#বাঁধিব_তোমায়_বিরহ_ডোরে
#রিয়া_জান্নাত
#পর্ব_০৯
চৈত্র্য মাসের ভোর। পূর্বাকাশ রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। সূর্যিমামা উঁকি দিচ্ছে তার গগনে । পাখির কলতান হচ্ছে কিচির মিচির করে। অনেকগুলি পাখি খাবার আহরণের পথে ছুটছে। পথিমধ্যে কুকুরের দলগুলো ঘেউঘেউ শব্দ করছে। কেউবা চৈত্র্যর গরমে তাড়াতাড়ি উঠে সকালের আবহাওয়া উপভোগ করছে। গোয়ালিনী গরুগুলি বের করছে। এমন সময় জুনায়েদ জায়নামাজ নিয়ে, মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরছে। পথিমধ্যে ধাক্কা লাগে ইশমাম মির্জার সঙ্গে। জুনায়েদ তাল সামলাতে না পেরে পড়ে যেতে লাগলো, এমন সময় ইশমাম তাকে ধরে নিলো। ইশমাম জুনায়েদ কে স্যরি বলে। আসলে জগিং করতে করতে আজ এতদূর এসেছি,আগে কখনো আসিও নি । আমি আপনাকে ইচ্ছে করে ধাক্কা মারেনি। আমায় ক্ষমা করবেন।
“ জুনায়েদ মুচকি হাসি দিয়ে বলে গুড মর্নিং ”
“ গুড মর্নিং! আপনি কিছু মনে করেন নিতো? ”
“ মনে করার কি আছে? আমি নামাজ পড়ে বাড়ির পথে হাঁটছিলাম। ”
“ আমিও নামাজ পড়ে, বাড়ি থেকে বের হয়েছি, সকালের ব্যায়ামে। তো আপনার এতো দেরি ক্যান? ”
“ আসলে মসজিদে কিছু কাজ ছিলো আমার। এরজন্য ইমাম সাহেবের সঙ্গে কথা বলতে বলতে এতো লেইট হলো। ”
“ বাই দ্যা ওয়ে আমি ইশমাম মির্জা। থাকি এই কলেনীতে, এইতো এখান মিনিট ১০ হাঁটলেই আমার বাড়ি। ”
“ আমি জুনায়েদ শেখ, এইতো আমার বাড়ি এখান থেকে দেড় ঘন্টা যেতে লাগে । ”
“ এরজন্য আপনাকে এতো অচেনা অচেনা লাগছে? বাট আপনি এখানে কেনো? এতদূরেই বা কিভাবে নামাজ পড়তে আসলেন? ”
“ আমি গতকাল রাত থেকেই ইমাম সাহেবের সঙ্গে মসজিদে রাত কাটিয়েছি। এইতো এখন বাড়ি ফিরবো। ওই রাস্তার মোড়েই গাড়ি রাখা হয়েছে। ”
“ মসজিদে কেনো? ”
“ বললাম কিছুটা দরকারে। ”
“ আচ্ছা আমার বাসায় চলেন। একসঙ্গে জমপেশ চা খাওয়া হবে। ”
” ধন্যবাদ আপনাকে। এখন আমার হাতে সময় একদম কম, বাড়িতে ফিরতে হবে। অনেক কাজ বাকী আমার। বেশিদিন তো আর থাকবো না, তাই অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রুতই সমাপ্ত করতে হবে। নাহলে যাইতাম। ”
“ আচ্ছা, তাহলে যান। ”
জুনায়েদ চলে যায়। ইশমাম ভালোভাবে জুনায়েদের শেষ কথাগুলো উপলব্ধি করে। এরপরে মনেমনে ভাবে ওনি ঠিকই তো বলেছেন আমরা ধরিত্রীতে যখন জন্মগ্রহণ করি সময় অনুযায়ী আসি। কিন্তু আমাদের চলে যাওয়ার কোনো সময় নেই। প্রিয়ার কথা মনে পড়ে জুনায়েদের কথায়। কতই না স্বপ্ন দেখেছিলো প্রিয়ার আঙুলে আঙুল রেখে ঘুড়বে এই শহর। কিন্তু প্রিয়া ইশমামকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেলো অনেক আগেই। স্বপ্ন গুলো শুধু ফিকে রয়ে গেলো রাহার মাধ্যমে। রাহার কথা মনে পড়তেই চোখের কার্নিশ বেয়ে দুফোটা চোখের পানি গড়িয়ে পড়ে। ইশমামের এই মূহুর্তে উপলব্ধি হলো ইনিয়াকে তার সবটা বলা উচিত। কারণ ইনিয়ার সঙ্গে দিনশেষে প্রতারণা করা যাবেনা। আল্লাহ তালা যেহেতু রাহাকে আমার কোলে দিয়েছে আমার স্ত্রীকে ছিনিয়ে নিয়ে। সেই আল্লাহ তালায় আমার মেয়েকে বড় করবে। কথাগুলো ভেবেই সোজাপথে হাটা শুরু করে দেয় ইশমাম বাড়ির উদ্দেশ্য। গন্তব্য এখন একটাই ইনিয়াকে সত্যিটা জানানো।
____
সারারাত নিমু অপেক্ষায় ছিলো জুনায়েদের। অনেকবার ফোন করেও কোন রেসপন্স পায়নি জুনায়েদের। পোড়াহাত জ্বালা করছে, অন্তর দগ্ধ হচ্ছে জুনায়েদের অনুপস্থিতি। আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলছি জুনায়েদ সেই প্রথম দেখায়। তখন থেকে মনে একটাই বাসনা সুপ্ত রেখেছিলাম। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে আপনাকে পাওয়া । কিন্তু আপনি আফাকে বিয়ে করে আমার হৃদয়ে ক্ষতর সৃষ্টি করলেন। এরপরে স্বাভাবিক হয়ে আপনাদের সংসারে ঢুকলাম। নিত্যনতুন সাজগোজ দিয়ে আপনাকে কাবু করতে ব্যর্থ হলাম জেনেও, পোশাক আশাক দিয়ে আপনাকে হর্ণি করে তুলে বিয়ে করলাম। ভেবেছিলাম আমার রুপে আপনি মজেছেন। আমায় আপনি ভালোবেসে বিয়ে করেছেন, কিন্তু আমি ভূল ছিলাম। গতকাল আবারও প্রমাণ করলেন। এভাবে ভাঙ্গা হৃদয়ে কষ্ট না দিলেও পারতেন। এসব কথা ভাবতে ভাবতে রাত শেষ করেছে নিমু। কিছুতেই দুচোখের পাতা এক করতে পারেনি। শুধু স্মৃতিতে জুনায়েদের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসার দিনটি বারবার চারা দিয়ে উঠছে। ভাঙ্গা হৃদয় জীবন্ত হচ্ছে, জুনায়েদের অনুপস্থিতিতে আবার নিভে যাচ্ছে। এসব ভাবতে ভাবতে নিমু মোবাইলের গ্যালারিতে ঢুকে জুনায়েদের ছবিখানা দেখে বলে উঠে,,
❝ মৃত্যু অনিবার্য জেনেও, জন্ম নিলাম।
আপনাকে পাবোনা জেনেও, আপনাকে চাইলাম! ❞
এমন সময় জুনায়েদ তার রুমে ঢুকে। জুনায়েদকে ক্লান্ত দেখে নিমু জিজ্ঞেস করলো সারারাত কোথায় ছিলে? আপনাকে এরকম ক্লান্ত লাগছে কেনো?
“ জুনায়েদ নিমুকে সোজা ধমক দেয়। এরপরে বলে এতো কৌতূহল কেনো? অন্যর স্বামীর ব্যাপারে! আর তোকে না বলছি আমার বেডরুমে আসবি না। তোকে একদিন এই বেডরুমে জায়গা দিয়েছিলাম এটাই বেশি। তাহলে তুই আজকে এখানে কেনো? জবাব দে। ”
“ জুনায়েদের ধমকে নিমু জড়োসড়ো হয়৷ কারণ বিয়ের আগ অব্দি জুনায়েদের এরকম রুপ দেখেনি। বিয়ের পর থেকেই ইনিয়া আফার অনুপস্থিতিতে তুই তোকারী করা শুরু করছে। নির্লিপ্ত কণ্ঠে জুনায়েদ কে বললো আমি আপনার স্ত্রী। তাই আমার অধিকার আছে আপনার বেডরুমে থাকা। আপনি যেখানে থাকবেন আমিও ঠিক সেখানেই থাকবো। ”
“ জুনায়েদ চোখ লাল করে বলে তুই আমার স্ত্রী মাই ফুট। ইসলামি নিয়ম কিছুই তো জানিস না। তুই জানিস না ইসলাম ধর্মে নিজ আপন বোন জীবিত থাকা অবস্থায় নিজ দুলাভাইকে বিয়ে করলে দ্বিতীয় বিয়ে, মানে তোর আমার নিকা অবৈধ। আমরা যতই বিয়ে করিনা কেনো ইসলামের দৃষ্টিপাতে এই বিয়ে অটোমেটিক তালাক হয়। ”
“ এতোকিছু জেনে হবে কি? মনেপ্রাণে তোমাকে স্বামীর অধিকার দিয়েছি একদিন। মনেপ্রাণে মানি তুমি আমার স্বামী। ”
“ এটাই তফাত তোর আর ইনিয়ার মাঝে। তুই শুধু নিজের দিকটা ভাবিস। আর ইনিয়া সবার জন্য ভাবে। তোর কথা ভেবেই ইনিয়া সংসার ছেড়ে চলে গেছে। তোর বিয়েটা টিকে রাখার জন্য আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। তোর সুখের জন্য, তোর বিয়েটা যাতে বৈধতা পায়। এরজন্য ইনিয়া চলে গেছে। দিনশেষে ইনিয়া কি পেলো? শুধুই অবহেলা। কখনো তাকে আপার নজরে দেখলে আপার জামাইকে নিজের জামাই বানানোর জন্য স্বপ্ন দেখতি না। ”
“ এতই যদি বুঝেন, তাহলে আমাকে বিয়ে করে একদিনের জন্য কাছে টেনে নিয়েছিলেন কেনো? ”
“ ইনিয়ার চোখে পৃথিবীর খারাপ পুরুষ হয়ে থাকার জন্য। ইনিয়াকে কষ্টার্জিত জীবন থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। ইনিয়াকে পরবর্তী স্টেপ দ্রুততার সঙ্গে নেওয়ার জন্য। শক্তিশালী ইনিয়াকে দেখার জন্য। ”
“ কিন্তু এসব করে লাভ কি হলো? দিনশেষে ইনিয়া আফাতো তোমাকে ছেড়ে চলে গেলো। শুধু আমিই তোমার জন্য রয়ে গেছি। ”
“ তুই ইনিয়াকে আপার নজরেও না দেখলেও, ইনিয়া তোকে বোনের নজরে দেখতো বলে ছেড়ে গেছে। মানুষ বলে সৎ কখনো আপন হয়না, যতই তাদের জন্য বলিদান করুক। তার উজ্জ্বল প্রমাণ তুই। ”
নিমু জুনায়েদের এতো ভারী কথা সহ্য করতে না পেরে জড়িয়ে ধরে জুনায়েদ কে। এরপরে বলে ওগো আমার সঙ্গে এরকম করিও না আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমার হাত যেহেতু ধরেছি ছাড়তে চাইনা। জুনায়েদ ধাক্কা দিয়ে নিমুকে ফেলে দেয়। এরপরে বলে খবরদার আরেকবার যদি আমাকে ধরতে আসিস তোর ওই দুখানা হাত কেটে ফেলবো। তুই আমাকে না আমার সম্পত্তিকে ভালোবেসেছিা। ইনিয়ার সবকিছু কেড়ে নেওয়ার জন্য এরকম করেছিস। ইনিয়ার প্রতি হিংসাপরায়ণ হয়ে এগুলা করেছিস। তোকে খুব ভালো করেই চিনি। তুই আমাকে আফজাল সাহেব পাইস নাই। যে লিমা রহমানের মতো গ্রাস করতে পারবি। তোর আম্মা যেমন আটারোবছর আগে ইনিয়ার মায়ের সংসার ভেঙেছে তুইয়ো তাই করেছিস। কিন্তু জুনায়েদ বোকা না। জুনায়েদ সব জেনেশুনে মাঠে নেমেছে। তোর মা একটা খুনী খুব শ্রীঘই তার স্থান কারাগারে হবে। আর ইনিয়াকে সারাজীবন কষ্ট দেওয়ার জন্য তোর জীবনে আমি নামক মরীচিকার কষ্ট থেকে যাবে। এখন আমার সামনে থেকে চলে যা। সারারাত ঘুম হয়নি আমাকে ঘুমাতে দে।
নিমু কাঁদতে কাঁদতে রুম থেকে বাহির হয়ে যায়। জুনায়েদ শেখ পুলিশকে ফোন দেয় ইনিয়ার খোঁজ নেওয়ার জন্য।
____
ইশমাম এতদিন ভালোভাবে লক্ষ্য করেনি বাইরের পৃথিবীটাকে। কিন্তু জুনায়েদের কথায় মলিন বিবস্ত্র পৃথিবীকে ভালোভাবে লক্ষ্য করেছে। প্রিয়া মারা যাওয়ার পর থেকে পৃথিবীর রঙচঙ ফিকে লাগে ইশমামের চোখে। কথায় আছেনা,,
❝ মনে সুখ না থাকলে বাইরের পৃথিবীর রঙচঙ সবই ফিকে লাগে নিজের কাছে ❞
ইশমাম পৃথিবীকে ভালোভাবে লক্ষ্য করার সময় বেশকয়েকটি ব্যানার দেখতে পায়। ইনিয়া নিখোজের পোস্টার দেখে চোখের পানি ফেলে। ইশমাম বুঝতে পারে ইনিয়ার হাসবেন্ড ইনিয়াকে পাওয়ার জন্য কত আকুলতা নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করলে এভাবে পুরুষ্কারের বিনিময়ে প্রিয়তাকে কাছে পেতে চায়। ইশমাম ভালোভাবেই বুঝতে পারলো হসপিটাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই ইনিয়া আর ঘর থেকে বাহির অব্দি যায়নি। তাহলে মানুষ বা পুলিশ তাকে খুঁজে পাবে কি করে? ইশমাম প্রিয়া ও সদ্য জন্ম নেওয়া নবজাতক রাহার রাহার জন্য চোখের পানি ফেললো এই পোস্টার দেখে। কিন্তু এভাবে সার্থপর হয়ে ইনিয়াকে তো আর বেঁধে রাখতে পারবে না। তাই ইশমাম ঠিক করলো ইনিয়ার সঙ্গে চরম সত্যির মোকাবিলা করে তাকে নিজ সংসারে পাঠিয়ে দিবে। ইশমাম এই কথাগুলো ভেবেই ইনিয়ার রুমে ঢুকে। ইনিয়া রাহাকে কোলে আদো আদো কথা বলে আদর করছিলো। ইশমাম নার্ভাসনেস কাটিয়ে ইনিয়াকে জিজ্ঞেস করে,,
“ কি ব্যাপার আপনি উঠে গেছেন? ”
“ বাবু ঘুম থেকে তুলে দিছে। দুধ দিলাম কিছুতেই ঘুমাচ্ছে না এখন। তাই বাবুকে কোলে নিয়ে আছি। কিন্তু আপনাকে দেখে ক্লান্ত লাগছে? কোথায় থেকে আসলেন? ”
“ ইশমাম দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে, জোড়ে নিঃশ্বাস টেনে নিলো, এরপরে ইনিয়াকে বললো আজ আমি একটা কথা বলতে চাই। ”
“ কি কথা বলুন? ”
“ আপনাকে আপনার হাসবেন্ড খুজছে। দু লক্ষ্য টাকার ঘোষণাও দিয়েছে। একটা মানুষ কতোটা ভালোবাসলে এরকম করতে পারে বুঝছেন তো? ”
ইশমামের কথা শুনে ইনিয়া অবাক হয়। এরপরে বলে আমি ভালোবেসেছিলাম একজন চরিত্রবান, ঈমানদার লোককে। কিন্তু সে আমার সঙ্গে চিট করেছে। আমি দুচরিত্রবান লোকের কাছে ফিরতে চাইনা। এই কথা শুনে ইশমাম বলে কিন্তু আমি ফিরিয়ে দিতে চাই আপনাকে।
এই কথা শুনে ইনিয়া রেগে যেয়ে বলে, আপনি সোজাভাবে বলতে পারতেন আমি ও আমার মেয়ে আপনার ঘাড়ের বোঝা। আমরা এমনিতেই চলে যেতাম। এভাবে না বললেও পারতেন। তবে আমি কৃতজ্ঞ আপনার প্রতি আপনি আমাকে ও আমার বাচ্চাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। আমরা আজই চলে যাব, আপনি নিশ্চিতে থাকুন।
“ কিন্তু রাহা কোথাও যাবেনা? ”
“ কেনো? ”
“ কারণ রাহা আমার ও প্রিয়ার সন্তান। আপনার বাচ্চা নয়। ”
ইশমামের এই কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারলো না ইনিয়া। তাই জিজ্ঞেস করলো তাহলে আমার মেয়ে কোথায়? ইশমামের চোখের কোণে পানি জমে যায়। তবুও ইনিয়াকে বলে আপনার সন্তান মারা গেছে। আমাকে ক্ষমা করবেন আপনার অনুমতি না নিয়েই আপনার সন্তানকে মাটি দেওয়ার জন্য। ইনিয়া হাসতে থাকে আর বলে আপনি পাগল হয়েছেন, নাকি খারাপ স্বপ্ন দেখেছেন। এভাবে সকালবেলা কিরকম জোকস শুরু করেছেন? ইশমাম কঠোর হয়ে সেই গাইনী ডক্টরকে ফোনকল করে। গাইনী ডক্টর ফোন ধরে।
“ আমাকে ক্ষমা করবেন ম্যাডাম। সকালবেলায় আপনাকে ডিস্টার্ব করার জন্য আমাকে চিনেছেন আমি ইশমাম মির্জা। ”
“ জ্বি! জ্বি! চিনেছি বলুন। ডক্টর কখনো ফোনকল পেয়ে ডিস্টার্ব হয়না। ”
এরপরে ইশমাম সেদিনকার সব কথা গাইনী ডক্টরকে বলে। গাইনী ডক্টর ইশমামকে বলে ফোনটা ইনিয়ার কানে দিন। ইশমাম ইনিয়ার কানে ফোন দেয়। ইনিয়া ফোন কানে নিয়ে হ্যালো বলে। গাইনী ডক্টর সেদিনকার রাতের কথা সব বুঝিয়ে বলে ইনিয়াকে। ইনিয়া সত্যিটা জেনেই কান থেকে ফোন ফেলে দেয়। দাড়িয়ে থাকার শক্তি পাচ্ছিছিলো না ইনিয়া। দুপায়ের শক্তি একদম নুইয়ে যায়। ইনিয়া ফ্লোরে বসে চিৎকার করে ও আল্লাহ।
#চলবে,,,