#বর্ষন_ছোঁয়ায়_মিষ্টি_রোদ💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
পর্ব-১৭
রোদের কথার মাঝের অভিমান আর কষ্ট মিষ্টি বুঝতে পারে।
সত্যি এগুলো কি করে ফেলেছে সে।
কতোটা কষ্ট দিয়েছে সবাইকে,
তবে আর না এবার সব ঠিক করতে চায়
রোদের থেকে সরে আসে মিষ্টি।
–কিছুই চাই না তোমার থেকে ক্ষমা আমি আসা করি না।
শুধু একটু আমার মুখটা দেখো এই টুকু দয়া করো।
মিষ্টি বেরিয়ে আসে,
কষ্ট হচ্ছে খুব।
পৃথিবীটা আসলে কেমন গোলমেল ঠেকছে।
অসহ্য গুপ্ত যন্ত্রণা গ্রাস করেছে।
যা কারোর দেখার সার্ধি নেই।
শুধু যার যন্ত্রণা তার অনুভব করার ক্ষমা আছে।
অনেক ভুল করে ফেলেছে মিষ্টি।
ভিশন বড়ো ভুল।
,
,
,
বর্ষন (০১)
বর্ষন নিজের রুমের মধ্যে সব কিছু তচনচ করে ফেলেছে।
কিছুই আস্ত নেই।
ভেরতের সব কাচের আসবার পত্র ভেঙে চুড়ে চুরমার হয়ে গেছে
এই মুহুর্তে বর্ষন এর বাবা (আর্কন চৌধুরী)
রুমে এসে ছেলেকে ঠেকায়,
–কি করছিস বাবা শান্ত হ।
–শান্ত হতে পারছি না বাবা আমার প্রচুর রাগ হচ্ছে প্রচুর।
–রাগ হয়ে কি করবি।
কিছু কি করার আছে?
–তোমার জন্য ওই ছোঁয়ার সাথে ভালোবাসার নটক করলাম।
তোমার জন্য তোমার শান্তির জন্য।
ও দুঃখে থাকলে সারা জীবন তুমি শুখি থাকতে।
কিন্তু কি হলো আমি কি পারলাম ছোঁয়ার জীবন নষ্ট করতে।
না পারলাম না উল্টে আরো সব ঠিক করে দিলাম।
কেন বাবা কেন।
(চিৎকার করে বর্ষন কথা গুলো।বললো,
অর্কন চৌধুরী ছেলেকে শান্ত করতে চেষ্টা করছে,
–বাবা এখনো হাত থেকে কিছু যায় নি
তুই বর্ষন (০২)
তুই বর্ষন কে বিশ্বাস করা যে ছোঁয়া আর তোর মধ্যে গভীর রিলেশন ছিল
আর ছোঁয়া তোকে এখনো ভালোবাসে তাহলে ত সব হয়ে যায়।
–বর্ষন কখনো তা মানবে না।
–কেন মানবে না
–কারন বর্ষন ছোঁয়াকে ভালোবাসে। যার জন্য বর্ষন বিয়েটা করেছে।
আমার হাজার চেষ্টা ব্যার্থ হয়েছে।
–হবে হবে শুধু টেকবিক জানা লাগবে
–কিসের টেকনিক।
–আছে।
–কি আছে।
–খুবই গভীর কিছু,
অর্কন চৌধুরী শয়তানি হাসি দেয়,
,
,
,
সকালে,
ছোঁয়া ঘুম থেকে উঠেছে অনেক সময় হয়েছে।
নামাজ আদায় করে পড়তে বসেছিল।
আর বাইরের মনোরম দৃশ্য দেখছিল।
হটাৎ কেউ কফি হাতে ছোঁয়ার পাশে দাঁড়ায়।
ছোঁয়ার বুঝতে বাকি নেই এটা কে।
ছোঁয়া কফিটা নিয়ে নেয়।
–এতো সকাল সকাল উঠে বাইরের দৃশ্য টা দেখতে বেশ ভালোই লাগে তাই না।
–হুম ভিশন ভালো লাগে।
–ত কি পড়ছো বলো,
–এই কিছু সাধারণ জিনিস।
–আচ্ছা খুব ভালো
দেখো সাদা গোলাপ গাছে ফুল ফুটেছে।
ছোঁয়া সামনের দিকে তাকায়।
সত্যি অনেক সুন্দর ফুল ফুটেছে।
বড়ো বড়ো।
গাছটা ভরে গেছে।
ছোঁয়া মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে,
–এগুলা না সব আমারি পছন্দের ফুল।
–হুম জানি এই জন্য ত লাগানো।
–আপনি কি করে জানলেন আমি ত আপনাকে কখনো বলি নি।
–তাও আমি জানি৷
–বিয়ের আগে কি আমাদের কখনো দেখা হয়েছে?
–হুম হয়েছে।
–কবে?
–বলা জাবে না।
–কেন?
–কারন টা আজ না পরে এক দিন বলব।
বর্ষন উঠে গেল।
অর্ধেক কথা বলে চলে গেল।
ছোঁয়ার একটু রাগ হলো।
কেমন মানুষ এটা৷
আজব৷
কতো আজব এই মানুষটা৷। ক
ছোঁয়া আজও বুঝতে পারলো না এই ছেলেটার মনে চলে কি।
ছোঁয়া চোখ বন্ধ করে নিলো।
ভার্সিটি যাবার কোন ইচ্ছে নেই আজ।
মনটা উদাশ বলে মনে হচ্ছে।
জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপ কেমন অসমাপ্ত গল্প মনে হচ্ছে ।
আধো আধো কুয়াসার মতো।
,
,
,
সকালের নাস্তা সবাই এক সাথে করে।
–তুমি ভার্সিটি যাবে না ছোঁয়া (বর্ষন)
–না আজ যাবো না।
–কেন রে মা শরীর খারাপ (অন্তরা বেগম)
–না মা এমনি তেই আজ তেমার সাথে দিন কাটায়৷
বর্ষন মৃদু হাসলো।
–কিরে বর্ষন আজ ত তোর ছুটি হওয়ার কথা।
জন্ম অষ্টমি যে।
— বন্ধ আর আমায় মানে না একটা মিটিং আছে ওটায় এটেন্ড করে চলে আসবো।
–ওহ আচ্ছা আজ জলদি আসিস।
–আচ্ছা মা।
বর্ষন বেরিয়ে গেল।
ছোঁয়া ও উঠে এলো।
অন্তরা বেগমের সাথে মিলে আজ পরিবেশের সবটা উপভোগ করলো ছোঁয়া।।
সকাল গড়িয়ে দুপুর৷,
–মা একটা কথা বলব,
–হ্যাঁ মা বল।
–আজ রান্না আমি করি৷।
–এতো গুলো সার্ভেন্ট থাকতে তুমি কেন করবে মা।
–আজকের জন্য শুধু আপনার আর আপনার ছেলের পছন্দের খাবার৷।
অন্তরা বেগম বউ এর কথা শুনে বেশ খুশি হয়।
–তুই যখন আদর করে বানাতে চাইছিস তাহলে বাঁধা দিবো না।
আমার বর্ষনের খুব প্রিয় হচ্ছে বিরিয়ানি।
ছোট্ট বেলা থেকে ওর বাবার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওকে আমি বেশ আদর করে বিরিয়ানি রান্না করে খাইয়েছি। বাবা চলে যাবার পরে সামর্থ হয়নি৷
আর এখন সামর্থ আছে কিন্তু ছেলেটা আর খেতে চায় না৷
–কেন মা খেতে চায় না কেন?
— আমার বর্ষন তখন মাত্র ক্লাস ৫ এ পড়ে।
তখন একদিন ছুটিদ দিন ওর বাবার অাফিস ছুটি। ত ও বায়না করেছে বিরিয়ানি খাবে।
আমার ছিল ছুটির দিনে অনেক কাজ।
ওর বাবা ঠিক করলো বাইরে থেকে নিয়ে আসবে।
বর্ষন ও বসে ছিল সেদিন ওই বিরিয়ানি কিনে আর বর্ষন এর বাবার বাড়ি ফেরা হয় নি। এক্সিডেন্ট হয়েছিল ওনার।
ব্যাস সেদিন ই শেষ হয়েছিল সব কিছু৷
–কিন্তু মা ওই লোকটা।। —
–আরে যে তোমায় দেখতে গিয়েছিল ও ছিল বর্ষন এর মামা।
ছোঁয়া মনে মনে গিল্ট ফিল করে,
(আল্লাহ আমি কি ভেবেছিলাম তবা)
–ওহ।
আমি যদি আজ রান্না করি তবে কি উনি খাবে মা৷
–হুম খাবে তুই চেষ্টা করে দেখ।
–ঠিক আছে মা।
চলবে,