প্রেমের পাঁচফোড়ন?
পর্ব_৬৩
#Writer_Afnan_Lara
?
তো আমি একদিন বাসা থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে দেখলাম সামনে দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যাচ্ছে
আমি কি ভয়টা না পেয়েছিলাম সেদিন
সাথে সাথে গোয়াল ঘরে লুকিয়ে পড়সিলাম,আমাকে তারা দেখতে পায়নি,তারা চলে যাওয়ার পর আমি মাঠে ফিরে গেসি বাবার জন্য চাল আর ডাল নিয়ে,মা রেঁধে দিসিলো
.
নওশাদ চাচার পিছন দিয়ে মাথা বাঁকিয়ে শান্তর দিকে তাকিয়ে মুখে হাত দিয়ে হেসে যাচ্ছে
শান্ত হাত দিয়ে তার মাথার চুল টানতেসে
.
রাত ৮টার দিকে চাচার কথা বলা শেষ হলো,শান্তর ঘুম এসে গেসিলো
নওশাদ তো সোফায় ঘুমিয়ে গেসে কাহিনী শুনতে শুনতে,পরে রুপা ফিরে এসে ওকে টেনে রুমে নিয়ে গেছে
.
শান্ত ঘাড়ে হাত দিয়ে চাপতে চাপতে নিজের রুমে ফিরে আসলো
“”লাইট অফ কেন!””
শান্ত লাইট জ্বালালো
লাইট অন করে দেখলো আহানা বিছানার এক কোণায় শুয়ে আছে হাত পা গুটিয়ে
শান্ত হেসে দিয়ে পুরো রুমটার দিকে তাকালো,খুব সুন্দর করেই সাজিয়েছে নওশাদ আর রুপা মিলে
হঠাৎ করে পিছন থেকে নওশাদ এক ধাক্কা মেরে ওকে রুমে ঢুকিয়ে বাইরে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো
.
এতক্ষন পর সুযোগ পেলি বউয়ের কাছে আসার আর এখন আবার ড্যাবড্যাব করে রুমই দেখে যাচ্ছিস,হারামি!!
.
তাই বলে ধাক্কা দিবি?আমার আর একটুর জন্য হার্ট এ্যাটাক হতো
.
শান্ত পিছন ফিরে আহানার দিকে তাকালো,পা টিপে টিপে ওর পাশে এসে হাঁটু গেড়ে নিচে বসলো
আহানার থুতনির তিলটা ধরে টেনে দিয়ে সেখানে কামড় বসিয়ে দিতেই আহানা ভয় পেয়ে উঠে বসে পড়লো
ভালো করে চেয়ে দেখলো শান্ত বসে আছে হাঁটু গেড়ে,ভয় টা চলে গেলো সাথে সাথে,খুশি হয়ে আহানা বিছানা থেকে নেমে গিয়ে শান্তকে জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে
.
কি হয়েছে?ভয় পেলা?
.
আপনি কোথায় ছিলেন সারাদিন?আমি আপনাকে একবারের জন্যও দেখতে পাইনি,একবারও কি আমাকে দেখতে মন চায়নি আপনার?
.
চেয়েছে,কিন্তু সময় পাইনি,তার জন্য সরি
এক মিনিট তোমার গা কাঁপতেসে কেন,শরীর খারাপ নাকি??
.
না,এমনি একটু দূর্বল লাগতেসে
.
খেয়েছিলা কিছু?
.
হুমম,দুপুরে রুপা এনে দিয়েছিলো খাবার
.
তারপর থেকে কিছু খাওনি?
.
আমার খিধে নেই তো
.
চুপ!
.
শান্ত দরজার কাছে গিয়ে নক করতে লাগলো বারবার,কেউ নেই,যে যার রুমে চলে গেছে
.
আমি বললাম তো আমি ঠিক আছি,আমার খিধে নেই
.
এবার শান্ত ফোন নিয়ে নওশাদকে ফোন করে আনালো
.
কিরে??সবে না তোকে ঠেলে ঢুকালাম,আবার কি চাই?বাইরে কিছু রেখে গেছেন নাকি?আমি আনি দিব???
.
হারামি দরজা খোল,আহানা কিছু খায়নি দুপুর থেকে ওর জন্য খাবার আনবো
.
তুই থাক আমি খাবারের ব্যবস্থা করতেসি
.
ওকে
.
আহানা গাল ফুলিয়ে খাটে বসে আছে
এবার তার নজর গেলো রুমের দিকে,রুমটা তো বেশ সাজানো হয়েছে বাহ কি সুন্দর,গোলাপ আর গোলাপ,মনে হয় গোলাপের মেলা বসেছে,আমি তো খেয়ালই করিনি
.
শান্ত দরজা থেকে সরে গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পাঞ্জাবির উপরের কোটিটা খুলে ফেললো
নওশাদ খাবার এনে দরজা খুলে খাবারের প্লেট শান্তর হাতে দিয়ে চোখ মেরে চলে গেলো সে
শান্ত হাত ধুয়ে এসে আহানার পাশে বিছানায় গোল হয়ে বসলো
আহানাকে জোর করিয়ে পুরো প্লেটের পোলাও মাংস খাইয়ে দিলো সে
তার এক কথা সেটা হলো খাওয়া দাওয়া যেন বেশি বেশি করে
.
আহানা দরজার দিকে তাকিয়ে একটু নড়েচড়ে বসলো
শান্ত হাত ধুয়ে এসে নিজের পাঞ্জাবি খুলতেসে এবার
আহানা ঢোক গিলে কোমড় থেকে কাগজটা নিয়ে চেয়ে রইলো
শান্ত আয়নায় চোখ রেখে বললো”আমি তোমাকে জোর করবো না,ঘুমিয়ে পড়ো”
.
কথাটা বলেই শান্ত আহানার পাশে এসে শুয়ে পড়লো
আহানা কাগজটার দিকে একবার তাকাচ্ছে আবার শান্তর দিকে
শান্ত চ্যাপটা হয়ে শুয়েছে,পুরো পিঠ তার উপরের দিকে
আহানা শান্তর পিঠের দিকে তাকিয়ে বসে আছে,ঠিকই এই ডিসিশনের দায়িত্ব আমার উপর দিয়ে নিজে শান্তিতে ঘুমাচ্ছে,এদিকে আমি কি করবো
আহানা কাগজটা ল্যাম্পশ্যাডের উপরে রেখে শান্তর দিকে তাকালো,তারপর লাইটটাও অফ করে দিলো
পুরো রুম অন্ধকার,আহানার চুড়ির ঝুনঝুন আওয়াজটাই হচ্ছে শুধু
বসে বসে অন্ধকারে সে নিজের চুড়ি গুলো খুলতেসে শান্তর ঘুমের যেন ডিস্টার্ব না হয় তাই লাইট ও জ্বালায়নি সাথে আস্তে আস্তে চুড়ি খুলে যাচ্ছে
অন্ধকারে কানার মত চুড়ি গুলো সব খুলেছে সে,এবার সমস্যা হলো গলার নেকলেস গুলো নিয়ে,ওগুলা টানতে টানতে হাত গলা ব্যাথা হয়ে গেসে কিন্তু সেগুলো খোলাই যাচ্ছে না
বাধ্য হয়ে সে লাইট জ্বালালো আবার,শান্ত ঘুমাচ্ছে তবে হাবভাব দেখে মনে হয় না এখন ঘুমে বিভোর সে
কারণ রাত সাড়ে ৮টার সময় শান্ত কোনোদিন ঘুমায় না
আহানা শান্তর পিঠে হাত রেখে ওকে জাগানোর চেষ্টা করলো
শান্ত সাথে সাথে মুখ তুলে বললো”কি?
.
ঐ আসলে নেকলেস গুলো খুলতে পারছি না
.
আচ্ছা
.
শান্ত উঠে এক এক করে নেকলেস সব খুলে দিয়ে আবার দুম করে শুয়ে পড়লো
.
আহানা ব্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে ওর দিকে,এতদিন রোমান্টিক মুড দেখিয়ে আর আজ কিনা তাকাচ্ছেও না??
এসব ভেবে তারপর শুয়ে পড়লো আহানা,ল্যাম্পশ্যাডের উপরের কাগজটার দিকে তাকিয়ে থেকে কাগজটা বলপয়েন্ট দিয়ে চাপা দিয়ে শান্তর দিকে ফিরে ওকে জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে
.
এটা ভাবতে এতক্ষণ লাগছে আপনার আহানা ম্যাডাম?
.
আপনি বুঝবেন না
.
কেন বুঝবো না?
.
কিছু না,বাদ দেন
.
শান্ত উঠে বসে পড়লো,আহানা চমকে ওর দিকে তাকিয়ে আছে
শান্ত এগিয়ে আসতেই আহানা একটু পিছিয়ে গেলো সাথে সাথে
শান্ত হাত বাড়িয়ে ল্যাম্প শ্যাড অফ করে দিলো
.
অন্ধকারে আহানা শান্তর হাত খুঁজে ধরে রেখেছে ভয়ে
.
২সেকেন্ড বাদেই কানের কাছে শান্তর ঠোঁটের স্পর্শ পেলো সে
শান্ত ওর কানে ঠোঁট লাগিয়ে চুপ করে আছে,তারপর ফিসফিস করে বললো”আজ কাগজটা দেখাবা না?”
.
উহু
.
কেন?আজ শান্তকে চাই বুঝি?
.
আহানা আর কিছু বললো না চুপ করে জানালার বাইরের দিকে চেয়ে রইলো
ক্ষেতের মাঝখানে থাকা পিলারটায় যে বাতি জ্বলতেসে সেটারই আলো আসতেসে এখন রুমে
.
আজ শান্ত আহানাকে নিজের মত করে ভালোবাসতেসে,আহানা তার জীবনের সব দুঃখ কষ্ট ভুলে গিয়েছে আজ,শান্ত একবারের জন্যও তাকে সেসব মনে করতে দেয়নি
শেষরাতে একটা দুঃস্বপ্নে জেগে গেলো আহানা,রুম অন্ধকার বলে খুব ভয় হলো তার,তাড়াতাড়ি করে ল্যাম্পশ্যাডের সুইচে টিপ দিলো,জ্বলতেসে না মনে হয় কারেন্ট নেই
এদিক ওদিক ছটফট করে শান্তর গায়ের স্পর্শ পেতেই ভয়টা কমলো তার,তখনই কারেন্ট চলে আসলো
শান্ত চাদর জড়িয়ে ঘুমাচ্ছে,আহানা কিছুক্ষন ওর দিকে চেয়ে রইলো তারপর ওর পিঠে হাত বুলিয়ে বিছানা থেকে নেমে গেলো,৩টা বাজে মনে হয়,কিছুক্ষন বাদেই আবছা আলোতে ভরে যাবে চারিদিক
আহানা জানালার ধারে এসে আনমনে বাইরের দিকে চেয়ে আছে
কি একটা যেন খারাপ স্বপ্ন দেখলাম,তবে কি দেখেছি সেটাই মনে আসতেসে না
শান্তকে কি জাগাবো?নাহ থাক!ঘুমাক
ফজরের আজান দিতে আর কয়েক মিনিট বাকি
আহানা ব্যাগ থেকে একটা সুতির খয়েরী রঙের শাড়ী নিয়ে গোসল করে পরে আসলো
আজানা দিয়ে দিয়েছে ততক্ষনে
আহানা জায়নামাজ নিয়ে শান্তকে ২বার ডেকে জানালার পাশে ফ্লোরে নামাজ পরে নিলো
শান্ত ততক্ষণে উঠে গেসে,চোখ ডলতে ডলতে তোয়ালে নিয়ে বাথরুমে চলে গেসে সে
আহানা নামাজ শেষ করে বিছানা থেকে ফুলগুলো ঝেড়ে বিছানায় এসে বসলো
শান্ত বাথরুম থেকে বের হতেই দেখলো আহানা খাটে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে
চুপচাপ নামাজটা পড়ে শান্তও এসে আহানার পাশে বসলো,ওর চুলগুলো তোয়ালে দিয়ে ভালো করে মুছে দিচ্ছে সে
আহানা ঠিক করে চুল ও মুছতে জানে না
শান্ত ওর চুল মুছে দিচ্ছে আর সে আয়নার দিকে তাকিয়ে বসে আছে চুপ করে
চুল মোছা শেষ করে শান্ত এক হাত দিয়ে আহানাকে ধরে বুকে এনে রাখলো
শান্তর বুকে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছে আহানা
সকাল ৮টার দিকে মিতু চা বিসকিট নিয়ে এসে দরজায় নক করলো
শান্ত নামাজ পরে যে বিছানায় বসেছে তেমনই ছিল ঘুম আসেনি তার,আহানা ঘুমিয়েছে সেটাই শুধু দেখেছে সে
গিয়ে দরজা খুলে মিতুর হাত থেকে ট্রেটা নিয়ে আবার ফিরে আসলো,আহানা খুব সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে,গালের নিচে তার দুহাত গুছিয়ে রেখে শুয়েছে,মুখে হাসি,নিশ্চয় স্বপ্নে ভালো কিছু দেখতেসে
শান্ত আহানার চুল গুলো নিয়ে কানের পাশে গুজে দিলো ভালোমতন করে
তারপর আহানার থুতনির তিলটা ধরে টেনে দিলো
আহানা জেগে গিয়ে উঠে বসে পড়েছে
.
ইস জেগে গেলা?সরি,আচ্ছা জাগছো যখন চা খেয়ে নাও
.
কয়টা বাজে??ইস,৮টা বেজে গেছে,আমি এত কেন ঘুমাইলাম ধুর!
.
ইটস ওকে,বাসায় কেউ আমাদের অপেক্ষা করছে না আহানা
.
ওহহ,তারপরেও এত দেরি হয়ে গেলো,কি ভাববে সবাই
.
আহানা চায়ে এক চুমুক দিয়ে উঠে পড়লো
চুল এখনও ভিজে আছে, আয়নার সামনে এসে শাড়ীর সাথে মিলিয়ে চুড়ি পরতেসে সে
শান্ত একটা বিসকুট খেয়ে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে আহানার পিছনে এসে দাঁড়ালো
মুখ নিয়ে আহানার ঘাড়ে রাখতেই আহানা নড়ে উঠতে গেলো
শান্ত ফিসফিসিয়ে বললো “খবরদার নড়বা না!আমার হাতে কিন্তু গরম চায়ের কাপ”
.
আহানা রোবটের মতন দাঁড়িয়ে আছে
শান্ত ওর ঘাড়ে একটা চুমু দিয়ে চায়ের কাপ নিয়ে চলে গেলো
আহানা মুচকি হেসে চুড়িগুলো পরে চা শেষ করলো তারপর সেও বের হলো রুম থেকে
.
সোফার রুমে এসে দেখলো কেউ নেই,রেনু মা,খালা,ফুফু রান্নাঘরে, বাবা বাগানে মিতুর সাথে কথা বলতেসেন
আহানা সব দেখে পিছন ফিরতেই দেখলো রুপা দাঁত কেলিয়ে তাকিয়ে আছে ওর দিকে
.
কি?
.
কি মানে??তুই এখন আমাকে বলবি কি কি হইসে কাল
.
এটা কোন ধরনের প্রশ্ন??কি কি হইসে মানে,বাসর রাতে কি কত কিছু হয় নাকি যেভাবে জিজ্ঞেস করতেছিস?
.
নেগেটিভ নেস কেন?আমি কি চুম্মাচাম্মির কথা জিগাইসি নাকি?ভাইয়া কি দিলো সেটা বল,খালি উল্টা পাল্টা ভাবোস তুই,আমি কি তোকে এত খারাপ কিছু জিজ্ঞেস করতে পারি নাকি,আমার ও তো লজ্জা আছে
.
তোর লজ্জা আছে বুঝি?আজ জানলাম আমি
.
বল না ভাইয়া তোকে কি দিয়েছে?
.
আহানা হেসে বললো আমার জীবনকে পূর্নতা দিয়েছে সে,আর কি চাই
.
কি বলিস তুই?বাসর রাতে হাসবেন্ড তার ওয়াইফকে কিছু না কিছু গিফট দেয়,আর শান্ত ভাইয়া বুঝি তোকে দেয়নি?এটা আমি বিশ্বাস করতে পারতেসি না
কথাটা বলে রুপার চোখ গেলো আহানার কোমড়ের দিকে,চিকচিক করতেসে,চোখ বড় করে সে আহানার কোমড় থেকে শাড়ী সরিয়ে যা দেখলো তার তো মাথায় বাজ পড়ার মত অবস্থা
আহানার কোমড়ে সোনার একটা কোমড়ের বিছা
.
তুই আমাকে মিথ্যা বললি??তোকে ভাইয়া এত গর্জিয়াস একটা গিফট দিয়েছে আর তুই বলিস কিছু দেয়নি??
.
আহানা চমকে তার কোমড়ে হাত দিয়ে চেয়ে রইলো,এত সুন্দর দামি একটা জিনিস তার কোমড়ে ছিল সে বুঝতেই পারেনি
দৌড়ে বাসা থকে বেরিয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে শান্তকে খুঁজতে লাগলো সে,টুটুল মিয়াকে দেখে জিজ্ঞেস করলো শান্ত কই
উনি বললেন “বাইরে হাঁটতে গেসে”
আহানা বাসা থেকে বেরিয়ে দেখলো শান্ত আশ্রমের দিকে যাচ্ছে,আহানা দৌড়ে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো
.
আহানা?তুমি এখানে?আশ্রমে যাচ্ছি,যাবা?
.
এক মিনিট,এটা আপনি দিসেন কখন??
.
পছন্দ হয়েছে তোমার?
.
এত দামি গিফট দেওয়ার কি ছিল??
.
শান্ত হাঁটতে হাঁটতে বললো ” আমার বউকে আমি গিফট দিয়েছি,তাতে তোমার কি”??
.
আমার কি মানে?এটা কেন দিলেন আপনি?
.
এটা দেওয়ার কারণ আছে
.
কি?
.
তোমার কাগজের শর্ত কাল আমি ভেঙ্গেছি, তোমার কোমড়ে থাকা কাগজটা তো মন খারাপ করেছে সাথে কোমড় ও,কারণ কাগজটার বউ ছিল তোমার কোমড়,তাই কোমড়কে সাজিয়ে দিলাম সোনার কোমড়ের বিছা দিয়ে,সেও খুশি তার স্বামী কাগজটাও খুশি সাথে আমার বউ ও
.
আপনি কখন পরালেন এটা?আমি তো দেখিনি
.
তুমি যখন নামাজ পরে ঘুমিয়ে পড়েছিলা তখন পরিয়ে দিয়েছিলাম
.
আহানা কোমড়ের দিকে তাকিয়ে শান্তর পাশে হাঁটতেসে,শান্তর ফোন বেজে উঠলো,শান্ত বললো ডাক্তারের ফোন
.
হ্যালো
.
শাহরিয়ার শান্ত??
.
হুম
.
আপনার ওয়াইফের রক্ত নিয়ে যে টেস্ট গুলো করিয়েছিলেন ওগুলোর রিপোর্ট তো এসে গেছে কাইন্ডলি এসে নিয়ে যাইয়েন আর হ্যাঁ রিপোর্টটা দেখলাম.আপনার ওয়াইফের তো….
.
হ্যালো??আমি শুনতেসি না,নেট নেই এখানে,কি বলতেসেন??
উফ!! এই নেটওয়ার্ক সিরিয়াস টাইমে কাজে আসে না
.
কি বললো?
.
বললো রিপোর্ট এসে নিয়ে যেতে,রিপোর্ট এসে গেসে
.
ওহ,তাহলে আমরা ঢাকা ফিরবো কবে?
.
এখন না,এখানে একটা নাম করা রিসোর্ট আছে,আমি তুমি আর নওশাদ রুপা যাবো সেখানে,কয়েকদিন ঘুরে সোজা ঢাকায় ফিরবো
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আহানা হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ থেমে গেলো শান্ত ওর হাত ধরে ফেলেছে,পিছন ফিরতেই সে শান্তর মুখের দিকে চমকে তাকালো,হঠাৎ এসময়ে হাত ধরলো কেন সেটাই বুঝতেসে না
.
শান্ত count down করতেসে
৫…৪…৩…২…১!!!
একটা জড়ো বাতাসে উপর থেকে শতে শতে পাতা আর কৃষ্ণচূড়া ফুল পড়তেসে আহানার গায়ে,আহানা হেসে হাত বাড়িয়ে এক মুঠো ফুল নিয়ে হাসতে হাসতে বললো “এখানে এই গাছটা আছে?আমি তো জানতামই না একদম খেয়াল করিনি”
.
শান্ত আহানার চুলে গোটা একটা কৃষ্ণচূড়া ফুল গুজে দিতে দিতে বললো “”♥আমার মায়াবতী যেখানে তার প্রিয় সবকিছু সেখানে♥””
.
আহানা খুশি হয়ে শান্তকে জড়িয়ে ধরলো কাছে এসে
.
শান্ত মুচকি হেসে পকেট থেকে সানগ্লাসটা পরে হঠাৎ করে আহানাকে দূরে সরিয়ে দিয়ে হাঁটা ধরলো আর একটা ভাব নিয়ে বললো-
“কোথা থেকে এসেছো তুমি মেয়ে??আমাকে চড় দিয়েছিলা যে মনে আছে তোমার??
যাও ভাগো,তোমার প্রতি আমার কোনো ইন্টারেস্ট নাই!!
চলবে♥