প্রেমের পাঁচফোড়ন? পর্ব_৬১

0
2391

প্রেমের পাঁচফোড়ন?
পর্ব_৬১
#Writer_Afnan_Lara
?
“আমাকে একবার তাদের সামনে দিয়ে আসেন,আমি তাদের কাছ থেকে সন্তানের অধিকার চাইবো না শান্ত,আমি শুধু একবার তাদের ছুঁয়ে দেখতে চাই”
.
শান্তর জ্যাকেট টেনে টেনে আহানা বললো “কি হলো শান্ত খুঁজে দাও না তাদের,আমি তাদের কাছে যেতে চাই”
শান্ত চুপ করে ডোবাটার দিকে তাকিয়ে আছে
আহানা কান্না থামিয়ে হেসে দিলো,হাসতে হাসতে হাঁটা ধরলো সে
হাঁটতে হাঁটতে বললো “আমিও না বোকা,আমি তাদের খুঁজতে চাইতেসি যারা আমাকে ডোবায় ফেলে গেসিলো
এখন যদি তাদের সামনে গিয়েও দাঁড়াই আমি তারা তো আমাকে চিনলেও বলবে চিনি না
সেদিন তাদের কোনো কন্যাসন্তান জন্ম হয়নি,তারা ডোবায় তাকে ফেলেনি
বরং এখন আমি তাদের সামনে গিয়ে তাদের এতদিনের সিক্রেট ভাঙ্গতে চাই না
আমার জন্য তাদের সম্মান ক্ষুন্ন হবে পরে,থাক
তারা অজানায় থাকুক,আর আমি?অবৈধ হয়েই থাকি”
.
আহানা আর কোনোদিন এটা বলবে না,চুপ একদম!!
চলো বাসায় যাই,ডিনার করবো সবাই
.
হুম
.
দুজনে বাসায় ফিরে এসে দেখলো ডাইনিং ফুল,একটা চেয়ারও খালি নেই
একটাতে বাবা,একটাতে রেনু মা,বাকিগুলোতে সায়ন,মিতু,নওশাদ,রুপা
.
সায়ন!যাও সোফায় গিয়ে খাও,মিতু তুমিও
.
কেন আমরা কেন যাবো??ডাইনিং এ বসে খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে আরও আগে থেকে এসে বসে যেতে হয়,সেটা জানে না শান্ত ভাইয়া??
.
আঙ্কেল! আমি আর রুপা গিয়ে সোফায় বসতেসি,ইটস ওকে!
.
ঐ নওশাদ,চুপ কর এত দায়িত্ববানগিরি দেখাতে হবে না
আমি আর আহানা সোফায় বসতেসি,সোফায় বসে খাওয়ার অভ্যাস আছে আমাদের
.
শান্ত আহানাকে নিয়ে এসে সোফায় বসলো
ফুফু প্লেট এনে দুজনের হাতে দিয়ে শাড়ীর আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে চলে গেলেন
তার ভাইয়ের ছেলে আর ছেলের বউ কিনা একটা পর ছেলের জন্য সোফায় বসে খাচ্ছ
এই ভেবে তার খুব খারাপ লাগতেসে
.
আহানা এক লোকমা খেয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে,খিধা নাই তার,তারউপর শান্তর ভয়ে কিছু বলতেও পারতেসে না
শান্ত খেতে খেতে বললো “”রেখে দাও,আমি খাইয়ে দিচ্ছি,কিন্তু তোমাকে পুরো খাবার শেষ করতে হবেই হবে””
.
আহানা গাল ফুলিয়ে বসে আছে আর শান্ত ওকে নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছে
পুরো এক প্লেট খাবার খাওয়ালো জোর করে
খাওয়া শেষ করে যে যার রুমে চলে গেসে,লাইটস অফ!!
.
আহানা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছে,কাল থেকে ঠিক করে আঁচড়ানো হয়নি বলে জট পাকিয়েছে অনেক
অনেক কষ্টে চুলের জট খুললো,শান্ত উলটে শুয়ে আছে বিছানায়
আহানা গায়ের শাড়ীটা পাল্টিয়ে একটা কালো রঙের সোনালী পারের শাড়ী পরে আসলো,শান্তর পাশে একটুখানি জায়গা খালি আছে বিছানায়,শান্ত হাত পা ছড়িয়ে ঘুমাচ্ছে
আহানা মুচকি হেসে সেই একটুখানি জায়গায় গুটিশুটি দিয়ে শুয়ে পড়লো,এই প্রথম সে শান্তর পাশে শুয়েছে
শান্তর মুখের অর্ধেক দেখা যাচ্ছে শুধু,বাকিটা তার হাতের ভিতরে,হাতের জন্য দেখা যাচ্ছে না,যে টুকু দেখা যাচ্ছে সেটায় চাপা দাঁড়ি আর কিউট একটা চেহারা দেখা যায়, আহানা কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে আরেকদিকে ফিরে শুয়ে পড়লো
রাত তখন ১২টা ৪৫বাজে
আহানা বিছানার এত কিনারায় শুয়েছে যে ঘুমের ঘোরে নড়তেই দুম করে পড়ে যেতে নিতেই একটা হাত ওকে টেনে কাছে নিয়ে আসলো
আহানা ভয় পেয়ে চোখ খুলে দেখলো শান্ত মুচকি হেসে চেয়ে আছে ওর দিকে
আহানা হেসে দিয়ে একটু সরে যেতেই শান্ত যেতে দিলো না
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
হাত দিয়ে আহানার গলার উপরে এসে যাওয়া মাথার চুলগুলো সরিয়ে দিচ্ছে সে
আহানা কিসব ভেবে উঠে বসে গেলো
শান্ত ও উঠে বসলো,পুরো রুমের লাইট অফ,শুধু বাইরের ক্ষেতটার মাঝখানের পিলারটায় থাকা বাতিটার আলো আসতেসে রুমে
শান্ত এগিয়ে এসে আহানার ঘাড়ে মাথা ঠেকালো
.
আহানা হাত পা নাড়াচ্ছে,একবার বিছানার চাদর ধরেতেসে আবার নয়ত নিজের শাড়ীর আঁচল,শান্তর স্পর্শে ভয় করছে হুট করে
শান্ত আহানার কোমড়ে হাত দিতেই আহানা উঠে চলে গিয়ে দূরে দাঁড়ালো
কোমড়ে হাত দিয়ে কাগজটা বের করে পিছন ফিরে বাড়িয়ে ধরলো শান্তর দিকে
শান্ত ওর পিছু এসেছিল,ওর হাতে কাগজটা দেখে ব্রু কুঁচকে বিরক্তি নিয়ে চলে গিয়ে আবার শুয়ে পড়লো
আহানা থম হয়ে আছে
আমাদের তো বিয়ে হয়ে গেসে,তাহলে আমি কাগজ কেন দেখাইলাম,অবশ্য আমি এই বিয়ে মানি না বলেই তো দেখাইলাম,কিন্তু কাল?
কাল তো শান্তকে….
আহানা চুপ করে খাটের এক পাশে এসে শুয়ে পড়লো
একটা কথা শুনেছিল সে,মন খারাপ করে শুইলে নাকি জ্বীন জড়িয়ে ধরে রাখে সারা রাত ধরে
২মিনিট বাদেই কেউ একজন ওকে খুব সুন্দর করে জড়িয়ে ধরলো,ওর গলায় মুখ গুজালো সে
আহানা ভয় পেয়ে এক চিৎকার দিয়ে উঠে বসলো
শান্ত তাড়াহুড়ো করে উঠে বসে ল্যাম্প শ্যাড জ্বালালো
আহানা শাড়ীর আঁচল দিয়ে মুখের ঘাম মুছে দেখলো পাশে শান্ত ছাড়া কেউ নেই
.
কি হইসে আহানা??ভয় পেলে কেন?আমিই তো ধরলাম তোমাকে,এখন কি জড়িয়ে ধরতেও মানা?
.
আহানা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে এগিয়ে এসে শান্তকে জড়িয়ে ধরলো
শান্ত ও ওকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো
শান্তর বুকে যেন আহানার কোনো ভয় কাজ করছে না,সব চেয়ে নিরাপত্তা এখানেই,শুতেই আহানার চোখ জুড়ে ঘুম এসে গেলো
শান্তর মনে হলো সে দুনিয়ার সব সুখ পেয়ে গেছে,আহানা ওকে যেভাবে ধরে ঘুমিয়ে পড়েছে ওর মন চাচ্ছে সারাজীবন এমন করে কাটিয়ে দিতে,এত ভালো লাগা কাজ করতেসে বলে বুঝানো দুষ্কর!
দেয়ালে টাঙানো মায়ের একটা ছবির দিকে শান্ত তাকিয়ে আছে
মা চলে গিয়ে আমার জন্য আমার জীবনের জন্য গচ্ছিত সুখ রেখে গেসে,আহানাতেই আমি সেই সুখ পাই
মা জানতো আহানাই আমার জন্য বেস্ট,আর তাই মা বাবাকে বলে গেসে আহানাই যেন আমার হয়
বাবা তো ভুলে গেসে কিন্তু মা ঠিকই জানে তার স্বামী না খুঁজলেও তার ছেলে ঠিক খুঁজে বের করবে
অবশ্য আমি খুঁজিনি আহানাই আমাকে খুঁজে বের করেছিল,সেদিনের সেই চড়টা!!
আহানা জীবনে অনেক স্ট্রাগল করেছে,আর হয়ত আমিও!!
এবার যদি দুজনে সুখের দেখা পাই আর কি,তবে আমি আহানার সুখের কোনো কমতি রাখবো না কোনোদিন
আই প্রমিস!!

পরেরদিন সকাল বেলায় ঠুসঠাস আওয়াজে আহানা লাফ দিয়ে উঠে বসলো,ভোর ৫টা বাজে তখন,এত শব্দ কিসের
শান্ত চাদর টেনে মরার মত ঘুমাচ্ছে
আহানা বিছানা থেকে নেমে জানালা দিয়ে নিচে তাকিয়ে দেখলো গায়ে হলুদের সব কাজ রেডি করতেসে কতজন মিলে,কেউ কেউ স্টেজ সাজাচ্ছে,কিন্তু এখন করতেসে কেন,সবে তো ৫টা বাজে
আহানা শান্তর কাছে এসে ওকে জাগিয়ে বললো বাইরে গায়ে হলুদের কাজ হইতেসে কেন এত সকালে
শান্ত চাদর মুড়িয়ে আরেকদিকে ফিরে শুয়ে বললো আমাদের এদিকে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান সকাল থেকে শুরু হয়,শেষ হয় বিকালে
.
ওহ
.
আহানা একটা শাড়ী নিয়ে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে সেটা পরলো,দরজা খুলে বের হয়ে দেখলো বাসার সবাই উঠে গেসে
আহানা সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে নামতেসে
ফুফু গাঁদা ফুলের ডালা নিয়ে যাচ্ছিলেন
খালা তার হাত ধরে তাকে থামিয়ে বললেন আহানাকে দেখতে
ফুফু আহানার দিকে তাকালেন, আহানা সিঁড়ির রেলিং ধরে এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে নামতেসে
.
ফুফু ইয়া বড় হা করে বললেন “পুরাই শান্তির মত লাগতেসে”
শান্তি এমন করে সিঁড়ি দিয়ে নামতো!!!
.
আহানা নিচে নেমে ফুফুর সামনে এসে হেসে বললো আমি নাস্তা বানাই?
.
ফুফু আহানার থুতনির তিলটা ধরে টেনে বললেন “না মা আমি আর তোমার খালা মিলে করে নিব,তুমি বরং দেখো বাইরে তোমাদের গায়ে হলুদের কেমন কাজ চলছে”
আহানা মাথা নাড়িয়ে বাসা থেকে বের হলো
বাগানটার সামনে খোলা জায়গা আছে,উঠানের মত,নিচে সব সবুজ ঘাস,উঠানটা যেখানে শেষ সেখানেই স্টেজ সাজানো হচ্ছে
আহানা হেসে এগিয়ে গিয়ে স্টেজটার দিকে তাকিয়ে আছে
দেখা শেষে সে আবার বাসায় ফিরে আসলো,মিতু চা বিসকিটের ট্রে নিয়ে নওশাদ রুপার রুমের দিকে যাচ্ছিলো
আহানা ওকে দাঁড়াতে বলে ওর হাত থেকে ট্রেটা নিয়ে নিজেই গেলো সেদিকে
দরজায় নক করতে করতে হাত ব্যাথা হয়ে গেসে তাও ওরা দরজা খুলছে না,গন্ডারের মত ঘুমাচ্ছে দুজনে
আহানা আরও জোরে বাড়ি দিলো দরজায় শেষে রুপা এসে দরজা খুললো,রুপার গায়ে নওশাদের শার্ট,আর নওশাদ চাদর টেনে ঘুমাচ্ছে বিছানায়
.
রুপা চুল খোঁপা করতে করতে বললো “ভালো করেছিস তুই এনেচিস,মিতু আমাকে এমন হালে দেখলে কি না কি ভাবতো”
.
হুম তাইতো আমি ওর হাত থেকে নিয়ে আমি নিয়ে আসলাম,নে ধর খা,আর ফ্রেস হয়ে নে,এরা তো মনে হয় তাড়াতাড়ি সকালের সব রেডি করে ফেলে
.
হুম তাই তো দেখতেসি
.
ওকে আমি যাই তোরা ফ্রেশ হয়ে আসিস
.
আহানা শান্তর রুমের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় থামলো
শান্ত আহানার বালিশ জড়িয়ে ঘুমাচ্ছে শান্তিতে
আহানা দরজাটা টেনে দিয়ে নিচে চলে আসলো
মিতু কয়েকটা ফুল- গাঁদা আর জবা নিয়ে মালা বানিয়ে মাথায় লাগিয়ে সারা বাড়ি হেঁটে বেড়াচ্ছে,রেনু মা ডেকোরেশনের ওখানে দাঁড়িয়ে বলতেসে গায়ে হলুদের জন্য সকালে খিচুড়ি হবে আর দুপুরের জন্য বিরিয়ানি
আরও বাকিসব বুঝিয়ে দিচ্ছেন ঠিকমত
শান্তর বাবা বাগানের পাশে রকিং চেয়ারে শুয়ে আছে চোখ বন্ধ করে,শান্ত বলেছিল সকাল সকাল এরকম পরিবেশে বাগানে বাবার ঘুমানোর অভ্যাস আছে
ফুফু আর খালা রান্নাঘরে রুটি ভাজি বানানোয় ব্যস্ত
সায়নের রুমের দরজা বন্ধ,,
আহানা বোরিং ফিল করতেসে
মন চাইলো আশ্রমটা একবার দেখে আসতে,তাই সে সেটাই করলো,হেঁটে হেঁটে আশ্রমে চলে আসলো,সবাই জানে শান্তর সাথে আহানার বিয়ে হবে
সবাই তো এখন ওকে মাথায় করে রাখছে
আহানা সালেহা বেগমের কবরটা দেখে শান্তর মায়ের কবরের কাছে আসলো
আগে সে এই কবরের আশেপাশে আসতো না কোনোদিন,দূর থেকে দেখতো,অথচ এখানে যিনি শুয়ে আছেন উনি ওর জীবনের দিশাই বদল করে দিয়ে গেছেন,সেদিন যদি উনি আমাকে তুলে না খাওয়াতেন,আমার আলাদা যত্নের বন্দবস্ত না করতেন হয়ত আজ আমি এখানে এই অবস্থায় থাকতাম না,একটা অনাথ মেয়ের পরিনতি আরও জঘন্য হয়
আমাকে উনি বাঁচিয়ে দিয়েছেন সাথে করে শান্তর জীবনসাথী হিসেবে বলে রেখে গেসেন
আহানা এগিয়ে এসে কবরের উপর থেকে পাতা কয়েকটা সরিয়ে ফেললো,সুন্দর করে পরিষ্কার করে দিলো পুরো কবরটা
তারপর আবার বাসায় ফিরে আসলো,ডাইনিংয়ে ফুফু নাস্তা আনতেসেন,আহানাও জোর করে কাজে হাত লাগালো
শান্ত ফ্রেশ হয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে আহানাকে খুঁজতেসে
অবশেষে তার দেখা পেলো সে
আহানা কোমড়ে শাড়ীর আঁচল গুজে পাকা সংসারি বউয়ের মতন ডাইনিংয়ে রাখা প্লেটে খাবার সার্ভ করতেসে
শান্ত আহানার কোমড় জড়িয়ে ধরতেই ঠিক সে সময়ে খালা এসে পড়লো
তাই হাতটা ছেড়ে মাথা চুলকাতে চুলকাতে বাইরের দিকে চলে গেলো শান্ত
আহানা হেসে হেসে কাজ করতেসে
.
কি গো মেয়ে ওমন করে হাসো কেন?
.
নাহ এমনি

সবাই নাস্তা করে নিয়েছে,খিচুড়ি রান্না হয়েছে গায়ে হলুদে আসা মেহমানদের জন্য
.
আহানার হাতে একটা লাল পাড়ের হলুদ শাড়ী আর গহনা দিয়ে গেলেন ফুফু
আহানার কেমন কেমন লাগতেসে,,হুট করে সব হচ্ছে,রুপা একটা জর্জেট হলুদ শাড়ী পরে এসে আহানাকে তৈরি করায় মন দিলো,আহানাকে শাড়ীটা বেশ সুন্দর করে পরিয়ে গহনা গুলো পরালো সে,চুল গুলো হালকা কার্ল করে দিলো,শান্ত দরজার ওপারে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বললো আহানাকে লিপস্টিক লাগাবা না একদম!
.
ইহহহ বললেই হলো নাকি ভাইয়া??গায়ে হলুদে তো লাগাতেই হবে
.
এই শান্ত তুই এখানে কি করিস?চল!তোকেও তো রেডি করতে হবে চল এখন
নওশাদ শান্তকে টেনে তার রুমে নিয়ে গেলো
রুপা আহানার ঠোঁটে লাল লিপস্টিক লাগিয়ে দিলো সুন্দর করে
আহানাকে আয়নার সামনে এনে দাঁড় করালো সে
আহানা অবাক হয়ে তাকে আয়নায় দেখছে,গলায় সোনার ৩টা হার ও নেকলেস,আজ তাকে সে নিজেই চিনতে পারছে না
জীবনে এই প্রথম সে এমন করে সেজেছে
.
কিরে কেমন সাজালাম??
.
অনেক সুন্দর!!
.
নওশাদ হলুদ পাঞ্জাবি নিয়ে শান্তকে রেডি করাচ্ছে,পাঞ্জাবি টার বোতামের জায়গায় লাল রঙ,ফুফি আর বাবা মিলে শাড়ী আর পাঞ্জাবি মিলিয়ে কিনেছে ওদের জন্য
.
কিরে কেমন লাগে আমাকে?
.
অনেক সুন্দর লাগে তোরে,আহানা আজ জ্ঞান হারাবে
.
তোকেও সুন্দর লাগে,রুপা ভাবী প্রেগন্যান্ট হবে কবে? আজ???
.
নওশাদ শান্তকে এই কথাটা শুনে পুরো বাড়ি দৌড়ানি দিলো
.
স্টেজ রেডি,শান্ত চুল গুলো ঠিক করতে করতে সবগুলো দেখতেসে ঠিকঠাক আছে কিনা,অতিথীদের আসা যাওয়া বেশি হয়ে গেসে,বাবা তার ১৪গুষ্টিকে দাওয়াত করেছেন
তার উপর রেনু মায়ের বাসার ও অনেকেই আসতেসে
এক থালা জিলাপি স্টেজের সামনে রাখা
শান্ত তো চোখ বড় করে ২টা জিলাপি নিয়ে পালালো
জিলাপি খেতে খেতে নিজের রুমে আসলো সে
আহানা আয়নায় নিজেকে দেখে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো শান্ত দরজায় হেলান দিয়ে একহাতে একটা জিলাপি নিয়ে খাচ্ছে
আহানা হেসে এগিয়ে এসে ওর সামনে দাঁড়ালো
শান্ত জিলাপি খাওয়া বন্ধ করে আহানার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো,কি সুন্দর লাগতেসে ওকে বলে বুঝানোর মত কোনো সংজ্ঞা নেই তার কাছে,আপাতত শুধু হা করে তাকানোটাই শ্রেয়!!
.
আপনার পাঞ্জাবির বোতামে জিলাপি লেগে গেসে
.
শান্ত চোখের পলক ফেলে নিজের পাঞ্জাবির দিকে তাকিয়ে তারপর আহানার দিকে তাকিয়ে বললো আমার দুহাতে তো জিলাপি,ধরতে গেলে হাতের জিলাপিও লেগে যাবে পাঞ্জাবীতে
.
আহানা ব্রু কুঁচকে বললো”তাহলে কি করা যায়???আমার হাতেও তো মেহেন্দি ”
.
হুমম ভাববার বিষয়!!
.
আহানা মুচকি হেসে শান্তর দুপায়ে তার পা তুলে উঠে দাঁড়ালো
শান্ত অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আহানার দিকে
.
আহানা মুখ ঘুরিয়ে দাঁত দিয়ে শান্তর পাঞ্জাবির বোতাম থেকে জিলাপির টুকরাটা নিয়ে নিলো তারপর হেসে দিয়ে হালকা নড়তেই শান্তর পায়ের উপর থেকে পড়ে যেতে নিলো তখনই শান্ত তার এক হাত দিয়ে টেনে ধরলো ওকে
.
আহানার কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বললো”আমার হাতের জিলাপি কিন্তু তোমার কোমড়ে লাগে নাই,হাত আলগা করে কব্জি দিয়ে ধরেছি হুমম!!””
.
আহানা হেসে নেমে চলে গেলো সিঁড়ির দিকে
.
নওশাদ আর রুপা গান চালু করতেসে বাগানে গিয়ে
.
আজব এটা চলতেসে না কেন!!
.
দুইটা বাড়ি দাও
.
রুপা!এটা রিমোট নয় ওকে?যে বাড়ি দিলেই চ্যানেল পাল্টানো যাবে!!বেকুব মাইয়া কোথাকার!!
.
তুমি দেখিও বাড়ি দিলে কাজ হবে
দুম!!দুম!!!

Zubaan hai feeki sham se… hui na tosay baat bhi
Bina mai tere be-mazaa …. Hua hoon dekho Aaj bhi …
Karoon mai ye Guzarishein … Mohabbaton ka Mol de …
Neendon mai mere Khwaab ka … Zaraa sa meetha Ghol de …
Tu bann ja bann ja tu meri
tu bann ja bann ja …
bann ja bann ja tu meri …
Ishq-e-di Chashni …
O mitthi mitthi chashni …
Main na maangoonga dhoop dheemi dheemi
Mai na maangoon chandni …
Mere jeenay mai tujhse ho … Ishq-e-di Chashni
O mitthi mitthi chashni .mitthi mitthi
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে