প্রেমের পাঁচফোড়ন?
পর্ব_৫৪
#Writer_Afnan_Lara
?
“ওহ!কতদিনের জন্য যাবেন??”
.
“৭দিন”
.
আহানা মুখটা ফ্যাকাসে করে চেয়ার টেনে বসলো,চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে সে
শান্ত মুখে খাবার দিয়ে আহানার দিকে চেয়ে বললো আমার সাথে আমার একমাত্র ওয়াইফও যাবে
আহানা মুচকি হেসে দিলো কথাটা শুনে
শান্ত খাওয়া শেষ করে উঠে গিয়ে ফোন নিয়ে সোফায় বসলো
আহানা কোমড়ে হাত দিয়ে কাছে এসে বললো “তোহ সবাইকে কি পরিচয় দিবেন যে আমি কে?
তবে এক কাজ করা যায় আমি আশ্রমে থাকলেই হলো!!
.
নাহ তুমি আমার সাথে আমর বাসায় আমার রুমে থাকবা
.
কিন্তু সবাইকে কি বলবেন?
.
সেটা তুমি আমার উপর ছেড়ে দাও তোমাকে এত ভাবতে হবে না যাও এখন বিছানা করে শুয়ে পড়ো
.
আর আপনি?
.
আমি এইতো যাচ্ছি,পৃথিবীতে তুমি এক স্ত্রী যে কিনা তার স্বামী কে বাসা থেকে প্রতি রাতে বের করে দেয়
.
হুহ!!
.
শান্ত গেমস খেলা শেষ করে চলে যাওয়ার সময় বললো সকালে রেডি হয়ে থেকো ভার্সিটিতে যেতে হবে কাল তো ভার্সিটি খোলা
.
হুম,ঠিক আছে
♣
আহানা আলমারি থেকে রুপার হলুদে পরার জন্য একটা শাড়ী চুজ করে নিলো,হলুদ শাড়ীর উপর কালো গোল গোল ছোট বলের ফ্রিন্ট করা,অনেক সুন্দর একটা শাড়ী সেগুলোর সাথে মিলিয়ে কালো আর হলুদ চুড়ি নিয়ে একসাথ করে আলমারিতে রেখে দিলো সে
তারপর ঘুমিয়ে পড়লো
পরেরদিন সকাল সকাল উঠে মিষ্টিকে পড়াতে গেলো সে
মিষ্টিকে পড়িয়ে বাসা থেকে বের হতেই দেখলো শান্ত স্যান্ডেল হাতে নিয়ে হনহনিয়ে ছাদের থেকে যাচ্ছে
পরনে তোয়ালে আর সারা গা ভর্তি সাবানের ফেনা
আহানা ফিক করে হেসে দিলো শান্তর এমন হাল দেখে?
.
হাসির আওয়াজে শান্ত থেমে গিয়ে পিছনে তাকালো তারপর মুখ বাঁকিয়ে আবার হেঁটে চললো
কৌতুহল বসত আহানাও ওর পিছু পিছু গেলো
ছাদের মেইন পাইপের সুইচের এখানে ১৭/১৮বছরের কয়েকটা ছেলে শয়তানি করে আড্ডা দিচ্ছে,তাও কিরকম টাইপের আড্ডা তা না বলাই ভালো
শান্ত গিয়ে ধুমধাম পিটানো শুরু করে দিলো ওদেরকে
এরকম শব্দ পেয়ে আহানা তার হাঁটার গতি আরও বাড়িয়ে দেখতে আসলো
ততক্ষণে পিটিয়ে সবাইকে সোজা করে দিয়েছে শান্ত
কপাল থেকে ফেনা মুছে পাইপের সুইচ অন করে আবারও বাসার থেকে ফিরে গেলো সে
আহানা রোবট হয়ে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে শান্তর পিছু পিছু গেলো
শান্ত কিছুদূর গিয়ে থেমে ওর দিকে তাকিয়ে বললো কি ব্যাপার? বাসায় যাচ্ছো না কেন?
.
না আসলে দেখতে আসলাম স্যান্ডেল নিয়ে কোথায় যান
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
দেখা গেয়ে গেছে?
.
এরকম করেন কেন,আজব,আমি কি করসি?আমার উপর দিয়ে রাগ ঝাড়েন কেন?
.
তুমি কি করো নাই সেটা বলো,রোজ রোজ রাত করে বাসা থেকে বের করে দাও আমাকে
.
তো কি রেখে দিব?
.
হ্যাঁ অবশ্যই,আমি তোমার লিগালি হাসবেন্ড
.
রেজিস্টার করে বিয়ে হয় নাই
.
সেটাও হয়ে য়াবে
.
করবো না আপনাকে বিয়ে
.
তুমি করবে না তোমার!!
.
আমার কি?
.
কিছু না,যাও এখন
.
যাব না আমি,আজ আমি এখানে থাকবো
কথাটা বলে আহানা শান্তর বাসায় ঢুকে সোজা ওর রুমে চলে গেলো
তারপর বিছানায় উঠে গোল হয়ে বসে পড়লো
শান্ত ব্রু কুঁচকে তার রুমে এসে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে ফেললো
ভয়ে আহানা একটু নড়েসরে বসলো
শান্ত এগিয়ে আসলো ওর দিকে,মুখে তার বিরক্তির ছাপ!!
রোমান্স করবে না এটা সিউর তবে মাইরধর করবে এটাও সিউর
শান্ত দাঁতে দাঁত চেপে নিজের বুকের থেকে ফেনা নিয়ে আহানার গালে লাগিয়ে দিয়ে চলে গেলো
আহানা এক চিৎকার দিয়ে ওড়না দিয়ে মুছতে মুছতে অজস্র গালি দিচ্ছে শান্তকে
শান্ত ফ্রেশ হয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো আহানা নেই,দরজা তো ভেতর থেকে বন্ধ তার মানে সে রান্নাঘরে!
উঁকি মেরেই দেখলো আহানা গুনগুন করে গান গাইছে আর রান্না করছে
শান্ত সেখান থেকে একটা আপেল নিয়ে চলে গেলো
.
সোফায় বসে আপেল খেতে খেতে বললো হঠাৎ করে আমার বাসায় আসলা?কারণ কি?কিছু লাগবে নাকি?
.
নাহ এমনি এলাম,মন চাইলো
.
হঠাৎ এত উন্নতি,আমার কিছু ঠিক লাগছে না কেন?
.
আহানা হাতে খুন্তি নিয়ে বেরিয়ে এসে কোমড়ে হাত দিয়ে বললো কিছু বেঠিক হলে দেখতেই পাবেন হুহ!
কথাটা বলে আবার চলে গেলো সে
শান্ত আপেল মুখে রেখে সেদিকে চেয়ে আছে,আজ হলোটা কি,মদ গাঁজা সেবন করেছে নাকি,না সেটা করলে তো পাগলামি করতো তাহলে কি হইসে ওর?
ভাবতে ভাবতে শান্ত পকেটে হাত দিতেই দেখলো তার সিগারেটের প্যাকেট গায়েব,ওমা কই গেলো?
সারা রুম তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পেলো না সে
শেষে ভাবলো হয়ত রিয়াজ নিয়ে গেছে,টাকা নিয়ে বের হতে গেলো দোকান থেকে কেনার জন্য
তখনই তার চোখ পড়লো আহানার ওড়নার দিকে
ওড়নায় সিগারেটের প্যাকেটটা নিয়ে গিট্টু দিয়ে রেখেছে আহানা
“আচ্ছা তাহলে এই ব্যাপার!!”
শান্ত কাছে এসে টান মেরে আহানার ওড়নাটা নিয়ে চলে গেলো সোজা তার রুমের দিকে
আহানা চমকে বললো “কি ব্যাপার আমার ওড়না নিলেন কেন আপনি,দিন বলছি!”
আহানা পিছে পিছে যেতেই ওর মুখের উপর শান্ত তার রুমের দরজা লাগিয়ে ফেললো
.
আজব তো!আমার ওড়না দিন বলছি!
.
তুমি আমার সিগারেটের প্যাকেট চুরি করসো সো তোমার এই ওড়না আর পাবা না
.
আচ্ছা দিয়েন না,আমি যাই
কথাটা বলে আহানা লুকিয়ে পড়লো,৫সেকেন্ড বাদেই শান্ত ওর রুমের দরজা খুললো,বেরিয়ে এদিক ওদিক তাকালো,ততক্ষণে পিছন থেকে আহানা এসে ওর ওড়নাটা শান্তর হাত থেকে ছোঁ মেরে নিয়ে দৌড় দিলো
.
আহানা!!দাঁড়াও বলতেসি,এটা কিন্তু চিটিং!
.
হুহ!আপনিও চিটিং করসেন
.
শান্ত আহানার হাত ধরে টান দিলো,ওকে কাছে নিয়ে এসে চুপ করে তাকিয়ে থেকে মুচকি হাসলো সে
তারপর সেই আগের মতন আহানার গায়ের থেকে ওড়নাটা ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেলো সে
যেতে যেতে বললো”তোমার ওড়নার উপর তোমার চেয়ে আমার অধিকার বেশি”
আহানা মুখ বাঁকিয়ে রান্নাঘরে চলে আসলো
নাস্তা নিয়ে এসে টেবিলের উপর ওড়নাটা দেখতে পেয়ে তাড়াতাড়ি সেটা পরে শান্তর রুমের দিকে তাকালো সে
শান্ত যে সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে ওর দিকেই চেয়ে আছে সেদিকে তার খেয়াল নেই
.
কি ব্যাপার আহানা ম্যাডাম,ঐদিকে কাকে খোঁজেন?আপনার বর তো সোফায়
.
আহানা ভয় পেয়ে সোফায় তাকালো,তারপর ব্রু কুঁচকে বললো বারান্দায় রোদ এসেছে কিনা সেটাই দেখতেসিলাম,নাস্তা রেডি,খেয়ে নিন,আমি যাই
.
দাঁড়াও!
.
কি?
.
কি মানে?আমার সাথে নাস্তা করে তারপর যাবা
.
খিধা নেই!
.
শান্ত চুপচাপ খাবার নিয়ে আহানার মুখে তুলে ধরলো
আহানার চোখ দিয়ে অজান্তেই পানি পড়লো সাথে সাথে
শান্ত ওর মুখে খাবার দিয়ে নিজেও এক টুকরা রুটি খেলো তারপর বললো “আমাদেরকে দেখার মত কেউ নেই,আমাদেরই একজন আরেকজনকে দেখতে হবে”
.
আহানা পানি খেয়ে উঠে চলে গেলো আর থাকলো না,শান্ত এতটা কেয়ার করছে বারবার ভয় হয় তার,ভালো লাগেনা ঠিক
বাসায় এসে দরজা আটকানোর ২মিনিটেই শান্ত আবার এসে হাজির
আহানা চোখ মুখ মুছে গিয়ে দরজা খুললো
শান্ত কোমড়ে হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকে সোজা রান্নাঘরে চলে গেলো
.
কি হয়েছে?
.
চা খাওয়ালে না আমাকে ?
.
মনে ছিল না সরি,দাঁড়ান বানিয়ে দিচ্ছি
.
লাগবে না,গিয়ে সোফায় পা তুলে বসো আমি চা বানাচ্ছি
.
আহানা মাথা নাড়িয়ে সোফার এসে বসলো,শান্তর কথামত পা তুলে বসলো,একটা আলাদা ভালো লাগা কাজ করতেসে,রিমোট নিয়ে টিভি চালালো,খুঁজে খুঁজে সব চ্যানেল দেখতেসে সে
HBO চ্যানেলে যেতেই শান্ত ডাক দিলো,আহানা সেদিকে তাকিয়ে বললো কি হয়েছে?
.
শান্ত জ্যাকেট খুলে ওর হাতে দিয়ে চলে যেতে নিতেই টিভির দিকে চোখ পড়লো তার
টাইটানিক ফিল্মের কিস সিনটা চলতেসে
শান্ত চোখ বড় করে আহানার দিকে তাকিয়ে দেখলো সে পাগলের মত রিমোট খুঁজে যাচ্ছে
শান্ত মুচকি হেসে কুশনের নিচ থেকে রিমোট নিয়ে আহানার দিকে বাড়িয়ে ধরে বললো কিস দেখার এত শখ?আর আমরা তো প্র্যাকটিকালি!!
.
স্টুপিড!
.
শান্ত হাসতে হাসতে চলে গেলো
আহানা জিহ্বায় কামড় দিয়ে চ্যানেল পাল্টালো,ছিঃ ছিঃ কি লজ্জাটাই না পেলাম ধুর ধুর!
.
শান্ত চা নিয়ে এসে ওর পাশে বসলো
আহানা ভদ্রভাবে বসে সময় চ্যানেল দেখতেসে
শান্ত চায়ে চুমুক দিয়ে বললো “কিছুক্ষন আগে যে মেয়েটা টাইটানিকের কিস সিন দেখতেসিলো সে কিনা এখন খবর দেখতেসে,ওয়াও ওয়াও,নারী তুমি অসাধারন!!”
.
হুহ আমি দেখিনি এসে পড়ে গেসিলো সেটা,খেয়াল করিনি
.
জানো আমার আম্মুর বান্ধুবীর একটা ছেলে ছিল,নাম হচ্ছে আয়ুশ,সে যেটাই ধরতো সেটাই ভেঙ্গে ফেলতো
কেউ আওয়াজ পেয়ে দৌড়ে আসলে বলতো আমি ফেলিনি ওটা পড়ে গেসে
মানে যেটা পড়সে সেটার দোষ তার কোনো দোষ নাই?
তুমি ঠিক তেমন হইসো বুঝছো?
.
কোথায় কোথাকার কোন বলদা ছেলে আর কোথায় আমি,আন্দাজে!
.
সত্যি কথা টক হয়,সে বলদা আর তুমি বলদা গার্ডেন ,নাও এখন তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বের হও আমি বাইক নিয়ে আসতেসি
.
ঠিক আছে
আহানা গিয়ে রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হলো,শান্ত ততক্ষণে বাইক নিয়ে বাসার সামনে এসে গেছে,আহানা বাইকে উঠে বসতেই অলি দৌড়ে আসলো
.
কি হইসে অলি?
.
দাদি বললো তোমাদের কানের পিছনে কাজল দিয়ে টিকা লাগাই দিতে,কারণ তোমাদের আজ খুব সুন্দর লাগছে
.
শান্ত হেসে দিয়ে বললো আচ্ছা লাগাও
.
আমি তো তোমাদের নাগাল পাচ্ছি না
.
আচ্ছা অলি আমাকে দাও, আমি আমার কানের পিছনে আর উনার কানের পিছনে লাগিয়ে দিব
.
আচ্ছা লাগাও
.
আহানা কাজল নিয়ে তার কানের নিচে লাগিয়ে শান্তর দিকে তাকিয়ে দেখলো শান্ত ফোনে সূর্যর সাথে কথা বলতেসে
আহানা ওর কানের পিছনে কাজল লাগিয়ে দুষ্টুমি করে ওর কপালেও বড় করে কাজলের টিকা লাগিয়ে দিলো ঠিক তেমন করে যেমন করে বাচ্চাদের লাগানো হয়
অলি মুখে হাত দিয়ে হাসতেসে
.
নাও কাজল নিয়ে দাদিকে বলিও আমরা লাগিয়ে নিছি
.
আচ্ছা,হিহিহিহি
.
অলি এমন করে হাসলো কেন?
.
জানি না তো?
.
ভার্সিটির সামনে শান্ত বাইক থামাতেই আহানা নেমে চলে গেলো আর থামলো না,থামলেই বিপদ কারণ কিছুক্ষন পরই ঘটনা ফাঁস হবে যে শান্তকে আহানা বাচ্চাদের মত টিকা লাগিয়ে দিয়েছে
শান্ত বাইক রেখে বটতলার দিকে গেলো
ওকে দেখে ওর বন্ধুরা হেসে যাচ্ছে,থামাথামি নাই,শান্তর ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস ও পাচ্ছে না এদিকে হাসিও থামানো যাচ্ছে না ,শেষে শান্ত একজনের গলা টিপে ধরে বললো এরকম হাসতেসিস কেন?
.
তমাল শান্তর হাতের ঘড়ি ওর সামনে উঁচু করে ধরে বললো গ্লাসে নিজের ফেস দেখতে
শান্ত নিজেকে গ্লাসে দেখে উঠে দাঁড়িয়ে পড়লো,পকেট থেকে টিসু নিয়ে কাজল মুছে হনহনিয়ে আহানার ক্লাসের দিকে গেলো
আহানা জানালা দিয়ে দেখলো শান্ত জ্যাকেট ঠিক করতে করতে এগিয়ে আসতেসে
আহানা এক দৌড়ে ক্লাসরুমের শেষ কোণায় বেঞ্চের নিচে গিয়ে লুকিয়ে পড়লো
শান্ত ক্লাসরুমে ঢুকে এদিক ওদিক তাকিয়ে আহানাকে খুঁজতেসে
এখনও ক্লাস শুরু হতে দেরি আছে,সবাই ড্যাবড্যাব করে শান্তকে দেখে যাচ্ছে
.
শান্ত জোরে বললো আহানা কোথায়??
.
একটা মেয়ে দুষ্টুমি করে বলেই দিলো আহানা লাস্ট বেঞ্চের তলায় লুকিয়ে আছে
শান্ত হেসে এগিয়ে আসলো সেদিকে
.
“উফ এই মেয়েটা কেন বলতে গেলো ধুর!”
.
শান্ত কাছে এসে আহানার হাত ধরে টেনে ওকে বের করলো
আহানা সরি সরি বলেই যাচ্ছে
.
তুমি আমাকে বাচ্চাপোলাপানের মত করে কাজল লাগিয়ে দিসো কেন?এই জন্যই তো বলি আসার সময় জ্যামে পড়সিলাম যখন তখন পাশের একটা কারে থাকা বাচ্চা আমাকে দেখে হাসতেসিলো কেন
.
সরি আর করবো না
.
করসো কেন, এটার শাস্তি পেতে হবে
.
আহানা শান্তর হাত ছাড়িয়ে এক দৌড় দিলো
শান্ত ও ওর পিছু নিলো ওকে ধরার জন্যে
এলিনা ভার্সিটিতে ঢুকে দেখলো শান্ত আহানাকে দৌড়ানি দিতেসে,দুজনে হাসতে হাসতে শয়তানি করতেসে ক্যামপাসে
এলিনা রাগে ফুসতে ফুসতে আহানা যেখানে আপাতত লুকিয়ে আছে ক্যানটিনের সামনের পিলারটার পিছনে সেখানে গেলে সে
গিয়ে আহানার হাত জোরে চেপে বললো তোমাকে বলসি না শান্ত থেকে দূরে থাকবা?এখন আবার এরকম ওর সাথে হাসিঠাট্টা করতেসো কেন??
.
আহানা চুপ করে থেকে বললো আমি তো…
.
তুমি কি?একটা কথা বুঝার চেষ্টা করো না কেন তুমি?শান্ত তোমাকে ভালোবাসে না বাসে না বাসে না!!মাথায় ঢুকিয়ে নাও,এরকম ছেঁসড়া মেয়েদের মত ওর পিছন পিছন থাকবা না
আর একদিন যদি দেখেছি তো হাত চলবে আমার!
.
“আহানার আশেপাশে আর একদিন যদি তোমাকে দেখেছি তো হাত চলবে আমার!!!!!”
.
শান্তর কথাটা শুনে এলিনা পিছন ফিরে তাকালো
.
শান্ত পকেটে হাত ঢুকিয়ে এগিয়ে আসতেসে,সামনে এসে আহানার পাশে দাঁড়িয়ে ব্রু কুঁচকে রাগী লুক নিয়ে এলিনার দিকে চেয়ে বললো
“এনাফ ইজ এনাফ এলিনা!! আমি তো জানতাম ও না তুমি আমার অগোচরে আহানার সাথে এমন বিহেভ করো”
.
শান্ত আর কিছু না বলে খপ করে আহানার হাত ধরে ফেললো
আহানা কিছু বুঝতে না পেরে বললো কি হয়েছে?আমি ক্লাসে যাবো
.
হুম কিন্তু তার আগে আমার কাজটা শেষ হোক
কথাটা বলে শান্ত তার সানগ্লাসটা পরে নিয়ে আহানাকে টেনে ভার্সিটির মাঠের মাঝখানে নিয়ে আসলো
তারপর বটতলার দিকে তাকিয়ে শিষ মারতেই ১০/২০টা ছেলে এসে হাজির হয়ে গেলো,সাথে অনেকেই এসে পড়েছে কৌতুহলবসত,দূর থেকে এলিনা দাঁড়িয়ে থেকে চেয়ে আছে
সবার মুখে এক কথা “যে কি হয়েছে?”
আহানা অবাক চোখে শান্তর দিকে তাকিয়ে আছে
শান্ত শক্ত গলায় বললো “””””সবাই শুনে রাখো যেহেতু আমি জব পেয়েছি তাই আমি ভাবলাম এখন বিয়েটা করে নেওয়া উচিত,আর তাই আমি নরমালি বিয়েটা সেরেও ফেলেছি,নাও আই এম ম্যারিড
আর মিসেস শাহরিয়ার শান্ত হলো আহানা ইয়াসমিন
আমি ওকে বিয়ে করেছি,ওকে গট ইট?
এখন থেকে তোমরা আমাকে যেমন সম্মান করতা আহানাকেও ঠিক তেমন সম্মান করবা
ভার্সিটির কোনো কোণায় যদি আহানাকে কেউ যদি একটা কটু কথাও বলেছো তো খুব খারাপ হয়ে যাবে,মাইন্ড ইট,বুঝেছো সবাই?
আর হ্যাঁ পারিবারিকভাবে কয়েকদিন পরই আমাদের বিয়েটা হবে মোহনগঞ্জে,সবাইকে দাওয়াতও দেওয়া হবে তখন””””
শান্তর কথা শুনে এক প্রকার শক খেয়ে সবাই উত্তরে কি বলবে না বলবে ভেবে না পেয়ে শুভেচ্ছা দেওয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো
চলবে♥