Sunday, October 5, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"বউ চুরি পর্ব :১২

বউ চুরি পর্ব :১২

বউ চুরি

পর্ব ঃ ১২

লেখিকা ঃ জান্নাতুল নাঈমা

মুসকান কে হসপিটালাইজেশন করা হয়েছে। ডক্টর রা তাদের সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইমন কেবিনের বাইরে দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মোজাম্মেল চৌধুরী ও এসে গেছে। দিপক এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি হসপিটাল এসেছে। দীপান্বিতার সাথে বেশ ধমকাধমকি করছে এসেই।

তুমি থাকতে এতো বড় ঘটনা কি করে ঘটতে পারে মা। একটা মেয়েকেই তোমরা সামলে রাখতে পারলে না। এই জন্যেই তোমাদের এতো চাওয়া সত্বেও একটা কন্যা সন্তান পৃথিবী তে আনতে পারো নি। মেয়ের মা হওয়া এতোটা সহজ নয়। মেয়ের মা হতেও বেশ যোগ্যতা লাগে কড়া গলায় বললো দিপক। কথা গুলো দীপান্বিতার না লাগলেও ইরাবতীর বেশ লাগলো। কারন তার ও যে একটা কন্যা সন্তান হয়েছিলো কিন্তু ধরে রাখতে পারেনি। মুসকান কে সকালে বলা কথা গুলো ভাবতেই তার বুক কেঁপে ওঠলো। খুব অপরাধ বোধ কাজ করছে তার । দিপকের দিকে মাথা তুলেও তাকাতে পারছেনা ইরাবতী। দিপক বেশ বুঝতে পারছে খুব সন্দেহ হলো ইরাবতীকে তাই সে আবারো বলতে শুরু করলো।
তোমাদের সবার এটা মাথায় রাখা উচিত ছিলো মুসকানের বয়সটা কম। তাই ওকে তোমাদের সেভাবেই রাখা উচিত ছিলো। তোমরা যখন ভালবাসা দেখাবে তখন শাসন ভুলে যাবে। আবার যখন শাসন করবে তখন ভালবাসা ভুলে যাবে। তাহলে তো এসবই হবে । আসল সমস্যা কোথায় জানো আসল সমস্যা তোমাদের মধ্যেই তোমরা নিজেদের ঠিক করো তাহলেই সব ঠিক হবে।
আর যদি মুসকানকে নিয়ে তোমাদের এতোই সমস্যা হয়ে থাকে আমি আর বাবা মিলে ওকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যাবো। বাবা একটা মেয়ে আর আমি একটা বোনের দায়িত্ব ঠিকি নিতে পারবো।
হ্যাঁ তোমরা বলতে পারো মুসকান ভুল করেছে। তার শাস্তি কি ও কম পেয়েছে?? সবটাই তো শুনেছি কিছুই আমার অজানা নয়। তারপর ও এতো বড় কান্ড কি করে ঘটে।
মানলাম ও ভুল করেছে সেই ভুলের জন্য তো ও অনুতপ্ত ও হয়েছে। এমনতনা যে ভুল করেও ও তার জন্য শাস্তি পায়নি বা অনুতপ্ত হয়নি। একটা কথা মনে রেখো অনুতপ্ত কারীর পাশে থাকতে হয় দূরে সরিয়ে দিতে হয় না।
ইমন চুপ করেই আছে তার গলা দিয়ে একটা স্বর ও বের হচ্ছে না।
ইরাবতী আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলো না দিপকের বলা কথা গুলো তার মনে বেশ কড়া নেড়েছে। তাই সে কান্নায় ভেঙে পড়লো আর বললো-

সব আমার দোষ আমি যদি সকালে ঐভাবে কিছু না বলতাম তাহলে এটা হতো না।
দীপান্বিতা সহ সবাই অবাক হয়ে গেলো। ইমন চোখ দুটো খুললো সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে মায়ের কাছে আসলো। মায়ের কাঁধে ধরে বললো কি বলেছো মা?? (ধীর গলায়)

ইরাবতী সকালে বলা কথা গুলো ইমন কে বললো।দীপান্বিতা সহ সবাই কথা গুলো শুনলো। দিপক একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বেরিয়ে এলো সেখান থেকে। দীপান্বিতা কান্না করেই চলেছে।
ছিঃ মা ছি ঃ তুমি এতোটা করবে আমি ভাবতে পারিনি। বলেই মায়ের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলো। ইরাবতীর খুব ভয় করতে লাগলো। তার ছেলে তার থেকে দূরে সরে যাবে না তো……..

ডক্টর বেরিয়ে আসলো। ইমন ডক্টরের কাছে গিয়ে মুসকানের কথা জিগ্যাস করতেই ওনি বললেন। ভয়ের কারন নেই আপনারা টেনশন করবেন না।আর একটু দেরী হলেই সব শেষ হয়ে যেতো। মেয়েটার শরীরও বেশ দূর্বল স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে রাখা হয়েছে। আপনারা পেমেন্ট করে দিন।
ইমন এর বুকের উপর থেকে পাথর সরে গেলো। দ্রূত গিয়ে সব কাজ কমপ্লিট করে আবারো কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে রইলো। ইরাবতী দীপান্বিতা বাড়ি চলে গেছেন । দিপক আর ইমন রয়েছে মোজাম্মেল চৌধুরী ও বেরিয়ে গেছেন।

দিপক ইমনের পাশে বসে বললো- ইমন ভাইয়া তোমার কি মুসকান কে নিয়ে সমস্যা আছে?  থাকলে সরাসরি বলো সেই ভাবেই ব্যাবস্থা নিবো।
ইমন কঠোর চোখে তাকাতে গিয়েও পারলো না। নিচের দিকে মাথা রেখেই বললো- তোর কি মনে হয় তোর বোন কে নিয়ে আমার সমস্যা আছে।
দিপক বললো- আমিতো জানতাম ভাইয়া আর যার ই সমস্যা হোক তোমার সমস্যা হবেনা। মুসকানকে আমরা তোমার জন্যই পেয়েছি। একটা বোনের তো খুবই শখ ছিলো ভাইয়া। আর সেই শখটা তুমিই পূরন করেছো। এতোটা কষ্ট করে যাকে আমাদের পরিবারে নিয়ে এসেছো আজ তার এমন অবস্থা কেনো ভাইয়া??
ইমন একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো- সবটাই আমার ভুল। আমি ওকে বোঝাতে চেয়েছিলাম একটা আর ও বুঝে নিয়েছে আরেকটা। আমার বুঝা উচিত ছিলো ওর মাথায় এতো জটিল, প্যাচানো জিনিস ঢুকবেনা। আর আমি যাই করিনা কেনো আমিতো ওকে আড়াল থেকে সাপোর্ট দিচ্ছিলাম। কিন্তু সেটুকু বোঝার ক্ষমতা ওর হয়নি এখনো। আর মায়ের থেকে আমি এটা আশা করিনি। দীপান্বিতা কাকি যতোটা মুসকানকে আপন করতে পেরেছে আমার মা পারেনি।
দিপক বললো- কিভাবে পারবে তার কাছে সবার আগে তার নিজের ছেলে। শুধু সে না তার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে হয়তো এমনটাই করতো। দুনিয়ার মানুষগুলো বড় স্বার্থপর ভাইয়া বুঝলে বড় স্বার্থপর।

তুই চিন্তা করিস না এবার আমি সবটা ঠিক করে নিবো। তোরা শুধু মুসকানকে সাপোর্ট দিয়ে যাবি।
আর আমি জানি মুসকান বুঝবে আমায়  না বুঝলেও আমি ওকে সাহায্য করবো বুঝতে। মেয়েটা অনেক বড় ধাক্কা খেয়েছে অনেকটা পালটেও গেছে।

হুম ভাইয়া এটাই স্বাভাবিক আসলে কি জানো ভাইয়া প্রত্যেকটা কষ্টই মানুষ কে কিছু না কিছু শিক্ষা দিয়ে যায়। আর সেই সব শিক্ষা নিয়েই মানুষ নিজেকে পালটাতে পারে। বুঝতে পারে নিজেদের ভুল।

Every pain gives a lesson,,
And
Every lesson changes a person,,

প্রতিটি ব্যাথা একটি পাঠ দেয়,,

এবং

প্রতিটি পাঠ একজন ব্যাক্তিকে পরিবর্তন করে।।

হুম। আমি আর আমার মুসকান কে দূরে রাখবো না। আর কখনো আমার থেকে আলাদা হওয়ার সুযোগ দিবো না। আর কখনো ও চাইবেনা আমার ভালবাসা ওপক্ষা করে আমার থেকে দূরে যেতে। সেই সাহসটাও আর পাবেনা।
দিপক ইমনের কাঁধে হাত দিলো,ভরসা দিলো।
সারাদিন পেরিয়ে গেছে। দিপক ও বাড়ি ফিরে গেছে ইমন যায় নি সে তার হৃদপিণ্ড টাকে রেখে বাড়ি ফিরবে না। ফিরতে হলে তাকে সাথে নিয়েই ফিরবে। হারানোর ভয় যে কতোটা যন্ত্রনা দায়ক সেটা সে হারে হারেই টের পেয়েছে। বেডের পাশে বসে আছে ইমন। মুসকানের মুখ পানে চেয়ে আছে। অক্সিজেন মাস্ক পড়া, স্যালাইন ও চলছে। চোখ দুটো বন্ধ। ইমন পাশে বসে এক ধ্যানে দেখে যাচ্ছে। ডক্টর এসেছে মুসকানকে দেখতে ইমন কে কয়েকবার ডাকতেও কোন সারা পেলো না। অবশেষে কাঁধে হাত দিতেই কেঁপে ওঠলো ইমন। চোখের কোনে একটু পানির রেখা বেরিয়ে গেলো।

ডক্টর বললো- খুব ভালোবাসেন তাইনা……
ডক্টরের মুখে এমন কথা শুনে ইমন একটু ইতস্তত বোধ করলো।
সকাল থেকে আপনাকে দেখছি। এরকম আরো অনেক পেশেন্টের ট্রিটমেন্ট করেছি। কিন্তু আপনার মতো এমন পাগল স্বামী আমি দেখিনি। সত্যি ওনি খুব ভাগ্যবান আপনার মতো একজন স্বামী পেয়েছে। ( মুসকান কে দেখিয়ে )
তবুও কেনো এমন কাজ করলো বুঝতে পারছিনা।
ইমন বললো- মেয়েটা যে বড্ড অভিমানী আর অভিমান যে কতোটা ভয়ংকর আজ বুঝতে পেরেছি আমি।
চিন্তা করবেন না ঘুমাচ্ছে ১২ঘন্টা ঘুমালেই ঠিক হয়ে যাবে জ্ঞান ফিরবে।
ডক্টর কিছুক্ষন কথা বলে স্যালাইনটা খুলে দিয়ে চলে গেলো । ইমন স্পেশাল পারমিশন নিয়েছে যাতে মুসকানের কেবিনেই থাকতে পারে। সারারাত সে মুসকানের পাশে বসে তার দিকে তাকিয়ে ছিলো। মন প্রান ভরে দেখেছে তাকে। তার পৃথিবীর আলো মুসকান।
তিন দিন কেটে গেছে এই তিনদিন ইরাবতী, দীপান্বিতা, দিপক,দিপু, মোজাম্মেল এসে দেখে গেছেন মুসকান কে। সবাই মুসকানের সাথে যথেষ্ট ভালো আচরন করেছে। ইমন মনে অনেক অভিমান নিয়েই মুসকানের সেবা করেছে। আজ দুপুরেই মুসকান কে নিয়ে বাড়ি ফিরবে ইমন। মোতালেব চৌধুরী অস্থির হয়ে গেছে মুসকান কে দেখার জন্য।

মুসকানের চুল গুলো বেশ এলো মেলো হয়ে আছে। আজি বাড়ি ফিরবে কিন্তু ইমন চাইছে না এমন অবস্থায় মুসকানকে নিয়ে বের হতে। তাই দিপক কে  কিছু জিনিস কিনে আনার জন্য,পাঠিয়ে দিলো।
মুসকান তেমন কথা বলে না বেশ কিছুদিন এমন ই থাকতে হবে। গলায় বেশ মোটা লাল আভায় দাগ পড়েছে। ইমন একটু পর পর ই সেদিকে তাকাচ্ছে আর ভাবছে – সুস্থ হয়ে নাও এই কাজের এমন শাস্তি দিবো আর আমাকে রেখে কোথাও যাওয়ার কথা চিন্তাও করতে পারবে না ওয়েট এন্ড সি। ভেবেই মুচকি হাসলো।
ইমনের হাসিটা মুসকান বেশ লক্ষ করলো। হাসিটা তার রহস্যজনক লাগলো তাই ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইলো ইমনের দিকে।
ইমন ওঠে দাঁড়ালো দিপক কে ফোন করে তারাতারি আসতে বলেই ফোন কেটে দিলো। ফোন পকেটে রেখে মুসকানের দিকে তাকালো। মুসকান সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে নিলো।
ইমন ও আবার অন্যদিকে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে রইলো। ( দুজনের মধ্যেই বেশ জরতা কাজ করছে )

কিছুক্ষন পরেই দিপক চলে এলো আর ইমনের হাতে একটা ব্যাগ দিয়েই চলে গেলো। ইমন ব্যাগ থেকে চিরুনি টা বের করে মুসকানের দিকে এগিয়ে গেলো। ব্যাগটা পাশে রেখে চিরুনি ডান হাতে নিয়েই মুসকানের পাশে বোসলো। মুসকান অবাক চোখে তাকালো ইমনের দিকে ইমন ইশারা দিয়ে সামনে ঘুরতে বললো। মুসকান চুপচাপ তাই করলো পিছন ফিরে বসলো ইমনের সামনে।
ইমন মুসকানের চুলে হাত দিতেই মুসকানের পুরো শরীরে এক মলিন শিহরন বয়ে গেলো। তার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলো। ইমন আলতো করে খুব আদর মেখে চুল গুলো আচড়াতে শুরু করলো। মুসকানের খুব ভালো লাগছে ইমনের স্পর্শ পেতে ইদানীং তার খুব করে ইচ্ছে হয়। এমন কান্ড না ঘটালে তো আর এতো কাছে পেতামনা, এতো আদর যত্ন পেতাম না। মরতেই তো গিয়েছিলাম ফিরিয়ে যখন এনেছে সবাই তার মানে সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে। মনে মনে ভাবছে মুসকান।
ইমন সুন্দর করে চুল আঁচড়ে চুলগুলো বেঁধে দিলো।
চুল ও আঁচড়াতে পারে বাহ দারন তো। মনে মনে বেশ খুশি হলো মুসকান।
ইমন ওঠে সব কিছু গুছিয়ে নিলো। আজি বাড়ি ফিরবে তারা। মুসকানের দিকে আড় চোখে তাকাতেই দেখতে পেলো মুসকান মিটি মিটি হাসছে।
ইমন ও মুচকি হাসলো। চুল আঁচড়ে দিয়েছি এতেই এতো খুশি অল্পতেই এতো নরম হয়ে যাও এরপর কি হবে?? ভাবতে ভাবতেই কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলো কিছু কাজ করলো। দিপক মুসকানের কাছে গিয়ে বোসলো।

দিপক ওকে নিয়ে আয় আমি বাকি জিনিস নিচ্ছি গাড়িতে গিয়ে বোস।

দিপক মুসকানকে নিয়ে গাড়িতে বোসলো।

বাড়ি ফিরতেই ইরাবতী, আর দীপান্বিতা পরম স্নেহে মুসকান কে নিয়ে তার রুমে গেলো। মোতালেব চৌধুরী এসে মুসকানকে বেশ অভিমানী শাসন করলো। মুসকান হাসির মাঝেও কেঁদে ফেললো এই জিনিসগুলোরই তো অভাবে ভুগছিলো সে। পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা প্রচন্ড পরিমানে ভালবাসার কাঙাল হয়। আর এই কাঙাল দের মধ্যে মেয়েদের তালিকাই বেশি। আর তাদের মধ্যে মুসকান ও একজন। যে প্রচন্ড পরিমানে ভালবাসা চায়, আদর চায়, স্নেহ চায় । আর এই ভালবাসা আদরের মাঝে বিন্দু পরিমান অবহেলাও সে সহ্য করতে পারেনা।

রাত দশটা বাজে মুসকানকে খাওয়িয়ে দীপান্বিতা ইমনের রুমে রেখে গেছে।
ইমন ল্যাপটবে বসে কাজ করছিলো। এই কয়েকদিনে একটুও কাজ করতে পারেনি। অফিস ও যায় নি সারাক্ষণ মুসকানের আশে পাশে ছিলো। বউ এর সেবা করে গেছে এখন তার বউ অনেকটাই সুস্থ। তাই একটু অফিসের কাজ গুলো দেখে নিচ্ছে।

এদিকে মুসকান একবার এপাশ হচ্ছে আবার ওপাশ হচ্ছে। আর ইমনের দিকে তাকাচ্ছে ইমন আড় চোখে মুসকান কে মাঝে মাঝে দেখে যাচ্ছে।
মুসকান আবারো ওঠে বোসলো ইমনের দিকে কিছু ক্ষন তাকিয়ে আবার শুয়ে পড়লো।
দশমিনিট যাবত মুসকান শুধু ছটফট করছে ওঠছে বসছে।
ইমন আড় চোখে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতে লাগলো।
তার বউ কেনো এমন করছে বোধ হয় একটু টের পেয়েছে সে।
ল্যাপটব টা অফ করে মুসকানের দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো মিটিমিটি।
মুসকান আবারো এপাশ ফিরলো ইমনকে ওভাবে দেখে আবার চট করে ওপাশ ফিরে শুয়ে রইলো।
ইশ কি লজ্জাটাই না পেলাম। মনে মনে বলেই দুচোখ চিপে শুয়ে রইলো মুসকান।
ইমন লাইট অফ করে ড্রিম লাইট অন করে ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো বিছানার দিকে।
মুসকানের পাশে শিয়ে রইলো। বেশ দূরত্ব বজায় রেখে।
মুসকানের খুব ছটফট লাগছে ইমনের বুকে ঘুমাবে সেই অপেক্ষাতেই আছে। কিন্তু সে তো দূরত্ব বজায় রেখে শুয়ে রইলো। মনে মনে ফুসছে মুসকান বেশ নড়া চড়াও করতে লাগলো। ইমন মিটিমিটি হেসেই যাচ্ছে আর দেখতে চাচ্ছে মুসকান ঠিক কি করে।

হঠাৎ ই মুসকান ওঠে বোসলো আর কাঁদতে শুরু করলো।

চলবে………………..।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