♥ বিধবা ♠
Writer : Nabila Ishq
Part : 1
ঘড়িতে রাত ৩ টা বাজতে চলল। রুমের এক কোনায় বসে আছে ইছমি। কান্না তার ছোটোবেলার সংগি। আজ ও সে কান্নার মাধ্যমে নিজেকে সামলানোর মিথ্যে চেস্টা করে যাচ্ছে। কিছুক্ষন পর উঠে রুমের লাইট অন করে পাশের রুম এ দেখতে গেলো মা_বাবা [ শশুর-শাশুরি ] ঘুমিয়েছে কিনা। গিয়ে দেখলো বাবা চশমা খুঝছে।
—: কিছু লাগবে বাবা?
—: আসোলে গলাটা শুখিয়ে যাচ্ছে।
তা তুই এখনো জেগে আছিস কেনো মা। শরীর ঠিক আছে তো।
—: জি বাবা আমি ঠাকাছি।
[ এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিয়ে ] বাবা খেয়ে নাও।
—: যা ঘুমিয়ে পর।
ইছমি বাবার রুমের লাইট ওফ করে নিজের রুমে চলে আসে। এসে লাইট ওফ করে বেলকোনিতে দাঁড়িয়ে চোখের কোনে পানি একে ভাবতে থাকে ১ মাস আগের ঘটোনা।
ছোটোবেলা থেকে একা বড় হয়েছে ইছমি। মা_বাবা সাত বছরে রেখে মাড়া যান।
মামা_মামি একমাত্র গারডিয়ান ছিলেন। মামা যথেস্ট আদর করতেন বা এখনো করেন। কিন্তু মামি ততোটা ভালো পান না ইছমিকে।
ইছমি তার মায়ের মতো যথেস্ট সুন্দরী এবং নম্র শভাব এর। তাই বিয়ের প্রস্তাব ১৬ বয়স থেকেই আসতো। মামা ইছমিকে বিয়ে দিতে চায় না। কিন্তু ইছমির মামি বিয়ে দেওয়ার জন্য বেকুল হয়ে পড়েছে।
মাত্র ১৮ বয়সে পা রেখেছিলো ইছমি।2nd ইয়ার এ উঠবে ভেবেছিলো অনেক দুর পড়বে বলে। কিন্তু মামা পড়াতে চাইলেও মামি মানা করতেন তাও মামা ইছমিকে লুকিয়ে টাকা দিয়ে পড়াশুনা করাতেন।
মামির জড়াজুড়িতে ভালো বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে ইছমির বিয়ে দিয়ে দেন ১৮ বয়স এ।
এমনি কপাল ছিলো ইছমির যে বিয়ের দিন রাত্রেই বাসর ঘড়ে বসা অবস্থায় জানতে পারে তার বর গাড়ি এক্সিডেন্টে মাড়া গেছে।
বর এর বিনা স্পর্শে সে #বিধবা। আজ প্রজন্ত সামনাসামনি দেখে নি তাকে যার জন্য সে আজ সমাজের কাছে বিধবা।
বর মাড়া যাওয়ার পর শশুড়_শাশুড়ি ইছমিকে নিজের মেয়ের মতো আগলে রেখেছে। ইছমির জন্য বিয়ের প্রস্তাব এলেও ভালো ফেমিলি থেকে আসে না বিধবা বলে।আর ইছমির শশুড়_শাশুড়ি ও ইছমিকে বিয়ে দিতে চান না।
ইছমি এক পুরো পরিবার পেয়েছে, তার শশুড়বাড়িতে। শশুড়–শাশুড়ি, ১০ বছড়ের দেবড়, ১৯ বয়সের এক ননদ। তাদের নিয়েই বেচে আছে ইছমি।
শশুড় সামান্য অফিসে চাকরি করেন।
দেবড় মাহিন ৫ এ পড়ছে আর ননদ মহিনি ২ন্ড ইয়ার এ ইছমির সাথে পড়ে।
ইছমি পড়ালেখার পাশাপাশি কিছু বাচ্চাদের পড়ায় সেই টাকা দিয়ে নিজের খরচ বহন করে।
রাত গড়িয়ে সকাল হতে চলল।ইছমি সেই ভরের আকাশের দিক চেয়ে আছে। অনেক একা একা লাগে ইছমির। একান্ত ভাবেই রাতটা কাটে ইছমির। ভরের আজানে রুমে আসলো ওযু করে নামাজ আদায় করে নিলো।
বাবা মায়ের রুম এ গিয়ে বাবাকে উঠিয়ে নামাজ পড়তে পাঠিয়ে দিলো।
মা কে নামাজ পড়তে বলে নিজে রান্না ঘড়ে চলে গেলো সবার জন্য ব্রেকফাস্ট বানাতে।
ব্রেকফাস্ট বনিয়ে মাহিন আর মহিনি কে তুলল ঘুম থেকে।
ইছমি : মাহিন উঠো লক্ষি স্কুল যেতে হবে।
মাহিন : ভাবি ঘুমুতে দেও না।
ইছমি জড় করে মাহিন কে ফ্রেস করিয়ে রেডি করে খাইয়ে স্কুল এর জন্য পাঠিয়ে দিলো।
মহিনি ও রেডি হয়ে কলেজ চলে গেলো।
ইছমি বাবা-মা কে ব্রেকফাস্ট করিয়ে বাবা কে অফিসে পাঠিয়ে দিলো।
নিজেও রেডি হচ্ছে ক্লাসের জন্য।
মা : ইছমি খেয়ে যা।
এদিকে আয় আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
আর শোন তাড়াতাড়ি আসিস মহিনি কে তো দেখতে আসবে আজ সন্ধ্যায়।
ইছমি : আচ্ছা মা।
ইছমি খেয়ে বেড়িয়ে পরলো ক্লাসের উদ্দেশ্যে। এই হলো ইছমির রেগুলার দিন কাটানোর রুটিন।
এদিকে,,,,,
In London….
