প্রেমময় প্রহরে তুমি পর্ব-১৫+১৬

0
2721

#প্রেমময়_প্রহরে_তুমি💖
#ইশা_আহমেদ
#পর্ব_১৫+১৬[প্রেমময় প্রহর]

১৮.
দেখতে দেখতে তিনটা মাস কেটে গিয়েছে।মাহাজের খুনসুটিতে বেশ ভালো কেটেছে জিরিশার এই তিনমাস।সাথে ফাহা তো আছেই।দুষ্টুমি ফাজলামি সব কিছুই মিলে জিরিশার লাইফটা বেশ কাটছে।আজকে একটু বেশিই খুশি জিরিশা কারণ আজকে ফাহাকে দেখতে আসবে।জিরিশা সকাল সকাল রেডি হয়ে চলে এসেছে।

ফাহা ভয় পাচ্ছে বেশ।কারণ তাকে দেখতে আসছে তাদের স্যার।মানে কাহিনীটা হচ্ছে জিরিশা আর ফাহা ৯-১০ ক্লাসে একটা ম্যাথ স্যারের কাছে পরতো।সেই স্যার এখন ভালো পদে চাকরি করছে।তার আগে থেকেই ফাহাকে ভীষণ পছন্দ করতো।জিরিশা অবশ্য তখন থেকেই ভীষণ খেপাতো ফাহাকে।ফাহা খেপতো ও।

জিরিশা ফাহাকে টিটকারি মেরে বলে,
“বলেছিলাম না তোকে।মেহেরাব স্যারই তোর বর হবে।দেখ দেখ আমার কথাই সত্যি হলো।তখন তো পাত্তা দিসনি”

ফাহা রেগে বলল,,
“তুই চুপ থাক।মেহেরাবের বাচ্চারে পাইলে ওর আমারে বিশে করার শখ ছুটায় দিতাম।”

ফাহার কথায় জিরিশা হো হো করে হেসে উঠে।ফাহা রেগে জিরিশার দিকে বালিশ ছুড়ে মারে।জিরিশা বলে,,
“তুই আমায় তখন অনেক জ্বালিয়ে ছিলি এখন আমর পালা ফিউচার মিসেস মেহেরাব হাসান”

শিরিন এসে বলে,
“তোরা ঝগড়া বাদ দে।জিরিশা তুই ওকে রেডি করে দে। কিছুক্ষণ পরেই কিন্তু মেহেরাবরা চলে আসবে”

জিরিশা দাঁত কেলিয়ে বলে,
“মামনি তোমার মেয়েই তো আমার সাথে ঝগড়া করছে”

শিরিন রুম থেকে বের হতে হতে বলে,
“উফ আমি পরেরবার এসে যেনো দু’জনকেই রেডি হয়ে থাকতে দেখি”

শিরিন চলে যেতেই দুজন রেডি হওয়া শুরু করলো।ফাহা একটা নীল রঙা শাড়ি পরেছে।ভীষণ সুন্দর লাগছে।ফাহাকে দেখে জিরিশা বলে,,
“তোকে দেখে তো আজ মেহেরাব স্যার থুক্কু মেহেরাব দুলাভাই বলবে আহ আজকে আমার শ্যামলাবতীকে তো ভীষণ সুন্দর লাগছে।”

ফাহা জিরিশার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বলে,
“আর মাহাজ ভাইয়া তোর ওই সাদা কোমড়ের দিকে তাকিয়ে বলবে,উফ জিরিশা পাখি তোমায় এতে আবেদনময়ী লাগছে কেনো!”

জিরিশা ফাহার দৃষ্টি অনুসরণ করে কোমড়ের দিকে তাকাতেই তাড়াতাড়ি শাড়ি দিয়ে ঢেকে নেয়।তারপর ফাহাকে দাঁতেদাঁত চেপে বলে,,
“অসভ্য মেয়ে কি ধরনের কথা বলছিস নিজের ভাবির সাথে”

ফাহা দাঁত কেলিয়ে বলে,
“উফ জিরিশা ভাবি তুই আগে আমার বেস্টু তারপর ভাবি”

জিরিশা রাগি চোখে তাকিয়ে চলে যায় শিরিনের কাছে।শিরিনকে টুকিটাকি সাহায্য করে।মেহেরাবরা দুপুরেই চলে আসে।সবাই খাওয়া দাওয়া শেষে গল্প করে।জিরিশা রুমের ভেতরেই ছিলো এতোক্ষণ।কারণ মাহাজের কড়া নিষেধ।শিরিন জিরিশাকে বলে ফাহাকে নিয়ে আসতে।জিরিশা ফাহাকে নিয়ে আসে।

মেহেরাবের মা ফাহার সাথে গল্প জুড়ে দেয়।মেহেরাব ফাহার সামনেই বসে আছে।ফাহার রাগ লাগলেও সে হাসিমুখে কথা বলছে সবার সাথে।মেহেরাবের সাথে তার চাচাতো সাকিব এসেছে।সাকিব জিরিশাকে দেখে ভীষণ পছন্দ করে।তার মাঝেই সবাই মেহেরাব আর ফাহাকে আলাদা কথা বলতে ছাদে পাঠায়।

ওদের সাথে জিরিশা আর সাকিব ও যায়।মাহাজ একটু বাইরে গিয়েছে তার কাজে।ছাদে আসতেই জিরিশা মেহেরাবকে বলে,
“কি স্যার থুক্কু মেহেরাব ভাই আমার বান্ধবীকে তো বিয়ে করে নিয়ে যাচ্ছেন।”

মেহেরাব বলে,
“তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছো জিরিশা আমি তোমার স্যার হই”

জিরিশা দাঁত কেলিয়ে বলে,
“আইসে আমার স্যার হয়।রাখেন আপনার স্যার আমি এখন আপনার শালি সো আমি এখন সব ফাজলামি করতে পারি”

জিরিশা সাইডে আসে ফাহা আর মেহেরাবকে আলাদা কথা বলতে দিয়ে।জিরিশা যেতেই ফাহা রাগি কন্ঠে বলে,
“কি সমস্যা আপনার স্যার আপনি আমাকে কেনো বিয়ে করতে চাইছেন”

মেহেরাব মুচকি হেসে বলে,
“তুমি কি বোঝো না ফাহা আমি তোমাকে ভালোবাসি”

ভালোবাসি কথাটা শুনেই ফাহা একটু চমকায়।সে স্থির হয়ে যায়।জিরিশা নিচে নেমে আসে।সাকিব ও নিচে এসে তার চাচিমনিকে কিছু বলে।সবাই চলে আসে।বিয়ের ডেট ঠিক করা হবে।মাহাজও চলে আসে।সবাই ঠিক করে ওদের এইচএসসির পরেই বিয়ে হবে।মেহেরাবের মা শিরিনকে বলে,
“ভাবি কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি”

শিরিন হেসে বলেন,
“হ্যা হ্যা ভাবি বলুন”

উনি জিরিশার দিকে তাকিয়ে বলে,
“ভাবি আমি জিরিশাকে আমার আরেক ছেলে মানে সাকিবের বউ করে নিয়ে যেতে চাই।ও খুব ভালো কোম্পানিতে চাকরি করে”

রুমে উপস্থিত থাকা সবাই চমকে উঠে।রুমে থাকা সবাই একে অপররের দিকে তাকা তাকি করতে থাকে।মাহাজ রেগে যায়।জিরিশার পাশেই মাহাজ দাঁড়িয়ে ছিলো।জিরিশা মাহাজকে কিছু বলতে মানা করে কিন্তু মাহাজ রাগি কন্ঠে বলে,,
“আন্টি আপনার আগে সবকিছু জেনে নেওয়া উচিত তারপর কাকে কি বলছেন তা নিয়ে কথা বলা উচিত।জিরিশা আমার বউ হয়”

কথাটা বলেই রাগে ফোসফাস ফোঁসফোস করতে করতে জিরিশাকে টেনে নিজের রুমে নিয়ে দরজা লক করে দেয়।রুমে উপস্থিত থাকা সবাই ভীষণ লজ্জায় পরে যায়।মেহেরাবের মা লজ্জিত কন্ঠে বলে,,

“কিছু মনে করবেন না আসলে মাহাজ বাবা ঠিকই বলেছে না জেনে কথা বলা ঠিক হয়নি”

মাহাজ যে ভীষণ রেগে আছে তা তার চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে।জিরিশার দিকে এক পা এক পা করে আগাচ্ছে মাহাজ।জিরিশা ভয় পায়।জিরিশার কাছে গিয়ে ওর কোমড় জড়িয়ে ধরে ওর মাথায় থাকা শাড়ির আচল খুলে ফেলে।খোপা করা চুলগুলোও খুলে দেয়।

তারপর জিরিশাকে ঘুরিয়ে ওর চুলে মুখ ডুবিয়ে দেয়।জিরিশা কেঁপে উঠে।সে এই প্রথম কোনো ছেলের এতোকাছে।হার্টবিট উঠানামা করছে।মাহাজ জিরিশার নরম তুলতুলে পেটে হাত গলিয়ে দেয়।জিরিশা শাড়ি খামচে ধরে।মাহাজ হুট করে জিরিশাকে কোলে তুলে নেয়।

জিরিশাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ওর উপরে ভর ছেড়ে দেয়।তারপর জিরিশার গলায় পাগলের মতো চুমু দিতে থাকে।জিরিশা কেঁপে কেঁপে উঠছে।মাহাজ যে ঘোরে আছে তা জিরিশা বুঝতে পারছে।প্রথম কোনো পুরুষের স্পর্শ পেয়েছে জিরিশার নিজের ও পাগল পাগল লাগছে।তাই তো মাহাজকে থামাতে পারছে না।মাহাজের সম্পূর্ণ অধিকার আছে তাকে স্পর্শ করার।

মাহাজ এবার জিরিশার ঠোঁটের সাথে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দেয়।জিরিশার চোখ বড়বড় হয়ে যায়।ও মাহাজের চুল খামছে ধরে।ও আর মাহাজের স্পর্শ সয্য করতে পারছে না।বেশ কিছুক্ষণ পর মাহাজ ওকে ছেড়ে পাশে শুয়ে পরে।তারপর নেশাক্ত কন্ঠে বলে,

“তোমায় বলেছিলাম না জিরিশা পাখি আমার সামনে এমন ডার্ক লিপস্টিক দিয়ে আসবে না আর না সেজে আসবে।তোমার এই লুক যে আমায় পাগল করে তোলে।নিজেকে সামলাতে বড্ড কষ্ট হয়।”

মাহাজ থেমে আবার বলে,
“তোমাকে আজকে ভীষণ করে নিজের করতে ইচ্ছে করছে জানো তোমায় এমন শাড়ি পরিহিত দেখলে আমার মাথা ঠিক থাকে না যে।একটা ঘোরে চলে যাই আমি”

জিরিশা এখনো সেইভাবেই শুয়ে আছে।মাহাজের স্পর্শ ওকে পাগল করে তুলেছে।মাহাজ ওর কাছে এসে কানের কাছে ফিসফিস করে বলে,
“তুমি কি কিস করতে পারো না বউ’

মাহাজের গরম নিশ্বাস জিরিশার চোখে মুখে পরছে।জিরিশা আগে চোখ বন্ধ করে ছিলো এখন চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে আছে লজ্জায়।লজ্জায় গালগুলো লাল হয়ে গিয়েছে।জিরিশা কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
“আ..পনি কি অ..স..ভ্য মা..র্কা ক..থা ব..ল.ছে..ন”

মাহাজ ঠোঁট কামড়ে হেসে বলে,
“এগুলো অসভ্য মার্কা কথা না বউ রোমান্টিক কথা আরেকটু বলবো”

জিরিশা চোখ খুলে তাকিয়ে মাহাজের মুখ চেপে ধরে বলে,
“উহু আর বলবেন না আর বললে আমি মরেই যাবো লজ্জায়”

মাহাজ আলতো করে জিরিশার গালে ঠোঁট ছুঁইয়ে বলে,
“উফ তোমার এই লাল গালগুলোকে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।”

জিরিশা মাহজকে নিজের থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে।মাহাজ ছাড়ছে না দেখে বলে,
“ছাড়ুন আমায়!তখন কিভাবে ওখান থেকে নিয়ে আসলেন সবাই কি ভাবছে বলুন তো”

মাহাজ জিরিশাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,
“কে কি ভাবলো আমার তাতে কিছু যায় আসে না।আজকে নিজের বউকে কাছে পেয়েছি ছাড়ছি না ১ ঘন্টার আগে”

জিরিশা অসহায় কন্ঠে বলে,,
“শুনুন না,এখন ছাড়ুন আমায় আমি আর আপনার স্পর্শ সয্য করতে পারছি না”

মাহাজ হুট করে জিরিশাকে ছেড়ে দেয়।জিরিশা ভাবে মাহাজ তাকে ছাড়লো কেনো।মাহাজ উঠে নিজের শার্ট পরতে থাকে।জিরিশা উঠে বসে।শাড়ি ঠিক নেই তার।এলোমেলো হয়ে পরে আছে।জিরিশা অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকে মাহাজের দিকে।শাড়ির আচলটা কেনোমতে তুলে মাহাজের কাছে গিয়ে বলে,

“কি হলো আপনার হঠাৎ উঠে এলেন”

মাহাজ জিরিশার দিকে না তাকিয়ে বলে,
“তোমারই তো আমার স্পর্শ অসয্য লাগছে।রুম থেকে বের হওয়ার সময় নিজেকে গুছিয়ে বের হবে”

কথাটা বলেই মাহাজ রুম থেকে বের হয়ে যায়।জিরিশা বুঝতে পারে মাহাজ রাগ করেছে।সে বসে বসে কাঁদতে থাকে।সে মাহাজকে ওইভাবে কথাটা বলতে চাইনি কিন্তু মাহাজ উল্টাপাল্টা ভাবছে।জিরিশা অনেক সময় কাঁদার পর কিছু একটা ভেবে আলতো হেসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ঠিক করতে থাকে।নিজেকে গুছিয়ে বের হয়।ততক্ষণে মেহেরাবরা চলে গিয়েছে।

জিরিশা শিরিনের কাছে গিয়ে বলে,
“মামনি আজকে আমি এখানে থাকতে চাই”

শিরিন ভ্রু কুচকে বলে,
“হঠাৎ এখানে থাকতে চাইছিস যে তুই”

জিরিশা অসহায় কন্ঠে বলে,
“তোমার ছেলে আমার উপর রাগ করেছে তার রাগ ভাঙাতে হবে তো”

শিরিন বুঝতে পারেন।তারপর মুচকি হেসে বলে,
“আমার ছেলেকে সামলাতে পারবি তো”

জিরিশা ভীষণ লজ্জা পায়।সে দৌড়ে ওখান থেকে ফাহার কাছে চলে আসে।পেছন থেকে অবশ্য শিরিনের হাসির আওয়াজ শুনেছে।ফাহার কাছে এসে বসে পরে ওর পাশে।ওকে দেখে সয়তানি হাসি দিয়ে বলে,
“দোস্ত তা কি কি করলি এতো সময়”

জিরিশার কানগরম হয়ে যায় লজ্জায়।সে আমতা আমতা করে বলে,
“কিছুই করিনি কি করবো”

ফাহা মুখ বাঁকিয়ে বলে,
“একটা রুমে স্বামী স্ত্রী থাকলে কিরে তুমি জানো না”

জিরিশা কানে হাত দিয়ে বলে,,
“চুপ কর!তোরা দুই ভাইবোন আমাকে লজ্জা দিয়ে মেরেই ফেলবি এবার”

ফাহা বাঁকা হেসে বলে,
“কেনো কি বললো ভাইয়া”

জিরিশা বুঝতে পারে ও কাকে কি বলে ফেলেছে।ও ফাহাকে বলে,
“দোস্ত প্লিজ আর বলিস না এবার আমি মরেই যাবো আর তোর ভাই কিন্তু বিধবা হয়ে যাবে”

ফাহা হো হো করে হাসতে থাকে।জিরিশা ফাহাকে মারতে থাকে।দুজন একদফা মারামারি করে নেয়।দুজন ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পরে।জিরিশা জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে বলে,

“তোর ভাই রাগ করেছে কি করলে রাগ ভাঙবে বল তো”

ফাহা বলে,
“কি করেছিস তুই যে রাগ করেছে”

জিরিশা অসহায় কন্ঠে বলে,
“দেখ দোস্ত এইটা আমি বলতে পারবো না কিন্তু বল না কিভাবে রাগ কমাবো।আমি আজকে মামনিকে এইখানে থাকবো তাই বলেছি”

ফাহা ভ্রু কুচকে বলে,
“বাহ তুই তো একটু বেশিই ফার্স্ট হয়ে গিয়েছিস”

জিরিশা অসহায় কন্ঠে বলে,
“কি করবো বল ওই পাগল লোকটাকে যে ভালোবেসে ফেলেছি”

ফাহা হাসতে হাসতে বলে,
“উফ ভালোবাসার কি জ্বালা রে বাবা”

ফাহা জিরিশাকে একটা আইডিয়া দেয়।যা শুনে জিরিশা নাক মুখ কুঁচকে বলে,
“ছিহ আমি পারবো না ওসব পরতে”

ফাহা বলে,
“আচ্ছা ঠিক আছে আমার আরেকটা প্লান শোন”

১৯.
মাহাজ অনেক রাত করে বাড়িতে ফেরে।ও ভেবেছে জিরিশা চলে গিয়েছে।রুমে এসে দেখে সম্পূর্ণ রুম অন্ধকার।লাইট ওন করতে গেলে দেখে কারেন্ট চলে গিয়েছে।বাইরে বাতাস হচ্ছে অনেক সাথে বৃষ্টিও।তার মাঝেই কেউ তাকে জড়িয়ে ধরে।মাহাজ প্রথমে থতমত খেয়ে গেলেও পরে বুঝে যায় কে।সে ফোনের আলো জ্বালায়।

জিরিশা চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে আছে।জিরিশাকে মাহাজ নিজের সামনে এনে দাঁড় করায়।তারপর জিরিশাকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করে।জিরিশা জরজেটের লাল শাড়ি পরেছে।ঠোঁটে লাল ডার্ক লিপস্টিক।মাহাজ চোখ বুঝে ফেলে উল্টো দিকে ঘোরে।জিরিশার দিকে আর কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে সে নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারবে না।

জিরিশা মাহাজকে বলে,”আমায় সুন্দর লাগছে না”

মাহাজ উত্তর দেয় না।জিরিশার মন খারাপ হয়।সে আবারও মাহাজকে একই প্রশ্ন করে কিন্তু এবারও মাহাজ তার দিকে তাকায় না।জিরিশা ফুপিয়ে কেঁদে উঠে।মাহাজ এবার তাকায় জিরিশার দিকে দেখে জিরিশা নিচের দিকে তাকিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে চলেছে।

চলবে~

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে