#প্রেমের_নাম_বেদনা?
#পর্বঃ১১
#Arshi_Ayat
আরিয়ানের এমন আক্রমণে অর্নি আরিয়ানের বুকের ওপর গিয়ে পড়লো আর ওর সব চুল আরিয়ানের মুখে পড়লো।আরিয়ানের এমন কান্ডে অর্নি পুরো হতভম্ব।আর এদিকে আরিয়ান হাসছে আর ওর চুলের ঘ্রাণ নিচ্ছে।অর্নি ওর বুকের ওপর থেকে উঠতেই আরিয়ান হাসতে হাসতে বলল
“কি রে তুই কি শ্যাম্পু ইউজ করিস?এতো সুন্দর ঘ্রাণ!!আহা!!”
অর্নির গা জ্বলে যাচ্ছে আরিয়ানের কাহিনী দেখে ও রেগে বলল
“কুত্তার গু দেই চুলে এই জন্যই চুলে এমন ঘ্রাণ।”
এই বলেই রাগে গজরাতে গজরাতে চলে গেলো।আরিয়ান ব্যাপারটা বুঝলো না যদি অর্নি ভালোই বাসে তবে রেগে গেলো কেনো?আরিয়ান এবার রিমন আর রাদিফকে ঠেলে উঠালো।রিমন চোখ কচলাতে কচলাতে বলল
“কি হইছে? ”
আরিয়ান সব বলার পর রাদিফ আর রিমন ওকে বুঝানোর জন্য বলল
“আরে শোন তুই হঠাৎ এমন করলি তো তাই আর আমাদের সামনে করেছিস তাই আরো রেগে গেছে।” (রাদিফ)
“হুম আর বাসায় অনেক মানুষ আছে তো তাই এমন করছে।(রিমন)
” ওহ!!তাই বল।আচ্ছা চল ফ্রেশ হই তারপর গিয়ে দেখি রাগ ভাঙছে কি না!”
“হুম কিন্তু এখন কিছু করিস না সবাই বাসায় আছে তাই ও রাগ করতে পারে।(রিমন)
“আচ্ছা।”
ওরা তিনজনে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেলো।
এদিকে অর্নি রুমে এসে নেহালকে কল দিলো।কল রিসিভ হতেই অর্নি আগে বলল
“হ্যালো নেহাল,কেমন আছো?”
“এইতো ভালো, তুমি?”
“আমিও ভালো আছি।কি করো?”
“এইতো বাইরে হাটতেছি।তুমি কবে আসছো?”
অর্নি হেসে বলল
“পরশুদিনই দেখা হচ্ছে।”
“ওহ!!আচ্ছা সাবধানে থেকো।”
“তুমিও।”
নেহালের সাথে কথা বলে অর্নি নিচে চলে গেলো।শিউলী এসে বলল
“আপু লুকোচুরি খেলবা?”
অর্নি হেসে বলল
“আচ্ছা কিন্তু কে কে খেলবে?”
“আমি,তুমি,রুমি,আইরিন,আরিয়ান ভাইয়া আর ওর বন্ধুরা।”
“ওকে চলো।”
আরিয়ান আর ওদের ও রুমি ডেকে নিয়ে এলো।চোর হলো অর্নি।অর্নিকে ওদের খুজে বের করতে হবে।অর্নি গোনা শুরু করলো।এই ফাকে সবাই লুকিয়ে পড়লো।আরিয়ান গিয়ে ছাদের দরজার ফাকে লুকালো।রাদিফ আর রিমন ঘরে গিয়ে দরজা আটকে আরম করে মুভি দেখা শুরু করলো।শিউলী,আইরিন,রুমি ওরা তিনজন অন্যবাসার গেটের ভেতর গিয়ে পালালো।অর্নি গোনা শেষ করে ওদের খোজা শুরু করলো।প্রথমেই ও ছাদে গেলো।কিন্তু কেউই নেই।ও নিচে চলে গেলো।আরিয়ান হাফ ছেড়ে মনে মনে বলল
“যাক দরজার পেছনে খেয়াল করে নাই।”
তারপর গিয়ে আরিয়ানের রুমের দরজা ধাক্কাতে লাগলো।রাদিফ আর রিমন দরজা ধাক্কানোর আওয়াজ শুনে মোবাইল খাটের ওপর ফেলে একজন খাটের নিচে আরেকজন আলনার পেছনে লুকালো।আর অর্নি দরজা নক করতেই থাকলো।খাটের নিচ থেকে রিমন রাদিফকে বলল
“যা গিয়ে দরজা খোল।”
“তুই যা।”
“না না তুই যা।”
রিমন খাটের নিচ থেকে বের হয়ে দরজা খুলে দরজার পিছনে সেঁটে রইলো।অর্নি ঘরে ঢুকে হেসে বলল
“আমি জানি তোমরা তিনজন এখানেই আছো।”
অর্নি আসতে আসতে দরজার পিছনে গিয়ে রিমনকে ধরে তারপর রিমনের ইশারায় রাদিফকে বের করলো তারপর একেএকে সবাইকে ধরলো কিন্তু আরিয়ানকে পেলো না।অর্নি আবার ছাদে গিয়ে দেখে ও দরজার পিছনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে গেমস খেলছে।তারপর আরিয়ানও বেরিয়ে আসলো।খেলা শেষে সবাই রেডি হতে গেলো।
এদিকে নেহাল হাটতে হাটতে ভাবছে আরো একদিন অর্নির সাথে দেখা হবে না!!নেহাল কিছুতেই মানতে পারছে না।ও দৌড়ে বাসায় গিয়ে ব্যাগ গুছালো।নেহালের মা পিছন থেকে বলল
“কি রে কই যাস?”
“আম্মু কাজ আছে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছি।”
“ফিরবি কবে?”
“এইতো আজই বোধহয় ফিরবো আর আজ নাহলে কাল ফিরবো।”
“আচ্ছা সাবধানে যাস।”
“আচ্ছা তুমি আব্বুকে বলে দিও।”
“আচ্ছা।”
নেহাল বাসে উঠলো তারপর ফোনটা হাত নিয়ে অর্নির নাম্বারে ডায়ল করতে নিয়েও রেখে দিলো।মুচকি হেসে বলল’আজ সারপ্রাইজ দিবো তোমাকে।’
এদিকে বরযাত্রি এসেছে এবং বিয়েও হয়ে গেছে কিছুক্ষণ আগে।এখন কন্যা বিদায়।তো আরিশা আপুর সাথে শিউলী,রুমি আর অর্নি গেলো।আইরিন যায় নি।আরিয়ান রিমনের কাধে হাত দিয়ে বলল
“বোনের শ্বশুর বাড়ি শুধু বোনেরাই কেনো যেতে পারে?ভাইদেরও এই অধিকার দেওয়া উচিত।”
রিমন আর রাদিফ হাসতে হাসতে বলল
“থাক মন খারাপ করিস না রাতে আমরা তিন ওই বাড়িতে উকি দিয়ে আসবো।এমনিতেও যেতে মাত্র দশ মিনিট লাগবে।”
রিমনের কথায় আরিয়ান আর রাদিফ হেসে দিলো।
এদিকে আরিশাকে সবাই দেখতে এসেছে।নতুন বউ বলে কথা।অর্নিও,শিউলী,রুমি ওরাও আরিশার সাথে বসে আছে।হঠাৎ অর্নির ফোন এলো।স্ক্রিনে খেয়াল করতেই দেখলো নেহালের কল।অর্নি রিসিভ করে সাইডে চলে গেলো।
“হ্যালো অর্নি।”
“হ্যাঁ,বলো।”
“কোথায় তুমি?”
“বোনের শ্বশুর বাড়ি।”
“ও তোমার বোনের শ্বশুরবাড়ি কই?”
“অর্নি লোকেশনটা নেহালকে বলে তারপর জিগ্যেস করলো হঠাৎ এগুলো জানতে চাইছো যে?”
“এমনিতেই আচ্ছা রাখি পরে কথা হবে।”
“ওকে।”
চলবে….
(ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন)