প্রেমের পাঁচফোড়ন? পর্ব_৫৭

0
2411

প্রেমের পাঁচফোড়ন?
পর্ব_৫৭
#Writer_Afnan_Lara
?
“আফসোস এই দিনটা মাকে দেখাতে পারলাম না”
.
শান্ত গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলো,তখনই নওশাদ কল দিয়ে বললো ওদের বাসার ছাদে আসতে জলদি
.
“ঠিক আছে” বলে শান্ত দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো
.
ওর বাসায় গিয়ে ছাদে এসে দেখলো এলাহি কান্ড
নওশাদের আর রুপার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান একসাথে হবে তাও শান্তদের বাসার ছাদে
আর সেটার জন্য শান্তর অনুমতি লাগবে
এটা শুনে শান্ত নওশাদের পিঠে ধরে এক কিল বসিয়ে বললো “কিসের অনুমতি? তুই চাইলে বিয়ের পর রুপাকে নিয়ে আমার বাসায়ও থাকতে পারিস,এটা আবার জিজ্ঞেস করার কি আছে?”
.
জানোস তো আমার পুরো পরিবার গ্রামে থাকে,জাস্ট বিয়ের অনুষ্ঠান সেখানে হবে,আর বাকি সব এখানে,রুপাদের ছাদ ছোট বলে আমি এখানের কথা বললাম
.
তুই টেনসন ফ্রি থাক আমি বাসার মালিককে কল করে বলে দিচ্ছি ডেকোরেশন শুরু করবি কখন থেকে সেটা বল
.
আমরা আমরা মিলে সাজাবো,তুই আজ ভার্সিটিতে যাইস না,আমি এত কাজ একা পারবো না
.
তুই বর তুই কিনা এসব করবি?বিয়ের জন্য কি তোর মাথা গেসে?যা সর!আমি সূর্য আর রিয়াজ মিলে সব হ্যান্ডেল করে নিব
.
ওকে তাহলে,চল নাস্তা করবি
.
জি না,আমার এখন বউ আছে আমি তার সাথে নাস্তা করবো হুহহহহ
.
ইহহ,মনে রাখিস যখন তোর বউ ছিল না তখন আমাদের সাথে নাস্তা করতি
.
তো চল আমার সাথে নাস্তা করবি
.
না ভাই বুয়া অলরেডি নাস্তা বানিয়ে ফেলছে আজ জলদি আসতে বলেছিলাম,তুই তোর বউয়ের বানানো নাস্তা খেয়ে আয় আমি যাই বাসার দিকে
.
ওকে
.
শান্ত বাসায় ঢুকে তার জ্যাকেট নিয়ে বেরিয়ে গেলো একেবারে আহানার বাসা থেকে অফিস যাবে সে
.
আহানা নাস্তা বানাচ্ছে,,এখন থেকে মিষ্টিকে পড়াতে হবে না,কাল মিষ্টির মা বেতন দিয়ে দিয়েছিলো,মিষ্টিকে হোস্টেলে পাঠাবে তার মা,তাই এখন আর টিউশনি করাতে হবে না
আহানা মনে মনে ভাবতে লাগলো প্রতি মাসের আয় ২হাজার কমে গেলো,ধুর!আরেকটা টিউশনি খুঁজতে হবে এখন,নাহয় খুঁজবো না থাক,এত প্যারা ভালো লাগে না
.
দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে পিছনে তাকালো সে,শান্ত জ্যাকেট এনে সোফায় রেখে দপ করে বসে টিভি নিয়ে বসলো
.
তখন সকাল ৭:৩০বাজে
আহানা নাস্তা নিয়ে টেবিলে রেখে শান্তর দিকে চেয়ে হেসে চেয়ে রইলো,কখনও পরিবার না পাওয়া মেয়ে যখন পরিবার পায় তখন তার ঠিক যেমন লাগে আহানার ঠিক তেমন লাগছে,তার জীবনে আপন বলে কেউ ছিল না,আর আজ শান্তকে তার নিজের পরিবার মনে হচ্ছে,একজনকে নিয়েও পরিবার হয়,আর এই শান্তই আমার পরিবার
হঠাৎ করে প্লেট টেবিলে রেখে দৌড়ে গিয়ে আহানা শান্তকে জড়িয়ে ধরলো,কেন ধরলো জানে না তবে ভিতরের যন্ত্রনা কমাতে, যে ভয় তার মনে তা কমাতে
শান্তর কাছে আহানার এমন হঠাৎ হঠাৎ জড়িয়ে ধরাটা ভালো টিকছে না
সে আহানাকে ধরে পাশে বসিয়ে ওর থুতনির নিচে হাতের তালু রেখে ওর মুখ উপরের দিকে তুললো
তারপর ওর মুখের ভাবগতি দেখে বুঝার চেষ্টা করলো কি হয়েছে,আহানা চুপ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে
শেষে আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না সে
আবারও জড়িয়ে ধরলো তাকে,আহানার পিঠে হাত রেখে বললো “আমি আছি না?কি হইসে তোমার?শরীর খারাপ?চলো ডাক্তারের কাছে যাই”
.
না,আমি ঠিক আছি
.
তাহলে এভাবে হঠাৎ হঠাৎ করে জড়িয়ে ধরতেসো কেন আজকাল?
.
না এমনি
.
“বসো আমি আসতেসি”
শান্ত উঠে গিয়ে নাস্তা সোফায় এনে আহানাকে খাইয়ে দিচ্ছে,আহানার চোখের অশ্রু বাধা মানতেসে না,মন চাচ্ছে কেঁদে দিতে,শান্ত কেন ওকে এত ভালোবাসে
.
শান্ত রুটি ছিঁড়তে ছিঁড়তে বললো “সোফাকে এমন খাঁমছে ধরতে হবে না,মনের ভিতর কি চলে শেয়ার করে ফেলো,বকবো না”
.
আহানা সোফা থেকে হাত সরিয়ে উঠে রান্নাঘরের দিকে চলে গেলো,হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে ফেলতেসে সে,শান্ত কে কি বলবো যে আমার রক্তশূন্যতা? না থাক,নওশাদ রুপার বিয়ে শেষ হলে বলবো
.
শান্ত তার বাসায় ফিরে গেসে নাস্তা করেই,,ডেকোরেশনে হেল্প করতে
আহানা রান্নাঘর গুছাচ্ছে,কাজ করার সময় ওর চোখ পড়লো শান্তর বাসার ছাদের দিকে,দূর থেকে কতজনকে দেখা যায় তাদের মধ্যে শান্তকে আহানা ঠিকই চিনেছে,কথা বলতে বলতে পকেটে হাত ঢুকানো আর জ্যাকেট পিছন থেকে টানা বারবার,এটাই শান্ত আবার মাঝে মাঝে কাজের ফাঁকে আহানার দিকেও তাকাচ্ছে সে
দেখতে পেয়েছে কিনা কে জানে তবে বারবার তাকাচ্ছে এদিকে
আহানা মুচকি হেসে চলে গেলো,রান্নাঘর থেকে চলে যেতেই শান্ত ওকে ফোন দিলো যে রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হতে,একেবারে অফিস থেকে অনুষ্ঠানে আসবে তারা
আহানা ঠিক আছে বলে গোসলটা করে আসলো,তারপর হলুদ শাড়ীটা পরলো,চুড়ি গুলো পরতে পরতে তার চোখ গেলো সাজগোজের জিনিসের সাথে নকল ফুলের দিকে
লম্বা গাজরা,এটা কোনোদিন আহানা পরেনি বলে বুঝতেসে না কি করে এটা পরবে
হাতে নিয়ে ঘুরালো কিছুক্ষন ওলটপালট করলো তাও পারলো না পরতে,না পেরে ড্রেসিং টেবিলে রেখে দিয়ে চুল ঝেড়ে নিয়ে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো শান্ত চোখ বন্ধ করে ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে
পরনে হলুদ পাঞ্জাবি,চুলগুলো হালকা বাতাসে নড়তেসে তার,আহানা জিভে কামড় দিয়ে বললো সরি আপনাকে দেখতে পাইনি আমি
.
শান্ত হেসে দিয়ে বললো ইটস ওকে,রেডি তো?
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে গাজরাটা ধরে বললো পারি না পরতে,বাকিসব রেডি,শুধু এটা বাদে
.
তুমি মেয়ে হয়ে এটা পরতে পারো না?
.
আহানা মাথা নিচু করে বললো আগে কোনোদিন পরিনি আমার এগুলা ছিল না
.
শান্ত হেসে বললো তো কি হয়েছে,আমি আছি না
শান্ত এগিয়ে এসে গাজরা হাতে নিয়ে চোখ বড় করে চেয়ে রইলো কিছুক্ষন,তারপর আহানাকে আয়নার দিকে ফিরিয়ে ওর চুলে হাত দিয়েই বললো চুল তো ভিজা,আর এগুলা তো খোঁপায় লাগায়
.
হুম,তাহলে?
.
এটা ব্যাগে নিয়ে নাও,সন্ধ্যা পর্যন্ত চুল যখন শুকিয়ে যাবে তখন আমি পরিয়ে দিব
.
আহানা মাথা নাড়িয়ে চলে গেলো
.
শান্ত আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তার চুলগুলো ঠিক করে চলে যেতে নিতেই দেখলো আহানার চুড়ি একটা নিচে পড়ে আছে,নিচু হয়ে সেটা নিতে গিয়ে দেখলো খাটের নিচে একটা ব্যাগ যার উপরে একটা কাগজ,মনে হয় এই বুঝি পড়ে যাবে কাগজটা
.
শান্ত কাগজটা নিয়ে দেখলো কিসের যেন রিপোর্ট,কিসের রিপোর্ট সেটা দেখতে যেতেই আহানা সোফার রুমে থেকে বললো জানালা সব লাগিয়ে দিয়েছি চলুন যাই
শান্ত কাগজটা পাঞ্জাবির পকেটে ঢুকিয়ে বেরিয়ে গেলো

অফিস যাওয়ার সময় একটা ফুলের দোকানের সামনে বাইক থামিয়ে শান্ত একটা হলুদ ক্যালেন্ডুলা ফুল কিনে নিয়ে আহানার দিকে তাকিয়ে ওর কানে গুজে দিলো
.
আহানা বললো”হঠাৎ”??
.
আমার বউ নকল ফুল পরবে কেন,আমার বউ আসল ফুল পরবে
.
আহানা হেসে শান্তর পিঠে মাথা রাখলো
.
একটা কথা বলবো?
.
কি?
.
আপনি তো বলছিলেন আপনি যাকে কিস করবেন তার ঠোঁটে এক গাদা লিপস্টিক থাকবে,তাহলে আমাকে করলেন কেন?আমি তো সেদিন লিপস্টিকই দিই নাই
.
শান্ত ডান পাশের মোড়ে বাইক ঢুকিয়ে যেতে যেতে বললো ওটা বলেছি তার কারনটা সিক্রেটই থাক,তোমার জানার দরকার নেই
.
আহানা গাল ফুলিয়ে আরেকদিকে ফিরে বসলো
.
শান্ত মুচকি হাসতেসে,আহানাকে যদি বলতো যে তার লিপস্টিক পছন্দ না তাহলে আহানা অনেক কিছু ভেবে নিতো তখন,শান্ত সেটা চায়নি বলেই লিপস্টিকের কথা বলেছে
অফিসে আসতেই নিহাল কেমন করে যেন আহানার দিকে চেয়ে রইলো
চেয়ে থাকারই কথা,আহানাকে বেশ লাগতেসে আজ
শান্ত বিষয়টা খেয়াল করে আহানাকে টেনে নিজের দিকে ফিরিয়ে বসালো
.
কি?আপনার দিকে ফিরে থাকলে আমার কাজ করা হবে না
.
ফাইল কোলে রেখে চেক করো,ওদিকে ফিরতে হবে না
.
হুহ!
.
নওশাদ ফোন করতে করতে শেষ শান্ত কখন আসবে,আসতেসে না কেন এসব বলতে বলতে
শেষে ৬টার দিকে অফিসের সমস্ত কাজ সেরে দুজনে বেরিয়ে পড়লো
বাসার সামনে আসতেই আহানা বাইক থেকে নেমে হাঁটা ধরলো পরে শান্ত ওকে ডাক দিয়ে থামালো
.
“তোমার গাজরা লাগাবো তো,দাঁড়াও”
.
শান্ত এগিয়ে এসে গাজরা নিয়ে ক্যাবলার মত চেয়ে আছে,এটারে মাথায় লাগায় কেমনে,শেষে অনেক ভাবনা চিন্তা করে বড় শ্বাস নিয়ে আহানার খোঁপার উপর পেঁচিয়ে দিলো
ওমা একদম সেরকম হয়ে গেসে যেরকম এক্সচুয়ালি মেয়েরা গাজরা পরে
শেষে একটা ববি পিন দিয়ে আটকে দিলো ব্যস হয়ে গেসে,শান্তর নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না
আহানা হেসে বললো যাক এসব জিনিস ভালোই তো পারেন এটা বলেই আহানা চলে গেলো
শান্ত দাঁত কেলিয়ে যেতে যেতে ভাবলো অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে সাকসেস হইসি,ওএমজি!!?
.
আহানা সোজা ছাদে আসলো,মেয়ে আর ছেলেতে ঠেললে ঠেলা যায় না,ছাদে জায়গা নেই বললেই চলে,দুইপক্ষের লোক বলে কথা,স্টেজে রুপাকে দেখা যাচ্ছে,আহানা মুচকি হোসে সেদিকে গেলো,রুপার মা এসে আহানাকে ঝাপটে ধরেছে কারণ উনি জানেন নওশাদের বড় ভাইয়ের স্ত্রী হলো আহানা,আহানা দাঁত কেলিয়ে উনার প্রশ্নের জবাব দিতেছে
রুপাকে আজ অনেক সুন্দর লাগতেসে,তাকে কমলা রঙের শাড়ী পরিয়ে হালকা ফুলের গয়না দিয়ে সাজিয়েছে ওর কাজিনরা
শান্ত রুমে এসে নওশাদকে রেডি করতেসে
আর আহানা রুপার পাশে বসে ওর সাথে কথা বলতেসে,,একটা বাচ্চা মেয়ে এসে বললো শান্ত আঙ্কেল তোমাকে ডাকে
আহানা রুপাকে বলে ছাদ থেকে নেমে ৫তলায় আসলো
শান্তদের বাসায় আপাতত কেউ নেই,সবাই ছাদের দিকে গেসে,শুধু শান্তই আছে
আহানা ভিতরে ঢুকে শান্তর রুমের দিকে গেলো
শান্ত বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে
আহানা আসতে আসতে বললো কি হয়েছে আমাকে ডাকলেন??কোনো কাজ আছে?
.
শান্ত মুচকি হেসে পিছন ফিরে ওর দিকে তাকালো,শান্তর এমন চাহনি দেখে আহানার বুঝতে বাকি নেই শান্ত ওকে কেন ডেকেছে
আহানা পিছিয়ে চলে যেতে নিতেই শান্ত আঁচল ধরে ফেললো ওর
আহানা থেমে গিয়ে বললো ওখানে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে,আমাদের এখন যাওয়া উচিত
.
হুম যাবো
.
আঁচল টেনে শান্ত আহানাকে নিজের কাছে নিয়ে আসলো
আহানা চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে
শান্ত মুচকি হেসে একটা সোনার হার আহানাকে পরিয়ে দিলো
আহানা অবাক হয়ে গলায় হাত দিয়ে শান্তর দিকে তাকালো
শান্ত ভেংচি দিয়ে বললো তোমার কি মনে হয় রোমান্স করার জন্য আঁচল ধরেছি?
তোমার প্রতি আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই!এটা আমার মায়ের হার,তোমার প্রাপ্য বলে তোমাকে পরিয়ে দিলাম,আরও আগেই পরানো উচিত ছিল তবে আমার আজ মনে পড়লো
আহানা ব্রু কুঁচকে চলে যেতে নিতেই শান্ত খিঁচিয়ে আবারও টান মারলো
আহানা রেগে বললো” কি?আপনার না ইন্টারেস্ট নেই?”
.
শান্ত হেসে বললো ঐদিন কি বলসিলাম?আমার ইন্টারেস্ট নেই মানে হলো ইন্টারেস্ট আছে
শান্ত আহানার আঁচল ছেড়ে ওর কোমড়ে হাত রেখে আরও কাছে টেনে নিলো ওকে
আহানা শান্তর পাঞ্জাবির বোতামের দিকে তাকিয়ে আছে,শান্তর দিকে তাকানোর সাহস তার নেই,বোতাম ৫টা,বারবার করে গুনতেসে সে
শান্ত মুচকি হেসে কপালে চুমু দিয়ে আহানার দিকে তাকালো,আহানা নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,ওর চোখের পাপড়ি গুলোর দিকে তাকিয়ে আছে শান্ত,মুখটা বাঁকিয়ে আহানার কানে ঠোঁট রেখে হালকা করে একটা চুমু দিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো “চলো যাই”
এটা বলে আহানার হাত ধরে হাঁটা ধরলো সে
আহানা হাসতেসে শান্তর কার্যকলাপে,পাগল ছেলেটা
আমি তো ভাবলাম কি না কি করে ফেলবে
ছাদে এসে দেখলো সবাই নাচার প্র্যাকটিস করতেসে,এখন নাচবে ছেলের দল,সবার গায়ে হলুদ পাঞ্জাবি আর মেয়েরা হলুদ শাড়ী পরেছে
নওশাদ আর রুপা স্টেজে বসে হাসতেসে ওদের হাসি দেখে শান্ত ও হাসলো
আহানার মাথাটা ঘুরিয়ে উঠলো হঠাৎ করে,পানি খেলে ভালো হতো,পানির গ্লাস নিতে যেতেই শান্ত ওর হাত ধরে নিয়ে গেলো সবার সাথে নাচার জন্য
.
আহানা শান্তকে বললো থামতে
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
কি?নাচবা না?জাস্ট হাত নাড়াবে তাহলেই হবে,চলো
.
না,আমমমারররর আসলে
.
কি?শরীর খারাপ করছে?
.
আহানা চোখ বন্ধ করে ঠিক হয়ে দাঁড়িয়ে বললো পানি খাবো
.
শান্ত আহানার হাত ধরে পানির কর্ণারে এনে পানি নিয়ে ওকে দিলো
আহানা গ্লাস হাতে নিয়ে খাওয়ার আগেই জ্ঞান হারিয়ে ফেললো
শান্ত কি করবে বুঝতেসে না
আহানা জ্ঞান হারালো কেন,এখন তার কি করা উচিত এসব ভাবতে ভাবতসে আহানাকে ধরে ফেলেছে সে
নওশাদ আর রুপা স্টেজ থেকে নেমে চলে আসলো শান্তর কাছে
শান্ত আহানাকে কোলে তুলে নিলো,সবাই বললো বাসায় নিয়ে যেতে
শান্ত ওকে নিয়ে নিজের রুমে এনে বিছানায় রাখলো
পানির ছিঁটা দিলো তাও জ্ঞান ফিরছে না ওর
নওশাদ একজন ডাক্তার নিয়ে আসলেন ততক্ষণে
সবাই মুচকি হাসতেসেন,সবার ধারনা আহানা প্রেগন্যান্ট
ডাক্তার আহানার হাতের নাড়ি চেক করে তারপর ওর চোখের নিচে চেক করে ব্রু কুঁচকে শান্তর দিকে তাকিয়ে বললেন” ও মাই গড,উনার তো শরীরে রক্তই নেই,ইমিডিয়েটলি উনাকে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করুন,ডাক্তার দেখিয়েছিলেন আপনারা?পয়েন্ট কতো?”
.
শান্ত যেন আকাশ থেকে পড়লো,সব তার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে,এসব কি বলছেন উনি,এসবের কিছুই তো ওর জানা ছিল না,পকেটে হাত দিয়ে ফোন নিতে যেতেই রিপোর্টটা হাতে চলে আসলো,খুলে দেখে বললো দেখুন তো এটা কিনা?
.
ডাক্তার দেখে বললেন হ্যাঁ এটাই তো
রিপোর্ট দেখে উনি বিস্মিত হয়ে বললেন একি উনার তো রক্তের পয়েন্ট মাত্র ৪.১৭পয়েন্ট, আজই রক্ত না দিলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে,উনার তো ব্লাড গ্রুপ এ পজিটিভ,এ পজিটিভ রক্তের ব্যবস্থা করুন জলদি
.
শান্ত মাথার ঘাম মুছে আহানার দিকে তাকিয়ে আছে,কি করবে কি বলবে বুঝতেসে না,আহানা তাকে এই ব্যাপারে জানালোনা কেন
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে