প্রেমময় তৃষ্ণা পর্ব-০৪

0
2509

#প্রেমময় তৃষ্ণা
#writer-TaNiA [🖤]
#part-4



শুভ সারারাত ঘুমায় নেই,ভোর রাতে চোখ লেগে এসেছে।হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো।এতো সকালে ফোন ধরার কোন ইচ্ছা নেই শুভর তাই নাম্বারটা না দেখেই কেটে দিলো।কিন্তু বার বার ফোনটা বেজেই চলছে।শুভ খুব বিরক্ত হয়ে ফোনের স্কিনে ঘুম ঘুম চোখে তাকালো,কার এতো ****।এতো সকালে ফোন দিয়ে বিরক্ত করছে।নাম্বারটা দেখে শুভর ঘুম উড়ে গেলো।তারাতারি কলটা রিসিভ করে যা শুনতে পাড়লো তা শুনার জন্য শুভ রেডি ছিলো না।
মাথাটা যেনো ঘুড়ে গেলো।ফোনটা হাত থেকে পরে গেলো,প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিলো না,পরে আবার ফোনটা কানে নিয়ে সিউর হলো।এক সেকেন্ড ও শুভ ওয়েট না করে গাড়ীর চাবি ও মানিব্যাগ টা হাতে নিয়ে বাড়ী থেকে বের হতে নিলে,ছোট মার সামনে পড়ে যায়।
|
শুভ তুই এতো সকালে ঘুম থেকে উঠলি, আজ সূর্য কোন দিকে উঠেছে।ছোট মা খেয়াল করলো শুভ খুব বিচলিত…।শুভ এই শুভ কি হলো বাবা,তোকে এমন দেখাচ্ছে কেনো।শুভ ছোট মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো,ছোট মা কলি সুইসাইড করেছে।
[[কলির প্রতি শুভর টান পরিবারের সবাই কম বেশি জানে।কিন্তু এই টানটা যে ভালোবাসায় পরিনিত হয়েছে সেটা অনেকে জানে না।শুভর নিজের মা থেকে ছোট মার সাথে ঘনিষ্ঠতা বেশি,তাই শুভর মনের কথা আর কারো কাছে লুকাতে পারলেও ছোট মার কাছে পারে না]]
|
কি?…কি বলছিস তুই,অতোটুকু বাচ্চা মেয়ে সুইসাইড করেছে…. কেনো?
আমি তোমাকে সব পড়ে বলবো আমার এখন যেতে হবে।
|
শুভ দাঁড়া বাবা,তুই ঠিক নেই,, তোর হাত পা কাঁপছে এই অবস্থায় তুই ড্রাইভ করতে পারবি না,তুই গাড়ীর সামনে দাঁড়া আমি ইনামকে পাঠাচ্ছি। শুভ প্রথমে রাজি না হলেও পরে ছোট মায়ের কথার অবাধ্য হতে পারেনি।
|
ইনাম ও শুভ গ্রামের দিকে রওনা দিলো।কয়েকঘন্টার মধ্যেই শুভ হসপিটালের সামনে পৌছালো।এই কয়েক ঘন্টা শুভ মনে হয় হাজার বার মরেছে। শুভ গাড়ী থেকে নেমেই ভেতরের দিকে দৌঁড়ে যায়।শুভকে এত সকালে এভাবে দেখে সবাই কিছুটা অবাক হয়।এলোমেলো চুল,পড়নে একটা সাদা গেন্জী আর টাউজার।
এটা শুভদেরই হসপিটাল।তাই শুভ কে কিছু বলার কেউ নেই।ও ডায়রেক্ট কলির রুমে ডুকে পড়লো।কলির মা বসেছিলো।শুভকে দেখে উনি আশ্চর্যের চুড়ান্ত সীমায়।কারন কলির সুইসাইড এর কথা কাউকে জানতে দেয়া হয়নি।কলির মা ফাহমিদা বেগম আস্তে করে উঠে বাহিরে চলে এলো শুভকে নিয়ে।কারন কলি ঘুমিয়ে ছিলো।শুভ নিজেকে কিছুটা সামলিয়ে, কলি এখন কেমন আছে,আন্টি।
|
ভালো বাবা,ঔষুধ এর পাওয়ার কম ছিলো বলে,এযাত্রায় মেয়েটা বেঁচে গেলো।তা না হলে…
কলির মা কান্না করতে থাকে।
|
শুভ ইনাম কে ইশারা করলে,ইনাম এসে,
আরে আন্টি কলিতো ঠিক আছে তাহলে কান্না কেনো করছেন।আর আপনি মনে হয় সকাল থেকে কিছু খাওয়া দাওয়া করেন নি এতে আপনার শরীরটাও খারাপ হয়ে যাবে,এমনেই আপনার পেসার লো থাকে।চলেন আমার সাথে আগে কিছু খেয়ে বিশ্রাম নিবেন।
|
কিন্তু কলি….কলিতো একা।ওর বাবা আসুক।
আন্টি টেনশন করছেন কেনো,শুভ ভাইয়া আছে না।শুভ ভাইয়া কিছুক্ষন কলিকে দেখে রাখবে আপনি চলুন আমার সাথে।ইনাম কলির মা কে নিয়ে গেলো যাতে শুভ কলির সাথে দেখা করতে পারে।
|
শুভ রুমে ডুকে দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে করে কলির বেডের সামনে এসে ওর পাশে বসে।কলির হাতটা নিজের গালের সাথে লাগিয়ে কিস করে।শুভর ভেতর টা মনে হয় ভেটে যাচ্ছে কলিকে এ অবস্থায় দেখে।শুভ কখনো চিন্তাও করেনি,কালকের ঘটনার জন্য কলি এমন একটা স্টেপ নিবে।
‘শুভর খোঁচা খোঁচা ধাড়ি কলির হাতে লাগলে কলি ঘুম ঘুম চোখে হাতটা সরাতে চাইলে শুভ আরো শক্ত করে ধরে রাখে।কলি কিছুটা বিরক্তিকর হয়ে চোখ দুটো খুলে শুভকে দেখে লাফ দিয়ে উঠে বসে,মনে হয় কোনও ভুত দেখেছে।’
শুভকে দেখে কলি বিস্ময়ের চরম সীমায়,কলির বিশ্বাসই হচ্ছে না,শুভ ওর পাশে বসে আছে।
|
শুভ ভাইয়া আপ…নি এখানে,আ…পনি এখানে কি করছেন। কলি কিছুটা ভয় পেয়ে।
আর আমি কি মরে গেছি নাকি বেঁচে আছি।কিছুই বুঝতে পাড়ছি না।আপনি কি আমার সামনে একচুয়েলি বসে আছেন,নাকি স্বপ্ন দেখছি।
‘কলির কথা শুনে শুভ চোখ দুটো বন্ধ করে নিজের রাগটা কোন্ট্রল করার চেস্টা করছে।’
|
তুই এমন কেনো করলি কলি,একবার কি আমার কথা চিন্তা করলি না।
|
কলি চিন্তা করছে আমার এই অবস্থায় উনি এখনো আমাকে রাগ দেখায়,তাই কলিও এবার অভিমান করে বলে, করেছি বেশ করেছি। আবার করবো।আপনার ________ঠাসসসস করে পরে কলির গালে একটা।
|
কলির এসব কথা শুনে শুভ নিজের রাগকে আর কোন্ট্রল করতে না পেরে কলিকে একটা থাপ্পড় মারে।থাপ্পড় খেয়ে কলি ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতে থাকে বাচ্চাদের মতো।
|
কলির কান্না দেখে শুভ কলির হাত ধরে নিজের দিকে টেনে বুকে জড়িয়ে নেয়।কলি কিছুটা শোকড হয়ে যায়।শুভর বুকের প্রতিটা স্পন্দন কলি খুব স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে।শুভ খুব শক্ত করে কলিকে বুকে জড়িয়ে ধরেছে।
কিছুক্ষন পর ওর মুখটা দুহাতে নিয়ে কপালে গালে কিস করতে লাগলো,শুভর প্রতিটি ছোঁয়ায় কলির ভেতরে তোলপাড় হতে লাগলো,মুখ দিয়ে যেনো কোনো কথা বের হচ্ছে না।গলা যেনো শুকিয়ে যাচ্ছে। কলির মনে হচ্ছে ও কোনও স্বপ্ন দেখছে।ঘুম ভাঙ্গলেই সব উধাও হয়ে যাবে।কিন্তু এই মুহুর্তে যা হচ্ছে তা যেনো সত্য হয়,কলি এই দোয়া করছে।আর শুভর ভালোবাসা গুলো চোখ বন্ধ করে অনুভব করছে।

