বনলতা পর্বঃ১

0
1557

#গল্পপোকা_ধারাবাহিক_গল্প_প্রতিযোগিতা_২০২০
বনলতা পর্বঃ১
-হাফিজা রহমান তীথি

দুপুরের খাবার রান্না করছি রান্নাঘরে এমন সময় হন্তদন্ত হয়ে ডাকা শুরু করলো,নন্দন।
“নন্দিনী,রান্না কি শেষ হয়ে গেছে?”
কিছুক্ষণ আগে তো রান্নাঘরে ঢুকলাম,এত তাড়াতাড়ি কিভাবে রান্না শেষ হয়?এতটুকু সাধারণ জ্ঞান এই মানুষটার মাথায় এখনও কাজ করছে না(বিড়বিড় করে বলছিলাম)।

বিরক্ত হয়ে উত্তর দিলাম,”আমার হাতে কি আলাদিনের চ্যারাগ আছে,যে ফু দিলাম আর ওমনি সব রান্নাবান্না শেষ হয়ে গেলো!”

নন্দন আমার বিরক্তি গায়ে মাখলো না।সে অতি গুরুত্বের সাথে বললো,”চুলাটা বন্ধ করো, না হয় আঁচ টা কমিয়ে দিয়ে একটু এদিকে আসো তো জলদি।”

বাধ্য হয়ে চুলার আঁচ টা কমিয়ে দিয়ে গেলাম তার জরুরী আহ্বানে।গিয়ে দেখি হাতে একটা বাটি নিয়ে বসে আছে।বাটির দিকে খেয়াল করে মনে হলো পেঁয়াজ বাটার মতো।
নন্দন আমার দিকে তাকিয়ে আছে। জিজ্ঞেস করলাম,”বাটিতে কি?”
বেশ খুশী মনে উত্তর দিলো, “তখন তোমার থেকে যে পেঁয়াজগুলো নিয়েছিলাম সেই পেঁয়াজগুলো ব্লেন্ড করেছি।”
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,”কেনো?”
“আমি ইউটিউবে দেখেছি চুলে পেঁয়াজের রস লাগালে চুল ঘন হয়,গোড়া শক্ত হয়,দ্রুত বড় হয়,চুল পড়াও বন্ধ হয়।”

আমি আরও অবাক হয়ে বললাম,”তোমার চুল তো ছোট ছোট, এতখানি ব্লেন্ড করেছো কেনো?”
দু’ঠোঁট ভর্তি হাসি দিয়ে বললো, “আমার চুলে দিবো না তো,তোমার চুলের জন্য ব্লেন্ড করেছি।এখন এখানটায় বসো তাড়াতাড়ি লাগিয়ে দেই সুন্দর করে।তারপর রান্না করতে যেও।”
আমি ফ্যাল ফ্যাল করে নন্দনের দিকে তাকিয়ে বললাম,”কিন্তু আমার চুল তো এমনিতেই ঘন,অনেক লম্বা,গোড়াও শক্ত।তাহলে?”

নন্দন বললো,”এটা যেন দীর্ঘস্থায়ী থাকে তাই এই পদক্ষেপ। এখন তাড়াতাড়ি বসো,তোমার তরকারি কিন্তু পুড়ে যাবে শেষে।”
আমি বসে পড়লাম,নন্দনের সাথে কথা বাড়ানোর ইচ্ছে হচ্ছে না।এই মানুষটা বিয়ের পর থেকে দেখছি আমার দিকে যতটা না খেয়াল রাখে তার থেকে দশগুণ বেশি আমার চুলের খেয়াল রাখে।

পেঁয়াজ লাগানো শেষ হলে আমি রান্না শেষ করে গোসল করে নিলাম।নন্দন গুগল,ইউটিউব, ফেসবুকে সব থেকে বেশি সার্চ করে চুল বিষয়ক পরামর্শগুলো। ডাক্তারের সাথে নন্দনের সব থেকে বেশি কথা হয় আমার চুল নিয়ে। এই মানুষটা সাপ্তাহিক ছুটির দিনেটাও আমার চুলের পিছনে ব্যয় করে। চুলের প্রতি দিন দিন ওর এতো যত্ন আমাকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।ওর মুখের দিকে তাকালে আর কিছু বলতেও পারিনা।

গোসল শেষ করে আয়নার সামনে বসে তোয়ালে দিয়ে চুল মুছছি,এমন সময় নন্দন পিছন থেকে এসে ঘাড়ের কাছে মুখ রেখে বললো,”তোমার চুলের স্পর্শ ছাড়া আমার যেন একদিনও থাকতে না হয়।”

খুব রাগ হলো নন্দনের কথা শুনে।কোথায় সে আমার একটু প্রশংসা করবে,তা না পড়ে আছে চুল নিয়ে।মেয়েদের নাকি তিন সময়ে খুব ভালো লাগে।ভেজা চুলে,ঘুমিয়ে গেলে এবং শাড়ি পড়লে। ভেজা চুলে আমার সৌন্দর্য পাত্তা না দিয়ে নন্দন পড়ে আছে শুধুই চুলের সৌন্দর্য নিয়ে।

রাগ করে উঠে চলে যাচ্ছিলাম, এমন সময় আমার বাম হাতটা ধরে বসলো। হাত ছাড়িয়ে নিতে চাইলে আরো চেপে ধরলো। সমস্ত রাগ নিয়ে কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি ওর দিকে।
নন্দন তার সারামুখ জুড়ে থাকা হাসি নিয়ে কানের কাছে এসে আস্তে করে বললো, “এই নন্দিনী, রাগ করো কেনো এতো? তুমি তো তোমার চুলের থেকেও বেশি সুন্দর।”
কথাটা শুনে খুশী হওয়ার কেবলই অভিনয় করলাম।কেননা আমি তখন রাগান্বিত ছিলাম।

ছোটবেলা থেকেই আমার চুল বেশ ঘন এবং ভীষণ কালো। মা তাই আমি একটু বড় হওয়ার পরেই যত্ন করে চুলগুলো রেখে দিয়েছিলেন,চুলগুলো আর কাটতে দেন নি কখনও।লম্বা চুলের জন্য বন্ধুমহলে বনলতা নামটা সবার বেশ মুখে মুখে ছিলো।সবাই আমায় বনলতা বলেই ডাকতো।সুন্দর চুলের জন্য প্রশংসা কুঁড়িয়েছি অনেক,তবে কখনও ভাবতে পারিনি এই চুলের উপর দূর্বল হয়ে কেউ একজন আমায় বিয়েই করে নিবে।
নন্দনের পরিবার যেদিন আমায় দেখতে এলো আমি মায়ের একটা শাড়ি পড়ে মাথায় কাপড় দিয়ে মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে ছিলাম।তাঁরা কোনো প্রশ্ন করলে আমি কেবলই হ্যাঁ বা না শব্দে সেটার উত্তর দিতাম তাও বেশ খানিক পরে।আমার এমন আচরণ দেখে ছেলেপক্ষ ভেবেই নিয়েছিলো আমি হয়তো বিয়ের জন্য রাজী নই।অবশ্য আমি রাজী ছিলামও না।
কারণ আমি তখনও চাইতাম আমার এই বনলতা জীবনে একজন জীবনানন্দ আসুক।তাঁর সাথে চোখাচোখি হোক, লুকিয়ে প্রেম হোক,বাসায় ধরা পড়ার পর বিয়ে হোক।কিন্তু সব আশা জলে গেলো যখন পাত্রপক্ষের সামনে আমার মাথার কাপড়টা পড়ে গেলো,কাপড়টা তুলতে তুলতে চুলের মোটা খোপা টা তখন সবার দৃষ্টিতে পড়ে গেলো।নন্দনের চোখ গেলো ওখানটাতেই আঁটকে আর আমার হলো সর্বনাশ।সবার সামনে নন্দন চট করে বলে বসলো,”আমার পছন্দ হয়েছে,আমি একেই বিয়ে করবো।”

জীবনে একজন জীবনানন্দ এলো ঠিকই।কিন্তু তার মুগ্ধতার আশি ভাগ আমার চুলের ভেতরেই ডুবে রইলো। বাসর রাতে তার মুখে আমার চুলের প্রশংসা শুনতে শুনতে আমি কখন ঘুমিয়ে গেছি নিজেও টের পাই নি।

সকালে ঘুম ভেঙে চোখ মেলতেই দেখি নন্দন আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।জিজ্ঞেস করলে বললো,”তোমার চুল দেখি।কত সুন্দর লাগে তোমায়।”
চুলের জন্যই শুধু আমায় ভালো লাগে একথা টা ভাবতেই মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল খুব।তারপর থেকে চুল নিয়ে বাড়াবাড়িতে অভ্যস্ত হয়ে যাই। প্রথম প্রথম রাগ করতাম,কিন্তু তাতে কোনোই কাজ হতো না।তাই এখন রাগ করা ছেড়ে দিয়েছি।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


প্রত্যেকদিন নিয়ম করে আমার চুলে তেল দেওয়া,চিরুনি করা,কখনও বিনুনি কখনও খোপা করে সুগন্ধি ফুল গোজা নন্দনের দৈনন্দিন কাজের একটা।এখন আবার যোগ হয়েছে তার ছুটির দিনে পেঁয়াজের রস মাখা।

আমার চুল নন্দনের দূর্বলতা।কখনও আমার কথা না শুনলে অথবা রাগ করলে আমি খুব সহজেই নন্দনকে হুমকি দিতে পারি এটা নিয়ে।খোপার চুল ছেড়ে দিয়ে কাঁচি হাতে নিয়ে বলি যদি তুমি এটা না করো আমি এখনই মাঝখান দিয়ে চুলের অর্ধেক ঘ্যাচ করেই কেটে ফেলবো। নন্দন তখন অসহায় মানুষের মত আমার সব কথা বাধ্য হয়ে মানতো।

একবার ওর ঠান্ডা লেগে সর্দি-জ্বর হয়েছে।বারবার অনুরোধ করেও তাকে রাজী করাতে পারিনি একবার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য। পরে যখন কাঁচি হাতে ভয় দেখালাম ওমনি সে রাজী হয়ে গেলো এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাক্তারের কাছে পৌঁছে গেলো।

বিকেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছি,দখিনা বাতাস খোলা চুলগুলো এলোমেলো করে উড়িয়ে দিচ্ছে।এমন সময় পেছন থেকে নন্দন এসে জড়িয়ে ধরলো। সুযোগ পেলেই এই মানুষটা আমাকে পেছন থেকে শক্ত করে জাপটে ধরে।
“ছাড়ো,লোকজন দেখে ফেলবে।”
“দেখুক।”
“শখ কতো!নাটকের শুটিং করছি নাকি আমারা যে লোক দেখবে?”
নন্দন চুপ করে রইলো।আমি বললাম, “কিছু বলবে?”
“হুম”।
“চলো ঘরে চলো।আশেপাশের লোকজন দেখ ফেললে কি ভাববে!”
“ভাবুক,তাতে আমার কি!”
“চুপ,ঘরে চলো।”

ঘরে এসে দাঁড়াতেই নন্দন আমায় টেনে দেয়ালের কাছে নিয়ে গেলো।দেয়ালের সাথে মিশিয়ে দিয়ে দুই হাত চেপে ধরলো। চোখ দিয়ে ইশারা করে জিজ্ঞেস করলাম,”কি হয়েছে?”

মায়াভরা চাহনি দিয়ে নন্দন উত্তর দিলো,”খুব ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে?”
ঠোঁটের কোণে হাসি চেপে বললাম,”হঠাৎ এতো ভালোবাস্তে ইচ্ছে হওয়ার কারণকি?”

নন্দন কানের পাশে দু’ঠোঁট বসিয়ে আলতো করে চুমো খেলো। আমি লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম।হৃৎস্পন্দনের মাত্রাটা বেড়েই যাচ্ছে ঠিক তখনি নন্দন বললো, নন্দিনী চুলগুলো খোপা করবে এখন একবার?আমার ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করছে।”

অতঃপর আমার বোধগম্য হয়েই গেলো এতো ভালোবাসার কারণ হিলো খোলা চুলগুলো খোপা করানো।বৃথা হাসার চেষ্টা করে বললাম,”আচ্ছা।করছি,বসো তুমি।”
আমি এলো চুলগুলো আঁচড়ে খোপা করছি আর নন্দন মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে।খোপা করলে আমাকে নাকি সত্যিকারের বউ বউ লাগে!কিসব যে বলতে থাকে সারাক্ষণ।এরপর পেছন থেকে এসে বেলি ফুলের মালাটা খোপায় গুজে দেয়।

একটা মানুষ কিভাবে এতটা পছন্দ করতে পারে আমার চুলের খোপাকে!খোলা চুলের ভেতর মুখ ডুবিয়ে নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে ওঠে,”ঘোর অমাবস্যায় তলিয়ে গেলাম আমি।পূর্ণিমার চাঁদ আমি চাইনা এখন আর।”

একদিন বেজায় রাগ করে বললাম,”চুল নিয়ে এতো মাথা খারাপ করলে কিন্তু আমি তোমায় না খাইয়ে রাখবো বলে দিলাম।”
নন্দন হেসে উত্তর দিলো,”খাওয়া লাগবে না,তুমি খোপা করে আমার সামনে বসে থেকো তবেই চলবে।”

এই মানুষটা অসহ্যের সব মাত্রা অতিক্রম করে ফেলেছে এখন আর বিরক্ত হতে ইচ্ছেও করে না।জানি বিরক্ত হলেও তাতে কোনোই লাভ নেই।

আমাদের বাসায় চুলের যে পরিমাণ তেল আছে এ পরিমাণ সয়াবিন তেলও একটা মুদির দোকানে হয়তো নেই।বারণ করলেও শোনেনা, নন্দন। অনেকবার কাছে বসে আদর মিশিয়ে ভালোবাসা দিয়ে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে,আমি তার এমন কর্মকাণ্ড দেখলে বিরক্ত হই,কিন্তু যে বোঝে আমার কথা!তাই এখন বলাও বাদ দিয়েছি।

আমার মাথায় এতো যত্ন করে নিজ হাতে তেল দিয়ে দিলেও নিজের মাথায় বছরে একবারও তেল ছোঁয়াবে না। তেলে নাকি তার মাথা ব্যথা করে। একবার বললাম, “তুমি হলে পৃথিবীর একটি আশ্চর্যজনক জীব। যে কিনা তার বউয়ের রুপে নয়,চুলে আকর্ষিত।”
নন্দন হো হো করে হেসে উঠলো।
প্রতি রাতে ঘুমানোর সময় আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া নন্দনের অভ্যাস।চুলের ফাঁকে ওর আঙুলের চলাচল আমাকে ঘুমের জগতে টেনে নিয়ে যায়।আমারও অভ্যাস হয়ে গেছে এখন।একদিন এর ব্যতিক্রম হলে সেদিন আর কিছুতেই ঘুম আসে না।

কয়েকদিন ধরে শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছি না।একটা অস্থিরতা সারা শরীর জুড়ে বিচরণ করছে।দিন দিন ওজন কমে যাচ্ছে।
নন্দনকে বলিনি,যদিও তাতে ওর চোখ ফাঁকি দেওয়া গেলো না।যাবেই বা কি করে,যে মানুষটা সারাদিন এতো নিখুঁত করে আমায় দেখে। তার চোখ ফাঁকি দেওয়া অসম্ভব।

প্রথম প্রথম বেশ কয়েকদিন বিভিন্ন অজুহাতে কাটিয়ে দিলেও এবার নন্দনের সাথে ডাক্তারের কাছে ঠিকই যেতে হলো। ছোটবেলা থেকেই ডাক্তার,হাসপাতাল,ঔষধ, নিয়ম-কানুন এসব আমার বেজায় অপছন্দ। ডাক্তারের থেকে ফিরে সেদিন রিকশায় অনেক ঘুরলাম দু’জন।শাড়ি পড়েছিলাম, চুলের খোপায় ফুল ছিলো। নন্দন মুগ্ধতা নিয়ে বার বার আমায় দেখছিলো।সেদিন একটুও বিরক্ত লাগে নি।

মায়া হচ্ছিলো খুব মানুষটার জন্য। তার ভেতরে জেগে থাকা ভালোবাসাগুলো খুব অনুভব করছিলাম।নদীর পারে বসে বাদাম খেতে খেতে গল্পে তলিয়ে হাসিতে ফেটে পড়লাম দু’জন। এর আগেও বহুবার এভাবে আমরা দু’জন ঘুরতে বের হয়েছি,তবে এতো মায়াময় কেন যেন এর আগে লাগেনি।
সারা বিকেল ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম। খুব ক্লান্ত লাগছিলো।নন্দন এক গ্লাস লেবুর শরবত করে এনে দিলো। ফ্রেশ হয়ে এসে বসলাম।
কিছুক্ষণ পরেই আবার কপালে আর নাকে ঘাম উঁকি দিছে,নন্দন তোয়ালে দিয়ে আস্তে আস্তে মুছে দিলো।ডাক্তার বলেছে,পরশু রিপোর্টগুলো দিলে,সেগুলো নিয়ে তার সাথে দেখা করতে।