#প্রেম
#পর্বঃ১০
#Tanisha Sultana
সবাই চলে গেছে। শুধু মিষ্টি ছায়া আকাশ আর জীম আছে। জীম সবাইকে পাঠিয়ে দিয়েছে। রাস্তার পাশে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছে ওরা
“জীম ভাইয়া আপনি ওই গাড়িতে আমাদের যেতে দিলেন না কেনো? (ছায়া)
” এমনি
“এমনি আবার কি? মিষ্টি রাগী সুরে বলে।
এরজন্য আমাকে বকা খেতে হবে
” আমার জন্য না হয় একটু বকা খেলে
“ধুর
একটা বাস আসে। ওরা ওঠে। বাসটা পুরো ফাঁকা। দু একজন লোক আছে। আকাশ আর ছায়া আগে বসে। মিষ্টি আর জীম একদম পেছনের ছিটে বসে
” এটা কেনো করলে?
“ওই এতো লোকজনের মধ্যে যেতে ভালো লাগলো না। তোমাকে রেখে দিতাম শুধু পরে ভাবলাম বেপারটা কেমন দেখায় তাই আকাশ আর ছায়াকে রেখে দিলাম।
” জানি আমি।
“জানবেই তো কার বউ দেখতে হবে না
” বিয়েটা এখনো হয় নি আর হবে কিনা শিওর না
“কেনো?
আমাদের রিলেশনটা কেউ মেনে নেবে না। আমার বাবা তো একদমই না। আগেই বলে রাখা ভালো বাবা না চাইলে আমি আপনাকে বিয়ে করবো না
জীমের মুখটা কালো হয়ে যায়। কারণ জীম ভালো করেই জানে মিষ্টির বাবা কোনোভাবেই জীমকে মেনে নেবে না।
” বাদ দাও পরেরটা পরে দেখা যাবে
“হুম বাদ দিলাম। বাট হ্যাঁ পরে বলবেন ছলনাময়ী বেইমান আমাকে বেবহার করেছে। এগুলো বলতে পারবেন না
বাসের ছিটে মাথা ঠেকিয়ে বলে জীম
” আর
“আর কি
” আর কি কি বলবো
“জানি না
” আমি কিন্তু নিজের নিজিস কখনো কাউকে দেয় না। সো তোমাকে তুলে নিয়ে যাবো বাট ছাড়বো না
“বাহহহ খুব ভালো। আমি ভেবেছিলাম বলবেন মিষ্টি তুমি চিন্তা করো না আমি গুড বয় হয়ে যাবো তোমার বাবা অবশ্যই মানবে
” মিথ্যা আশ্বাস দিতে পারি না
“তার মানে আপনি পরিবর্তন হবেন না।
” নাহহ যেমন আছি তেমনই থাকবো
“তাহলে আমার আপনার সাথে থাকা পসিবল না
” ভালো এখনি স্বার্থ খোঁজা শুরু করে দিছো
“জীম স্বার্থ না। তুমি বুঝার চেষ্টা করো
” প্লিজ মিষ্টি একটু চুপ থাকবে।
মিষ্টি চুপ হয়ে যায়। জীম চোখ বন্ধ করে আছে। মিষ্টি জীমের দিকে তাকিয়ে আছে
“আমি কি জীমকে হার্ড করে ফেললাম? আমার কথায় কি ও কষ্ট পেলো? কিন্তু আমি কি করবো ও এমন থাকলে তো আমি কোনোদিনও ওকে পাবো না
মিষ্টি মনে মনে ভাবছে।
” মিষ্টি তোমার আমাকে চায় না। চায় একটা সফল জীমকে। যার টাকা থাকবে। আমি চেষ্টা করবো
জীম মনে মনে বলে।
সারা রাস্তা কেউ আর কোনো কথা বলে না। বাস থেকে নেমে জীম দোকান থেকে এক প্যাকেট সিগারেট কিনে। তারপর সিগারেট খায় আর হাটে। জীমের সিগারেট খাওয়াটা মিষ্টির বিরক্ত লাগছে। ছায়া আর আকাশ পাশে বলে কিছু বলছে না।
বাড়ি ফিরে যে যার রুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে মিষ্টি বেলকনিতে বসে আছে। জীমের কথা ভাবছে আর হাসছে
“তুৃমি হাসছো কেনো?
মায়ের কথায় চমকে ওঠে মিষ্টি।
” না মানে এমনি
“ভালো। ওখানে বসে আছো কেনো? রুমে এসো ঠান্ডা পরেছে
মিষ্টি রুমে আসে। মিষ্টির মা মিষ্টির চুল বেনুনি করে দেয় আর বলে
” বিয়ে বাড়িতে অনেক লোকজন কেউ ডিস্টার্ব করলে আমাকে বা বাবাকে বলবে কেমন
“আমাকে কেউ ডিস্টার্ব করে না
” না করলে ভালো। এবার শুয়ে পড়ো।
মিষ্টিকে শুয়িয়ে গায়ে কাথা দিয়ে মিষ্টির মা চলে যায়। বেলকানির দরজা ধাক্কানোর শব্দ আসে। মিষ্টি প্রথমে ভয় পেয়ে যায় কে না কে পরে ভাবে জীম হবে।
দরজা খুলে দেখে জীম
“এতোখন লাগে দরজা খুলতে
” আপনি এখানে এসময়
জীম ভেতরে ঢুকে
“তোমাকে দেখতে এলাম
” সব সময়ই তো দেখেন
“তবুও দেখতে ইচ্ছে করে
” দেখুন কোনোভাবে মা বা বাবা যেনে গেলে কেলেংকারী হয়ে যাবে
“জেনে গেলে ভালোই হবে আমাদের বিয়ে দিয়ে
দেবে
” বিয়ে দেবে তা ঠিক আছে বাট আপনার সাথে না
“প্লিজ মিষ্টি এখন অন্য কথা বলি। আর হ্যাঁ আমি বেকার কাজ করি না লেখাপড়া টা কোনোরকম করি এসব তুমি জেনেই আমার সাথে রিলেশন করেছো সো এসব বাদ
মিষ্টি খাটে বসে কিন্তু কিছু বলে না। জীম মিষ্টির কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ে।
” এবার ঠিক মতো লেখাপড়া করে ফাসক্লাস পাবো দেখে নিও। তারপর খুব মন দিয়ে ব্যবসা করবো। বারা থেকেও ভালো বিজনেসম্যান হবো। তারপর তোমার বাবাকে আমাদের সম্পর্কের কথা বলবো তখন আর তোমার বাবা না করবে না। ততোদিনে তোমার পড়ালেখাটাও শেষ হবে
মিষ্টি এবার খুশি হয়। জীমের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
“লাভ ইউ সো মাচ জীম
জীম একটু মলিন হেসে বলে
” লাভ ইউ টু
আজ মায়ার বিয়ে। বরয়াএী চলে এসেছে। গেট আটকিয়েছে মিষ্টি ছায়া আকাশ আর জীম। ওদের দাবি পাঁচহাজার টাকা দিলে গেট ছেড়ে দেবে। মিষ্টি আজকে লাল একাটা লেহেঙ্গার পড়েছে আর জীম লালা শার্ট। দুজন পাশাপাশি দাঁড়িয়েছে।
অবশেষে কৃশ পাঁচ হাজার টাকা দেয় মিষ্টির হাতে। গেট ছেড়ে দেয়।
বিয়ে পড়ানো হচ্ছে। মিষ্টি মিষ্টির বাবার পাশে বসে আছে। জীম ইশারায় মিষ্টিকে ডাকছে। কিন্তু মিষ্টি যাচ্ছে না
“আংকেল আপনাকে ফুপা ডাকছে।
জীম মিষ্টির বাবাকে বলে। মিষ্টি বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে জীমের দিকে
” আমাকে আবার কেনো ডাকছে?
“জানি জাস্ট বললো আপনাকে বলতে
” ঠিক আছে আমি যাচ্ছি। মিষ্টি তুমি এখানেই থেকো
আবির চলে যায়। জীম আবিরের জায়গায় বসে পারে
“এটা কি হলো?
” বাধা দুর করলাম। তোমাকে কখন থেকে ডাকছি শুনতে পাও না
“এভাবে সবার সামনে আপনার সাথে যাবো না কি
” গেলে কি হবে
“আপনি বুঝবেন না।
“হুম আমি তো অবুঝ। কিচ্ছু বুঝি না। তুমি সব বুঝো। তোমার ফেসবুক পাসওয়ার্ড টা দিও তো
” কিহহহহহহ
“ফেসবুক পাসওয়ার্ড
” কি করবেন
“আমার টা তোমাকে দিবো। দেখবো আমার বউকে কেউ ডিস্টার্ব করে কি না
” আমাকে কেউ ডিস্টার্ব করে না
“তবুও লাগবে আমার। দাও
” সব দেবো ফেসবুক পাসওয়ার্ড না
“কেনো? কি আছে ফেসবুকে? ওহহহহহ অন্য বফদের কথা আমি জেনে যাবো তাই
” তা না
“তাহলে দিতে কি পবলেম। দাও
” এটা আমার পারসোনাল
“আমি তুমি তুমি আমি। আমাদের মধ্যে পারসোনাল বলতে কিছু নেই। আর না কখনো থাকবে
” জীম প্লিজ
“মিষ্টি প্লিজ দাও
জীমের জোরাজুরিতে মিষ্টি পাসওয়ার্ড দিয়ে দেয়।
” ধন্যবাদ মাই ডেয়ার জানটা
“এবার আপনার
” আমারটা পরে নিও
চলবে