তুই কি জানিস _________

“খুব বেশি ভালোবাসি তোকে…আমার অবুঝ পাগলী।জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত আমি তোকে ভালোবেসে তোর কাছে থাকতে চাই,এটাই বিধাতার কাছে আমার শেষ চাওয়া।

অনেক ভালোবাসিরে… আমার অবুজ পাগলী,
তুই ভালো বাসিস বা নাই বাসিস।
তোকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি,আপন করে পাওয়ার জন্য আশায় আজও আছি।

তুই কি আমার ভালোবাসা বুঝবি না,আমিতো আর তোকে ছাড়া চলতে পারছি না।আজও তোকে ভেবে ভেবে আমার নির্ঘুম রাত কাটে।আমি রাগ করি, ঘৃর্ণা করি বা অভিমানই যতোই করি না,তবুও তোকেই ভালোবাসি।

আর কাউকে ভালোবাসার কথা চিন্তাও করতে চাই না,তুই ছাড়া এই মন কাউকে দেবো ভাবতেও পারবো না।তুই চলে যেতে চাইলে যেতে দিতে পারবো না।কারন তোকে ছাড়া যে আমিও বাঁচবো না।

তোর হ্রদয়,তোর মনে,তোর দেহে শুধু এই শুভর বসবাস হবে।এখানে আমি অন্য কাউকে দেখতে পারবো না।যেদিন তুই আমার থাকবি না,সেদিন তোকে আমি আর কারও হতেও দেবো না।
নিজ হাতে তোকে মেরে ফেলবো,এর পর নিজেও শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করবো।

তোর সকাল হতে চাই আমি,রাতে তোর জড়ানো চাদরটা হতে চাই।তোর সুখের রাতে ভেজা চুলের কারন হতে চাই।
তোকে ভালোবাসার অধিকার শুধু আমার,এই অধিকার তুই চাইলেও আমি কাউকে দিতে দিবো না।আর তুই ভুলেও এমন চিন্তা কখনো করবি না।

