প্রেমের হাতেখড়ি পর্ব-১০+১১+১২

0
2007

#প্রেমের_হাতেখড়ি
#পর্ব:১০
#ফাতেমা_জান্নাত (লেখনীতে)

পিছ ঢালা রাস্তায় র’ক্তাক্ত হাত নিয়ে দ্রুততার সাথে ড্রাইভ করে যাচ্ছে প্রণয়। পাশেই জান্নাত ভ’য়ে চুপসে বসে আছে।জান্নাতের দিকে তাকিয়ে প্রণয় সেটা ঢের বুঝতে পাচ্ছে। হয়তো কোনো দিন এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি।তাই তুলনা মূলক ভ’য় বেশি পাচ্ছে।

প্রণয়ের গাড়ির পিছনেই বিরোধী দলের পাঠানো লোক বাইক এবং গাড়ি নিয়ে ছুটছে। বাড়ির রাস্তার দিকে প্রণয় গাড়ি চালিয়ে যেতেই সামনে থেকে আরেকটা গাড়ি আসে তাদের গাড়ির সামনে। প্রণয় আবার গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে অন্য পথে চালাতে থাকে।
পিছনে গাড়ি গুলো আবার দাওয়া করছে।প্রণয় গাড়ির স্প্রিড বাড়িয়ে দিয়েছে।নিজের গু’লি লাগা বাম হাতটা রুমাল দিয়ে ভালো করে বেঁধে নিয়েছে।যাতে র’ক্ত কম পড়ে।তারপর ও ড্রাইভ করতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতির মধ্যে তো একহাতে ও ড্রাইভ করা সম্ভব না।

বিরোধী দলের গাড়ি গুলো থেকে অনেক টা দূরে চলে আসতেই প্রণয় একহাত দিয়ে ড্রাইভ করে।অন্য হাত জান্নাতের মাথায় রাখতেই জান্নাত সম্বিৎ তাকায় প্রণয়ের দিকে।লোকটা এমন পরিস্থিতি তে ও হাসছে?এই লোকটা এমন কেন?উনার এক্সপ্রেশন দেখে মনে হচ্ছে সিচুয়েশন নরমাল। কিছু হয়নি।

—আপনি ভ’য় পাবেন না জান্নাত। আমি আছি তো।কিছু হবে না।ইনশাল্লাহ আমরা সুস্থ ভাবে বাড়ি ফিরে যাবো।আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।।

জান্নাত অ’বাক নেত্র ঝাপটায়।বাবার পরে এই প্রথম অন্য কোনো ছেলে তার মাথায় হাত দিয়ে ভরসা দিলো। ভ’য় পেতে বারণ করলো। ‘‘আমি আছি তো’’ কথাটা দ্বারা যেন বুঝিয়ে দিয়েছে যা কিছুই হয়ে যাক না কেন লোকটা তার কিছু হতে দিবে না।একেই কি বলে ‘‘ভরসাস্থল ’’?

গাড়ির শব্দ খুব নিকটে কানে আসতেই প্রণয় আয়নায় তাকায়।বাইক গুলো তাদের গাড়ির খুব কাছাকাছি। প্রণয় আবার গাড়ির স্প্রিড বাড়িয়ে দেয়।গু’লি ছুটে তাদের গাড়ির দিকে।।বাম হাত দিয়েই কষ্ট করে ফোনটা পাঞ্জাবীর পকেট থেকে বের করে জান্নাতের দিকে এগিয়ে দেয়।জান্নাত তাকায় প্রণয়ের দিকে বুঝার চেষ্টা করে।তার দিকে কেন ফোন এগিয়ে দিলো। তাই প্রণয় কে বলে,

—ফোন দিলেন কেন?

—কল লিস্টে প্রথমেই রিফাতের নাম্বার আছে রিফাত দিয়ে সেইভ করা।রিফাত কে ফোন দিন।

—লক টা?

—আমি ওপেন করে দিয়েছি।

—আচ্ছা।

বলেই জান্নাত প্রণয়ের ফোনের কল লিস্টে যায়।রিফাতের নাম্বারে ডায়াল করে লাউড স্পিকারে রাখে ফোন।প্রথম রিং হতেই রিফাত কল রিসিভ করে বলে,

—আসসালামু আলাইকুম। প্রণয় ভাই!

