প্রেয়সীর ছোঁয়া ( পর্ব ১০)
জামিয়া পারভীন তানি
১৭.
আফরা কে দেখে আফরার কপালে চুমু দেয় আদনান। আফরা চমকে যায় আদনান কে দেখে। আদনান আসলে মেহরাব চৌধুরীর কানাডার বাসার ঠিকানা নিয়ে দুই দিনের মধ্যেই কানাডায় চলে আসে। আফরা আদনানকে জড়িয়ে ধরে বললো,
“ জানতাম তুমি আসবে আমার কাছে! ”
“ এতো ই যখন জানো, তো এভাবে চলে আসলে কেনো?”
“ ভালোবাসার মাঝে যদি অবিশ্বাস ঢুকে তাহলে সেখান থেকে সরে আসা উচিৎ। ”
“ উচিৎ অনুচিত কে শিখিয়েছে, হুম! ”
“ ভিতরে এসো আগে। ”
আফরা একটা স্কার্ট পড়ে আছে হাটু পর্যন্ত। ছোট চুল গুলো ঝুটি করা আছে। আদনানের চোখে এখন আফরাকে পুরো বিদেশি মনে হচ্ছে। আফরা নিজের ঘরে আদনান কে নিয়ে আসে। আদনান রুমে আসা মাত্র আফরা কে কোলে তুলে নিয়ে বেডে শুইয়ে দেয়। আদনান আফরার ঠোঁট দুটো ২০ মিনিট নিজের দখলে রাখে। আফরা এক প্রকার হাপিয়ে পড়েছে আদনানের কাণ্ডে। এরপর আদনান বলে,
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/
“ এটা আমাকে কষ্ট দেওয়ার প্রথম শাস্তি। ”
আফরা একটু উঠে বসে বললো,
“ প্রথম শাস্তি এতো কঠিন! ২য় শাস্তি আবার কি দিবে?”
“ সেটা রাতের জন্য! ”
আদনান ফ্রেশ হয়ে রেষ্ট করছে। ততক্ষণে আফরা ডিনারের আয়োজন করে। আফরা আদনানের পছন্দ মতো বাংলাদেশী খাবার রান্না করে রাখে। নিজেও লম্বা শাওয়ার নিয়ে একটা নাইট ড্রেস পড়ে চুল গুলো খোলা রাখে।
আদনান কে ডাক দিতেই আদনানের ঘুম ভাঙে। আফরার পাতলা ছিমছাম দেহ পুরোটা নাইট ড্রেস
দিয়ে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। আদনান আফরার দিকে অপলক তাকিয়ে থাকে। আফরা খেতে ডাকলে আদনানের ঘোর কাটে।
দুজনে একসাথে ডিনার শেষ করে। আদনান কে রুমে পাঠিয়ে আফরা ডাইনিং টেবিল ফ্রেশ করে আদনানের কাছে যায়। ততক্ষণে আদনান আফরার অপেক্ষা করতে করতে পাগল প্রায়। আফরা কে কাছে পেয়ে আফরার পেটের কাছে হাত দিয়ে নিজের বুকের মাঝে জড়িয়ে নেয়। আফরার পেটের কাছের বোতাম খুলে নাভি বরাবর চুমু দেয় আদনান । আফরা উত্তেজিত হয়ে আদনানের চুল খামচিয়ে ধরে। দীর্ঘদিন পর প্রেয়সীর ছোঁয়া আদনান কে হিংস্র বাঘের মতো করে তুলেছে। ধীরে ধীরে দুটো হৃদয় মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
১৮.
কানাডায় গ্রীষ্ম কালেও রাতের বেলা ঠান্ডা লাগে। আদনান এমন আবহাওয়ার সাথে পরিচিত না হওয়ায় আফরা কে জড়িয়ে আফরার গায়ের গরম নিচ্ছে। আফরা আদনানের ভালোবাসায় পরম সুখে ঘুমাচ্ছে। যদিও ঘরে রুম হিটার আছে তবুও আদনানের গলা ধরে এসেছে ভোর বেলা। গলার জন্য আগে ঘুম ভাঙে আদনানের। আফরার ঘুমন্ত চেহেরার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসি দেয়। ডান হাত দিয়ে আফরার পেটে হাত ঘুরাতে গিয়ে আবারও লিখাটার উপর হাত পড়ে মন খারাপ হয়ে যায় আদনানের।
আফরার ঘুম ভেঙে বুঝতে পারে আদনান ওর পেটের কাটা দাগে হাত দিয়ে মন খারাপ করে আছে। আফরা নিজে থেকেই বললো,
“ বিশ্বাস করো, আমি ওকে খুব ভালোবাসতাম! কিন্তু সে আমার সাথে গেম খেলেছে। আমাকে কষ্ট দেওয়ার উদ্দেশ্যে সে এই কাজ করেছে। ”
“ আমি কিছুই জানতে চাইনি আফরা!”
“ তোমার জানার অধিকার আছে! সব টা জানা তোমার উচিৎ। আমি খারাপ না, এটা শুধু মাহিরা ছাড়া আর কেউ জানেনা। কেউ বিশ্বাস করে না আমাকে! ”
আদনান আফরার ঠোঁটে হাত দেয়। আস্তে করে বলে,
“ পরে শুনবো সব। এখন দুজনে একসাথে শাওয়ার নিবো। এরপর আমাকে তোমার দেশ ঘুরিয়ে দেখাবে। ”
আফরা লজ্জা পেয়ে যায় আদনানের এমন কথায়। আফরা কে কোলে তুলে ওয়াশরুমে নিয়ে যায় আদনান। উষ্ণ পানির ঝর্ণা ছেড়ে দেয়। আফরার চুল বেয়ে গাল বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে আর আদনান অপলক দৃষ্টিতে সে সৌন্দর্য উপভোগ করছে।
আদনান আস্তে করে আফরার ড্রেস খুলে ফেলে। ওয়াশরুমের দেয়ালে চেপে ধরে অনেক্ষণ আদর করে । এরপর আদনান নিজে আফরার মাথা মুছিয়ে দেয়। একটা টাওয়েল আফরাকে জড়িয়ে দিয়ে নিজেও শাওয়ার শেষ করে টাওয়েল জড়িয়ে বের হয়।
আফরা ততক্ষণে ড্রেস পড়ে আদনানের জন্য নাস্তা রেডি করে নেয়। দুজনে একসাথে ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে পড়ে ঘুরার উদ্দেশ্যে।
কানাডায় এবং পৃথিবীতেও সবচেয়ে বিখ্যাত কয়েকটি প্রাকৃতিক আকর্ষনীয় স্থানের মধ্যে নায়েগ্রা ফসল অন্যতম। কেউ কানাডায় বেড়াতে আসলো আর নায়েগ্রা ফসল দেখতে গেলো না এটি হতেই পারে না। নায়েগ্রা ফলস না দেখলে কানাডা দেখা হয় না। প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন পর্যটক আসেন কানাডায় শুধু এই ফলসটি দেখার জন্য।
নায়েগ্রা ফসল টরন্টো থেকে বেশী দূরে নয়। মাত্র এক থেকে সোয়া ঘন্টার ড্রাইভ। যারা প্রথমবার নায়েগ্রা ফলস দেখতে যান তাদের কাছে এটি বাকী জীবনের এক অভাবনীয় স্মৃতি হয়ে থাকে। নায়েগ্রা ফলসটি খুব কাছে থেকে দেখার জন্য আফরা আদনানকে শীপে করে যেতে বলে। হেলিকপ্টারে উঠেও দেখা যেতে পারে জলপ্রপাতের দৃশ্য। নায়েগ্রা জলপ্রপাতটি কানাডা ও আমেরিকার বর্ডারে। তবে কানাডার অংশ থেকে জলপ্রপাতটি খুব ভাল করে দেখা যায়।
শীপ এর সামনে দুজনে গিয়ে দাঁড়ায়। স্রোত দুইধারে কেটে কেটে শীপ এগিয়ে যাচ্ছে সুড়ঙ্গ পথ ধরে।
চলবে….
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/