আজ থেকে কলি শুধু এই শুভর।আর কারও না।মনে রাখিস আমার অবুঝ পাগলী।আমিও শুধু তোকেই ভালোবাসি।
|
এতোক্ষন পর কলির বিশ্বাস হলো এটা কোনও স্বপ্ন না।,সত্যিই শুভ আমাকে ভালোবাসে।কলি শুভকে জড়িয়ে ধরে খুব কান্না করতে লাগলো।এ এক সুখের কান্না, কারন এতোদিন ধরে কলি শুধু যেনে এসেছিলো,শুভকে ও একাই ভালোবাসে,শুভ হয়তো কলিকে ভালোবাসে না।কিন্তু ওর ধারনা ভুল।শুভতো কলিকে ওর থেকে বেশিই ভালোবাসে।
কলি কান্না করতেই থাকে,কলির চোখ নাকের পানি দিয়ে শুভর সাদা গেন্জীটাও ভিজে যাচ্ছে।সাথে কলির চোখের ছড়ানো কাজলটার দাগ লেগে যাচ্ছে।
|
স্টোপ জান!এখনতো বন্ধ কর।আর কান্না করতে হবে না।শুভ আবার নিজের বুক থেকে কলিকে সরিয়ে ওর মুখ হাতে নিলো।কলির এই মায়া ভরা মুখ,চোখে ছড়ানো কাজল এসবই শুভকে আকর্ষণ করতো কলির প্রতি,আজও করছে।
আজ তো শুভ কোন নিশেধও মানতে চায় না।তাই কোনও কিছু চিন্তা না করেই,কলির ঠোঁট নিজের ঠোঁটের মধ্যে নিয়ে নিলো।পরম আবেশে কলির ঠোটগুলো চুষতে লাগলো,যেনো কতো দিনের তৃষ্ণা আজ শুভ পূরণ করছে।কলি শুভ কে সরার জন্য একটু ধাক্কা দিলে,শুভ কলির কোমড়টা ধরে আরো কাছে টেনে আনে।কলির হাত দুটো শুভর বুকের উপর।আর শুভর আরেক হাত দিয়ে কলির চুলগুলো মুঠোভরতি করে রেখেছে,যাতে কলি লড়তে না পারে
কলির চোখ বন্ধ অবস্থায় বুঝতে পারলো গরম কিছু বেয়ে পড়ছে।কলি চোখ খুলে দেখে শুভর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।শুভ যেনো আজ নিজের মধ্যেই নেই।কলিকে পেয়ে যেনো সব ভুলে গেছে।ঠিক পনেরো মিনিট পর শুভ কলিকে ছেড়ে কলির কপালের সাথে নিজের কপাল রাখে।
sorry jan,I’m really sorry.I didn’t want to do it.But couldn’t stop myself..sorry.
|
শুভ চোখগুলো বন্ধ করেই কথা গুলো বলছে।আর কলিতো লজ্জায় শুভর দিকে তাকাতেই পাড়ছে না।শুভ তা দেখে মুচকি হাসি দিলো।কলিকে বেডে শুয়ে দিয়ে চাদর দিয়ে দিলো শরীরে, আর কপালে একটা কিস করে,আমাকে যেতে হবে কলি,বাহিরে আন্টি আছে।কলি এখনো শুভর দিকে তাকালো না।শুধু মাথা নেড়ে হ্যা বললো।
“শুভ যেতে নিলে কলি শুভর হাতটা ধরে ফেলে,কিন্তু কিছু বলে না।হয়তো বলতে পাড়ছে না,কিন্তু শুভকে যেতে দিতে চায় না।”
-কিন্তু শুভ ঠিক বুঝে নিয়েছে কলি কি বলতে চায়।কলির হাতটা নিজের হাতে নিয়ে।আমি আজ ঢাকায় যাচ্ছি না।শুধু বাহিরে যাচ্ছি।এবার কলি হাতটা ছেড়ে দিলো।শুভও হাসতে হাসতে রুম থেকে বাহিরে চলে গেলো।
|
বাহিরে গিয়ে কলির মায়ের পাশের চেয়ারে বসে।কারন কলির মা শুভ আর কলির কথা শুনে ফেলে।
|
শুভ কলি তোমার জন্য আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলো।
|
হুম!………।
|
তুমি কি জানো তোমরা কি করতে চাইছো।আমার মেয়েটা ছোট হয়তো জীবন সম্পর্কে ওর জ্ঞান অনেক কম।কিন্তু তুমি! তোমাকে দিয়ে এই আশা করিনি।তুমি ওকে কেনো বুঝালে না।তোমাদের সম্পর্ক কেউ মেনে নিবে না।
|
শুভ কলির মায়ের সামনে এসে হাটুগেড়ে বসে পড়লো।আমি জানি, কিন্তু কি করবো বলুন আমি নিজেকে অনেক বুঝিয়েছি, কলি থেকে এতো বছর দূরেও সরে ছিলাম।কিন্তু না আমি,না কলি কেউ কাউকে ভুলতে পারিনি।আমার বয়সটা কম হলে হয়তো কারো কোনও সমস্যা হতো না।কিন্তু বিশ্বাস করেন এতে ভালোবাসার ঘাটতি হবে না।কারন ভালোবাসাতো কোনও বয়স মানে না,কোনও নিয়ম মানে না।সমাজ যতো কটু কথা বলুক,
বাকা চোখে তাকাক ভালোবাসা ক্ষেত্রে কোনও বয়স বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনা।শুধু আমি না কলিও আমাকে ভীষন ভালোবাসে।তাই আমার জন্য না হলেও কলির জন্য মেনে নিন।একজন মা হয়ে না,একজন মেয়ে হয়ে কলির অনুভূতিটা চিন্তা করুন তার পর আপনার যা ইচ্ছা করেন।
|
কিন্তু কলি এখনো ছোট,আর ওর বাবা কখনো মানবে না।
|
আমি জানি, কলি এখনো ছোট, তাই তো আমি অপেক্ষায় আছি ওর প্রাপ্ত বয়স হবার জন্য।ও প্রাপ্ত বয়স হলেই আমি ওকে বিয়ে করবো।আমি ওর জন্য এতোটা বছর অপেক্ষা করেছি।সেখানে আরও কয়েকটা বছরও করতে পারবো।কিন্তু বিশ্বাস করুন আমার থেকে বেশি কলিকে কেউ ভালোবাসবে না।আমি সবার সম্মতি নিয়েই কলিকে নিজের করে নিবো।শুধু আপনি একটু দোয়া করবেন।
|
এরপর শুভ উঠে চলে গেলো।
শুভ হসপিটাল থেকে সরাসরি থানায় গেলো।
|
কলি আত্মহত্যা করছে,তাই পুলিশ কেস করতে চাইছে।শুভ গিয়ে সব সামাল দেয়।কলির বাবাও শুভকে এই সময় আশা করেনি।তবুও কিছু বলেনি।কারন কলির প্রতি শুভর টানটা উনি জানে।কিন্তু ভালোবাসাটার কথা এখনো তার কান পর্যন্ত পৌছায় নি।সে মনে করেছে হয়তো হসপিটাল থেকে কেউ বলেছে শুভকে,তা না হলে শুভ কিভাবে জানবে।
|
কলিকে দুদিন পর ছুটি দিয়ে দিলো।এই দুদিন শুভ কলির সাথে সারাক্ষন হসপিটালেই ছিলো।কলির মাও বুঝতে পারলো শুভ আসলেই কলিকে অনেক ভালোবাসে।কিন্তু! তবুও একটা কিন্তু থেকে যায়।
|
কলি এখন বাসায়।আজ স্কুলেও গিয়েছে।স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার সময় হঠাৎ শুভর গাড়ী সামনে দেখতে পেলো।কলি গাড়ীর সামনে যেতেই শুভ দরজা খুলে কলিকে ভেতরে টান দিয়ে নিয়ে এলো।কলি ভয়ে এদিক ওদিক দেখতে লাগলো কেউ দেখেছে কিনা।ভাগ্যিস আজ শিলা ছিলো না,তা না হলে কি হতো।
|
কি রে কি চিন্তা করছিস।কলির সামনে আসা চুল গুলো কানের পেছনে গুঁজে দিয়ে।এদিক ওদিক তাকিয়ে লাভ নেই,তোকে কেউ দেখেনি,আর এখনো এই গাড়ীর ভেতরে কেউ দেখতে পাবে না কিন্তু তুই সবাইকে দেখতে পারবি।
|
কলির এতোক্ষন পর চিন্তার অবসান হলো,কিন্তু শুভর দিকে তাকিয়ে আবার শুরু হয়ে গেলো।শুভ কেমন মায়া ভরা চোখে তাকিয়ে আছে।শুভ এভাবে তাকালে কলির ভেতরে অদ্ভুত ফিলিংস প্রসারিত হয়।যার কারনে কলির গালগুলো লজ্জায় লাল হয়ে যায়।কলি শুভ থেকে একটু দূরে বসার চেস্টা করলে,শুভ টান দিয়ে কলিকে আরো কাছে টেনে নেয়।এবার কলির ঘাড়ে মুখ রেখে কলির শরীরের ঘ্রান নিতে থাকে।

–কি মেখেছিস তুই আজকে।

কলি কাপাকাপা কন্ঠ বলে….লো শ ন।

–তাইতো এতো মিস্টি ঘ্রান আসছে।আমাকে পাগল করার জন্য সব ব্যবস্থা করে রেখেছিস।শুভ কলির হাতের আঙ্গুলের মাঝে নিজের আঙ্গুল গুলো দিয়ে কলির হাতে একটা কিস করলো।এ কয়েকদিনে তোর অনেক অশক্ত হয়ে পড়েছি আমি।বলতো ঢাকায় গেলে তোকে ছাড়া কিভাবে থাকবো।

আপনি চলে যাচ্ছেন,কবে……।

আজ,এখনি রওনা দেবো।তোর সাথে দেখা করবো বলে এখানে অপেক্ষা করছিলাম।শুভ দেখলো,কলির মুখটা যাওয়ার কথা বলার পর কেমন মলিন হয়ে গিয়েছে।কলি কে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে, আমি সময় পেলেই চলে আসবো,কিন্তু এখন যেতে হবে আমায়,অনেক কাজ আছে।চাচা একা একা কিছুই করতে পারছেনা।তুই কান্না একদম করবি না,স্কুল কোচিং ছাড়া কোথাও যাবি না,নিজের খেয়াল রাখবি।এখানে ফোন আছে।আমি রাতে কল দেবো।যতো রাতই হোক একবার হলেও আমার সাথে কথা বলবি।আমি কি বলছি শুনছিস।
|
কলি মাথা নেড়ে হ্যা বললো।
|
আর আজই আন্টিকে নিয়ে, বড় ওড়না কিনে আনবি।এই ছোট ছোট স্কার্ফ যেনো তোর শরীরে আমি না দেখি।তাহলে কিন্তু আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।বুঝেছিস।
কলি ফ্যালফ্যাল চোখে শুভর দিকে তাকিয়ে শুধু মাথা নাড়লো।শুভ কলির কপালে একটা কিস করে,কলিকে কলির বাড়ীর সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো।উদ্দেশ্য ঢাকা যাওয়া।

চলবে….।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে