুমি আমার হেল্প করলে সেই হিসেবে কি আমি তোমায় আজ হেল্প করতে পারি না..? তুমি না আগের দিন আমায় তোমার বোনের মতো বললে..?”

চন্দ্রা মিষ্টি করে হেসে বললো “আচ্ছা আচ্ছা তাই চলো।”
বলে গাড়ির ভিতর বসে পড়লো।

কিছুক্ষণের মধ্যেই চন্দ্রা বেশ বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেললো সিনথিয়ার সাথে। তার নিজেরও বেশ ভালো লাগছে।
সিনথিয়া চন্দ্রাকে নামানোর সময় তার ফোন নম্বর নিল। চন্দ্রা ভেবেছিল সিনথিয়া তাকে তার বার্থডে তে ইনভাইট করবে কিন্তু সেরাম কিছুই বলেনি সে। এতে চন্দ্রা চিন্তিত এই দিন না হলে অন্যদিন বের করতে হবে তাকে।

চন্দ্রা গাড়ি থেকে নেমে সিনথিয়াকে টাটা বলে বাস স্ট্যান্ডের কাছে গেলো বাড়ি ফেরার বাস ধরতে।

#চলবে..?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে