বর্ষণ মুখর দিন পর্ব-০৭

0
980

#গল্পঃবর্ষণ_মুখর_দিন
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্বঃ০৭

নিয়াজের বাবা মা নিয়াজকে সাথে নিয়েই জারার খালার বাসায় আসেন।জারার বাবা মায়ের নিয়াজকে বেশ মনে ধরেছে।তাই কথা এগোনোর জন্য জারার বাবা গলা ঝেড়ে বললেন,আল্লাহর রহমত থাকলে বিয়েটা হবে কিন্তু আমার কিছু শর্ত আছে।
নিয়াজের বাবা হালকা হেসে বললেন,জ্বি আপনি বলুন।
নিয়াজের বাবার কাছ থেকে সম্মতি পেয়ে জারার বাবা বললেন,আমার মেয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চায়।এখন বিয়ের পর যদি আপনারা বলেন যে বাড়ির বউ পড়ালেখা করতে পারবেনা তাহলে দুঃখিত আমরা এগোতে পারছিনা।

নিয়াজ ঝটপট উত্তর দিলো,জারা পড়ালেখা করবে এতে আমার কোনো সমস্যা নেই।ও চাকরিটাও চালিয়ে যেতে পারে।নিয়াজের বাবা ও জারার বাবাকে আস্বস্ত করলেন।জারার বাবা সন্তুষ্ট হলেন।ক্ষীণ হেসে মিষ্টির প্লেট থেকে একটা মিষ্টি তুলে নিয়াজের বাবার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন,মিষ্টি মুখ করে নিন।
নিয়াজের বাবা একটু মিষ্টি মুখে নিয়ে জারার বাবাকেও খাইয়ে দিলেন।
অবশেষে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হলো।কায়া আর জারার একই দিনে বিয়ে হবে।জারা পর্দার আড়াল থেকে সবকিছুই দেখছে।নিয়াজের সাথে চোখাচোখি হতেই জারা লুকিয়ে পড়ে।নিয়াজ মুচকি মুচকি হাসছে।নিয়াজের মা পার্স থেকে একটা রিং বক্স বের করে জারার মা কে বললেন জারাকে ডেকে আনতে।জারার মা উঠে গিয়ে জারাকে নিয়ে আসলেন।জারা মাথায় ওড়না দিয়ে আড়চোখে একবার সবাইকে দেখে নিয়েছে।জারাকে নিয়াজের পাশে বসিয়ে দিলেন।জারার হৃদ স্পন্দন থেমে আসছে।মিসেস রেনু বক্স থেকে রিং নিয়ে নিয়াজের দিকে বাড়িয়ে দিলেন জারাকে পড়িয়ে দেওয়ার জন্য।আসার সময় রিংটা নিয়ে এসেছেন যদি বিয়ের কথা পাকা হয়ে যায় তাহলে জারাকে রিং পড়িয়ে যাবেন।নিয়াজ রিং নিয়ে জারার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো কিন্তু জারা নিজের হাত এগিয়ে দিচ্ছেনা।থম মেরে বসে রইলো।জারার বাবা বললেন,হাতটা এগিয়ে দাও মা।জারার কেমন কান্না পাচ্ছে হাতটা এগিয়ে দিতে।মনে হচ্ছে রিংটা পড়ালেই জারা বাবা মায়ের থেকে অনেক দূরে সরে যাবে।যদিও চার বছর ধরেই বাবা মায়ের কাছ থেকে দূরে আছে তবু এখন মনে হচ্ছে আরো দূরে সরে যাবে।

চোখে পানি চিকচিক করছে।জারার মা উঠে এসে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন হাতটা এগিয়ে দে মা।কাঁপাকাঁপা হাতটা নিয়াজের দিকে বাড়িয়ে দিলো।জারার কম্পমান হাতের দিকে তাকিয়ে নিয়াজ নিশঃব্দে হাসে।নিজের বাম হাত দিয়ে জারার হাত স্পর্শ করতেই জারার কাঁপা-কাঁপি আরো বেড়ে যায়।শরীর ক্রমেই ঠান্ডা হয়ে আসছে।গতকাল ও ক্ষণিকের জন্য নিয়াজ জারার হাত ধরেছিল।কিন্তু এখন অস্বস্তি হচ্ছে বেশি।কালকে হাত ধরার সময় কেউ না থাকলেও আজ সামনে বাবা মা,খালা,খালু সবাই উপস্থিত।নিয়াজ দেরি না করেই রিংটা জারার হাতে পড়িয়ে দিয়ে দ্রুত হাত সরিয়ে নেয়।
নিয়াজ হাত সরাতেই জারা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে।মিসেস রেনু জারার গালে হাত রেখে ক্ষীণস্বরে উচ্চারণ করলেন,আমার বউমা!
কথাটা কর্ণগোচর হতেই জারা দৃষ্টি চারদিকে ঘুরাতে থাকে।বউমা কথাটা শুনতে কেমন জানি লাগছে।

নিয়াজরা চলে গেছে অনেক আগেই।জারা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে হাতের রিংটা দেখছে।আজ থেকে সে কারো বাগদত্তা।কথাটা ভাবতেই মনের মাঝে একটা ঢেউ খেলে গেলো।রিংটা খুলে রাখতে গিয়ে ও খুললোনা।হাতেই রেখে দিলো।তুহিন জারার রুমে এসেই বলল,তোর নাকি আজ এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে?কই দেখি রিংটা দেখা আমাকে।জারা হাত এগিয়ে তুহিনের সামনে ধরতেই তুহিন জারার হাত উল্টে পাল্টে দেখে বলল,রিং এর গড়ন সুন্দর।এই রিং আমাকে দিয়ে দিস ভবিষ্যতে আমি আমার বউকে দেবো।
জারা তুহিনের বাহুতে একটা চাপড় মেরে বলল,নিজের টাকায় বউকে গিফট করিস।অন্যের জিনিস নিয়া টানাটানি করিস না।আর তুই কয়জনকে বিয়ে করবি তোরতো গার্লফ্রেন্ড এর অভাব নাই।
তুহিন মুখ বাঁকিয়ে বলল,এদের একজনকেও বিয়ে করবোনা।সবাই আমার গার্লফ্রেন্ড আছে জেনেও প্রপোজ করলে রাজি হয়ে যায়।তাই আমি ও সময় কাটানোর জন্য এদের সাথে কথা বলি।

একটা লাল রঙের শাড়ি পড়ে সাথে হিজাব লাগিয়ে অফিসের জন্য তৈরি হয়ে নিয়েছে জারা।চোখে গাঢ় কাজল,ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে বারবার আয়নায় নিজেকে দেখছে।নিজেই নিজের গাল টেনে দিয়ে বলল আউ!আমি কি কিউট!শাড়ি পড়লে আমার নিজেই নিজেকে তুলে নিয়ে যেতে ইচ্ছা করে।গালে হাত দিয়ে ভাবনার ভঙ্গিতে বলল,আচ্ছা লোকে যদি শুনে শাড়ি পড়ে নিজেই নিজের প্রশংসা করছি তাহলে কি আমায় পাগল ভাব্বে?যেটাই ভাবুক তাতে আমার কি?
জারা অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে।
অফিসে এসে জারা খেয়াল করলো শুধু সে নয় আরো অনেকেই পার্টির জন্য রেডি হয়ে এসেছে।রিহা আজ আর অফিসে আসবে না।রাফি আর আরেকজন কলিগ মিলে জারার গায়ে একটা প্লাস্টিকের সাপ ছুড়ে মারে।জারা কিছুক্ষণ সাপটার দিকে তাকিয়ে থেকে জোরে একটা চিৎকার দিয়ে রাফির দিকে তাকিয়ে বলল,হয়েছে?

রাফি আর সাথের কলিগ একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছে।জারা ওদের দিকে তাকিয়ে বলল,তোমরাতো এটাই চাইছিলে আমি যেন ভয় পেয়ে চিৎকার করি তাই চিৎকার দিলাম।
রাফি চোখ কিঞ্চিৎ বড় করে বলল,তুমি ভয় পাওনি দেখে আমরাতো পুরাই অবাক!
জারা ফিক করে হেসে দিয়ে বলে,তোমরা যখন প্ল্যান করছিলে আমাকে ভয় দেখাবে তখনই আমি শুনে ফেলেছি।আগাম ধারণা না থাকলে কিন্তু সত্যিই ভয় পেতাম।রাফি ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে বলল,মিস এশা আসুক তাকে ভয় দেখাবো।তবে তোমাকে আজ পুরাই জোস লাগতেছে।শাড়িতে বেশ মানিয়েছে।
জারা মনে মনে বলল,শাড়ি পড়লে আমার নিজেরই মাথা ঠিক থাকেনা।কিন্তু হাসি মুখে বলল,ধন্যবাদ!তোমাদের দুজনকেও সুন্দর লাগছে।

সবার দৃষ্টি অফিসের দরজার দিকে দেখে জারাও সবার দৃষ্টি অনুসরণ করে সামনে তাকালো।এশা শাড়ী পড়ে হেলেদুলে আসছে।সবার এরকম দৃষ্টির মানে দুইটা।প্রথমত এশাকে কোনোদিন শাড়ি পড়তে দেখা যায় নি দ্বিতীয়ত এমন ভাবে শাড়ির আঁচল টেনেছে একটু বাঁকা হলেই মনে হচ্ছে আচলটা পড়ে যাবে শরীর থেকে।এশার হাটার মাঝেই রাফি প্লাস্টিকের সাপটা এশার গায়ে ছুড়ে মারে।এশা চিৎকার করে লাফিয়ে সরতে গিয়ে ডেস্কের সাথে বাড়ি লাগে।সবাই মুখ টিপে হাসছে জারা হো হো করে হেসে উঠলো।

এশা যখন দেখলো সাপটা প্লাস্টিকের তখন রাফিকে কয়েকটা কথা শুনিয়ে দিয়ে জারার দিকে এগিয়ে আসে।জারা হাসি থামিয়ে ঠিক করে বসে।এশা মুখ কুচকে বললো,তুমি এভাবে হাসছো কেন?নিজের সাথে এমন হলে বুঝতে।আঙ্গুল দিয়ে কপালের চুলগুলো সরিয়ে বলল,এনিওয়ে তোমার নাকি নিয়াজ স্যারের সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে?এতো ভাব নিও না নিয়াজ স্যারের চেয়েও আমার নিউ বফ আরো হ্যান্ডসাম।
জারা মুচকি হেসে দাঁতে দাঁত পিষে বলল,আমি যদি ভাব নেওয়া শুরু করি তাহলে তোমার সব ভাব হাওয়া হয়ে যাবে।লম্বা একটা হাই তুলে বলল,আমার এখন প্রচুর কাজ নিজেও কাজ করো আমাকেও কাজ করতে দাও।
এশা রাগে ফুঁসতেছে।বেশ জোরেই বলে উঠলো তোমার চেয়েও আমি বেশি সুন্দরী।সবাই জারা আর এশার দিকে তাকালো।জারা কিছু না বলে ঠোঁট টিপে হাসলো।মুখে হাসি রেখেই কাজে মন দিলো।এশা নিজের কেবিনে গিয়ে ধপ করে বসে পড়লো।জারার এশার সাথে কোনো শত্রুতা নেই কিন্তু মেয়েটার সেদিনের কথাটা জারার খুব গায়ে লেগেছে।

“এতগুলো দিন এখানে আছি নিয়াজ স্যারের পাশে ঘেষতে পারলাম না।আর তুমি কিনা আসতে না আসতেই একেবারে বুকের কাছে চলে গেলে।এই তোমার ট্রিকসটা আমাকেও একটু শিখিয়ে দিও।”
কথাটা শুনে বেশ খারাপ লাগলো জারার।সেই জন্যই এশার সাথে এরকম করলো।
নিয়াজ অফিসে এসে নিজের কেবিনে যাওয়ার আগে একপলক জারার কেবিনে তাকালো।জারার দিকে তাকাতেই নিয়াজের দৃষ্টি ওখানেই থেমে গেলো।তৃষ্ণার্ত চোখদুটো আজীবন ধরে এই মেয়েটাকেই দেখে যেতে চায়।অপরূপা লাগছে জারাকে লাল শাড়িতে।জারা সামনে তাকিয়ে নিয়াজকে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে দৃষ্টি নামিয়ে নেয়।চোখাচোখি হওয়াতে নিয়াজও নিজের দৃষ্টি সরিয়ে কেবিনে চলে যায়।

নিজের কেবিনে যাওয়ার আধা ঘন্টা না যেতেই নিয়াজের কেবিনে জারার ডাক পড়লো।যারা নিয়াজের আন্ডারে কাজ করে প্রতিদিন একবার হলেও নিয়াজের কেবিনে তাদের যাওয়া হয়।তাই জারার আসা যাওয়া নিয়েও কারো তেমন মাথা ব্যথা নেই।জারা দরজায় নক করতেই নিয়াজ কিছু কাজ দিয়ে জারাকে নিজের কেবিনে একটা চেয়ারে বসিয়ে দিলো।
জারা আড়ষ্টতা নিয়ে বলল,স্যার আমি আমার কেবিনে চলে যাই।
নিয়াজ শক্ত কন্ঠে জবাব দিলো,কাজটা নিখুতভাবে করতে হবে।কোনো সমস্যায় পড়লে আমাকে দেখাবে সেজন্যই এখানে বসিয়েছি।
জারা কিছু বলতে গেলেই নিয়াজ হাত উঁচিয়ে জারাকে থামিয়ে দিয়ে বলল,নো মোর টক!

জারা আর কোনো কথা না বলে মাথানিচু করে কাজে মন দেয়।নিয়াজ কাজ করছে কম জারাকে দেখছে বেশি।জারাকে এখানে কাজের উদ্দেশ্য নয় মন ভরে দেখার উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে।নিয়াজ চায়না সে ছাড়া অন্যকেউ জারাকে শাড়ীতে দেখে মোহিত হোক।
অফিস শেষে সবাই গ্রীনল্যান্ড রেস্টুরেন্টে চলে গেছে।জারা হেঁটে যাচ্ছিলো।রেস্টুরেন্ট কাছেই অফিস থেকে পাঁচমিনিটের পথ হবে।পাশে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে মাথা ঘুরিয়ে পাশে তাকালো।নিয়াজ সামনে তাকিয়ে জারার পাশাপাশি হেঁটে চলেছে।কারো মুখে কোনো কথা নেই।নিয়াজ নিশ্চুপ থেকে পাশে ভালোবাসার মানুষটিকে অনুভব করে চলেছে।জারা একরাশ অস্বস্তির কারনে চুপ করে হেটে চলেছে।রেস্টুরেন্টের কাছাকাছি আসতেই নিয়াজ শব্দ করে বলে ওঠে,”মাশাল্লাহ”।
চকিতেই নিয়াজের দিকে চমকে তাকায় জারা।নিয়াজের দৃষ্টি জারার দিকে।অপলক সেই চাহনি।জারা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে নিয়াজের থেকে আরেকটু দূরত্ব বজায় রেখে হাটে।

রিহা জারার দিকে এগিয়ে এসে বলে,আমি অনেক খুশি হয়েছি তুমি আমার বার্থডেতে এসেছো।জারা মিষ্টি হেয়ে বলল,শুভ জন্মদিন রিহুপাখি!নিজের ব্যাগ থেকে একটা ব্রেসলেট বের করে রিহার হাতে পরিয়ে দিয়ে বলে,আমার তরফ থেকে সামান্য উপহার।রিহার ব্রেসলেট অনেক পছন্দের।একদিন হাতে এক ডিজাইনের ব্রেসলেট পড়ে অফিসে আসতো তাই জারা কি কিনবে ভেবে না পেয়ে শেষে ব্রেসলেট কিনে নিলো অফিসে আসার পথেই।রিহা ব্রেসলেটটার দিকে তাকিয়ে খুশিতে আপ্লুত হয়ে বলল,ওয়াও ব্রেসলেটটা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।তোমাকে অনেকগুলো থাঙ্কু🥰।

পার্টির এক পর্যায়ে রিহা জারাকে বলল,আমার বার্থডেতে তুমি একটা গান শোনাবা।সবাই রিহার সাথে একমত হয়ে সমস্বরে বলে ওঠে জারা প্লিজ একটা গান।
জারা মুখ চেপে হাসি আটকানোর চেষ্টা করেও যখন ব্যর্থ গলার রগ গুলো বেরিয়ে আছে।এই মুহূর্তের একটা ছবি তুলে নিলো নিয়াজ।
জারা হাসি থামানোর চেষ্টা করে বলল,আমি গানের গ পারিনা।তোমরা আমাকে গান গাইতে বলছো দেখে প্রচুর হাসি পাচ্ছে।সবাই কয়েকবার বলার পরেও যখন জারা বলল,ও গান পারেনা তখন রিহা সবাইকে আর বেশি জোর করতে না করলো।এশা রিহার কাঁধে হাত রেখে বলল,আমি তোমাকে গান শোনাবো।সবার দৃষ্টি এশার দিকে।খুব সুন্দর করেই গান গাইলো।সবাই এশার কন্ঠের অনেক প্রশংসা করলো।এশা জারার দিকে তাকিয়ে ভাব নিয়ে সামনের চুলগুলো পেছনের দিকে হাত দিয়ে ছুড়ে দেয়।জারাকে বুঝিয়ে দেয় এশার সাথে টক্কর নেওয়া অতো সোজা না।জারা কিছু না বলেই মুচকি হাসে।সবার সব প্রতিভা থাকেনা।
পার্টি শেষ হওয়ার পর জারা বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে।নিয়াজ গাড়ি নিয়ে এসে জারার সামনে দাঁড়ায়।অনেক্ষণ যাবত নিয়াজকে দেখেনি জারা।মনেহয় গাড়ি আনতেই গিয়েছিলো।নিয়াজ গাড়ির দরজা খুলে দিয়ে জারার উদ্দেশ্য বলল,গাড়িতে উঠো।
জারা কিছু না বলে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে।নিয়াজ গাড়ি থেকে নেমে জারার দিকে এগোতে নিলেই সামনে একটা বাইক এসে থামে।
তুহিন জারাকে বলে তাড়াতাড়ি উঠে আয়।ভাইয়া আবার বাইক নিয়ে বেরোবে।জারা গিয়ে তুহিনের পেছনে বসে পড়ে।পার্টি শেষ হতে হতে রাত হয়ে যাবে।এই সময় বাসায় একা যাওয়া সেফ না তাই জারা তুহিনকে আগেই বলে রেখেছে ওকে নিতে আসতে।
নিয়াজ মুখটা পাংশুটে করে মনে মনে বলল,এই ছেলে আসার আর সময় পেলোনা।আরো আধাঘন্টা পরে আসতো তাহলে আমি জারাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসতে পারতাম।
তুহিন নিয়াজের পাংশুটে মুখ দেখে জারার আড়ালে নিয়াজকে একটা চোখ টিপ দিয়ে বাইক স্টার্ট করে।
নিয়াজের মেজাজ গরম হয়ে গেলো।ছেলেটা সব বুঝতে পেরেও জারাকে নিয়ে যাচ্ছে।স্টুপিড ছেলে!
#চলবে……।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে