#প্রেম_প্রেম_খেলা(১৩)
মুমতাহিনা জান্নাত মৌ
অহনাকে হঠাৎ করে মিঃ আতিক হাসান আর মিসেস তমালিকা খন্দকার কেনো এতো অপছন্দ করছে সেই রহস্য উদঘাটন করার আগেই আদ্রিয়ান কে বিয়ে করতে হচ্ছে তানহাকে।
কারণ তানহাকে বিয়ে না করলে সে নাকি আত্নহত্যা করবে।তানহার এই হুমকি শুনেও আদ্রিয়ান বিয়েতে মোটেও রাজি ছিলো না।
কিন্তু আদ্রিয়ানের বাবা মা খুব বেশি জোরাজোরি করছিলো তাকে।শেষ পর্যন্ত তারা এমন একটা কথা বললো যে আদ্রিয়ান হ্যাঁ বলে দিলো।আদ্রিয়ানের বাবা মা বললো,
যদি তুই আমাদের আপনজন ভেবে থাকিস বা আমাদের কে যদি তোর বাবা মা মনে করিস তাহলে আশা করি আমাদের সিদ্ধান্তে না বলবি না।আমরা তোর বাবা মা হই।সেজন্য তোর ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের।তোর জন্য তানহাই বেস্ট হবে।সে তোর বেস্ট ফ্রেন্ড হয়। একজন বেস্ট ফ্রেন্ডের মতো উত্তম জীবনসঙ্গিনী আর হয় না।
আদ্রিয়ান এজন্য রাজি না থাকা সত্ত্বেও হ্যাঁ বলে দিলো।সে তার বাবা মাকে বললো,
তোমাদের যা মন চায় করো গিয়ে।এই ভাঙ্গা মন টাকে যতখুশি টুকরো টুকরো করে ভেংগে ফেলো।এতো করে বলার পরও যখন তোমরা তোমাদের ডিসিশন চেঞ্জ করছো না তাহলে আর কিছু করার নাই আমার।
আদ্রিয়ান কিন্তু তানহাকে বন্ধু হিসেবে অনেক বেশি ভালোবাসে আর বিশ্বাসও করে।কিন্তু সে যে তার বউ হবে এটা আদ্রিয়ান ভাইতেই পারছে না।
▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪
আদ্রিয়ান তার ইন্সটাগ্রাম থেকে লাইভে আসলো।
আর প্রথমে সে নিজের গলায় একটা গান গাইলো আর গিটার বাজাতে লাগলো।
Janam janam janam sath chalna yunhi
Qasam tumhe qasam aake milna yahin
Ek jaan hai bhale do badan hon juda
Meri hoke humesha hi rehna
Kabhi na kehna alvida
Meri subha ho tumhi
Aur tumhi shaam ho
Tum dard ho tum hi aaram ho
Meri duaaon se aati hai bas yeh sadaa
Meri hoke humesha hi rehna
Kabhi na kehna alvida
Meri hoke humesha hi rehna
Kabhi na kehna alvida..
গানটি গাওয়ার সময় আদ্রিয়ানের চোখে পানি এসে গেলো।কারণ তার আজ খুব মোহনার কথা মনে পড়ছে।আদ্রিয়ান তার চোখের পানি মুছিয়ে নিয়ে
সবাইকে তার বিয়ের কথা জানিয়ে দিলো।আদ্রিয়ান আজ এজন্যই লাইভে এসেছিলো।
আদ্রিয়ান তানহাকে বিয়ে করছে শুনে অনেক মেয়ে ভক্তর মন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলো।আবার অনেকেই অহনার কথা জিজ্ঞেস করলো।কিন্তু আদ্রিয়ান অহনাকে নিয়ে কিছু বললো না।কারণ অহনার প্রসঙ্গ আসলেই তার অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি হবে।সেজন্য আদ্রিয়ান তাড়াতাড়ি করে লাইভ টা শেষ করলো।
আদ্রিয়ান আর তানহার বিয়ের খবর ইতোমধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো।সকল গনমাধ্যমে তা প্রচার করতেও লাগলো।
টুশু অর্পা আর সনিয়াও আদ্রিয়ানের লাইভ দেখছিলো এতোক্ষন।তারা বিশ্বাসই করতে পারছিলো না এটা।আদ্রিয়ান তানহাকে কি করে বিয়ে করতে পারে?
অন্যদিকে অহনা মুভি দেখছে মোবাইলে।অথচ একসময় আদ্রিয়ান লাইভে আসলে সবার আগে অহনা জয়েন করে।
আর আজ অহনা আদ্রিয়ানের লাইভ না দেখে মুভি দেখছে।
সনিয়া তখন বললো অহনা আজকের নিউজ কিছু শুনছিস?
অহনার কানে ইয়ার ফোন থাকায় সে শুনতে পায় নি।
তখন সনিয়া নিজেই এগিয়ে গিয়ে ইয়ার ফোন টা কান থেকে খুলে দিয়ে বললো,
আদ্রিয়ান আর তানহার বিয়ে ঠিক হইছে।
অহনা সেই কথা শুনে বললো ভালো তো।বিয়ে না করে আর কত দিন থাকবে বেচারা?
অহনার কথা শুনে তিন বান্ধুবিই অবাক।তারা মনে মনে ভাবতে লাগলো,আদ্রিয়ানের বিয়ের কথা শুনেও অহনার মধ্যে কোনো শোক বা কোনো অনুশোচনা নেই।অহনা কি করে এভাবে পালটে গেলো?ধরে নিলাম এতোদিন সে অভিনয় করেছে,কিন্তু আদ্রিয়ান কে নিয়ে তার যে পাগলামি গুলো সেগুলো কি করে অভিনয় হতে পারে?
অহনা ইউটিউবে হাসির একটা মুভি দেখছে।হঠাৎ সে হা হা করে হাসতে লাগলো।
টুশু তখন অহনার পাশে গিয়ে বসলো আর বললো দোস্ত,সত্যি কি তুই আদ্রিয়ান কে পছন্দ করিস না?এটা কি করে হতে পারে?
অহনা তখন তার কান থেকে ইয়ার ফোন টা খুলে বললো, কি বললি শুনতে পাই নি?
টুশু তখন বললো, আদ্রিয়ানের বিয়ে তে কি তোকে দাওয়াত দিয়েছে?
অহনা তখন হাসতে হাসতে বললো উনি কে আমার যে আমাকে ওনার বিয়েতে দাওয়াত দিবে?এই বলে অহনা আবার তার কানে ইয়ার ফোন টা লাগালো।
টুশু তখন নিজেই ওর কান থেকে ইয়ার ফোন টা সরিয়ে দিয়ে বললো, এতো নিঁখুত অভিনয় কি করে করেছিস তোরা?সত্যি আমার না বিশ্বাস হচ্ছে না।সেদিন আদ্রিয়ান তোকে যেভাবে প্রপোজ করলো, আর তোর হাত ধরে যেভাবে ডান্স করলো এটা কি করে একটা নাটক হতে পারে?
অহনা তখন বললো অভিনয় তো অভিনয়ই।এতে তোরা এতো অবাক হচ্ছিস কেনো?
এবার অর্পা এসে বললো,শুধুমাত্র আদ্রিয়ান কে যাচাই করার জন্য তুই ওর জন্য এরকম পাগলামি টা করেছিলি?সত্যি এর বাইরে আর কিছুই নেই তোর মনে?
অহনা এবার একটু রাগ হলো।সে তখন ভিডিও অফ করে বললো,কি শুরু করলি তোরা বল তো?যখন আদ্রিয়ানের জন্য পাগলামি করেছি তখন আমাকে বলতিস আমি নাকি একজন সাইকো মেয়ে।আর এখন যখন বলছি আমি আদ্রিয়ান কে ভালোবাসি না তখন আমাকে একের পর এক প্রশ্ন করছিস।তোদের তো বলেছিই মোহনা আপুর প্রেমিক ছিলো সে।আপুর নামে হঠাৎ করে কে বদনাম বের করলো আবার আপু হঠাৎ করে কেনো নিজের জীবন শেষ করলো এগুলো যাচাই করার জন্যই আমি আদ্রিয়ানের টিমে ঢুকেছিলাম।কারণ এরা সবাই আপুর সাথে একই ভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছে।এখন আমার যাচাই করা শেষ হয়েছে সেজন্য পাগলামি টাও বন্ধ হয়েছে।এখন আমি কি জন্য আদ্রিয়ান কে ভালোবাসতে যাবো।ওনার যাকে মন চায় তাকে তিনি বিয়ে করতে পারে।তোরা খবরদার ওনার ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করবি না আমাকে।
হঠাৎ অনিল ফোন দিলো অহনাকে।অহনা তখন সাথে সাথে ফোনটা হাতে নিয়ে বেলকুনির দিকে চলে গেলো।আর ফোন রিসিভ করতেই অনিল বললো,
কই আছো তুমি?তাড়াতাড়ি আমার সাথে এক্ষুনি এই মুহুর্তে দেখা করো।অনেক কথা আছে তোমার সাথে।
অহনা তখন বললো ওকে।এই বলে অহনা আর এক মুহুর্ত দেরী করলো না।তাড়াতাড়ি করে হোষ্টেল থেকে বের হয়ে গেলো।
▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️
অনিল অহনাকে এমন একটা নিউজ দিলো যে অহনা ভাবতেই পারছে না কি বলে সে অনিল কে ধন্যবাদ দিবে?
অনিল তখন বললো কোনো ধন্যবাদের প্রয়োজন নাই অহনা।যেদিন আমাদের দুইজনের উদ্দেশ্যই পূরন হবে সেদিন যা মন চায় দিও।আর তার সাথে একটু ভালোবাসাও।
অহনা অনিলের কথা শুনে একদম স্তব্ধ হয়ে গেলো।অনিল আবার তার প্রেমে টেমে পড়লো নাকি?হঠাৎ সে এভাবে ভালোবাসার কথা বলছে কেনো?
অহনাকে চুপ করে থাকা দেখে অনিল বললো, কি হলো?ভয় পেলে নাকি আবার?এখনি দিতে হবে না।বিয়ের পর দিয়ে দিও।এই বলে অনিল চলে গেলো।
অহনা আর অনিল অনেক দিন ধরে একসাথে মোহনার অপরাধীদের ব্যাপারে তদন্ত করায় তারা কাছাকাছি এসেছে অনেকটা।তবে অহনার মনে অনিল না থাকলেও অনিলের মনে যে অহনা আছে সেটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।অনিল অহনাকে ভালোবেসে ফেলছে।সে তার বাবা মাকেও বলেছে কথাটা।অনিলের বাবা মা সাথে সাথে রাজি হয়ে গেছে।কারণ অহনার গার্ডিয়ান এখন অনিলের বাবা মাই।কারণ অহনার তো মা বাবা বোন কেউ নাই।সেজন্য তার এখন গার্ডিয়ান তার নানার বাড়ির লোকজন।অনিল অহনার আপন মামাতো ভাই হয়।
▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️
আদ্রিয়ানের বিয়ের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে।সেজন্য তানহা ব্যস্ত বিয়ের কেনাকাটা নিয়ে।অন্যদিকে আদ্রিয়ান ঘর বন্দি হয়ে বসে আছে। তানহা তার সাথে আদ্রিয়ান কেও আসার জন্য বলেছিলো।কিন্তু আদ্রিয়ান যায় নি তানহার সাথে।আদ্রিয়ান তাকে তার পছন্দমতো কেনাকাটা করতে বলেছে।
সানি আদ্রিয়ানের উপর রেগে থাকায় সে বিয়ে তে থাকবে না বলে জানিয়েছে।আদ্রিয়ান তখন অনেক রিকুয়েষ্ট করে সানিকে ঠিক করেছে।সানি উল্লাস লিথি আর টিনা খুব খুশি হয়েছে আদ্রিয়ানের সাথে তানহার বিয়ের কথা শুনে।কারণ তারা শুরুর থেকেই এটাই চাই তো।কিন্তু আদ্রিয়ান কি ভাববে শুনলে সেজন্য এতোদিন কেউই প্রকাশ করে নি এটা।
হঠাৎ মিসেস তমালিকা খন্দকার আদ্রিয়ানের রুমে প্রবেশ করলো।আর বললো,
বাবা আমাদের চেনাজানা সবাইকে ইনভাইট করা হয়েছে।এখন তোর চেনাজানা কাকে কাকে ইনভাইট করবি তার একটা লিস্ট দিয়ে দে।
আদ্রিয়ান সেই কথা শুনে বললো, ও নিয়ে চিন্তা করতে হবে না তোমাকে।আমি নিজেই ইনভাইট করবো সবাইকে।
তমালিকা খন্দকার তখন আদ্রিয়ানের কাছে এসে বসলো।আর তার মাথার চুল বুলিয়ে দিয়ে বললো, বাবা তুই কি আমাদের উপর রাগ করে আছিস?
আদ্রিয়ান তখন তার মায়ের হাত সরিয়ে দিয়ে বললো না তো।কেনো রাগ করবো?
তমালিকা খন্দকার তখন বললো,
আমার মনে হচ্ছে তোর উপর আমরা খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করছি।কিন্তু বাবা দেখিস বিয়ে হলেই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।তখন আর কিছু মনে হবে না।তোর এই একাকীত্ব আর নিঃসঙ্গ জীবনে কাউকে না কাউকে অবশ্যই চাই।তা না হলে তুই আরো বেশি ভেঙে পড়বি।আমরা বাবা মা হয়ে সেটা কি করে সহ্য করবো?
আদ্রিয়ান তার মায়ের কথায় কোনো উত্তর দিলো না।
তখন তমালিকা খন্দকার বললো,
এখনকার কোন মেয়ের চরিত্র কেমন তা বাহিরে থেকে বোঝা বড় দায়।যেহেতু তানহা আমাদের সবার চেনাজানা সেজন্য কিন্তু আমি ওকে তোর বউ করে আনতে চাচ্ছি।
আদ্রিয়ান তখন বললো মাম্মি আমি এখন একটু একা থাকতে চাই।তুমি চলে যাও এখন।
এই বলে আদ্রিয়ান অন্য পাশ হয়ে শুয়ে পড়লো।
তমালিকা খন্দকার তখন চলে গেলো রুম থেকে।
আদ্রিয়ান এবার মোহনার ছবি টা বের করে হাত দিয়ে তা স্পর্শ করতে লাগলো।আর বললো,
তোমাকে ভুলে যাওয়ার সাহস নেই,
ধরে রাখার অধিকার নাই,
ছুঁয়ে দেখারও সাধ্য নাই,
তবুও যে তোমাকে ভালোবাসি মোহনা।
এই মনের মধ্যে শুধু যে তোমার ই বসবাস। কি করে সেখানে অন্যজনকে ঠাঁই দিবো?
আদ্রিয়ানের হঠাৎ মনে হলো অহনার কথা।আদ্রিয়ান মনে মনে ভাবলো অহনাকে তার ইনভাইট করা উচিত।তা না হলে ব্যাপার টা খারাপ দেখাবে।সবাই আবার আদ্রিয়ান আর অহনাকে নিয়ে হওয়া গুজব টাই সত্যি সত্যি ভাববে।
আদ্রিয়ান সেজন্য অহনাকে কল দিলো।অহনা আদ্রিয়ানের কল দেখে বেশ অবাকই হলো।সে আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি করে রিসিভ করলো কলটা।
অহনা হ্যালো বলতেই আদ্রিয়ান বললো,
আমি তানহাকে বিয়ে করছি।সামনের শুক্রবার আমাদের বিয়ে।
তানহা সেই কথা শুনে বললো বেস্ট অফ লাক।
আদ্রিয়ান তখন বললো তোমার বান্ধুবিদের আর তোমাকে ইনভাইট করলাম বিয়েতে।আশা করছি আসবে তুমি।
অহনা সেই কথা শুনে বললো হ্যাঁ অবশ্যই আসবো।তবে আমার বান্ধুবীদের আপনি নিজের মুখে বললে ভালো হতো।এই বলে অহনা তার ফোনটা টুশুর হাতে দিলো।আর ওদের কে বললো আদ্রিয়ান কথা বলবে তোদের সাথে।
— আদ্রিয়ান আমাদের সাথে কথা বলবে?কেনো?
অহনা তখন বললো সেটা নিজের মুখেই শুনে নে।
এই বলে অহনা ফোনটা টুশুর হাতে দিয়ে বেলকুনির দিকে চলে গেলো।
এদিকে আদ্রিয়ান হ্যালো হ্যালো বলছে।সনিয়া তখন ফোন টা হাতে নিয়ে বললো, আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।আমি সনিয়া বলছি।
আদ্রিয়ান সালামের জবাব দিয়ে বললো, টুশু আর অর্পা কই?
–আমার কাছেই আছে ভাইয়া।
আদ্রিয়ান তখন বললো অহনার সাথে শুক্রবার সুগন্ধা কমিউনিটি সেন্টারে চলে এসো।
সনিয়া যদিও জানে সেদিন আদ্রিয়ানের সাথে তানহার বিয়ে তবুও সে বললো, কেনো ভাইয়া?
আদ্রিয়ান তখন বললো তুমি জানো না আমার বিয়ের কথা?
–হ্যাঁ জানি।
আদ্রিয়ান তখন বললো,আমার বিয়েতে ইনভাইট করলাম তোমাদের। তোমরা সবাই আসিও।এখন অহনাকে ফোন টা দাও।
টুশু সেই কথা শুনে নিজে নিলো ফোনটা আর বললো, ভাইয়া সত্যি করে বলবেন একটা কথা?
–কি কথা?
“আপনি কি মন থেকে করছেন বিয়ে টা?
–হ্যাঁ।
টুশু তখন বললো জীবনেও না।আপনি মিথ্যা কথা বলছেন।
আদ্রিয়ান তখন বললো এখন সত্য আর মিথ্যা কথা বলে কি হবে?বিয়ে তো হচ্ছে তাই না?
টুশু তখন বললো কিন্তু ভাইয়া সেদিন যে আপনি আমাদের সামনে অহনাকে প্রপোজ করলেন।কেনো এই অভিনয় টা করলেন ভাইয়া?আমরা তো সত্যি সত্যি ধরে নিয়েছি আপনি অহনাকেই ভালোবাসেন।
আদ্রিয়ান তখন বললো,শুধু আমার অভিনয় টাই চোখে পড়লো তোমাদের? তোমার বান্ধুবিও তো এতোদিন আমার সাথে ভালোবাসার নাটক করতেছিলো।সেটা কি বিশ্বাস হয়েছে?
আদ্রিয়ানের এমন কথা শুনে টুশু চুপ করে রইলো।
তখন আদ্রিয়ান বললো,
আমাকে নিয়ে অহনা যেমন প্রেম প্রেম খেলা খেলেছে ঠিক আমিও তেমনি প্রেম প্রেম খেলা খেলেছি।যেহেতু আমাদের দুইজনের অভিনয় ই ধরা পড়েছে সেহেতু ও বিষয় নিয়ে এখন আলোচনা না করাই ভালো।
এই বলে আদ্রিয়ান কল কেটে দিলো।
চলবে,