Morning 8 AM..
রুমের সাদা পর্দা গুলি উড়ছে বাতাসে। সকালের তাজা রোদ ঘুমের ডিস্টার্ব করছে ইম্রেতির। কখন থেকে সেলফোনটা বেজেই চলেছে তাই বাদ্ধ হয়ে ফোনটা হাতে নিলো।
ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠলো…
Calling from Bangladesh
” Sweet mom ”
ম্রিদু হেসে কলটা রিছিভ করলো ইম্রেত।
ইম্রেত : good morning sweety!
মা : good morning!
ফ্লাইট কখন?
ইম্রেত : bangladesh এ 4 pm এ লেন্ড করবো।
মা : আজ কতোদিন পর তোকে দেখবো।
সারাবছর লান্ডান থাকিস।
আমি রিকুয়েস্ট করলে এসে দেখা করে চলে যাস।
এইবার আসলে আর যেতে দেবো না।
ইম্রেত : mom you know very well that শুধু তোমার ছোটো ছেলের বিয়ের জন্য যাচ্ছি বাংলাদেশ। বিয়ে সেশ হলে আমি লান্ডান বেক করবো।
মা : তোর আর আসতে হবে না….
টুট টুট টুট [ কেটে দেয় কলটা ইম্রের এর মা ]
কলটা কাটতেই পাশে থেকে মেয়েলি কন্ঠে কেউ বলে উঠলো…
:— ims [ short form] where are you going?
ইম্রেত : I’m done for today! [ পেন্ট পড়তে পড়তে ]
:– Still I’m not satisfied ims!
ইম্রেত : see yaa bye
ইম্রেত গাড়ির চাবি নিয়ে হোটেল এর রুম থেকে বেড়িয়ে পরলো। চোখে সানগ্লাস টা লাগিয়ে হাটা ধরলো। পিছন থেকে কেউ ims বলে ডাকলো তাই ইম্রেত দাঁড়িয়ে পিছনে ফিরলো…
ইম্রেত : hey noona what’s up?
Noona : Nothing much.. And why are you here?
ইম্রেত : oh just for you!
Noona : really oh ims plz give me some time na baby.
ইম্রেত : sure sweety!
Come Down ! I’m gonna spend a whole day with you.
Noona : oh god really!
ইম্রেত : yeah but now i gotta go!
See you soon.
Noona : bye baby.
ইম্রেত তাড়াহুড়ো করে হোটেল থেকে বেড়িয়ে পরলো।চাবিতে ক্লিক করে গাড়ির দরজা খুলে বসে পড়লো। কানে ব্লুটুথ গুজে কাউকে কল দিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো ইম্রেত।
ইম্রেত : yeah মেনেজার ওল রেডি?
মেনেজার : ইয়েস স্যার।
ইম্রেত পুরো নাম ” এমোরেততি লিনোর।
বাবা মায়ের আদরের বড় সন্তান।পড়ালেখা অফিস সব লান্ডান থেকেই করছে ইম্রেত।
ছোটো ভাইয়ের বিয়ের জন্য বাংলাদেশ আসতে হচ্ছে ইম্রেত কে।
In Bangladesh
IN Airport 4PM…
মেনেজার : স্যার লাগেজ আমাকে দিন।
ইম্রেত : take it.
Btw where is my car!
মেনেজার : ওই তো স্যার।
ইম্রেত : ওকে তুমি লাগেজ নিয়ে বাসায় আসো im Going!