#প্রেমময় #তৃষ্ণা
#writer-TaNiA[🖤]
#part-12
ভালোবাসার খুনসুটি তে শুভ ও কলির দিনগুলো ভালোই চলছিলো,আসতে আসতে কলির এস এস সি পরীক্ষাও চলে এলো।শুভ আর পড়ালেখার মাঝে কলির দিনগুলো সুন্দর ভাবে কেটে যাচ্ছিলো।কিন্তু বলে না সুখের দিনটা ছোট হয়,তাই কলির সুখের দিনগুলোও শেষ হতে লাগলো।কিছুদিন ধরে শুভ কলির সাথে তেমন কথা বলে না,এমনকি ফোনও দেয় না, প্রথমে কলি মনে করেছিলো শুভ হয়তো ব্যস্ত তাই ওর সাথে কথা বলতে পারছে না, বা ফোনদিতে ভুলে যায়।কিন্তু এভাবে মাসখানিক পার হয়ে গেলো।শুভর দিক থেকে কোনও উন্নতি হলো না,দুমাসের বেশি হয়ে গেলো,শুভ একটি বারও কলির সাথে দেখা করতে এলো না,কলি অনেকবার মেসেজ দিয়ে জানার চেস্টা করছে,ধৈর্য হারিয়ে অনেকবার মাহির ও ইনামকে ও কল করেছে কিন্তু তাদের কাছ থেকেও কোনও ভালো জবাব পায়নি।শুভ কেনো হঠাৎ এতো চেন্জ্ঞ হয়ে গেলো,কলি বুঝতে পারছে না।তাহলে কি সবাই সত্যি বলতো শুভ আমাকে ভালোবাসতো না,সবই কি তার অভিনয় ছিলো।
কলির মন কিছুতেই মানতে চায় না,শুভ ওকে ভুলে গেছে।বার বার নিজের মনকে এই বলে বুঝ দিতো শুভ নিশ্চই কোনও কাজে ব্যস্ত,ফ্রি হলে এক সময় না এক সময় ফোন অবশ্যই দিবে।।কিন্তু এভাবে কতোদিন একদিনতো কলির ধৈর্যের বাধ ভাঙ্গবে।
||
||
অনেক কস্টে নিজের মন পড়ালেখায় বসালো কলি কারন আজ বাধে কাল পরীক্ষা।কিন্তু বলে না,মন তো মনই।মনের সাথে জোর করা কি যায়।তবুও কলি নিজেকে স্থির করলো।আস্তে আস্তে কলির সব পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলো।শেষ পরীক্ষার দিনে কলি শুভর সাথে দেখা করবে বলে ভেবে নিলো।তার জন্য কলিকে ঢাকায় যেতে হলে তাও যাবে।তবুও এবার শুভকে বলতে হবে কেনো সে এমন করছে কলির সাথে।কি দোষ আমার।কিন্তু কলি স্বপ্নেও ভাবেনি আজ যা হবে।কলি পরীক্ষা শেষ করে বাসায় চলে যায়।নিজের রুমে গিয়ে দেখে ওর মা দাঁড়িয়ে আছে,আর আচল দিয়ে চোখের জল মুচছে বার বার।কলির বাবা খাটে বসে আছে,চেহারায় কেমন একটা রাগী রাগী ভাব।কলি কখনো ওর বাবাকে এমন রুপে দেখে নি।কলি রুমে ডুকেই মাকে জিঙ্গেস করলো,কি হয়েছে মা কাঁদছো কেনো।কিন্তু কলির মা কিছুই বলছে না,তাই কলি গিয়ে ওর বাবার পাশে দাঁড়ালো, বাবা কি হয়েছে মা কাঁদছে কেনো।
___কলির বাবা আসলাম আমীর কলির দিকে তাকিয়ে বসা থেকে উঠে কলির গালে একটা থাপ্পড় দিয়ে দিলো।কলি ছলছল চোখে ওর বাবার দিকে তাকালো,কারন এই প্রথম কলির বাবা কলির গায়ে হাত তুললো।____
কি হয়েছে বাবা,আমি কি কোনও অন্যায় করেছি।কলির বাবা কলির দিকে কিছু ছবি উড়িয়ে মাড়লো। ছবিগুলো সব নিচে ছড়িয়ে পড়লো,কলি ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলো কেনো তার বাবা এতো রেগে আছে।বাবা প্লিস আমার কথা শুনো।
||
||
____চুপ একদম চুপ।তোর মতো মেয়ে জন্ম না দিয়ে সারা জীবন নিঃসন্তান থাকতাম সেটাই ভালো ছিলো।আজ তোর কারনে আমাকে ঐ আজমাল চৌধুরী অপমান করার সাহস পেয়েছে।জানিস কি বলেছে,আমি নাকি টাকার লোভে তার ছেলের সাথে তকে লাগিয়ে দিয়েছি।বল এমন কথা শোনার আগে আমার মরন হলো না কেনো।____আমি বাবার পা ধরে বললাম,না বাবা এমন কথা বলো না,এতে তোমার কোনও দোষ নেই।সব আমার দোষ।তুমি প্লিস নিজেকে দোষী বলো না।
____তোকে আমি বার বার শুভ থেকে দূরে থাকতো বলছিলাম,কেনো তুই আমার কথা শুনিস নাই কলি,আজ যদি শুনতি, তাহলে আজ আমাকে এতো অপমান হতে হতো না।____বাবা আমি শুভকে ভালোবাসি,শুভও আমাকে ভালোবাসে,বলার আগেই বাবা আরো একটা থাপ্পড় দিলো,এবার থাপ্পড় টা একটু জরেই পরে,যার কারনে খাটে মাথা লেগে ফেটে যায়।বাবা আমার হাত ধরে টেনে সোজা করায়,____বেয়াদব মেয়ে,শুভ তোর থেকে বয়সে কতো বড় জানিস।তার পরও এসব কথা বলিস।____আমি জানি বাবা,কিন্তু কি করবো মনকে অনেক বুঝাবার চেস্টা করেছি,শুভকে ভুলে যেতে চেয়েছি।কিন্ত পারনি বাবা।আমি কি করবো,আমি উনাকে অনেক ভালোবাসি।আমি বলতে বলতে বাবার পায়ের সামনে বসে পড়লাম।
____বড় লোকের সাথে গরীবের ভালোবাসা হয়না কলি,হয় শুধু সহানুভূতি।যা এতো দিন শুভ তোর সাথে করেছে।শুভ শুধু তোর বয়সে বড় না,টাকা পয়সা ধন সম্পত্তি সব দিক থেকে তোর বাবা থেকে অনেক বড়।আমি চাইলেও সে বাড়ী তোর জন্য কল্পনা করতে পারিনা।____বাবা শুভ এসব মানে না।শুভ শুধু আমাকে ভালোবাসে,অর কাছে আমি কে, কি তাতে কিছু যায় আসে না। ____বাবা আমার দিকে করুন চোখে তাকালো,এখন আর বাবার চোখে কোনও রাগ নেই,তুই অনেক বোকা কলি,শুভ তোকে কখনো ভালোবাসতোই না,ওটা শুধু তোর প্রতি ওর সহানুভূতি ছিলো।যেটাকে তুই ওর ভালোবাসা মনে করছিস।____না বাবা,শুভ সত্যি আমাকে,আর কিছু বলার আগে বাবা আমার হাতে একটা কার্ড দিলো।কার্ড টা খুলে আমি আর কিছুই বলতে পারলাম না,এটা শুভর বিয়ের কার্ড।আজ থেকে ১মাস পরেই শুভর বিয়ে।কার্ডটার মধ্যে শুভর একটা ছবি ছিলো, আমি শুধু শুভর ছবিটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।চোখের সামনে সব ঝাপসা দেখছি,হঠাৎ আমার কি হলো জানি না,আমি ওখানেই অঙ্গান হয়ে পরে গেলাম,হয়তো একসাথে এতোকিছু নিতে পারিনি।প্রায় তিনঘন্টা পর আমার জ্ঞান ফিরলো।মা আমার পাশে বসে এখনো কাঁদছে। হয়তো আমার কস্টটা সে বুঝতে পারছে।আমি জানালার দিকে তাকিয়ে আছি,বাহিরে অন্ধকার হয়তো রাত হয়ে গেছে।মা আমি ঠিক আছি,আর কেদো না প্লিস।আমাকে একটু একা থাকতে দেও।মা বুঝতে পারলো,তাই আমার মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলো।আমার পাশে পরে থাকা কার্ডটা হাতে নিলাম।শুভর ছবিটা দেখছি কি সুন্দর লাগছে তাকে।লাগবে না কেনো,সেতো কোনও প্রিন্স এর চেয়ে কম না,হয়তো আমি তার প্রিন্সেস হতে পারিনি।এ কারনেই শুভ আমার ফোন ধরছে না,আমাকে avoid করছে।এতোদিন বুঝতে না পারলে এখন বুজেছি। কেনো করলেন শুভ আমার সাথে এমন কেনো,কি দোষ ছিলো আমার।কেনো আমার মনটাকে আপনে বার বার নিজের হাতে ভাঙ্গেন।আমিতো দূরে সরে যেতে চেয়েছিলাম,ভালোবাসার স্বপ্ন আমাকে কেনো দেখালেন।কেনো এতোদিন আমার মন নিয়ে খেললেন।এসব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে আপনাকে।কেনো আপনে আমার সাথে এমন করলেন।
||
||
বাবার ফেলে রাখা ছবিগুলো তুললো কলি,এগুলো সেদিনের ছবি।কয়েকমাস আগে কলি ঢাকা গিয়েছিলো ওর বড় খালামনির বাসায়।মিলি অনেকদিন ধরে বলছিল কলিকে আসতে,কিন্তু কলি আসতে পারেনি।কিন্তু এবার কলি নিজেই ওর বাবার কাছে বায়না করলো,ঢাকায় যাবে,মিলি আপুকে দেখতে।কলির বাবাও চিন্তা করলো মেয়েটা কোথায়ও যায় না,কখনো কোনও কিছুর বায়নাও করেনা।তাই সে কলির আবদার ফেলতে পারলো না।কলিকে তার নূরি খালার বাসায় নিয়ে গেলো।মিলি তারই মেয়ে, কলির থেকে কয়েক বছর বড়।কিন্তু কলিকে খুব ভালোবাসে।আসলে কলিকে ফ্যামিলির সবাই ভালোবাসে,বাসবেই না কেনো,কলি দেখতে অনেকটা মিস্টি ছিলো।কেউ তার উপর বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতে পারতো না। মিলি শুভ সম্পর্কে কিছুই জানতো না,কিন্তু কলির হাতের আংটিটা দেখে মিলির এক মিনিটও বুঝতে সময় লাগেনি,আংটিটা যে প্লাটিনামের,যা অনেক দামী।এই আংটিটা শুভ কলিকে তার ১৮তম জন্মদিনে পরিয়ে দিয়েছিলো।কিন্তু কলির হাতে এই আংটি মিলিকে খুব ভাবালো।কলির বাবা কলিকে দিয়ে সেদিনই চলো গেলো।আর কলি সারাদিন খালামনি আর মিলি আপুর সাথে গল্প করে কাটিয়ে দিলো।কিন্তু রাতে যখন ঘুমাতে গেলো তখন মিলি ওকে চেপে ধরলো।কি চলছে কলির জীবনে,আর কে ওকে এসব দামী দামী জিনিস দিলো।এর পর কলি মিলিকে শুভর কথা বললো।প্রথমে মিলি মানতেই নারাজ ছিলো।ওর ছোটবোনটা তার থেকে দ্বিগুণ বয়সের ছেলের সাথে কিভাবে সম্পর্ক করতে পারে।এটা নিয়ে তাদের অনেক কথাকাটাকাটি হলো।মিলি বুঝতে পারলো কলি সম্পর্কটা নিয়ে অনেকটা সিরিয়াস। কিন্তু শুভ কি সিরিয়াস সে নিয়ে মিলি একটু চিন্তিত। কারন শুভ চৌধুরী একজন ভি আই পি পার্সন।আগে রাজনীতিতে থাকতে যেমন নাম ছিলো,এখন বিজনেসম্যান হয়ে অনেক কম সময় ভালো নাম কামিয়ে ফেলছে।আর চাচা ঢাকার এম পির পদে।যে
পরিবারের আশেপাশে কোনও সাধারণ মানুষকে দেখা যায় না সে পরিবারের ছেলে গ্রামের এই সাধারন পিচ্ছির মধ্যে কি দেখেছে,তা মিলি হিসাব মিলাতে পারছে না,কলি বারান্দায় দাঁড়িয়ে শুভর সাথে কথা বলছে,আর মিলি খুব গভীর ভাবে চিন্তা করছে।শুভ এখনো জানে না কলি ঢাকায় এসেছে।তাই কলি মাহিরকে ফোনদিলো শুভকে সারপ্রাইজ দেবে বলে।ওরাও রাজি হয়ে গেলো।
||
||
শুভ অফিসে কাজ করছে,এমন সময় ফাহিম এসে হাজির।আরে ফাহিম কিছু বলবি।____হুমমমম,আজ একটু তারাতারি সময় বের করিস একটা জায়গায় যেতে হবে।____শুভ ল্যাপটোপ থেকে মুখটা সরিয়ে, কোথায় যেতে হবে।_____গেলেই বুঝবি,এটা একটা সারপ্রাইজ তোর জন্য।____দেখ আমার এতো সারপ্রাইজ ভালো লাগে না,ঈদানিং সবাই আমাকে সারপ্রাইজ এর বদলে শোকড দেয়।___আরে তোর ভালো লাগবে দেখিস।শুভ কিছুক্ষন ফাহিমের দিকে তাকিয়ে ভাবার চেস্টা করছে, কি সারপ্রাইজ হতে পারে।এর পর শুভ আবার কাজে মনোযোগ দিলো।
||
||
ফাহিম,মাহির,শুভকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য ঢাকার মধ্যে একটা রিসোর্ট ভাড়া করলো কলি ও শুভর জন্য।আর রিসোর্ট এর ঠিকানা শুভকে পাঠিয়ে দিলো মেসেজ করে।শুভ মেসেজটা দেখে কিছুটা অবাক হলো।কি সারপ্রাইজ হতে পারে তা ভাবতে ভাবতে গাড়ীতে উঠে গেলো।কিছুক্ষন এর মধ্যে ঠিকানায় পৌছে গেলো।ভেতরে গিয়ে কাউকে পেলো না।তাই শুভর মেজাজটা একটু খারাপ হয়ে গেলো।ফোনটা হাতে নিয়ে ফাহিমের নাম্বারটা লাগাবে এমন সময় একজোড়া হাত শুভকে পানির গ্লাস এগিয়ে দিলো।শুভ পানিটা নিয়ে ধন্যবাদ জানানোর জন্য, হাতজোড়া মালিকের দিকে তাকালো,সাথে সাথে শুভর বিষম উঠে গেলো,এ কাকে দেখছে শুভ……কলি। কলি আজ ফুল সাদা পরেছে,কপালে ছোট একটা লাল টিপ দিয়েছে,ঠৌঁটে পিংক কালাটের লিপস্টিক, হাত ভর্তি চুড়ি গুলোর শব্দ এখনো শুভর কানে বাজছে।কলিকে আজ শুভর মায়াপরি মনে হচ্ছে, যার মায়ায় শুভ বার বার পরে যায়।এসব নিজের কল্পনা মনে করে শুভ। কলিকে কিছু না বলে বাহিরে বের হয়ে যায়।আর কলিতো বেকুবের মতো এখনো দাঁড়িয়ে ভাবছে,তার সারপ্রাইজ হয়তো শুভর পছন্দ হয়নি।কিন্ত হঠাৎ শুভ কোথা থেকে এসে কলিকে জরিয়ে ধরলো।এখন কলি শোকড হয়ে গেলো।
আসলে শুভর বিশ্বাস হয়নি শুভ কলিকে এখানে সত্যিই দেখতে পাবে।তাই ফাহিমকে ফোন দিলে জানতে পারে,এটাই ওর সারপ্রাইজ, তাইতো এক মুহুর্তও দেরি না করে কলিকে জরিয়ে ধরে নিজের দুবাহুতে আবদ্ধ করে ফেলে।I’m really happy jan. it’s the best surprise of my life….thank u jan..I love u.____I love u 2.
শুভ এবার কলিকে বসিয়ে জিঙ্গেস করলো,কার সাথে এসেছে,কবে এসেছে,সারপ্রাইজ কে প্লান করলো,এমন হাজারো প্রশ্ন।কলি শুধু শুভর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে,তা দেখে শুভ বললো,কি রে কি দেখছিস।আমাকে আগে দেখিস নাই।____হুমমম দেখেছি,কিন্তু এই ভাবে দেখেনি।ফরমাল ড্রেসআপে।____কি করবো বল,সোজা অফিস থেকে এখানে এসেছি তাই।____আপনার জন্য আরো একটা জিনিস আছে।____আবার কি,একদিনে এতো সারপ্রাইজ দিস না আমি হার্টফেল করবো।____কলি শুভকে চোখ দিয়ে রাগ দেখায়।তাই শুভও চুপ হয়ে যায়।শুভ মাঝে মাঝে নিজেই আশ্চর্য হয় এই পিচ্ছি আমাকে ভয় দেখায় অথচ ওকে কিছু বলতেও পারি না।কলি শুভর জন্য ক্ষীর বানিয়ে এনেছে,নিজের হাতে।শুভতো আজ শোকড এর উপর শোকড পাচ্ছে,কারন তার পিচ্ছি কলি তার জন্য নিজের হাতে ক্ষীর বানিয়ে এনেছে।শুভও বায়না ধরলো কলির হাতে খাবে,তাই কলিও লক্ষী মেয়ের মতো শুভকে খাওয়াতে লাগলো।____আমাদের বিয়ের পরও কিন্তু তোকে এভাবে আমাকে নিজের হাতে রেঁধে রেঁধে খাওয়াতে হবে।তাই আমার পছন্দের সব ডিশ শিখেনিস।শুভর মুখে বিয়ের কথা শুনে কলি লজ্জায় লাল নীল হয়ে গেলো।শুভর কাছে কলির লজ্জাময় মুখটা খুব ভালো লাগে তাই কলিকে আরো একটু জ্বালাবার জন্য,কলিকে টেনে নিজের কোলে বসিয়ে বিয়ের কথায় এতো লজ্জা পেলে, বাশররাতে কি করবি,একটু আমাদের বাশররাতের জন্য বাঁচিয়ে রাখ।____কলিরতো লজ্জায় মরে জেতে মন চাইছে।আপনে জানেন, আপনে যে একটা অসভ্য।
____হুমমম আগে জানতাম না,এখন জানি।কিন্তু কি করবো বল,তোর সাথে থাকলো বার বার অসভ্য হতে মন চায়।____উফফফ এই লোকটা।এভাবেই ভালবাসার খুনসুটিতে কলি ও শুভর সময় কেটে গেলো।পরেরদিন ও শুভ সারাদিন কলির সাথে ছিলো।কলিকে নিয়ে ঢাকার অনেক জায়গা ঘুড়াঘুড়ি করেছিলো শুভ সেদিন।এটাই ছিলো শুভর সাথে কলির শেষ দেখা।এর পর আর দেখা হয়নি তাদের।কিছুদিন কথা হলেও আস্তে আস্তে শুভ কেমন পাল্টাতে লাগলো,ব্যস্ততার কথা বলে বার বার কলির ফোন কেটে দিতো।একসময় তো ফোন ধরাই বন্ধ করে দিলো।
কলির হাতের ছবিগুলো সেদিনেরই,ছবিগুলো দেখলেই বুঝা যাচ্ছে কেউ লুকিয়ে তুলছে।কিন্তু কে করেছে,সেটা কলি বুঝতে পারছে না।আর এখন বুঝার চেস্টাও করছে না।কলি মনকে শান্ত করার অনেক চেস্টা করছে,কিন্তু ভালোবাসা নামক অসুখটি কলিকে বার বার পরাজিত করছে।আর কলির এখন এই অসুখ নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে।
চলবে………
(ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।ভালো না লাগলো ইগনোর করবেন)