প্রেমের পাঁচফোড়ন?
পর্ব_৫৩
#Writer_Afnan_Lara
?
“কি দেখেছেন আপনি??”
.
“দেখলাম তুমি শাহরিয়ার শান্তর কালো জ্যাকেটটা পরে আরামসে ঘুমাচ্ছো”
.
“আমার শীত করতেসিলো বলে পরেছি আর কিছু না”
.
“ভালো এখন ফ্রেশ হয়ে আসেন আমি নাস্তা বানাচ্ছি,আজ শুক্রবার ভার্সিটি অফ বাট অফিস কিন্তু খোলা”
.
আহানা মাথা নাড়িয়ে চলে গেলো
.
শান্ত কড়াইয়ে তেল ঢালতে গিয়ে বেশির ভাগ তেল তার জামায় ঢেলে দিলো ভুলে
“ইসসসস এটা কি করলাম!”
শান্ত তার টিশার্টটা খুলে ফেললো সাথে সাথে
.
আহানা ব্রাশ করে এসে সোফার রুমে দাঁড়িয়ে রান্নাঘরের দিকে তাকিয়ে চোখ কপালে তুলে ফেললো শান্তকে উদম দেখে
সে পিছিয়ে যেতেই সোফায় দুম করে পড়লো,ভাবলো শান্ত জামা খুলেছে কি কারণে কে জানে!
শান্ত গায়ের তেল মুছতে মুছতে আহানার দিকে তাকিয়ে দেখলো ও কোমড় হাতিয়ে কাগজ খুঁজতেসে,শান্তর আর বুঝতে বাকি নেই যে আহানা তার উদম গা দেখে কি বুঝেছে
শান্ত এগিয়ে আসতেই আহানা কাগজটা নিয়ে সামনে ধরে বললো “খবরদার আমাকে ছুঁবেন না বলে দিলাম”
.
শান্ত মুখ এগিয়ে নিয়ে বললো “গায়ে তেল পড়েছে বলে জামা খুলেছি আর কোনো কারণ নেই,অন্য কারণ তৈরি করতে বাধ্য করিও না আহানা ম্যাম
আর হ্যাঁ তোমার প্রতি আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই,ওকে??
আহানা ব্রু কুঁচকে চেয়ে থেকে বললো “তাহলে কাল কি হয়েছিলো”?
.
শান্ত থেমে গিয়ে পিছনে ফিরে তাকিয়ে বললো “আমার ইন্টারেস্ট না থাকা মানে থাকা,মগজ খাটালেই বুঝতা,আর তোমার তো মগজ গলে নেহারি হয়ে গেছে!”
.
আহানা রেগে সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো কি বললেন?আমার মগজ গলে গেছে??তাহলে আপনার তো মগজই নেই,খালি মাথার ঠুল,ভিতরে ফাঁকা
.
“খালি কলসি বাজে বেশি,ইউ হ্যাভ টু বুঝতে হবে!”
.
আহানা ভাবনায় পড়ে গেলো,শান্তর সাথে মাঝেমাঝে কথায় পারা যায় না
♣
আহানা সোফার কুশন গুলো ঠিক করে করে রাখতেসে
শান্ত হাতে প্লেট নিয়ে আসতে আসতে বললো পরশু কিন্তু রুপা নওশাদের কাবিন
.
হ্যাঁ জানি,রুপা বললো হালকা করে গায়ে হলুদ বিয়ে সব হবে
.
সামান্য প্রেগন্যান্ট শুনে রুপার বাবা এত তাড়াতাড়ি রাজি হয়ে গেলো,এখন এমন ভাবে সব মেনেও নিলো যেন কিছুই হয়নি
.
হুমম,একদিক দিয়ে ভালো হয়েছে,ওরা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসে,তাদের ভালোবাসাটা অবশেষে পূর্নতা পাবে
.
হ্যাঁ!নাও খেতে বসো
.
আপনি বসুন,আমি চা বসিয়ে দিয়ে আসতেসি
.
শান্ত রিমোট নিয়ে টিভি অন করে একটা হিন্দি চ্যানেল বের করলো,Kabir Singh ফিল্মটা চলতেসে
“ওয়াও জোস!!”
.
আপনি এটা আগেও দেখছেন?
.
হুম অনেকবার!
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এই জন্যই মদ সিগারেটের নেশা ধরসে আপনাকে,ভালো মুভি দেখবেন,ভালো অভ্যাস তৈরি হবে
.
যেমন?
.
Taqdeer একটা মুভি ছিল,জাস্ট ওসাম,যতবার দেখাবে টিভিতে ততবার দেখতে পারবো আমি,মীম আপুর ফোনে দেখসিলাম ২বার
.
ছোটবেলায় প্রেম ছিল পরে হারায় গেসিলো সেই ফিল্মটা?একদম আমাদের মত তাই না?
.
তারা আমাদের মত লুকায় বিয়ে করেনি,ছোটবেলায় তাদের প্রেম ছিল বন্ধুত্ব ছিল যা আমাদের ছিল না,আর আমি আপনাকে খুঁজিনি আপনিও আমাকে খুঁজেননি,তাদের মা বাবা ১৪গুষ্টি সব আছে,কিন্তু আমাদের নাই,নায়িকার নিজস্ব কার আছে,আমার নিজস্ব রিকসাও নাই
কথাটাগুলো বলে আহানা তার চুল কানের পিছনে রেখে রুটি একটুকরায় ভাজি নিয়ে মুখে দিলো
শান্ত টিভিতে চেয়ে দেখলো নায়ক নায়িকার গালে চুমু দিয়ে বললো”কিসি নে নেহি দেখা”
এটা দেখে দাঁত কেলিয়ে শান্ত মুখ কাছে এনে আহানার গালে চুমু দিয়ে দিলো
আহানা চোখ বড় করে ওর দিকে তাকালো,একদমই প্রস্তত ছিল না সে এটার জন্য
শান্ত তার প্লেট থেকে রুটি ছিঁড়তে ছিঁড়তে বললো “বারান্দামে এক কাউয়া থা!! উসকো ছোড়কে কিসি নে নেহি দেখা!”
.
আহানা লজ্জায় উঠে রান্নাঘরে চলে আসলো,গালে হাত দিয়ে পিছন ফিরে শান্তর দিকে তাকিয়ে রইলো সে
শান্ত চুপচাপ খাচ্ছে আর টিভি দেখতেসে,যেন কিছুই হয়নি
চা হাতে নিয়ে আহানা আবার ওর পাশে বসলো কখন কি করে বসে এই ছেলেটা বোঝা দায়
.
নাস্তা খাওয়া শেষে শান্ত চলে গেলো তার বাসার দিকে
আহানা লজ্জায় লাল হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে
জীবনে প্রথম কারোর ছোঁয়াতে এতটা ভালোলাগা কাজ করে বলে বুঝানো যাবে না
আহানা আলমারি খুলে লাগেজের সব শাড়ী জামা এক এক করে সেখানে রাখতেসে
এতদিন সময় পায়নি বলে রাখতে পারেনি
এখন সব রাখা শেষ করে হা করে চেয়ে রইলো,তারেক রহমানের বাসায় থাকতে তার আলমারিতে শুধু ২টো জামা থাকতো আর আজ এত এত জামা শাড়ীতে ভর্তি যে অবাক না হয়ে উপায় নেই
সেখান থেকে একটা হলুদ রঙের জামা নিয়ে পরে নিলো আহানা,ব্যস এবার অফিস যাবো
বাসা থেকে বের হয়ে রোডটা ভালো করে দেখলো সে,কিন্তু শান্তকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না,আজ আসলো না নাকি??ওকে তাহলে হেঁটে যেতে হবে,আহানা একটু হাঁটা ধরতেই শান্তকে দেখতে পেলো,সে বাইক নিয়ে আসতেসে
বাইক আহানার সামনে দাঁড় করিয়ে বললো সরি আসতে লেট হয়ে গেলো,আমি যখন গায়ে সাবান দিতেছিলাম তখনই পানি পড়া অফ হয়ে গেসিলো,পরে তোয়ালে পরে ছাদে গিয়ে মেইন সুইচ দেখতে গিয়ে দেখলাম ছোট বাচ্চাপোলাপান খেলার ছলে অফ করে দিয়েছিল,সেটা অন করে গোসল করে বেরিয়ে পড়লাম জামা পরে
.
ওকে ওকে,এত কৈফিয়ত চাইনি আমি,আপনি না আসলে আমি হেঁটে যেতাম
.
আচ্ছা বাইকে উঠো এখন
.
আহানা শান্তর কাঁধে হাত রেখে বসে কি যেন ভাবলো তারপর হাতটা নিচ নামিয়ে শান্তর পেটটা ধরলো
শান্ত চমকে ওর দিকে ফিরে তাকালো,তারপর হেসে দিয়ে বাইক স্টার্ট করলো সে
আহানা মুখ টিপে হাসতেসে,অফিসে আসতেই দুজনে আবার ঝগড়া শুরু করে দিলো
ঝগড়ার টপিক হলো আহানা শান্তর পায়ে পা দিয়ে চাপ দিয়ে দিসে এবং উল্টা শান্তর দোষ দিসে
একজন আরেকজনের চুল টানতে টানতে লিফটে করে অফিসে ঢুকেছে
কেবিনে বসতেই আহানা দেখলো নিহাল আর ববি হাসাহাসি করতেসে
শান্ত সেন্টার ফ্রেশ খেতে খেতে বললো “মেড ফর ইচ আদার”?
.
আহানাও হেসে দিলো,শান্ত একটা ফাইল চেক করতে করতে আহানার ওড়না হাতে নিয়ে গিট্টু দিতেসে
আহানা তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত
ব্রেক টাইমে আসতেই আহানা নিজের গায়ে চেয়ে দেখলো ওড়না আর একটু আছে ওর গায়ে বাকিটা পুরো শান্ত মুড়িয়ে মুড়িয়ে নিয়ে গেছে
আহানা ওকে এক ধাক্কা দিয়ে ওড়না নিয়ে নিলো ওর থেকে
ব্রেক টাইমে দুজনেই জানালার ধারে এসে দাঁড়িয়ে আছে,শান্ত মুখে সিগারেট ঢুকিয়ে গেমস খেলতেসে আহানা গেমটা দেখতেসে তাকিয়ে তারপর হঠাৎ করেই হাত বাড়িয়ে শান্তর সামনে ধরলো
শান্ত চমকে ফোন থেকে মুখে তুলে বললো কি?
.
দেখুন না!!
আহানা হাতের মুঠো খুললো,তার হাতে একটা ব্ল্যাক ব্রেসলেট
শান্ত ইয়া বড় হা করে “জোস” বললো তারপর সাথে সাথে সেটা হাতে পরে নিলো
“তুমি জানতে এটা আমার পছন্দ?”
.
আহানা চমকে বললো নাহ তো,এটা আমার মনে হলো আপনার পছন্দ হবে তাই নিয়েছি
.
একদম ভালো আন্দাজ করেছো এটা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে,অনেক অনেক!!
থ্যাংক ইউ সো মাচ!
.
আহানা মুচকি হেসে জানালার দিকে চেয়ে রইলো
.
আমার গেমস খেলা শেষ চলো কিছু খেয়ে আসি
.
না খিধে নেই
.
আমার তো আছে?
.
শান্ত আর আহানার কথায় কান না দিয়ে ওর হাত ধরে চলে গেলো ক্যানটিনের দিকে,আহানা খাবে না মানে খাবেই না,তাও ওকে একটা আইসক্রিম কিনে দিয়ে বসিয়ে রেখেছে শান্ত
আর সে একটা স্যান্ডুইচ খেয়েছে,দুজন মিলে ঠিক করলো আজ যাওয়ার সময় টংয়ের চা খাওয়া হবে,হবে কিছু খুনসুটি
সত্যি সেটাই হলো,শান্ত আহানাকে নিয়ে আজ আবারও সেই লেকটায় আসলো
তখন সন্ধ্যা ৭টা বাজে,পানিতে পা ডুবিয়ে দুজনে বসে আছে
শান্ত চা খেতে খেতে বললো বাবা ওর মাকে অনেক ভালোবাসে,রেণু আন্টি ছিলেন মায়ের ক্লাসমেট, উনি মা মারা যাওয়ার পরই একটা ভুলবুঝাবুঝি ক্রিয়েট করে ফেললেন যাতে বাবা উনাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাবে আর সেটাই হলো,বাবা সম্পূর্ন ভেঙ্গে পড়েছিল সে সময়টাতে,সেই মূহুর্তে মাকে রেখে অন্য একজন মহিলাকে নিজের স্ত্রী করে নেওয়াটা তার জন্য কঠিন ছিল
আমি সেই বাসায় ভালো ছিলাম ততদিন যতদিনে তার আগের সংসারের ছেলে সায়ন এসে আমাদের সাথে থাকা শুরু করে নিই
সায়ন একটা বিগড়ে যাওয়া পুরুষের বিগড়ে যাওয়া সন্তান,ওর সাথে জাস্ট সিধা কথাও বলা যায় না,মা মারা যাওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই আমাকে মোহনগঞ্জ ছাড়তে হয়েছিল সায়নের আর সায়নের মা রেনুর অত্যাচারে
.
কি করতো তারা?
.
একবার ২দিন ধরে খাবার দেয়নি আমাকে কারণ হলো সায়ন আমার মায়ের একটা ছবি ভেঙ্গে ফেলেছিল বলে ওকে আমি থাপ্পড় মেরেছিলাম এই দোষে আমাকে গোয়াল ঘরে আটকে রেখেছিল,কিছু খেতে দেয়নি
.
আপনার বাবা আটকান নি?
.
হাহা,বাবা ঢাকায় এসেছিলো অফিসের কাজে,উনি এসব ব্যাপারে নজর দিতেন না,জানতেও চাইতেন না
.
তারপর বাসা থেকে একবার বেরই করে দিয়েছিল আমাকে
.
কেন?
.
মিতু হওয়ার পর তাকে রোদে দিতে হতো সকালের রোদে
রেনু আন্টি গোসল করতে গেসিলেন,আমি আর সায়ন ওর পাশে ছিলাম
সায়ন মরিচের গুড়ো দিয়ে কাঁচা আম খাচ্ছিলো,রোদের তাপে মিতু কাঁদতেসিলো,সায়ন তার কাঁদা দেখে বিরক্ত হয়ে এগিয়ে এসে মরিচের গুড়ো সহ এক টুকরো আম মিতুর মুখে পুরে দিয়েছিল বলে ওকে আমি ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়েছিলাম তারপর ও এসে আমাকে ধাক্কা দিলো
রেনু আন্টি এসে গেসিলেন ততক্ষনে,সায়ন বললো মিতুর মুখে মরিচ সহ আম আমি দিয়েছি
রেনু আন্টি সায়নের কথা বিশ্বাস করলো,আমার নয়
আমাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিলেন সেদিন,বাবা বাসায় থাকতো না বেশি তাই এসব কিছুই বাবার কানে পৌঁছাতো না
অতিষ্ঠ হয়ে আমি বাবাকে বললাম আমাকে আলাদা জায়গা দিতে আমার পক্ষে ঐ বাড়িতে থাকা সম্ভব না
বাবা সাথে সাথে ঢাকায় একটা ফ্ল্যাট কিনে নেয় আমার জন্য কারণ সেদিন আমি খুব সিরিয়াসলি বলেছিলাম বাবা যদি রাজি না হতো আমি একাই বেরিয়ে পড়তাম বাসা থেকে
সেদিন রাতেই আমি সেই ফ্ল্যাটে এসে উঠেছিলাম
আস্তে আস্তে ফ্ল্যাট সাজিয়ে নিলাম
তারপর ভার্সিটিতে পরিচয় হলো নওশাদ,রিয়াজ আর সূর্যের সাথে,ওরা ম্যাচে থাকতো,আমি ওদের আমার এখানে নিয়ে আসি,একা একা কার ভালো লাগে,ওরা থাকলে কখন দিন হয় আর কখন রাত বোঝাই যায় না
এতকিছুর পরও আমি মাকে অনেক মিস করি আহানা!!
খানিকটা একা হলেই মায়ের কথা মনে পড়ে আমার,আমি কি দোষ করেছিলাম যে আমাকে মা হারা হতে হলো
কতটা সুখের ফ্যামিলি ছিল আমাদের
আমার মাঝে মাঝে মন চায় আল্লাহর কাছ থেকে গিয়ে মাকে চেয়ে আনি,মাকে ছাড়া আমি এই পৃথিবীতে বড্ড অসহায়
.
আহানা চুপ করে থেকে বললো আর বাবা মা ছাড়া আমি কি তাহলে?
.
শান্ত চা শেষ করে ওয়ান টাইম গ্লাসটা ময়লার ঝুড়িতে ফেলতে ফেলতে বললো তোমার তো তাও কেয়ারিং,কিউট,ড্যাসিং,হ্যান্ডসাম,জোস হাসবেন্ড আছে,আমার কি আছে?
.
আপনার তো বাবা আছে আর আমার মত এত ভালো একটা স্ত্রী আছে যে আপনার অনেক কেয়ার করে,আর কি লাগে?
.
শান্ত মাথার চুল ঠিক করতে করতে বললো আর একটা বেবি ফুটবল টিম লাগে এই আর কি!!
.
আহানা হেসে দিয়ে শান্তকে এক ধাক্কা মেরে দিলো
.
শান্ত আহানার হাত দুটো ধরে লেকের শেষপ্রান্তের দিকে চেয়ে বললো আহানা আমি আমাদের সম্পর্কটাকে নিয়ে অনেক satisfied, কারণ আমার মায়ের ইচ্ছা ছিল এটা আর তা perfectly পূর্ন হয়েছে
আমার মা খুশি তো আমি খুশি,আর আমি খুশি তো আমার একমাত্র বউও খুশি
.
একমাত্র মানে?আরও চান নাকি?
.
হুমম,এলিনা আর ববি হলেও সমস্যা নাই!
.
আহানা রেগে শান্তকে দৌড়ানি দিলো,খালি রাস্তায় দুজনে দৌড়াচ্ছে
শান্ত হাঁপিয়ে গেলো সাথে আহানাও
আহানা ঠাসঠুস করে শান্তকে কয়েকটা কিল বসিয়ে দিলো
তারপর মুখ ছোট করে বললো যান করেন বিয়ে আমার কি!
.
শান্ত হেসে দিয়ে ওকে কাছে টেনে জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে
তারপর বললো “তোমার অনেক কিছু আহানা”!!
.
দুজনে আরও কিছুক্ষন হেঁটে বাসায় ফিরে আসলো
.
আহানা ভাত বসাতেই দরজায় কে যেন টোকা দিলো
হাত মুছে গিয়ে সে দরজা খুললো,শান্ত দাঁড়িয়ে আছে এক গাল হাসি দিয়ে
তার হাতে ইয়া বড় একটা ইলিশ মাছ,চিকচিক করতেসে
আহানা চোখ বড় করে বললো “হঠাৎ?”
.
আরে এত তাজা পেয়ে যাব ভাবতেও পারিনি,২টো কিনছি,একটা নওশাদের হাতে দিয়ে এসেছি বলছি বুয়াকে দিয়ে রাঁধিয়ে নিতে
আর এটা তুমি রাঁধবা,তাড়াতাড়ি করো খুব খিধে পেয়েছে
.
আহানা মাছটা কেটে নিয়ে ভাবলো ২পদ বানাবে,লেবু ইলিশ আর ইলিশ মাছ দিয়ে তরকারি
শান্ত টিভি দেখতেসে বসে বসে
আহানা রান্নাবান্না শেষ করে ডাইনিংয়ে খাবার এনে শান্তকে ডাক দিলো
শান্ত খেতে বসে চোখ বন্ধ করে একটা বড় শ্বাস নিলো তারপর আহানার দিকে চেয়ে বললো”এটা আমার প্রথম ইনকামের টাকায় কেনা মাছ ছিলো আহানা!”
.
আহানা মুচকি হেসে দিয়ে বললো আলহামদুলিল্লাহ
.
মা থাকতে বলেছিলাম তার ছেলে প্রথম চাকরি করে তাকেই গিফট দিবে সবার আগে,আমি আমার বেতন হাতে পেয়ে সবার আগে মায়ের জন্য গোলাপি শাড়ী আর চুড়ি কিনেছি,বাবার জন্য পাঞ্জাবি ও কিনেছি,ছুটি পেলেই মোহনগঞ্জ যাবো মাকে গিফট দিতে
চলবে♥