#বর্ষাস্নাত_রাত
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ২
___________________
ভিড়িয়ে রাখা দরজা খুলে লাইট জ্বালালো হাফসা। বিছানার উপর চোখ পড়তেই দেখতে পেল মাহফুজ আর মারিয়া নিশ্চিন্তে একে অপরকে জড়িয়ে ঘুমোচ্ছে। যেন নিরাপত্তায় আবৃত স্বর্গসুখে আছে দুজন।
হাফসার পাশে থাকা মুখোশধারী ব্যাক্তিটি বলল,
” মায়া বাড়িয়ে লাভ নেই। নয়তো এক মায়ার জন্য অন্য মায়াকে ত্যাগ করতে হবে তোমার। ”
কথাটি শোনামাত্র হাফসা দু পা পিছিয়ে গেল। আর জায়গা করে দিল অপর মানুষটিকে তার কার্যসিদ্ধি করতে।
মুখোশধারী ব্যাক্তিটি কোনোপ্রকার সংকোচ ছাড়া বিছানার দিক এগিয়ে গিয়ে ঘুমন্ত মারিয়াকে একটানে বিছানা থেকে নামিয়ে মেঝেতে ফেলে দিল। আর পাশ ফিরে বিনা দ্বিধায় ছুরি চালালো মাহফুজের গলায়। যেন খুবই স্বাভাবিক কিছু করছে সে। মুহুর্তে মধ্যে মাহফুজ চাতক পাখির ন্যায় ছটফট করতে করতে গলা বাকিয়ে একের পর এক গোঙানির শব্দ বের করে পারি জমালো পরপারে। বিছানা রক্তে ভেসে যাচ্ছিল।আর যা নিচ থেকে বসে ঘুমন্ত চোখে দেখছিল মারিয়া। রক্তের স্রোত আর খেলার সাথি বড় ভাইয়ার রক্তমাখা ছেঁড়া গলা দেখে এক চিৎকার দিল মারিয়া। ভয়ে আম্মু আম্মু বলে হাফসার পা জড়িয়ে কোলে উঠতে চাইলে হাফসা মুখ চেপে ধরল। মাঝরাতে মারিয়ার সংকীর্ণ চিৎকারও যে তাকে বড় কোনো বিপদের সম্মুখীনে ফেলতে পারে সেই ভয়ে।
আর এদিকে সেই মুখোশধারী ব্যাক্তিটি মারিয়ার চেঁচানোর শব্দ শুনে একলাফে মারিয়ার কাছে এসে চুল মুঠবন্দি করে এক হেঁচকা টানে মেঝেতে ফেলে দিল। আর সেই রক্তমাখা ছুরিটি তৃতীয় বারের মত প্রয়োগ করল মারিয়ার ছোট্ট গলার কোন ঘেঁষে। তবে ছুরি টিতে আগের মত ধাঁরালো ভাবটা এখন আর নেই। যার জন্যে নৃশংস ভাবে মারিয়ার গলা ধরে ছুরির ধাঁরালো অংশ চাপ দিয়েই যাচ্ছে সেই পিচাশ নামক মানবটি। ছোট্ট মারিয়া নিষ্পলক দৃষ্টিতে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মরন যন্ত্রণায় ছটফট করতেই সেই মুখোশধারী ব্যাক্তিটি গলার থেকে ছুরি সরিয়ে আরও একবার ছুরি আঘাত বসায় মারিয়ার বা পাজরে। মুহুর্তের মাঝে মারিয়া কাতরানো অবস্থাতেই চোখ বুজে একেবারে নিথর দেহের পরিণত হয়। আর সেই নিথর দেহের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে হাফসা। একবার মারিয়ার দিকে, একবার মাহফুজের দিকে তো একবার রক্তস্নাত করা পুরো ঘরের দিকে তাকায় হাফসা।
মুখোশধারী ব্যাক্তিটি বসা থেকে উঠে স্বাভাবিক কন্ঠে বলে উঠে,
” ব্যাগ যে বের করে রাখতে বলেছিলাম রেখেছ?”
সামনের মানুষটির কথা যেন হাফসার কানেই গেল না। সে তার আগের মতই ঘূর্ণায়মান দৃষ্টিপথ বজায় রেখে নিশ্চুপ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রইলো। মুখোশধারী ব্যাক্তিটি হাফসাকে সামান্য ঝাঁকুনি দিয়ে বলল,
” কী হলো? এখনো দাঁড়িয়ে আছো যে? যাও ব্যাগ নিয়ে এসো।”
হাফসা চোখ ফিরিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে বলল,
” হ্যাঁ হ্যাঁ….. ”
” ব্যাগ!”
” ও….. আচ্ছা দাঁড়াও আনছি।”
বলেই পাশের রুম অর্থাৎ তৃতীয় রুম থেকে একটি কালো রঙের ব্যাগ নিয়ে এলো হাফসা। মুখোশধারী ব্যাক্তিটি ব্যাগ হাতে নিয়ে হাফসার শোয়ার রুমের দিক যেতে যেতে বলল,
” দ্রুত আলমারি খুলে টাকা পয়সা, গয়নাগাটি যা আছে এই ব্যাগে নাও। বেশি দেরি করা যাবে না। ভোর হবার আগেই এখান থেকে বেরোতে হবে।নইলে পড়ে সমস্যায় পড়তে হবে। ”
” আচ্ছা।”
বলেই আলমারি খুলে টাকা পয়সা, গয়নাগাটি যা ছিল সব ব্যাগে পুড়ে নিল হাফসা। বলল,
” সব নেয়া শেষ চলো।”
” এ টু জেট নিয়েছ? ”
” হ্যাঁ সব।”
” আচ্ছা ব্যাগটা আমার হাতে দাও।”
হাফসা ব্যাগটা মুখোশ পড়া ব্যাক্তিটির হাতে তুলে দিতেই দেখতে পেল অন্যহাতে এখনো ছুরিটি ধরে রেখেছে। বলল,
” কী ব্যাপার? ছুরিটি এখনো ফেলোনি যে? বাইরে কী এটা নিয়ে বের হবে না-কি? মানুষ দেখলে তো সন্দেহ করবে।”
” ও হো…..এটার কথা তো আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। যাই হোক, এটা কোথায় ফেলা যায় বলোতো। ”
” কোথায় ফেলবে……. তোমার যেখানে খুশি সেখানে ফেলে দাও।”
” তাই?” বলেই ছুরিটির দিকে তাকালো মুখোশ পড়া ব্যাক্তিটি।
এদিকে হাফসা তার পাশের মানুষটির এরকম অসঙ্গতিপূর্ণ বেখেয়ালি আচরণ দেখে ভ্রু কুচকে বলল,
” কী ব্যাপার? হঠাৎ করে কী হলো তোমার? এভাবে চুপসে গেলে যে? পালানোর ইচ্ছে নেই না-কি? ”
” পালানোর ইচ্ছে…..হ্যাঁ আছে তো। ”
” তাহলে দাঁড়িয়ে আছো কেন? চলো! রাত প্রায় সাড়ে ৩ টা বেজে গিয়েছে। এটাই পালাবার মূখ্যম সময়।”
” হ্যাঁ তা ঠিকাছে তবে…….”
” তবে……তবে কী?”
হাফসার সামনের মানুষটি হাতের ব্যাগটি মেঝেতে রেখে দু পা সামনে এসে হাফসার মুখোমুখি দাঁড়ালো। ছুরির হাতটি হালকা উঁচিয়ে রক্তমাখা ছুরির সরু অংশটি হাফসার গাল বেয়ে গলার নিচে বেশ জোরে চেপে ধরতেই হাফসা ঢোক গিলে বলল,
” আহ…..লাগছে তো! কী করছ কী তুমি? ”
বলতে না বলতেই গলার একপাশ সামান্য কেটে একফোঁটা রক্ত হাফসার গলা বেয়ে বুক পর্যন্ত নেমে গেল। হাফসা কিছু বলতে নেয়ার আগেই মুখোশ পড়া ব্যাক্তিটি বলল,
” তোমার কী মনে হয়……আমি পাগল? গাজা খেয়ে এখানে এসেছি ? যে তোমার মত সেকেন্ড হ্যান্ড দুই বাচ্চার মা’র জন্য এই এতকিছু করব। জীবনের রিস্ক নিয়ে মাঠে নামবো। আরে বোকা মেয়ে তুমি তো ছিলে তুরুপের তাশ। তোমাকে হাত করেছি শুধু নিজের কার্যসিদ্ধির জন্যে। এছাড়া তুমি আর কিছুই না। তোমার সাথে যুগের পর যুগ সংসার করা তো বহুত দূরের কথা, তোমার সাথে বসে এক বিকেল কাটানোরও ইচ্ছে নেই আমার।”
হাফসা চোখমুখ বড় করে বলল,
” বাবলু! তুমি আমার সাথে বিট্রে করছ? যেই আমি শুধুমাত্র তোমার জন্যে তোমার ভালোবাসার জন্যে নিজের স্বামী, সন্তান, সংসার সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়েছি সেই তুমি আমার সাথে বিট্রে করছ?”
বাবলু একগাল হেসে বলল,
” যেই মেয়ে নিজের স্বামী, সন্তানকে পর পুরুষের জন্য খুন করতে পারে সেই মেয়েকে বিশ্বাস করব আমি? আরে তুমি তো অন্য পুরুষের জন্য আবার আমাকেও খুনের ছক আঁকতে পারবে। বিন্দুমাত্র হাত কাঁপবে না তোমার। আর সেই তোমাকে বিশ্বাস করে কী নিজের মরন ডেকে আনব না-কি? ”
” বাবলু!”
বলেই কেঁদে দিল হাফসা।
” উফফ……. বারবার বাবলু বাবলু করো না তো। মুখ বন্ধ রাখো। বেশি কথা আমার ভালো লাগে না।”
” প্লিজ বাবলু এরকম করো না তুমি। আমি আমার সর্বস্ব তোমার জন্য নিজ হাতে খুইয়েছি। শুধুমাত্র তোমার ভালোবাসা পাবার আশায়। এভাবে আমার ভরসা ভেঙে দিও না।”
” তুমি না বড্ড বেশিই কথা বলছ হাফসা…..”
বাবলুর কথা শেষ হবার আগেই হাফসা চোখের জল মুছে বলে উঠল,
” তোমার কী মনে হয় তুমি আমাকে এভাবে ফেলে গেলে তুমি বাঁচতে পারবে? আমি তোমাকে বাঁচতে দিব? সব পুলিশকে বলে দিব আমি….. সব বলে দিব। ”
বাবলু এবার ক্ষানিকটা উচ্চস্বরে হেসে উঠলো। বলল,
” সাধে কী তোমাকে বোকা বলি? আসলেই তুমি একটা বোকা মেয়ে। ভাবলে কী করে আমি তোমাকে এমনি এমনি রেখে যাবো? নিজের কুকর্মের প্রমাণ কী কেউ এভাবে রেখে যায় না-কি? ”
বলেই হাফসার গলায় চেপে রাখা ছুরিটা খাড়া ভাবেই গলার চামড়ার ভেতরে ঢুকিয়ে দিল বাবলু। সাথে সাথে ফিনকি দিয়ে রক্ত ছিটকে এলো বাবলুর গায়ে। তবে কালো কাপড়ে সারা শরীর আবৃত থাকায় রক্তের প্রভাব তেমন একটা পড়ল না বাবলুর উপর।
এদিকে হাফসা চোখ দুটো বড় বড় করে অস্পষ্ট গলায় বাবলু বলে একহাত বাড়াতে নিলেই বাবলু সেই ছুরিটি গলার ভেতর থেকে একটানে বের করে পরপর আরও দু’বার গেঁথে দেয়। যেন এই হাফসা নামক যন্ত্রণাটি থেকে সে অতিদ্রুত মুক্তি পায়।
দাঁড়ানো অবস্থাতেই হাফসা ধপাস করে মেঝেতে পড়ে যায়। যার দরুণ বাবলুর কাজটা আরও সহজতর হয়ে ওঠে। গলার পাশাপাশি এখন মাথা ফেঁটেও রক্ত ঝড়ছে হাফসার। কিন্তু বাবলুর সেদিকে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই। সে তার রক্তমাখা কালো কাপড়টা খুলে মহিউদ্দিনের আলমারি থেকে একটা পাতলা চাদর বের করে সারা শরীর ঢেকে হাতে ব্যাগ নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে।
.
সোমবার বিকেল ৫ টা। হালিমা মঞ্জিল বাড়িটির সামনে ৩টি পুলিশের জিপ। জন বিশেক পুলিশ ফোর্স আর ক্ষানিকটা দূরেই শত মানুষের ভীড়। যাদের সহজ ভাষায় বলা হয় উৎসুক জনতা। পুলিশ ফোর্স শত চেষ্টা করেও এই উৎসুক জনতার ভীড় কমাতে পারছে না। অবশ্য কমার কথাও নয়… একই পরিবারের চার সদস্য খুন। চারটি খানি কথা না-কি!
পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ ভীড় ঠেলে বাড়ির ভেতর ঢুকে পুলিশ অফিসার মো: আরিফুল ইসলামকে বললেন,
” কী খবর আরিফুল? খবর কী কেসের? কিছু জানতে পারলে কী?”
আরিফুল স্যালুট দিয়ে বলল,
” না স্যার, সেরকম কোনো ক্লু তো এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে সন্ধান চলছে।”
” পাইনি, চলছে এসব বললে তো হবে না, সন্ধান দ্রুত শেষ করে আসামিকে খুঁজে বের করতে হবে। একই পরিবারের চার চারটে খুন হয়েছে বুঝতে পারছ বিষয়টা? ”
” জি স্যার।”
” আচ্ছা, জবানবন্দির জন্য কাদের নেয়া হয়েছে? ”
” বাড়ির কেয়ারটেকার আর যিনি রিপোর্ট করেছিলেন তাকে। কারণ এর বাহিরে কাউকের সন্দেহের তালিকায় পাওয়া যায়নি।”
” ও……আচ্ছা, খুনী ক’জন ছিল সে বিষয়ে কী কিছু জানতে পেরেছ?
” সেই বিষয়টা তেই তো খটকা লাগছে স্যার।”
” মানে?”
” খুনের ধরন বলছে এক কথা আর সমস্ত প্রমাণ বলছে আরেক কথা। কিছুক্ষণ আগেই ফিঙ্গার প্রিন্ট, ফুট প্রিন্ট এবং ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট এসেছে। যেগুলো আমি ঘন্টা খানেক আগেই করতে পাঠিয়েছিলাম। ফুট প্রিন্ট টেস্টের রেজাল্ট অনুযায়ী ঘরে সর্বশেষ একজন প্রবেশ করেছে এবং ওই একজনই ঘর ছেড়ে সর্বশেষে বেরিয়ে গিয়েছে। আর ফিঙ্গার প্রিন্ট টেস্টের রেজাল্ট অনুযায়ী খুনী ছিল দু’জন। একজন খুন করেছে আর আরেকজন খুন করতে সাহায্য করেছে। অর্থাৎ এই ভিক্টিমদের থেকেই একজন খুনির সঙ্গী ছিল। তবে পুরোপুরি না, শুধুমাত্র শো। খুনি তাকে হাত করে নিজের কার্যসিদ্ধি করে এবং সবশেষে তাকেও বাকি তিনজনের মত ভিক্টিমের তালিকায় যুক্ত করেছে।”
” কেস টা যতটা ক্রিটিকাল ভেবেছিলাম এখন দেখছি তার থেকেও বহুগুণ ক্রিটিকাল….কী বলো আরিফুল! ”
” জি স্যার। আর আরেকটা কথা স্যার, ঘরের আলমারি কিন্তু সম্পূর্ণ ফাঁকা পেয়েছি আমরা। কিছু দলিলপত্র ছাড়া বাদবাকি সমস্ত টাকা পয়সা, গয়নাগাটি সবকিছুই খুনি সাথে করে নিয়ে গিয়েছে। তবে ভুলবশত একটি আংটি ফেলে গিয়েছে। যেটা মেঝেতে পড়েছিল। আমরা সেটিরও ডিএনএ করিয়েছি তবে খুনির সাথে সেই আংটির কোনো লিংক পাওয়া যায়নি। সেই আংটির ডিএনএ মিলেছে হাফসা নামক ঘরের গৃহিণীর সাথে। এখন এমনো হতে পারে ধস্তাধস্তির সময় আংটি টা হাফসার হাত থেকে পড়ে গিয়েছে আবার এমনো হতে পারে এই হাফসাই খুনির সেই সঙ্গী নামক স্বীকার। আর পরকীয়ার জের ধরেই হয়তো এতকিছু করেছে।এখন সেই হিসেব করলে হাফসা নিজেই হয়তো এই গয়নাগাটি, টাকা পয়সা সমস্ত কিছু খুনির ব্যাগে পুড়ে দিচ্ছিল আর সেই সময় আংটি টা পড়ে যায়। হতেই পারে…… আর না হবারও কিছু নেই যেহেতু খুনির সঙ্গী কে ছিল এখনো প্রমাণ হয়নি। তাই আমরা ফিফটি পারসেন্ট ধরে নিতেই পারি হাফসাই ছিল সেই সঙ্গী। যেহেতু আংটির ডিএনএ হাফসার সাথে মিলে গিয়েছে। ”
” হুম, হতেই পারে।”
” আর স্যার, মহিউদ্দিন সাহেবের রুমে কিন্তু একটা রক্তমাখা কালো কাপড় পাওয়া গিয়েছিল। যেটা ডিএনএ করার পর খুনির গায়ের শুকিয়ে যাওয়া ঘামের কিছ অংশ বিশেষ পাওয়া গিয়েছে। আশা করছি এই একটা জিনিস পরবর্তীতে আমাদের কাজে লাগতে পারে।”
” হুম তাহলে তো ভালোই। তবে হ্যাঁ, যা করার ফাস্ট করতে হবে। এমনিতেই নিউজ চ্যানেল গুলোতে এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পুলিশ যদি এর রিয়েকশন দেরিতে দেখায় সাধারণ জনগণ কিন্তু ক্ষেপে যাবে। আর উপরের প্রেসার তো আছেই।”
” জি স্যার।”
” আচ্ছা লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ফাস্ট পাঠাও। যে গন্ধ ছুটেছে লাশ হয়তো অলরেডি পঁচনও ধরে গিয়েছে। ”
” জি স্যার, শুক্রবার রাতের ঘটনা।আর আজ সোমবার বিকেল। পঁচন তো ধরবেই।”
” হুম, তো আরিফুল লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হলে তুমি থানায় যাও। আর যাদের জবানবন্দির জন্য নেয়া হয়েছে তাদের খবরাখবর নাও।”
বলেই রাসেল বেরিয়ে গেলেন স্পট থেকে। আর আরিফুল স্যালুট দিয়ে ‘জি স্যার ‘ বলে নিজে উল্টো পথ ধরে এগিয়ে গেল ডেড বডিকে ময়নাতদন্তে পাঠানোর উদ্দেশ্যে।
.
.
চলবে……