রিফাতের কথা শুনে প্রণয় তাকায় ফোনের দিকে।জান্নাত প্রণয়ের মুখের কাছেই ফোন ধরে রেখেছে।প্রণয় রিফাত কে বলে,

—রিফাত তাড়াতাড়ি গার্ড দের নিয়ে আয়।আমার লোকেশন ট্র্যাক কর।আমাদের পিছনে বিরোধী দলের লোক লেগেছে।আমার একহাতে গু’লি লেগেছে।তারপর ও আমি ড্রাইভ করে যাচ্ছি। আমার সাথে জান্নাত ও আছে তাই কিছুই করতে পারছি না মেয়েটা ভ’য় পাচ্ছে।

জান্নাতের দিকে তাকিয়ে প্রণয় কথা গুলো বলছিলো। কিন্তু জান্নাতের সেই দিকে খেয়াল নেই।সে চার দিকে নজর ভুলাচ্ছে।

রিফাত প্রণয়ের কথার পৃষ্ঠে বলে,

—ভাইয়া আপনি সাবধানে থাকবেন। আমি আসতাছি।

বলেই রিফাত ফোন কে’টে দেয়।প্রণয় জান্নাতের দিকে তাকায়।গ্লাসের বাইরে লোকদের দেখে প্রণয় জান্নাতের সিট বেল্ট খুলে জান্নাত কে নিজের প্রশস্ত বুকের মধ্যে জড়িয়ে রাখে।জান্নাত স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে প্রণয়ের হৃৎস্পন্দন।যা দ্রুত বেগে চলছে।হঠাৎ করে গু’লির শব্দ শুনতেই দুই জনে হকচকিয়ে যায়।জান্নাতের পাশের জানালা দিয়ে গু’লি করেছে।যা জানালার কাচঁ ভেদ করে প্রণয়ের হাতে লাগে।ড্রাইভ এলোমেলো পথে চলে যায়।স্টেয়েরিং থেকে প্রণয়ের হাত ছুটে যায়।প্রণয় আবার স্টেয়েরিং এ হাত রাখে।পাশের সেই বাইক টাতে ধা’ক্কা দিয়ে পাশের খাদে ফেলে দেয়।আবার গাড়ি ফুল স্প্রিড দিয়ে চালাতে শুরু করে।জান্নাত প্রণয়ের গু’লি লাগা র’ক্ত মাখা সেই হাত নিজের দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে।চোখ থেকে ঝরছে অশ্রু কণা।তার নিজের হাতে ও কাঁচের কিছু টুকরো গেঁথে গেছে।কিন্তু সেই দিকে জান্নাতের নজর নেই।তার থেকে ও যে প্রণয়ের বেশি কষ্ট হচ্ছে।একটা হাতে পর পর দুটো গু’লি লেগেছে।এতে কি পরিমাণ কষ্ট হচ্ছে এটা সে এতক্ষণ বিন্দু পরিমাণ হলেও বুঝতে পাচ্ছে।

হঠাৎ গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়।গাড়ির টায়ারে গু’লি করায় দুটো টায়ার-ই দাঁড়িয়ে গেছে।প্রণয় দ্রুত জান্নাত কে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়ে।লুকিয়ে পড়ে একটা গাছের আড়ালে।

চারদিকে সন্ধ্যার অন্ধকার নেমেছে।হালকা নিভু নিভু আলো আছে এখনো ধরণীর মাঝে।এই দিকে জান্নাত প্রণয় দুই জনের চোখে ও যেন ভ’য়ে অন্ধকার নিমজ্জিত হয়েছে।প্রণয়ের ভ’য় পাওয়া জান্নাত কে নিয়ে। আজ তার জন্য যদি মেয়েটার কিছু হয়ে যায়?

হঠাৎ চারদিক থেকেই গু’লির শব্দ শুনা যায়। প্রণয় বুঝে গেছে রিফাত,সজীব,সুজন চলে এসেছে গার্ড দের নিয়ে।জান্নাত এর মাথা এখনো প্রণয়ের বুকে।প্রণয় তাকায় জান্নাতের সেই অশ্রুসিক্ত মুখশ্রী পানে।হাতের যেখানে কাচঁ গেঁথে গেছে সেখান থেকে র’ক্ত পড়ছে ছুয়ে ছুয়ে।জান্নাত এর মাথায় হাত রাখে।নিজ মনে আওড়ায়,

—‘‘আপনার চোখের এই অশ্রু কণা কেন আমার গু’লি লাগা হাতের কষ্ট কে হার মানাচ্ছে?আপনার হাতের এই ক্ষত কেন আমার হৃদয় টাকে ক্ষ’ত করছে জান্নাত’’?

প্রণয় জান্নাতের মাথায় হাত ভুলায়। অভ’য় দিয়ে বলে,

—ভ’য় পাবেন না।রিফাতরা চলে এসেছে।আর ভ’য় নেই।

একটু থামে প্রণয়। আবার অনুতপ্ত এর সুরে জান্নাত কে বলে,

—আমাকে ক্ষমা করবেন জান্নাত। আমি আমার কথা রাখতে পারিনি।আপনার হাতে কাচঁ গেঁথে গেছে।হাত থেকে র’ক্ত পড়ছে।আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি নিজের কথা রাখতে অক্ষম।

জান্নাত প্রণয়ের কথায় অবাক হয়।লোকটা পা’গল নাকি?নিজের আ’ঘাত এর কথা চিন্তা করছে না।অথচ তার হাতে সামান্য কাচঁ – ই তো গেঁথেছে। তা নিয়েই লোকটার এত অনুশোচনা?

জান্নাত মাথা তুলে প্রণয়ের দিকে তাকায়।কিছু বলার আগেই সে আ’তকে উঠে।প্রণয়ের মাথায় গু’লি ধরে আছে একটা লোক।

চলবে ইনশাল্লাহ✨🖤

#প্রেমের_হাতেখড়ি
#পর্ব:১১
#ফাতেমা_জান্নাত (লেখনীতে)

হসপিটালের করিডোর এ বসে আছে জান্নাত আর প্রণয়ের ফ্যামিলির সবাই।প্রণয়ের অপারেশন করানো হয়েছে।প্রথম গু’লি টা হাত ছুঁয়ে গেলে ও দ্বিতীয় গু’লি টা হাতে লেগেছে। তাই অপারেশন করে সেটা বের করানো হয়েছে।দুই ঘন্টা অবজারবেশনে রাখা হয়েছে প্রণয় কে।এর মাঝেই ইনশাল্লাহ জ্ঞান ফিরে আসবে।জান্নাত কে ও আলাদা কেবিনে ভর্তি করা হয়েছে।ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছে ডাক্তার। তাই এখনো জ্ঞান ফিরেনি তার।

সেই সময় জান্নাত যখন দেখতে ফেলো প্রণয়ের মাথায় কেউ গু’লি ধরেছে।জান্নাত বাকহারা হয়ে তাকিয়ে থাকে।কি করবে নিজেও বুঝতে পারছিলো না।এই তো মনে হচ্ছে মিঃ ভালোবাসার মাথায় গু’লি চালিয়ে দিবে।সে কি করবে?প্রয়োজনের সময় মাথা কাজ করে না।কথাটা অতিব সত্য।
নিজেকে সামলিয়ে যখন কিছু করতে যাবে তখন হুট করে লোকটার কপালে এসে একটা গু’লি লাগে।লোকটার কপাল থেকে র’ক্ত ছিটকে এসে পড়ে প্রণয়ের শুভ্র পাঞ্জাবি তে আর জান্নাতের মুখের মধ্যে। লুটে পড়ে যায় লোকটা মাটিতে।

হঠাৎ পিছন থেকে কিছুর শব্দ পেতেই প্রণয় পিছনে তাকিয়ে দেখে বিরোধী দলের-ই লোক এটা।প্রণয় আবার সামনে তাকিয়ে দেখে রিফাত দাঁড়িয়ে আছি গু’লি তাক করে।তারমানে রিফাত গু’লি করেছে লোকটা কে।রিফাতের গু’লি তে সাইলেন্সার লাগানো ছিলো বিধায় গু’লির শব্দ কানে আসেনি।

মুখে ছিটকে তরল বস্তু তে হাত দিয়ে হাত টাকে সামনে আনতেই জান্নাত দেখে র’ক্ত। একবার হাতের র’ক্ত গুলোর তাকায় আরেকবার পিছনে মাটিতে পড়ে থাকা লোকটার গু’লি লাগা কপালের দিকে তাকায়।মাথাটা যেন ঘুরিয়ে উঠলো তার।লোকটার কপালের মাঝ বরাবর গোল করে গু’লি চিহ্ন বসে আছে।আর সেই জায়গা থেকে র’ক্ত ঝরছে সীমাহীন ভাবে।

প্রণয়ের বুকের উপর ঢলে পড়লো জান্নাত। প্রণয় হকচকিয়ে যায় আকষ্মিক ঘটনায়।জান্নাত এর মাথা বুকের উপর থেকে তুলে দুই হাত দিয়ে কষ্ট করে নিজের হাতের আজালায় নেয়।জান্নাতের মুখে ছিট ছিটে র’ক্তের ফোটা।যা অন্যের। হয়তো এতক্ষণের নিজের মাঝে জমিয়ে রাখা ভ’য় টা প্রকাশ পেয়ে গেছে তাই জ্ঞান হারিয়েছে। প্রণয় রিফাত কে গাড়ি নিয়ে আসতে বলে জান্নাত কে কোলে তুলে নেয় নিজের কষ্ট হলেও।

গাড়িতে জান্নাতের মাথাটা নিজের বুকের উপর ডান হাত দিয়ে চেপে ধরলো। মেয়েটা কে নিয়ে তার বড্ড টেনশন হচ্ছে এখন।যতই নিজের মন কে বলুক ভ’য় পেয়েছে তাই জ্ঞান হারিয়েছে।কিন্তু আসলেই কি মন তা মেনে নিয়েছে?মন যেন তা মানতে নারাজ।হাতের দুই জায়গা থেকে র’ক্ত ঝরছে প্রণয়ের। চোখটা ও কেমন যেন ঝাপসা হয়ে আসছে।সব কিছু ঘোলাটে লাগছে।জান্নাতের মাথাটা কে বুকে চেপে রেখেই জান্নাত এর মুখের দিকে তাকায়।ম্লান হাসে প্রণয়।মুখের র’ক্ত এর ফোটা গুলো আগেই মুছে দিয়েছে রুমাল দিয়ে প্রণয়।

—‘‘শুনেছি ঠোঁটে তিল সবার নজর কাড়ে।তবে আপনার এই নাকের লালছে কালো তিল কেন আমায় ঘায়েল করে? বলতে পারবেন জান্নাত’’?

প্রণয়ের প্রশ্নের কোনো উত্তর আসে না।প্রণয় নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে জান্নাতের সেই নাকের তিলের দিকে।ছুতে যায় একবার সেই তিলটা কে।কিন্তু কোথাও একটা বাধা পায়।তাই আবার হাত নামিয়ে ফেলে।ম্লান হাসে।চোখ গুলো খোলা রাখা যেন আরো দায় হয়ে পড়েছে।শেষে না পেরে চোখ বুঝে ফেলে প্রণয়। দুইজনের নিশ্বাস এর গতি এক হয়।দুই জনেই জ্ঞানহীন হয়ে ঢলে পড়েছে।জান্নাত ঢলে পড়ে আছে ভরসা পূর্ণ মানুষ টির প্রশস্ত চিত্তে। আর প্রণয় মাথাটা হেলিয়ে দিয়েছে বুকে রাখা জান্নাতের মাথার সাথে।

🌸🌸

—মিঃ ভালোবাসা আপনি ঠিক আছেন এখন?

জান্নাতের কথায় প্রণয় চোখ মেলে তাকায়।এতক্ষণ চোখ বন্ধ করে ছিলো সে।গতকাল রাতেই দুই জনের জ্ঞান ফিরেছে।জান্নাত সুস্থ থাকলে ও প্রণয় কে রেস্ট নিতে বলেছে ডাক্তার। প্রণয় জান্নাতের দিকে তাকায়।মুচকি হাসির রেখা টানে ঠোঁটের কোনে।জান্নাতের উদ্দেশ্যে সুধায়,

—আপনি কেমন আছেন মিস. জান্নাত?

—প্রশ্ন টা আমি আগে আপনাকে করেছি। তাই আগে আমার উত্তর দিন?

—দিবো তো।রে’গে যাচ্ছেন কেন?

—আশ্চর্যকথা! আমি রা’গতে যাবো কেন?

জান্নাত রা’গ করেনি বললেও স্পষ্ট তার কথায় রাগের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।কিন্তু জান্নাত কি নিয়ে রে’গে আছে তা এখনো বুঝতে পারছে না প্রণয়।দু’ষ্টামি হাসি দিয়ে জান্নাত কে বলে,

—ওহ আপনি রে’গে যাননি?

—নাহ।

—কেন রা’গ করেন নি?

—আজব পাব্লিক তো আপনি।এত প্যাঁচাল করেন কেনো?

প্রণয় হেসে দেয়।আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই কেউ দরজায় নক করে।প্রণয় অনুমতি দেয় আসার।অনুমতি পেয়ে রিফাত,সজীব,সুজন কেবিনে আসে।রিফাত প্রণয় কে স্বগতোক্তি করে বলে,

—প্রণয় ভাই,মিডিয়ার লোকেরা বাইরে ভিড় জমিয়েছে।

প্রণয় কিছুটা বিচলিত স্বরে বলে,

—তোরা মিডিয়ার লোকদের সামলানোর চেষ্টা কর।হসপিটালে কোনো প্রকার ঝামেলা আমি চাই না।

জান্নাত কেবিন থেকে বাইরে যায়।তাদের কথার মাঝে সে থাকাটা শোভনীয় না।
তার যাওয়ার পানে প্রণয় তাকায় একবার।

সুজন প্রণয় কে বলে,

—প্রণয় ভাই রাফসান মির্জা আপনাকে দেখতে এসেছে হসপিটালে। ওয়েটিং রুমে আছে সে।

প্রণয়ের কথার আগেই সজীব তেঁতে উঠে বলে,

—ওরে এখানো বসিয়ে রেখেছিস কেন?দুই ঘা লাগিয়ে দিতে পারলি না?

—আমার তো ইচ্ছে করছে শা’লার গু’লি করে ঠুলি উড়িয়ে দিতে।আই আ’ম ড্যাম শিউর প্রণয় ভাই।আপনাকে মা’রার জন্য এই রাফসান মির্জাই লোক পাঠিয়েছে।

রিফাতের কথায় প্রণয় বলে,

—শান্ত হো রিফাত। কথায় কথায় রে’গে যাওয়া ঠিক না।ছাড় এসব।রাজনীতি যখন করছি শত্রুর অভাব হবে না।রাজনীতি করা মানে খাল কে’টে কুমির আনা এমনি।

প্রণয় সুজনের দিকে তাকিয়ে বলে,

—সুজন তুই গিয়ে রাফসান মির্জা কে আসতে বল।

—আচ্ছা ভাই।

বলেই সুজন বের হয় কেবিন থেকে।কিছু সময় গড়াতেই রাফসান মির্জা আসে কেবিনে।হাতে ফুলের বুকে।বিশ্রী ভাবে একটা হাসি দেয় প্রণয়ের দিকে তাকিয়ে। বিনিময়ে প্রণয় চুপ করেই থাকে।রাফসান মির্জা এসে প্রণয়ের হাতে বুকে টা দিয়ে বলে,

—নতুন জীবনের শুভেচ্ছা মিষ্টার এসপি।

—ধন্যবাদ। তবে আমার কেন যেন মনে হচ্ছে আমার সামনে আপনার প্রকাশিত হাসিটা মিথ্যে হাসি।ভিতর থেকের নয় এই হাসি?

—মানে কি বুঝাতে চাইছেন আপনি?

প্রণয় তাকায় রাফসান মির্জার দিকে।বুকে টাকে এক পাশে রেখে মুচকি হাসে।রাফসান মির্জার দিকে তাকিয়ে বলে,

—মানে টা খুব সহজ।আপনি তো আবার মানুষ মা’রতে খুব পছন্দ করেন।হয় তো এবার আপনার ট্রিগার এর গু’লি গুলোর লক্ষ আমার দিকেই ছিলো। কিন্তু আমি তো বেচেঁ গেছি।আপনার দুইটা গু’লি গিয়েছে আমার উপর দিয়ে।তারপর ও আমি জীবত আপনার সামনে বসে আছি।যা আপনি আশা করেননি।সেই জন্যই হয়তো মন থেকে খুশি হতে পারেন নি আমার ফিরে আসাতে।কি বলুন তো আল্লাহ চাইলে হয়তো এক গু’লি তেই আমি মা’রা যেতাম।আবার ছয়টা গু’লি আমার উপর গেলেও হয়তো বেচেঁ থাকতাম।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমার হায়াত রেখেছে।যান বাড়িতে গিয়ে একটু নামাজ পড়ে আমার জন্য খাস দিলে দোয়া করবেন। যাতে আমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আপনার প্রতিনিধি হিসেবে দাঁড়াতে পারি।

বলেই প্রণয় চওড়া হাসলো। রাফসান মির্জার রা’গ তো তরতর করে বাড়ছে।আবার অপমান করলো তাকে এই শাহরিয়ার প্রণয়? তাকে বলে কিনা খাস দিলে দোয়া করতে?

রাফসান মির্জা রে’গে প্রণয়ের দিকে তাকিয়ে বলে,

—খুব শখ না আমার প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়ানোর?এমপি হবার শখ?তুই যাতে নির্বাচনে না জিতিস তার জন্য দরকার হলে আমি মসজিদে পিন্নি দিয়ে মিলাদ পড়াবো।

প্রণয় আবার হেসে দেয়।শান্ত সুরে বলে,

—আচ্ছা মিষ্টি পরিমাণ মতো দিয়েন। নাহলে মানুষের ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে। অবশ্য আমি কাকে কি বলছি? আপনি তো আবার মানুষের ভালো নামক ক্ষতি টাই বেশি চান।চাইলে পিন্নি এনে ফাস্টে আমাকে খাইয়ে দিয়েও টেস্ট করিয়ে নিতে পারেন।আমি মাইন্ড করবো না।

প্রণয়ের এমন শান্ত সুরের অপমানজনক কথা রাফসান মির্জার সহ্য হলো না।চেয়ার থেকে উঠেই পাশের পানি সহ গ্লাস টা ধপ করে ফ্লোরে ফেলে দেয়।চারদিকে কাচঁ সহ পানি ছিটে যায়।প্রণয়ের দিকে তাকিয়ে দেখে প্রণয় ভাবলেশহীন ভাবে মুচকি হেসে তার দিকে তাকিয়ে আছে।এবার চেয়ার টাকে এক লা’থি মেরে কেবিন থেকে বের হয়ে যায়।

রাফসান মির্জা বেরিয়ে যেতেই রিফাত,সজীব,সুজন দম ফাটা হাসিতে মেতে পড়ে আজকে তাদের প্রণয় ভাইয়ের কথাতে রাফসান মির্জার চেহারা টা দেখার মতো ছিলো।মসজিদে পিন্নি দিবে প্রণয় ভাই যাতে এমপি না হয় সে জন্য।প্রণয় ও তাদের হাসি দেখে হাসতে থাকে।

হঠাৎ কেবিনে জান্নাত আসতেই চারজনের হাসি থেমে যায়।যেন তারা কিছুই জানে না।রিফাত,সজীব,সুজন কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়।জান্নাত তিনজনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।তিনজনে বের হতেই দরজা টা হালকে ভিজিয়ে রাখে।

জান্নাত নাস্তার প্লেট টা ছোট টেবিলের উপর রাখে।প্রণয় জান্নাতের দিকে তাকিয়ে বলে,

—আম্মু কোথায়?

—বাসায়।আপনার ওষুধের সময় হয়েছে তাই আমিই নাস্তা নিয়ে আসলাম।

—ওহ্!

জান্নাত প্রণয়ের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায়। স্বগতোক্তি করে বলে,

—আপনি কি রাজনীতি করেন?

—নাহ।মানুষের সেবা করার চেষ্টা করি।

প্রণয়ের এমন অকপটচিত্ত জবাব জান্নাত এর বিশ্বাস হলো না ।তাই আবার সুধায়,

—সত্যি কথা বলুন।

—কি বলবো?

—আপনি রাজনীতি করেন?

—না রাজনীতি কেন করতে যাবো। এসব ভালো কাজ আমার মতো খারাপ মানুষ দ্বারা সম্ভব না।আমি তো পলিটিক্স করি।

জান্নাত চট করে মাথা তুলে তাকায় প্রণয়ের দিকে।প্রণয় হাসছে তারদিকে তাকিয়ে। জান্নাত নাস্তা প্লেটে সাজিয়ে প্রণয়ের সামনে দিয়ে বলে,

—আপনি একটা অসহ্য লোক।নাস্তা করে নিবেন।

প্রণয় দুঃখী দুঃখী চেহারা বানিয়ে বলে,

—হাতে ব্য’থা তো!☹️

—বাম হাতে ব্য’থা। ডান হাতে তো না।

—বাম হাতের ব্য’থার সাইড ইফেক্ট এ ডান হাত ও এখন ব্য’থা করছে।এই দেখুন লাড়াতে পারছি না।

বলেই প্রণয় ডান হাত আস্তে লাড়ায় আর মুখ দিয়ে উহ্! করে উঠে।যার পুরোটাই অভিনয়। জান্নাত এসে কথা বিহীন প্রণয় কে খাওয়াই দিতে থাকে। প্রণয় স্বার্থ হাসিল করতে পেরে জান্নাত এর অগোচরে মিটিমিটি হাসে।
প্রণয় মনে মনে বলেই উঠে,

—‘‘‘যতই রাজনীতি অপছন্দ করুন আপনি আল্লাহ রাজি থাকলে শেষ পর্যন্ত এই রাজনীতিবিদ এর কাছেই ধরা দিতে হবে আপনাকে ‘‘’জানুপাখি’’’।..

চলবে ইনশাল্লাহ✨🖤

#প্রেমের_হাতেখড়ি
#পর্ব:১২
#ফাতেমা_জান্নাত (লেখনীতে)

হসপিটাল থেকে প্রণয় কে ডিসচার্জ করে বাড়িতে নিয়ে এসেছে চারদিন পরেই।কিন্তু জান্নাত তারপর থেকে প্রণয়ের সাথে কথা বলছে না।কথা বলা তো দূরে থাক।চোখের সামনে ও আসছে না।পাচঁ দিন হয়ে গেলো প্রণয় জান্নাত কে দেখছে না।এতেই যেন তার হাসফাস শুরু হয়ে গেলো।

অভ্যাস রত আগে যেই সময় বেলকনিতে গিয়ে জান্নাতের সাথে কথা বলতো এখন সেই সময়ের দুই ঘন্টা আগেও গিয়ে বেলকনিতে গিয়ে বসে থাকে একবার জান্নাত কে চোখের দেখা দেখবে বলে।কিন্তু জান্নাত তার নজর মাড়ায় না।

একদিকে জান্নাত কে না দেখতে পাওয়া অন্যদিকে নির্বাচন প্রচারণার কাজ এবং ব্যবসা সব কিছু নিয়ে প্রণয় এর যেন এক ভীতিগ্রস্ত অবস্থা। জান্নাত তার সামনে আসছে না কেন?সে কি কোনো দোষ করেছে?খুঁজে পায় না প্রশ্নের উত্তর প্রণয়।

🌸🌸

বিছানায় বসে বিড়াল নিয়ে দু’ষ্টামি করছে জান্নাত। দুই দিন আগেই বিড়াল টাকে রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছিলো।বিড়াল হচ্ছে আদর প্রিয়।এই যে দুই দিন আগে জান্নাত এনেছে তাকে।কিন্তু এমন ভাব হয়েছে জান্নাতের সাথে যেন জন্ম জন্মান্তর এর পরিচিত।

জান্নাত পার্শিয়া কে নিয়েই সময় কাটায়।বেলকনিতে যায় না।পাশের বেলকনির মানুষ টাকে সে ভুলতে চায়।অল্প কিছুদিন এর পরিচয়ে মানুষ টা যেন মাথায় গেঁথে গেছে।চাইলে ও ভুলতে পারছে না

—আপু প্রান্তিক ভাইয়া আর ইশি আপু এসেছে।

জুরাইন এর কথায় জান্নাত তাকায় তার দিকে।জুরাইন কে বলে,

—ওদের কে বল আমার রুমে আসতে।

—আচ্ছা।

বলেই জুরাইন ছুটে যায় নিচে।প্রান্তিক আর ইশি রাহেলার সাথে কথা বলছিলো ড্রয়িংরুমে।জুরাইন গিয়ে তাদের বলে জান্নাতের রুমে যেতে।

ইশি আর প্রান্তিক জান্নাতের রুমে আসে।দুই জনে রুমে গিয়ে দেখে জান্নাত পার্শিয়া কে কোলে নিয়ে বেলকনির দরজার সামনে ফ্লোরে বসে প্রণয়ের বেলকনির দিকে তাকিয়ে আছে অনিমেষনেত্রে। লোকটা কে আজকাল বড্ড বেশি মনে পড়ছে। সে ও তো আজ পাচঁ টা দিন লোকটা কে একটা নজর দেখেনি।কিন্তু বাস্তবতার কাছে যে তার হাত পা বাধাঁ।

—ভাইয়ার কথা যখন এতই মনে পড়ে তাহলে কথা বলিস না কেন ভাইয়ার সাথে?

কর্ণকুহরে কারো কথা পৌছাতেই জান্নাত আলগোছে সেই চোখের চিকচিক করা পানি টুকু মুছে নেয়।মুখ ফিরিয়ে তাকায় রুমের দরজার দিকে।ইশি আর প্রান্তিক দাঁড়িয়ে আছে।জান্নাত পার্শিয়া কে রেখে উঠা আসে।দুই জনের উদ্দেশ্যে বলে,

—আয়!বস।

জান্নাতের কথাকে পাত্তা না দিয়ে ইশি এবার বলে উঠে,

—কিরে প্রান্তিক কি জিজ্ঞেস করেছে বলছিস না কেন?তোর হঠাৎ হলো কি?প্রণয় ভাইয়ার সাথে কথা বলছিস না উনাকে দেখা দিচ্ছিস না কেন?

—উনার সাথে কথা বলা টি কি আমার জন্য বাধ্যতা মূলক ছিলো নাকি?

জান্নাতের এহেন প্রশ্নে চুপ করে যায় ইশি প্রান্তিক দুইজনে। এই কথার বিপরীতে যে কিছুই বলার নেই তাদের।কিন্তু এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না।এক জায়গা থেকে প্রণয় কষ্ট পাচ্ছে অন্য জায়গা থেকে জান্নাত কষ্ট পাচ্ছে। যতই দুই জনে নিজেদের কষ্ট গুলো লুকানোর চেষ্টা করুক না কেন.তবুও সেটা ইশি আর প্রান্তিক এর চোখ এড়িয়ে যেতে পারেনি। যা করতে হবে তাদের- ই করতে হবে এবার।

🌸🌸

পার্টি অফিসে বসে কাজ করছে প্রণয়। নির্বাচন এর আর বেশি দিন বাকি নেই।মাঝে দিয়ে হসপিটালে থাকায় প্রচারণার সব কাজ জমে রয়েছে।বাহিরের কাজ গুলো তো রিফাত,সজীব,সুজন সামলিয়েছে।

প্রণয়ের থেকে কিছুটা দূরেই একটা চেয়ারে আফজাল সাহেব বসে আছে।মূলত তিনি প্রণয় দের হেড।নির্বাচন ভিত্তিক আলোচনা বা কাজ প্রণয় কে সাজেস্ট করেন তিনি।প্রণয় কে খুবই ভালো বাসেন তিনি।প্রণয় নিজ কাজে ব্যস্ত। তিনি ও কাজে ব্যস্ত। হুট করেই নিরবতার উপসংহার ঘটিয়ে আফজাল সাহেব প্রণয় কে বলে,

—কাজ কতটুকু হয়েছে প্রণয়?

—এই তো স্যার। এখনো আছে বাকি।

—এগুলো নাহয় পরে এসে করিও রাত বারোটা বাজে। বাড়ি চলে যাও।

প্রণয় ঘড়ির দিকে তাকায় একবার। রাত বারোটা পনেরো বাজে।প্রণয় আফজাল সাহেব এর উদ্দেশ্যে স্বগতোক্তি করে বলে,

—স্যার আমি কাজ ফেলে রাখতে চাই না।নির্বাচনের আর বেশিদিন বাকি নেই।প্রচারণার কাজ গুলো এখনো পুরোপুরিভাবে শেষ হয়নি।তাই কাজ শেষ হলেই যাবো।

—আচ্ছা। তা প্রচারণার ব্যানার বা মাইকিং করবে কি?

—নাহ স্যার। আমি কোনো প্রকার শব্দ দূষণ বা পরিবেশ দূষিত হোক চাই না।ভাগ্যে থাকলে ইনশাল্লাহ জিতে যাবো মানুষের ভালোবাসায়।নিজের মতো চেষ্টা করে যায়।বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।

—আচ্ছা।দোয়া রইলো তোমার জন্য।

রাত দুই টায় প্রণয় সব কাজ শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য পার্টি অফিস থেকে বের হয়।গাড়ির কাছে যেতেই দেখে রিফাত,সজীব,সুজন দাঁত কেলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।প্রণয় ভ্রুকুঞ্চন করে তাকায় তাদের দিকে।অবাক নেত্র এর পলক পালায় পর পর। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে,

—তোরা এখনো বাড়ি যাসনি কেন?আমি না বলছি বাড়ি ফিরে যেতে তোদের।

প্রণয়ের কথায় তিন জনে এক গাল হাসি।দেয়।সজীব বলে,

—প্রণয় ভাই সারাদিন কাজ করে এই ক্লান্ত শরীর নিয়ে আপনি আবার ড্রাইভ করে বাসায় যাবেন? তা আমরা মেনে নিই কিভাবে?

—তাছাড়া আপনি এখানে নির্বাচন এর কাজ নিয়ে কষ্ট করবেন।আর আমরা বাড়িতে গিয়ে ঘুমাবো?

রিফাতের কথার পরেই সুজন বলে উঠে,

—আপনি যতক্ষণ পার্টি অফিসে থাকবেন। আমরা ও থাকবো আপনার সাথে।কোনো হের ফের হবে না কথার।

এদের তিন জনের কথায় প্রণয় হেসে দেয়।তিন জনের উদ্দেশ্যে এই স্বগতোক্তি করে বলে,

—বিয়ের রাতে ও কি আমার জন্য এভাবে বসে থাকবি নাকি বউয়ের কাছে যাবি?

প্রণয়ের কথায় তিন জনের হাসি থেমে মুখটা চুপসে যায়।প্রণয় ভাই তাদের লজ্জা দিলো?প্রণয় তিন জনের মুখের দিকে তাকিয়েই হেসে দিয়ে গাড়িতে উঠে বসে।প্রণয়ের সাথে গিয়ে রিফাত বসে সজীব ড্রাইভিং সিটে।সুজন তার পাশের সিটে বসে।কথা বার্তায় তিন জনে গন্তব্যে পৌছে।

🌸🌸

রাত তিনটা পাচঁ বাজে।প্রণয় বেলকনিতে বসে মস্ত বড় আকাশ টার দিকে তাকিয়ে আছে।যেন নিরবে আল্লাহর কাছে তার হাজার কথা জানিয়ে দিচ্ছে।আকাশে তারার মেলা।কিন্তু চাঁদ নেই।আকাশে যেমন চাঁদ নেই।ঠিক তেমনি পাশের বেলকনিতে থাকা মানুষ টা ও নেই।আজ ছয় দিন হয়ে গেলো মানুষ টিকে চোখের দেখা দেখতে পাচ্ছে না প্রণয়।

প্রণয় ভাবতে থাকে।কেন জান্নাত তার সাথে এই লুকোচু’রি খেলা খেলছে?তার রাজনীতি এর জন্য?জান্নাত রাজনীতি অপছন্দ করে নাকি রাজনীতি বিদ দের?জানা নেই কিছু জানা নেই তার

প্রণয় আকাশ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে পাশের বেলকনির দিকে তাকায়।তপ্ত নিশ্বাস ফেলে।উদাস গলায় সুধায়,

—‘‘আপনি আমার মন টাকে বড্ড বেশি পু’ড়াচ্ছেন জানেমান। বেশি পু’ড়িয়ে গেলে যে আপনার নামটা ও এই মন থেকে পু’ড়ে যাবে,সরে যাবে,ভুলে যাবে।দয়া করে আর পু’ড়াবেন না।আপনার নাম টা যে আমি মন থেকে পু’ড়তে,সরে যেতে দিতে চাইনা ‘‘জানেমান ’’।”

চলবে ইনশাল্লাহ✨🖤

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে