গল্পঃ #বেড়াজাল
লেখিকা: #চন্দ্রাবতী
পর্ব – #১৪
পার্কে ঘোরার পর্ব শেষ করে সবাই এলো রেস্টুরেন্টে। যে যার পছন্দ মত অর্ডার দিলেও সিয়া ভীষণ ভাবনায় পড়লো তার এখন চিজ পাস্তা, প্যানকেক এইসব খেতে ইচ্ছে করছে কিন্তু এখানে এখন দুটোর মধ্যে কোনোটাই এভেলেবেল নেই। সিয়া মেনু কার্ডটা জোরে রেখে বললো “ধুর! ঢপের রেস্টুরেন্ট কিছুই পাওয়া যায় না।আমি খাবো না” সিরাজ শুনে বললো “আসলে কি বলতো ওরা জানতো না তোর মত মহারানী আসবে এই রেস্টুরেন্টে নইলে দেশ বিদেশ থেকে আগেই সব খাবার অর্ডার দিয়ে রাখতো।” সিয়া এবার রেগে সিরাজকে এক মেরে বললো “আবার তুই আগের মত আমার পিছনে লাগা শুরু করেছিস। আর কি এমন খেতে চেয়েছি এগুলো তো বেসিক জিনিস।” সিরাজ টোন কেটে বললো “খালি এটা সেটা খাবো এক প্লেট বিরিয়ানিও তো শেষ করতে পারিস না ঠিক করে। এতো বড়ো বড়ো কথা আসে কথা দিয়ে তোর..? যা আছে চুপচাপ খেয়ে নে। নইলে ঘরে গিয়ে একা একা আলু সিদ্ধ ভাত করে খাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।” সিয়া চেঁচিয়ে উঠলো ” ভাইয়াআআআ ” বলে। সবাই তাদের ঝগড়া দেখে মিটিমিটি হাসতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। চন্দ্রা বেশ অবাক হলো সিরাজের এই রূপ দেখে। তার সাথে রিলেশনে থাকাকালীন সিরাজ এতো মজা করে কথা বলতো সবার সাথে, এইভাবে তারও পিছনে লাগতো মাঝে মাঝে। কিন্তু তার বিয়ে হয়ে আসার পর থেকেই সে সিরাজকে অন্যরূপেই দেখেছে।
অগত্যা সিয়াকেও সবার সাথে অন্য কিছু অর্ডার দিতে হলো। সবার খাওয়া শেষ হতে ইন্দ্রা চন্দ্রাকে জিজ্ঞেস করল “চন্দ্রা আজ আমার সাথে কি বাড়ি যাবি নাকি এখান থেকে সোজা শশুরবারী যাবি..?” চন্দ্রা এবার আমতা আমতা করে বলল “আসলে দিভাই কাল সকালে ওনার অফিস আছে রে। আমি না থাকলে ভীষণ অসুবিধা হবে ওনার আমি অন্য একদিন যাবো আবার।” ইন্দ্রা বুঝলো তার বোনটা আসতে আসতে দায়িত্ব নিতে শিখছে, সংসারী হচ্ছে দিন দিন, তাই সেও আর কথা বাড়ালো না।
সিয়াম মনে মনে বেশ খুশি হলো চন্দ্রাকে তার কথা ভাবতে দেখে। সেও বুঝতে পারছে চন্দ্রা তার #বেড়াজালে একটু একটু করে জড়িয়ে পড়ছে।
সিয়াম বললো “তাহলে ইন্দ্রা তুমিও আমাদের সাথে আমাদের বাড়ি চলো। কিছুদিন কাটিয়ে আসবে চন্দ্রাও সারাদিন একাই থাকে বাড়িতে।” ইন্দ্রা প্রথমে না না করলেও চন্দ্রা ও সিয়া জোর করে নিয়ে গেলো ইন্দ্রাকে তাদের সাথে।
বাড়ি পৌঁছে যে যার রুমে চলে গেল। চন্দ্রা গিয়ে ইন্দ্রার জন্য গেষ্ট রুমটা খুলে দিল। তারপর নিজে রুমে এসে দেখলো সিয়াম কিছু কাগজপত্র নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে। চন্দ্রা আর সে দিকে না দেখে নিজে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে বসলো সিয়ামের পাশে। শুতে যাওযার প্রস্তুতি নিতেই সিয়াম ডেকে উঠলো “চন্দ্র..?” চন্দ্রা বালিশ ঠিক করতে করতে বললো “হুম বলুন”। সিয়াম চন্দ্রাকে উদ্দেশ্য করে বলল “আচ্ছা তোমারও তো কিছু স্বপ্ন আছে জীবন নিয়ে তুমি তো আমায় তেমন কিছুই বলো না। তাই আমি নিজ দায়িত্বেই খোঁজ খবর নিয়ে নিয়েছি।” চন্দ্রা অবাক হয়ে ভ্রূ কুচকে বললো “তাই.. ? তা কি খোঁজ নিলেনশুনি..?” সিয়াম বললো “আর শুনতে হবে না ম্যাডাম। কাল থেকেই তুমি ক্যারাটে স্কুলে গিয়ে সব ঠিকঠাক করে আসবে আবার আগের মত ক্লাস শুরু করবে। আর কাগজপত্র গুলো ঠিক রেখো আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি ওই স্কুলের বাচ্চাদের জন্য ডোনেশন দেবো যাতে বাচ্চাগুলোর আর তেমন আর্থিক অসুবিধা না হয়।” চন্দ্রা এবার যেনো কথা বলা ভুলে গেলো। হতভম্ব হয়ে সিয়ামের দিকে তাকিয়ে বললো ” সত্যি…? আপনি সত্যিই বলছেন..? আমি আবার ক্যারাটে স্কুলে জয়েন করব..? আমার বিশ্বাস হচ্ছে না আপনি আমার হাতে চিমটি কেটে বলুন দেখি।” বলেই চন্দ্রা নিজের বাঁ হাতটা বাড়িয়ে দিলো। সিয়াম হেসে চিমটি দেওয়ার বদলে চন্দ্রার হাতের উল্টো পিঠে একটা চুম্বন করলো। চন্দ্রা কেঁপে উঠল এবার। ফট করে হাত সরিয়ে নিতে গেলে সিয়াম হাতটা ধরে টেনে নিজের কিছুটা কাছে নিয়ে আসলো। চন্দ্রার থেকে এইমুহুর্তে সিয়ামের দূরত্ব দুই- তিন ইঞ্চি। টেবিল ল্যাম্পের আলোয় চন্দ্রারকে বেশ মোহনীয় লাগছে। দুজনের মুখেই কথা নেই অপলক তাকিয়ে আছে দুজনার দিকে। সিয়াম মুখটা আরেকটু এগিয়ে আনতেই চন্দ্রা চোখ বন্ধ করে নিলো। কিছুক্ষন বাদ কপালে কারোর ঠোঁটের স্পর্শ পেলো। সিয়াম চন্দ্রার কপালে হালকা ঠোঁট ঠেকিয়ে বললো “তিন সত্যি আমার চন্দ্রাবতী”
আমার চন্দ্রাবতী কথাটা চন্দ্রার কানে বারবার বাড়ি খেলো। এখন তার আবার আগের মত অনুভুতি হচ্ছে। তার খালি মনে হচ্ছে সিয়ামের এই কটা কটা চোখ সে আগেও কোথাও দেখেছে,কিন্তু কবে কথায় সে চেয়েও মনে করতে পারছে না। সে সিয়ামকে ছেড়ে উল্টো ফিরে শুয়ে পড়লো। সিয়াম বোধহয় কিছুটা টের পেলো তাই সেও আর কোনো কথা না বলে শুয়ে পড়লো টেবিল ল্যাম্পটা নিভিয়ে।
সকালে উঠে চন্দ্রা দেখলো সিয়াম তার অনেকটা কাছে শুয়ে। সিয়ামের একহাত তার পেটের উপর মুখটা কিছুটা চন্দ্রার ঘাড়ের কাছে, চন্দ্রা এবার ঘাড় উচিয়ে দেখলো সিয়াম সিয়ামের জায়গাতেই আছে সে নিজেই নিজের জায়গা ছেড়ে সিয়ামের জায়গায় এসে শুয়ে আছে। চন্দ্রা এবার হাজারবার দোয়া করলো যাতে সিয়ামের ঘুমটা না ভেঙ্গে যায়, সে আস্তে আস্তে সিয়ামের হাতটা পেটের উপর দিয়ে সরাতে গেলে সিয়াম কিছুটা নড়েচড়ে উঠে চন্দ্রাকে আরেকটু নিজের দিকে টেনে নিল। তার দরুণ সিয়ামের নিশ্বাস পুরোপুরি এখন চন্দ্রার ঘাড়ে পড়ছে। চন্দ্রার এবার শ্বাস আটকে এলো। বিয়ের পর বোধহয় এই প্রথম সিয়াম তার এতটা ঘনিষ্ট হলো। চন্দ্রা আবার চেষ্টা করলো নিজেকে ছাড়ানোর শেষে নিজেকে ছাড়তে পেরে এক বিজয়ের হাসি হাসলো সে। ধীরে ধীরে বিছানা থেকে নেমে সিয়ামের দিকে তাকালো সিয়াম বেঘোরে ঘুমাচ্ছে দেখে চন্দ্রা একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। চন্দ্রা রুম থেকে বেরোতেই সিয়াম চোখ বুজেই মুচকি হেসে একটা বলিশ জড়িয়ে শুয়ে পড়লো।
_____________________________
চন্দ্রা রান্নাঘরে যেতেই দেখলো ইন্দ্রা সকাল সকাল উঠেই সব নাস্তা রেডি করে ফেলেছে এখন সব টেবিলে রাখবে বলে গোছাচ্ছে। চন্দ্রা অবাক হয়ে বললো “দিভাই তুই এসব কেনো করতে গেলি..? আর সাথী খালা কই এতক্ষণে তো ওনার সব রান্না কমপ্লিট হয়ে যায়।” ইন্দ্রা বললো “আমার তো জানিস সকালে একটু হাটাহাটির অভ্যাস আছে, তাই বাগানের দিকে যেতেই মালি চাচা বললো আজ নাকি খালা আসবেন না বলেছেন যেনো তোদের বলে দি। তারপর আমার হটাৎ করেই মনে পড়লো আমার বোনটা তো অকর্মার ঢেঁকি রান্নার ‘ র ‘ ও পারে না তাই আমিই করে দিলাম।”
চন্দ্রা গাল ফুলিয়ে বলে উঠলো “দিভাই ওমনি করে বলবি না। তুই নিজেই আমায় করতে দিতি না কিছু ঘরে। ”
ইন্দ্রা বলল ” আচ্ছা বাবা হয়েছে সব দোষ আমার। আর নিজের ঘরে হলে কি করতাম না বড় দিদি হয়ে যদি হেল্পই না করতে পারলাম তাহলে আর কিসের দিদি বল..?”
চন্দ্রা এবার ইন্দ্রাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললো ” দিভাই এই দিভাইইইই” ইন্দ্রা ভ্রু কুঁচকে বললো হ্যাঁ কি আবদার আছে করে ফেলুন। চন্দ্রা মুচকি হাসলো সে ছোটো থেকেই কোনো আবদার করতে চাইলে দিকে এভাবেই এসে জড়িয়ে ধরে থাকতো।
চন্দ্রা ওভাবে জড়িয়ে ধরেই বললো “আমায় কিছু রান্না শিখিয়ে দিবি রে..? না মানে এইরাম যদি মাঝে মাঝে দরকার পরে তাই আর কি।”
ইন্দ্রা এবার ঘুরে চন্দ্রার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বললো “কি বলিস রে তুই শিখবি রান্না..? এইসবও আমায় শুনতে হচ্ছে..?”
চন্দ্রা মুখ বেঁকিয়ে বলল “কেনো শিখতে পারি না নাকি বড়ো হয়েছি এবার একটু আধটু রান্না না জানলে হয়..?
ইন্দ্রা এবার টোন কেটে কেটে বললো “বেশ বেশ বুঝলাম। তো কারণ কি শুধু তাই..?নাকি বরমশাইকে নিজের হাতে করে কিছু খাওয়াতে পারো না বলে কষ্ট হচ্ছে..?”
চন্দ্রা এবার একটু মিথ্যে রাগ দেখিয়ে বলল “ধুর ওসব কিছুই না। তুই কি শিখাবি না শেখাবি না সেটা বল শুধু।”
ইন্দ্রা বললো ” আরে সকাল সকাল এতো মাথা গরম করছিস কেনো..? ওমা শাওয়ারও তো দেখি নিসনি ও এবার বুঝেছি সকাল সকাল কেনো মেজাজ চড়ে আছে।” চন্দ্রা এবার জোরে চেঁচিয়ে কানে হাত দিয়ে বললো ” ছি দিভাই ছি! লজ্জা করছে না তোর এসব বলতে বোন হই তোর। দিন দিন চরম অসভ্য হয়ে যাচ্ছিস তুই”
ইন্দ্রা জোরে হেসে দিয়ে বললো “বোন হস বলেই না বলছি অন্যকেউ হলে থরিই এইরকম মজা করতাম..?”
চন্দ্রা মুখ বেকিয়ে ইন্দ্রাকে সাহায্য করতে লাগলো কাজে।
_____________________________
ইন্দ্রা কফি নিয়ে সিয়াকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে গেলো। উপরতলায় গিয়ে সে পড়লো মহামুশকিলে সে তো জানেই না কোনটা কার ঘর। শুধু শুনেছিল সুইটি বেগমের ঘরটা কোনের দিকে। তাই সেদিকে না গিয়ে হাতের সামনের দরজাটা নক করতে গিয়ে দেখলো দরজা টা নিজে থেকেই কিছুটা খুলে গেলো। ইন্দ্রা এবার ভিতরে দেখতেই দেখতে পেলো সিরাজ পুশ আপ করছে। সিরাজ দরজায় কারোর আওয়াজ পেয়ে ঘুরে দেখল ইন্দ্রা কফি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। সিরাজ তাকাতেই ইন্দ্র ঘাবড়ে গিয়ে বললো “সরি সরি আমি ওই আমি মানে আমি ওই কফি..” সিরাজ ততক্ষণে উঠে দাঁড়িয়ে বললো ” আপনি এত ভয় পান কেনো সবেতে বলুন তো..? আমি বাঘ না ভাল্লুক যে আপনাকে খেয়ে ফেলবো..?” ইন্দ্রা ইতস্তত করে বললো “না আসলে আমি না বুঝেই এসেছি সিয়ার রুম ভেবে। কিছু মনে করবেন না। সিয়ার রুমটা কোনটা একটু বলতে পারবেন।” সিরাজ বললো ” আমার পাশের রুমটাই ওর। কিন্তু আজ তো ওকে পাবেন না অনেক সকালে বেড়িয়ে গেছে সে, বললো কিসব দরকার আছে অফিসে।” ইন্দ্রা ঘাড় নাড়িয়ে রুম থেকে বেরোতে গেলেই সিরাজ পিছন থেকে ডাকলো ” শুনুন ”
ইন্দ্রা পিছন ঘুরতেই সিরাজ এসে ইন্দ্রার হাত থেকে কফিটা নিয়ে এক চুমুক দিয়ে বললো “এনেছেন যখন ফেরত কেনো নিয়ে যাচ্ছেন..?আমাকে কি আপনার চোখে পড়ে না..?” তারপর কফিতে চুমুক দিয়ে বললো”উম কফিটা তো বেশ সুন্দর হয়েছে আপনি বানিয়েছেন..?”
ইন্দ্রা বললো ” ধন্যবাদ, হ্যাঁ আমিই বানিয়েছ। আসলে জানতাম না আপনি কফি খান নইলে আপনার জন্যও নিয়ে আসতাম।”
সিরাজ বললো “সরি বলার দরকার নেই এবার নিজের বিপদ নিজেই ডেকেছেন আপনি। আমি কিন্তু মাঝে মাঝেই আপনার কাছে এইরকম কফি খেতে চাইবো।”
ইন্দ্রা হালকা হেসে মাথা নাড়িয়ে বললো “আমার অসুবিধা নেই।”
_______________________________
দুপুর ১২ টা
সিয়া প্রত্যেকবারের মত আজও এসে দাঁড়িয়ে আছে কফি হাউসের সামনে। বার বার রাস্তার দিকে তাকাচ্ছে টেনশনে।তাকে একটু আগেই আতিফ ফোন দিয়ে বেশ সিরিয়াস ভাবে বলেছে খুব ইম্পর্ট্যান্ট কথা আছে সিয়ার সাথে কিন্তু সে দেখা করে বলতে চায়। সিয়ার ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে সেই কথা ভেবেই। কি এমন কথা যার জন্য আতিফ তাকে এতো জরুরিভাবে ডাক পাঠালো।
এসব আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতেই সামনে তাকিয়ে দেখলো আতিফ দৌড়ে দৌড়ে আসছে। সে এসেই সিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে হাঁটুতে ভর দিয়ে হাঁপাতে লাগলো। সিয়া কিছু জিজ্ঞেস করতেই আতিফ বললো “বলছি বলছি আগে চো কফিশপের ভিতরে গিয়ে বসি।” বলে দুজন ভিতরে গিয়ে বসলো।
সিয়া এবার বিরক্ত হয়ে বললো ” এইরকম গাধার মত বসে না থেকে এবার বলবি কি হয়েছে…?পাক্কা পাঁচ মিনিট ধরে এরম চুপচাপ বসে আছিস। আমার এবার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে প্লিজ বল না।
আতিফ এবার সিয়ার হাতটা নিজের হতে নিলো। সিয়ার জানো টেনশন বেড়েই যাচ্ছে। আতিফ এবার মুখ তুলে বললো “আমি চাকরিটা পেয়ে গেছিরে সিয়া।” সিয়া এবার যেনো অবাক হতেও ভুলে গেলো। সিয়াকে এইরম অবাক হতে দেখে আতিফ সিয়ার এক গালে হাত রেখে বলল “শুনছিস তুই সিয়া চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি।” সিয়া এবার কেঁদে ফেলল। আতিফ জানে সিয়া নিজেও কতটা কষ্ট পেত তার কষ্ট দেখে। সে চেয়ারটা একটু সিয়ার কাছে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে বসে সিয়াকে জড়িয়ে ধরলো বুকে তারও চোখ দিয়ে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো। আজ আর কেউ কাউকে কাঁদতে বারণ করলো না। কারন এটা যে খুশির অশ্রু।
#চলবে..?