প্রেমের পাঁচফোড়ন?
পর্ব_৬৬
#Writer_Afnan_Lara
?
এই মুখ আমি বহুবার দেখেছি,নতুন করে কি দেখবো শুনি?
.
দেখো এই মুখে কত কত ভালোবাসা!!
কথাটা বলে শান্ত আহানার দিকে কেমন করে যেন চেয়ে রইলো বেশ কিছুক্ষন ধরে
আহানার বিনা লিপস্টিক আলা ঠোঁট জোড়া থম হয়ে আছে,থুতনির তিলটাও স্পষ্ট!!
হাত দিয়ে সেটা ধরে টেনে দিলো সে
রুমটায় এতক্ষন বাতি জ্বলছিল কারেন্ট ছিল বলে তবে এখন মোমবাতি জ্বলতেসে কারেন্ট চলে গেসে বলে
আহানা আর শান্ত দুজনে বিছানায় হেলান দিয়ে বসে সামনের আয়নার দিকে চেয়ে আছে
আহানা শান্তর বাম হাতটা জড়িয়ে ওর কাঁধে মাথা রেখে চুপটি করে আছে,চারিদিক নিস্তব্ধ, কোথাও কোনো আওয়াজ নেই,মেঘের ডাক শুনা গেলো হালকা করে,হয়ত বৃষ্টি আসবে,আর বৃষ্টি আসার আগেই কারেন্ট আলা ভয় পেয়ে কারেন্ট নিয়ে পালিয়েছে
রুম সার্ভিসের লোক এসে খাবার দিয়ে গেছে কিছুক্ষণ আগে
শান্ত তো লোভ সামলাতে পারছে না আর
টাটকা রুই মাছের ঝোল তাও তার হাতে ধরা মাছ,আহা আহা,তার সাথে সরষে তেল দিয়ে শশা টমেটোর সালাদ,লা জাওয়াব!!
আর সাদা ভাত,আর এক বাটি দেশি মুরগীর মাংস
দেরি না করে হাত ধুয়ে খাওয়ায় লেগে গেলো সে
আহানা বালিশে মাথা রেখে বারান্দার পর্দাটার দিকে চেয়ে আছে
পর্দাটা হালকা সরে যাওয়ায় বাইরের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে,,অন্ধকার আর অন্ধকার,তবে বজ্রপাতের কারণে মাঝে মাঝে বটগাছটা স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যায়
কাঁধে কারও হাতের স্পর্শ পেশে লাফ দিয়ে উঠে বসলো আহানা,শান্তকে দেখে দম ফেললো সে
হুট করে অন্যমনস্ক হয়ে থাকলে কাছের মানুষ ও যদি এসে স্পর্শ করে তাও কলিজা কেঁপে উঠে
শান্ত ব্রু কুঁচকে বললো”কি ভাবো এতো?তুমি তো খেতেও এলে না,দেখো আমি খেয়ে নিয়ে তোমার জন্য ও নিয়ে এসেছি,চলো তোমাকে খাইয়ে দিব,হা করো”
.
আহানা শান্তর কথামত খেতে রাজি হলো,নিয়ম অনুযায়ী হা ও করলো
খাচ্ছে তবে তেমন ভালো লাগতেসে আর ফিল হচ্ছে না,নিমিষেই চোখ দুটো বন্ধ হয়ে গেলো তার
জ্ঞান হারিয়ে দুম করে বিছানা থেকে পড়ে যেতে নিতেই শান্ত এক হাত দিয়ে ওকে টেনে ধরে ফেললো,আরেক হাতে তার খাবারের প্লেট
আহানার নাম ধরে ডেকে প্লেটটা বিছানায় রেখে আহানাকে কোলে নিয়ে আসলো,আহানা চোখ খুলতেসে না দেখে ভীষণ ভয় লাগলো ওর
পানি নিয়ে ওর মুখে দুই তিনবার ছিঁটা দিয়ে দরজা খুলে নওশাদ রুপাকে ডাকতে যাবে তখনই আহানার আওয়াজ পেলো
আহানা হালকা কন্ঠে বলতেসে “আমি ঠিক আছি”
শান্ত আর সেদিকে গেলো না,, আহানার কাছে ফিরে এসে ওর হাত দুটো ধরে পাশে বসলো,চোখেমুখে ভয় আর চিন্তার ছাপ
এত এত সুখের মূহুর্তে এভাবে আহানার অসুস্থতার কথা সে একদমই ভুলে গেসিলো
আহানাকে শক্ত করে ধরে বসে আছে সে,ফোন নিয়ে ২০বার ডাক্তারকে কল করলো,তার ফোন অফ আর তার উপর নেট যায় আবার আসে
বিরক্ত হয়ে ফোন ছুঁড়ে মারলো সে
.
আপনি এত চিন্তিত হবেন না,আমি ঠিক আছি
.
না তুমি ঠিক নেই,আমি কালই ঢাকায় ফিরে যাবো তোমাকে নিয়ে
.
হুম,আমার ও এখানে একদম ভালো লাগতেসে না,চলে যাবো আমি
.
শান্ত ফোনটা ফ্লোর থেকে নিয়ে আবারও ট্রাই করতেসে ডাক্তারকে কল করার
পিছন থেকে আহানার উপস্থিতি টের পেলো সে
আহানা ওকে পিছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরেছে,ওর পিঠে মাথা ঠেকিয়ে চুপ করে আছে
.
ভয় করতেসে তোমার?আমি আছি না,আমি তোমার কিছু হতে দিব না আহানা
.
মৃত্যুর ভয় আমার হচ্ছে না,আমার ভয় হচ্ছে আপনাকে ছেড়ে কি করে থাকবো সেটা নিয়ে,ওপারে গেলে তো….
.
শান্ত আহানার মুখে হাত দিয়ে ওর কথা থামিয়ে দিলো
.
তোমার শুধু রক্তশূন্যতা রোগ,আর কিছু না,বড় কিছুই না,বুঝছো তুমি??
.
আহানা পা উঁচু করে শান্তর গলা জড়িয়ে ওকে ধরলো,কান্না থামানোর একমাত্র কৌশল এটা
.
শান্ত হাত থেকে ফোনটা ছেড়ে দিলো,তারপর আহানাকে কোলে তুলে বিছানার কাছে চলে আসলো
এ কেমন জীবন কাটাচ্ছে সে,যে জীবনের নাম নেওয়ার পরই মনে পড়ে এর বিষাদ ভবিষ্যতের কথা,একজন আপনজনকে হারানোটা আজ পর্যন্ত সে মেনে নিতে পারেনি আর সেখানে এখন যদি আহানাকেও
নাহ!!! এটা সে কিছুতেই মানতে পারবে না
মায়ের হারিয়ে যাওয়াটা তাকে তিলে তিলে কষ্ট দিচ্ছে আর আহানার হারিয়ে যাওয়া তাকে একেবারেই মেরে ফেলবে
.
আহানাকে বিছানায় নামিয়ে দিয়ে সে ভাবলো বারান্দায় দাঁড়িয়ে মনকে শক্ত করবে
কিন্তু না!! তার এই ভাবনায় ছেদ ঘটালো আহানা
এক হাত দিয়ে শান্তর জামাটা ধরে রাখলো সে,শান্তকে নিজের কাছে টেনে নিলো
শান্ত এখন এই অবস্থাতে চায় না আহানার কাছে যেতে,এমনিতেও ওর শরীর খারাপ কিন্তু আহানা সব ভুলে শান্তকে খুব কাছে নিয়ে আসলো
হয়ত আহানাও জানে সে বাঁচবে না,শেষবারের মত প্রিয় মানুষটাকে নিজের করে নিতে তো কোনো বাধা নেই
.
আহানা শান্তর মুখটা দুহাত দিয়ে ধরে বারবার শ্বাস টান দিচ্ছে,বুকের ভেতরটা জ্বলে যাচ্ছে তার,মনে হয় কিছু একটা আঘাত করছে তাকে ক্রমশ!!
.
আহানা তুমি আমাকে এখন এই মূহুর্তে কাছে টেনে কি বুঝাতে চাও??তুমি আর আমার কাছে থাকবা না?আমি তোমাকে কোথাও যেতে দিব না
তুমি আমার পাশে থাকবে, যেতে দিব না আমি
.
আচ্ছা গেলাম না,তাহলেও কি কাছে আসবেন না?
.
আহানাকে ভালোবাসার পুরো মন মানসিকতা তার আছে কিন্তু আহানার শরীর ভালো না বলেই সে আহানাকে কাছে টেনে নিচ্ছে না,, আহানা সেটা বুঝার চেষ্টাও করতেসে না,ওর ধারনা হলো অন্য কিছু,অন্য পথ,অন্য চিন্তাধারা!
.
রাত ১২টা বাজে ১মিনিট
.
আহানা শান্তর সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ঘুমাচ্ছে,শান্ত এক হাত দিয়ে ওর মাথায় হাত বুলাচ্ছে থেমে থেমে
আহানার শরীরের সব অসুস্থতা মনে হয় যেনো শান্তকে নিজের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে সে
আহানার গায়ে চাদরটা ভালো করে মুড়িয়ে দিয়ে চেয়ারের উপর থেকে জ্যাকেট নিয়ে পরতে পরতে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো শান্ত
এভাবে ওর দিকে তাকিয়ে থাকার ক্ষমতা তার নেই
আজই ঢাকায় ফিরে গেলে হতো না?
.
দালানের নিচে এসে দেখলো ম্যানেজার ঘুমাচ্ছে,শান্ত গিয়ে উনাকে জাগালো
জিজ্ঞেস করলো মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার ট্রেন কি এখন আছে?
.
উনি বললেন”এখন তো নেই,বরং কাল সারাদিন গিয়ে বিকালে ঢাকার ট্রেন পাবেন ““এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
.
শান্ত চিন্তিত হয়ে ফিরে আসতেসে রুমে,বাসে করে গেলে সেই সারাদিন লেগে যাবে,আমি কি করবো এখন!
.
আহানা জেগে উঠে বসে পড়লো,আশেপাশে শান্ত কোথাও নেই
তার গায়ে শান্তর টিশার্টটা ছিল,,তাড়াতাড়ি করে বিছানা থেকে নেমে ফ্লোর থেকে জামা নিয়ে চেঞ্জ করে নিলো সে
শান্ত কোথায় গেলো আমাকে ছেড়ে!!এসব ভাবতে ভাবতে
ওড়না নিয়ে দরজার পাশে যেতেই দেখলো শান্ত সিঁড়ি বেয়ে উপরে আসতেসে
মনে হয় প্রান ফিরে পেয়েছে আহানা
এক দৌড়ে শান্তর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো সে
.
শান্ত ব্রু কুঁচকে বললো “তুমি এখানে আসছো কেন?কি হইসে?”
.
আপনি কোথায় গেসিলেন,আপনাকে না দেখতে পেয়ে ভয় করছিল আমার
.
আমি ম্যানেজারের কাছে জানতে গিয়েছিলাম ঢাকার ট্রেন কবে ছাড়বে
.
কবে?
.
কাল বিকালে
.
ওহ
.
চলো এখন
.
শান্ত আহানাকে নিয়ে আবার রুমে ফিরে আসলো,এই নিয়ে কতবার ওকে ঘুম পারিয়েছে,কিসের জন্য যে বারবার জেগে যায় সে,জেগেই শান্তর দিকে তাকিয়ে থাকে
শান্ত বিরক্ত হচ্ছে না একটুও
তাকে আহানাকে হারানোর ভয় গ্রাস করছে রীতিমত
আহানা প্লিস ঘুমাও
.
আসতেসে না তো
.
তাহলে চলো
.
কোথায়?
.
আমি যেখানে নিয়ে যাবো সেখানে
.
শান্ত আহানার হাত ধরে ওকে বিছানা থেকে নামিয়ে ওর ওড়নাটা মাথায় পেঁচিয়ে ওকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো
অন্ধকার শূন্য মাঠে তারা হাঁটতেসে তাও খালি পায়ে,ভেজা ঘাস পায়ে লাগতেই ভালো লাগা কাজ করতেসে,আহানার এতক্ষণ জোঁকের ভয় লাগতেসিলো কিন্তু শান্তর ভরসায় সেই ভয়টা কেটেছে
অনেকদূর চলে এসেছে তারা
চাঁদ আছে তবে মাঝে মাঝে বিলীন হয়ে যায় সেটা
আবহাওয়া ভালো না,বৃষ্টির ভয়ে তাই চাঁদ লুকাচ্ছে মেঘের আড়ালে
শান্ত আহানাকে নিয়ে এবার ঘাসের উপর বসে পড়লো,ওর সামনে বসে ওর হাত ধরে বললো চোখ বন্ধ করতে
বলো আহানা কি দেখতে পাচ্ছো?
.
কিছুই না
.
আর আমি দেখতে পাচ্ছি আমার আহানার মত একটা কিউট বাচ্চা মেয়ে তোমার গলা জড়িয়ে খিলখিল করে হাসতেসে
তার দুই ব্রুর মাঝখানে একটা তিল আছে,একদম তোমার মত যেমন তোমার থুতনিতে তিল
আমার মেয়ের কখনও টিপ দিতে হবে না কারণ তার কপালে টিপ ন্যাচারালি রয়েছে
.
আহানা হেসে বললো আর এখন আমি দেখতে পাচ্ছি একটা কিউট হ্যান্ডসাম ছেলে শান্তর পাশে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,হুবুহু শান্তর মত দেখতে,চোখজোড়া খালি আমার মত,চোখে মুখে এটিটিউড পুরো আপনার মতো
.
আহানা মুচকি হেসে চোখ বন্ধ করে তার ছেলেকে কল্পনায় দেখতেসে
হঠাৎ কানের কাছে শান্তর ঠোঁটের স্পর্শ পেতেই চোখ খুললো সে
আর দেরি না করে শান্ত আহানার হাত ধরে ওকে নিয়ে রিসোর্টে ফিরে আসলো
এবার আহানা ঘুমিয়ে পড়েছে ভালোমতন
স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে শান্ত ও এবার চোখ বুজলো
.
আবার সকাল হতেই উঠে পড়লো সে,আহানা এখনও ঘুমাচ্ছে
ঘড়িতে চেয়ে দেখলো ৫টা ৩২বাজে
শান্ত ফ্রেশ হয়ে রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে গেলো,নওশাদকে কল করে বললো রুপা যেনো আহানার পাশে থাকে,সে ঢাকার ট্রেনের খবর নিতে যাচ্ছে
শান্তর কথামতো রুপা এসে আহানার পাশে শুয়ে পড়লো
শান্ত স্টেশনে এসে জানতে পারলো বিকাল ৪টা ২মিনিটের ট্রেন আছে মোহনগঞ্জ টু ঢাকা
♣
সকাল ৮টা বেজে গেছে
আহানা চোখ খুলতেই বারান্দার বটগাছটা দেখতে পেলো,পর্দা সরিয়ে দিয়েছিলো শান্ত
হাসিমাখা মুখে উঠে বসলো সে,এপাশে তাকিয়ে শান্তকে দেখলো,শান্ত উল্টো হয়ে শুয়ে আছে
চাদর সরিয়ে বটগাছটার গাছে গিয়ে দাঁড়ালো আহানা
গাছটা পুরো ভিজে আছে,বৃষ্টি হয়েছিল কাল গভীর রাতে
তাই হয়ত গাছটার এই দশা
.
বেশ ভালোই লাগতেসে
ফ্রেশ মাইন্ড নিয়ে হাত মুখ ধুয়ে একটা নতুন জামা পরে রুম থেকে বের হলো সে
রিসোর্টের ঘাস ভর্তি খোলা মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে সে আকাশ দেখছে,হালকা রোদের ছটা আর মিষ্টি আবহাওয়া
তারপর দেখলো কজন মিলে চেয়ার টেবিল আনতেসে এদিকে
আহানা চমকে তাকালো,ম্যানেজার বললো শান্ত বলছে এখানে নাস্তা করবে
আহানা মাথা নাড়িয়ে এসে চেয়ারে বসলো,দোতলার দিকে তাকিয়ে আছে সে
ভাবতেসে শান্ত কি উঠেছে?নাকি উঠে নাই!
রুপা আর নওশাদ সেজেগুজে এসে পড়েছে,খাওয়াও শুরু করে দিয়েছে,আহানা শান্তকে ডাকার জন্য উঠতেই দেখলো শান্ত আসতেসে
পেস্ট কালারের জ্যাকেট,ব্ল্যাক জিন্স,খুব সুন্দর লাগছে ওকে,আহানাও আজ পেস্ট কালারের জামা পরে নিচে নেমেছিলো
“শান্ত তো তখন ঘুমে ছিল দেখলো কি করে আমি কি পরে নেমেছি,হয়ত বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখেছে”
শান্ত হেসে ওর পাশে বসে পড়লো,মনোযোগ দিয়ে পাউরুটিতে জেলি মাখতেসে সে
আহানা চমকে বললো “কার জন্য??রুটি ভাজি চিকেন সবই তো আছে তাহলে এটা?”
.
তোমার জন্য
.
কি?!!!আমি এসব খাবো না,আমি তো রুটি ভাজি খাবো
.
না তুমি হেলদি ফুড খাবা,আগে পাউরুটি পরে নাহয় রুটি খাইও
.
রুপা মুখ চেপে হাসতেসে
.
আহানা গাল ফুলিয়ে অনেক কষ্টে পাউরুটি ২পিস খেলো
তারপর রুটির দিকে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে রইলো সে
এটা দেখে শান্ত ওকে রুটি খেতে দিলো
.
খাওয়া শেষ করে শান্ত আর আহানা একটা গাছতলায় এসে বসলো আর রুপা নওশাদ মিলে দৌড়াদৌড়ি করতেসে
একটা সময় দুজনেই কাদায় পড়ে গেলো
রুপা নওশাদের অবস্থা দেখে আহানা আর শান্ত হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাচ্ছে
শেষে নওশাদ আর রুপা এসে ওদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেলো কাদায়,৪জনে কাদায় মাখামাখি হয়ে ভূত হয়ে গেছে
শান্ত এক মুঠো কাদা নিয়ে আহানার সারামুখে গায়ে মেকআপের মত মাখাচ্ছে
আর আহানা রোবটের মত দাঁড়িয়ে থেকে শান্তর কান্ড দেখে যাচ্ছে
চলবে♥