প্রেম পর্ব-১১

0
1530

#প্রেম
#পর্বঃ১১
#Tanisha Sultana

রাত একটা বাজে। মিষ্টির ঘুম ভেঙে যায়। ফোনটা হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢোকে। কেউ কোনো মেসেজদেয় নি। মিষ্টি বেশখানিকটা অবাক হয়। ডাটা অন করলে এতো এতো মেসেজ আসে আর আজ নেই কেনো? গন্ডগোল আছে।
ফ্রেন্ডলিস্ট চেক করে দেখে কয়েকটা মেয়ে ছাড়া আর কোনো ফ্রেন্ড নাই। রিলেশনশিপ স্টাটাস দেওয়া। মিষ্টির আর বুঝতে বাকি রইলো না সব জীমের কাজ।
মিষ্টি সব গুলো ফ্রেন্ডকে আবার এড করে।

সকালে মুখের ওপর কিছু পরায় ঘুম ভেঙে যায় মিষ্টির।চোখ খুলে দেখে পানির বোতল হাতে জীম দাঁড়িয়ে আছে

“আপনি এখানে?

” অনিক হাসান ছেলেটা তোমাকে জান কেনো বললো

মিষ্টি ফট করে উঠে বসে

“মানে কি?

” দেখ (জীম হাতের মোবাইলটা দেখায় মিষ্টিকে তাতে অনিক হাসান ছেলেটা মিষ্টিকে একটা মেসেজ দিছে গুড মর্নিং জান) কে ও

“আমি চিনি না

” চিনোস না তাই জান লিখছে আর চিনলে কি করতো। তুই একদম সুবিধার না। তোর সাথে আমার রিলেশন রাখা সম্ভব না ব্রেকআপ

জীম ফোনটা আছার মেরে চলে যায়।

“এই ছেলেটা এমন কেন? কি ছেলের সাথে আমি প্রেম করছি

মনে মনে বলে মিষ্টি।

আজ ছায়ার বৌভাত। কিন্তু মিষ্টির যাওয়া হবে না। কারণ ওরা এখন আগের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে। যাওয়ার সময় জীমকে খুঁজছিলো মিষ্টি কিন্তু পায় নাই।
মুখ গোমড়া করে গাড়িতে বসে আছে মিষ্টি আর তাজ। মিষ্টির বাবা ডাইভ করছে। মিষ্টির মা ফোন দেখছে

” কি বেপার আমার ময়না দুটো এতো চুপচাপ (বাবা)

“বাবা আজ থেকে আসতাম(মুখ ভার করে বলে তাজ)

” সামনে তোমার এক্সাম মনে নেই। আর ওখানে তোমাদের লেখাপড়ার হ্মতি হবে তাই চলে এলাম (বাবা)

“হুম(মিষ্টি)

মিষ্টির ফোনটা বাজছে। সাইলেন্ট করা মিষ্টি একবার ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখে জীম ফোন করেছে। বাবা মায়ের সামনে ফোন রিসিভ করা পসিবল না তাই আর রিসিভ করে না।

বাসায় এসে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে জীমকে ফোন দেয় মিষ্টি। তিনবার রিং হওয়ার পরে জীম কল ব্যাক করে

” তখন ফোন রিসিভ করলি না কেনো? কোথায় ছিলি? নিশ্চয় কোনো নতুন বফের সাথে তাই না

“এতো নিচু কেনো আপনার চিন্তা ভাবনা। না বুঝে না জেনে কেনো কথা বলেন?

” আমি তো বুঝি না তুই বোঝা আমাকে

“বাবা মা ছিলো

” তো আমিও তো মায়ের সামনে কথা বলছি

“আপনি বলতে পারেন আমি পারি না।

” না পারলি। বল কবে বিয়ে করবি আমায়

“মানে

” বাংলায় বলছি বুঝোস নাই

“কিন্তু এখন বিয়ে

” হুম এখন বিয়ে তোরে আমার একটুও ভরসা নাই। নতুন একটা পাইলে যদি আমারে পল্টি পারোস

“কি বলছেন আপনি? আমি আপনাকে ভালোবাসি আপ

“তুইও আমারে ভালোবাসোস আমিও তোরে ভালোবাসি তাহলে বিয়ে করতে পবলেম কি?

” আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না

“কেনো? সমস্যা কি তোর

” দেখুন জীম

“হুম দেখবো ছাঁদে আসো সোনা

” মানে

“তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ছাঁদে আসো

জীম ফোন কেটে দেয়

” এ আমি কার ফাঁদে পা দিলাম। এখন তো এই ছেলে আমার হার মাংস জ্বালিয়ে খাবে

তারাতাড়ি করে ড্রেস চেঞ্জ করে ছাঁদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় মিষ্টি।
“কোথায় যাচ্ছ?

মায়ের প্রশ্নে চমকে ওঠে মিষ্টি।

” একটু হাটতে যাবো

“ঠিক আছে যাও। দশ মিনিটের মধ্যে চলে আসবে

মিষ্টি মাথা নারিয়ে চলে যায়।

ছাঁদে গিয়ে দেখে জীম দোলনায় বসে আছে

” এখানে ডাকলেন কেনো?

“তুমি বললে দেখুন ফোনে কিভাবে দেখবো তাই ডাকলাম। এখন দেখাও

মিষ্টি কি বলবে বুঝতে পারছে না। জীম মিষ্টির হাত ধরে টান দিয়ে জীমের পাশে বসিয়ে দেয়।

” এখন বলো কবে বিয়ে করবে

“এখন কি করে বিয়ে করবো? আপনিও স্টুডেন্ট আর আমিও। স্টাডি শেষ হোক আপনি জব করেন তারপর

” একটা কাজ করলে কেমন হয় আমরা এখন বিয়ে করে রাখি বাসায় বলবো না। যখন জব পাবো তখন বলবো। এটাই না করতে পারবে না

“একটু সময় চাই আমার

” ঠিক আছে দুই মাস মানে ষাট দিন সময় দিলাম।

মিষ্টি চুপচাপ বসে আছে।

“মিষ্টি আই এম সরি

” কেনো?

“তোমার সাথে রুড বিহেব করে ফেলি। কি করবো বলো রাগটা কন্টল করতে পারি না। আমি তোমার বেপারে খুব দুর্বল। কোনো মতে তোমাকে হারাতে পারবো না

” আমি তো আছি

“হুম এখন আছো। কাল তো নাও থাকতে পারো। কিন্তু বিয়েটা করে ফেললে আর চলে যেতে পারবে না।

” আমাকে একটু ভাবতে দিন

“ঠিক আছে ভাবো। বাট উওরটা যেনো হ্যাঁ হয়।

” আমি বাসায় যাবো

“ঠিক আছে যাও

মিষ্টি চলে যায়। রুমে এসে পায়চারি করছে আর ভাবছে কি করবে। জীমকে মিষ্টিও খুব ভালোবাসে। কিন্তু বিয়ে করাটা কি ঠিক হবে? মাথা ব্যাথা করছে মিষ্টির।
এমন সময় মিষ্টির ফোন বেজে ওঠে। বিরক্তি নিয়ে ফোনটা রিসিভ করে

” হেলো কে

“কেমন আছো?

” আপনি কে?

“তোমার কাছের কেউ

” আমার কাছের সবাইকে আমি চিনি বাট আপনাকে চিনি না

“আরে বাবা আমি কৃশ

” কোন কৃশ

“তোমার বিয়াই

” ওহহ

“হুম কেমন আছো

” ভালে। আপনি

“একটু খারাপ

” ওহহ

“কারণ যানতে চাইবে না

” বলেন

“তোমার জন্য

” মানে

“তোমাকে দেখার পর থেকেই সারাক্ষণ তুমি আমার মনের মধ্যে গেথে আছো। চাইলেও তোমাকে ভুলতে পারছি না। কি করবে বলো তো?

” আমি কিভাবে বলবো?

“আমার এই অসুখ টা তুমি সারাতে পারবে

” আমি

“হুম তুমি। আই লাভ ইউ মিষ্টি। লাভ ইউ সো মাচ

” আই লাইক ইউ বাট ডন্ট লাভ

“লাইক করো তাতেই হবে

” দেখুন

মিষ্টির ফোনে মেসেজ আসে

“ভালো থাকবেন বাই

কৃশকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মিষ্টি ফোন কেটে দেয়। মেসেজ চেক করে দদেখে

” কার সাথে কথা বলছিস তুই

মেসেজ দেখে মিষ্টির অত্তা শুকিয়ে যায়। জীম না জানি এখন কি করবে

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে