#প্রেম_প্রার্থনা
#লেখনীতে_নূরজাহান_আক্তার_আলো
[১৭]
-‘পুরুষদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা বোঝার ক্ষমতা যদি প্রতিটা নারীর মাঝে থাকতো তবে পৃথিবীর বুকে বিচ্ছেদ বলে কোনো শব্দ থাকত না।’
অভিমানপূর্ণ কথাটা বলে থেমে গেল রুদ্র। সেও তো হৃদয় নিংড়ে সব ভালোবাসাটুকু স্পর্শীকে উগড়ে দিয়েছে। গোপনে
এতদিন ভালোবেসেছিল ভেবেছিল বিয়ে পর সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু না, যখনই তাদের সম্পর্ক সরল রেখায় ধাবিত হতে শুরু করে তখনই বিশ্রী এক ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়,
ফলে সম্পর্কের দূরত্ব তিরতির করে বাড়তে থাকে, অভিমান, রাগ, জেদের পাল্লা অনায়াসে ভারি হয়ে যায়। তখন তাকেই এক বুক কষ্ট চেপে নিষ্ঠুর পরিস্থিতি সামাল হতে হয়। অথচ
অপর পক্ষ বোঝা তো দূর অনুভব করার বৃর্থা চেষ্টাটুকু করে না। যেন সব দায় শুধু ছেলেদের। কাফির মতো সেও একই পথের পথিক, এজন্য বোধহয় তার কষ্টটা অনুধাবন করতে পারছে। বুঝতে পারছে প্রতারিত হওয়ার পরেও কাফি কেন
ডুকরে ডুকরে কাঁদছে? হৃদয়ের জ্বালাপোড়া কতটা কষ্টকর সেটা প্রতারিত মানুষটাই বোঝে। এমন তো নয় কাফি সুদর্শন না সে আর মেয়ে পাবে না। কাফি শান্ত স্বভাবের শ্যামবর্ণের পুরুষ। তার জন্যও মেয়ের অভাব হবে না। কিন্তু ওই যে এক বুক ভালোবাসা, মায়া, বিশ্বাস, এখানেই আঁটকে গেছে সে।
যারা ভালোবাসে তারাই জানে এই মায়া কতটা জোরালো।
সেই সঙ্গে কোনো মেয়ে যদি উপলব্ধি করতো পুরুষের চোখে এমনি এমনি পানি আসে না। যখন হৃদয় পুড়ে ছারখার হয়ে যায় কোনোভাবেই সামাল দেওয়া যায় না তখন হৃদয়পোড়া ঝাঁঝ অশ্রু হয়ে ঝরে যায়। তখন সেটাকে হৃদয় পোড়া নেত্র বারি নামে অখ্যায়িত করলেও ভুল হয় না।
রুদ্র কেন জানি কাফিকে কাঁদতে নিষেধ করছে না স্বান্ত্বনার বাণীও দিচ্ছে না। মনভরে কাঁদতে দিচ্ছে। বেশ কিছুক্ষণ পর
কাফি নিজেকে সামলে নিলো। অশ্রু ঝরা লাল টকটকে নেত্র মুছে রুদ্রর সঙ্গে গাড়িতে উঠে বসল। রুদ্র ড্রাইভিং সিটে বসে কাফির দিকে মাম পানির বোতল এগিয়ে দিলো। কাফি সেটা নিয়ে পানি পান করে কান্নাভেজা কন্ঠে বলল,
-‘স্যার, সত্যিই কি রুমা আর নেই?’
-‘আমি অকারণে মিথ্যা বলি না কাফি। নিজেকে সামলাও।’
-‘রুদাশা কি আদৌও শাস্তি পাবে?’
-‘ওর পাকাপোক্ত ব্যবস্থার করতেই যাচ্ছি আমরা।’
তারপর তারা গেল এসপি খন্দকারের কাছে। এসপির বয়স
পঞ্চাশের ঊর্ধ্বে। যদিও তার আরেকটা গোপন নাম বিটকেল খন্দকার। রসকষহীন কাঠখোট্টা বিধায় তেমন কেউ পছন্দ করে না। সামনাসামনি তার প্রশংসা করলেও আড়ালে তাকে গালি দিতে দু’বার ভাবে না। তবে দায়িত্ব পালনে অটল উনি।
যে কেসের দায়িত্ব নেন সেটার শেষ দেখেই ছাড়েন। তবে হ্যাঁ
উনি ঘুষ খান না, তবে চা, মিষ্টি, খাওয়ার জন্য লাখ দু’য়েক টাকা চোখের পলকেই হাতিয়ে নেন। তার মতে ঘুষ আলাদা জিনিস আর চা মিষ্টির জন্য টাকা নেওয়া আলাদা জিনিস।
রুদ্রকে দেখে উনি উঠে হ্যান্ডশেক করে মুখভর্তি হেসে কুলশ বিনিময় করলো। রুদ্র অহেতুক কথা কথার ইতি টেনে রপ্ত করা প্রমাণ পেশ করলো। তারপর বেশ ঝাল মশলা মিশিয়ে দারুণভাবে রুশাদার বিরুদ্ধে একটা কেস সাজালো৷ একে তো মেয়ে তার উপরে মামাতো বোন। যতই হোক এর চেয়ে ভালো সাজা তাকে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ রুদাশার বাবার রাজনৈতিক পাওয়ার আছে। কিন্তু এখন যেভাবে সে কেসটা সাজালো মুক্তি পেতে কালঘাম ছুটে যাবে। এখন বাবা মেয়ে তার বাপ দাদার পাওয়ার খাটিয়ে মুক্তির চেষ্টা করতে থাক।
রুদ্র কেস সাজিয়ে এসপির একাউন্টে মোটা অংকের টাকা ট্রান্সফার করে ফিচেল হাসল। টাকার দেওয়ার বিরুদ্ধে সে নিজেও কিন্তু খন্দকারকে এখন হাতে রাখতে হবে। এতে ওর লাভ বৈ ক্ষতি হবেনা। পরে খন্দকারের থেকে সুদে আসলে টাকা ফেরত নেওয়ার ছকও করে ফেলেছে সে। রুদ্রর টাকা হজম করা এত সোজা নয়। প্রয়োজনে গলার ভেতরে হাত ঢুকিয়ে টাকা উগলিয়েই ছাড়বে।
অতঃপর তারা কাজ সেরে বেরিয়ে এলো। রুদ্র কিছু একটা ভেবে কাফিকে আস্তানায় পাঠিয়ে সে গেল রুদাশার সঙ্গে দেখা করতে। র্দুগন্ধযুক্ত জায়গায় তাকে রাখা হয়েছে। শক্ত কাঠের ছোট্ট চৌকিতে বসে আছে বাবার অতি আদুরে মেয়ে রুদাশা শারমিন। একঘন্টাতে চোখ মুখের কী হাল করেছে!
রুদাশাকে এখানে রাখার পূর্বে দুই মাতালকে রাখা হয়েছিল।
তারা দু’জন মিলে পুরো জায়গা জুড়ে প্রসাব করেছে। ঠিক ছোটো বাচ্চাদের মতো।বড় মানুষের প্রসাবের গন্ধে রুদাশার গা গুলিতে যাচ্ছে। কয়েকবার ইয়াক! ইয়াক! করো বমিও করেছে। এতক্ষণে হঠাৎ রুদ্রকে দেখে রুদাশা হন্ত হয়ে উঠে এসে এক হাত বাড়িয়ে ব্যাকুল হয়ে বলল এখান থেকে নিয়ে যেতে। প্রসাবের গন্ধে এখানে টিকাও দায়। সে হাউমাউ করে কেঁদে অনুরোধ করল নিজের দোষ স্বীকার করে নিবে। তাও যেন এই ঘিনঘিনে নোংরা জায়গা থেকে নিয়ে যায়। রুদ্র ওর কথা শুনে পকেটে হাত গুঁজে এক ভ্রুঁ উঁচু করে বলল,
-‘তোমার বাবাকে বলো তোমার জন্য এখানে একটা প্রাসাদ করে দিক। তখন সেই প্রাসাদে শুয়ে বসে শাস্তি ভোগ করতে পারবে।’
-‘ এখানে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। প্লিজ!আমার কথাটা বোঝার চেষ্টা কর। আমি তোকে খুব ভালোবাসি। ভালোবাসি বলেই রাগে জেদে এমন ভুল করে ফেলেছি। আর এমন হবে না, সত্যি বলছি। তাছাড়া তুইই বল, বয়সে বড় হয়েও তোর জন্য কোন পাগলামিটা করি নি? এজন্য কত মার খেয়েছি, কটু কথা শুনেছি, তবুও তোর কথা ভুলতে পারি না আমি। আমি শুধু তোর বউ হতে চাই। আর স্পর্শীকে সতীন হিসেবে মেনে নিতে আমার সমস্যা নেই তবুও আমাকে তোর করে নে ।’
-‘ওয়াও! দারুণ! ভালোই লাগছে শুনতে, তারপর বলো….’
-‘তোকে পেলে আমি ভালো হয়ে যাবো।’
-‘নিজের রাগ সামলে এখনো তোমাকে বাঁচিয়ে রেখেছি, এটা কি যথেষ্ট নয়?’
-‘সত্যি বলছি, মন প্রাণ দিয়ে আমি শুধু তোকে ভালোবাসি।’
-‘জানি তো, তুমি মনপ্রাণ দিয়েছো আমাকে আর শরীর বিলাও নিজ স্বার্থে। কিন্তু আমি তো তোমার মতো সস্তা নই যে, যার তার সাথে শুয়ে পড়বো আর প্রয়োজন মিটলে ছুঁড়ে ফেলবো। তুমি হচ্ছো বাজারের খোলা খাবারের মতো, মাছি ভনভন করা, নোংরা, অস্বাস্থ্যকর জিনিস, তোমাকে দিয়ে আমার পোষাবে না। তাছাড়া আজকে যা করেছো এর শাস্তি পেতেই হবে ছাড় নেই তোমার।’
-‘তাহলে ভুল হয়ে গেছে স্পর্শীকে মেরে ফেলাই উচিত ছিল আমার। আমি এমনিতেও তোকে পাবো না ওমনিতেও পাবো না, তবে স্পর্শী কেন পাবে? এখান থেকে বের হয়ে সত্যি সত্যিই স্পর্শীকে শেষ করে ফেলবো।’
রুদাশার কথা শেষ হাতেই সেখানে এক পুলিশের আগমন ঘটলো। লম্বা চড়া সুদর্শন পুলিশ। পুলিশের পোশাকে দারুণ
হ্যান্ডসাম লাগছে মানুষটাকে। উনি রুদ্রকে সালাম দিয়ে চট করে জেলের তালা খুললো। তারপর রুদাশাকে হেঁচকা টানে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দু’গালে স্বজোরে পরপর চারটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো। রুদাশা গালে হাত দিয়ে কিছু বলার আগেই উনি স্বাভাবিকভাবে বলল,
-‘উপর মহল থেকে হুকুম এসেছে দুই ঘন্টা পরপর আপনাকে ভিটামিন দিতে। এখন চারটা দিয়ে গেলাম ঠিক দুই ঘন্টা পর আবার আসব, ধন্যবাদ।’
একথা বলে উনি তালা মেরে গটগট শব্দ করে চলে গেলেন। রুদাশা হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে।তার চোখের কোণে অশ্রু জমে আছে।থাপ্পড় মারা মানুষটা আর কেউ নয় তার প্রাক্তণ
স্বামী শিহাব যার সঙ্গে তার বাবা জোর করে বিয়ে দিয়েছিল।
সংসার করে নি সে। এই মানুষটাকে সহ্য করতে পারতো না, এখনো পারে না। ডিভোর্সের এ্যাপ্লাই করা আছে তিনমাসের মধ্যে তাদের ডিভোর্স হয়ে যাবে। তাকে সহ্য করতে না পারার মুখ্য কারণ, একে তো সাদামাটা পুলিশের চাকরি করে তাও আবার ছা পোষা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। যাদের জীবন বেশির ভাগ ডাল ভাতেই সীমাবদ্ধ। এরা বোঝে না শৌখিনতা আর না বোঝে আমোদ প্রোমোদের নির্দিষ্টতা। শিহাবকে তার পছন্দ নয় জেনেও তার বাবা শুধু ছোটো চাচার কারণে তার বিয়ে দিয়েছিল, ছেলে ভালো, সৎ, ব্লা ব্লা এসবের ভিত্তিতে।
সেই থেকে ছোট চাচাতে সহ্য হতো না তার, যখন সে সংসার করবে না বলে জেদ করলো, ছোট চাচা সবার সামনে তাকে থাপ্পড় মেরেছিল। থাপ্পড়ের দাগটা মুছে গেলেও রাগ মিটাতে পারে নি সে। সেই রাগ তুলতে কিছুদিন আগে লোক লাগিয়ে
ছোটো চাচাকে উতমা ক্যালানি দিয়ে হসপিটালে পাঠিয়েছে।খুশির খবর হচ্ছে তার অবস্থা নাকি তেমন ভালো না৷ বাঁচলে ভালো না বাঁচলে তো আরো ভালো এতে কিছু যায় আসে না তার। চাচার প্রতি জমে থাকা রাগ হালকা হয়েছে এইই ঢের।
কিন্তু সে এখন রুদ্রর হাত থেকে বাঁচবে কীভাবে? রুদ্র বুদ্ধি খাঁটিয়ে আঁটঘাট বেঁধে নেমেছে শিহাবের উপস্থিতিতে স্পষ্ট। এখন শিহাব সুযোগ বুঝে তাকে নাকানিচুবানি খাওয়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
একথা ভেবে রুদাশা নিজেই নিজের চুল খামছে ধরে রাগে
হিসহিস করতে লাগল। আর রুদ্র রুদাশার এ অবস্থা দেখে
তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে সেখান থেকে প্রস্থান করল।
তখন সে গাড়ি নিয়ে কাফিকে আস্তানায় যেতে পাঠিয়েছিল।
কারন রুমার লাশ সেখানে রাখা আছে। লাশ দেখে ছেলেটা কি করছে কে জানে। যদিও সেখানে কয়েকজন ছেলেপুলে আছে। তারা ঠিক কাফিকে সামলে নিতে পারবে। মনে মনে এসব ভেবে দৃষ্টি তুলে মেঘে ভরা আকাশ দেখে সিএনজিতে উঠে বসল। আজ সারাটাদিন স্পর্শীকে না দেখে মনটা বড্ড উতলা হয়ে উঠেছে। শরীরের এনার্জি ফুরিয়ে এসেছে। ক্লান্ত পরিশ্রান্ত শরীরটা যেন আর চলছে না। লাথির চোটে স্পর্শীর ব্য/থায় কুঁকড়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখের সামনে ভাসছে। কানে বাজছে করুণ সুরে করা আর্তনাদ। এরিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। পথচারীরা ছুটাছুটি করে ছাওনির দিকে যাচ্ছে। বড় বড় বৃষ্টি ফোঁটাগুলো পিচচালা রাস্তায় আছড়ে পড়ছে। ধীরে ধীরে বৃষ্টিও গতি বাড়ছে। ঝড়ো হাওয়াতে হেলে যাচ্ছে পথের ধারের গাছ-পালা।প্রায় দেড় ঘন্টা পর সিএনজি এসে থামল হসপিটালের সামনে। তখনো বৃষ্টি ঝরছিল। সে ভাড়া মিটিয়ে আধভেজা হয়ে হসপিটালে প্রবেশ করলো। দো’তলার সিঁড়ি বেয়ে তরতর করে উঠে স্পর্শীর কেবিনে ঢুকতেই মুখোমুখি হলো মরিয়ম বেগমের। মরিয়ম বেগমের দৃষ্টি দেখে সে মাথা নত করে নিলো। তখনই রুদ্রর বাবা-মা দাদীমার রুম থেকে বেরিয়ে আসলেন। রুদ্রর মাথা নত দেখে সামনে দন্ড়ায়মান সকলের দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো। ছোট থেকেই এটা ওর বদ অভ্যাস, কোনো অপরাধ করলে অথবা তার কারণে কেউ কষ্ট পায় তাহলে সে ভয়ে পালিয়েও যায় না, লুকিয়েও থাকে না, বরং দোষ স্বীকার করে মাথা নত করে দাঁড়িয়ে থাকে।
তার এই মাথা নত করা মানেই সে অনুতপ্ত। এতে কেউ আর কিছু বলতে পারেন না। আজও সে মাথা নত করে দাঁড়িয়ে আছে, চোখে, মুখে ক্লান্তির ছাপ। মরিয়ম বেগম একটা কথা বললেন না কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলেন। তখন রুদ্রর বাবা বললেন,
-‘চিন্তার কিছু নেই দু’জনেই এখন বিপদমুক্ত। সারাদিন কিছু খেয়েছো?’
রুদ্র জবাব দিলো না। খাওয়ার কথা ভুলেই গেছে সে। তাকে নিশ্চুপ দেখে বুঝে গেলেন যা বোঝার। তারপর বড়রা একে একে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলেন, স্পর্শী তখনো ঘুমাচ্ছে।
রুদ্র ভেজানো দরজাটা আস্তে করে লক করে দিয়ে স্পর্শীর কাছে এগিয়ে গেল। অপলক তাকিয়ে রইল স্পর্শীর মুখের দিকে। তারপর নিচু হয়ে আলতো করে স্পর্শীর কপালে ঠোঁট ছোঁয়াতেই স্পর্শী নিভু নিভু চোখ মেলে তাকাল।রুদ্রকে দেখে
অনেক কষ্টে চোখ খুলে রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে। শক্ত মনের নিষ্ঠুর পুরুষটা অবশেষে এসেছে। তার এই অবস্থার জেনেও সারাদিন পেরিয়ে এখন আসার সময় হয়েছে। সময় করে এসেছে এই ঢের। দলের নেতা বলে কথা। নেতার নাকি হাজারটা কাজ। সেই হাজারটা কাজ সামলে আসতে দেরি তো হবেই। দয়া করে এসেছে এই সৌভাগ্য। এসব ভেবে সে দৃষ্টি সরিয়ে অন্য দিকে তাকাল। সঙ্গে সঙ্গে চোখের কার্ণিশ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে গেল। তাকে কাঁদতে দেখে রুদ্র তার পুরো মুখে আদর এঁকে বলল,
-‘ আমাকে মার, কা/ট, ইচ্ছে মতো কষ্ট দে, তাও চুপ থাকিস না, কিছু বল।’
স্পর্শীর ছলছল চোখে শুধু তাকিয়ে রইল রুদ্রর মুখের দিকে তবে কিছু বলল না। কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। যে পুরুষ নারীর মন বুঝে না, কষ্ট বুঝে না, আবেগ বুঝে না, অভিমানে ঠাসা দৃষ্টির মানে বুঝে না, সে আর যায় হোক ভালো স্বামী হতে পারে না।
To be continue…..!!