#প্রেম_তুমি
#part:1
#Mishmi_muntaha_moon
ভার্সিটির সকলের দৃষ্টি বউ সাজে গেটের ভিতরে দৌড়ে আসা আয়রার উপর।
আয়রা সবাইকে নিজের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেলো।একেতো ঢাকার ভার্সিটি তার উপর একা,ভয়ে বুক জোরে ধকধক করছে।
আয়রার পুরো নাম—-আয়রা আফরোজ।ওদের বাড়ি গ্রামে।বিয়ে থেকে পালিয়ে ঢাকায় আসাতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে।তাছাড়া ছোট বেলা থেকেই চঞ্চলতা কম থাকায় কোনো কাজ একা করতে পারতো না সব কাজে ওর মা তুবা বেগম কে সাথে নিয়ে যেতো।কখনো একা ট্রাভেল ও করে নি।।তাই এখন একা খুব অসস্তিতে ভুগতে হচ্ছে।
আয়রা একহাতে লেহেঙ্গা সামলে আরেকহাতে কাধের ভারী ব্যাগটা ভালো করে কাধে নিয়ে আস্তে আস্তে এগোতে এগোতে আশেপাশে তাকাতে লাগলো।সর্বপ্রথমই চোখ গেলো একটা ফ্রেন্ড সার্কেলের উপর। ৩টা ছেলে আর দুটো মেয়ে বসে আছে।একটা ছেলে গিটার বাজাচ্ছে ও গান গাচ্ছে মুখটা দেখা যাচ্ছে না ভালো করে।তার পাশে থাকা ছেলে মেয়েগুলো ও তাল মিলাচ্ছে।আর উনাদের ঘিরে অনেকে দারিয়ে গান শুনছে।
আয়রা ওদের দিকে তাকিয়ে থাকতেই দেখে গিটার হাতে ছেলেটা গিটার বাজানো বন্ধ করে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে আয়রা ভয়ে তারাতারি চোখ সরিয়ে সামনে এগোতে লাগে।
অর্নিল গিটার বাজাতে থামতেই রোহান ফারহা তুশার আর জেবাও চুপ করে যায়।আর ওর চোখ অনুসরণ করে তাকায় আয়রার দিকে।
আয়রা নিচে তাকিয়ে আস্তে করে হেটে যাচ্ছে।তখনই রোহান আয়রার দিকে তাকিয়ে বলল
–নিউ স্টুডেন্ট?
রোহানের কথা শুনে ফারহাও বলে উঠলো
–হয়তো?আগে তো দেখি নি।
ফারহা গোলা টা আরেকটু উচিয়ে বলল
—হেই লেহেঙ্গা ওয়ালি
এমন ভাবে ডাকায় আয়রা থেমে গিয়ে যেখানে অর্নিল আর ওর ফ্রেন্ড রা বসে ছিলো ওখানে তাকায়।আয়রা কে তাকাতে দেখে ফারহা আবার বলে
–ইয়েস ইউ।কাম।
আয়রা কিছুক্ষন আশেপাশে তাকিয়ে ওদের কাছে যায়।
–জ্বি আপু কিছু বলবেন?
আয়রা শান্ত চোখে সবাই দেখলো সবাই সুন্দর কিন্তু গিটার হাতে ছেলেটা একটু বেশিই কিউট আর হ্যান্ডসাম পুরো মাই ড্রিম বয় ধার্শান রাবাল এর মত।আয়রা এইসব চিন্তা বাদ দিয়ে চুপ হয়ে দারাল।ফারহা কিছুটা এটিটিউড নিয়ে বলল
–শোন আমরা সিনিয়র বুঝলে।আমরা যা বলব এখন তোমার তা-ই করতে হবে বুঝলে।
ফারহার কথার মাঝেই তুশার বলে উঠলো।
–ওয়েট তোরা সবাই চুপ যা আমি বলি কি করা যায় এর।এই মেয়ে তুমি আমাদের ডান্স দেখাও কাপল ডান্স এই ড্রেস এর সাথে নাচ টাই পারফেক্ট।আর একটা ছেলে তুমি নিজেই চুস করে নাও।আমাকেও চুস করতে পারো ক্রাশ গার্ল বলে কথা(দাত কেলিয়ে)
তুশার কথা শুনে আয়রা ঘাবড়ে যায়।এইটা আবার কেমন ধরনের র্যাগিং।আয়রা থতমত খেয়ে বলল
–দে,,দেখুন ভাইয়া আমি নতুন এসেছি।আপনারা একটু বলবেন প্রিন্সিপাল স্যারের রুমটা কোথায়।
ফারহা হুংকার দিয়ে বলল
–হেই ইডিয়ট বড়দের সাথে কথার বলার ম্যানার্স নেই।তুশার যা বলেছে তা করো চুপচাপ।
আয়রা ভয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে আর আশেপাশে তাকাচ্ছে। ভীড় লেগে গেছে চারপাশে মনে হচ্ছে সার্কেস হচ্ছে।
আয়রাকে দারিয়ে থাকতে দেখে অর্নিল বসা থেকে উঠে আয়রার কাছে দারায়।তারপর আয়রার হাত ধরে ওর সাথে কাপল ডান্স করতে লাগে।
আয়রা অর্নিলের কাজে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।মানে কি হুট করে এসে হাত ধরে নাচা শুরু করে দিলো এইটা কোন ধরনের কথা।অর্নিল আয়রার হাতটা ছেড়ে দূরে সরে দারাতেই আয়রা দৌড়ে ভীড় ঠেলে চলে যায়
মাঠ পেরিয়ে বিল্ডিং এ গিয়ে বুকে হাত দিয়ে শ্বাস নেয় আর বলতে লাগে।
–আল্লাহ কি মারাত্মক ব্যাপার।আমাকে বলে ম্যানার্স নেই হাহ।উফফ এখানে এসে তো পরলাম কিন্তু যেই ভয়ানক মানুষজন কিভাবে কি করব(চিন্তিত হয়ে)
আয়রা নিজ মনে কথা বলে প্রিন্সিপালের রুম খুজতে লাগে।
অর্নিল যেখানে বসেছিলো সেখান থেকে গিটার নিয়ে যেতে নেয়।রোহানের কথা শুনে দারিয়ে পরে।
–হেই ব্রো কি?(চোখ টিপ দিয়ে)
অর্নিল ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলে
–কি?এভাবে মেয়েদের মত চোখ কেনো টিপ দিচ্ছিস।ওয়েট আমি মেয়ে না ওকে মেয়েদের দে গিয়ে কাজে লাগবে।
ওদের কথার মাঝেই ফারহা রেগে বলল
–চুপ কর তোরা অর্নিল তুমি আগে বল ওই মেয়েটার সাথে নাচলে কেনো?(রেগে)
অর্নিল ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল
–মাই ইউশ।
–মানে কি আমার থেকে পারমিশন নিবে না আমি তোমার গার্লফ্রেন্ড হই।
–হোয়াট রাবিশ।অর্নিল কারো পারমিশন নেয় না কোনো কাজ করার আগে ওকে।
অর্নিল গিটার নিয়ে চুল গুলোতে আঙুল বুলাতে বুলাতে চলে গেলো।
_
আয়রা ভারী লেহেঙ্গা নিয়ে হেটেই ওর বেস্ট ফ্রেন্ড রিমুদের বাড়ি পৌছালো।ওর জন্যই ঢাকায় আসার ভরসা পেয়েছে।ক্লাস ৫ এ ওর সাথে ফ্রেন্ডশিপ হয়েছিলো তারপর ১০ পর্যন্ত একসাথেই পরে কিন্তু কলেজে ঢাকায় এসে ভর্তি হয়।কিন্তু সবসময় যোগাযোগ ছিলো ওর সাথে।ভাবতে ভাবতেই ফোন বেজে উঠলো।আয়রা তারাতারি ফোন ব্যাগের পকেট থেকে বের করে কানে ধরে।
–হ্যালো রিমু?
–আরে হ্যা কোথায় তুই আমাদের বাড়ি চিনবি তো?নাকি আমি আসবো?
–না তার প্রয়োজন হবে না আমি তোদের বিল্ডিং এর নিচেই দারিয়ে আছি।কত নাম্বার ফ্লাট?
–আচ্ছা দাড়া আমি আসছি।
আয়রা কিছু বলার আগেই ওপাশ থেকে ফোন কেটে গেলো।আয়রা ফোন ব্যাগে রেখে আশেপাশে দেখতে লাগলো।ঢাকা শহরটা কেমন যেনো কোলাহলময়।বেশি একটা আসা হয় না ঢাকায় কেউ নেই ও আপন।আয়রার ভাবনার মধ্যেই রিমু এসে জরিয়ে ধরলো।
— আরে আস্তে।একেতো এই লেহেঙ্গা তার ওপর তোর ওয়েট আমিতো উল্টিয়ে পরবো!
রিমু ছেড়ে দিয়ে মাথা চুলকে বলল
— ওহ সরি।আচ্ছা দে ব্যাগটা আমার কাছে দে।
রিমু ব্যাগটা ওর কাধে নিয়ে আয়রার হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগলো ওদের ফ্লেটে।
রুমে আসতেই আমি গা এলিয়ে দিলো আয়রা।।রিমুর রুমেই ওকে থাকতে দিয়েছে ও আর আয়রা একসাথেই থাকবে।আয়রা বিছানা থেকে উঠে ব্যাগ থেকে একটা থ্রি পিস বের করল চেঞ্জ করতে।রিমু রুমে এসে আয়রার সামনে এসে দারালো।
— আয়রা আন্টি কি সব জানে?
আয়রা রিমুর দিকে পূর্ণদৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
— কি পালিয়ে আসার কথা নাকি তোদের বাসায় এসেছি এটা?
— দুটোই।
— নাহ জানে না কিছুই জানে না।আমার কাছে জোমানো কিছু টাকা ছিলো তা সাথে নিয়ে এসেছি।
আয়রা কিছুক্ষন চুপ থেকে রিমু হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে আবারও বলল।
–তুই আমার একটা হেল্প করবি প্লিজ।
রিমু ব্রু কুচকে আয়রার দিকে তাকিয়ে স্বাভাবিক কন্ঠে বলল
— কি বল আমার হাতে থাকলে অবশ্যই করব।
আয়রা নিচে তাকিয়ে কিছুটা বিচলিত কন্ঠে বলল।
–আমাকে একটা জবের ব্যবস্থা করে দিতে পারবি।তোরা আমায় থাকতে দিয়েছিস এর জন্য আমার থাকার খরচটা না হলেও ভার্সিটির খরচ ফি তারপর আমারও তো কিছু হাতখরচ আছে তাই না।
রিমু একটু চুপ থেকে কিছু একটা ভেবে উচ্ছাসীত কন্ঠে বলল।
–ওহ হ্যা মনে পড়েছে আমার মামার সামনেই একটা ক্যাফ আছে তুই ওইটাতে ওয়েটারের কাজ টা করবি?
আয়রা রিমুর কথায় কিছু না ভেবে সাথে সাথেই বলল
–অবশ্যই।থেংক ইউ ওয়ান্স এগেইন।
–আরে থেংক ইউর কি আছে যা এখন তুই ড্রেস পালটিয়ে আস।তারপর লাঞ্চ করে নে।কত লেট হয়ে গেছে।
খাবারের কথা শুনে আয়রার ক্ষিদেটা আরও বেড়ে গেলো।তারাতারি ওয়াশরুমে গিয়ে ড্রেস চেঞ্চ করে নিলো।
_
লাঞ্চ শেষ করে রিমু আর আয়রা একসাথে খাটে বসে বিভিন্ন কথা বলছে।রিমু ঠোট উল্টে বলল।
–জানিস তোকে বলার জন্য কত কথা জমে আছে।
রিমুর কথা আয়রা হেসে দিলো তারপর ঠোট ভর্তি হাসি নিয়ে বলল।
–আচ্ছা একে একে সব বলিস আমি তো কোথাও পালিয়ে যাচ্ছি না।
রিমু মনে পরার ভংগি করে বলল
–ওহ আচ্ছা ভালো কথা তুই ভর্তি হয়েছিস?আর সব ঠিকঠাক হয়েছে তো?
রিমুর কথা শুনে আয়রার মুখের হাসি মিলিয়ে গেলো তারপর মনখারাপ করে বলল
–সব আবার ঠিকঠাক। এই ঢাকা শহরে কিছু ঠিকঠাক হতে পারে?একদমই না(গালে হাত দিয়ে)
–কেনো কি হয়েছে।
আয়রা সামনে থাকা চুল কানের পিছনে গুজে রিমুকে একে একে সব বলল।তারপর রিমুর দিকে তাকিয়ে দেখে রিমু মুখ হা করে তাকিয়ে আছে।আয়রা ব্রু কুচকে বক্তে লাগলো।
–কি এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো।
–আমি কি ঠিক শুনলাম।তুই অর্নিল আহমেদ বললি না।
–হ্যা আমি পাশের ভাইয়া আপু দের বলতে শুনেছি অর্নিল বলেছে।
–ইশ তোর বদলে আমি থাকলে তো লাইফ সেটিং হয়ে যেতো।জানিস তুই অর্নিল আহমেদ সিনিয়র ভাইয়া আর ফেমাস বয়।মাস্টার্স করছে।আর কিউট হ্যান্ডসাম হওয়ায় ছোট থেকে বড় সকলের ক্রাশ বয়।আর টিচারেরও ফেভারিট স্টুডেন্ট।তাছাড়া আরও অনেক ট্যালেন্ট আছে।উনাকে দেখলে আমার মাথায় একটাই প্রশ্ন আসে যে একটা মানুষ এতো অলরাউন্ডার কি করে হতে পারে?হাও?আমার ড্রিম বয়।কিন্তু আমি শুনেছি উনার গার্লফ্রেন্ডও আছে।
আয়রা এতোক্ষন গালে হাত দিয়ে রিমুর কথা শুনছিলো ওর কথা শেষ হতেই মুখ খুলল।
–ওহ এতো ফেমাস উনি আমি তো জানতামই না।আর সকলের ক্রাশ বয় উনি তাহলে অবশ্য গার্লফ্রেন্ড তো থাকবেই।
আয়রার কথায় রিমু মন খারাপ করে বলল
–হুম! হ্যা আর উনি খুব রাগী তাই সকলে ভয়ও পায়।কেউ যদি উনার কথার নড়চড় করে তাহলে তো রাগে ফায়ার হয়ে যায়।তাই আমিও কখনো কিছু বলার সাহস পাই নি।আর তাদের ফ্রেন্ড গুলোও খুব রুড।
আয়রা মন দিয়ে রিমুর সকল কথা শুনল তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে বলল।
–ছেঃ এরকম জাতির ক্রাশের উপর ক্রাশ খাই এর থেকে তো ভালো নিমের রস খাই।(মুখ বাকিয়ে)
আয়রাকে এমন অন্যমনস্ক হতে দেখে রিমু আয়রার কাধ ধরে জোরে নাড়া দেয়।এভাবে নাড়া দেওয়ায় আয়রা ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে রিমুর দিকে তাকায় তারপর অবাক কন্ঠে বলে
–কি?
–তুই বল কি ভাবছিলি এমন অন্যমনস্ক হয়ে?
–না কিছু না।আজ কলেযে গেলি না কেনো?
রিমু ঠোঁট ভর্তি হাসি নিয়ে বলল
–তুই আসবি বলে।
–ওহ।
_
আয়রা সকাল ৬ টা বাজে ঘুম ভাঙ্গে।সারা রাত ঘুমাতে পারে নি নতুন জায়গা বলে তার উপর বাড়ির টেনশন হচ্ছিলো কে জানে কি ঝামেলা হয়েছে।
এপিঠ ওপিঠ করে একটু আগেই আয়রার ঘুম এসেছিলো আবার এখন ঘুম ভেঙে গেলো।আয়রা বিছানা থেকে উঠে বাথরুম থেকে মুখ ধুয়ে বিছানা থেকে ওরনা নিয়ে বারান্দায় যায়।বারান্দায় দারালে রাস্তা স্পষ্ট দেখা যায়।রাস্তার পাশেই রিমুদের থাকার বিল্ডিং।
আয়রা রাস্তায় তাকিয়ে আছে।৬টা বাজে এই ভোর সকালেই মানুষজন ভরা রাস্তা গাড়ি।বিভিন্ন মানুষ তাদের কর্মস্থলে যাচ্ছে।
আয়রার কেমন যেনো অস্থির লাগছে ওর মা বাবার কথা মনে পরছে।ওর এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে ও এরকম কোনো কাজ করেছে।
আয়রা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজেকে শান্ত করে রুমে গিয়ে দরজা খুলে বাহিরে গেলো।বাহিরে গিয়ে দেখে রিমুর মা রান্নাঘরে কাজ করছে।আয়রাও রান্নাঘরে গেলো।
রিমুর আম্মু আয়রাকে রান্নাঘরে দেখে মুচকি হেসে প্রশ্ন করল।
–তুমি এখানে কেনো?
আয়রা মুচকি হেসে বলল
–আপনার হেল্প করতে আসলাম।দিন আমি রুটি বেলে দেই।আমি পারি।
আয়রার কথায় রুশা বেগম হেসে বললেন
–ভালো এইসব টুকটাক কাজ পারা ভালো কিন্তু এখন এইসবের প্রয়োজন নেই আর আমার হয়েই গেছে যাও কলেজে যাবে না আবার রেডি হয়ে নাও।
আয়রা রুশা বেগমের কথায় মাথা দুলিয়ে রুমে চলে গেলো।তারপর রিমুকে ডাক দিয়ে উঠিয়ে দুজন রেডি হয়ে নিয়ে খেয়ে বেরিয়ে পরল।
_
আয়রা আর রিমু কথা বলতে বলতে ভার্সিটির ভিতরে ঢুকছে আচমকা রিমুকে লাফিয়ে উঠাতে ভয় পেয়ে যায়।
–কি হলো?
আয়রার প্রশ্নে রিমু হাত দিয়ে গেটের বাইরে তাকাতে বলল।
–ওই দেখ অর্নিল ভাইয়া আসছে।ইশ ব্রাউন শার্টে কি কিউট লাগছে।
আয়রা রিমুর কথায় গেটের দিকে তাকাতেই অর্নিলকে চোখে পরল আসলেই খুব মারাত্মক কিউট লাগছে।আয়রা অর্নিলের দিকে তাকিয়ে আছে গেট দিয়ে ঢুকে এমন ভাবে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো যেনো কেউ নেই আশেপাশে।
–আজব এমন ভাব করল যেনো আমাকে কখনো দেখেই নি।(মনে মনে)
রিমুর ডাকে আয়রার ধ্যান ভাঙে।
–কোথায় হারালি চল ভিতরে চল।
আয়রা মাথা নারিয়ে রিমুর সাথে গেলো কিন্তু চোখ অর্নিলের উপর।একটা আপু উনাকে দেখে জরিয়ে ধরেছে হয়তো ওইটাই গার্লফ্রেন্ড।আয়রা সেখান থেকে চোখ ফিরিয়ে নিজের কাজে মন দিলো।
চলবে,,,