বর্ষণ সঙ্গিনী পর্ব-০৯

0
1806

#বর্ষণ_সঙ্গিনী
#হুমাশা_এহতেশাম
#পর্ব_০৯

ভরা মজলিশে আলআবি ভাইয়া যে এমন দুঃসাহসিকতার পরিচয় দিবেন তা আমি কল্পনাতেও ভাবতে পারিনি। আলআবি ভাইয়া আমার ডান হাতের কব্জি ধরে দৌড়াচ্ছেন। আমিও তার পিছনে পিছনে দৌড়ে যাচ্ছি। এমন মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছে কেউ পিছন থেকে বলবে “ভাগ সিমরান ভাগ”। এই মুহূর্তে আমার ভেতরের অনুভূতিটাও এমনই হচ্ছে। আমারও মনে হচ্ছে “জিলুঙ্গি আপনি জিন্দেগি”।

কিছুক্ষণ আগে,,,

জায়েফের কণ্ঠ শুনেই ফোনের স্ক্রিন থেকে সামনে দৃষ্টি রাখি। আমার মুখোমুখি হয়ে সামনের চেয়ারটায় বসে আছে জায়েফ। তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে নিজেকে লুকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেই আমার সামনে বসে আছে। কারণ এই মুহূর্তে সে চোখে কালো সানগ্লাস পড়ে, মুখে মাস্ক পড়ে, তার হুডি দিয়ে মাথা ঢেকে রেখেছে। তার হাবভাব দেখেই আমি আন্দাজ করতে পারছি চারপাশের উপচে পড়া জনতার জন্য সে এই বেশভূষা গ্রহণ করেছে।

তাকে দেখে না যতটুকু ভয় করছিল এখন তার বলা বাক্যটি শুনে তার থেকে বেশি রাগ হচ্ছে। নিজেকে সংযত করে তাকে বললাম,,,

— আমাকে একদম বোকা ভাববেন না আর বোকা বানাতে ও আসবেন না। আমি জানি আমাদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে।

সে তার পূর্বের ভঙ্গিমাতেই আবার বলে উঠলো,,,

–ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। ক্ষমা তো হয়নি।

আমি স্বাভাবিক কন্ঠে তাকে বললাম,,,

–ক্ষমা করার কথা ছিল কোন দিন? আপনার ব্যবহার তো এখনো ঠিক নেই। একটু আগেই আপনি আপনার ভদ্রতার পরিচয় দিয়েছেন।

–আসলে কি বলতো? ফ্লার্ট না করলে একদমই ভালো লাগেনা। এইটুকু অন্তত জানই যে আমি বড় হয়েছি বাইরের দেশে। তোমাদের কালচারের সাথে অভ্যস্ত না।

তার সামনে বসে থাকতে মোটেও ভালো লাগছে না। কিছুটা অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। এমন সময় তড়িৎ গতিতে আলআবি ভাইয়া এসে আমার পাশে ধপ করে বসে পড়লেন। জায়েফ আর আলআবি ভাইয়া দুজন দুজনকে কিছুটা মুহূর্তের জন্য ভাল করে পরখ করে নিলেন। এরপর জায়েফ সবার আগে হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করার উদ্দেশ্যে বলে উঠলো,,,

–হ্যালো! আমি জায়েফ এহমাদ।

আলআবি ভাইয়া একপলক জায়েফের পানে তাকিয়ে আরেক পলক তার হাতের দিকে তাকালো। এরপর সেও হাত বাড়িয়ে বলে উঠলো,,,

–হায়! আমি আলআবি মাশরুখ।

জায়েফ আলআবি ভাইয়া কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,,,

–চিনেছেন নিশ্চয়ই?

তখন আমি আলাবি ভাইয়ের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম। দেখি সে কেমন একটা বিটকেল মার্কা হাসিমুখে ঝুলিয়ে বলল,,,

–না। চিনতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। ওয়েট!

কথাটা বলেই আলআবি ভাইয়া একটু দাঁড়িয়ে সামনের দিকে ঝুঁকে গিয়ে হুট করে জায়েফের মুখের মাস্ক টান দিয়ে নিচে নামিয়ে দিল। সাথে সান গ্লাসটা ও নিয়ে নিলো। হঠাৎ করেই এক বাজখাঁই গলার স্বরে আলআবি ভাইয়া চেঁচিয়ে বলে উঠলো,,,

–ও মাই গড! জায়েফ এহমাদ!

সঙ্গে সঙ্গে উৎসুক জনতার উপচে পড়া ঢল নামলো জায়েফের উপর।সবাই জায়েফ জায়েফ করে চেঁচিয়ে তার দিকে ছুটে আসছে।এমুহূর্তে বেচারার মুখটা দেখার মতো হয়েছে। ঠিক তখনই আলআবি ভাইয়া আমার হাত ধরে আমাকে একপ্রকার টেনে তুলে দৌড়াতে শুরু করলো।আর তখনি আমর সিমরানের কথা মনে পরলো।

একটু আগে আলআবি ভাইয়ার করা কাজটি আমার তখন বোধগম্য না হলেও এখন হচ্ছে।আমরা দুজনে এখন চতুর্থ ফ্লোরে এসে লিফট থেকে নেমেছি।দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি।তখন চোখের সামনে ঘড়ি পরিহিত একজনের লোমশ হাত দেখতে পেলাম, যেই হাতে রয়েছে একটা পানির বোতল।হাত অনুসরণ করে দেখি আলআবি ভাইয়া থমথমে মুখে আমার দিকে তাকিয়ে বোতল টা আমার সামনে ধরে রেখেছেন। তাকে দেখে কেউ উপলব্ধিই করতে পারবে না সে যে একটু আগে এতো বড় কান্ড ঘটিয়ে এলো। পানির বোতল টা নিয়ে ধীরে সুস্থে খেয়ে নিলাম।হঠাৎ আলআবি ভাইয়া বলে উঠলেন,,,

–যেখানে অস্বস্তি হচ্ছিল সেখানে বসে থাকার দরকার কি ছিল?

তার দিকে দৃষ্টি দিতেই দেখি সে প্রশ্নসূচক চাহনিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।সে যে আমার থেকে পাল্টা উত্তর আশা করছে তা আমার বুঝতে বেশি বেগ পেতে হলো না।কিন্তু এমুহূর্তে আমার মাথায় ঘুরছে অন্য ভাবনা।আলআবি ভাইয়া কেনো এমন একটা কান্ড করলেন? তার সাথে যেহেতু আগের থেকে কথাটা এখন একটু বেশি বলি,যেহেতু তার সাথে সহজ হয়ে এসেছি তাই তাকে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম।

–আচ্ছা আপনি ওমন কেন করলেন? (আমি)

উনি হতাশাগ্রস্ত এক চাহনি দিয়ে আমাকে বললেন,,,

–যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর!

সে আবারো বলে উঠলেন,,,

–তোমার ছোট মাথায় ঢুকবে না।চলো তোমার ভাই আবার তোমাকে এতোসময় না দেখলে ভাববে তার ফিডার খাওয়া বোন নিয়ে আমি ভেগেছে।

তার এরূপ কথায় আমি রেগে গেলাম।তাকে কটমট করে বললাম,,,

–হ্যাঁ! আমি ফিডার খেলে আপনি এখনো ডায়াপার পরে বেড়ান।

বলেই হনহনিয়ে তিন তলায় চলে গেলাম।একা এসেও পরে গেলাম মুসিবতে।ভাইয়ারা কোন স্টলে বুঝবো কীভাবে? তাই প্রত্যেকটা স্টলেই ঘুড়ে ঘুড়ে ওঁদের খুঁজে বেড়াচ্ছি। হঠাৎ করেই কেউ আমার হাত ধরে সোজা হেটে যাচ্ছে। একমুহূর্তের জন্য মনে হলো আমার কলিজার পানি শুকিয়ে গেছে। কিন্ত হাত ধরে হাটতে থাকা লোকটার পানে তাকিয়ে আলআবি ভাইয়াকে দেখে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।

একটু সামনে এগিয়ে এসে ভাইয়াদের পেয়ে গেলাম।আমাদের দেখে সজল ভাইয়া বলে উঠলেন,,,

–আলুবাবু?ফুডকোর্টের খাবার কি সব একলাই খেয়ে এসেছিস?

কথাটা আমার কর্ণপাত হতেই হাসতে হাসতে আমার গড়াগড়ি খাওয়ার অবস্থা হয়ে গেলো।কথাটা যে আলআবি ভাইয়াকেই বলা হয়েছে তা বুঝে গিয়েছি।আমার সাথে তাসফি আপুও হেঁসে উঠলো। কিন্তু আপু হাসিটা চেপে রাখছে।আমি কোনো মতেই হাসি থামাতে পারছি না।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিয়াজ ভাইয়া আমাদেরকে চুপ থাকতে বললেন।কিন্তু আলআবি ভাইয়া কোথায় যেন চলে গেলেন। আমি সজল ভাইয়া কে বললাম,,,

–কি হলো?

সজল ভাইয়া বলতে লাগলো,,,

–ওকে আলুবাবু বললে রাগ করে।আসলে ও ছোট বেলায় খুব স্বাস্থ্যবান ছিল।বুঝই তো ছোট গলুমলু বাচ্চাদের আদর করে সবাই একটু আকটু আলু খালু বলে ডেকে থাকে।ওর বেলাতেও ব্যতিক্রম হয়নি।আমরা ফ্যামেলি মেম্বাররা, কাজিনরা এখনো দুষ্টমির ছলে ওকে আলুবাবু বলে ডাকি।আজকে আসলে ভুলটা আমারই।ওকে কাজিন সার্কেলের বাইরে আলু খালু বলে ডাকতে ও একদম নিষেধ করে দিয়েছে।রাগটা আজকে মনে হয় ও একটু বেশিই করে ফেলেছে।এখান থেকে গিয়ে ওকে সরি বলতে হবে।

–ও তাহলে এই ব্যাপার।আমার হাসাটা উচিৎ হয়নি তাই না?(আমি)

–একক্ষেত্রে উচিৎ হয়নি আবার আরেক ক্ষেত্রে হয়েছে। দেখ তুমি তো আর জানতে না তাই না।আর তোমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে সেও তোমার মতো রিয়েক্ট করতো।

সব শপিং শেষ করে আমরা মলের বাইরে এসে দেখি আলআবি ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে।নিয়াজ ভাইয়া বলল,,,

–তাসফি ফুচকা খাবে?

তাসফি আপুর আগেই আমি বলে উঠলাম,,,

–হ্যাঁ!হ্যাঁ!হ্যাঁ!অবশ্যই খাব।এগুলো কি আবার বলা লাগে?

নিয়াজ ভাইয়া বলে উঠলো,,,

–এহ ভাব দেখ! মনে হয় যেনো আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছি।

–আমি তো হ্যাঁ ই বললতাম।আমার টা জুইঁ বলে দিয়েছে। একই তো হলো।(তাসফি আপু)

–হ্যাঁ।বলে দিয়ে আমার রোমান্স টাইম স্পয়েল করে দিল।কোথায় আমি একটু বলব “তাসফি ফুচকা খাবে”? তখন তুমি আমার কাছে ওর মতো বাচ্চামো করে লাফিয়ে লাফিয়ে ফুচকা খেতে চাইবে।আর আমি তখন ওই দৃশ্য দেখে আমার মন জুরাবো।আহা!

কথা গুলো বলেই আমার মাথায় দুই আঙুল দিয়ে গুঁতো মেরে বলল,,,

–মাথায় শুধু গোবর ভরা তোর।

আমি সবার প্রতিক্রিয়া অনুধাবন করতে আড় চোখে সবাইকে দেখছি।তখন দেখি তাসফি আপু একটু রাগী রাগী চেহারা করে দেখছে ভাইয়াকে।সজল ভাইয়া তার মুখে মৃদু হাসি ঝুলিয়ে রেখেছে আর আলআবি ভাইয়া একমনে পারলে মোবাইলের ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে। তখন আলআবি ভাইয়া মোবাইলটা পকেটে ঢুকিয়ে বলে উঠলেন,,,

–তোর বাচ্চা বোন কি জানে তার ভাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে রোমান্স শুরু করে দিবে।আর তোর রাস্তায় রোমান্স জাগে কীভাবে ভাই?

আলআবি ভাইয়ার বাচ্চা বলায় তাকে জোড় গলায় বলে উঠলাম,,,

–বাচ্চা কে?

–১৮ বছরের নিচে সকল ছেলে-মেয়ে কে সরকার বাচ্চা বলে ঘোষণা করেছে।আই মিন শিশু বলে।যেখানে তোমার নামও আছে।(আলআবি)

–আর কয়েক মাস পরেই আমার ১৯ হবে।আর ১৮ যেহেতু চলে সেহেতু আমি আর শিশু নই।(আমি)

–মাশাল্লাহ! জানতাম না তো? তাহলে বিয়ে করাই যায়।বয়স হয়েছে। (আলআবি)

তার মুখে এরূপ কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলাম আমি।মুহূর্তের মধ্যেই বিষন্নতা এসে ঝেকে বসলো।বিয়ে নামক শব্দটাই তো আমার জীবন বিষিয়ে তুলেছে। একবার এই শব্দ টার সঙ্গে পরিচিত হয়ে জীবনের এক নিদারুণ অভিজ্ঞতা আর অধ্যায়ের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে। যার স্বাদ দ্বিতীয় বার আর নিতে চাই না।

হঠাৎ আমার সম্বিত ফিরে এলো ভাইয়ার কথায়।

–দয়া করে এখন ফুচকা খেতে চল?

ফুচকা খেতে এসে চুপচাপ শুধু খেয়ে যাচ্ছি। আজ আর ফুচকায় তৃপ্তি বলে কিছু খুজে পাচ্ছি না।দু একবার আলআবি ভাইয়ার দিকে নজর পরেছে।তাকে দেখলাম একটা চেয়ারে বসে কিছুটা ঝুকে মাথা নিচু করে দুই হাতের কনুই দুই হাটুর উপর ভর দিয়ে নিচের দিকে দৃষ্টি রেখে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে।

রাতে বারান্দায় বসেছিলাম তখন ভাইয়া এসে দরজায় নক করে।দরজা খোলাই ছিলো।সচারাচর খোলাই থাকে।শুধু রাতে দরজা বন্ধ করে ঘুমাই। ভাইয়া দরজা খোলা থাকা সত্ত্বেও নক করে আসে।ভাইয়া এসে আমার পাশেই বসে পরলো।

–আজ জায়েফ এসেছিলো আমি জানি।

ভাইয়ার কথায় অবাক করা দৃষ্টিতে তাকালাম।ভাইয়া আবারও বলতে শুরু করলো,,,

–কখনো অতীত আর ভবিষ্যৎ নিয়ে পরে থাকতে হয় না।বর্তামানে তুই কি করছিস তা হলো মুখ্য বিষয়।যখন কেউ একটা জামা পরিধান করে তখন তার ওড়না ঠিক আছে কিনা, পায়জামা ঠিক আছে কিনা, জামাটা আয়রন করা কিনা,জামাটার সাথে কোন ব্যাগ বা হিজাব টা মানাবে তা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।জামাটা পরিধানের আগে যেই জামা টা সে পরে থাকে সেটা হয়তো পুড়নো হলে ফেলে দেয় অথবা ধুয়ে আলমারিতে তুলে রাখে।কখনো দেখেছিস সে এক জামার সাথেই দুইটা ওড়না বা দুইটা পায়জামা এক সাথে পরেছে।আবার অপর দিকে সে ভবিষ্যতের জন্য ভালো জামা গুলো তুলে রাখছে।সঠিক সময় সঠিক স্থানেই সেগুলো পড়বে বলে।তোকে কেবল উদাহরণের জন্য জামা দিয়ে বুঝালাম।এখন কতটুকু তুই বুঝেছিস তা তোর ব্যাপার।

ভাইয়ার সাথে আরো কিছুসময় কথাবার্তা বলে ঘুমিয়ে পরলাম।ভোরের দিকে মেঘের গর্জন এসে জানান দিলো বৃষ্টি হচ্ছে।ঘুম ভাঙতেই দেখলাম ঘড়িতে ৫ টা বেজে ১০ মিনিট। বাইরে তুমুল বেগে ঝড় হচ্ছে। নামাজ টা পড়ে খেয়াল করলাম, বৃষ্টির গতি এতই বেশি যার ফলে বৃষ্টির ঝাপটা এসে বারান্দা পেড়িয়ে কিছুটা বারান্দার দরজার সামনের জায়গা টুকু কেও ছুঁয়ে দিচ্ছে। দরজা টা বন্ধ করার জন্য বারান্দার দিকে এগিয়ে যেতেই চোখে পরলো নীল রঙের একটা বক্স।নীল রঙের বক্স বললে ভুল হবে কারণ বক্সটা মুলত নীল রঙের একটা রেপিং পেপারে মোড়ানো। তার উপরে হালকা হলদে রঙের একটা গোলাপ ফুল। গোলাপ টাকে বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। নীল রঙের রেপিং পেপারে মোড়ানো বক্সটাতে ফোঁটা ফোঁটা জল কণা জমেছে। কাছে গিয়ে বক্সটা নিয়ে রুমে এসে পরলাম। বক্সটার উপর কাগজের টুকরোর ন্যায় কিছু একটা লক্ষ্য করলাম।ভালো করে খেয়াল করতেই দেখলাম নীল কালিতে লেখা “বর্ষণ সঙ্গিনীর জন্য”যা বৃষ্টির পানিতে অস্পষ্ট হয়ে আছে।তবে লেখাটা বোধগম্য হচ্ছে।

হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠলো। ফোনের স্ক্রীনে একটা আননোন নাম্বার ভেসে উঠেছে।নাম্বার টা কিছুটা পরিচিত বলে মনে হচ্ছে। আবার অপরিচিত মনে হচ্ছে। ফোনটা দুইবার বেজে বেজেই বন্ধ হয়ে গেলো।তিনবার এর বার ফোনটা রিসিভ করলাম। ফোনের ওপাশের লোকটার কন্ঠ আমার চিনতে অসুবিধা হলো না। অন্য সময় হলে হয়তো রাগ হতাম বা ভয় পেতাম। তবে আজ আর তেমন কিছু হলো না। আগে থেকেই একটা ধারনা ছিল এমন কিছু হতে পারে।

চলবে…………..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে