#প্রেম
#পর্বঃ৪
#Tanisha Sultana
“ওই ফুলটুসি
বিরক্তি নিয়ে পেছনে তাকিয় মিষ্টি। জীমের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলে
” সমস্যা কি আপনার?
“সেম প্রশ্ন তো আমিও করতে পারি
” মানে
“মানে তুমি কেনো আমার রাতের ঘুম কেরে নিয়েছো?
” আমি আপনার ঘুম কেরে নিয়েছি
“হ্যাঁ। জানো কাল সারা রাত ঘুমতে পারি নি। না ঘুমিয়ে কি করেছি জানো??
” কি করেছেন?
জীম বাইক থেকে নেমে সানগ্লাস খুলে বলে
“মদ খেয়েছি
মিষ্টি চোখ বড়বড় করে তাকায় জীমের দিকে
” আর কি করেছি জানো??
মিষ্টি মাথা নারায়। মানে জানে না
“আর তোমার কথা ভেবেছি। পুরো দুই বতল মদ গিলেছি
” আমাকে বলছেন কেনো?
“তোমার জন্যই তো খেলাম।
” আমি কি খেতে বলেছিলাম
“না ও তো করো নি
” এই আমি কার সাথে কথা বলছি
“কেনো আমার সাথে
” বিরক্তিকর
মিষ্টি চলে যেতে নেয়
“ও ফুলটুসি
মিষ্টি জীমের দিকে না তাকিয়ে বলে
” আবার কি হলো
“আজ রাতে যদি আমি ঘুমতে না পারি না কাল তোমার খবর আছে
মিষ্টি এবার জীমের দিকে তাকিয়ে বলে
” দুই চারটা ঘুমের ঔষুধ খাবেন একটানা দুদিন ঘুমতে পারবেন।
“দুদিন ঘুমলে তোমাকে দেখবো কি করে
” প্লিজ আমার ক্লাসে দেরি হয়ে যাচ্ছে
“ঠিক আছে যাও
মিষ্টি পেছনে ঘুরে যেতে নিলে চুলে টান অনুভব করে।
” আপনি আবার আমার চুলে হাত দিয়েছেন
জীম হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে জীমের ঘড়িতে মিষ্টি চুল আটকে গেছে। মিষ্টি পেছনে ঘুরে জীমের ঘড়ি থেকে নিজের চুল ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু ছাড়ছেই না। জীম হা করে মিষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে।
“এভাবে না তাকিয়ে থেকে হেল্প করেন
মিষ্টির কথায় জীমের হুস ফেরে। খুব যত্ন করে মিষ্টির চুল ছাড়িয়ে দেয়।
” চুল গুলো বেধে রাখো
“বাঁধবো না
” তাহলে আমি বেধে দিচ্ছি
জীম মিষ্টির চুল গুলো হাতে নিয়ে খোপা করার চেষ্টা করে কিন্তু পারে না। শেষমেষ গিট্টু দিয়ে দেয়
মিষ্টি রাগে গজগজ করতে করতে চলে যায়।
জীম মিষ্টির কলেজের গেটের সামনে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জীমের ফ্রেন্ড তমাল আশিক আর ইমন জীমকে কলেজের সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখে জীমের কাছে আসে
“কি রে জীম তুই এখানে (তমাল)
” আরে তোরা
“তোকে এখানে দেখে আসলাম (আশিক)
” আবির চৌধুরীর মেয়ের জন্য ওয়েট করছি
“আবিরের মেয়েকে পটাতে গিয়ে প্রেমে পড়ে গেলি না কি (ইমন)
জীম একটু হাসে
” তোরা এখন যা। রাতে দেখা করবো
জীমের ফ্রেন্ডরা চলে যায়।
মিষ্টি কলেজের গেটের সামনে জীমকে দেখে প্রচন্ড বিরক্ত হয়।
“এই ছেলেটা চায় কি? সব সময় এমন পিছনে পরে থাকে বিরক্তিকর
মিষ্টি মনে মনে কথা গুলো বলে। জীমকে না দেখার ভান করে রিকশায় ওঠে। জীম অনেকবার ফুলটুসি বলে ডাকে কিন্তু মিষ্টি তাকায় না।
কিছুদুর রিকসাটা আসার পরে একটা অটোর সাথে রিকসাটা এক্সিডেন্ট করে। মিষ্টি নিচে পড়ে যায়। মিষ্টির কপাল কেটে যায়। হাত ছুলে যায়। রিক্সা ওয়ালা সামান্য ব্যাথা পায়। মিষ্টি উঠে বসে হাত ঝাড়তে থাকে। জীম এসে রিক্সা ওয়ালাকে মারতে থাকে।
” মারছেন কেনো ওনাকে
মিষ্টি চিৎকার করে বলে কিন্তু জীম মিষ্টির কথায় কান দেয় না। জীমের মারামারি দেখে রাস্তায় অনেক মানুষ জড়ো হয়। কেউ জীমকে বাধা দিচ্ছে না। মিষ্টি জীমকে ছাডিয়ে জোরে একটা থাপ্পর মারে। রাগে মিষ্টির শরীর কাপছে। কপাল থেকে রক্ত পড়ছে। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
মিষ্টির হাতের থাপ্পড় খেয়ে জীম শান্ত হয়। রিকসাওয়ালা নিচে পড়ি আছে
“এতো খারাপ আপনি? রাস্তাঘাটে মাস্তানী করেন। কি প্রমাণ করতে চান খুব ভালো মারপিট করতে পারেন। বাবার বয়সী একজন মারতে আপনার হাত কাঁপলো না।
মিষ্টি আর কিছু বলতে পারে না। চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসে মিষ্টির। আর দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে ঢলে পড়ে
চলবে