বিষাক্তফুলের আসক্তি পর্ব-৩৩(শেষ পর্ব)

0
1560

#বিষাক্তফুলের আসক্তি
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
অন্তিম পর্ব

ধ্রুব ডায়েরি বন্ধ করে শব্দ করে কাঁদতে লাগলো, আমাকে মাফ করে দাও মা। আমি তোমাকে কত কষ্ট দিয়েছি, আ’ম সরি। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি মা, অনেক ভালোবাসি। বাবাও তোমাকে অনেক ভালোবাসে, সে তোমাকে ঘৃণা করে না। আমি তাকে কাঁদতে দেখেছি তোমার ছবি বুকে জড়িয়ে। তোমার কথা উঠলেই বাবার চোখ দু’টো কেমন টলটল করে উঠে। আমরা সবাই তোমাকে খুব ভালোবাসি।

একটু দূরে দাঁড়িয়ে তাজ তাকিয়ে আছে নিজের ছেলের দিকে। নাহ ছেলের কান্না আর সহ্য করা সম্ভব নয় তার জন্য। ধীরপায়ে এগিয়ে গেলো ছেলের দিকে। পাশে বসে ধ্রুবর কাঁধে হাত রাখলো। ধ্রুব ভেজা চোখে ঘুরে তাকালো তাজের দিকে। তাজ কিছু বুঝে উঠার আগেই ধ্রুব তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।

তাজ ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বললো, ছেলেদের এভাবে কাঁদতে হয় না বাবা।

ধ্রুব কান্নারত গলায় বললো, তাহলে তোমার চোখে পানি কেনো ?

এবার উত্তর খোঁজে পেলো না তাজ। ধ্রুব ভাঙা গলায় বললো ডায়েরিতে লেখা কথাগুলো। কতটা কষ্ট করে ধ্রুবকে জন্ম দিয়েছে, তাজের সাথে কেনো অন্যায় করেছে। তাজ বুঝতে পারলো তিতির তার বিরুদ্ধে কিছু বলেনি ধ্রুবকে। ধ্রুব একসময় কিছুটা শান্ত হলো।

মা আমাদের সাথে থাকলে আমাদেরও সুন্দর একটা পরিবার হতো, তাই না বাবা ?

তাজ মুচকি হেসে বললো, আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।

ধ্রুব ধরা গলায় বললো, মা চলে যাওয়াতে কী ভালো হয়েছে বাবা ?

ধ্রুব তাজকে ছেড়ে সোজা হয়ে বসে তার দিকে তাকালো।

তোমার মা বেঁচে থাকলে আমি হয়তো কোনোদিন তার মূল্য বুঝতাম না। আর সবচেয়ে বড় কথা তোমার মায়ের হায়াত আল্লাহ যতদিন রেখেছিলেন সে ততদিন ছিলো এই পৃথিবীতে। তাই সে চলে যাওয়ায় কী ভালো হয়েছে বা খারাপ হয়েছে সেটা হিসাব করা বোকামি। ধ্রুব এই পৃথিবীটা আমাদের কাছে একটা ভ্রমণ ক্ষেত্রের মতো। এখানে আসবো আবার চলে যাবো এটাই নিয়তি। তবে জীবনটা এমনভাবে কাটাও যাতে পরকালটা সুন্দর হয়। তোমার মায়ের সাথে আমাদের আবার দেখা হবে, সেখানে আর তোমার মা আমাদের ছেড়ে কোথাও যাবে না। আমরা সবাই একসাথে থাকবো সেখানে।

ধ্রুব মলিন হাসলো, তোমার মনে পড়ে না মায়ের কথা ?

তাজ ছেলের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো, মনে তাকে পড়ে যাকে মানুষ ভুলে। তোমার মা সবসময় আমার মনেই থাকে তাই তাকে নতুন করে মনে পড়ার সুযোগ তো নেই।

বাবা, মা তোমার সাথে অনেক অন্যায় করেছে তাই না বাবা ?

তাজ দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে মনে মনে বললো, তোমার মা আমার সাথে যা অন্যায় করেছে সেটা সবাই জানে। তবে তোমার মায়ের সাথেও আমি অন্যায় করেছি, সেটা তোমার মা আমার আর তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে। এ জন্য তার প্রতি আমি যেমন সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো, তেমনই তার কাছে মাফ চাওয়ার সুযোগ না পাওয়ার আফসোসও আমার সারাজীবন থাকবে। সে তার অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্ত করেছে, সবার কাছে ক্ষমাও চেয়েছে। আমি সেই সুযোগ পাইনি, এটাই হয়তো আমার অন্যায়ের শাস্তি। অন্যের কাছে অপরাধী হওয়ার চাইতে নিজের কাছে অপরাধী হওয়া যে বেশি যন্ত্রণাদায়ক।

ধ্রুব হঠাৎ বলে উঠলো, প্লিজ বাবা, তুমি মাকে ঘৃণা করো না। মা নিজের ইচ্ছায় তোমাকে কষ্ট দেয়নি।

তাজ ধ্রুবকে হুট করে জড়িয়ে ধরলো, তোমার মাকে আমি ভালোবাসি ধ্রুব। তাকে আমি ভালোবাসি, ঘৃণা কীভাবে করবো ?

৪০.
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে রাহি আর রায়হান, চারপাশে পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে। নিজের গোপন আস্তানায় রাহিকে দেখে চরম অবাক হয়েছে রায়হান।

এসবের মানে কী আম্মু ? তুমি এখানে কীভাবে এলে ?

রাহি মলিন হেসে বললো, তোমাকে আমি আর কোনো অন্যায় করতে দিবো না পাপা।

রায়হান বিস্মিত গলায় বললো, তারমানে এসব পুলিশ তুমি নিয়ে এসেছো ?

রাহি মুচকি হাসলো, দীর্ঘ একবছর চেষ্টার পর তোমার বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণ জোগাড় করেছি আমি। একটা বছর একটু একটু করে কষ্ট পেয়েছি।

রায়হান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রাহির দিকে, কিন্তু কেনো আম্মু ? আমি তো তোমার যত্নে কোনো ত্রুটি রাখিনি। তবে মেয়ে হয়ে কেনো বাবার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে ?

রাহির চোখে পানি এলে সে চিৎকার করে উঠলো, তুমি কেনো আমার থেকে আমার পরিবারকে আলাদা করেছো ?

রায়হান কম্পিত গলায় বললো, মানে ?

মলিন হাসলো রাহি, মৌমিতা রহমান আর সুফিয়ান আহমেদ শান নাম দুটো চিনতে পারছো পাপা ? কিংবা শায়িনী আহমেদ ?

বুক কেঁপে উঠলো রায়হানের, তুমি এসব কীভাবে জানলে ?

সত্যিটা তুমি কতদিন লুকিয়ে রাখতে পাপা ? একটা বছর এই সত্যিটা জেনেও চুপ থেকেছি শুধু আজকের দিনটার অপেক্ষায়।

রায়হান কাঁপা গলায় বললো, তোমাকে আমি ফিরিয়ে দিতে পারবো না আম্মু। তোমাকে ছাড়া আমি শ্বাসও নিতে পারবো না।

রাহি জানে রায়হান তাকে অসম্ভব ভালোবাসে। তাই রাহির চোখেও পানি এলো।

মনে মনে বললো, আমি তোমার কাছেই থাকবো পাপা। তবে তার আগে তোমাকে নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।

মুখে কিছু বলার আগেই হুট করে রায়হান নিজের গা*ন তাক করলো রাহির দিকে। রাহি যেনো অবাক হওয়ার সময়ও পেলো না। পরপর দুটো গুলির শব্দে কানে ঝিম ধরে গেলো। নিজের দিকে তাকিয়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন না দেখে সামনে তাকালো।

রায়হানের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠলো রাহি, পাপা।

রায়হান ধপ করে ফ্লোরে বসে পড়লো। বুকের বা পাশটায় একটা বুলেট গিয়ে লেগেছে রায়হানের। রাহি দৌড়ে গিয়ে রায়হানের সামনে বসলো। পেছন থেকে রায়হানের সাথে ডিল করতে আসা একজন রাহিকে টার্গেট করেছিলো। রাহি এখানে পুলিশ নিয়ে এসেছে সেই রাগে। রায়হান সেটা খেয়াল করে তার দিকে টার্গেট করলে পুলিশ মনে করে রাহিকে টার্গেট করেছে। রায়হানের বুলেট লোকটাকে আঘাত করেছে আর পুলিশের বুলেট রায়হানকে। রায়হান ফ্লোরে পড়ে গেলে রাহি তার মাথা নিজের কোলে নিলো।

কাঁদতে কাঁদতে বললো, পাপা এটা কী হলো ?

রায়হান কাঁপা হাতে রাহির চোখের পানি মুছে দিলো।

নোনাজল মাখা হাতটা চোখের সামনে নিয়ে মুচকি হাসলো, আমার সারাজীবনের প্রাপ্তি এটাই। পৃথিবীতে কেউ একজন তো রইলো আমার কথা ভালোবেসে মনে রাখবে। তোমার প্রতি আমার ভালোবাসায় কোনো খাদ ছিলো না আম্মু। আই লাভ ইউ আম্মু।

রাহি ডুকরে কেঁদে উঠলো, আই লাভ ইউ টু পাপা, আই লাভ ইউ টু।

রাহির চোখের কোণ বেয়ে গড়িয়ে পড়া নোনাজল মুছে দিলো মৌ। মেয়ের কপালে চুমু এঁকে দিলো। কত বছরের শূন্য বুকে নিজের কলিজার টুকরো মেয়েকে ফিরে পেয়েছে।

সেই মেয়ের চোখে পানি দেখে বিচলিত হলো মৌ, কাঁদছিস কেনো মা ?

চোখ মেলে মায়ের দিকে তাকালো রাহি, পাপার মৃত্যুর জন্য নিজেকে দায়ী মনে হয় মা।

দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো মৌ। মাস দুয়েক পার হয়েছে সেই ঘটনার, তবে ভুলতে পারেনি রাহি। রায়হানের দেওয়া রাহি নামটা নিজের নামের সাথে রেখে দিয়েছে। সবাই এখন রাহি বলেই ডাকে তাকে। রাহি আগলে রেখেছে রায়হানের স্মৃতি। রায়হান খারাপ মানুষ হলেও, খারাপ বাবা ছিলো না।

মৌ মেয়ের চোখের পানি মুছে দিলো পুনরায়, এখানে তোর কোনো হাত ছিলো না মা। নিজেকে অপরাধী মনে করে শুধু শুধু কষ্ট পাস না। নিয়তি মানুষকে কখন কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় কেউ জানে না মা।

রাহি মৌয়ের কোমর জড়িয়ে পেটে মুখ গুজে দিলো। মৌ মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। রায়হানের কথা মনে হলে মৌয়ের কেবল দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে বুক চিঁড়ে। আজ আর রায়হানের উপর রাগ নেই মৌয়ের।

★★★
ড্রয়িংরুমে বসে গল্প করছে ইরিনা আর ন্যান্সি। সিলেট এসেছে সবাই ছুটি কাটাতে। এই একটা জায়গায় সবাই একসাথে আসে সবসময়। ড্রয়িংরুমে তাদের সাথে বসে দুষ্টুমি করছে প্রান্তিক। ধ্রুবর রুম থেকে ভেসে আসছে ধ্রুবর ধমকের শব্দ। হয়তো তারাকে বকছে কিছু নিয়ে। পাখি আর আহান আছে নিজেদের রুমে। তাজ কোথায় সেটা হয়তো খেয়াল নেই কারো।

তারা তোকে বারবার বলেছিলাম আমার রুমে আসবি না। তবু তুই আমার রুমে এসে জিনিসপত্র গুছানোর নামে সব এলোমেলো করে রেখেছিস।

কাচুমাচু গলায় তারা বললো, কী খুঁজছো আমাকে বলো ? আমি খোঁজে দিচ্ছি।

রাগী চোখে তাকালো ধ্রুব, তোকে পাকনামি করতে কে বলেছে সেটা আগে বল।

উত্তর দেয় না তারা আর রাগ বাড়ে ধ্রুবর, কানে ধরে এক পা উঁচু করে দাঁড়া।

তারা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে দেখে ধ্রুব জোরে একটা ধমক দিতেই তাড়াতাড়ি এক পা উঁচু করে কানে ধরে দাঁড়ালো তারা। ধ্রুব উল্টো ঘুরে মুচকি হাসলো। মেয়েটাকে বকলে সে গাল ফুলায়, তার ফুলানো গাল দেখতে বেশ লাগে ধ্রুবর।

★★★
পুতুল দাঁড়াও না চুপচাপ। এভাবে এতো লাফালাফি করলে কী আর শাড়ি পড়ানো যায় ? নিজেই শাড়ি পড়ার বায়না ধরে এখন দুষ্টুমি হচ্ছে।

আহান শাড়ির কুঁচি করে যেই গুঁজে দিতে যাবে আবার সব এলোমেলো করে দিলো পাখি। আহান রাগী চোখে পাখির দিকে তাকালে। পাখি খিলখিলিয়ে হেসে উঠলে আহানও হেসে দিলো। এই মেয়েটার সাথে রাগ করা তার সাধ্যের বাইরে। আহান আর ভালো করে শাড়ি না পড়িয়ে কোনোরকমে পেঁচিয়ে মাথায় ঘোমটা তুলে দিলো পাখির।

পাখির মুখটা দেখে বললো, মাশাআল্লাহ।

লজ্জায় মাথা নিচু করলো পাখি। আহান শব্দ করে হেসে উঠলো পাখির লজ্জা পাওয়া দেখে। বুকে জড়িয়ে নিলো নিজের প্রিয়তমা স্ত্রীকে।

★★★
একটা গান শুনাবেন স্যার। অনেক দিন হলো আপনার গান শুনি না। মনে হচ্ছে আপনার আওয়াজও ভুলতে বসেছি।

ছাঁদে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে তাজ। চাঁদের দেখা নেই তবে অসংখ্য তারা জ্বলছে মিটমিট করে। হঠাৎ তিতিরের আওয়াজ পেয়ে পাশ ফিরে তাকালো তাজ। তিতির ধীর গতিতে এসে তাজের পাশে বসে কাঁধে মাথা রাখলো।

তাজ দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বললো, তুমি যেমন আমার আওয়াজ ভুলতে বসেছো তেমনই আমিও গান গাইতে ভুলে গেছি।

তিতির আদর মাখা গলায় বললো, প্লিজ।

তিতিরের আদর মাখা গলা উপেক্ষা করতে পারলো না তাজ।

জানি তুমি আসবেনা ফিরে
বাসবেনা ভালো আমাকে
জানি তুমি ভেঙেছ হৃদয়
সেই আশাতে দুঃখ যে পেলাম।।

এ হৃদয়ের এতো কাছে
ছিলে তুমি মনে কি পরে?

এ হৃদয়ের এতো কাছে
ছিলে তুমি মনে কি পরে?
মনে কি পরে?

জানি তুমি আসবেনা ফিরে
বাসবেনা ভালো আমাকে
জানি তুমি ভেঙেছ হৃদয়
সেই আশাতে দুঃখ যে পেলাম।।

এ হৃদয়ের এতো কাছে
ছিলে তুমি মনে কি পরে?

এ হৃদয়ের এতো কাছে
ছিলে তুমি মনে কি পরে?
মনে কি পরে?

কত আপন তুমি ছিলে
কেনো আমাকে কাঁদালে?
জানিনা কি অভিমানে
কেনো চলে গেলে?

কত আপন তুমি ছিলে
কেনো আমাকে কাঁদালে?
জানিনা কি অভিমানে
কেনো চলে গেলে?

এ হৃদয়ের এতো কাছে
ছিলে তুমি মনে কি পরে?

এ হৃদয়ের এতো কাছে
ছিলে তুমি মনে কি পরে?
মনে কি পরে?

জানি তুমি আসবেনা ফিরে
বাসবেনা ভালো আমাকে
জানি তুমি ভেঙেছ হৃদয়
সেই আশাতে দুঃখ যে পেলাম।।

এ হৃদয়ের এতো কাছে
ছিলে তুমি মনে কি পরে?

এ হৃদয়ের এতো কাছে
ছিলে তুমি মনে কি পরে?
মনে কি পরে?

গান শেষ করে পাশে তাকালো তাজ, কোথায় তিতির ? তাজ আকাশের উজ্জ্বল তারাটার দিকে তাকালো। আছে তো তিতির, তাজের নিশ্বাসের সাথে মিশে আছে, প্রতিটা হার্টবিটের সাথে মিশে আছে। তাজের গাল বেয়ে একফোঁটা নোনাজল গড়িয়ে যেতেই হাতে পেতে সেটা নিজের হাতে নিলো তিতির।

ছেলেদের চোখের পানি মুক্তার থেকেও মূল্যবান। এটাকে এভাবে নষ্ট করবেন না। আপনি যতদিন চাইবেন, আমি এভাবেই আপনার পাশে থাকবো। হোক না কল্পনা হয়ে।

তাজ মুচকি হেসে তিতিরের কোলে মাথা রেখে শুইয়ে পড়লো। তিতির হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো তাজের মাথায়। অদ্ভুত সুন্দর লাগছে তাজকে, চোখের কোণে নোনাজল আর ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি।

তিতির ফিসফিস করে বললো, ক্রাশড এগেইন।

তাজের হাসিটা প্রশস্ত হলো যেনো। কল্পনার এই তিতির কখনো তাকে ভালোবাসি বলেনি আর সেও বলেনি তিতিরকে। তাদের ভালোবাসা এই অব্যক্ত। তবে দুজনেই দুজনের প্রতি আসক্ত। বিষাক্তফুলের আসক্তি কারো জন্য সুখ বয়ে আনতে পারে কী ?

“বিষে যে খোঁজে সুখ
বিষ তো তাকে দেবেই আজন্ম দুখ।”

★★ সমাপ্ত ★★

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে